Class 7

রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

আমরা ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান-অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়ে আলোচিত “রোধ, জল, বৃষ্টি“-শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গতি, বেগের পরিমাপ , ত্বরণ, বল, ঘর্ষণ বল ইত্যাদি সম্পর্কে জানবো

প্রথম সেশনঃ

কাজের ধারা-১
আমার প্রিয় দিন কোনটি তা ভাবি এবং ঐ দিনের একটি ছবি আঁকি।
বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে দেখি আমার প্রিয় দিনের সাথে তাদের প্রিয় দিন মিলে যায় কিনা।
কাজের ধারা-২
এক সপ্তাহ বাসায় কাজ করি
এক সপ্তাহ একটু খেয়াল করে দেখি আমাদের আবহাওয়া কীভাবে দিনের বিভিন্ন সময়ে পাল্টাতে থাকে! খোলা পরিবেশে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে ছক-১ এ পর্যবেক্ষণের সময়, তাপমাত্রার ধারণা, গরমের অনুভূতি কেমন, আকাশের অবস্থা, বৃষ্টির সম্ভাবনা ইত্যাদি সম্পর্কে মন্তব্য লিখে রাখি।
ছক-১

তারিখ ও বার

যেভাবে আবহাওয়া বুঝি, যেমন আকাশের রঙ,রোধ,বৃষ্টি,গরম,বাতাসের
গতি,ইত্যাদির নোট রাখো নিচের সময়গুলোতে

সকাল  ৭ টা

দুপুর ১ টা

বিকেল ৪ টা

সন্ধ্যা ৬ টা

রাত  ৯ টা

১/৫/২৩ সোমবার

রোদ্রজ্জ্বল,মৃদু
শীতল বাতাস

কিছুটা মেঘলা,
বেশ বাতাস বইছে

রোদ্রোজ্জ্বল,
বাতাসের গতি কিছুটা কম

পরিষ্কার
আকাশ,বেশ আর্দ্র,শীতল বাতাস

পরিষ্কার
আকাশ, আর্দ্রতা আরো বেড়েছে,বাতাসের গতি সামান্য কমেছে

২/৫/২৩ মঙ্গলবার

রোদ্রোজ্জ্বল,মৃদু
শীতল বাতাস,বেশ আর্দ্র

রোদ্রোজ্জ্বল,
কিছুটা ঠান্ডা বাতাস বইছে

রোদ্রোজ্জ্বল,
বাতাসের গতি কিছুটা কম,ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে

পরিষ্কার
আকাশ,বেশ আর্দ্র,শীতল বাতাস

পরিষ্কার
আকাশ, আর্দ্রতা আরো বেড়েছে,বাতাসের গতি সামান্য কমেছে

৩/৫/২৩ বুধবার

রোদ্রজ্জ্বল,মৃদু
শীতল বাতাস

আকাশ হালকা
মেহে ডাকা, গরম

মেঘে ঢাকা,
বাতাস নেই

মেঘে ঢাকা আকাশ,শীতল
বাতাস

আকাশ মেঘে ঢাকা,বাতাসের
গতি দৃঢ়

৪/৫/২৩ বৃহস্পতিবার

হালকা রোদ,
আর্দ্রতা বেশী

মেঘাচ্ছন্ন
আকাশ, হালকা বাতাস

বৃষ্টি,বাতাস
বইছে

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি,
শীতল বাতাস

আকাশে মেঘ
নেই,বাতাসের গতি কমেছে

৫/৫/২৩ শুক্রবার

মেঘে ঢাকা
আকাশ, হালকা বাতাস

বাতাস নেঈ, অন্ধকার
আকাশ

ভীষণ অন্ধকার,বাতাস
নেই,বৃষ্টি

বৃষ্টি, হালকা
বাতাস

আকাশে হালকা
মেঘ, বাতাস বইছে

৬/৫/২৩ শনিবার

রোদ উঠেছে,
বাতাস নেই

রোদ্রোজ্জ্বল,
বাতাস নেই

রোদ্রোজ্জ্বল,
হালকা মেঘ

পরিচ্ছন্ন
আকাশ,বাতাস নেই

আকাশে মেঘ
নেই,বাতাসের গতি কমেছে

৭/৫/২৩ রবিবার

রোদ উঠেছে,
বাতাস নেই

ঘনমেঘে ঢাকা,গরম

ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে
অবস্থা

বজ্রসহ বৃষ্টি

বৃষ্টি, ধীরগতির
বাতাস বইছে

রেডিও ও টেলিভিশনের খবর এবং পত্রিকা থেকেও এই এক সপ্তাহের আবহাওয়ার বিভিন্ন তথ্য নিচের ছক-২ এ নোট করি।

