• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar
  • Skip to footer

Kitchen Academy

Unleash your culinary potential at Kitchen Academy. Learn essential skills, discover delicious vegetable recipes, and explore all things kitchen

  • Home
  • Recipes
  • Education
    • class 6
      • বিজ্ঞান class 6
    • Class 7
      • বিজ্ঞান class 7
    • Class 8
      • বিজ্ঞান class 8
    • class 9
      • বিজ্ঞান class 9

Education

রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

রোধ, জল, বৃষ্টি

আমরা ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান-অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়ে আলোচিত “রোধ, জল, বৃষ্টি“-শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গতি, বেগের পরিমাপ , ত্বরণ, বল, ঘর্ষণ বল ইত্যাদি সম্পর্কে জানবো

প্রথম সেশনঃ

কাজের ধারা-১
আমার প্রিয় দিন কোনটি তা ভাবি এবং ঐ দিনের একটি ছবি আঁকি।
বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে দেখি আমার প্রিয় দিনের সাথে তাদের প্রিয় দিন মিলে যায় কিনা।
 
কাজের ধারা-২
এক সপ্তাহ বাসায় কাজ করি
 
এক সপ্তাহ একটু খেয়াল করে দেখি আমাদের আবহাওয়া কীভাবে দিনের বিভিন্ন সময়ে পাল্টাতে থাকে! খোলা পরিবেশে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে ছক-১ এ পর্যবেক্ষণের সময়, তাপমাত্রার ধারণা, গরমের অনুভূতি কেমন, আকাশের অবস্থা, বৃষ্টির সম্ভাবনা ইত্যাদি সম্পর্কে মন্তব্য লিখে রাখি।
 
ছক-১

তারিখ ও বার

যেভাবে আবহাওয়া বুঝি, যেমন আকাশের রঙ,রোধ,বৃষ্টি,গরম,বাতাসের
গতি,ইত্যাদির নোট রাখো নিচের সময়গুলোতে

সকাল  ৭ টা

দুপুর ১ টা

বিকেল ৪ টা

সন্ধ্যা ৬ টা

রাত  ৯ টা

১/৫/২৩ সোমবার

রোদ্রজ্জ্বল,মৃদু
শীতল বাতাস

কিছুটা মেঘলা,
বেশ বাতাস বইছে

রোদ্রোজ্জ্বল,
বাতাসের গতি কিছুটা কম

পরিষ্কার
আকাশ,বেশ আর্দ্র,শীতল বাতাস

পরিষ্কার
আকাশ, আর্দ্রতা আরো বেড়েছে,বাতাসের গতি সামান্য কমেছে

২/৫/২৩ মঙ্গলবার

রোদ্রোজ্জ্বল,মৃদু
শীতল বাতাস,বেশ আর্দ্র

রোদ্রোজ্জ্বল,
কিছুটা ঠান্ডা বাতাস বইছে

রোদ্রোজ্জ্বল,
বাতাসের গতি কিছুটা কম,ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে

পরিষ্কার
আকাশ,বেশ আর্দ্র,শীতল বাতাস

পরিষ্কার
আকাশ, আর্দ্রতা আরো বেড়েছে,বাতাসের গতি সামান্য কমেছে

৩/৫/২৩ বুধবার

রোদ্রজ্জ্বল,মৃদু
শীতল বাতাস

আকাশ হালকা
মেহে ডাকা, গরম

মেঘে ঢাকা,
বাতাস নেই

মেঘে ঢাকা আকাশ,শীতল
বাতাস

আকাশ মেঘে ঢাকা,বাতাসের
গতি দৃঢ়

৪/৫/২৩ বৃহস্পতিবার

হালকা রোদ,
আর্দ্রতা বেশী

মেঘাচ্ছন্ন
আকাশ, হালকা বাতাস

বৃষ্টি,বাতাস
বইছে

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি,
শীতল বাতাস

আকাশে মেঘ
নেই,বাতাসের গতি কমেছে

৫/৫/২৩ শুক্রবার

মেঘে ঢাকা
আকাশ, হালকা বাতাস

বাতাস নেঈ, অন্ধকার
আকাশ

ভীষণ অন্ধকার,বাতাস
নেই,বৃষ্টি

বৃষ্টি, হালকা
বাতাস

আকাশে হালকা
মেঘ, বাতাস বইছে

৬/৫/২৩ শনিবার

রোদ উঠেছে,
বাতাস নেই

রোদ্রোজ্জ্বল,
বাতাস নেই

রোদ্রোজ্জ্বল,
হালকা মেঘ

পরিচ্ছন্ন
আকাশ,বাতাস নেই

আকাশে মেঘ
নেই,বাতাসের গতি কমেছে

৭/৫/২৩ রবিবার

রোদ উঠেছে,
বাতাস নেই

ঘনমেঘে ঢাকা,গরম

ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে
অবস্থা

বজ্রসহ বৃষ্টি

বৃষ্টি, ধীরগতির
বাতাস বইছে

রেডিও ও টেলিভিশনের খবর এবং পত্রিকা থেকেও এই এক সপ্তাহের আবহাওয়ার বিভিন্ন তথ্য নিচের ছক-২ এ নোট করি।

 
ছক-২

তারিখ ও বার

তথ্যের উৎস রেডিও/টেলিভিশিন/পত্রিকা ইত্যাদি

তাপমাত্রা

বায়ুর আর্দ্রতা

আকাশের অবস্থা

ঘূর্ণিঝড়/বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

মন্তব্য

১/৫/২৩ সোমবার

পত্রিকা

২৯° সে.

