• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar
  • Skip to footer

Kitchen Academy

Unleash your culinary potential at Kitchen Academy. Learn essential skills, discover delicious vegetable recipes, and explore all things kitchen

  • Home
  • Recipes
  • Education
    • class 6
      • বিজ্ঞান class 6
    • Class 7
      • বিজ্ঞান class 7
    • Class 8
      • বিজ্ঞান class 8
    • class 9
      • বিজ্ঞান class 9

Education

আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ২০২৪। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin 5 Comments

আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয়ের ২য় অভিজ্ঞতা আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে।

বিজ্ঞান অর্থ বিশেষ জ্ঞান। ভৌত বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য, তার ধারাবাহিক, সুশৃঙ্খল,নিয়মতান্ত্রিক গবেষণালব্ধ জ্ঞানভাণ্ডারের নাম বিজ্ঞান।বিজ্ঞানের জ্ঞানকে যখন মানুষের জীবনের প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করা হয় সেটাকে প্রযুক্তি বলে।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

এঁকে ফেলি আমাদের যার যার কল্পনার বিজ্ঞানীকে ঃ

আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ধাপ-১ঃ প্রয়োজনীয় সামগ্রী: কাগজ, কলম, পেন্সিল, অনুসন্ধানী পাঠ বই, অনুশীলন বই।

কাজের ধারাঃ ক্লাসের সবাই নিজ নিজ কল্পনার বিজ্ঞানীর ছবি খাতায় আঁকি। 

ধাপ-২ঃ কাজের ধারাঃ ক্লাসের বন্ধুদের আঁকা ছবি দেখি এবং বিজ্ঞানীদের চেহারা ও পোশাক- আশাকে ফুটে ওঠা বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করি। অনুসন্ধানী পাঠ্য বইয়ে পড়া বিজ্ঞানীদের সাথে কল্পনার বিজ্ঞানীর মিল খুঁজে বের করি।

 

 নমুনা উত্তরঃ

সত্যিকার বিজ্ঞানীদের মধ্যে কোন কোন বৈশিষ্ট্য দেখা যায়?
চাইলেই কি যে কেউ বিজ্ঞানী হতে পারে?

বিজ্ঞানীরদের
অনুসন্ধানী মন থাকে
,তাঁরা পরিশ্রমী, উদ্যমি এবং নি:স্বার্থ প্রকৃতির হয়ে থাকেন।

চাইলেই যে কেউ বিজ্ঞানী হতে পারে যদি বৈজ্ঞানিক মন থাকে।

 

বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে কি সবসময়ই অনেক আধুনিক ল্যাবরেটরি
বা যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়?

বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে সবসময়ই অনেক আধুনিক ল্যাবরেটরি বা যন্ত্রপাতি প্রয়োজন
হয় না।
যেমন: মাদাম
কুরি পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়নে দুইবার নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন কিন্তু তার
ল্যাবরেটরিটা ছিল একেবারেই সাদামাটা
। অরেকজন বিজ্ঞানী ছিলেন
হরিপদ কাপালী। উন্নতমানের যন্ত্রপাতি না থাকা সত্ত্বেও ভালো জাতের ধান উদ্ভাবনে
অবদান রাখেন।

নমুনা উত্তরঃ

স্যার আইজ্যাক নিউটন ও হরিপদ কাপালীর বৈজ্ঞানিক গবেষনার প্রক্রিয়ার মধ্যে মিল কী কী?

আইজ্যাক নিউটন ও হরিপদ কাপালী দুইজনই তাদের আবিষ্কার প্রথমে প্রমাণ করে দেখেন,এরপর সবাইকে জানান। তাদের বৈজ্ঞানিক গবেষনাতে তারা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ধাপসমূহ মেনেছেন,এবং যুক্তিযুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণসহ নিজেদের আবিষ্কারকে যাচাই করে দেখান।

*উপর থেকে একটি হালকা ও ও ভারী বস্তু একসাথে ছেড়ে দিলে কোনটা আগে পরবে?

উত্তরঃ অব্যশই ভারী বস্তুটি আগে পড়বে কারন সেটার ওজন বেশি।।তবে যদি বায়ুশূন্য ঘরে একসাথে ছেড়ে দেওয়া যায় তাহলে একসাথে দুটি বস্তু মাটি স্পর্শ করবে।
 

*এক টুকরা কাগজ আর একটা কলম ছেড়ে দিয়ে নিজেই আগে পরীক্ষা করে দেখো তো?

উত্তরঃ কলম আগে পড়েছে।
 

*পড়ন্ত বস্তুর সূত্রটা কী? তোমার একটু আগের পরীক্ষার ফলাফল কি ছিল ভেবে দেখো তো। সূত্রের সাথে তোমার নিজের অভিজ্ঞতা কি মিলছে?

উত্তরঃ পড়ন্ত বস্তুর একটি সূত্র হলো-“সমান উচ্চতা থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত সকল বস্তু সমান সময়ে ভূমিতে পৌঁছায়।” এখানে বাতাসে বাঁধাকে উপেক্ষা করে হয়েছে।

আমার পরীক্ষার ক্ষেত্রে ভারী কলমটি আগে পড়েছে কারণ বাতাসের উপস্থিতি ছিলো।যদি বায়ুশূন্য স্থানে পরীক্ষা করতে পারতাম তবে সূত্রের সাথে অ্যাম্বার পরীক্ষণের ফলাফল মিলে যেতো।

 

*পড়ন্ত বস্তুর সূত্র কীভাবে এলো? তুমি কি এই সূত্রের সাথে একমত? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।

 
উত্তরঃ পড়ন্ত বস্তুর সূত্র আবিষ্কারের জন্য ইতালীয় বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি (1564-1642) কে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। ১৬ শতকের শেষের দিকে, গ্যালিলিও পিসার টাওয়ার থেকে বিভিন্ন ভরের বস্তু ছেড়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে, বস্তুর ভর নির্বিশেষে, সকল বস্তু একই সময়ে ভূমিতে পৌঁছায়। তিনি আরও লক্ষ্য করেন যে, বস্তুর পতনের গতি সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে।
 
হ্যাঁ, আমি পড়ন্ত বস্তুর সূত্রের সাথে একমত। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে গ্যালিলিও যে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন এবং যে সূত্রগুলি প্রণয়ন করেছিলেন তা সঠিক। আমি বিশ্বাস করি যে এই সূত্রগুলি পদার্থবিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
 
পড়ন্ত বস্তুর সূত্রগুলি বিভিন্ন বাস্তব জীবনের প্রয়োগে ব্যবহৃত হয়,যেমন-
 
১.ভবন, সেতু এবং অন্যান্য কাঠামো নির্মাণে
২.ক্ষেপণাস্ত্র এবং উপগ্রহের গতিপথ নির্ণয়
৩. বস্তুর গতি এবং ত্বরণ পরিমাপ
৪.গ্রহ এবং অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুর গতি নির্ণয়
পড়ন্ত বস্তুর সূত্রগুলি গাণিতিকভাবে সঠিক এবং বিভিন্ন বাস্তব জীবনের পরিস্থিতিতে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
 

*পূর্বে ব্যবহূত হতো কিন্তু বর্তমানে আর প্রয়োজন পড়ে না এমন ৩টি প্রযুক্তি ও তার ব্যবহার লেখো।

উত্তর: পূর্বে ব্যবহূত হতো কিন্তু বর্তমানে প্রয়োজন পড়ে না এমন ৩টি প্রযুক্তির নাম-

  • হারিকেনঃ পূর্বে আলো জ্বালানোর জন্য হারিকেন ব্যবহূত হতো।
  • হাতপাখাঃ বাতাস খাওয়ার জন্য হাতপাখা ব্যবহৃত হতো।
  • ঢেঁকিঃ ধান ভাঙানোর জন্য ঢেঁকির প্রচলন ছিল।
 

বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ধাপসমূহ

বিজ্ঞানী হরিপদ কাপালী এই ধাপে যা করেছেন

১. একটি সমস্যা বা প্রশ্ন ঠিক করা যার সমাধান বা উত্তর বের করতে হবে।

ধান ক্ষেতের কিছু ধানগাছ তুলনামূলক ভাবে কেন বড় হয় এবং ফলন বেশি হয়?

২. এ সম্পর্কে যা কিছু গবেষণা হয়েছে তা জেনে নেয়া।

বিভিন্ন ধানের গবেষণা সম্পর্কে ধারণা রেখেছে।

৩. প্রশ্নটির একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দাঁড় করানো।

এই ধানটি বেশি বড় এবং ফলন বেশি দিতে পারে।

৪. সম্ভাব্য ব্যাখ্যাটি সত্যি কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখা।

যে ধান গুলো ভালো সেগুলো অন্য ধানের সাথে না মিশিয়ে আলাদা করে ফেললেন। বীজগুলো আলাদা করে সেগুলো আবার নতুন করে লাগালেন। এর ফলে সেগুলো বেশ বড় এবং উচ্চ ফলনশীল হলো। 

৫. পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া।

আসলেই এই ধানের জাতটি উচ্চ ফলনশীল।

৬. সবাইকে ধারণাটি জানিয়ে দেওয়া।

বিজ্ঞানী হরিপদ কাপালীর এই আবিষ্কারের কথা সবাইকে জানা্লেন। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধানগুলোকে নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করেছিল।

 
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী

তৃতীয় সেশনঃ

বিজ্ঞানের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সরাসরি আমাদের প্রয়োজন মেটাই?আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

উত্তর: বিজ্ঞানের জ্ঞান আমরা আমাদের জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যবহার করি।১. কৃষি ক্ষেত্রে: যেমন— ট্রাক্টর, সেচ পাম্প, ফসল মাড়াই যন্ত্র, রাসায়নিক সার, জৈব প্রযুক্তি ইত্যাদি ব্যবহার করে অধিক্ ফসল ফলাই।
২. চিকিৎসা ক্ষেত্রে: যেমন- ঔষধ, এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি ইত্যাদি ব্যবহার করে উন্নত চিকিৎসা পাই।
৩. শিক্ষা ক্ষেত্রে: যেমন- কলম, কাগজ, কম্পিউটার, প্রজেক্টর, ইন্টারনেট ইত্যাদি ব্যবহার করে সহজে পড়াশুনা করি।
৪. যোগাযোগ ক্ষেত্রে: যেমন- গাড়ি, জাহাজ, উড়োজাহাজ, হেলিকপ্টার ইত্যাদি ব্যবহার করে দ্রুত একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাই।
৫. দৈনন্দিন জীবনে: যেমন- মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক বাতি, ফ্যান ইত্যাদি ব্যবহার করে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাই।
 

*আমাদের পছন্দের প্রযুক্তিঃ

আমাদের
পছন্দের প্রযুক্তি

জীবন
রক্ষাকারী ঔষধ তৈরি

বিজ্ঞানের
কোন ক্ষেত্রের জ্ঞান এখানে কাজে লাগানো হয়েছে
?

জৈব
রসায়নের জ্ঞান

*বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি কি কি কাজে ব্যবহৃত হয়?

 

প্রযুক্তির নাম

কি কাজে ব্যবহৃত হয়

টেলিভিশন

ভিডিও/ছবি দেখা, শব্দ শোনা, বিনোদন ইত্যাদি

ফ্যান

ঘর ঠান্ডা করার কাজে

লাইট

ঘর আলোকিত করার কাজে

মোবাইল ফোন

দূরের মানুষের সাথে কথা বলার কাজে

ঔষধ

চিকিৎসার কাজে

ছুরি

কাটার কাজে

পানির কল

পানির প্রবাহকে নিয়ন্ত্রন করার কাজে

প্রিন্টার

ছাপানোর কাজে

বই/খাতা

পড়া/লেখার কাজে

ঘড়ি

সময় দেখার কাজে

চেয়ার

বসার কাজে

Read More: ফসলের ডাক- সপ্তম শ্রেণী

চতুর্থ সেশনঃ

*দলের আলোচনায় নতুন যে প্রযুক্তি সম্পর্কে জানলামঃ

প্রযুক্তির নাম

কি কাজে ব্যবহৃত হয়

রেডিও থেরাপি, ক্যমোথেরাপি

ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়

আলট্রাসনোগ্রাফি

এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সহজ হয়

এক্সরে

রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়

স্যাটেলাইট

আবহাওয়া, যোগাযোগ, প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়

নিউক্লিয়ার চুল্লী

বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়

ই-শিক্ষা

ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা

ই-স্বাস্থ্য

ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ

ই-ব্যাংকিং

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থা

*তোমাদের তালকার প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার,ভালো-খারাপ দিক শ্রেনীবদ্ধ কর। 

প্রযুক্তির নাম

প্রযুক্তিটির বিভিন্ন ব্যবহার

প্রযুক্তিটি ব্যবহারের ফলাফল ভালো
নাকি খারাপ হচ্ছে
?

কেন আমরা ভালো বা খারাপ বলছি?

স্মার্ট ফোন

যোগাযোগ(অডিও/ভিডিও কল), ছবি তোলা, ভিডিও
দেখা
,
গেইম খেলা ইত্যাদি।

ভালো ও খারাপ উভয়ই

স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট
ব্যবহার করে যোগাযোগ সহজতর হয়েছে। অন্যদিকে,একজন মানুষ বিনা কারণে সেটি ব্যবহার
করে নিজের সময় নষ্ট করছে। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীরা অতিরিক্ত মাত্রায় আসক্ত হয়ে
পড়ালেখার মনোযোগ নষ্ট করছে।

নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি

বিদ্যুৎ তৈরি এবং ধ্বংসাত্মক কাজে
ব্যবহৃত হয়।

ভালো ও খারাপ উভয়ই

বিদ্যুৎ উৎপাদন, জাহাজ  সাবমেরিন চালানোর কাজে  ব্যবহৃত হয়।নিউক্লিয়ার বোমায় লক্ষ লক্ষ
মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

পলিথিন ব্যাগ

ব্যাগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়

খারাপ

পলিথিন ব্যাগ অপচনশীল ফলে এগুলো
পরিবেশ দূষণ ঘটায়।

 ই-শিক্ষা

পড়ালেখার কাজে ব্যবহার হয়

ভালো

ঘরে বসেই পড়ালেখা করা যায়।

ই-ব্যাংকিং

লেনদেন করা যায়

ভালো

ঘরে বসেই ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণ
করা যায়।

ই-স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ

ভালো

ঘরে বসেই বিশ্বের ভালো ভালো
ডাক্তারের স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবা গ্রহণ করা যায়।

 

 

 

 

Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম সেশনঃ

 

ভালো উদ্দেশ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে আমরা কী করতে পারি?

অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তির ব্যবহার, কিংবা প্রযুক্তির অপব্যবহার কমাতে আমাদের কী করার আছে?

সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।

প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা।

সকলের জন্য প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম এবং রিসোর্সে সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা।

অপ্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক ডিভাইসের উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা।

প্রযুক্তির নৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা।

পরিবেশগতভাবে টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করা।

প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা।

জনসাধারণকে প্রযুক্তির অপব্যবহারের সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে অবগত করা।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও ডেটা সুরক্ষা রক্ষা করা।

সরকার, বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা।

প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করা।

প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে অবগত করা।

শিশুদের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করা। অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা এড়ানো।

তরুণদের মধ্যে প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও নীতিশাস্ত্র সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

পিতা-মাতা, স্কুল এবং সম্প্রদায়ের উচিত শিশু এবং যুবকদের নৈতিকভাবে এবং দায়িত্বের সাথে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা।

সরকার, বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

সরকারের উচিত অপ্রয়োজনী প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কঠিন আইন তৈরি করা যা প্রযুক্তির অপব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

*তোমাদের দলের পরিকল্পনা কী ছিল?

উত্তরঃ ব্যানার, পোস্টার, সেমিনার বা আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অন্যক্লাসের ছাত্রছাত্রী সহ এলাকার মানুষকে প্রযুক্তির ভালো ব্যবহার এবং অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করানো । 

*কাজটা করতে গিয়ে তোমার অভিজ্ঞতা কেমন হলো? নতুন কী শিখলে বা জানলে?

উত্তরঃ সহপাঠী এবং শিক্ষকদের সাথে কাজ করায় বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে। চিকিৎসা, কৃষি, ইলেক্ট্রনিক্স ইত্যাদি প্রযুক্তির বিভিন্ন উপাদান সম্পর্কে ধারনা পেয়েছি।

*বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে এমন কোনো প্রশ্ন মাথায় আছে যার উত্তর এখনো মেলে নি? 

উত্তরঃ নিচে লিখে ফেলো তোমার প্রশ্ন, যাতে হারিয়ে না যায়! পরে নিশ্চয়ই কখনো না কখনো এই প্রশ্নগুলোর উত্তর তুমি নিজেই খুঁজে বের করতে পারবে।

 ১. নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি  কীভাবে কাজ করে;যার মাধ্যমে   বিদ্যুৎ তৈরি হয় আবার এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বোমা বানিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ মুহুতেই চলে যায়। 

Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী

Filed Under: class 6, বিজ্ঞান class 6 Tagged With: আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উপর থেকে একটি হালকা ও ও ভারী বস্তু একসাথে ছেড়ে দিলে কোনটা আগে পরবে?, তোমাদের তালকার প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার, পড়ন্ত বস্তুর সূত্র কীভাবে এলো?, পড়ন্ত বস্তুর সূত্রটা কী?, বিজ্ঞানের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সরাসরি আমাদের প্রয়োজন মেটাই?, বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি কি কি কাজে ব্যবহৃত হয়?, ভালো-খারাপ দিক শ্রেনীবদ্ধ কর।

আকাশ কত বড় ২০২৪ । ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin 1 Comment

আকাশ কত বড়?

উপরে তাকালেই যে বিশাল মহাকাশ  আমরা দেখি তার শেষ কোথায়? কত বড় এই আকাশ? এই পৃথিবী, আকাশ,মহাবিশ্ব—কোথা থেকে এলো এসব? এই সকল প্রশ্নের উত্তরই খুঁজব আমরা।

প্রথম সেশনঃ

* আকাশের দিকে তাকিয়ে তোমাদের মনে যা যা প্রশ্ন জাগতে পারে তা নিচে দেওয়া হল-

  • আকাশ এত বিশাল কেন?
  • আকাশের রং নীল কেন?
  • আকাশে কতগুলো গ্রহ নক্ষত্র আছে?
  • সব গ্রহের আকাশের রঙ কী নীল?