ছক-২

তারিখ ও বার

তথ্যের উৎস রেডিও/টেলিভিশিন/পত্রিকা ইত্যাদি

তাপমাত্রা

বায়ুর আর্দ্রতা

আকাশের অবস্থা

ঘূর্ণিঝড়/বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

মন্তব্য

১/৫/২৩ সোমবার

পত্রিকা

২৯° সে.

৭০%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

নেই

সুন্দর দিন

২/৫/২৩ মঙ্গলবার

পত্রিকা

২৮.৫° সে.

৯২%

মেঘাচ্ছন্ন

আছে

মেঘলা আকাশ,
স্যাঁতস্যাঁতে

৩/৫/২৩ বুধবার

পত্রিকা

২৯° সে.

৭২%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

নেই

সুন্দর দিন

৪/৫/২৩ বৃহস্পতিবার

পত্রিকা

৩০° সে.

৮৫%

মেঘে ঢাকা
সূর্য

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

ঠান্ডা আবহাওয়া

৫/৫/২৩ শুক্রবার

পত্রিকা

৩০° সে.

৯৩%

মেঘে ঢাকা
সূর্য

ভারি বর্ষন

সুন্দর দিন

৬/৫/২৩ শনিবার

পত্রিকা

৩০° সে.

৭৫%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

বৃষ্টির কোনো
সম্ভাবনা নেই

সুন্দর দিন

৭/৫/২৩ রবিবার

পত্রিকা

৩০.৫° সে.