৭০%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

নেই

সুন্দর দিন

২/৫/২৩ মঙ্গলবার

পত্রিকা

২৮.৫° সে.

৯২%

মেঘাচ্ছন্ন

আছে

মেঘলা আকাশ,
স্যাঁতস্যাঁতে

৩/৫/২৩ বুধবার

পত্রিকা

২৯° সে.

৭২%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

নেই

সুন্দর দিন

৪/৫/২৩ বৃহস্পতিবার

পত্রিকা

৩০° সে.

৮৫%

মেঘে ঢাকা
সূর্য

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

ঠান্ডা আবহাওয়া

৫/৫/২৩ শুক্রবার

পত্রিকা

৩০° সে.

৯৩%

মেঘে ঢাকা
সূর্য

ভারি বর্ষন

সুন্দর দিন

৬/৫/২৩ শনিবার

পত্রিকা

৩০° সে.

৭৫%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

বৃষ্টির কোনো
সম্ভাবনা নেই

সুন্দর দিন

৭/৫/২৩ রবিবার

পত্রিকা

৩০.৫° সে.

৯৩%

ঘন মেঘে ঢাকা
আকাশ

বজ্রপাতসহ বৃষ্টি

বেশ শীতল আবহাওয়া

প্রাসঙ্গিক কিছু প্রশ্নঃ

দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে আবহাওয়া কী একই রকম থাকে? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কোনো এলাকার স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলের সার্বিক অবস্থাকে সে এলাকার আবহাওয়া বলে। সাধারণত দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে আবহাওয়া একই রকম থাকে না। কারণ আবহাওয়া মূলত বায়ুচাপ, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আর্দ্রতার পার্থক্যের কারণে ঘটে। সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা ও রাতে সূর্যের তাপমাত্রা একই রকম থাকে না। এই কারণে আর্দ্রতা ও বায়ুমণ্ডলীয় চাপের পরিবর্তন ঘটে। তাই  আবহাওয়াও একই রকম থাকে না।
 
প্রশ্ন-২: দিনের কোন সময়ের আকাশ তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের?
উত্তর: সকাল বেলার আকাশ আমার কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের।  খুব সকালে সূর্যের তাপ কম থাকে এবং সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি পৃথিবীতে পৌছায় না। সকালের বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণা তেমন থাকে না। এই কারণে আমরা বায়ুমণ্ডলে থেকে পরিষ্কার অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারি।
সকালের বায়ুমণ্ডল দূষণমুক্ত থাকে। আর দূষণযুক্ত থাকলেও অতি অল্প পরিমাণে থাকে। দূষণমুক্ত থাকে বলেই আমরা সকালের আকাশ অনেক পরিষ্কার ও স্বচ্ছ দেখতে পাই। এসব কারণে সকালের আকাশ আমার কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের।
 
প্রশ্ন-৩: দিনের আকাশে তোমরা কী কী পরিবর্তন দেখতে পাও?
উত্তর: দিনের আকাশে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখতে পাই। তা নিম্নে দেওয়া হলো-
i. তাপমাত্রার পার্থক্য হয়।
ii. কখনো রোদ, কখনো মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ বা অন্ধকার আকাশ দেখতে পাই।
iii. কখনো কখনো বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত হতে দেখতে পাই।
iv. কোনো কোনো দিন  সূর্যগ্রহণের মতো ঘটনা লক্ষ করা যায়।
 
প্রশ্ন-৪: আবহাওয়া কী কী কারণে দিনের বিভিন্ন সময়ে পাল্টাতে থাকে?
উত্তর: আবহাওয়া যেসব কারণে দিনের বিভিন্ন সময়ে পাল্টাতে থাকে তা নিম্নে দেওয়া হলো-
i. সূর্যালোকের প্রভাবে।
ii. বৃষ্টিপাতের কারণে।
iii. বায়ুর চাপের তারতম্যের কারণে।
iv. বাতাসের আর্দ্রতার পার্থক্যের কারণে।
v. নির্দিষ্ট স্থানে বিভিন্ন সময়ে সূর্যরশ্মির আপতিত হবার কোণের ভিন্নতার কারণে।
vi. বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণের ভিন্নতার কারণে।
 
প্রশ্ন-৫. দিনের বিভিন্ন সময় তাপমাত্রার কীরূপ পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর: দিনের বিভিন্ন সময়ে তাপমাত্রা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধি শুরু হয়। সময় যত গড়াতে থাকে, রোদের প্রভাবে তাপমাত্রা তত বাড়তে থাকে, গরমের অনুভূতিও বৃদ্ধি পায়। সূর্যাস্ত হবার পরে তাপমাত্রা ধীরেধীরে   কমতে শুরু করে। এই সময়ে পৃথিবীপৃষ্ঠ সারাদিনের শোষিত তাপ বিকিরণ করা শুরু করে বলে তাপমাত্রার পরিবর্তন একটু ধীরগতির হয়, গরমের অনুভূতিও ধীরে ধীরে কমতে থাকে। দেখা যায় যে মধ্যরাতে বা ভোররাতে গরমের অনুভূতি কম, ঠান্ডার অনুভূতি বেশি হয়। এভাবে দিনের বিভিন্ন সময় তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে।
 