দিনের আকাশে কী কী
দেখি?

রাতের আকাশে কী কী
দেখি?

সূর্য দেখা যায়

চাঁদ দেখা যায়

মেঘ দেখা যায়

মেঘ দেখা যায়

নীল রঙের আকাশ দেখা যায়

গ্রহ দেখা যায়

রংধনু দেখা যায়।

তারা দেখা যায়

*সকাল, দুপুর, বিকেলে আকাশ এত রং পাল্টায় কেন? দিন বা রাতের কোন সময়টার আকাশ তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ? ( পৃষ্ঠা ৬)

উত্তর: মূলত আকাশ হল আমাদের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল। এই বায়ুমণ্ডল যে রং ছড়াবে, আকাশও সেই রং ধারণ করবে। সূর্যরশ্মি বায়ুমন্ডল ভেদ করে পৃথিবীতে আসে।এ সময়ে পৃথিবীতে বিভিন্ন রঙের আলো বিভিন্নভাবে বিক্ষেপিত হয়। আলোর এই বিভিন্নতার কারণেই আকাশ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রং ধারণ করে।
আমার পছন্দের আকাশ: আকাশ বিভিন্ন সময়ে বৈচিত্র‍্যময় রূপ ধারণ করে। এর মধ্যে আমার কাছে সকালবেলায় পরিস্কার নীল আকাশ সবচেয়ে ভালো লাগে।
 

*রাতের আকাশে দেখা যাওয়া তারা সবই কী একই রকম?সবার রঙ কী একই?

উত্তর: আকাশের তারা সব একই রকম নয়। তারা আকার, উজ্জ্বলতা, রঙ, তাপমাত্রা, ভর, বয়স এবং রাসায়নিক গঠনের দিক থেকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়।
তারার বিভিন্ন রকমের রঙ হতে পারে যেমন- নীল, সাদা, হলুদ, কমলা, লাল এবং বাদামী রঙের তারা রয়েছে। তারার রঙ তারার তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।
 

*আকাশের সব তারা কী একইরকম মিটিমিটি জ্বলে?

উত্তর: আকাশের সব তারা একই রকমভাবে মিটিমিটি করে জ্বলে না।  তাদের ঝিকিমিকির পরিমাণ নির্ভর করে বিভিন্ন কারণের উপর, যেমন: তারার দূরত্ব,উজ্জ্বলতা, বায়ুমন্ডলীয় অবস্থা,তারার ধরণ,পর্যবেক্ষকের অবস্থান ইত্যাদি।
 
 
Read More: ফসলের ডাক- সপ্তম শ্রেণী

দ্বিতীয় সেশনঃ

গ্যালাক্সী কী

*গ্যালাক্সি কী?

উত্তর: গ্যালাক্সি হলো অসংখ্য তারা, নক্ষত্র,গ্রহ,গ্যাস,ধূলিকণা, অন্ধকার পদার্থ এবং অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তু দ্বারা গঠিত একটি বিশাল সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা। মহাকাশে বিভিন্ন আকার, আকৃতি ও গঠনের অসংখ্য গ্যালাক্সি বিদ্যমান। গ্যালাক্সি দেখতে উপবৃত্তাকার, কুন্ডলীকার,সর্পিলাকার হতে পারে।
 

*মহাবিশ্বে মোট গ্যালাক্সির সংখ্যা কত হতে পারে?

উত্তর: প্রায় এক ট্রিলিয়ন (লক্ষ কোটি)।
 

*মিল্কিওয়ে কী?

উত্তর: আমাদের আবাসস্থল পৃথিবী যে গ্যালাক্সিতে অবস্থিত, সেটিই হচ্ছে মিল্কিওয়ে।
 

*বিশ্বজগতের গঠন নিয়ে মানুষের ধারণা আগে কী ছিল?

উত্তর: বিশ্বজগতের গঠন নিয়ে মানুষের ধারণা সময়ের সাথে সাথে অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। প্রাচীন কালে, মানুষ মনে করত পৃথিবীই মহাবিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং সূর্য, চাঁদ, গ্রহ-নক্ষত্র সবই পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। মধ্যযুগে, গির্জার প্রভাবের কারণে ‘টলেমাইক’ মডেলটি জনপ্রিয় ছিল। এই মডেল অনুসারে, পৃথিবী স্থির এবং সূর্য, চাঁদ, গ্রহ-নক্ষত্র সবই স্ফটিকের গোলকের উপর স্থাপিত।
 

*সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের ধারণা কীভাবে এলো?

 
সূর্য কেন্দ্রিক মডেলটি প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন গ্রিসের  জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ আরিস্টারাকাস,তৃতীয় খ্রীস্টপূর্বাব্দে । তিনি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে, গ্রহগুলির কক্ষপথ সূর্যকে কেন্দ্র করে এবং পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে। 
আরিস্টার্কসের মডেলটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিলেন জ্যোতির্বিদ নিকোলাস কোপারনিকাস। ১৬ শতকে তিনি আরও গবেষণা করে দেখান যে, আরিস্টার্কসের মডেলটি সঠিক।
কোপারনিকাসের মডেলটিকে আরও উন্নত করে তুলেছিলেন জ্যোতির্বিদ কেপলার। কেপলার ১৭ শতকে পর্যবেক্ষণ করে দেখান যে, গ্রহগুলি সূর্যকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘোরে না, বরং উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘোরে। কেপলারের এই আবিষ্কারটি সূর্য কেন্দ্রিক মডেলের স্থায়িত্বকে আরও দৃঢ় করে।
সূর্য কেন্দ্রিক মডেলটি মহাবিশ্বের ধারণা সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। এই মডেলটি প্রমাণ করেছে যে, পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু নয়, বরং সূর্য। এটি মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করেছে।
 

*পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেল থেকে সূর্য কেন্দ্রিক মডেলের ধারণায় বিবর্তনের পক্ষে যুক্তি কী কী ছিল?

 
উত্তরঃ পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেল থেকে সূর্য কেন্দ্রিক মডেলের ধারণায় বিবর্তনের পক্ষে নিম্নোক্ত যুক্তি ছিলঃ
১. সূর্যকেন্দ্রিক মডেল সহজভাবে গ্রহের বৃত্তাকার এবং উপবৃত্তাকার গতি ব্যাখ্যা করতে সক্ষম ছিল।
২.সূর্যকেন্দ্রিক মডেল গ্রহের অবস্থানের আরও সঠিক পূর্বাভাস দিতে সক্ষম ছিল।সূর্যের বৃহৎ আকারের ব্যাখা করতে সক্ষম 
৩.সূর্যকেন্দ্রিক মডেল নক্ষত্রের গতি,ধুমকেতু ও গ্রহাণুর গতি ব্যাখ্যা করতে সক্ষম ছিল।
৪.সূর্যকেন্দ্রিক মডেল জ্যোতির্বিদ্যার নতুন ধারণার বিকাশের পথ উন্মুক্ত করে।
 

*বিগ ব্যাং তত্ত্ব কি?

উত্তর: বিগ ব্যাং তত্ত্ব মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কে প্রদত্ত একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। এটি মহাবিষ্ফোরণ তত্ত্ব নামেও পরিচিত। এটি মানুষের কল্পনা নয় বরং বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত।
 

*বিগ ব্যাং তত্ত্বের সপক্ষে কি বিজ্ঞানীরা কোনো প্রমাণ পেয়েছেন?

উত্তর: হ্যাঁ, বিগ ব্যাং তত্ত্বের সপক্ষে বিজ্ঞানীরা যা প্রমাণ পেয়েছেন নিচে তা বর্ণনা করা হলো-
বিজ্ঞানীরা যখন দেখলেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে অসংখ্য গ্যালাক্সি তখন তারা সেগুলোকে নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন এবং অবাক হয়ে আবিস্কার করলেন একটি থেকে আরেকটি দূরে সরে যাচ্ছে। যার অর্থ একসময়ে সেগুলো আরো কাছাকাছি ছিল। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন যে, আজ থেকে ১৪ বিলিয়ন বছর আগে (১ হাজার ৪০০ কোটি) পুরো এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড একটি বিন্দুতে ছিল। প্রকাণ্ড এক বিষ্ফোরণের পর সেই বিন্দুটি প্রসারিত হয়ে বর্তমান বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে রূপ নিয়েছে। আর সেই বিষ্ফোরণটির নামই হচ্ছে বিগ ব্যাং (Big Bang) তত্ত্ব।
 
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ

সৌরজগত সম্পর্কে ফ্ল্যাশকার্ড তৈরির কিছু প্রশ্নের নমুনা নিচে  দেওয়া হলো- 

★ আমি সৌরজগতের সবচাইতে গরম গ্রহ,বলতো আমি কে? 

উত্তর: শুক্র গ্রহ।

★ আমি গ্যাসদানব,আমার ৪টি উপগ্রহ আছে,বলতো আমি কে? 

 উত্তর: বৃহস্পতি গ্রহ,আমার ৪টি উপগ্রহ আছে।
 

★ আমি লালচে গ্রহ,পৃথিবীর সাথে সবচেয়ে বেশী মিল রয়েছে আমার,বলতো আমি কে?

উত্তর: মঙ্গল গ্রহ।

★ আমার রয়েছে বলয়, পৃথিবীর ২৯ বছর  সমান আমার এক বছর,বলতো আমি কে? 

উত্তর: শনি গ্রহ।
 

★ আমি সৌরজগতের কেন্দ্র,বলতো আমি কে? 

উত্তর: সূর্য।
 

★ পোষ্টার তৈরী : সৌরজগতের গ্রহসমূহ 

গ্রহের নাম

বুধ

শুক্র

মঙ্গল

বৃহস্পতি

শনি

ইউরেনাস

নেপচুন

পৃথিবীর তুলনায় কতগুন বড় বা ছোটো

প্রায় ২.৫ গুণ ছোটো

প্রায় পৃথিবীর সমান

পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক

৩০০ গুণ বড়

৯.৪৫ গুণ বড়

৪ গুণ বড়

 প্রায় ৪ গুণ বড়

গঠন কেমন

কঠিন

ভূত্বক কঠিন, অভ্যন্তরে উত্তপ্ত তরল 

কঠিন

বায়বীয়

বায়বীয়

বায়বীয়

বায়বীয়

গ্রহের তাপমাত্রা কেমন

-১৭৩ থেকে ৪২৭ ডিগ্রী সে.

৪৭৬ ডিগ্রী সে.

-৬৩ ডিগ্রী সে.

-১১০ ডিগ্রী সে.

-১৪০ ডিগ্রী সে.

-২২৪ ডিগ্রী সে.

-২০০ ডিগ্রী সে.

সুর্য থেকে কত দূরে অবস্থিত

৫৮ মিলিয়ন কিমি

১০৮.২ মিলিয়ন কিমি

২৩০ মিলিয়ন কিমি

৭৭৮ মিলিয়ন কিমি

১.৪৩৪ বিলিয়ন কিমি

২.৮৭ বিলিয়ন কিমি

৪.৫ বিলিয়ন কিমি

উপগ্রহ কয়টি

নেই

নেই

২টি

৯৫টি, ৪টি বৃহৎ

১৫০ টির বেশী

২৭ টি

১৪ টি

বায়ুমণ্ডল আছে কিনা

অত্যন্ত পাতলা বায়ুমণ্ডল

বায়ুমণ্ডল ঘন

পাতলা বায়ুমণ্ডল

বায়ুমণ্ডল ঘন

বায়ুমণ্ডল ঘন

বায়ুমণ্ডল ঘন

বায়ুমণ্ডল ঘন

দিনের দৈর্ঘ্য কত ঘন্টা

পৃথিবীর ৬ মাসের সমান

পৃথিবীর ২৪৩ দিনের সমান

পৃথিবীর ১দিনের চেয়ে একটু বেশী

৯ ঘন্টা ৫৫ মিনিট

১০.৭ ঘন্টা

১৭ ঘন্টা ৫৩ মিনিট

১৬ ঘন্টা

বছরের দৈর্ঘ্য কত

৮৮ দিনের সমান

২২৫ দিনের সমান

৬৮৭ দিনের সমান

১২ বছরের সমান

২৯.৪ বছর

৮৪ বছর

১৬৫ বছর

 

*অনুশীলনী প্রশ্নঃ শুক্র গ্রহের অন্য নাম কী? এটি শুধু ভোরে কিংবা সন্ধ্যায় কেন দেখা যায়?

উত্তর: সূর্যের চারদিকে ঘুরার সময়, শুক্র গ্রহ পৃথিবীর কাছাকাছি আসে এবং তারপর দূরে সরে যায়। যখন শুক্র গ্রহ পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে তখন ভোরে ও সন্ধ্যায় স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
 

*অনুশীলনী প্রশ্নঃ পৃথিবীর বাইরে আর কোন গ্রহে মানুষ বসতি স্থাপন করতে পারে? কেন?

উত্তর: মঙ্গল ও শুক্র গ্রহে মানুষ বসতি স্থাপন করতে পারে । মঙ্গল গ্রহে বায়ুমণ্ডল, পানি, বরফ, আগ্নেয়গিরি, মরুভূমি, মেরুদেশীয় দেশের মত ভূ-প্রকৃতি বিদ্যমান। শুক্র গ্রহের আকার ও ঘনত্ব প্রায় পৃথিবীর সমান এবং প্রচুর পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড রয়েছে।
 

*অনুশীলনী প্রশ্নঃ প্রত্যেকটি গ্রহের একটি বৈশিষ্ট্যের কথা বলো যেটি অন্য গ্রহগুলোতে নেই

উত্তর: সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহের অনন্য বৈশিষ্ট্য:
 
বুধ: সৌরজগতের সবচেয়ে ছোট গ্রহ এবং সূর্যের সবচেয়ে নিকটে অবস্থিত। এটি গর্তে ভরা এবং কোনো উপগ্রহ নেই।
 
শুক্র: “পৃথিবীর ভগিনী” নামে পরিচিত, এটি সৌরজগতের উত্তপ্ততম গ্রহ। এর ঘন বায়ুমণ্ডল কার্বন ডাই অক্সাইড দ্বারা গঠিত।
 
পৃথিবী: জীবন ধারণের জন্য উপযোগী একমাত্র গ্রহ। এটিতে তরল জল, বায়ুমণ্ডল এবং চৌম্বক ক্ষেত্র রয়েছে।
 
মঙ্গল: “লাল গ্রহ” নামে পরিচিত, এটিতে বরফের মেরু বরফ, প্রাচীন আগ্নেয়গিরি এবং বিশাল গিরিখাত রয়েছে। এটিতে দুটি উপগ্রহ, ফোবস এবং ডিমোস রয়েছে।
 
বৃহস্পতি: সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ। এটি একটি গ্যাসীয় দানব, যার বায়ুমণ্ডল প্রধানত হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম দ্বারে গঠিত। এটিতে একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র এবং অনেক উপগ্রহ রয়েছে।
 
শনি: “আংটির গ্রহ” নামে পরিচিত, এটি বরফ এবং শিলা দ্বারা গঠিত একটি গ্যাসীয় দানব। এটি স্পষ্ট আংটির জন্য বিখ্যাত যা বরফের কণা দ্বারা গঠিত।
 
ইউরেনাস: এটি একটি বরফ দানব গ্রহ, যার অক্ষ ৭৪° পরিবর্তিত হয়। এটিতে বায়ুমণ্ডল রয়েছে যা প্রধানত হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং মিথেন দ্বারা গঠিত।
 
নেপচুন: এটি সৌরজগতের সবচেয়ে দূরবর্তী গ্রহ। এটি একটি বরফ দানব গ্রহ, যার বায়ুমণ্ডল প্রধানত হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং মিথেন দ্বারা গঠিত। এটিতে একটি “Great Dark Spot” রয়েছে, যা একটি বিশাল ঘূর্ণিঝড়।
 
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম সেশনঃ

আকাশ কত বড়?

 

নমুনা গল্প:

 

বৃশ্চিকঃ

আকাশ কত বড়গ্রীক পুরাণ মতে, বৃশ্চিক ছিল সেই বিশালাকার বিষ্ণু যা দেবী গাইয়া শিকারী অরিয়নকে হত্যা করার জন্য পাঠিয়েছিলেন। অরিয়ন ছিলেন একজন গর্বিত এবং ভয়ানক শিকারী যিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকে হত্যা করতে সক্ষম। এটি পৃথিবীর দেবী গাইয়াকে ক্ষুদ্ধ করেছিল, যিনি তাকে থামাতে স্করপিয়াসকে পাঠিয়েছিলেন। দু’জনের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্করপিয়াস তার বিষাক্ত হুল দিয়ে এরিয়নকে হত্যা করতে সক্ষম হয়। যুদ্ধকে স্মরণ করার জন্য, দেবতারা বৃশ্চিক এবং ওরিয়ন উভয়কেই নক্ষত্রপুঞ্জ হিসাবে আকাশে স্থাপন করেছিলেন।
 
 

কালপুরুষ:

আকাশ কত বড়কালপুরুষ ছিল বিখ্যাত এক যোদ্ধা ও শিকারী। অহংকারে তার মাটিতে পা পড়ত না! সে দাবি করত যে, পৃথিবীর সকল প্রাণীই সে শিকার করতে সক্ষম। তার এত অহংকারে দেবতারা ক্ষুদ্ধ হলেন। তারা একটি বৃশ্চিক বা কাঁকড়াবিছাকে পাঠালেন কালপুরুষকে শায়েস্তা করার জন্য। আর সেই কাঁকড়ার কামড়েই কালপুরুষের মৃত্যু হলো। দেবতারা মানুষকে অহংকারের পরিণাম দেখানোর জন্য কালপুরুষ আর বৃশ্চিক দুজনকেই আকাশে স্থান দিলেন। যাতে আকাশে তাকালেই মানুষ এর থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে।
 

*নেবুলা কী?