৯৩%

ঘন মেঘে ঢাকা
আকাশ

বজ্রপাতসহ বৃষ্টি

বেশ শীতল আবহাওয়া

প্রাসঙ্গিক কিছু প্রশ্নঃ

দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে আবহাওয়া কী একই রকম থাকে? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কোনো এলাকার স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলের সার্বিক অবস্থাকে সে এলাকার আবহাওয়া বলে। সাধারণত দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে আবহাওয়া একই রকম থাকে না। কারণ আবহাওয়া মূলত বায়ুচাপ, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আর্দ্রতার পার্থক্যের কারণে ঘটে। সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা ও রাতে সূর্যের তাপমাত্রা একই রকম থাকে না। এই কারণে আর্দ্রতা ও বায়ুমণ্ডলীয় চাপের পরিবর্তন ঘটে। তাই  আবহাওয়াও একই রকম থাকে না।
প্রশ্ন-২: দিনের কোন সময়ের আকাশ তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের?
উত্তর: সকাল বেলার আকাশ আমার কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের।  খুব সকালে সূর্যের তাপ কম থাকে এবং সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি পৃথিবীতে পৌছায় না। সকালের বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণা তেমন থাকে না। এই কারণে আমরা বায়ুমণ্ডলে থেকে পরিষ্কার অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারি।
সকালের বায়ুমণ্ডল দূষণমুক্ত থাকে। আর দূষণযুক্ত থাকলেও অতি অল্প পরিমাণে থাকে। দূষণমুক্ত থাকে বলেই আমরা সকালের আকাশ অনেক পরিষ্কার ও স্বচ্ছ দেখতে পাই। এসব কারণে সকালের আকাশ আমার কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের।
প্রশ্ন-৩: দিনের আকাশে তোমরা কী কী পরিবর্তন দেখতে পাও?
উত্তর: দিনের আকাশে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখতে পাই। তা নিম্নে দেওয়া হলো-
i. তাপমাত্রার পার্থক্য হয়।
ii. কখনো রোদ, কখনো মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ বা অন্ধকার আকাশ দেখতে পাই।
iii. কখনো কখনো বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত হতে দেখতে পাই।
iv. কোনো কোনো দিন  সূর্যগ্রহণের মতো ঘটনা লক্ষ করা যায়।
প্রশ্ন-৪: আবহাওয়া কী কী কারণে দিনের বিভিন্ন সময়ে পাল্টাতে থাকে?
উত্তর: আবহাওয়া যেসব কারণে দিনের বিভিন্ন সময়ে পাল্টাতে থাকে তা নিম্নে দেওয়া হলো-
i. সূর্যালোকের প্রভাবে।
ii. বৃষ্টিপাতের কারণে।
iii. বায়ুর চাপের তারতম্যের কারণে।
iv. বাতাসের আর্দ্রতার পার্থক্যের কারণে।
v. নির্দিষ্ট স্থানে বিভিন্ন সময়ে সূর্যরশ্মির আপতিত হবার কোণের ভিন্নতার কারণে।
vi. বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণের ভিন্নতার কারণে।
প্রশ্ন-৫. দিনের বিভিন্ন সময় তাপমাত্রার কীরূপ পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর: দিনের বিভিন্ন সময়ে তাপমাত্রা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধি শুরু হয়। সময় যত গড়াতে থাকে, রোদের প্রভাবে তাপমাত্রা তত বাড়তে থাকে, গরমের অনুভূতিও বৃদ্ধি পায়। সূর্যাস্ত হবার পরে তাপমাত্রা ধীরেধীরে   কমতে শুরু করে। এই সময়ে পৃথিবীপৃষ্ঠ সারাদিনের শোষিত তাপ বিকিরণ করা শুরু করে বলে তাপমাত্রার পরিবর্তন একটু ধীরগতির হয়, গরমের অনুভূতিও ধীরে ধীরে কমতে থাকে। দেখা যায় যে মধ্যরাতে বা ভোররাতে গরমের অনুভূতি কম, ঠান্ডার অনুভূতি বেশি হয়। এভাবে দিনের বিভিন্ন সময় তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে।
প্রশ্ন-৬. আবহাওয়ার খবর পরিবেশন করার সময় সাধারণত কোন তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়ে থাকে?
উত্তর: কোনো স্থানের আবহাওয়ার খবর পরিবেশন করতে হলে সাধারণত সাতটি তথ্য উপস্থাপন করা হয়। যথা: কোনো অঞ্চলের বায়ুচাপ তথা ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা, পরবর্তী দিনের তাপমাত্রার পূর্বাভাস, বাতাসের গতি ও দিক, আপেক্ষিক আর্দ্রতা, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনঃ

পরীক্ষার নাম: বায়ু প্রবাহের দিক নির্ণয়( উইন্ডভেন তৈরি)

প্রয়োজনীয় সামগ্রী: কাগজ, কলম, অনুশীলন বই, অনুসন্ধানী পাঠ, পরীক্ষণ সামগ্রী (পরীক্ষণ কার্যক্রমের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে)।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

  • শক্ত বাঁশের কঞ্চি
  • পিন বা লৌহ শলাকা
  • প্লাস্টিকের শক্ত স্ট্র বা পাইপ
  • শক্ত কাগজ বা কাগজের পাতলা কার্ডবোর্ড
  • ছুরি

কার্যপ্রণালিঃ

  • শক্ত বাঁশের কঞ্চিকে মসৃণ করে কেটে নিই। চিকন লম্বা কাঠির মতো করে এর শীর্ষে বা মাথায় একটি লম্বা, সৰ্ব পিন প্রবেশ করাই।
  • পিন কাঠির ভিতরে প্রবেশ করানোর পূর্বে শত্রু প্লাস্টিকের পাইপ আড়াআড়ি শলাকায় গেঁথে দিই।
  • প্লাস্টিকের পাইপের এক মাথায় শক্ত কাগজ বা কাগজের পাতলা কার্ডবোর্ড কেটে দিক নির্দেশক তীর যুক্ত করি।
  • এবার কোনো উঁচু বিল্ডিং এর খোলা ছাদে অথবা বিস্তৃত খোলা মাঠে তৈরি করা (উইন্ডভেন) বাঁশের কঞ্চিটি পুঁতে দিই। দেখা যাবে বাতাস যেদিকে বইছে তীর চিহ্ন সেদিকে মুখ করে আছে।

সতর্কতা: প্লাস্টিকের পাইপটি যাতে খুব সহজেই ঘুরতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখি।

 

