Class 7

সূর্যালোকে রান্না।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর,বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়, সূর্যালোকে রান্না সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

গনগনে রোদে বস্তুকে রাখলে সব বস্তু কি একই রকম গরম হয়ে ওঠে?কোন কোন বস্তু রোদে রাখলে বেশি গরম হয়?

গনগনে রোদে বস্তু রেখে দিলে তা ধীরেধীরে গরম হয়ে উঠে।তবে সববস্তু একইরকমভাবে গরম হয়না।কিছুকিছু বস্তু তাপ দ্রুত  শোষন করে এবং তাপ দ্রুত ছেড়ে দেয়না সেসব বস্তু দ্রুত গরম হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে গরম থাকে।
যেমন – লোহার তৈরি বস্তু(পেরেক,রড়),রঙিন বস্তু, পানি, কাঠ,কাপড়,চামড়ার তৈরি বস্তু,কাঁচের তৈরি বস্তু, এলুমিনিয়াম এবং তামার তৈরি বস্তু,পীতলের হাড়িপাতিল,প্লাস্টিক  ইত্যাদি।

উপরের জিনিসগুলোর (লোহার বস্তু, কাচের বস্তু, পানি, সাদা কাপড় ও রঙিন কাপড়)মধ্যে কোন মিল খুঁজে পাচ্ছ? বস্তুগুলো কী দিয়ে তৈরি, কোন রঙের ইত্যাদি দিকগুলো খেয়াল করে দেখো। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৩৯)

উত্তর : উপরের বস্তুগুলোর মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছি। এগুলো বিভিন্ন ধাতব পদার্থ দ্বারা তৈরি। এদের মধ্যে কোনটি কালো, কোনটি সাদা আবার কোনটি তামাটে।
থার্মোমিটার দিয়ে পাঁচটি পৃথক বস্তুর (লোহার বস্তু, কাচের বস্তু, পানি, সাদা কাপড় ও রঙিন কাপড়) তাপমাত্রা পরিমাপ করো এবং নিচের ছকে লিখে রাখো। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৩৯)

বস্তু

তাপমাত্রা

লোহার বস্তু

২৬°C

কাচের বস্তু

২৪°C

পানি

২৭°C

সাদা কাপড়

২৫°C

রঙিন কাপড়

২৭°C

অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট রোদে রেখে দেওয়ার পর থার্মোমিটার দিয়ে বস্তু পাঁচটির তাপমাত্রা পুনরায় পরিমাপ করো এবং নিচের ছকে দুইবার নেয়া তাপমাত্রার তথ্যই লিখে রাখো।

বস্তুর নাম

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বের তাপমাত্রা

সূর্যের আলোতে রাখার পরের তাপমাত্রা 

মন্তব্য

লোহার বস্তু

২৬° C

৮০° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বে তাপমাত্রা ছিল ২৬°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা ৮০° C হয়েছে

কাচের বস্তু

২৪° C

৭৬° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বে তাপমাত্রা ছিল ২৪°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা হয়েছে ৭৬° C

পানি

২৭° C

৮২° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বেতাপমাত্রা ছিল ২৭°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা হয়েছে ৮২°C

সাদা কাপড়

২৫° C

৭২° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বেতাপমাত্রা ছিল ২৫°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা হয়েছে ৭২°C

রঙিন কাপড়

২৭° C

৭৫° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বেতাপমাত্রা ছিল ২৭°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা হয়েছে ৭৫°C

আগের আর পরের তাপমাত্রার কোন পার্থক্য কি দেখতে পাচ্ছ?

উত্তর: হ্যা, আগের আর পরের তাপমাত্রার পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি।

পার্থক্য থেকে থাকলে কারণ কী হতে পারে?

সূর্য থেকে আসা তাপশক্তি শোষণ করে বস্তুগুলোর অর্থাৎ লোহা, কাচ, পানি এবং কাপড়ের তাপমাত্রা আগের তাপমাত্রা থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতিটি বস্তুর তাপমাত্রার পরিবর্তন কি একইরকম ঘটছে?