উত্তর: নেবুলা হচ্ছে মহাজাগতিক ধূলিকণা ও গ্যাসের সমন্বয়ে সৃষ্ট এক সুবিশাল মহাজাগতিক মেঘ। নেবুলা থেকেই নতুন নতুন নক্ষত্রের জন্ম হয়।
আকাশের এই বারো ভাগের ধারণা বহু প্রচীন। সভ্যতার বিভিন্ন সময়ে মানুষ তার নানা কাজে এর ব্যবহার করেছে। তোমাদের বইয়ে এরকম দুই ধরনের ব্যবহারের কথা বলা আছে; বাংলা বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডার, এবং জ্যোতিষবিদ্যা বা ভাগ্য গণনা। তোমার বন্ধুদের সাথে দলে বসে এই দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করো, আলোচনার সময় নিচের প্রশ্নগুলো মাথায় রাখতে পারো। তোমরা একমত হবার পর উত্তরগুলো পরের পৃষ্ঠার ছকে লিখে রাখো। একমত না হতে পারলে সেটাও লিখে রেখো!
 

*নক্ষত্রের জন্ম হয়েছিল কীভাবে?

উত্তর: বিগ ব্যাংয়ের পর মহাকাশে থাকা হাইড্রোজেন কোথাও কোথাও একত্রিত হয়ে একটা গ্যাসপিণ্ডের আকার নেয়, এই গ্যাসপি-কে বলা হয় নেবুলা। সেই নেবুলাতে যদি যথেষ্ট পরিমাণে গ্যাস থাকে তাহলে মহাকর্ষ বলের কারণে যখন সংকুচিত হতে থাকে তখন তার তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে এতই বেড়ে যায় যে, তার প্রভাবে হাইড্রোজেন একটি অন্যটির সাথে নিউক্লিয়ার ফিউশন নামে একটি বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রচুর শক্তি জন্ম দিতে থাকে। সেই নক্ষত্র থেকে আলো বের হতে থাকে এবং আমরা বলি নক্ষত্রের জন্ম হয়েছে।
 



বাংলা বর্ষপঞ্জি

জ্যোতিষবিদ্যা বা ভাগ্য গণনা

কীভাবে এলো?

আকাশের নক্ষত্রমন্ডলী থেকে

আকাশের নক্ষত্রমন্ডলী থেকে

কী কাজে ব্যবহার করা হয়?

দিন সমূহকে হিসাব করার জন্য

ভাগ্য গণনার জন্য

বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কিনা?

আছে

নাই

Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী

ষষ্ঠ সেশনঃ

প্রচলিত অবৈজ্ঞানিক চর্চা বা কুসংস্কার

রাশি চক্র বা ভাগ্য গণনা

নির্দিষ্ট ঘটনা বা প্রমান যেখানে এই চর্চার নজির দেখেছ

কিছু লোক বিশ্বাস করে যে ভাগ্য তাদের জীবনের
ঘটনাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে
, এই
দাবির সমর্থনে কোন প্রমাণ নেই।
এছাড়াও নির্দিষ্ট রাশির অধীনে জন্মগ্রহণকারী লোকদের
নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য থাকে।

অবৈজ্ঞানিক বা কুসংস্কারপ্রসূত মনে করার পেছনে
যুক্তি কী?

জীবনের ঘটনাগুলি জিন, পরিবেশ
এবং ব্যক্তিগত পছন্দের মতো বিভিন্ন কারণের দ্বারা প্রভাবিত হয়।এছাড়াও গবেষণায়
জন্মতারিখ এবং ব্যক্তিত্বের মধ্যে কোন সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।

তোমার দায়িত্ব কী হওয়া উচিত?

আমি তাদেরকে বুঝাবো, এগুলোর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। তাছাড়া ধর্মীয়
ভাবেও এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নাই।

আকাশের দিকে তাকালে এখন নতুন  কী কী চোখে পড়ছে বা নতুন কী চিন্তা মাথায় আসছে?

উল্কা, ধ্রুবতারা, শুকতারা।দিনের বেলা আকাশে তারা দেখা যায় না কেন?
মাঝে মধ্যে আকাশ থেকে তারা খসে
পড়তে দেখা যায় কেনো
?

এই বিষয়ে আর কী কী প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে?

আকাশের শেষ সীমা কোথায়?

Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী

Filed Under: class 6, বিজ্ঞান class 6 Tagged With: আকাশ কত বড়, আকাশের সব তারা কী একইরকম মিটিমিটি জ্বলে?, গ্যালাক্সি কী?, দুপুর, পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেল থেকে সূর্য কেন্দ্রিক মডেলের ধারণায় বিবর্তনের পক্ষে যুক্তি কী কী ছিল?, বিকেলে আকাশ এত রং পাল্টায় কেন? দিন বা রাতের কোন সময়টার আকাশ তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ?, বিগ ব্যাং তত্ত্ব কি?, বিগ ব্যাং তত্ত্বের সপক্ষে কি বিজ্ঞানীরা কোনো প্রমাণ পেয়েছেন?, বিশ্বজগতের গঠন নিয়ে মানুষের ধারণা আগে কী ছিল?, মহাবিশ্বে মোট গ্যালাক্সির সংখ্যা কত হতে পারে?, মিল্কিওয়ে কী?, রাতের আকাশে দেখা যাওয়া তারা সবই কী একই রকম?সবার রঙ কী একই?, সকাল, সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের ধারণা কীভাবে এলো?

যাযাবর পাখির সন্ধানে ২০২৪ । বিজ্ঞান-অনুশীলন বই । ৮ম শ্রেনী

2024/2/7 by veg_admin 2 Comments

যাযাবর পাখির সন্ধানে

এই পোস্টে আমরা অষ্টম  শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ১ম শিখন অভিজ্ঞতা– যাযাবর পাখির সন্ধানে- সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

*আমাদের এলাকায় যেসব পরিযায়ী পাখি এসে বাসা বাঁধে-

পরিযায়ী পাখির নাম

বছরের কোন সময়ে দেখা যায়

খয়রা, লালঝুটি ভুতিহাঁস, বন বাটান, গাংচিল ইত্যাদি

বর্ষাকালের শেষে, হেমন্তের শুরুতে, শীতকালে

*পরিযায়ী পাখিগুলো কোথা থেকে আসে?

উত্তরঃ পরিযায়ী পাখিগুলোর মূলত আসে উত্তর মঙ্গোলিয়া, তিব্বতের একটি অংশ, চীনের কিছু অঞ্চল, রাশিয়া ও সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চল থেকে। অর্থাৎ উত্তর মেরু, ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু এলাকা ও হিমালয় পর্বতমালার আশে পাশের এলাকা থেকেই পাখিগুলো দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে  বাংলাদেশে আসে যেখানে তুলনামূলক কম ঠাণ্ডা পড়ে ও খাবার পাওয়া যায়।
 

*গ্লোবের উপর থেকে নিচে লম্বালম্বি এবং দু’পাশে আড়াআড়ি বেশ কিছু রেখা টানা হয়েছে- এই রেখাগুলো কি কাজে লাগে ?

উত্তরঃ গ্লোবের উপর থেকে নিচে লম্বালম্বি’ভাবে দ্রাগিমা রেখা এবং দু’পাশে  আড়াআড়ি’ভাবে অক্ষরেখা টানা হয়েছে। এগুলা পৃথীবির উপর কল্পিত একাধিক রেখা। এই দুই ধরণের কাল্পনিক রেখা পৃথীবির পৃষ্টে কোন স্থানের প্রকৃত অবস্থান নির্ণয় করতে কাজে লাগে।

*অক্ষরেখা কী?

 উত্তরঃ অক্ষরেখা হলো পৃথিবীর কেন্দ্র দিকে উত্তর ও দক্ষিণে কল্পিত রেখা। অর্থাৎ পৃথিবীর উপর অনুভূমিক ভাবে উত্তর থেকে দক্ষিণ বরাবর যে রেখাগুলো বিদ্যমান তাদের অক্ষরেখা বলে। অক্ষরেখাকে ইংরেজিতে latitude বলা হয়।
 
অক্ষরেখাগুলো পরস্পরের সমান্তরাল হওয়ায় যে কোন দুটো অক্ষরেখার মধ্যবর্তী দূরত্ব সব সময় সমান হয়।পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অক্ষরেখা হলো নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা, কর্কটক্রান্তি, মকরক্রান্তি, সুমেরু বৃত্ত এবং কুমেরু বৃত্ত রেখা।
 

*দ্রাঘিমা রেখা কী?

উত্তরঃ অক্ষ রেখাগুলোকে ছেদ করে উত্তর মেরু বিন্দু হতে দক্ষিণ মেরু বিন্দু পর্যন্ত কতকগুলি অর্ধবৃত্তাকার রেখা কল্পনা করা হয়েছে এই অর্ধবৃত্তাকার রেখা গুলির নাম দ্রাঘিমা রেখা।যাযাবর পাখির সন্ধানে
 

*বিষুব রেখা কী?

উত্তরঃ এটি একটি কাল্পনিক রেখা যা পৃথিবীর মাঝ বরাবর এবং উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু থেকে সমান দুরত্বে কল্পনা করা হয় এবং যা পৃথিবীকে দক্ষিণ গোলার্ধ এবং উত্তর গোলার্ধে ভাগ করে। এই রেখাটির মান ০ ডিগ্রি। একে বিষুবীয় রেখাও বলা হয়।
 

*কর্কটক্রান্তি রেখা কী?

উত্তরঃ নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা হতে 23.5 ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ কে কর্কটক্রান্তি রেখা  বা ট্রপিক অব ক্যান্সার বলা হয়।
 

*মকরক্রান্তি রেখা কী?

উত্তরঃ নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা হতে 23.5 ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ কে মকরক্রান্তি রেখা  বলা হয়।
 

*অক্ষাংশ কী?

উত্তরঃ নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোন স্থান এবং পৃথিবীর নিরক্ষীয় তলের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলে।
 

*দ্রাঘিমাংশ রেখা কী?

দ্রাঘিমাংশ রেখা কী?
উত্তরঃ দ্রাঘিমা রেখার প্রতিটি বিন্দু বিষুব রেখার সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে, তার পরিমাপ হলো দ্রাঘিমাংশ। একথাও বলা যায়, দ্রাঘিমাংশগুলো নিয়ে যে মেরুস্পর্শী রেখা তৈরি হয়, তাকে দ্রাঘিমাংশ রেখা বলা যায়।
 
Read More: সবুজ বন্ধু- অষ্টম শ্রেণী
Read More: সূর্যঘড়ি- অষ্টম শ্রেণী

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ

*GPS কী?

উত্তরঃ  GPS এর পুরো নাম Global Positioning System (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম)। একসময় মানচিত্র, কম্পাস, স্কেল ইত্যাশে দিয়ে মেপে ও অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের সাহায্যে ভূপৃষ্টের কোনো স্থানের ভৌগোলিক অবস্থান নির্ণয় করা হত। এখন GPS প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব  সহজে ও নিখুতভাবে  পৃথিবীর কোনো স্থানের অবস্থান জানা যায়। গাড়ি, জাহাজ, প্লেন, ল্যাপটপ এমন কি সাধারণ মডেলের স্মার্টফনেও এখন GPS রিসিভার থাকে।
 

*স্মার্টফোনে GPS ব্যবহার করে কোনো স্থানের (আমাদের স্কুল) অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ কিভাবে নির্ণয় করা হয়?

উত্তরঃ এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে গুগল ম্যাপস অ্যাপ খুলতে হবে। ম্যাপে যেকোনো একটি এলাকা টাচ করে ধরে রাখলে সার্চ বক্সে স্থানাংক দেখা যায়।যেমন- এভাবে আমাদের স্কুলের স্থানাংক  হলো 22.315315, 91.798809 
 

মানচিত্রের সাহায্যে নিচের ছকে দেয়া দেশগুলোর অবস্থানঃ

দেশের নাম

মানচিত্রে অবস্থান (অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ)

কম্বোডিয়া

12.56570 N, 104.99100E 

উরুগুয়ে

32.52280 S, 55.76580 W

ডেনমার্ক

56.26390 N, 9.50180 E

মাদাগাস্কার

18.76690 S, 46.86910 E

জাপান

36.20480 N, 138.25290 E

সেনেগাল

14.49740 N, 14.45240 W

*পৃথিবীর কোন দিকে কখন দিন শুরু হবে,ক’টা বাজবে সেটা কীভাবে ঠিক হবে?(পৃষ্ঠা -৭)

 
উত্তরঃ প্রতিদিন পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে তার নিজ মেরুরেখার উপর আবর্তিত হচ্ছে। ফলে পূর্ব দিকে অবস্থিত স্থানগুলোতে আগে সূর্যোদয় ঘটে। পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোনো স্থানে যখন সূর্য ঠিক মাথার উপর আসে বা সর্বোচ্চে অবস্থান করে তখন এ স্থানে মধ্যাহ্ন এবং স্থানীয় ঘড়িতে তখন বেলা ১২টা ধরা হয়। এ মধ্যাহ্ন সময় থেকে দিনের অন্যান্য সময় স্থির করা হয়। একে কোনো স্থানের স্থানীয় সময় বলা হয়। সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যেও স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায়।
 
আলোচিত দেশগুলোর অবস্থান অনুসারে সময়ঃ
 

দেশের নাম

এই মূহুর্তে ঘড়িতে সময়

বাংলাদেশ

11:14 am

কম্বোডিয়া

12:14 pm

উরুগুয়ে

2:14 am

ডেনমার্ক

6:14 am

মাদাগাস্কার

8:14 am

জাপান

2:14 pm

সেনেগাল

5:14 am

*আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কী?

উত্তরঃ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা (International Date Line) পৃথিবীর পৃষ্ঠে অঙ্কিত একটি কাল্পনিক রেখা যা উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত। এই কাল্পনিক রেখাটি পৃথিবীতে একটি তারিখ শুরু ও শেষ নির্ধারণ করে। 180° মূলমধ্যরেখাটিকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল কারন মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরের বিচ্ছিন্ন জনবহুল অঞ্চলের উপর দিয়ে এই রেখাটি সম্প্রসারিত হয়েছে।

 

Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম সেশনঃEast Asian-Australian Flyway বাংলাদেশ সহ কোন কোন দেশের উপর দিয়ে গেছে?

*বাংলাদেশের উপর বা কাছ দিয়ে কোন যাত্রাপথ গুলো গেছে?

উত্তরঃ বাংলাদেশের উপর দিয়ে  Central Asian Flyway এবং বাংলাদেশের কাছ দিয়ে গেছে East Asian-Australian Flyway।  এই দুটি ফ্লাইওয়ে বা যাত্রাপথ গেছে যা পরিযায়ী পাখিরা ব্যবহার করে।
 

*পরিযায়ী পাখিরা কিভাবে এত লম্বা পথ পাড়ি দেয়?

উত্তরঃ পরিযায়ী পাখিরা তাদের দীর্ঘ অভিযানে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে। এই বিশেষ ‘ফ্লাইওয়ে’গুলো পাখিদের অভিবাসনের জন্য মহাসড়কের মতো কাজ করে। তারা দিকনির্দেশনা পেতে   নদী, উপকূলরেখা বা পর্বতমালা, সূর্য-তারা, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র, তাদের গন্ধের অনুভূতি ব্যবহার করে। এমনকি অন্য পাখিদের অনুসরণ করতে পারে।
এছাড়াও নিচের কৌশলগুলো ব্যবহার করেঃ
 
  • শক্তি সঞ্চয়: যাত্রা শুরুর আগে তারা প্রচুর খাবার খেয়ে শরীরে চর্বি জমা করে, যা উড়ার জ্বালানি দেয়।
  • ঝাঁক বেঁধে উড়ান: ঝাঁকে উড়লে সামনের পাখির সৃষ্ট বাতাস সাহায্যে কম শক্তি লাগে। নেতা পাখি ঝাঁকের পথ নির্দেশ করে।
  • রাতে বিশ্রাম: রাতে তারা নিরাপদ জায়গায় বিশ্রাম নেয় এবং খায়।
  • পথ চলা: কিছু পাখি সমুদ্রের উপর দিয়ে, আবার কিছু পাখি স্থলপথে যাত্রা করে।  তারা খাবার ও বিশ্রামের জন্য রাস্তায় বিশেষ জায়গায় থামে।
  • অভিযানের স্মৃতি: কিছু পাখি পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ও তারকা দেখে পথ চলে। অনেক প্রজন্ম ধরে শেখা পথ মনে রাখে।

এসব কৌশলের সাহায্যে পাখিরা হাজার হাজার মাইল পেরিয়ে যায় প্রতিবছর, আমাদের অবাক করে দিয়ে!

*East Asian-Australian Flyway বাংলাদেশ সহ কোন কোন দেশের উপর দিয়ে গেছে?

উত্তরঃ ইস্ট এশিয়া-অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইওয়ে বাংলাদেশ সহ মোট ৩৭ টি দেশের উপর দিয়ে গেছে। এই দেশগুলো হল:

আফগানিস্তান,অস্ট্রেলিয়া,বাংলাদেশ,ব্রুনাই,কম্বোডিয়া,চীন,ক্রিসমাস দ্বীপ,কোকোস (কিলিং) দ্বীপপুঞ্জ, ডেমোক্রেটিক পিপল’স রিপাবলিক অফ কোরিয়া,গাম্বিয়া,হংকং,ভারত,ইন্দোনেশিয়া,জাপান,কাজাখস্তান,কিরিবাতি,উত্তর কোরিয়া,লাওস,মালয়েশিয়া,মালদ্বীপ,মার্শালদ্বীপপুঞ্জ,মাইক্রোনেশিয়া, মঙ্গোলিয়া,   নাউরু,নিউজিল্যান্ড,পালাউ,ফিলিপাইন,রাশিয়া,সিঙ্গাপুর,দক্ষিণ কোরিয়া,শ্রীলঙ্কা,  তাইওয়ান,থাইল্যান্ড,তিমুর-লেস্তে,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,ভিয়েতনাম।

পাখিদের পরিযায়নের কারণ কী?

উত্তরঃ পাখিরা বিভিন্ন কারণে পরিযান করে। তবে এর মূল কারণ দুটি হল:

১. খাদ্যের সহজলভ্যতা: ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে খাদ্যের সরবরাহ পরিবর্তিত হয়। উত্তর গোলার্ধের অনেক পাখি বসন্তকালে উত্তরে উড়ে যায় প্রচুর পোকামাকড় এবং নতুন জন্ম নেওয়া উদ্ভিদ ও উদ্ভিদাংশ খাওয়ার জন্য। শীতকালে বরফ জমার কারণে খাদ্যের অভাব দেখা দিলে এরা দক্ষিণে রওয়ানা হয়।

২. প্রজনন: অনেক পাখি প্রজননের জন্য নিরাপদ ও উপযুক্ত আবাসস্থল খুঁজে পেতে পরিযান করে। উষ্ণ অঞ্চলে প্রচুর খাদ্য সরবরাহ থাকে বলে অনেক পাখি শীতকালে উষ্ণ অঞ্চলে গিয়ে প্রজনন করে।  

Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী

ষষ্ট সেশনঃ

*পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভূমিরূপ ও আবহাওয়ার পার্থক্যের কারণ কী?