পরীক্ষার নাম: বায়ুচাপের পরীক্ষা

তত্ত্ব: ভূপৃষ্ঠের উপরস্থ যেকোনো বস্তু বা স্থানের উপর বায়ুমণ্ডল একক ক্ষেত্রফলে যে চাপ প্রয়োগ করে সেটাই বায়ুচাপ।
উপকরণ: গ্লাস, পানি, শক্ত কাগজ বা কাগজের কার্ডবোর্ড।

কার্যপ্রণালিঃ

i. একটি গ্লাস কানায় কানায় পানি দিয়ে পূর্ণ করি।’
ii. গ্লাসের মুখের উপর একটি শক্ত কাগজ বা কাগজের কার্ডবোর্ড আটকাই বা হাত দিয়ে চেপে ধরি।
iii. এবার দ্রুততার সাথে গ্লাসটি উল্টাই।
পর্যবেক্ষণ: পানিসহ গ্লাসটি উল্টে থাকা সত্ত্বেও পানি পড়ছে না।
সিদ্ধান্ত: বায়ু সবদিক থেকে সমান চাপ দেয়।
বায়ুর তাপমাত্রা কী?
উত্তর: বায়ুর উষ্ণতার পরিমাপকে বায়ুর তাপমাত্রা বলা হয়।
বায়ুপ্রবাহ কী?
উত্তর: চাপের পার্থক্যের জন্য বায়ু সর্বদা উচ্চ চাপের স্থান থেকে নিম্নচাপের স্থানে প্রবাহিত হয়। ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে বায়ুর এ চলাচলকে বায়ুপ্রবাহ বলে।
প্রশ্ন-৩. বায়ুচাপ কী?
উত্তর: ভূপৃষ্ঠের উপরস্থ যেকোনো বস্তু বা স্থানের উপর বায়ুমণ্ডল একক ক্ষেত্রফলে যে চাপ প্রয়োগ করে তা-ই হলো বায়ুচাপ।
প্রশ্ন-৪. বায়ু প্রবাহের দিক কীসের সাহায্যে নির্ণয় করা যায়?
উত্তর: উইন্ড ভেন যন্ত্রের সাহায্যে।
বায়ুর আর্দ্রতা কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো স্থানের বায়ুর একক আয়তনে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণকে ঐ স্থানের বায়ুর আর্দ্রতা বলে।
প্রশ্ন-৬. বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কোনো স্থানের একক ক্ষেত্রফলে নির্দিষ্ট  সময়ে (সাধারণত ২৪ ঘণ্টা) সংগৃহীত বৃষ্টির পানির উচ্চতাকে ঐ স্থানের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বলা হয়।

চতুর্থ ও পঞ্চম সেশনঃ

গত এক সপ্তাহের আবহাওয়ার তথ্যগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করি। এ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্যাটার্ন বোঝার চেষ্টা করি।

এই প্যাটার্ন অনুসারে পরবর্তী এক সপ্তাহের আবহাওয়ার পূর্বাভাস তৈরি করি।

তৈরি করা আবহাওয়ার পূর্বাভাসের সারসংক্ষেপ অনুশীলন বইয়ের নির্দিষ্ট ছকে টুকে রাখি।

তারিখ ও বার

তাপমাত্রা

বায়ুর আর্দ্রতা

আকাশের অবস্থা

ঘূর্ণিঝড়/বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

মন্তব্য

৮/৫/২৩ সোমবার

৩০.৫° সে.

৭০%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

নেই

গরম অনুভূত হতে পারে

৯/৫/২৩ মঙ্গলবার

৩১° সে.

৯২%

মেঘাচ্ছন্ন

আছে

মেঘলা আকাশ,
স্যাঁতস্যাঁতে,বৃষ্টি হতে পারে

১০/৫/২৩ বুধবার

৩১° সে.

৭২%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

নেই

সুন্দর দিন,গরম অনুভূত হতে পারে

১১/৫/২৩ বৃহস্পতিবার

৩১.৫° সে.

৮৫%

মেঘে ঢাকা
সূর্য

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

ঠান্ডা আবহাওয়া,তাপমাত্রা কমে যেতে পারে

১২/৫/২৩ শুক্রবার

২৯° সে.

৯৩%

মেঘে ঢাকা
সূর্য

ভারি বর্ষন

সুন্দর দিন,তাপমাত্রা কমে যেতে পারে

১৩/৫/২৩ শনিবার

৩০° সে.