লোহার বস্তুগুলো তাপ সুপরিবাহী হওয়ায় অধিক পরিমাণ তাপ গ্রহণ করে অন্যান্য বস্তু থেকে বেশি উত্তপ্ত হয় অন্যদিকে কাচ, পানি, এবং কাপড়ের বস্তুগুলোর তাপ পরিবাহিতা অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় কম পরিমাণ তাপ গ্রহণ করতে পারে ফলে তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কম বৃদ্ধি পায়। বস্তুর তাপমাত্রা রঙের উপরও নির্ভরশীল। সাদা কাপড়ের তাপ ধারণ বা শোষণ ক্ষমতা কম। রঙিন কাপড়ের তাপ বেশি শোষিত হয় এবং ধীরে তাপ ছাড়ে ফলে সাদা কাপড় অপেক্ষা রঙিন কাপড়ের তাপমাত্রা বেশি হয়।

৩য় ও ৪র্থ সেশন

তাপ কী?

তাপ এক ধরনের শক্তি।এই শক্তিটা এসেছে পদার্থের অণু পরমাণুর সম্মিলিত গতিশক্তি বা কম্পন শক্তি থেকে।

তাপ কীভাবে সঞ্চালিত হয়?

তাপ এক ধরনের শক্তি। আমাদের নানা কাজে আমরা এই তাপ শক্তিকে ব্যবহার করি। কোনো কিছু সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হলে সেটাকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিতে হয়। কাজেই তাপ শক্তিকে আমাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিতে হয় কিংবা সঞ্চালন করতে হয়। তিনটি উপায়ে তাপ সঞ্চালিত হয় সেগুলো হচ্ছে- তাপের পরিবহন, পরিচলন এবং বিকিরণ।

তাপমাত্রা কী?

তাপমাত্রা হচ্ছে কোনোকিছু কতটুকু উত্তপ্ত কিংবা কতটুকু শীতল তার একটি পরিমাপ।

তাপের পরিবহন পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

আমরা জানি, কঠিন পদার্থের ক্ষেত্রে তাপ হচ্ছে অণুগুলোর কম্পন। তাই যখন কঠিন পদার্থের এক প্রান্ত উত্তপ্ত করা হয়, তখন সেই প্রান্তের অণুগুলো নিজের জায়গায় থেকেই কাঁপতে থাকে। কঠিন পদার্থের একটি অণুর সঙ্গে অন্য অণু যুক্ত । তাই একটা অণু কাঁপতে থাকলে সেটি তার পাশের অন্য অণুকেও কাঁপাতে শুরু করে। সেই অণুটি তখন তার পাশের অণুকে কাঁপায়। এভাবে কম্পনটি পদার্থের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পরিবাহিত হয়। এটাই তাপের পরিবহন পদ্ধতি।

তাপের পরিচলন বলতে কী বুঝ?

যে পদ্ধতিতে তাপ কোনো পদার্থের অনুগুলো চলাচলের দ্বারা উষ্ণতার অংশ থেকে শীতল অংশে সঞ্চালিত হয় তাকে পরিচলন বলে। এ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে তরল ও বায়বীয় পদার্থগুলোতে এ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়। তাপ গ্রহণ করে পদার্থের উষ্ণ অংশের অণুগুলো শীতল অংশের দিকে প্রবাহিত হয়। এভাবে অণুগুলো স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজ গতির সাহায্যে তাপ সঞ্চালিত করে।

তাপের বিকিরণ বলতে কী বুঝ?

আমরা যদি জ্বলন্ত আগুনের পাশে দাড়ায়, তখন এক ধরনের তাপ অনুভব করি। এই তাপটি পরিবহনের মাধ্যমে আসেনি, পরিচলনের মাধ্যমেও আসেনি। আমরা যখন রোদে দাঁড়াই, তখন যে তাপ অনুভব করি, সেই তাপও পরিবহন কিংবা পরিচলন পদ্ধতিতে সূর্য থেকে পৌঁছায়নি, এই তাপ সঞ্চালনের পদ্ধতির নাম বিকিরণ। এ পদ্ধতিতে তাপ কোনো প্রকার মাধ্যম ছাড়াই সঞ্চালিত হয়।

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশন

সৌরচুল্লী বানানোর প্রক্রিয়া বর্ণনা কর । (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪১)