প্রশ্ন-৬. আবহাওয়ার খবর পরিবেশন করার সময় সাধারণত কোন তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়ে থাকে?
উত্তর: কোনো স্থানের আবহাওয়ার খবর পরিবেশন করতে হলে সাধারণত সাতটি তথ্য উপস্থাপন করা হয়। যথা: কোনো অঞ্চলের বায়ুচাপ তথা ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা, পরবর্তী দিনের তাপমাত্রার পূর্বাভাস, বাতাসের গতি ও দিক, আপেক্ষিক আর্দ্রতা, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
গতির খেলা- ষষ্ঠ শ্রেণী

দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনঃ

পরীক্ষার নাম: বায়ু প্রবাহের দিক নির্ণয়( উইন্ডভেন তৈরি)

প্রয়োজনীয় সামগ্রী: কাগজ, কলম, অনুশীলন বই, অনুসন্ধানী পাঠ, পরীক্ষণ সামগ্রী (পরীক্ষণ কার্যক্রমের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে)।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃরোধ,জল,বৃষ্টি

  • শক্ত বাঁশের কঞ্চি
  • পিন বা লৌহ শলাকা
  • প্লাস্টিকের শক্ত স্ট্র বা পাইপ
  • শক্ত কাগজ বা কাগজের পাতলা কার্ডবোর্ড
  •  ছুরি

কার্যপ্রণালিঃ

  • শক্ত বাঁশের কঞ্চিকে মসৃণ করে কেটে নিই। চিকন লম্বা কাঠির মতো করে এর শীর্ষে বা মাথায় একটি লম্বা, সৰ্ব পিন প্রবেশ করাই।
  • পিন কাঠির ভিতরে প্রবেশ করানোর পূর্বে শত্রু প্লাস্টিকের পাইপ আড়াআড়ি শলাকায় গেঁথে দিই।
  • প্লাস্টিকের পাইপের এক মাথায় শক্ত কাগজ বা কাগজের পাতলা কার্ডবোর্ড কেটে দিক নির্দেশক তীর যুক্ত করি।
  • এবার কোনো উঁচু বিল্ডিং এর খোলা ছাদে অথবা বিস্তৃত খোলা মাঠে তৈরি করা (উইন্ডভেন) বাঁশের কঞ্চিটি পুঁতে দিই। দেখা যাবে বাতাস যেদিকে বইছে তীর চিহ্ন সেদিকে মুখ করে আছে।

সতর্কতা: প্লাস্টিকের পাইপটি যাতে খুব সহজেই ঘুরতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখি।

 

 

পরীক্ষার নাম: বায়ুচাপের পরীক্ষা

 
তত্ত্ব: ভূপৃষ্ঠের উপরস্থ যেকোনো বস্তু বা স্থানের উপর বায়ুমণ্ডল একক ক্ষেত্রফলে যে চাপ প্রয়োগ করে সেটাই বায়ুচাপ।
 
উপকরণ: গ্লাস, পানি, শক্ত কাগজ বা কাগজের কার্ডবোর্ড।রোদ্র,জল,বৃষ্টি
 

কার্যপ্রণালিঃ

i. একটি গ্লাস কানায় কানায় পানি দিয়ে পূর্ণ করি।’
ii. গ্লাসের মুখের উপর একটি শক্ত কাগজ বা কাগজের কার্ডবোর্ড আটকাই বা হাত দিয়ে চেপে ধরি।
iii. এবার দ্রুততার সাথে গ্লাসটি উল্টাই।
 
পর্যবেক্ষণ: পানিসহ গ্লাসটি উল্টে থাকা সত্ত্বেও পানি পড়ছে না।
 
সিদ্ধান্ত: বায়ু সবদিক থেকে সমান চাপ দেয়। 
 
বায়ুর তাপমাত্রা কী?
উত্তর: বায়ুর উষ্ণতার পরিমাপকে বায়ুর তাপমাত্রা বলা হয়।
 
 বায়ুপ্রবাহ কী?
উত্তর: চাপের পার্থক্যের জন্য বায়ু সর্বদা উচ্চ চাপের স্থান থেকে নিম্নচাপের স্থানে প্রবাহিত হয়। ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে বায়ুর এ চলাচলকে বায়ুপ্রবাহ বলে।
 
প্রশ্ন-৩. বায়ুচাপ কী?
উত্তর: ভূপৃষ্ঠের উপরস্থ যেকোনো বস্তু বা স্থানের উপর বায়ুমণ্ডল একক ক্ষেত্রফলে যে চাপ প্রয়োগ করে তা-ই হলো বায়ুচাপ।
 
প্রশ্ন-৪. বায়ু প্রবাহের দিক কীসের সাহায্যে নির্ণয় করা যায়?
উত্তর: উইন্ড ভেন যন্ত্রের সাহায্যে।
 