৭৫%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

বৃষ্টির কোনো
সম্ভাবনা নেই

সুন্দর দিন, ,গরম অনুভূত হতে পারে

১৪/৫/২৩ রবিবার

২৮.৫° সে.

৯৩%

ঘন মেঘে ঢাকা
আকাশ

বজ্রপাতসহ বৃষ্টি

বেশ শীতল আবহাওয়া,তাপমাত্রা কমে যেতে পারে

১. আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের একটি নির্দিষ্ট সময় পর আবহাওয়ার অবস্থা কীরূপ হতে পারে তা অনুমান করাকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলে।

প্রশ্ন-২. আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আবহাওয়ার পূর্বাভাস কীভাবে সাহায্য করে?

উত্তর: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আবহাওয়ার পূর্বাভাস নানাভাবে সাহায্য করে। যেমন-
i. কোন দিন কেমন ধরনের কাপড় পরা আরামদায়ক হবে তা জানতে পারি।
ii. বাইরে বের হতে হলে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি।
iii. আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী জেলেরা মাছ ধরার প্রস্তুতি নেয়।
iv. আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান ও আকাশ যান চলাচল করে।
এভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মকে প্রভাবিত করে।

ষষ্ঠ,সপ্তম ও অষ্টম সেশনঃ

 

সেলসিয়াস স্কেলে পাঁচ বছরের গড় তাপমাত্রা

বিশ শতকের শুরুতে

বিশ শতকের মাঝামাঝি

একবিংশ শতকের
শুরুতে

বাংলাদেশ

২৫.০১ ডিগ্রি

২৫.১৭ ডিগ্রি

২৫.৭২ ডিগ্রি

মালদ্বীপ

২৭.৬৩ ডিগ্রি

২৭.৫৪ ডিগ্রি

২৭.৮৫ ডিগ্রি

আইসল্যান্ড

১.২২ ডিগ্রি

১.৭২ ডিগ্রি

২.২৮ ডিগ্রি

এই তিনটি দেশের আবহাওয়া সময়ের সাথে পরিবর্তন ঘটেছে কি না

হ্য, তিনটি দেশের আবহাওয়া সময়ের সাথে পরিবর্তন ঘটেছে।

পরিবর্তনের মধ্যে কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছ কি না

তিনটি দেশের গড় তাপমাত্রা সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে

জলবায়ু পরিবর্তনের বড় নির্দেশক হলো তাপমাত্রার পরিবর্তন। এখন তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণ এবং বায়ুমণ্ডলের তাপ ধরে রাখার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে একটি পরীক্ষা করি।

পরীক্ষার নাম: গ্রিনহাউস ইফেক্টের কারণ অনুসন্ধান।

উপকরণ: তিনটি ঢাকনাসহ কাচের জার/ কাচের বোতল, তিনটি থার্মোমিটার (থার্মোমিটারটি যেন কাচের জার বা কাচের বোতলে প্রবেশ করানো যায়।)
কার্যক্রম-১:
কার্যপ্রণালি: তিনটি কাচের জার পরিষ্কার করে খোলা স্থানে সূর্যালোকে (রোদে) রেখে সেলসিয়াস থার্মোমিটার দিয়ে জারের ভিতরের বায়ুর তাপমাত্রা মেপে নিই। এরপর তিনটি জারের ভিতরের বায়ুর তাপমাত্রার ছকে নোট করি।

 

তাপমাত্রা

প্রথম জার

৩১.৪ ডিগ্রি

দ্বিতীয় জার

৩২.৫ ডিগ্রি

তৃতীয় জার

৩২.৪ ডিগ্রি

তিনটি জারকেই আধাঘণ্টা রোদে রেখে দাও। আধাঘণ্টা পরে তিনটি জারেরই ভেতরে থাকা থার্মোমিটারের তাপমাত্রার মান রেকর্ড করো নিচের ছকে-

 

আধাঘন্টা পর তাপমাত্রা

প্রথম জার

৩১.৪ ডিগ্রি

দ্বিতীয় জার

৩৫.৬ ডিগ্রি

তৃতীয় জার

৩৭.৪ ডিগ্রি

 

আধাঘন্টা পর তাপমাত্রা

পরিবর্তন হয়ে থাকলে তার কারণ কী?