সৌরচুল্লী বানানোর প্রক্রিয়া-
  • তুমি যে বাক্সটি নিয়েছো সেটির উপরের ঢাকনাটা কেটে আলাদা করে নাও যাতে এর মোট ৫টি তল থাকে।
  • এবার বাক্সটির ভেতরের অংশে প্রতিটি তলের দৈর্ঘ্য ও প্রশ্ন মেপে সমান করে ককশীট বা শোলা কেটে নাও।
  • শোলার উপরে আঠা দিয়ে পেছন দিক থেকে পিন ফুটিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার অথবা র্যাপিং পেপারের উল্টা দিকের চকচকে তলটা এমনভাবে লাগাও যাতে সেটি যথেষ্ট মসৃণ হয়।
  • এবার নিচের তলটাকে বাক্সের ভেতরে আগে বসিয়ে দিয়ে চারপাশের তলের টুকরোগুলো স্কচটেপ অথবা আঠা দিয়ে লাগিয়ে ফেলো।
  • এখন উপরের প্রতিফলক বানানোর জন্য বাক্সের উপরের তলের কেটে রাখা টুকরোতে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল (অথবা তোমাদের বেছে নেয়া র‍্যাপিং পেপারের উল্টো দিকের চকচকে তল) সাঁটিয়ে নিয়ে এটাকে এমনভাবে বাক্সের উপরে স্থাপন করো যাতে এটা মোটামুটি ৬০° কোণে হেলে থেকে এর তলে প্রতিফলিত হওয়া আলোকরশ্মি বাক্সের মধ্যে গিয়ে পরে।
  • তোমার সৌর চুলা বানানো প্রায় শেষ। চুলাটা ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা পরীক্ষা করতে এটাকে সূর্যের নিচে নিয়ে ভেতরে একটা অ্যালুমিনিয়ামের বাটিতে ডিম ভেঙে নিয়ে বাটিটি ভেতরে রাখো।
  • বাক্সটির খোলা তলের উপর এবার একটা ঢাকনা বসাতে হবে, বাক্সের মাপের একটা ঢাকনা বানিয়ে নাও। ঢাকনার চারদিকে কার্ডবোর্ডের অংশ বাদ রেখে ভেতরে অংশ কেটে বের করে নাও। এই ফাঁকা স্থান কাঁচ অথবা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে আটকে দাও যাতে ঢাকনা বন্ধ করার পরেও এই স্বচ্ছ মাধ্যমের ভেতর দিয়ে সূর্যের আলো বাক্সের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। এই কাঁচ বা পলিথিনের ঢাকনা যাতে খুলতে বা আটকাতে সুবিধা হয় সেজন্য স্কচটেপ আর কাগজ দিয়ে একটা কব্জার মতো বানিয়ে নাও।
এবার তোমাদের নিজেদের সৌরচুল্লি বানানোর পালা। তোমার দলের সবাই মিলে আলোচনা করে ঠিক করো কোন কোন উপকরণ তোমাদের এলাকায় সহজলভ্য, বিনা খরচেই যেগুলো জোগাড় করা সম্ভব। এবার তোমরা কোন কোন উপকরণ ব্যবহার করবে তার তালিকা নিচে লিখে রাখো- (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৩)
সৌরচুল্লি বানানোর উপকরণের নাম :
১. কার্টুন বাক্স
২. অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার
৩. স্টিলের বাটি
৪. শোলা/ককশীট
৫. কাঁচ
৬. স্কচটেপ
৭. আঠা
৮. কাঠি
৯. থার্মোমিটার (সেলসিয়াস স্কেলের)
১০. পিন
১১. প্লাই বোর্ড
১২. পেরেক ইত্যাদি

তোমার দলের বানানো সৌরচুল্লীর একটি ছবি নিচের ফাঁকা জায়গায় এঁকে রাখো। আর পাশে কী কী উপকরণ ব্যবহার করলে তার তালিকে টুকে রাখো।

