হাতে বানানো চাঁদ সূর্য পৃথিবীর অবস্থানের মডেলে বেশ কিছু ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয় না। যেমন-দিন-রাতের দৈর্ঘ্য পরিবর্তন,জোয়ারভাটা,ঋতু পরিবর্তন,চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ ইত্যাদি।
তোমাদের মডেলে প্রচ্ছায়া এবং উপচ্ছায়া কি পর্যবেক্ষণ করতে পারছ?কোনো সমস্যা হয়েছে কী?শ্রেনিকক্ষে দিনের বেলায় প্রচ্ছায়া পর্যবেক্ষণ করতে কেন অসুবিধা হয়?
হ্যাঁ, আমাদের মডেলে আমরা প্রচ্ছায়া এবং উপচ্ছায়া পর্যবেক্ষণ করতে পারি।
প্রচ্ছায়া:
সূর্যের আলো কোনো বস্তু দ্বারা আবদ্ধ হলে যে অন্ধকার অংশ তৈরি হয় তাকে প্রচ্ছায়া বলে।
প্রচ্ছায়া বস্তুর আকারের চেয়ে বড় হয়।
প্রচ্ছায়া বস্তু থেকে সূর্যের বিপরীত দিকে তৈরি হয়।
সূর্য যত উঁচুতে থাকে, প্রচ্ছায়া তত ছোট হয়।
সূর্য যত নিচুতে থাকে, প্রচ্ছায়া তত বড় হয়।
উপচ্ছায়া:
প্রচ্ছায়ার পার্শ্ববর্তী অল্প আলোকিত অংশকে উপচ্ছায়া বলে।
উপচ্ছায়া সবসময় স্পষ্ট হয় না।
সূর্যের অবস্থানের উপর উপচ্ছায়ার আকার নির্ভর করে।
সমস্যা:
আমাদের মডেলে, সূর্যের আলো কৃত্রিম। প্রকৃত সূর্যের আলোর তীব্রতা এবং দিক পরিবর্তন হয়। কৃত্রিম আলো সবসময় একই থাকে।আমাদের মডেলে, পৃথিবীর ঘূর্ণন দেখানো হয় না। প্রকৃতিতে, পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে সূর্যের অবস্থান পরিবর্তিত হয় এবং প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া পরিবর্তিত হয়।শ্রেণিকক্ষে দিনের বেলায় প্রচ্ছায়া পর্যবেক্ষণ করতে অসুবিধা হয় কারণ:
কৃত্রিম আলো: শ্রেণিকক্ষে ব্যবহৃত কৃত্রিম আলো প্রকৃত সূর্যের আলোর চেয়ে কম তীব্র হয়। এর কারণে প্রচ্ছায়া স্পষ্ট হয় না।
জানালার আলো: শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন দিক থেকে আলো আসে। এর কারণে প্রচ্ছায়া স্পষ্ট হয় না।
বস্তুর অবস্থান: শ্রেণিকক্ষে বস্তু বিভিন্ন দিকে রাখা থাকে। এর কারণে প্রচ্ছায়া স্পষ্ট হয় না।