প্রথম জার

৩১.৪ ডিগ্রি

প্রথম জারের মুখ খোলা থাকায় তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

দ্বিতীয় জার

৩৫.৬ ডিগ্রি

সূর্যালোক যখন জারের মধ্যে প্রবেশ করে তখন তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট  থাকে এবং তা প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় তরঙ্গদৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়, ফলে জারের দেওয়াল অতিক্রম করার সময় বাধার সম্মুখীন হয় এবং পুনরায় ফিরে এসে জারের ভিতরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কারণে প্রথম জার অপেক্ষা দ্বিতীয় জারের তাপমাত্রা বেশি হয়।এক্ষেত্রে গ্রিনহাউজ প্রক্রিয়া ঘটে।

তৃতীয় জার

৩৭.৪ ডিগ্রি

তৃতীয় জারের মুখও বন্ধ থাকায় দ্বিতীয় জারের মতো গ্রিনহাউস প্রক্রিয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি ভেজা টিস্যু থেকে নির্গত জলীয় বাষ্প তাপ ধারণ করে গ্রিনহাউস গ্যাসের ন্যায় কাজ করায় এক্ষেত্রে তাপমাত্রা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

মানুষের যেসব কাজের জন্য গ্রিনহাউস গ্যাস বেড়ে যায় স্কুলে বা বাড়িতে আসা যাওয়ার পথে সেগুলো খেয়াল করি।গ্রিনহাউজ গ্যাস বৃদ্ধির সাথে এসব কাজের সম্পর্ক অনুশীলন বইয়ের নির্দিষ্ট ছকে লিখে ফেলি।

আমরা এমন কী কী করছি যাতে বাতাসে গ্রিনহাউজ গ্যাস বেড়ে যায়?

এই কাজের সাথে গ্রিন হাউস গ্যাস বাড়ার সম্পর্ক কী?

বৃক্ষনিধন ও বন উজাড়

এর ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে

অতিরিক্ত জ্বালানী (তেল/গ্যাস/কয়লা) পোড়ানো

এর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড ও নাইট্রাস অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে

কৃষি জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার

নাইট্রোজেন যুক্ত সার নাইট্রাস অক্সাইডে পরিণত হয়ে বাতাসে ছড়িয়ে পরে

রেফ্রিজারেটর/এসি/ফোমের ব্যবহার

এই যন্ত্রপাতিগুলো থেকে CFC গ্যাস নির্গত হয় যা গ্রিনহাউস ইফেক্ট তৈরী করে কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় ২৩০০০ গুণ বেশি

জৈব বস্তুর পচনে বায়ুমন্ডলে মিথেন গ্যাস নির্গত হওয়া

উদ্ভিদ ও প্রাণীর তথা জৈব বস্তুর পচনে নির্গত মিথেন গ্যাস গ্রিনহাউস ইফেক্ট তৈরী করে

বাড়ির কাজঃ

পানির ফোটা দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরের অবস্থা

অ্যাসিড/ভিনেগার/লেবুর রসের ফোঁটা দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরের অবস্থা

পাতার রঙ একই রকম আছে

পাতাটি বিবর্ণ হয়ে গেছে

কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্নঃ

জলবায়ু কী?
কোন এলাকার একটি লম্বা, নির্দিষ্ট সময়ের গড় আবহাওয়াকে ঐ এলাকার জলবায়ু বলে। তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত জলবায়ু বিষয়ে জানার প্রধান দুইটি উপাদান।

প্রশ্ন-২. পৃথিবীজুড়ে জলবায়ুর পরিবর্তনের পক্ষে প্রমাণ কী?
উত্তর: পৃথিবীজুড়ে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রধানত দুটি নির্দেশক রয়েছে।- যথা: গড় তাপমাত্রা ও গড় বৃষ্টিপাত। বিভিন্ন সময়ের পৃথিবীব্যাপী গড় তাপমাত্রা ও গড় বৃষ্টিপাত পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে পৃথিবীর সর্বত্র তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে বৃষ্টিপ্রবণ এলাকাগুলোতে অতিবৃষ্টি এবং খরাপ্রবণ এলাকাগুলোতে তীব্র খরা দেখা যাচ্ছে। এ সকল তথ্য উপাত্ত থেকে পৃথিবীজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের পক্ষে প্রমাণ উত্থাপন করা যায়।

