খেলনা নৌকা বানানো :
এই সেশনের পূর্বেই ফেলে দেওয়া কিছু উপকরণ যেমন- ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের পানির বোতল, বেশ কিছু রাবার ব্যান্ড, কয়েকটা পাটকাঠি অথবা পেন্সিল, একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিকের খাবারের চামচ, সুপার গ্লু অথবা ভালোমানের আঠা জোগাড় করে নিতে হবে।পরবর্তীতে দলে ভাগ হয়ে খেলনা নৌকা বানাতে হবে,পুরো প্রক্রিয়াটি তোমাদের অনুশীলন বইয়ে দেওয়া আছে।
এই নৌকাটির ক্ষেত্রে কী ঘটছে আসলে? কেন পানিতে ছেড়ে দেয়া মাত্রই এটা চলতে শুরু করল বলতে পারো? এই শক্তি কোথা থেকে আসলো?
এই নৌকাটির ক্ষেত্রে স্থিতি শক্তি ও গতিশক্তি ক্রিয়াশীল।রাবার ব্যান্ডের মধ্যে থাকা চামচ বা ধাতব বস্তুটির মধ্যে স্থিতি শক্তি জমাছিল। এটি যখন পানিতে ছাড়া হলো তখন স্থিতি শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তর হওয়ার কারণে পানিতে নৌকাটি ছাড়া মাত্রাই চলতে শুরু করে।
স্থিতি শক্তি রাবার ব্যান্ডের মধ্যে জমা ছিল। রাবার ব্যান্ডের সাথে যুক্ত থাকা চামচটিকে ঘুরানের ফলে এর মধ্যে স্থিতি শক্তি বা বিভব শক্তি জমা হতে থাকে। এই স্থিতি শক্তির কারণে নৌকাটি চলতে শুরু করায় তখন নৌকাটি গতি শক্তির অধিকারী হয়।
একইরকম ঘটনা কি আর কোথাও ঘটতে দেখেছ?
উত্তর- পাথরকে উপর থেকে নিচে ফেলা, ধনুক হতে তীর ছোড়া, বেঞ্চ থেকে ব্যাগ বা বই নিচে পরা, স্থির গাড়ি গতিশীল হওয়া, স্থির ব্যাক্তি দৌড়ানো,স্প্রিংকে সংকুচিত করা ইত্যাদি।
অন্যান্য দলের সাথে মুক্ত আলোচনায় যোগ দাও। তাদের ভাবনা শুনে দেখো, কোন শক্তির ফলে নৌকায় গতির সঞ্চার হলো?
উত্তর : অন্যান্য দলের সাথে মুক্ত আলোচনা করে তাদের ভাবনা শুনে বুঝলাম রাবার ব্যান্ডের বিভব শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে নৌকায় গতির সঞ্চার করেছে।
তোমাদের নৌকা যখন চলছিল, পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় এসময়ে কী কোনো কাজ সম্পন্ন হয়েছে? তোমার উত্তর লিখে রাখো।
উত্তর : আমাদের অনুসন্ধানী বই এ কাজ, শক্তি,ক্ষমতা অধ্যায় হতে জানতে পারলাম যে, পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় কাজ হলো-
কোনো বস্তুর উপর বল প্রয়োগের ফলে যদি বলের দিকে বস্তুটি কিছু দূরত্ব অতিক্রম করে তবে বল এবং ঐ দূরত্বের গুণফলকে কাজ বলে।
অর্থাৎ কাজ = বল × দূরত্ব
∴ W = Fs
যখন নৌকা চলছিল তখন নৌকার উপর বল প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং নৌকাতে গতির সঞ্চারের কারণে কিছুটা দূরত্ব অতিক্রম করেছিল। তাই এসময় কাজ সম্পন্ন হয়েছে।