উত্তরঃ  ভূমিরূপ বলতে পৃথিবীর পৃষ্ঠে বিদ্যমান বিভিন্ন ধরণের ভূমি ভাগের আকৃতি, উচ্চতা, বন্ধুরতা, ঢাল, প্রভৃতি অবয়বকে বোঝায়। আক্ষরিক অর্থে ভূমির গঠনগত আকৃতিকেও ভূমিরূপ বলা হয়।
আবহাওয়া হলো বায়ুমণ্ডলের অবস্থা, যা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে পরিবর্তিত হতে পারে। আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান দ্বারা নির্ধারিত হয়, যেমন: তাপমাত্রা,বৃষ্টিপাত, বায়ু,আর্দ্রতা,মেঘের পরিমাণ, বায়ুমণ্ডলীয় চাপ। ভূমিরূপ ও আবহাওয়ার পার্থক্যের কারণ:
ভৌগোলিক অবস্থান: পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের ভৌগোলিক অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন।
নিরক্ষীয় অঞ্চল, মেরু অঞ্চল, উপকূলীয় অঞ্চল, ভূমধ্যস্থলীয় অঞ্চল ইত্যাদি বিভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানের ভূমিরূপ ও আবহাওয়া ভিন্ন হয়।
সৌর বিকিরণ: পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সৌর বিকিরণের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন।
 

* বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে সূর্যের আলো  আপতিত হবার দিকঃ

 

বিভিন্ন
ভৌগোলিক অঞ্চল

বছরের
বিভিন্ন সময়ে সূর্যের আলো আপতিত হবার দিক

(খাড়া বা
তীর্যকভাবে)

দিনের
দৈর্ঘ্য

(শুধুই
দিন/দিনের দৈর্ঘ্য রাতের চেয়ে বেশী/রাতের দৈঘ্য দিনের চেয়ে বেশী/ দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য
কাছাকাছি/ শুধুই রাত)

 

২১শে মার্চ

২১শে জুন

২৩শে সেপ্টেম্বর

২২শে ডিসেম্বর

২১শে মার্চ

২১শে জুন

২৩শে সেপ্টেম্বর

২২শে ডিসেম্বর

উত্তর মেরু

তীর্যক

খাড়া

তীর্যক

আলো পড়েনা

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

শুধুই দিন

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

শুধুই রাত

তুন্দ্রা অঞ্চল

তীর্যক

তীর্যক

তীর্যক

তীর্যক

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

দিনের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশী

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

রাতের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশী

মরুভূমি

তীর্যক

খাড়া বা তীর্যক

তীর্যক

তীর্যক

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

দিনের দৈর্ঘ্য বেশি

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

রাতের দৈর্ঘ্য বেশি

চিরহরিৎ বন

তীর্যক

তীর্যক

তীর্যক

তীর্যক

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

দিনের দৈর্ঘ্য বেশি

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

রাতের দৈর্ঘ্য বেশি

দক্ষিন মেরু

খাড়া

আলো পড়েনা

তীর্যক

খাড়া

রাতের দৈর্ঘ্য ছোট

শুধুই রাত

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

শুধুই দিন

 
 

*সূর্যালোকের বিকিরনের প্যাটার্নের সঙ্গে বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চল সৃষ্টির কোনো সম্পর্ক কি খুঁজে পাও?

উত্তরঃ পৃথিবীর ঘুর্ণন অক্ষ তার কক্ষপথের সাথে ২৩.৫ ডিগ্রী কোনে হেলানো থাকে এবং এই অবস্থায় পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিন করে। ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অক্ষাংশে সুর্যালোকের বিকিরনের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। আবার অক্ষাংশের ভিত্তিতে পৃথিবীকে কয়েকটি ভৌগোলিক অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে, যথাঃ বিষুবীয় অঞ্চল, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল, মেরু অঞ্চল। কোনো স্থানের অক্ষাংশের উপর সেখানের সুর্যালোক কতটা আসবে তার পরিমাণ নির্ভর করে এবং ভৌগোলিক অঞ্চলগুলোকেও ভাগ করা হয়েছে। সুতরাং বলা যায় সুর্যালোকের বিকিরনের প্যাটার্নের সঙ্গে বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চল সৃষ্টির সম্পর্ক রয়েছে। বিষুব রেখার বা তার কাছাকাছি অঞ্চলে সুর্যালোক প্রায় লম্বভাবে পরে। ফলে সেখানে ভূপৃষ্ট বেশী উত্তপ্ত হয়।অপরদিকে মেরু এলাকার কাছাকাছি অঞ্চলে সুর্যালোক প্রায় তীর্যকভাবে পরে। ফলে সেখানে ভূপৃষ্ট শীতল থাকে।
 

তুমি কি কখনো কর্কটক্রান্তি অতিক্রম করেছ? কর্কটক্রান্তির উপরে থাকলে 21শে জুন দুপুর বারোটায় তোমার কোনো ছায়া পড়বে না, কথাটির অর্থ কী?

উত্তরঃ হ্যাঁ, করেছি। 
আমরা জানি কর্কটক্রান্তি রেখার উপর সকল স্থানে ২১শে জুন দুপুর ১২টায় সূর্যের আলো লম্বভাবে পড়ে, তাই সেদিন দুপুর ১২টায় আমার কোনো ছায়া পরবেনা।
 

তোমার স্কুলটি কি বিষুবীয় অঞ্চলে, নাকি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে?

উত্তরঃ বিষুবীয় অঞ্চলে।
 

পৃথিবীর ক্রমাগত ঘূর্ণনের পরেও এর বিভিন্ন অঞ্চলে ভৌগোলিক বৈচিত্র্য কিভাবে সংরক্ষিত হয়?

উত্তর -পৃথিবীর ক্রমাগত ঘূর্ণনের পরেও এর বিভিন্ন অঞ্চলে ভৌগোলিক বৈচিত্র্য সংরক্ষিত থাকে কারণ পৃথিবীর অক্ষীয় ঢাল, ভূত্বকের গঠন, প্লেট টেকটোনিক্স, জলবায়ু এবং জীববৈচিত্র্যের মতো বিভিন্ন প্রক্রিয়া একসাথে কাজ করে।
 
Read More: ফসলের ডাক-েসপ্তম শ্রেণী

সপ্তম ও অষ্টম সেশনঃ

পরিযায়ী পাখিরা ঠিক জায়গায় কীভাবে পৌঁছায়?

উত্তরঃ পরিযায়ী পাখিরা ঠিক জায়গায় পৌঁছাতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে।
অনেক পরিযায়ী পাখির চোখের পেছনে magnetite নামক এক ধরণের খনিজ পদার্থ থাকে যা তাদের পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র অনুভব করতে সাহায্য করে। এর ফলে তারা দিক নির্ণয় করতে পারে এবং তাদের গন্তব্যের দিকে উড়তে পারে। এছাড়া  সূর্য নক্ষত্র, পাহাড় নদীর মতো কিছু ল্যান্ডমার্ক ব্যবহার করে,তারা নিজেদের ঘ্রাণ অনুভূতিকেও কাজে লাগায়।
 

*চুম্বক ও চৌম্বক পদার্থ কী?

 
উত্তরঃ চুম্বক (Magnet): যে সমস্ত বস্তু লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি চৌম্বকীয় পদার্থকে আকর্ষণ করে এবং যার দিগ্‌দর্শী ধর্ম আছে, সেসমস্ত বস্তুকে চুম্বক বলে। বস্তুর এ ধর্মকে চুম্বকত্ব বলে।
 
চৌম্বক পদার্থ: যে সমস্ত পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং যাদেরকে কৃত্রিম উপায়ে চুম্বকে পরিণত করা যায়, তাদের চৌম্বক পদার্থ বলে। যেমন, কাঁচা লোহা, ইষ্পাত, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি হল চৌম্বক পদার্থ।
 

*চুম্বককে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?

 
উত্তরঃ চুম্বকত্বের স্থায়িত্বের উপর নির্ভর করে চুম্বককে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:
 (1) স্থায়ী চুম্বক (Permanent Magnet): যে সমস্ত কৃত্রিম চুম্বকের চুম্বকত্ব অনেকদিন বজায় থাকে, সহজে নষ্ট হয় না, তাদের স্থায়ী চুম্বক বলে। যেমন: দন্ড চুম্বক, চুম্বক শলাকা ইত্যাদি হল স্থায়ী চুম্বক।
 
(2) অস্থায়ী চুম্বক (Temporary Magnet): যে সমস্ত কৃত্রিম চুম্বকের চুম্বকত্ব বেশিদিন স্থায়ী হয় না, তাদের অস্থায়ী চুম্বক বলে। যেমন, কাঁচা লোহার দন্ডকে ঘর্ষণ প্রণালীতে চুম্বকে পরিণত করা হলে যদিও বেশ শক্তিশালী চুম্বকে পরিণত হয়, কিন্তু ওই চুম্বকের চুম্বকত্ব বেশি দিন স্থায়ী হয় না।
 

*কোন ধরণের পদার্থকে চুম্বক আকর্ষন করে/করে না- নোট নাও।

চুম্বক আকর্ষন করে

চুম্বক আকর্ষন করে

বস্তুর নাম

কী দিয়ে তৈরী

বস্তুর নাম

কী দিয়ে তৈরী

পেরেক

লৌহা

চেয়ার

কাঠ

চামচ

স্টীল

জগ

কাঁচ

ব্যাটারী

ইস্পাত

চিরুনি

প্লাস্টিক

খেলনা গাড়ী

লৌহা

বই

কাগজ

মুদ্রা

নিকেল

জামা

কাপড়/তন্তু

*তোমরা কি নিজেরা একটি চুম্বক তৈরী করতে পারবে?

উত্তরঃ 
পরীক্ষনঃ একটি ইস্পাতের টুকরা বা সূঁচকে একটি স্থায়ী চুম্বকে একমুখী ঘর্ষণ করলে এরপর তা কোনো লোহা বা নিকেল পদার্থের কাছে নিলে,আকর্ষণ করছে কী?(পৃষ্ঠা ১৪)
পর্যবেক্ষণ –  ঘর্ষণকৃত ইস্পাতের টুকরা বা সূঁচ লোহা বা নিকেলকে আকর্ষণ করছে।
নোট-একটি ইস্পাতের টুকরা বা সূঁচকে স্থায়ী চুম্বকে একমুখী ঘর্ষণ করা হয়, তখন ইস্পাতের টুকরা বা সূঁচ নিজেই  চুম্বকে পরিণত হয়।
 
***পরীক্ষণঃ একটি বাটিতে পানি নিয়ে তাতে সূচঁটি ভাসালে কী উত্তর দক্ষিণ মুখ করে আছে?বাটিটি ঘুরিয়ে দিলে কী সূঁচের দিক একই থাকছে? (পৃষ্ঠা ১৪)
পর্যবেক্ষণঃ বাটিতে পানি নিয়ে তাতে সূঁচ ভাসালে সূঁচের উত্তর মেরু দক্ষিণ দিকে এবং দক্ষিণ মেরু উত্তর দিকে মুখ করে থাকে।
 
বাটি ঘুরিয়ে দিলে: সূচটি একই দিকে থাকবে।কারণ পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র স্থির থাকে।
 

*চুম্বক কেন উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে থাকে?

উত্তরঃ চুম্বক উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে থাকে কারণ পৃথিবী একটি বিরাট চুম্বক। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র চুম্বকের উপর ক্রিয়া করে এবং এটিকে উত্তর-দক্ষিণ দিকে সারিবদ্ধ করে।পৃথিবীর ভেতরকার চুম্বকটির দক্ষিণ মেরু হচ্ছে উত্তর দিকে এবং উত্তর মেরুটি হচ্ছে দক্ষিণ দিকে।
 

*বৈদ্যুতিক প্রবাহের সাহায্যে কি চুম্বক তৈরি করা সম্ভব? (পৃষ্ঠা ১৫)

উত্তরঃ হ্যাঁ, বৈদ্যুতিক প্রবাহের সাহায্যে চুম্বক তৈরি করা সম্ভব। তড়িৎচুম্বক নামক এক ধরণের চুম্বক তৈরি করা হয় যা বিদ্যুৎ প্রবাহের উপর নির্ভর করে।
 
তড়িৎচুম্বক তৈরি করার পদ্ধতি:
 
একটি তারকে কুণ্ডলী বা সলিনয়েড আকারে পেঁচিয়ে নিতে হয়।এ কুণ্ডলীর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করতে হয়।বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে কুণ্ডলীর ভেতরে ও বাইরে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয়।বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করে দিলে চৌম্বক ক্ষেত্রও বিনষ্ট হয়ে যায়।
 
কি কি ব্যবহার করেছ?
ড্রিঙ্কিং স্ট্র, বৈদ্যুতিক তার, ব্যাটারী, কম্পাস।
 
পর্যবেক্ষণ – 
১.কম্পাস কাছে নেয়ার পর কী ঘটল?
কম্পাসের কাঁটাটি শুরতে উত্তর দিকে মুখ করে থাকে। কুন্ডলীর তারের সাথে ব্যাটারীর সংযোগ দিলে কম্পাসটি কুন্ডলীর দিকে ঘুরে যায়। কারণ, ব্যাটারী থেকে বিদ্যুৎ প্রবাহের কারণে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে এবং সেই চৌম্বক ক্ষেত্রটি কম্পাসের কাঁটাটিকে নিজের দিকে টেনে নিয়েছে।
 
২.ব্যাটারীর দিক বদলে দেয়ার পর কী ঘটেছে?
যদি ব্যাটারী ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহের দিক পালটে দেয়া যায় তাহলে দেখা যায় কম্পাসটিও সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে যাচ্ছে। 

ভাবনার খোরাকঃ

একটি দন্ড চুম্বক বৈদ্যুতিক তারের কুন্ডলীর ভেতরে দ্রুত কিংবা ধীরে আনা নেওয়া করা হলে এমিটারে কী পরিবর্তন দেখা যাবে?

 যখন একটি দন্ড চুম্বক বৈদ্যুতিক তারের কুণ্ডলীর ভেতরে দ্রুত কিংবা ধীরে আনা নেওয়া করা হয়, তখন এমিটারে বিদ্যুৎ প্রবাহের পরিবর্তন দেখা যাবে।

কারণ: দন্ড চুম্বক কুণ্ডলীর ভেতরে আনা নেওয়ার সময় কুণ্ডলীর ভেতরে চুম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন ঘটে। দ্রুত চুম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন বেশি বিদ্যুৎ প্রবাহ সৃষ্টি করে, যার ফলে এমিটারে বেশি ভোল্টেজ দেখা যাবে।
ধীরে চুম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন কম বিদ্যুৎ প্রবাহ সৃষ্টি করে, যার ফলে এমিটারে কম ভোল্টেজ দেখা যাবে।
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী

নবম ও দশম সেশনঃ

কম্পাস বা যেকোন চুম্বকের দুই মেরু সবসময় উত্তর দক্ষিণ মুখ করে থাকে কেন?

উত্তরঃ কম্পাস বা যেকোনো চুম্বকের দুই মেরু সবসময় উত্তর দক্ষিণ মুখ করে থাকে কারণ পৃথিবী নিজেই একটি বিরাট চুম্বক। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের দক্ষিণ মেরু পৃথিবীর ভৌগোলিক উত্তর মেরুর কাছাকাছি অবস্থিত।
 
চুম্বকের দুই মেরু থাকে: উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু। বিপরীত মেরু পরস্পরকে আকর্ষণ করে এবং একই মেরু পরস্পরকে বিকর্ষণ করে। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের দক্ষিণ মেরু কম্পাসের উত্তর মেরুকে আকর্ষণ করে এবং কম্পাসের দক্ষিণ মেরুকে বিকর্ষণ করে।
 
এই কারণে, কম্পাসের উত্তর মেরু সবসময় পৃথিবীর ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরুর দিকে নির্দেশ করে এবং কম্পাসের দক্ষিণ মেরু সবসময় পৃথিবীর ভৌগোলিক উত্তর মেরুর দিকে নির্দেশ করে।
 

পরিযায়ী পাখিদের অস্তিত্বের হুমকি সম্পর্কে তোমরা কোনো ঘটনা শুনেছ?

উত্তরঃ পরিযায়ী পাখিদের অস্তিত্বের হুমকি সম্পর্কে আমার শোনা ঘটনাঃ
পরিযায়ী পাখিদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পতনের ঘটনা  অত্যন্ত দুঃখজনক এবং উদ্বেগজনক।এ বছর শীতকালে আমাদের প্রতিবেশীদের মধ্যে অনেকের মুখে শুনেছি যে পরিযায়ী পাখিদের মাংস অনেক সুস্বাদু। তারা চড়া দামে পরিযায়ী পাখি কিনেছে এবং খেয়েছে। এভাবে শিকার করার ফলে তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে।
 

তোমাদের একালায় পরিযায়ী পাখিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলতে তোমারা কী করতে পারো? 

উত্তরঃ এ সম্পর্কে আমাদের পরিকল্পনা নিম্নরূপঃ
পরিযায়ী পাখিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলতে আমরা ব্যক্তিগতভাবে  এবং  সামাজিকভাবে  অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি।
 
ব্যক্তিগতভাবে:
১। গাছপালা পাখিদের বাসা তৈরি এবং খাদ্য সংগ্রহের জন্য নিরাপদ স্থান প্রদান করে।
২। পাখির খাবার রাখা এবং পানির ব্যবস্থা করা তাদের বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৩। পোষা বিড়াল এবং কুকুর পাখির জন্য হুমকি হতে পারে। তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা পাখিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
৪। কীটনাশক পাখির জন্য ক্ষতিকর। পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি ব্যবহার করে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
 
সামাজিকভাবে:
১। স্থানীয় পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে পাখিদের আবাসস্থল রক্ষার জন্য কাজ করা।
২।পাখিদের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তাদের সমর্থন আদায় করা।
৩।পাখি শিকার এবং ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আইন প্রয়োগ করা।
 

পরিযায়ী পাখিদের সম্পর্কে নতুন কী কী জানলে এই কাজ করতে গিয়ে?