প্রশ্ন-৩. গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর নাম লেখো।
উত্তর: জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) মিথেন (CH4) নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O), ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন ওজোন গ্যাস (O3) , ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC)। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে কার্বন ডাইঅক্সাইড এর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

প্রশ্ন-৪. গ্রিনহাউস ইফেক্ট কী?
উত্তর : সূর্য থেকে আসা তাপশক্তিকে আটকে রেখে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার প্রতিক্রিয়াকে গ্রিনহাউস ইফেক্ট বা প্রতিক্রিয়া বলে। গ্রিনহাউস ইফেক্ট বলতে মূলত তাপ আটকে রেখে পৃথিবীর সার্বিক তাপমাত্রার বৃদ্ধিকে বোঝায়।

প্রশ্ন-৫. বিশ্ব উষ্ণায়ন কী?
বিশ্ব উষ্ণায়ন বলতে বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রার ক্রমান্বয় বৃদ্ধিকে বোঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাকেই বলা হয় বিশ্ব উষ্ণায়ন।

প্রশ্ন-৬. গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো কি আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়? কেন?
উত্তর: গ্রিনহাউস গ্যাস তাপমাত্রা ধরে রেখে বায়ু তথা পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। কিন্তু মনে রাখতে হবে বায়ুমণ্ডলের গ্যাসগুলো আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়। স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে গ্যাসগুলোর পরিমাণ বেড়ে গেলেই কেবল তা ক্ষতিকর। জলীয়বাষ্প, মিথেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসগুলো বায়ুমণ্ডলে না থাকলে বা কমে গেলে বাতাস তাপ ধরে রাখতে পারত না। এতে প্রচন্ড শীতে কেবল আমরা নয় সমগ্র প্রাণিজগতই কাবু হয়ে যেত।
এছাড়া আমরা জানি কার্বন ডাইঅক্সাইডের সাহায্যে গাছ খাদ্য তৈরি করে এবং এ খাদ্যই সমগ্র প্রাণিজগতে খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে সরবরাহ হয়। জলীয়বাষ্প সৃষ্টি না হলে বৃষ্টিও হতো না। বৃষ্টির অভাবে সমগ্র পৃথিবী মরুময় হয়ে যেত, থাকত না কোনো গাছপালা। সুতরাং সঠিক মাত্রায় গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো ক্ষতিকর নয় বরং এগুলো বায়ুমণ্ডলে মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলেই তা জীব ও পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।

নবম সেশনঃ

আমাদের যে পাঁচটি কাজের জন্য বাতাসে গ্রিনহাউজ গ্যাস বেড়ে যায়?

কিভাবে এর সমধান করা সম্ভব?

বৃক্ষনিধন ও বন উজাড়

বৃক্ষরোপন কর্মসূচী জোরদার করতে হবে

অতিরিক্ত জ্বালানী (তেল/গ্যাস/কয়লা) পোড়ানো

জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং জ্বালানীর অপচয় রোধ করতে হবে

কৃষি জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার

বিজ্ঞানসম্মত ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে কৃষিজমিতে সার ব্যবহার করতে হবে

রেফ্রিজারেটর/এসি/ফোমের ব্যবহার

এই ধরণের যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমাতে হবে

জৈব বস্তুর পচনে বায়ুমন্ডলে মিথেন গ্যাস নির্গত হওয়া

মিথেন গ্যাস অবমুক্ত হওয়ার ব্যাপারে অধিক সচেতন হতে হবে

প্রশ্ন-১. অ্যাসিড বৃষ্টি কী?

উত্তর: বৃষ্টির পানির সাথে অ্যাসিড (সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড প্রভৃতি) বা অ্যাসিড জাতীয় উপাদান মিশ্রিত থাকলে তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে।

প্রশ্ন-২. অ্যাসিড বৃষ্টি কেন হয়?