বায়ুর আর্দ্রতা কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো স্থানের বায়ুর একক আয়তনে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণকে ঐ স্থানের বায়ুর আর্দ্রতা বলে।
 
প্রশ্ন-৬. বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কোনো স্থানের একক ক্ষেত্রফলে নির্দিষ্ট  সময়ে (সাধারণত ২৪ ঘণ্টা) সংগৃহীত বৃষ্টির পানির উচ্চতাকে ঐ স্থানের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বলা হয়।
আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
অদৃশ্য প্রতিবেশী- সপ্তম শ্রেণী
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী

চতুর্থ ও পঞ্চম সেশনঃ

গত এক সপ্তাহের আবহাওয়ার তথ্যগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করি। এ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্যাটার্ন বোঝার চেষ্টা করি।

এই প্যাটার্ন অনুসারে পরবর্তী এক সপ্তাহের আবহাওয়ার পূর্বাভাস তৈরি করি।

তৈরি করা আবহাওয়ার পূর্বাভাসের সারসংক্ষেপ অনুশীলন বইয়ের নির্দিষ্ট ছকে টুকে রাখি।

তারিখ ও বার

তাপমাত্রা

বায়ুর আর্দ্রতা

আকাশের অবস্থা

ঘূর্ণিঝড়/বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

মন্তব্য

৮/৫/২৩ সোমবার

৩০.৫° সে.

৭০%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

নেই

গরম অনুভূত হতে পারে

৯/৫/২৩ মঙ্গলবার

৩১° সে.

৯২%

মেঘাচ্ছন্ন

আছে

মেঘলা আকাশ,
স্যাঁতস্যাঁতে,বৃষ্টি হতে পারে

১০/৫/২৩ বুধবার

৩১° সে.

৭২%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

নেই

সুন্দর দিন,গরম অনুভূত হতে পারে

১১/৫/২৩ বৃহস্পতিবার

৩১.৫° সে.

৮৫%

মেঘে ঢাকা
সূর্য

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

ঠান্ডা আবহাওয়া,তাপমাত্রা কমে যেতে পারে

১২/৫/২৩ শুক্রবার

২৯° সে.

৯৩%

মেঘে ঢাকা
সূর্য

ভারি বর্ষন

সুন্দর দিন,তাপমাত্রা কমে যেতে পারে

১৩/৫/২৩ শনিবার

৩০° সে.

৭৫%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

বৃষ্টির কোনো
সম্ভাবনা নেই

সুন্দর দিন, ,গরম অনুভূত হতে পারে

১৪/৫/২৩ রবিবার

২৮.৫° সে.

৯৩%

ঘন মেঘে ঢাকা
আকাশ

বজ্রপাতসহ বৃষ্টি

বেশ শীতল আবহাওয়া,তাপমাত্রা কমে যেতে পারে

১. আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের একটি নির্দিষ্ট সময় পর আবহাওয়ার অবস্থা কীরূপ হতে পারে তা অনুমান করাকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলে।
 

প্রশ্ন-২. আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আবহাওয়ার পূর্বাভাস কীভাবে সাহায্য করে?

উত্তর: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আবহাওয়ার পূর্বাভাস নানাভাবে সাহায্য করে। যেমন-
i. কোন দিন কেমন ধরনের কাপড় পরা আরামদায়ক হবে তা জানতে পারি।
ii. বাইরে বের হতে হলে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি।
iii. আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী জেলেরা মাছ ধরার প্রস্তুতি নেয়।
iv. আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান ও আকাশ যান চলাচল করে।
এভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মকে প্রভাবিত করে।
আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
অদৃশ্য প্রতিবেশী- সপ্তম শ্রেণী

ষষ্ঠ,সপ্তম ও অষ্টম সেশনঃ

 
 

 

সেলসিয়াস স্কেলে পাঁচ বছরের গড় তাপমাত্রা

বিশ শতকের শুরুতে

বিশ শতকের মাঝামাঝি

একবিংশ শতকের
শুরুতে

বাংলাদেশ

২৫.০১ ডিগ্রি

২৫.১৭ ডিগ্রি

২৫.৭২ ডিগ্রি

মালদ্বীপ

২৭.৬৩ ডিগ্রি

২৭.৫৪ ডিগ্রি

২৭.৮৫ ডিগ্রি

আইসল্যান্ড

১.২২ ডিগ্রি

১.৭২ ডিগ্রি

২.২৮ ডিগ্রি

এই তিনটি দেশের আবহাওয়া সময়ের সাথে পরিবর্তন ঘটেছে কি না

হ্য, তিনটি দেশের আবহাওয়া সময়ের সাথে পরিবর্তন ঘটেছে।

পরিবর্তনের মধ্যে কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছ কি না

তিনটি দেশের গড় তাপমাত্রা সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে

জলবায়ু পরিবর্তনের বড় নির্দেশক হলো তাপমাত্রার পরিবর্তন। এখন তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণ এবং বায়ুমণ্ডলের তাপ ধরে রাখার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে একটি পরীক্ষা করি।

 

