এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়,হরেক রকম খেলনার মেলা সম্পর্কে জানবো।
Page Contents
Toggleপ্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ
খেলনা নৌকা বানানো :
এই নৌকাটির ক্ষেত্রে কী ঘটছে আসলে? কেন পানিতে ছেড়ে দেয়া মাত্রই এটা চলতে শুরু করল বলতে পারো? এই শক্তি কোথা থেকে আসলো?
একইরকম ঘটনা কি আর কোথাও ঘটতে দেখেছ?
অন্যান্য দলের সাথে মুক্ত আলোচনায় যোগ দাও। তাদের ভাবনা শুনে দেখো, কোন শক্তির ফলে নৌকায় গতির সঞ্চার হলো?
তোমাদের নৌকা যখন চলছিল, পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় এসময়ে কী কোনো কাজ সম্পন্ন হয়েছে? তোমার উত্তর লিখে রাখো।
তৃতীয় ও চতুর্থ সেশন
নৌকাটিকে গতিশীল করতে শক্তির যোগান এলো কোথা থেকে?
উত্তর : নৌকাটিকে গতিশীল করতে শক্তির যোগান এসেছে রাবারব্যান্ডের মধ্যকার স্থিতিশক্তি বা বিভব শক্তি থেকে।
ভেবে দেখো আর কোন কোন ক্ষেত্রে এরকম গতিশক্তি আর স্থিতিশক্তির পারস্পরিক রূপান্তর দেখা যায়?
উত্তর : যেসব ক্ষেত্রে গতিশক্তি ও স্থিতিশক্তির পারস্পরিক রূপান্তর হয়-
ঘটনা :
১. গুলতি মারার ঘটনা-
এখানে গুলতি যখন টানা হয় তখন এর রাবারের মধ্যে স্থিতিশক্তি জমা হয় এবং ছেড়ে দেওয়ার সময় স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
২. কোনো বস্তুকে মাটি থেকে উপরে তুলে ছেড়ে দেওয়া-
কোনো বস্তুকে মাটি থেকে উপরে তোলা হলে তার মধ্যে স্থিতিশক্তি সঞ্চিত হয়। বস্তুটিকে ছেড়ে দিলে তখন স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
৩. স্প্রিংকে সংকুচিত করে ছেড়ে দেওয়া-
স্প্রিংকে যখন সংকুচিত করা হয় তখন স্প্রিংয়ের মধ্যে স্থিতিশক্তি জমা হয়। স্প্রিংকে ছেড়ে দিলে এ স্থিতিশক্তিই পরবর্তীতে গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
এবার নিজেদের খেলনা উদ্ভাবনের পালাঃ
কী ধরনের খেলনা বানাতে চাও সেটা আগে দলের সবাই মিলে ঠিক করো। এরপর খেলনা বানানোর পরিকল্পনা, খসড়া নকশা, উপকরণের তালিকা তৈরি করার পালা। পরিকল্পনা করার সময় দলের সদস্যদের সবাই এককভাবে বা জোড়ায় বসে খেলনার পরিকল্পনা ও নকশা দাঁড় করাও। তুমি একা বা তোমার বন্ধুর সাথে মিলে বসে একটা নকশার পরিকল্পনা করো, তোমাদের আইডিয়াটা নিচের ছকে এঁকে রাখো। কী ধরনের উপকরণ লাগতে পারে তাও আলোচনা করে দেখো এবং ছকের নির্দিষ্ট জায়গায় লিখে রাখো।
ছক-১
পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়ে গেলে নিচের ছকে নকশা এঁকে ফেলো এবং পাশে কী কী উপকরণ লাগবে তার তালিকা করো যাতে পরের সেশনের আগে সব জোগাড় করে ফেলতে পারো
ছক-২
পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশন
দলের সকল সদস্য তাদের তৈরিকৃত খেলনাটি চালিয়ে কীভাবে বিভব শক্তি থেকে গতিশক্তির রূপান্তর হচ্ছে তা ব্যাখ্যা কর। কিভাবে খেলনাটিতে রিসাইক্লিং হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর-গুলতির রাবার যখন টানা হয় তখন রাবারে স্বাভাবিক অবস্থা পরিবর্তন হয়ে বিকৃত হয়ে যায়। রাবার বিকৃত হওয়ার কারণে তার মধ্যে বিভব শক্তি জমা থাকে। রাবার যখন টেনে ছেড়ে দেওয়া হয় তখন এই বিভব শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে মাটির গুলিটি গতি লাভ করে এবং অনেক দূরে গিয়ে পড়ে।
অর্থাৎ শক্তি এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত হয়। এতে শক্তির সৃষ্টি বা ধ্বংস হয় না। এটিই শক্তির নিত্যতা সূত্র।
খেলনাটিতে ফেলনা জিনিস ব্যবহৃত হয়েছে বলে রিসাইক্লিং হয়েছে,অপচয় হয়নি।
বাড়ির কাজঃ
As an Amazon Associate I earn from qualifying purchases.
Leave a Reply