উত্তর: মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে সালফার ও নাইট্রোজেনের অক্সাইড উৎপন্ন হয়। এগুলো অক্সিজেন, জলীয়বাষ্প/পানি কণার সাথে বিক্রিয়া করে সালফিউরিক অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে যা বৃষ্টির পানির সাথে মিশে অ্যাসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করে। অর্থাৎ, মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলেই মূলত অ্যাসিড বৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-৩. অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে উদ্ভিদসহ জীববৈচিত্র্যের উপর সংঘটিত প্রভাব বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: উদ্ভিদসহ জীববৈচিত্র্যের উপর অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাব হলো:

i. উদ্ভিদের পাতায় ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।

ii. অনেক ক্ষেত্রে বনভূমি ধ্বংসের সম্মুখীন হয়।

iii. জলজ পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হয়।

iv. মানুষের বিভিন্ন চর্মরোগ হতে পারে।

প্রশ্ন-৪. অ্যাসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব রোধে আমরা কী কী করতে পারি?

উত্তর: অ্যাসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব রোধে আমরা নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি-

  • সালফারযুক্ত জ্বালানির ব্যবহার যথাসম্ভব কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে পারি।
  • বিভিন্ন যানবাহন এবং ভারী যন্ত্রপাতি চালাতে নিম্ন সালফারযুক্ত জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করা।
  • ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে গণপরিবহনের ব্যবহার বৃদ্ধি করা।
  • শিল্পকারখানা থেকে নির্গত গ্যাস থেকে সালফার অপসারণ করার পর বায়ুমণ্ডলে নির্গমন করা।

পরিকল্পনামাফিক কাজের বাস্তবায়নে সৃষ্ট অনুভূতি

কার্যক্রম-১

তোমাদের দলের পরিকল্পনা কী ছিল? পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তোমার অভিজ্ঞতা কেমন হলো?

উত্তরঃ

(i) দলের পরিকল্পনা ছিল জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পিছনের কারণ বের করা এবং পারলে তা সমাধানের উপায় খোজা।

(ii) বাতাসে বিভিন্ন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া বেড়ে যাচ্ছে। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ভয়ঙ্কর ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কার্যক্রম-২

কোনো চ্যালেঞ্জে কি পড়েছো? চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তোমার দল কী উদ্যোগ নিয়েছে?

উত্তরঃ

এ রকম গুরুত্বপূর্ণ কোনো সমস্যা সমাধানে কিছু বাধা তৈরি হতে পারে। এজন্য প্রথমে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন-

  • সবাইকে শেখানোর মাধ্যমে সচেতন করা।
  • ছোট ছোট পরীক্ষণের মাধ্যমে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার ভয়াবহতা বোঝানো।
  • অল্প করে কাজ ভাগ করে নিয়ে তা নিজেদের মধ্যে শেষ করা।

কার্যক্রম-৩

জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট হয় এমন আর কোনো বিষয় কি তোমার চোখে পড়েছে? এর সমাধানে কী করা যায় বলে তুমি মনে করো?

উত্তরঃ

মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে জলবায়ুর উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। বড় বড় কল-কারখানা নদীর তীরবর্তী স্থাপিত হওয়ায় নদী ও তার আশপাশের পরিবেশ নষ্ট করছে যা জলবায়ুর উপর প্রভাব ফেলে। এর সমাধানে সচেতন হতে হবে। আর যেসব কাজ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তার বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে হবে। সব কাজ কতটা পরিবেশবান্ধব কাজটি করার আগে সেটি খতিয়ে দেখতে হবে।

As an Amazon Associate I earn from qualifying purchases.

veg_admin

Recent Posts

গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয়ের ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা গতির খেলা  সম্পর্কে। প্রথম, দ্বিতীয় ও…

2 months ago

ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৭ম অধ্যায়,ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম  সম্পর্কে জানবো। প্রথম ও…

2 months ago

হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়,হরেক রকম খেলনার মেলা  সম্পর্কে জানবো।প্রথম…

2 months ago

অদৃশ্য প্রতিবেশী।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৫ম অধ্যায়, অদৃশ্য প্রতিবেশী  সম্পর্কে জানবো।সেশন শুরুর…

2 months ago

সূর্যালোকে রান্না।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর,বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়, সূর্যালোকে রান্না সম্পর্কে জানবো।প্রথম ও দ্বিতীয়…

2 months ago

সবুজ বন্ধু ২০২৪ । বিজ্ঞান-অনুশীলন বই । ৮ম শ্রেনী

এই পোস্টে আমরা অষ্টম  শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা– সবুজ বন্ধু- সম্পর্কে জানবো।প্রথম ও…

2 months ago