উত্তরঃ 
  • পরিযায়ী পাখিদের ভ্রমণপথ সম্পর্কে জেনেছি।
  • পরিযায়নের কারণ জেনেছি।
  • কিভাবে তারা এতো লম্বা পথ পাড়ি দেয় তা জেনেছি।
  • প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে এদের ভূমিকা সম্পর্কে জেনেছি।

এই কাজ করার পর পরিযায়ী পাখিদের বিষয়ে তোমার নিজের চিন্তায় কি কোনো পরিব্ররতন এসেছে?

উত্তরঃ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পরিযায়ী পাখিদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ব্যাক্তিগত এবং সামাজিক ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী

Filed Under: Class 8, বিজ্ঞান class 8 Tagged With: East Asian-Australian Flyway বাংলাদেশ সহ কোন কোন দেশের উপর দিয়ে গেছে?, অক্ষরেখা কী?, ক'টা বাজবে সেটা কীভাবে ঠিক হবে?, কর্কটক্রান্তি রেখা কী?, দ্রাঘিমা রেখা কী?, দ্রাঘিমাংশ কিভাবে নির্ণয় করা হয়?, পরিযায়ী পাখিগুলো কোথা থেকে আসে?, পরিযায়ী পাখিরা কিভাবে এত লম্বা পথ পাড়ি দেয়?, পৃথিবীর কোন দিকে কখন দিন শুরু হবে, পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভূমিরূপ ও আবহাওয়ার পার্থক্যের কারণ কী?, বাংলাদেশের উপর বা কাছ দিয়ে কোন যাত্রাপথ গুলো গেছে?, যাযাবর পাখির সন্ধানে, সূর্যালোকের বিকিরনের প্যাটার্নের সঙ্গে বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চল সৃষ্টির কোনো সম্পর্ক কি খুঁজে পাও?, স্মার্টফোনে GPS ব্যবহার করে কোনো স্থানের (আমাদের স্কুল) অক্ষাংশ

কোষ পরিভ্রমণ ২০২৪।সপ্তম শ্রেণী | বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin 2 Comments

ঘুরতে যেতে কার না ভালোো লাগে! আমরা যেমন নতুন জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখি, আমাদের বা অন্য কোনো জীবের কোষের ভেতরে ছোট্ট হয়ে ঢুকে গিয়ে যদি কোষের ভেতরটাও এভাবে ঘুরে ঘুরে দেখা যেত তাহলে কেমন হতো? যেহেতু সত্যি সত্যি সেটা সম্ভব নয় তাই এই অভিজ্ঞতায় বিভিন্ন ধরনের কোষের মডেল বানিয়ে সেখানে ঘুরে আসব…

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

 

প্রশ্ন: উদ্ভিদ ও প্রাণীকোষে কী কী কোষ অঙ্গাণু আছে?

উত্তর: উদ্ভিদ কোষে আছে কোষ প্রাচীর, কোষ ঝিল্লি, প্রোটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস, কোষ গহ্বর, গলজি বডি, আন্তঃপাজমীয় জালিকা, মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড। প্রাণী কোষে আছে কোষ ঝিল্লি, প্রোটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস, কোষ গহ্বর, গলজি বডি, আন্তপ্রাজমীয় জালিকা, মাইটোকন্ড্রিয়া সেন্ট্রোসোম, লাইসোসোম ইত্যাদি।

প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া ও নিউক্লিয়াসে কী কী বিদ্যমান?

উত্তর: প্লাস্টিডে বহিঃস্তর ঝিল্লি, অন্তস্তর ঝিলি, লুমেন, গ্রানাম, স্ট্রোমা, থাইলাকয়েড ইত্যাদি বিদ্যমান। মাইটোকন্ড্রিয়াতে আছে ক্রিস্টি, ম্যাট্রিক্স, অভ্যন্তরীণ ঝিল্লি, বাহ্যিক ঝিল্লি ইত্যাদি। নিউক্লিয়াসে আছে নিউক্লিয়ার ঝিল্লি, ক্রোমাটিন জালিকা, নিউক্লিওলাস, নিউক্লিয়ার রন্দ্র, নিউক্লিওপ্লাজম ইত্যাদি।

নিউক্লিয়াস কী? 

উত্তর: নিউক্লিয়াস (ইংরেজি: Cell Nucleus) হল প্রোটোপ্লাজমের সবচেয়ে ঘন, পর্দাঘেরা এবং প্রায় গোলাকার অংশ যা কোষের সব জৈবনিক ক্রিয়া বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে ৷

নিউক্লিয়াসের গঠন ও কাজ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: কোষের প্রোটোপ্লাজমে অবস্থিত দ্বি-স্তরবিশিষ্ট ঝিল্লি দিয়ে ঘিরে রাখা অস্বচ্ছ অঙ্গাণুকে নিউক্লিয়াস বলে।

অবস্থান: কোষের কেন্দ্রস্থলে থাকে।

আকৃতি: কোষভেদে নিউক্লিয়াস সাধারণত গোলাকার, উপবৃত্তাকার বা নলাকার হয়ে থাকে।

গঠন : প্রতিটি নিউক্লিয়াস চারটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত। এগুলো হলো-

নিউক্লিয়ার পর্দা: সজীব ও দ্বিস্তরবিশিষ্ট যে পর্দা দিয়ে প্রতিটি নিউক্লিয়াস আবৃত থাকে, তাকে নিউক্লিয়ার পর্দা বলে। নিউক্লিয়ার পর্দা অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত। এসব ছিদ্রের নাম নিউক্লিয়ার রঙ।

নিউক্লিওপ্লাজম: নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরস্থ নিউক্লিয়ার মেমব্রেন দিয়ে আবৃত স্বচ্ছ, দানাদার ও জেলির মতো অর্ধতরল পদার্থটির নাম নিউক্লিওপ্লাজম বা ক্যারিওলিম্ফ।

নিউক্লিওলাস: নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে অবস্থিত ক্ষুদ্র, গোলাকার, উজ্জ্বল ও অপেক্ষাকৃত ঘন বস্তুটি নিউক্লিওলাস নামে পরিচিত। সাধারণত প্রতিটি নিউক্লিয়াসে একটি নিউক্লিওলাস থাকে।

নিউক্লিওজালিকা বা ক্রোমাটিন তন্তু: নিউক্লিওপ্লাজমে ভাসমান অবস্থায় প্যাচানো সুতার মতো গঠনটি নিউক্লিওজালিকা বা ক্রোমাটিন জালিকা নামে পরিচিত।

কাজ: নিউক্লিয়াস কোষের সকল কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।

Read More: সূর্যালোকের রান্না-সপ্তম শ্রেণী
Read More: ফসলের ডাক-সপ্তম শ্রেণী
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী

তৃতীয় সেশনঃ

কোন কোন উপাদান  উদ্ভিদ ও প্রাণী দুই ধরণের কোষেই থাকে? এদের কাজ কি?

উত্তরঃ কোষ ঝিল্লী, সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস, রাবোজোম, মাউটোকন্ড্রিয়া, গলজিবডি ইত্যাদি। এদের কাজ নিম্নরুপঃ
 
  •  কোষঝিল্লি কোষের আকৃতি বজায় রাখে, পানি ও পুষ্টি উপাদানের প্রবেশ ও বেরোনো নিয়ন্ত্রণ করে।
  • সাইটোপ্লাজম
  • কোষের অঙ্গাণুগুলিকে ধারণ করে এবং কোষের বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।
  • নিউক্লিয়াস কোষের জিনগত তথ্য ধারণ করে এবং কোষের বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • রাইবোজোম প্রোটিন সংশ্লেষণ করে।
  • মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের শক্তি কেন্দ্র, শ্বসন প্রক্রিয়া করে কোষের জন্য শক্তি উৎপাদন করে।
  • গলজিবস্তু প্রোটিন পরিপক্ক করে, কোষের বাইরে নিঃসরণের জন্য প্রস্তুত করে।
 

কোন কোন উপাদান শুধু উদ্ভিদ বা প্রাণিকোষে  থাকে? এদের কাজ কি?

শুধুমাত্র উদ্ভিদকোষে থাকে-

কোষপ্রাচীর-জীবানুর আক্রমন থেকে রক্ষা করে।
ক্লোরোপ্লাস্ট– উদ্ভিদের খাদ্য তৈরী করে।
ভ্যাকিউল- কোষকে স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
 

শুধুমাত্র প্রানীকোষে থাকে-

লাইসোজোম- কোষের পরিপাক ব্যবস্থা।
সেন্ট্রিওল– কোষ বিভাজনে সহায়তা করে।
 

উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের অঙ্গাণুর মধ্যে মিল-অমিল লেখ।

উত্তর: উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের সাদৃশ্যঃ
  • উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয় কোষেই নিউক্লিয়াস আছে।
  • উভয় কোষেই গলজি বডি আছে।
  • উভয় কোষেই আন্তঃপ্লাজমীয় জালিকা আছে।
  • উভয় কোষেই মাইটোকন্ড্রিয়া জালিকা আছে।
  • উভয় কোষেই সাইটোপ্লাজম আছে।
  • উভয় কোষেই কোষ ঝিল্লি আছে।

উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের অঙ্গাণুর মধ্যে মিল-অমিল

উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের বৈসাদৃশ্যঃ

উদ্ভিদকোষ

প্রাণিকোষ

উদ্ভিদকোষে কোষ প্রাচীর আছে

প্রাণীকোষে কোষ প্রাচীর নাই

উদ্ভিদকোষে প্লাস্টিড আছে

প্রাণীকোষে প্লাস্টিড নাই

সেন্ট্রিওল থাকেনা (নিম্নশ্রেণীর কিছু উদ্ভিদকোষ ছাড়া)

সেন্ট্রিওল থাকে

উদ্ভিদকোষের নিউক্লিয়াস একপাশে থাকে।

প্রাণীকোষের নিউক্লিয়াস কেন্দ্রে থাকে

সঞ্চিত খাদ্য-স্টার্চ

সঞ্চিত খাদ্য-গ্লাইকোজেন

উদ্ভিদ কোষে কোষগহ্বর আছে

প্রাণীকোষে নাই থাকলেও আকারে অনেক ছোট।

মাইক্রোভিলাই থাকেনা

কোষঝিল্লীতে মাইক্রোভিলাই থাকে

লাইসোসোমের উপস্থিতি বিরল

লাইসোসোম থাকে

একটা উদ্ভিদ কোষ এবং প্রাণী কোষের মাঝে কোন পার্থক্যটি তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি চমকপ্রদ মনে হয় কেন?

উত্তর: উদ্ভিদ কোষ এবং প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য হল কোষ প্রাচীরের উপস্থিতি। কোষ প্রাচীর হল একটি শক্ত, বাইরের স্তর যা উদ্ভিদ কোষকে ঘিরে থাকে। এটি উদ্ভিদ কোষকে রক্ষা করে এবং তাদের আকৃতি দেয়। প্রাণী কোষে কোষ প্রাচীর থাকে না,কিন্তু কোষঝিল্লি থাকে।এ পার্থক্যটি আমার কাছে চমকপ্রদ মনে হয়েছে।

 

মাইটোকন্ড্রিয়া সম্পর্কে লিখ। (পৃষ্ঠা -৩০)

কোষ পরিভ্রমণউত্তর: মাইটোকন্ড্রিয়া হলো কোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গাণু। এখানে শ্বসন প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদনের কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন হয়। এটি উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করে। এটি বৃত্তাকার, দন্ডাকার, কুন্ডলী আকার হতে পারে।
গঠন : প্রতিটি মাইটোকন্ড্রিয়া দুই স্তরবিশিষ্ট আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে। এই ঝিল্লিটি প্রোটিন ও লিপিড দিয়ে তৈরি। মাইটোকন্ড্রিয়ার ঝিল্লির বাইরের আবরণটি মসৃণ, কিন্তু ভেতরের আবরণটি স্থানে স্থানে ভাঁজ হয়ে ভেতরের দিকে ঝুলে থাকে। এ ভাঁজগুলোকে ক্রিস্টি বলা হয়। মাইটোকন্ড্রিয়ার ভেতরের অর্ধতরল দানাদার পদার্থকে ম্যাট্রিক্স বলা হয়। মাইটোকন্ড্রিয়ার নিজস্ব ডিএনএ আছে, যা  ম্যাট্রিক্স-এ অবস্থান করে।
মাইটোকন্ড্রিয়ার কাজ : কোষের জৈবিক কাজ পরিচালনার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন তার একমাত্র উৎস মাইটোকন্ড্রিয়া। তাই একে কোষের শক্তিঘর বা পাওয়ার হাউস বলে। সমস্ত অক্সিজেন পরিবহন ও শ্বসন কাজ পরিচালনায় এটি প্রধান ভূমিকা পালন করে।
 

ক্লোরোপ্লাস্ট-এর গঠন ও কাজ বর্ণনা কর। (পৃষ্ঠা ৩৩)

উত্তর: সবুজ ক্লোরোফিলযুক্ত প্লাস্টিডকে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে।
কেবল উদ্ভিদ কোষেই ক্লোরোপ্লাস্ট পাওয়া যায়। উদ্ভিদের পাতা, ফুল, ফল ইত্যাদিতে এটা দেখা যায়।উচ্চ শ্রেণির উদ্ভিদ কোষে ক্লোরোপ্লাস্টের আকৃতি লেন্সের মতো হয়।
গঠন : ক্লোরোপ্লাস্টের প্রাচীর দুই স্তরবিশিষ্ট। বাইরের স্তরকে বহিঃস্তর এবং ভেতরের স্তরকে অন্তঃস্তর বলে। অন্তঃস্তরের ভিতরে কতকগুলো পিপা সদৃশ চাকতি আকৃতির মতো অংশ রয়েছে। এদেরকে গ্রানাম বলে। চাকতিগুলো একটির উপর একটি স্তূপের ন্যায় সজ্জিত থাকে। একে গ্রানাম চক্র বা থাইলাকয়েড বলে। পাশাপাশি দুটি থাইলাকয়েডের মধ্যকার সংযোগকারী অংশকে লুমেন বলে। ক্লোরোপ্লাস্টের অভ্যন্তরের তরল পানিগ্রাহী অংশকে ম্যাট্রিক্স বা স্ট্রোমা বলে।
কাজ :
  • সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করা।
  • ফুল, পাতা ও ফলকে রঙিন করে কীটপতঙ্গকে আকৃষ্ট করে যেন পরাগায়ন সহজ হয়।
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী

চতুর্থ সেশন ঃ

জীব বড় হয় কীভাবে? (পৃষ্ঠা ৩৫)

উত্তর: কোষ হলো জীবের গঠন।ও কাজের একক।কোষ ২ ধরনের- দেহকোষ এবং জননকোষ।প্রতিটি জীবের দেহ দেহকোষ দ্বারা গঠিত। এই দেহ কোষের সংখ্যা কোষ বিভাজনের মাধ্যমে বৃদ্ধি ঘটে,ফলে জীবদেহের সামগ্রিক বৃদ্ধি ঘটে এবং জীব বড় হয়।
 

আমাদের ত্বক কেটে গেলে আবার কিছুদিন পর সেরে গিয়ে নতুন ত্বকের সৃষ্টি হয় কীভাবে? (পৃষ্ঠা ৩৫)

উত্তর: আমরা জানি আমাদের দেহের কোষ সংখ্যায় বৃদ্ধি পায় এবং নতুন কোষ সৃষ্টি হয় বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।আমাদের ত্বক কেটে গেলে সেখানে আবার কিছুদিন পর সেরে গিয়ে নতুন ত্বকের সৃষ্টি হয় মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে। মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় কেটে যাওয়া স্থানে নতুন কোষ সৃষ্টি হয় এবং ক্ষত পূরণ হয়ে নতুন ত্বকের সৃষ্টি হয়।
 

টিউমার কীভাবে ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে? ব্যাখ্যা কর। (পৃষ্ঠা ৩৫)      

                                       অথবা,

আমাদের শরীরে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে কোষের মৃত্যু হয়। সময় মতো মৃত্যু না হলে আমাদের কী সমস্যা হতে পারে? এই ছন্দপতন কেন হয় এবং তা ঠেকানোর জন্য আমাদের কী করণীয়?