পরীক্ষার নাম: গ্রিনহাউস ইফেক্টের কারণ অনুসন্ধান।

 
উপকরণ: তিনটি ঢাকনাসহ কাচের জার/ কাচের বোতল, তিনটি থার্মোমিটার (থার্মোমিটারটি যেন কাচের জার বা কাচের বোতলে প্রবেশ করানো যায়।)
 
কার্যক্রম-১:
কার্যপ্রণালি: তিনটি কাচের জার পরিষ্কার করে খোলা স্থানে সূর্যালোকে (রোদে) রেখে সেলসিয়াস থার্মোমিটার দিয়ে জারের ভিতরের বায়ুর তাপমাত্রা মেপে নিই। এরপর তিনটি জারের ভিতরের বায়ুর তাপমাত্রার ছকে নোট করি।
 

 

তাপমাত্রা

প্রথম জার

৩১.৪ ডিগ্রি

দ্বিতীয় জার

৩২.৫ ডিগ্রি

তৃতীয় জার

৩২.৪ ডিগ্রি

তিনটি জারকেই আধাঘণ্টা রোদে রেখে দাও। আধাঘণ্টা পরে তিনটি জারেরই ভেতরে থাকা থার্মোমিটারের তাপমাত্রার মান রেকর্ড করো নিচের ছকে-

 

আধাঘন্টা পর তাপমাত্রা

প্রথম জার

৩১.৪ ডিগ্রি

দ্বিতীয় জার

৩৫.৬ ডিগ্রি

তৃতীয় জার

৩৭.৪ ডিগ্রি

 

আধাঘন্টা পর তাপমাত্রা

পরিবর্তন হয়ে থাকলে তার কারণ কী?

প্রথম জার

৩১.৪ ডিগ্রি

প্রথম জারের মুখ খোলা থাকায় তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

দ্বিতীয় জার

৩৫.৬ ডিগ্রি

সূর্যালোক যখন জারের মধ্যে প্রবেশ করে তখন তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট  থাকে এবং তা প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় তরঙ্গদৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়, ফলে জারের দেওয়াল অতিক্রম করার সময় বাধার সম্মুখীন হয় এবং পুনরায় ফিরে এসে জারের ভিতরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে প্রথম জার অপেক্ষা দ্বিতীয় জারের তাপমাত্রা বেশি হয়।এক্ষেত্রে গ্রিনহাউজ প্রক্রিয়া ঘটে।

তৃতীয় জার

৩৭.৪ ডিগ্রি

তৃতীয় জারের মুখও বন্ধ থাকায় দ্বিতীয় জারের মতো গ্রিনহাউস প্রক্রিয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি ভেজা টিস্যু থেকে নির্গত জলীয় বাষ্প তাপ ধারণ করে গ্রিনহাউস গ্যাসের ন্যায় কাজ করায় এক্ষেত্রে তাপমাত্রা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

মানুষের যেসব কাজের জন্য গ্রিনহাউস গ্যাস বেড়ে যায় স্কুলে বা বাড়িতে আসা যাওয়ার পথে সেগুলো খেয়াল করি।গ্রিনহাউজ গ্যাস বৃদ্ধির সাথে এসব কাজের সম্পর্ক অনুশীলন বইয়ের নির্দিষ্ট ছকে লিখে ফেলি।

আমরা এমন কী কী করছি যাতে বাতাসে গ্রিনহাউজ গ্যাস বেড়ে যায়?

এই কাজের সাথে গ্রিন হাউস গ্যাস বাড়ার সম্পর্ক কী?

বৃক্ষনিধন ও বন উজাড়

এর ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে

অতিরিক্ত জ্বালানী (তেল/গ্যাস/কয়লা) পোড়ানো

এর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড ও নাইট্রাস অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে

কৃষি জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার

নাইট্রোজেন যুক্ত সার নাইট্রাস অক্সাইডে পরিণত হয়ে বাতাসে ছড়িয়ে পরে

রেফ্রিজারেটর/এসি/ফোমের ব্যবহার

এই যন্ত্রপাতিগুলো থেকে CFC গ্যাস নির্গত হয় যা গ্রিনহাউস ইফেক্ট তৈরী করে কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় ২৩০০০ গুণ বেশি

জৈব বস্তুর পচনে বায়ুমন্ডলে মিথেন গ্যাস নির্গত হওয়া

উদ্ভিদ ও প্রাণীর তথা জৈব বস্তুর পচনে নির্গত মিথেন গ্যাস গ্রিনহাউস ইফেক্ট তৈরী করে

 

বাড়ির কাজঃ

পানির ফোটা দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরের অবস্থা

অ্যাসিড/ভিনেগার/লেবুর রসের ফোঁটা দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরের অবস্থা

পাতার রঙ একই রকম আছে

পাতাটি বিবর্ণ হয়ে গেছে

কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্নঃ

জলবায়ু কী?
কোন এলাকার একটি লম্বা, নির্দিষ্ট সময়ের গড় আবহাওয়াকে ঐ এলাকার জলবায়ু বলে। তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত জলবায়ু বিষয়ে জানার প্রধান দুইটি উপাদান।