সৌরচুল্লী তৈরির উপকরণগুলোর কোনটা কেন ব্যবহার করা হয়েছে বলতে পারো? সৌরচুল্লীকে কার্যকর করতে এই উপকরণগুলো কেন বেছে নেয়া হল? এই বিষয়ে তোমাদের মতামত কী? দলে বসে আলোচনা কর এবং নিচের ছকে লিখে রাখো।

উপকরণের নাম

উপকরণ নির্বাচনের কারণ

ফ্লাইবোর্ড/কাঠ বোর্ড

এটি টেকসই, সহজেই নষ্ট হয় না ফলে অনেক দিন ব্যবহার করা যায়।

ককসিট

ফ্লাইবোর্ডকে তাপ থেকে মুক্ত রাখে।

অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার

এটির ফলে ভেতরের তাপমাত্রা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি
পায়।

পেরেক

ফ্লাইবোর্ড গুলোকে একে অপরের সাথে আটকিয়ে রাখতে
সাহায্য করে।

কাচের পাত

কাচের পাত দেওয়ার কারণে তাপ বাহিরে যেতে পারে না।

আঠা

করুসেট এবং অ্যালুমিনিয়াম পেপার লাগানোর জন্য কাজে
লাগে।

আয়না

সূর্যের আলোর প্রতিফলেন সাহায্য করে।

হাতল

সৌরচুল্লী যেকোন জায়গায় বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

কব্জা

সৌরচুল্লীকে সহজেই উঠানো এবং নামানো যায়।

বাইসাইকেল স্পোক

সৌরচুল্লী খোলা রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়।

অন্য দলগুলোর ক্ষেত্রে চুল্লীর ভেতরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত ছিল?কোন দলের ডিম সেদ্ধ হতে সময় বেশি লেগেছে?তোমাদের চুল্লীর পরিকল্পনায় কোন পরিবর্তন আনলে কি আলো ভালোভাবে কাজ হতো?

অন্যদলগুলোর মধ্যে  শাপলা দলের চুল্লীর ভিতরে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ  ৯০° C ছিল।
গোলাপ দলের ডিম সেদ্ধ হতে বেশি সময় লেগেছে।
তুলনামুলক পর্যালোচনা করে দেখলাম আমাদের চুল্লী তৈরীর কাজে ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের পরিবর্তে অবতল দর্পন ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো হত। ইন্টারনেট এবং শিক্ষকের মাধ্যমে জেনেছি অবতল দর্পন আলোকরশ্মিকে একটি বিন্দুতে মিলিত করতে পারে।  এই এক বিন্দুতে আলোকরশ্মি মিলিত হলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। এই তাপের মাধ্যমে আগুনও ধরানো যায়। এছাড়া স্টীলের বাটির পরিবর্তে অ্যালুমিনিয়ামের বাটি ব্যবহার করলেও ভালো হত। এতে পাত্রটি দ্রুত গরম হয়ে উঠত।

সপ্তম ও অষ্ট্ম সেশন

আধা ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করে দেখো চুলার মধ্যে তাপমাত্রা ও ডিমে কোনো পরিবর্তন হয় কি না।

সময়

০ মিনিট

৫ মিনিট

১০ মিনিট

১৫ মিনিট

২০ মিনিট

২৫ মিনিট

৩০ মিনিট

তাপমাত্রা (°সেলসিয়াস)

পরিবর্তন হয়নি।

°C

১৬°C

৩৭°C

৪৮°C

৬৪°C

৮০°C

শক্তির কোন কোন রুপ লক্ষ্য করেছ?

শক্তি কোথা থেকে কোথায় স্থানান্তরিত হয়েছ?

কোন কোন ক্ষেত্রে শক্তির কোন একটি রুপ থেকে অন্য রুপে রুপান্তরিত
হয়েছে?