উত্তর: কোষ বিভাজন অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত একটি প্রক্রিয়া।জীবদেহের সামগ্রিক বৃদ্ধিতে কোষ বিভাজনের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে যেকোনো জীবের কোষের সংখ্যা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়া বিপদজনক । যদি কোনো কোষ অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে সংখ্যায় বাড়তে থাকে, তবে তা জীবের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এরকম ক্ষতিকর পরিণতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হচ্ছে ক্যান্সার। মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় একটি থেকে দুটি, দুটি থেকে চারটি, এভাবে কোষ বিভাজিত হয়ে।নতুন কোষের সৃষ্টি হয়। সংখ্যাবৃদ্ধি করার প্রক্রিয়ায় একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে কোষগুলোর মৃত্যু হয়। এভাবে জীবের কোষের সংখ্যার একটি ভারসাম্য রক্ষা হয়। কিন্তু যদি কোনো কারণে কোষের মৃত্যু না হয়, অথচ নতুন নতুন কোষ তৈরি হতেই থাকে, তবে শরীরে টিউমার হতে পারে, যা এক পর্যায়ে ক্যান্সারের রূপ গ্রহণ করে।


কোষ বিভাজনে ছন্দপতনের কারণঃ 

  • জিনগত ত্রুটি,
  • পরিবেশগত কারণ,
  • রাসায়নিক পদার্থ,
  • ভাইরাস,
  • বিকিরণ।
প্রতিরোধের উপায়ঃ
১ জীবনধারাগত পরিবর্তন:
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
  • ধূমপান ও অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকা
  • সময়মতো পর্যাপ্ত ঘুম
  • মানসিক চাপ কমানো
২ চিকিৎসা:

  • অ্যান্টি-ক্যান্সার ওষুধ
  • রেডিওথেরাপি/কেমোথেরাপি
  • জিন থেরাপি

৩ প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ:

  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
  • ক্যান্সারের টিকা গ্রহণ
  • জিনগত পরীক্ষা (প্রয়োজনে)

৪ সচেতনতা বৃদ্ধি:

  • ক্যান্সার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন
  • সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা।


Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7 Tagged With: আমাদের ত্বক কেটে গেলে আবার কিছুদিন পর সেরে গিয়ে নতুন ত্বকের সৃষ্টি হয় কীভাবে?, উদ্ভিদ ও প্রাণীকোষে কী কী কোষ অঙ্গাণু আছে?, উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের অঙ্গাণুর মধ্যে মিল-অমিল লেখ।, কোষ পরিভ্রমন, ক্লোরোপ্লাস্ট-এর গঠন ও কাজ বর্ণনা কর, জীব বড় হয় কীভাবে?, টিউমার কীভাবে ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে? ব্যাখ্যা কর।, নিউক্লিয়াসের গঠন ও কাজ ব্যাখ্যা কর।, প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া ও নিউক্লিয়াসে কী কী বিদ্যমান?, মাইটোকন্ড্রিয়া সম্পর্কে লিখ

পদার্থের সুলুকসন্ধান ২০২৪।সপ্তম শ্রেণী|বিজ্ঞান অনুশীলন বই।

2024/2/7 by veg_admin 5 Comments

পদার্থের সুলুকসন্ধান

পদার্থের সুলুকসন্ধান! অর্থাৎ পদার্থের খোঁজখবর। এই যে আমাদের চারপাশে এত বস্তু আমরা দেখি তার ভেতরকার গঠন আসলে কেমন? পদার্থকে আমরা যদি ভাঙতে থাকি, তাহলে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর পর্যায়ে গিয়ে আমরা আসলে কী দেখব? ঠিক কী কারণে আমরা একেক পদার্থে একেক রকম বৈশিষ্ট্য দেখি? এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আমাদের এবারের শিখন অভিজ্ঞতা ‘পদার্থের সুলুকসন্ধান!’পদার্থের সুলুকসন্ধান

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন ঃ

ধাতুঃ যে সকল পদার্থ চকচকে, আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ করে এবং তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী সেগুলোকে ধাতু বলে। যেমন: স্টিল, লোহা, তামা, আলুমিনিয়াম ইত্যাদি।

অধাতুঃ যে সকল পদার্থ চকচকে নয়, ভঙ্গুর, আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ করে না এবং তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী নয় সেগুলোকে অধাতু বলে। যেমন: কাঠের বস্তু, প্লাস্টিকের বস্তু, কাপড় ইত্যাদি।

বস্তুর নাম

বস্তুটি যে
পদার্থ দিয়ে তৈরি

বস্তুটির
বাহ্যিক অবস্থা (কঠিন / তরল / বায়বীয়
 

বস্তুটির
বৈশিষ্ট্য কী কী (ভঙ্গুর কিনা
, আঘাত করলে ঝনঝন
শব্দ হয় কিনা
, চকচকে কিনা
ইত্যাদি

বস্তুটি কি কাজে
লাগে
?

কড়াই

লোহা

কঠিন

ভঙ্গুর কিনা = না
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = হ্যা
চকচকে কিনা = হ্যা

খাবার রাখা বা রান্না করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 

ফ্যান

লোহা

কঠিন

ভঙ্গুর কিনা = না
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = হ্যা
চকচকে কিনা = হ্যা

ঘর ঠাণ্ডা বা
শীতল করতে ব্যবহৃত হয়।
 

হাড়ি

এলুমিনিয়াম/দস্তা/স্টীল

কঠিন

ভঙ্গুর কিনা = না
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = হ্যা
চকচকে কিনা = হ্যা

খাবার রাখা বা রান্না করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 

চেয়ার/টেবিল

কাঠ

কঠিন

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

বসার জন্য
ব্যবহৃত হয়।

টুল/বেঞ্চ

কাঠ

কঠিন

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

বসার জন্য
ব্যবহৃত হয়।

হোয়াইট  বোর্ড

প্লাস্টিক 

কঠিন

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

লেখার জন্য
ব্যবহৃত হয়।

ডাস্টার

প্লাস্টিক,কাঠ ও কাপড়

কঠিন 

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

লেখা মুছার জন্য ব্যবহৃত হয়।

কলম

প্লাস্টিক 

কঠিন 

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

লেখার জন্য
ব্যবহৃত হয়।

এল.ই.ডি লাইট

প্লাস্টিক 

কঠিন 

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

ঘর আলোকিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 

থালা-বাসন

প্লাস্টিক 

কঠিন 

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

খাবার রাখার
জন্য ব্যবহৃত হয়।

সুইচ বোর্ড

প্লাস্টিক 

কঠিন 

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

বিদ্যুৎ সংযোগের
কাজে ব্যবহৃত হয়।

গরম হাঁড়ি-পাতিল ধরতে গেলে কাঠের হাতল বা কাপড়ের হাতা ব্যবহার করা হয়, কেন?

উত্তর : গরম হাঁড়ি-পাতিল ধরতে গেলে কাঠের হাতল বা কাপড়ের হাতা ব্যবহার করা হয়। কারণ কাঠ বা কাপড় তাপ পরিবহন করে না। তাই এটি সহজে গরম হয় না। ফলে এগুলো দিয়ে গরম হাঁড়ি-পাতিল ধরলে হাত পুড়ে যায় না।

বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য যে তার ব্যবহার করা হয় তার উপরের স্তর প্লাস্টিকের হলেও ভেতরে তামার তার ব্যবহৃত হয়, সেটাই বা কেন?

উত্তর: বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য যে তার ব্যবহৃত হয় তার ভিতরে থাকে তামার তার যা বিদ্যুৎ পরিবহন করে। সরাসরি তামার তার যদি বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহার করা হয়, তবে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে তামার তারের উপরে প্লাস্টিকের স্তর দেওয়া হয়, কারণ প্লাস্টিক বিদ্যুৎ অপরিবাহী। যার ফলে সহজে কোন দুর্ঘটনা ঘটে না।

কেন কাঠ, প্লাস্টিক বা কাপড় যে বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, তার থেকে অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল, লোহা, তামা এদের ধর্ম আলাদা হয়?

উত্তর: কাঠ, প্লাস্টিক বা কাপড় হলো অধাতু। এরা তাপ ও বিদ্যুৎ অপরিবাহী। এদের আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় না। অন্যদিকে অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল, তামা হলো ধাতু। এরা তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী। এরা দেখতে চকচকে এবং আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয়।

উপরের ছকের বস্তুগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে নিচের শর্ত অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করোঃ

বস্তুর
নাম

কী
দিয়ে তৈরি
? 

ধা্তু নাকি অধাতু

তাপ পরিবহন করে কিনা?

বিদ্যুৎ পরিবহন করে কিনা।

চেয়ার/টেবিল

কাঠ

অধাতু

না/তাপ অপরিবাহী

না/বিদ্যুৎ অপরিবাহী

কাপড় 

সুতা

অধাতু

না/তাপ অপরিবাহী

না/বিদ্যুৎ অপরিবাহী

তামার তার

তামা

ধাতু

হ্যাঁ/তাপ সুপরিবাহী

হ্যাঁ/বিদ্যুৎ সুপরিবাহী

হাড়ি

লোহা

ধাতু

হ্যাঁ/তাপ সুপরিবাহী

হ্যাঁ/বিদ্যুৎ সুপরিবাহী

স্টিল 

স্টিল 

ধাতু

হ্যাঁ/তাপ সুপরিবাহী

হ্যাঁ/বিদ্যুৎ সুপরিবাহী

লোহা

লোহা

ধাতু

হ্যাঁ/বিদ্যুৎ সুপরিবাহী

হ্যাঁ/বিদ্যুৎ সুপরিবাহী

প্লাস্টিকের
পদার্থ
 যেমন বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড

প্লাস্টিক 

অধাতু

না/বিদ্যুৎ অপরিবাহী

না/বিদ্যুৎ অপরিবাহী

 

যেসব পদার্থ বিদ্যুৎ ও তাপ পরিবহন করে, তাদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যগুলো কী? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১৯)

উত্তর: বিদ্যুৎ ও তাপ পরিবাহী পদার্থের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য-
১. সাধারণত উজ্জ্বল হয়।
২. এগুলো সাধারণত শক্ত ও ওজনে ভারী হয়।
৩. আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয়।
৪. এগুলো ঘাতসহ ও নমনীয় ।
৫. এগুলোকে পিটিয়ে পাতলা পাতে ও সরু তারে পরিণত করা যায়।
 

কেন কিছু কিছু পদার্থ দিয়ে তৈরি বস্তু তাপ পরিবহন করে আবার কিছু বস্তু করে না? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১৯)

উত্তর: ধাতু জাতীয় পদার্থের পরমাণুগুলোর শেষ কক্ষপথে যে ইলেকট্রন থাকে সেগুলো সাধারণত খুব দুর্বলভাবে আটকে থাকে বা মুক্ত অবস্থায় থাকে। ধাতব স্ফটিকে এরকম মুক্তভাবে থাকা ইলেক্ট্রনকে সঞ্ছারনশীল ইলেক্ট্রন বলে। ফলে খুব সহজেই সেটি এক পরমাণু থেকে অন্য পরমাণুতে যেতে পারে। এই মুক্ত ইলেকট্রন দিয়ে তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহন হয়ে থাকে। অধাতুর পরমাণুর শেষ কক্ষপথে সঞ্ছারনশীল  ইলেকট্রন নেই, তাই সেখানে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করার জন্য কোনো মুক্ত ইলেকট্রন নেই। তাই অধাতু তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহন করে না।
Read More: সূর্যালোকের রান্না-সপ্তম শ্রেণী
Read More: ফসলের ডাক-সপ্তম শ্রেণী

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশন ঃ

পরমাণু মডেলে ইলেক্ট্রনগুলো কয়টি কক্ষপথে সাজানো আছে, পারমানবিক ভর, সংখ্যা ইত্যাদিঃ

ধাতু ও অধাতুর পার্থক্যঃ (পৃষ্ঠা নং ২১)

ধাতু

অধাতু

১. সাধারণত উজ্জ্বল হয়

১. সাধারণত উজ্জ্বল নয়

২. সাধারণত শক্ত ও ওজনে ভারী হয়।

 

২. সাধারণত নরম ও ওজনে তুলনামূলক কম ভারী হয়।

৩. ধাতুকে আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয়।

৩. অধাতুকে আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় না।

৪. তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী।

 

৪. তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী নয়।

৫. ঘাতসহ ও নমনীয়। একে পিটিয়ে পাতলা পাতে ও সরু তারে পরিণত করা যায়।

৫. অধাতুকে পিটিয়ে পাতলা পাতে কিংবা সরু তারে পরিণত করা যায় না।

 

পরিবাহী পদার্থ বলতে কী বুঝ?

উত্তর: যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহন হয়, তাদেরকে পরিবাহী বলে। যেমন- লোহা(Fe), তামা(Cu), নিকেল(Ni), সোনা(Au) রূপা(Ag),আলুমিনিয়াম(Al) ইত্যাদি।

অপরিবাহী পদার্থ কাকে বলে?

উত্তর: উত্তর: যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহন হয় না, তাদেরকে অপরিবাহী বলে। যেমন- সালফার(S), ফসফরাস(P), নাইট্রোজেন(N) ইত্যাদি।

অর্ধপরিবাহী পদার্থ কাকে বলে?

উত্তর: যেসব পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা সাধারণ তাপমাত্রায় পরিবাহী ও অপরিবাহী পদার্থের মাঝামাঝি সেসব পদার্থকে অর্ধপরিবাহী বলে। যেমন- জার্মেনিয়াম, সিলিকন(Si)ইত্যাদি।

ইলেকট্রন বিন্যাসের কোন পার্থক্যের কারণে ধাতু বেশি তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী হয়?

উত্তর: ধাতব স্ফটিকে ধাতব বন্ধন থাকে। ধাতব পরমাণুগুলো এদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তর থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন ত্যাগ করে।ধাতুর পরমাণুসমূহ যে ইলেকট্রন ত্যাগ করে  সেই ইলেকট্রনগুলো ধাতব স্ফটিকের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে মুক্তভাবে চলাচল করে।এদেরকে সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন বলে।

সঞ্চারণশীল ইলেকট্রনগুলো কোন ধাতব পরমাণুর সাথে নির্দিষ্টভাবে যুক্ত থাকে না। এই সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন যেহেতু সমস্ত ধাতব স্ফটিকের উপর মুক্তভাবে চলাচল করার কারনে এরা তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহনে সহায়তা করে।এজন্য ধাতুসমূহ তাপ এবং বিদ্যুৎ সুপরিবাহী হয়।

দৈনন্দিন জীবনে তাপ ও বিদ্যুৎ সম্পর্কিত কাজের উদাহরণঃ

যে কাজে প্রয়োজন (উদাহরণ) চুলায় রান্না

ধাতু/অধাতু
কোনটি বেশি উপযোগী
? উদাহরণ: ধাতু, যেমন-অ্যালুমিনিয়াম,স্টিল, লোহা ইত্যাদি

বৈদ্যুতিক তার

ধাতু যেমন- তামা, নাইক্রোম, টাংস্টেন

বৈদ্যুতিক বাল্ব

ধাতু যেমন- টাংস্টেন, অধাতু-প্লাস্টিক

পাখা চালানো

ধাতু

তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র

ধাতু যেমন- পারদ

ব্যাটারী তৈরী

ধাতু যেমন- পিতল, দস্তা, তামা। অধাতু-কয়লা, কার্বন

জেনারেটর চালানো

ধাতু

কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের পরমাণুগুলো কীভাবে বিন্যাস্ত থাকে?

উত্তর : কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের পরমাণুগুলো কীভাবে বিন্যাস্ত থাকে তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ
কঠিন: কঠিন পদার্থের কণাগুলো খুব কাছাকাছি এবং নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকে, একটির সাপেক্ষে অন্যটি নড়তে পারে না,কিন্তু কম্পন থাকে। তাই কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার হয়। কাছাকাছি থাকার কারণে কঠিন পদার্থের উপর চাপ প্রয়োগ করলে এগুলো সংকুচিত হয় না এবং গ্যাস কিংবা তরলের মতো প্রবাহিত করা যায় না।
 
তরল: পদার্থ যখন তরল অবস্থায় থাকে তখন কণাগুলো তুলনামূলকভাবে কাছে হলেও একটা কণা অন্য কণার সাপেক্ষে নড়তে পারে, তাই সেগুলোর নির্দিষ্ট আয়তন থাকলেও কোনো নিয়মিত আকার নেই এবং তরল সহজেই প্রবাহিত হয়। তরল পদার্থকে যে পাত্রে রাখা হয় তরল পদার্থ সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। তরল পদার্থের কণাগুলো কাছাকাছি থাকায় সেগুলোর মধ্যে ফাঁকা জায়গা নেই বলে চাপ দিয়ে সংকুচিত করা যায় না।
 
গ্যাসীয়: যখন কোনো পদার্থ গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে, তখন তার কণাগুলো মুক্ত অবস্থায় থাকে এবং একটি থেকে অন্যটির দূরত্ব হয় বেশি। সেজন্য সেগুলোর কোনো নিয়মিত আকার বা আয়তন নেই, গ্যাসকে যে পাত্রে রাখা হয়, সেই পাত্রের পুরো আয়তন দখল করে।
 
গ্যাসের কণাগুলো একে অপর থেকে অনেক দূরে দূরে অবস্থান করে তাই চাপ প্রয়োগ করে এগুলোকে সহজেই সংকুচিত করা যায়। গ্যাসের কণাগুলো অন্য কণার সাপেক্ষে ছুটতে পারে বলে গ্যাস সহজেই প্রবাহিত হয়।
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম ও ষষ্ট সেশন ঃ

পানি কিভাবে আগুন নেভাতে সাহায্য করে?

 উত্তর: আগুনের সংস্পর্শে পানি গেলে আগুনের তাপে পানি বাষ্পে পরিণত হয়। এই বাষ্প অক্সিজেনকে আগুনের সংস্পর্শে যেতে বাঁধা দেয়। আর আমরা সকলেই জানি অক্সিজেন ছাড়া আগুন জ্বলতে পারেনা। এভাবেই পানি আগুন নেভায়।
 

কার্বন ডাই অক্সাইড কীভাবে আগুন নেভাতে সাহায্য করে? 

উত্তর: কার্বন ডাই অক্সাইড নিজে দাহ্য নয় এবং দহনে সাহাহ্য ও করেনা। বাতাসে যদি অক্সিজেনের ঘনত্ব বেশি থাকে তাহলে আগুন বেড়ে যায় আর যদি কার্বন – ডাইঅক্সাইডের ঘনত্ব বেশি থাকে তবে আগুন নিভে যায়।
 

পদার্থ কী?

পদার্থ: যে সকল বস্তুর ভর ও নির্দিষ্ট আয়তন আছে ,বল প্রয়োগে বাঁধা প্রদান করে,তাদেরকে পদার্থ বলে।
 

মৌলিক পদার্থ কী?

উত্তর: যেসকল পদার্থকে ভাঙ্গলে ঐ পদার্থ ছাড়া অন্যকোন পদার্থ পাওয়া যায় না তাকে মৌলিক পদার্থ বলে। যেমন: কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O)
 

যৌগিক পদার্থ কাকে বলে?

 উত্তর:যে সকল পদার্থকে ভাঙ্গলে দুই বা দুইয়ের অধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায় তাকে যৌগিক পদার্থ বলে। যেমন: পানি (H2O), কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) 
যৌগিক পদার্থের ধর্ম হচ্ছে সেটি যে মৌলিক পদার্থ দিয়ে তৈরি তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়।
 

পদার্থ

স্বাভাবিক তাপমাত্রায় অবস্থা (কঠিন/তরল/ বায়বীয়)

আগুনে দাহ্য কিনা

অন্যান্য বৈশিষ্ট্য (স্বাদ/গন্ধ/বর্ণ) যদি জানা থাকে

অক্সিজেন(O2)

বায়বীয়

হ্যা

স্বাদহীন, গন্ধহীন, বর্ণহীন

হাইড্রোজেন(H2)

বায়বীয়

হ্যা

স্বাদহীন, গন্ধহীন, বর্ণহীন

পানি(H2O)

তরল

না

স্বাদহীন, গন্ধহীন, বর্ণহীন

কার্বন ডাই অক্সাইড (C02)

বায়বীয়

না

স্বাদহীন, গন্ধহীন, বর্ণহীন

কার্বন (C)

কঠিন 

হ্যা

স্বাদহীন, গন্ধহীন।

মিশ্রণ কি?