প্রশ্ন-২. পৃথিবীজুড়ে জলবায়ুর পরিবর্তনের পক্ষে প্রমাণ কী?
উত্তর: পৃথিবীজুড়ে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রধানত দুটি নির্দেশক রয়েছে।- যথা: গড় তাপমাত্রা ও গড় বৃষ্টিপাত। বিভিন্ন সময়ের পৃথিবীব্যাপী গড় তাপমাত্রা ও গড় বৃষ্টিপাত পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে পৃথিবীর সর্বত্র তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে বৃষ্টিপ্রবণ এলাকাগুলোতে অতিবৃষ্টি এবং খরাপ্রবণ এলাকাগুলোতে তীব্র খরা দেখা যাচ্ছে। এ সকল তথ্য উপাত্ত থেকে পৃথিবীজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের পক্ষে প্রমাণ উত্থাপন করা যায়।

প্রশ্ন-৩. গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর নাম লেখো।
উত্তর: জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) মিথেন (CH4) নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O), ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন ওজোন গ্যাস (O3) , ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC)। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে কার্বন ডাইঅক্সাইড এর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

প্রশ্ন-৪. গ্রিনহাউস ইফেক্ট কী?
উত্তর : সূর্য থেকে আসা তাপশক্তিকে আটকে রেখে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার প্রতিক্রিয়াকে গ্রিনহাউস ইফেক্ট বা প্রতিক্রিয়া বলে। গ্রিনহাউস ইফেক্ট বলতে মূলত তাপ আটকে রেখে পৃথিবীর সার্বিক তাপমাত্রার বৃদ্ধিকে বোঝায়।

প্রশ্ন-৫. বিশ্ব উষ্ণায়ন কী?
বিশ্ব উষ্ণায়ন বলতে বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রার ক্রমান্বয় বৃদ্ধিকে বোঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাকেই বলা হয় বিশ্ব উষ্ণায়ন।

প্রশ্ন-৬. গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো কি আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়? কেন?
উত্তর: গ্রিনহাউস গ্যাস তাপমাত্রা ধরে রেখে বায়ু তথা পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। কিন্তু মনে রাখতে হবে বায়ুমণ্ডলের গ্যাসগুলো আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়। স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে গ্যাসগুলোর পরিমাণ বেড়ে গেলেই কেবল তা ক্ষতিকর। জলীয়বাষ্প, মিথেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসগুলো বায়ুমণ্ডলে না থাকলে বা কমে গেলে বাতাস তাপ ধরে রাখতে পারত না। এতে প্রচন্ড শীতে কেবল আমরা নয় সমগ্র প্রাণিজগতই কাবু হয়ে যেত।
এছাড়া আমরা জানি কার্বন ডাইঅক্সাইডের সাহায্যে গাছ খাদ্য তৈরি করে এবং এ খাদ্যই সমগ্র প্রাণিজগতে খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে সরবরাহ হয়। জলীয়বাষ্প সৃষ্টি না হলে বৃষ্টিও হতো না। বৃষ্টির অভাবে সমগ্র পৃথিবী মরুময় হয়ে যেত, থাকত না কোনো গাছপালা। সুতরাং সঠিক মাত্রায় গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো ক্ষতিকর নয় বরং এগুলো বায়ুমণ্ডলে মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলেই তা জীব ও পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।

নবম সেশনঃ

আমাদের যে পাঁচটি কাজের জন্য বাতাসে গ্রিনহাউজ গ্যাস বেড়ে যায়?

কিভাবে এর সমধান করা সম্ভব?

বৃক্ষনিধন ও বন উজাড়

বৃক্ষরোপন কর্মসূচী জোরদার করতে হবে

অতিরিক্ত জ্বালানী (তেল/গ্যাস/কয়লা) পোড়ানো

জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং জ্বালানীর অপচয় রোধ করতে হবে

কৃষি জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার

বিজ্ঞানসম্মত ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে কৃষিজমিতে সার ব্যবহার করতে হবে

রেফ্রিজারেটর/এসি/ফোমের ব্যবহার

এই ধরণের যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমাতে হবে

জৈব বস্তুর পচনে বায়ুমন্ডলে মিথেন গ্যাস নির্গত হওয়া

মিথেন গ্যাস অবমুক্ত হওয়ার ব্যাপারে অধিক সচেতন হতে হবে

প্রশ্ন-১. অ্যাসিড বৃষ্টি কী?

উত্তর: বৃষ্টির পানির সাথে অ্যাসিড (সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড প্রভৃতি) বা অ্যাসিড জাতীয় উপাদান মিশ্রিত থাকলে তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে।

প্রশ্ন-২. অ্যাসিড বৃষ্টি কেন হয়?

উত্তর: মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে সালফার ও নাইট্রোজেনের অক্সাইড উৎপন্ন হয়। এগুলো অক্সিজেন, জলীয়বাষ্প/পানি কণার সাথে বিক্রিয়া করে সালফিউরিক অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে যা বৃষ্টির পানির সাথে মিশে অ্যাসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করে। অর্থাৎ, মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলেই মূলত অ্যাসিড বৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-৩. অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে উদ্ভিদসহ জীববৈচিত্র্যের উপর সংঘটিত প্রভাব বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: উদ্ভিদসহ জীববৈচিত্র্যের উপর অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাব হলো:

i. উদ্ভিদের পাতায় ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।

ii. অনেক ক্ষেত্রে বনভূমি ধ্বংসের সম্মুখীন হয়।

iii. জলজ পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হয়।

iv. মানুষের বিভিন্ন চর্মরোগ হতে পারে।

প্রশ্ন-৪. অ্যাসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব রোধে আমরা কী কী করতে পারি?