তাপশক্তি

সূর্যের আলোকশক্তি তাপশক্তিতে স্থানান্তর

চুল্লীর ফয়েল পেপারে দীর্ঘক্ষণ সূর্যালোক পড়লে তা তাপশক্তিতে রুপান্তরিত হয়

রাসায়নিক শক্তি

তাপশক্তি  থেকে রাসায়নিক শক্তি

তাপশক্তির মাধ্যমে ডিমটি সিদ্ধ হয় এবং প্রোটিন অংশকে রাসায়নিকভাবে পরিবর্তন
করে

শব্দশক্তি

তাপশক্তি থেকে শব্দশক্তি

তাপশক্তির প্রয়োগে ডিম ভাজার শব্দ শোনা যায়, শব্দশক্তিতে রুপানরিত হয়



অভিজ্ঞতার কাজগুলো করতে তোমাদের কেমন লেগেছে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৭)

অভিজ্ঞতার কাজগুলো করতে আমাদের বেশ মজা লেগেছে। নিজেদেরকে ইঞ্জিনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার মনে হয়েছে। আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আরো চেষ্টা করলে বেশ ভালোমানের সৌরচুল্লি তৈরি করতে পারব। বাসাবাড়িতে এ সৌরচুল্লি ব্যবহার করে আমরা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের উপর চাপ কমাতে পারব।

সৌরচুলা পরিবেশ রক্ষায় কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৭)

সৌরচুলায় রান্না করতে গ্যাস বা তেলের প্রয়োজন হয়নি। এমনকি এতে বিদ্যুতের প্রয়োজনও হয়নি। তেল, গ্যাস বা বিদ্যুৎ ব্যবহার না করায় এতে কোনো কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়নি। ফলে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়নি। এছাড়া এতে কোনো ধোঁয়া সৃষ্টি না হওয়ায় বায়ুদূষণ রোধ হয়েছে। এভাবে সৌরচুলা পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে।

কোন কাজটি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে? চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবেলা করেছ? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৮)

নিজেরা একটি সৌরচুলা বানাবো প্রথমে একথাটি বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। এরপর যখন চুলা তৈরির উপকরণগুলো সবাই মিলে সংগ্রহ করে একটু একটু করে বানাতে লাগলাম তখন খুব ভালো লেগেছে। ‘দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করেছি। শিক্ষকসহ আমাদের দলের সবার সহযোগিতামূলক আচরণও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করেছে।

As an Amazon Associate I earn from qualifying purchases.

veg_admin

Share
Published by
veg_admin
Tags: অন্য দলগুলোর ক্ষেত্রে চুল্লীর ভেতরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত ছিল?কোন দলের ডিম সেদ্ধ হতে সময় বেশি লেগেছে?গনগনে রোদে বস্তুকে রাখলে সব বস্তু কি একই রকম গরম হয়ে ওঠে?কোন কোন বস্তু রোদে রাখলে বেশি গরম হয়?তাপ ও তাপমাত্রাতাপ কীভাবে সঞ্চালিত হয়?তাপ সঞ্চালনতাপমাত্রার স্কেলতাপের পরিচলন বলতে কী বুঝ?তাপের পরিবহন পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।তাপের বিকিরণ বলতে কী বুঝ?তোমাদের চুল্লীর পরিকল্পনায় কোন পরিবর্তন আনলে কি আলো ভালোভাবে কাজ হতো?পদার্থের অবস্থার পরিবর্তনে তাপের প্রবাহসূর্যালোকে রান্নাসৌরচুলা পরিবেশ রক্ষায় কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?সৌরচুল্লী বানানোর প্রক্রিয়া বর্ণনা কর ।

Recent Posts

রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

আমরা ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান-অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়ে আলোচিত "রোধ, জল, বৃষ্টি"-শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন…

4 weeks ago

গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয়ের ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা গতির খেলা  সম্পর্কে। প্রথম, দ্বিতীয় ও…

4 weeks ago

ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৭ম অধ্যায়,ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম  সম্পর্কে জানবো। প্রথম ও…

4 weeks ago

হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়,হরেক রকম খেলনার মেলা  সম্পর্কে জানবো।প্রথম…

4 weeks ago

অদৃশ্য প্রতিবেশী।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৫ম অধ্যায়, অদৃশ্য প্রতিবেশী  সম্পর্কে জানবো।সেশন শুরুর…

1 month ago

সবুজ বন্ধু ২০২৪ । বিজ্ঞান-অনুশীলন বই । ৮ম শ্রেনী

এই পোস্টে আমরা অষ্টম  শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা– সবুজ বন্ধু- সম্পর্কে জানবো।প্রথম ও…

1 month ago