মিশ্রণ: দুই বা ততোধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ একত্রে অবস্থান করাকে মিশ্রণ বলে।
যেমন: বায়ু (নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড বা বাষ্প ইত্যাদি থাকে), লবণ এবং পানির মিশ্রণ , চিনি-লবণ মিশ্রণ।
 
নোটঃ মিশ্রনের উপাদানগুলোর নিজ নিজ ধর্ম বজায় থাকে। একাধিক মৌল বা যৌগ রাসায়নিকভাবে যুক্ত হয় না।
যেমন: ঝালমুড়িতে বিভিন্ন উপাদানের(মুড়ি,চানাচুর,পেয়াজ,মরিচ,ইত্যাদি)  মিশ্রণ থাকে যারা একে অপরের সাথে মিশ্রিত অবস্থায় থাকলেও নতুন কোন যৌগের সৃষ্টি হয়না।দ্রবনও এক প্রকারের মিশ্রণ। তবে দ্রবনএবং মিশ্রনের পার্থক্য হলো দ্রবনের উপাদান গুলো আলাদা করা যায় না,মিশ্রনের উপাদানগুলোকে আলাদা করা যায়।
 

বিশুদ্ধ পদার্থ কি?

বিশুদ্ধ পদার্থ: যে পদার্থগুলোর মধ্যে একাধিক পদার্থ মিশে থাকে না তাদেরকে বিশুদ্ধ পদার্থ বলে।
যেমন: পানি, চিনি, লবণ, কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজন, হাইড্রোজেন ইত্যাদি ।
 

পদার্থ

স্বাভাবিক তাপমাত্রায় অবস্থা (কঠিন/তরল/বায়বীয়)

আগুনে দাহ্য কিনা?

অন্যান্য বৈশিষ্ট্য (স্বাদ, বর্ণ, গন্ধ)

পানি

তরল

না

স্বাদহীন,বর্ণহীন, গন্ধহীন

লবন/চিনি

কঠিন (লবণ)

না

নোনতা,গন্ধহীন, বর্ণঃ সাদা,লাল,নীল, সবুজ ইত্যাদি।

লবন/চিনি

কঠিন ( চিনি)

না

মিষ্টি,গন্ধহীন, বর্ণঃ সাদা, লাল, বাদামী

পানি ও লবন/চিনি মিশ্রনে তৈরী সরবত

তরল

না

চিনি ও লবনের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে

 

মৌল বা যৌগের সংকেত

কোণ মৌলের কয়টি পরমাণু রয়েছে?

CO

কার্বন ১টি, অক্সিজেন ১টি

H2SO4

হাইড্রোজেন ২টি, সালফার ১টি, অক্সিজেন ৪টি

O3

অক্সিজেন ৩টি

N2O

নাইট্রোজেন ২টি,অক্সিজেন ১টি

Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী

সপ্তম ও অষ্টম  সেশনঃ

খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য হওয়ার কারণ কী?

★খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য হওয়ার কারণ:

সূর্যের উচ্চতা সারাদিন পরিবর্তিত হয়। সূর্যোদয়ের সময়, সূর্য দিগন্তের কাছাকাছি থাকে এবং ছায়া দীর্ঘ হয়। দুপুরের সময়, সূর্য আকাশে সবচেয়ে উঁচুতে থাকে এবং ছায়া সবচেয়ে ছোট হয়। সূর্যাস্তের সময়, সূর্য আবার দিগন্তের কাছাকাছি চলে আসে এবং ছায়া আবার দীর্ঘ হয়।

*মৌলিক পদার্থ, যৌগিক পদার্থ এবং মিশ্রনের অনু,পরমাণুগুলো কিভাবে বিন্যস্ত থাকে? এবং এদের পার্থক্য কী?

অনু পরমাণু গুলোর বিন্যাস:

মৌলিক পদার্থ: একই রকম পরমাণুগুলি নিয়মিতভাবে সাজানো থাকে।কেলাস, ঘনক্ষেত্র, ষড়ভুজাকার ইত্যাদি কাঠামো তৈরি করে।
যৌগিক পদার্থ: ভিন্ন ধরনের পরমাণুগুলি নির্দিষ্ট অনুপাতে সাজানো থাকে।নির্দিষ্ট আকার এবং আকৃতির অণু তৈরি করে।
মিশ্রণ: উপাদানগুলির অনু পরমাণু গুলোর কোন নির্দিষ্ট বিন্যাস থাকে না।উপাদানগুলি এলোমেলোভাবে মিশ্রিত থাকে।


মৌলিক পদার্থ, যৌগিক পদার্থ এবং মিশ্রনের মধ্যে পার্থক্যঃ

বৈশিষ্ট্য

মৌলিক পদার্থ

যৌগিক পদার্থ

মিশ্রণ

উপাদান

একই রকম পরমাণু

ভিন্ন ধরণের
পরমাণু

ভিন্ন ধরণের
পদার্থ

অনুপাত

নির্দিষ্ট

নির্দিষ্ট

নির্দিষ্ট নয়

বন্ধন

রাসায়নিক বন্ধন

রাসায়নিক বন্ধন

শারীরিক বন্ধন

বিভাজন

ভাঙ্গা যায়না

ভাঙ্গা যায়

আলাদা করা
যায়

উদাহরণ

অক্সিজেন,
হাইড্রোজেন

পানি, কার্বন
ডাই অক্সাইড

বাতাস, ব্রোঞ্জ,
লবণাক্ত জল

তোমার দল একই পানি এবং পানি লবনের মিশ্রণের স্ফুটনাংক একাধিকবার পরিমাপ করলে ফলাফল কী হুবহু একই এসেছে? 

একই পানি এবং পানি লবনের মিশ্রণের স্ফুটনাংক একাধিকবার পরিমাপ করলে ফলাফল প্রতিবার একই হবে।
কারণ, স্ফুটনাংক হলো একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা যেখানে কোন পদার্থের বাষ্পচাপ তরলের চাপের সমান হয়। পানি এবং পানি লবনের মিশ্রণের ক্ষেত্রে, স্ফুটনাংক নির্ভর করে মিশ্রণে লবণের পরিমাণের উপর।


*সকল দল একই পানি এবং পানি লবনের মিশ্রণের স্ফুটনাংক  পরিমাপ কি একই হয়েছে নাকি আলাদা?

বিভিন্ন দল একই পানি এবং পানি-লবনের মিশ্রণের স্ফুটনাংক একাধিকবার পরিমাপ করলে ফলাফল একেবারে একই না এলেও খুব কাছাকাছি এসেছে।

*কেন একই পদার্থ হওয়ার পরেও স্ফুটনাংক হুবহু একই হলোনা ?

ফলাফলের ভিন্নতা আসার কারণ হতে পারে-
  • পরিমাপের ত্রুটি,
  • যন্ত্রপাতির ত্রুটি,
  • মানুষের ত্রুটি,
  • পরিবেশগত প্রভাব।

কি প্রক্রিয়ায় এই পরমাপ করা হয়েছে? কোন দলের ফলাফল সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য?

তাপীয় উৎস যেমন হিটার ব্যবহার করে পানি উত্তপ্ত করা হয়। পানি ফুটতে শুরু করলে রাসায়নিক থার্মোমিটার ব্যবহার করে রিডিং নেয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটি লবনপানি মিশ্রনের জন্য পুনরাবৃত্তি করা হয়।

যে দলটি সাবধানতার সাথে পরিমাপ করে এবং নির্ভরযোগ্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তাদের ফলাফল বেশি নির্ভরযোগ্য।ফলাফলের নির্ভুলতা নিশ্চিত করার জন্য একাধিকবার পরীক্ষা করা উচিত।
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান - নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী
Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7 Tagged With: কার্বন ডাই অক্সাইড কীভাবে আগুন নেভাতে সাহায্য করে?, কেন কাঠ, কেন কিছু কিছু পদার্থ দিয়ে তৈরি বস্তু তাপ পরিবহন করে আবার কিছু বস্তু করে না?, কেন?, গরম হাঁড়ি-পাতিল ধরতে গেলে কাঠের হাতল বা কাপড়ের হাতা ব্যবহার করা হয়, তাদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যগুলো কী?, তামা এদের ধর্ম আলাদা হয়?, তার থেকে অ্যালুমিনিয়াম, ধাতু ও অধাতুর পার্থক্যঃ, পদার্থ কী?, পদার্থের বৈশিষ্ট্য, পদার্থের সুলুকসন্ধান, পরমাণু মডেল, পরিবাহী পদার্থ বলতে কী বুঝ?, পানি কিভাবে আগুন নেভাতে সাহায্য করে?, প্লাস্টিক বা কাপড় যে বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য যে তার ব্যবহার করা হয় তার উপরের স্তর প্লাস্টিকের হলেও ভেতরে তামার তার ব্যবহৃত হয়, বিশুদ্ধ পদার্থ কি?, মিশ্রণ কি?, মৌলিক পদার্থ কী?, যেসব পদার্থ বিদ্যুৎ ও তাপ পরিবহন করে, যৌগিক পদার্থ কাকে বলে?, লোহা, সেটাই বা কেন?, স্টিল

ফসলের ডাক ২০২৪।সপ্তম শ্রেণী। বিজ্ঞান অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin 6 Comments

কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে?

এই পোস্টে আমরা সপ্তম  শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ১ম শিখন অভিজ্ঞতা- ফসলের ডাক সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে ?

বৈচিত্র‍্যময় ছয় ঋতুর বাংলাদেশের মাটিতে ফলে নানা রকম ফল ও সবজি। আমাদের দেশে খরিপ-১, খরিপ-২ ও রবি এ তিন মৌসুমে চাষাবাদ হয়ে থাকে। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়।

 
কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে ?

কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে ?

উত্তর: ফসলের মৌসুমকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়।
 ১। রবি মৌসুম: আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস (অক্টোবর’এর মাঝামাঝি থেকে মধ্য মার্চ)
 ২। খরিপ ১ মৌসুম: ফাল্গুন মাস থেকে আষাঢ় মাস (মার্চ‘এর মাঝামাঝি থেকে জুলাই পর্যন্ত)

৩। খরিপ ২ মৌসুম: আষাঢ় মাস থেকে ভাদ্র মাস (জুলাই ‘এর মাঝামাঝি থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর)। 

রবি মৌসুমে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা কম থাকে। বৃষ্টিপাতও কম হয়। এ সময় শীতকালীন শাকসবজি যেমন-ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, লাউ, সীম, টমেটো,বেগুন, আলু, তৈলবীজ, মটরশুঁটি, পেয়াজ ইত্যাদির চাষ করা হয়। এ ছাড়া বোরো ধান, গম, ডাল ও সরিষা রবি মৌসুমে উদপাদিত হয়।

খরিপ -১ এর সময়কালকে গ্রীষ্মকাল ও বলা হয়। এ সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে। মাঝে মাঝে ঝড় বৃষ্টি হয়। এ মৌসুমে আউশ ধান, পটল, কাঁকরোল,পাট, ঢেঁড়শ, করলা, বরবটি, চাল্কুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, সজনে, লাল শাক, মিষ্টিকুমড়া ইত্যাদি ফসলের চাষ হয়। এ মৌসুমে আম, জাম, কাঠাল, লিচু, পেঁপে ইত্যাদি  উদপাদিত হয়।

খরিপ-২ এর মৌসুমে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে এ মৌসুমকে বর্ষাকাল বলে। আমন ধান, পানিকচু, ধুন্দল,চাল্কুমড়া,  ও বর্ষাকালীন শাকসবজি এ মৌসুমের প্রধান ফসল।  জাম্বুরা, তাল, আমলকি, কাঁঠাল, জলপাই এ মৌসুমের প্রধান ফল।

কিভাবে ভালো চারা বাছাই করতে হয়?

উত্তর: বৈচিত্র‍্যময় ছয় ঋতুর বাংলাদেশের মাটিতে ফলে নানা রকম ফল ও সবজি। আমাদের দেশে খরিপ-১, খরিপ-২ ও রবি এ তিন মৌসুমে চাষাবাদ হয়ে থাকে। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়।
 

ভালো চারাগাছ চেনার বিভিন্ন উপায় বা কৌশল রয়েছে। যেমনঃ

  • নার্সারিতে একই জাতের বিভিন্ন চারাগাছ থাকে। কিন্তু সবগুলোর বৃদ্ধি সমান হয় না। তাই যে গাছটির বৃদ্ধি ভালো হয়েছে এমন গাছটি দেখে নিতে হবে।
  • চারাগাছ কেনার সময় ভালো করে দেখে নিতে হবে গাছটি রোগাক্রান্ত কি না। যেমন পাতা শুকনো কিনা, কুঁকড়ানো কি না, পাতার উপর নিচে কোনো পোকামাকড় আছে কি না!
  • চারাগাছটির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুটের মধ্যে হতে হবে। এ উচ্চতার চারাগাছ সহজে মানিয়ে নিতে পারে।
  • চারাগাছ কেনার সময় খেয়াল করতে হবে গাছের গোড়াটা একটু মোটা ও সবল কি না।
  • চারাগাছের শিকড় অক্ষত আর চারা যেন থাকে সবুজ ও তাজা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • চারাগাছে ফুল বা ফল ধরা থাকলে সেক্ষেত্রে তা লাগানোর জন্য যথোপযুক্ত নয়।
  • চারাগাছের  মূল শিকড়কে অবশ্যই খুব যত্ন করে রাখতে হবে,কোনভাবে যেনো কাটা না পড়ে।
  • গ্রাফটিং চারা চেনার সহজ উপায় হলো – গাছের গোড়ায় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে দুটো গাছকে কেটে জোরা দেওয়া হয়েছে এবং জোরা দেওয়া স্থানে পলিথিন বা কাপড় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আবার গ্রাফটিংয়ের কিছুটা উপর থেকে যেন গাছের ডালপালা শুরু হয় সেটিও খেয়াল করতে হবে।
  • গ্রাফটিং না হলে দেখতে হবে চারাটি গুটিকলমের কি না। গুটিকলম হলেও জাত ভালো হবে। এক্ষেত্রে করণীয় হলো ভালো করে দেখে নেওয়া কলমে শিকড় এসেছে কি না!
  • ফুল ফল গাছের চারা কেনার সময় গাছের পাতার উপরিভাগে ভালো করে দেখে নিতে অগ্রমুকুল ঠিক আছে কি না। না হলে নতুন ডাল গজাতে বা পাতা আসতে সময় বেশি নিতে পারে।
 

মাটি বা পরিবেশের কোন বৈশিষ্টের জন্য কোন ফসল/উদ্ভিদ ভালো জন্মে?

উত্তর: মাটি /পরিবেশ ফসল উৎপাদনের অন্যতম মাধ্যম।বাংলাদেশের মাটিতে অল্প বিস্তর সব ফসলই জন্মে। কিন্তু সব অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য একরূপ নয়।
  • এঁটেল ও এঁটেল দোআঁশ,নদ-নদীর  অববাহিকা ও হাওর-বাঁওড় এলাকা যেখানে | পলি জমে সেখানে ধান ভালাে জন্মে।
  • দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি গম চাষের জন্য ভালাে।যে মাটিতে PH (অম্লাত্মক-ক্ষারত্মক) ৬.০ থেকে ৭.০ সেসব মাটিতে গম ভালাে হয় ।
  • নদীবাহিত গভীর পলিমাটি পাট চাষের জন্য বিশেষ উপযােগী।
  • দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতেও পাট ভালাে হয়।
  • উঁচু ও মাঝারি জমিতে দোআঁশ, বেলে দোআঁশ, এঁটেল দোআঁশ এবং পলি দোআঁশ মাটিতে ডাল জন্মে।
  • ডাল নিরপেক্ষ বা ক্ষারীয় চুনযুক্ত মাটিতে ভালাে হয়।
  • শুষ্ক ও ঠাণ্ডা আবহওয়া এবং অল্প বৃষ্টিপাত ডাল ফসল চাষের জন্য উপযােগী।
  • আলু, টমেটো ইত্যাদির জন্যে বেলে দোআঁশ,দোআঁশ মাটি উপযোগী।
  • পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হলে গাজর চাষের ফলন ভালো হয়।
  • পোঁকামাকড় এর উপদ্রব কম হলে শিমগাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।
  •  মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি থাকলে এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হলে শাকসবজি খুব সহজে বেড়ে উঠতে পারে।
  • পজলাবদ্ধতামুক্ত জমি হলে, পেঁপে গাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।
  •  উষ্ণ আবহাওয়া এবং শিলাবৃষ্টি ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হলে আম গাছ খুব দ্রুত বেড়ে উঠে।
  •  এছাড়াও জৈব পদার্থ এবং সঠিক পরিচর্যা করলে শীতিকালীন বিভিন্ন  ধরনের সবজী চাষ ভালো হয়।

বিবর্তন কাকে বলে?

উত্তর: কোন জীব বা উদ্ভিদের এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যাওয়ার সময় কিছু পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনকে বিবর্তন বলে।
 

অভিযোজন কাকে বলে?

উত্তর: একটি জীব বা উদ্ভিদ তার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য যেসব কৌশল পদ্ধতি অনুসরণ করে তাকে অভিযোজন বলে।
 

আমাদের চারপাশে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় জীবের বৈশিষ্ট্য আলাদা হয় কেন?

 উত্তর: আমাদের চারপাশে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় জীব বিদ্যমান। এ সকল জীবের বৈশিষ্ট্য ও গঠন ভিন্ন ধরনের হয়। জীবসমূহ এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যাবার সময় কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ছোট পরিবর্তন ঘটতে ঘটতে একপর্যায়ে আলাদা বৈশিষ্ট্যের নতুন জীব দেখা যায় যা আদিপুরুষ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। অর্থাৎ বিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন জীবের মধ্যে বৈচিত্র্য দেখা যায়। এই বৈচিত্র্য পরিবেশগত, প্রজাতিগত এবং জিনগত কারণে হয়ে থাকে।
 
 

আমাদের এলকায় যে উদ্ভিদের ফলন ভালো হয়, কেন অন্য পরিবেশে তা ততো ভালো ফলন দেয় না?