উত্তর: অ্যাসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব রোধে আমরা নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি-

  • সালফারযুক্ত জ্বালানির ব্যবহার যথাসম্ভব কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে পারি।
  • বিভিন্ন যানবাহন এবং ভারী যন্ত্রপাতি চালাতে নিম্ন সালফারযুক্ত জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করা।
  • ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে গণপরিবহনের ব্যবহার বৃদ্ধি করা।
  • শিল্পকারখানা থেকে নির্গত গ্যাস থেকে সালফার অপসারণ করার পর বায়ুমণ্ডলে নির্গমন করা।

পরিকল্পনামাফিক কাজের বাস্তবায়নে সৃষ্ট অনুভূতি

কার্যক্রম-১

তোমাদের দলের পরিকল্পনা কী ছিল? পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তোমার অভিজ্ঞতা কেমন হলো?

উত্তরঃ

(i) দলের পরিকল্পনা ছিল জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পিছনের কারণ বের করা এবং পারলে তা সমাধানের উপায় খোজা।

(ii) বাতাসে বিভিন্ন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া বেড়ে যাচ্ছে। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ভয়ঙ্কর ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কার্যক্রম-২

কোনো চ্যালেঞ্জে কি পড়েছো? চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তোমার দল কী উদ্যোগ নিয়েছে?

উত্তরঃ

এ রকম গুরুত্বপূর্ণ কোনো সমস্যা সমাধানে কিছু বাধা তৈরি হতে পারে। এজন্য প্রথমে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন-

  • সবাইকে শেখানোর মাধ্যমে সচেতন করা।
  • ছোট ছোট পরীক্ষণের মাধ্যমে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার ভয়াবহতা বোঝানো।
  • অল্প করে কাজ ভাগ করে নিয়ে তা নিজেদের মধ্যে শেষ করা।

কার্যক্রম-৩

জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট হয় এমন আর কোনো বিষয় কি তোমার চোখে পড়েছে? এর সমাধানে কী করা যায় বলে তুমি মনে করো?

উত্তরঃ

মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে জলবায়ুর উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। বড় বড় কল-কারখানা নদীর তীরবর্তী স্থাপিত হওয়ায় নদী ও তার আশপাশের পরিবেশ নষ্ট করছে যা জলবায়ুর উপর প্রভাব ফেলে। এর সমাধানে সচেতন হতে হবে। আর যেসব কাজ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তার বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে হবে। সব কাজ কতটা পরিবেশবান্ধব কাজটি করার আগে সেটি খতিয়ে দেখতে হবে।

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7

গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

গতির খেলা-৬ষ্ট শ্রেণী

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয়ের ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা গতির খেলা  সম্পর্কে।

প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনঃ

তোমার দল থেকে কে কোন খেলায় অংশ নেবে তা নিচের ছকে নোট নিয়ে রাখো, যাতে পরে ভুলে না যাও।

                                                             ছক-১ 

                                                
              
দলঃ মেঘনা

সদস্যের নাম

খেলাম নাম (
দলের কোন সদস্য কোন ইভেন্টে যোগ দিবে সেই অনুযায়ী টিক দাও)

দৌড়

দড়িলাফ

ভার নিক্ষেপ

ক্যারম

রহিম

√

√

করিম

√

√

সীমা

√

√

√

রীমা

√

√

কোন কোন দল কোন খেলার দায়িত্ব নিচ্ছে তা নিচের ছক-২ এ লিখে নাও।

                                                               ছক-২ 

খেলার নাম

আয়োজনের দায়িত্বে কোন কোন দল থাকবে

দৌড়

পদ্মা

দড়িলাফ

মেঘনা

ভার নিক্ষেপ

যমুনা

ক্যারম

কর্ণফুলী

                                                             ছক-৩

খেলার নাম  – দৌড় প্রতিযোগীতা

প্রতিযোগীর নাম

দুরত্ব (m)

সময় (s)

অবস্থান (ক্রম)

রানা

১০০

১৬

১ম

রহিম

১০০

১৭.৫

২য়

করিম

১০০

১৯

৩য়

সীমা

১০০

২০.৫

৪র্থ

রীমা

১০০

২১

৫ম

মীনা

১০০

২১.৫

৬ষ্ঠ

সালমা

১০০

২২

৭ম

তোমার দলের প্রতিযোগী দড়িলাফে পায়ের সঙ্গে দড়ির প্যাঁচ না লাগিয়ে কতক্ষণ খেলতে পেরেছে তা নিচের ছক-৪ এ লিখে ফেলো তো।

 






ছক-৪

খেলার নাম  – দড়ি লাফ

প্রতিযোগীর নাম

মোট কতবার ঘুরিয়েছে/পাক সংখ্যা

কতক্ষণ খেলেছে (s)