উত্তর: আমাদের এলাকার যেসব উদ্ভিদের ফলন ভালো হয় তা অন্য পরিবেশে অত ভালো ফলন দেয় না। কারণ আমাদের এলাকার আবহাওয়া, জলবায়ু, মাটির গঠন প্রকৃতি, পানির প্রাপ্যতা, মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা, মাটির উর্বরতা প্রভৃতি বৈশিষ্টসমূহের কারণে যে সকল উদ্ভিদ ভালোভাবে অভিযোজিত হয় সেগুলো অধিক ফলন দেয়। কিন্তু এ সকল উদ্ভিদকে অন্য অঞ্চলে রোপন করলে আশানুরূপ ফলন দেয় না। কারণ নতুন পরিবেশে সঠিকভাবে অভিযোজন করতে সক্ষম না হওয়ায় উদ্ভিদটি টিকে থাকতে পারে না। আর যদি টিকেও থাকে তাহলে বৃদ্ধি ও ফলন কম হয়।
 
 

অতিথি শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া গুরুত্বপুর্ণ তথ্যঃ

 
১.ভালো, উচ্চ ফলনশীল এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত বাছাই করতে হবে।
২. প্রয়োজনে বীজ/কলম এবং মাটি শোধন করে নিতে হবে।
৩. চারা লাগানোর পূর্বে জৈব এবং রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে মাদা তৈরি করতে হবে। কিছুদিন পর পর ইউরিয়া, ড্যাপ সার,পটাশ সার ইত্যাদি দিতে হবে।
৪. ফল গাছ লাগানোর পর খুঁটির ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. পরিচর্যামূলক কাজ করতে হবে।
৭. সঠিক সময়ে ফল আহরণের পর গাছের ডালপালা ছাটাই করতে হবে।

তোমার
এলাকায় দেখা যায় এমন পাঁচটি প্রাণীর নাম

এদের
খাদ্যাভ্যাস কেমন
?

এদের
বাসস্থান কেমন
?

অন্যান্য
বৈশিষ্ট্য যদি উল্লেখ করতে চাও

তোমার
পরিবেশের কী কী বৈশিষ্ট্য তাকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে


বিড়াল

মাংসাশী
প্রাণী। বিভিন্ন ধরণের মাছ, মাংস, ইঁদুর ইত্যদি।

জলাভূমি,
বেলাভূমি, তীরবর্তি অঞ্চলের ঘন গাছপালা, গৃহস্থ বাড়ি সবখানে এরা অভিযোজিত হতে
পারে।

খুব
তীক্ষ্ণ ও উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পায়।

খাদ্যের
প্রাপ্যতা, অনুকূল পরিবেশ।


দোয়েল

ছোট
কীট পতঙ্গ, শুঁয়ো পোকা, কেঁচো, টিকটিকি, গিরগিটি ইত্যাদি

নাতিশীতোষ্ণ
অঞ্চলে এদের বিস্তার।গাছের কোটরে কিংবা ফাটলে এরা খড় কুটো জমা করে বাসা তৈরি
করে।

১।
নানা রকম সুরে ডাকাডাকি করতে পারে।

২।
সাহসী, স্বাধীন ও অস্থির প্রকৃতির।

পর্যাপ্ত
আলো
,
বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের
প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ।


মৌমাছি

ফল,মিষ্টি
জাতীয় পদার্থ
 ,ফুলের মধু এবং তরল ফলসমুহ। ফুলের নেক্টার
এবং পোলেন।

মৌচাক
হলো মৌমাছির আবাসস্থল। এরা গাছ
, গাছের পাতা, ফুলের গুচ্ছ, বাশের
ঝাড় ইত্যাদিতে
 
বসবাস করে।

১।
কান না থাকা সত্ত্বেও মৌমাছিরা যে পৃষ্ঠে অবতরণ করে তার কম্পন অনুভব করতে সক্ষম।এরা
প্রচন্ড পরিশ্রমী।

পর্যাপ্ত
আলো
,
বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের
প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ।


কুনোব্যাঙ

ছোট
ছোট পেকামাকড়,ছোট মাছ, ঘাসফড়িং,লাভা

ঘরের
কোণে
,
গাছের কোটরে এবং মাটিতে গর্ত করে বসবাস করে।

১।
এরা লার্ভা দশায় পানিতে বাস করে এসময় ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালাই এবং
পরিনত বয়সে ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।

পর্যাপ্ত
আলো
,
বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের
প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ।


রুই মাছ


অতিক্ষুদ্র প্ল্যাংকটন,
 শৈবাল ও নিমজ্জিত উদ্ভিদ।

স্বাদু
পানির জলাশয় বিশেষ করে পুকুর
, হ্রদ, নদী, খাল, বিল
এবং হাওর।

১।
দাঁত বিহীন চোয়াল

২। চোখের পাতা নেই।

পর্যাপ্ত
আলো
,
বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের
প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ।

Read More: সূর্যালোকের রান্না-সপ্তম শ্রেণী
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ

 

হরিপদ কাপালী নতুন ধানের জাত কিভাবে খুজে পেলেন? যে প্রক্রিয়ায় তিনি নতুন ধানের জাত আবিস্কার করলেন তার ধাপ গুলো কি কি?

উত্তর: হরিপদ কাপালী ছিলেন বাংলাদেশের যশোর এলাকার একজন সাধারণ কৃষক।কৃষক হলেও তিনি আসলে একজন বিজ্ঞানী। প্রায় দেড় দশক আগে নিজের বিআর-১১(ইরি) ধানের জমিতে একটি ধানের ছড়া হরিপদ কাপালীর নজর কাড়ে। ধানের গোছা বেশ পুষ্ট এবং গাছের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। এই ছড়াটি তিনি নজরদারিতে রাখেন। ধানের ছড়া বের হলে তিনি দেখতে পান ছড়াগুলো তুলনামূলকভাবে অন্য ধানের চেয়ে দীর্ঘ এবং প্রতিটি ছড়ায় ধানের সংখ্যাও বেশি। ধান পাকলে তিনি আলাদা করে বীজ ধান হিসেবে রেখে দেন। পরের মৌসুমে এগুলো আলাদা করে আবাদ করলেন এবং আশাতীত ফলন লাভ করেন। এভাবে তিনি ধানের আবাদ বাড়িয়ে চলেন। আর নিজের অজান্তেই উদ্ভাবন করেন এক নতুন প্রজাতির ধান। কৃষক এ ধানের  নাম দেন ‘হরিধান।এভাবে তিনি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে নতুন জাতের ধান আবিষ্কার করেন। বর্তমানে এটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।কৃষিবিজ্ঞানীরা একমত হয়েছেন যে,হরিধানে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি এবং অতিবৃষ্টিতে সহনীয়। তার অনুসরণীয় ধাপগুলো হলোঃ

  • সমস্যা নির্বাচন/চিহ্নিতকরণ
  • প্রশ্নকরন
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত
  • পরীক্ষণ
  • সিদ্ধান্ত গ্রহণ
  • ফলাফল প্রকাশ

জীববৈচিত্র্য কাকে বলে?

উত্তর: জল, স্থল সকল জায়গায় সকল পরিবেশে থাকা সকল ধরনের জীব এবং উদ্ভিদের বিচিত্রতাকে জীববৈচিত্র্য বলে।

পৃথিবীতে কত প্রজাতির জীব রয়েছে? 

উত্তর: প্রায় ৮-১৪ মিলিয়ন (৮০ থেকে ১৪০ লক্ষ) বিভিন্ন প্রজাতির জীব এই পৃথিবীতে রয়েছে।

বাস্তুতন্ত্র বা বায়োম কাকে বলে?

উত্তর: অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন জীবগোষ্ঠী এবং তার পরিবেশের জড় উপাদান মিলে যে সিস্টেম তৈরি হয়, তাকে বলা হয় ইকোসিস্টেম (Ecosystem) বা বাস্তুতন্ত্র বা বায়োম বলে।

জীববৈচিত্র্যের হটস্পট কী?

উত্তর: জীব বৈচিত্রের হটস্পট বলতে সেই অঞ্চল গুলিকে বোঝানো হয় যেখানে এমন কিছু জীব প্রজাতি পাওয়া যায় যেগুলো পৃথিবীর অন্য কোন অঞ্চলে আর দেখা যায় না এবং সেই জন্যই এই সমস্ত অঞ্চলের জীব প্রজাতি গুলির বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশনঃ

 

কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে ?

 

 

এক সপ্তাহ পর

দুই সপ্তাহ পর

তিন সপ্তাহ পর

চার সপ্তাহ পর

কি কি কাজ করেছ

দো-আঁশ মাটির
সাথে জৈব সার এবং রাসায়নিক সার মিশিয়ে মাটি চাষ উপযোগী করেছি।এই মাটিদিয়ে
টবভর্তি করেছি এবং পানি দিয়েছি।

মাটিভর্তি টবে বেগুণের
চারা রোপন করেছি।

আগাছা পরিষ্কার
করেছি।

মাটিতে ইউরিয়া
সার প্রয়োগ করেছি।

নতুন কি কি
জানলে
?

চারাগাছের জন্য
মাটি তৈরি পদ্ধতি।
 

চারা রোপন
পদ্ধতি
 

জমিতে আগাছা
পরিষ্কারের উপায়গুলো
  জেনেছি।

জমিতে সারের
ব্যবহার
 

ফসল/ উদ্ভিদের
বৃদ্ধি/পরিবর্তন
 

×

চারাগাছের
গোড়াগুলো ধীরে ধীরে শক্ত হচ্ছে

চারাগাছগুলো
শক্ত হয়ে নতুন পাতা গজিয়েছে এবং ১ ইঞ্চি পরিমান উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে

বেগুন গাছের
কান্ড শক্ত ও মোটা হচ্ছে এবং ২-৪ ইঞ্চি পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে।

সহায়তা দানকারী
কৃষকের স্বাক্ষর
 

ইমরান

ইমরান

ইমরান

ইমরান

.

পাচঁ সপ্তাহ পর

ছয় সপ্তাহ পর

সাত সপ্তাহ পর

আট সপ্তাহ পর

কি কি কাজ করেছ

টবে পানি
দিয়েছি। মাটিতে চটা হলে চটা ভেঙে দিয়েছি

পোকামাকড় দমনের
জন্য কীটনাশক ব্যবহার করেছি

পুনরায় আগাছা
পরিষ্কার করেছি এবং বিভিন্ন ধরণের সার প্রয়োগ করেছি
 

বেগুন  গাছ থেকে কিছু বেগুন  তুলেছি

নতুন কি কি
জানলে
?

কখন এবং কতটুকু
টবে পানি দিতে হবে তা জেনেছি

টবে কীটনাশক
কীভাবে প্রয়োগ করে।

সার প্রয়োগের
২য় ধাপ এবং আগাছা পরিষ্কারের শেষ ধাপ

কখন বেগুন  ফুল ফোটে এবং কত বড় হলে বেগুন  তোলা যাবে।

ফসল/ উদ্ভিদের
বৃদ্ধি/পরিবর্তন
 

বেগুন গাছের
অনেক শাখা-প্রশাখা বের হয়েছে

বেগুন গাছ
প্রায় ৮-১০ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে
 

বেগুন গাছে ফুল
আসতে শুরু হয়েছে এবং এর উচ্চতা ১০-১২ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে
 

বেগুন গাছের ফুল
ঝরা শুরু করেছে এবং তার উচ্চতা ১৫-২০ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে
 

সহায়তা দানকারী
কৃষকের স্বাক্ষর
 

ইমরান

ইমরান

ইমরান

 

বিষুবরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য বেশি কেন? 

উত্তর: ভিন্ন ভিন্ন কারণে বিষুবরেখার কাছাকাছি জীববৈচিত্র্য, বা প্রজাতি এবং বাস্তুতন্ত্রের বৈচিত্র্য সাধারণত বেশি হয়। নিচে কয়েকটি কারণ দেয়া হলো:

১. বিষুবরেখায় অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উচ্চ তাপমাত্রা এবং অধিক বৃষ্টিপাত থাকে যা বিস্তৃত প্রজাতির উন্নতির জন্য আদর্শ পরিস্থিতি প্রদান করে।

২. বিষুবরেখার একটি দীর্ঘ ক্রমবর্ধমান ঋতু রয়েছে, যা বছরের বেশিরভাগ সময় গাছপালা বৃদ্ধি এবং প্রজনন করতে দেয়। এটি উদ্ভিদ প্রজাতির বৃহত্তর বৈচিত্র্যের দিকে পরিচালিত করে এবং তারা ইকোসিস্টেমগুলিকে সমর্থন করে।

৩. নিরক্ষীয় অঞ্চলগুলি অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দীর্ঘকাল ধরে রয়েছে এবং তাই প্রজাতির বিকাশ এবং বৈচিত্র্যের জন্য আরও বেশি সময় পেয়েছে।

৪. বিষুবরেখার কাছাকাছি তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের উল্লেখযোগ্য ঋতু পরিবর্তনের অভাব প্রজাতিগুলিকে সারা বছর সক্রিয় থাকতে এবং প্রজনন করতে দেয়, যা বৃহত্তর সামগ্রিক জীববৈচিত্র্যের দিকে পরিচালিত করে।

৫. নিরক্ষীয় অঞ্চলগুলি পাহাড়, রেইনফরেস্ট এবং নদী সহ জটিল টপোগ্রাফি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যা বিভিন্ন প্রজাতির বসবাসের জন্য বিভিন্ন ধরনের আবাসস্থল প্রদান করে।

৬.সারাবছরই এখানে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পাওয়া যায়। তাই এখানে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া খুব ভালো হয় এবং অঙ্কুরোদগমও সহজ হয়। সেই কারণে এখানে বহুপ্রজাতি এবং বহুসংখ্যার উদ্ভিদ সমাবেশ দেখা যায়।

৭. এখানে বহু প্রজাতির জীবের একত্র সহবস্থান লক্ষ করা যায়। তা ছাড়া এক একটি প্রজাতির জীবের সংখ্যাও অনেক বেশি। সেই সমস্ত প্রজাতির মধ্যে মিলনের মাত্রাও বেশি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জীববৈচিত্র্য অনেক বেশি।

বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষনের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আলোকপাত কর।

উত্তর: বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষনের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে হা হলো:

  • ১। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সরকার দেশের বনাঞ্চলের কিছু অংশ সংরক্ষিত এলাকা হিসেব ঘোষণা করেছে।
  • ২। প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ আহরণ বন্ধ করা হয়েছে।
  • ৩। মানুষ সৃষ্ট বনায়নের পুরাতন গাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
  • ৪। বন্যপ্রাণী নিধন ও পাচার রোধে নতুন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৈরি করা হয়েছে।

ফসলের মাঠ/নার্সারি/স্থান বাগানে কাজ করতে তোমাদের কেমন লেগেেছে?

উত্তর: ফসলের মাঠ/ছাদবাগান/ নার্সারিতে কাজ করতে আমার অনেক নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি কাজ করতে আনন্দ পেয়েছি, সময়টা ভালো কেটেছে। অবসর সময়ে এটা আমার এখন অন্যতম প্রিয় কাজ।
 

এ কাজে তোমরা নতুন কি কি শিখেছ?

উত্তর: আমি এ কাজ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমি শিখতে পেরেছি কিভাবে মাটি তৈরি করতে হয়, আমি চারাগাছ কিভাবে রোপন করতে হয় তা শিখেছি আগাছা পরিষ্কারের উপায় গুলো সম্পর্কে জেনেছি। জৈব সার এবং রাসায়নিক সার সম্পর্কে জেনেছি। কীটনাশক কখন ও কীভাবে দিতে হয় তা শিখেছি। কোন মৌসুমে কোন ফসলের ফলন ভালো হয় তা জেনেছি।
 
 
 
 
 
 
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7 Tagged With: অভিযোজন কাকে বলে?, আমাদের এলকায় যে উদ্ভিদের ফলন ভালো হয়, আমাদের চারপাশে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় জীবের বৈশিষ্ট্য আলাদা হয় কেন?, কীভাবে ভালো চারা বাছাই করতে হয়?, কেন অন্য পরিবেশে তা ততো ভালো ফলন দেয় না?, কোন ফসলের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়?, কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে?, জীববৈচিত্র্য কাকে বলে?, জীববৈচিত্র্যের হটস্পট কী?, ফসলের ডাক, ফসলের মাঠ/নার্সারি/স্থান বাগানে কাজ করতে তোমাদের কেমন লেগেেছে?, বাস্তুতন্ত্র বা বায়োম কাকে বলে?, বিবর্তন কাকে বলে?, বিষুবরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য বেশি কেন?, হরিপদ কাপালি নতুন ধানের জাত কিভাবে খুজে পেলেন?

  • « Go to Previous Page
  • Go to page 1
  • Go to page 2

Primary Sidebar

zippy's macaroni salad recipe hawaii

Hawaiian chopped steak recipe

Craving a taste of the Hawaiian islands? Look no further than Zippy's Macaroni Salad Recipe, a culinary delight that … [Read More...] about Hawaiian chopped steak recipe

1950s recipe for tamale pie

1950s Tamale Pie: A Taste of Vintage Comfort Food

Is your kitchen lacking a touch of comfort and nostalgia? You've found it! This blog post will take you on a lovely … [Read More...] about 1950s Tamale Pie: A Taste of Vintage Comfort Food

রোধ, জল, বৃষ্টি

রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

আমরা ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান-অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়ে আলোচিত "রোধ, জল, বৃষ্টি"-শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের … [Read More...] about রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

গতির খেলা-৬ষ্ট শ্রেণী

গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয়ের ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা গতির খেলা  সম্পর্কে। প্রথম, দ্বিতীয় ও … [Read More...] about গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৭ম অধ্যায়,ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম  সম্পর্কে জানবো। প্রথম ও … [Read More...] about ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

হরেক রকম খেলনার মেলা

হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়,হরেক রকম খেলনার মেলা  সম্পর্কে জানবো।প্রথম ও দ্বিতীয় … [Read More...] about হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

Footer

  • About Us
  • Affiliate Disclosure
  • Privacy Policy
  • Terms of Use
  • Contact Us

Copyright © 2025 · News Pro on Genesis Framework · WordPress · Log in