প্রতি সেকেন্ডে কত পাক দিয়েছে

অবস্থান (ক্রম)

সাদ

৪৫

৩৫

.৭৮

১ম

রায়হান

৪২

৩৩

.৭৯

২য়

রুমা

৪১

৩২

.৭৮

৩য়

আয়েশা

৩৭

৩১

.৮৩

৪র্থ

ফারজানা

৩৫

৩০

.৮৬

৫ম

তোমার দলের প্রতিযোগীর ছোঁড়া বলটা কতদূরে গিয়ে থামল, তা নিচের ছক-৫ এ লিখে রাখবে।

                                                             ছক-৫

খেলার নাম – ভার নিক্ষেপ

প্রতিযোগীর নাম

দুরত্ব (m)

অবস্থান (ক্রম)

সোহান

১২

১ম

রায়হান

১০

২য়

রানা

৯

৩য়

রহিম

৮

৪র্থ

সালমা

৭

৫ম

ভার নিক্ষেপের সময় তোমার দলের প্রতিযোগীর ছুঁড়ে দেয়া ভার কীভাবে উপরে উঠেছিল আবার কীভাবে নিচে নেমে এসেছিল তার ছবি নিচের ফাঁকা জায়গায় এঁকে রাখো।

গতির খেলা
 

তোমার আঁকা ছবিতে বলটি সোজা সামনের দিকে না গিয়ে বারবার নিচের দিকে বাঁকা হয়ে পড়ল কেন? তোমার ধারণা নিচে টুকে রাখো।

 
আমরা জানি,কোনো বস্তুর ওপর মাধ্যাকর্ষণ বল বা অভিকর্ষজ বল সব সময় নিচের দিকে ক্রিয়া করে। উপরে বলটি ছোঁড়ার পর যতই সামনের দিকে যায় ততই অভিকর্ষজ বলের কারণে প্রতি মুহূর্তে নিচে নেমে যায় এবং সবশেষে মাটিতে পতিত হয়।
 
ছক-৬
 

খেলার নাম  – ক্যারম

সদস্য

সাদা গুটি (১০)

কালো গটি (৫)

লাল গুটি (২০)

 মোট পয়েন্ট

অবস্থান

রায়হান

২

২

০

৩০

৩য়

রুমা

২

৩

১

৫৫

১ম

আয়েশা

২

৩

০

৩৫

২য়

রহিম

১

১

০

১৫

৪র্থ

 

ক্যারমের গুটির সঙ্গে স্ট্রাইকের ধাক্কা লাগার পর স্ট্রাইকের গতিপথ কি পরিবর্তিত হচ্ছে? নিচে ছবি এঁকে দেখাও তো! আর ভেবে বলো- কেন গুটিগুলোর গতির দিক পরিবর্তন হচ্ছে?

উত্তর:ক্যারমের গুটির সঙ্গে স্ট্রাইকের ধাক্কা লাগার পর স্ট্রাইকের গতিপথ পরিবর্তিত হচ্ছে।নিচের ছবিতে একটি উদাহরণ দেওয়া হলো।
 
গতির খেলা
ক্যারমের স্ট্রাইকের সাথে ধাক্কা খেলে গুটির গতির দিক পরিবর্তন হয় কারণ স্ট্রাইকার গুটির উপর বল প্রয়োগ করে। এই বল গুটির ভরবেগ পরিবর্তন করে, যার ফলে গুটির গতির দিক পরিবর্তিত হয়।
 

প্রশ্ন: আচ্ছা ক্যারম বোর্ডে যে বোরিক পাউডার দেওয়া হয়েছিল মনে আছে? বোরিক পাউডার কেন দেয়া হয় বলো তো? না দিলেই বা কী হয়? তোমার উত্তর নিচের ফাঁকা জায়গায় লিখে রাখো।

উত্তর: বোরিক পাউডার দিয়ে গুটির সাথে বোর্ডের ঘর্ষণ বলকে কমানো হয়। এতে করে গুটি খুব সহজে বোর্ডের মধ্যে চলাচল করতে পারে। পাউডার না দিলে বোর্ডের মেঝে খসখসে থাকবে। যার ফলে গুটিগুলো বোর্ডের মধ্যে চলাচলে ঘর্ষণ বলের বাধা খুব বেশি অনুভব করবে এবং এদের গতি কমে যাবে। তাই গুটির উপর ঘর্ষণ বলের প্রভাব কমানোর জন্য বোরিক পাউডার ব্যবহার করা হয়।
 

বাড়ির কাজ

ছক-৭

খেলার নাম

সরল গতি

বক্র গতি

ঘূর্ণন গতি

পর্যাবৃত্ত গতি

দৌড়

√

দড়িলাফ

√

√

ভার নিক্ষেপ

√

ক্যারম

√

 
আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
অদৃশ্য প্রতিবেশী- সপ্তম শ্রেণী

চতুর্থ ও পঞ্চম সেশনঃ

 

প্রশ্ন-১: গতি কাকে বলে?

উত্তর: গতি হলো সময়ের সাথে বস্তুর অবস্থান পরিবর্তনের হার।
 

প্রশ্ন-২: সরল গতি কাকে বলে?

উত্তর: কোনো বস্তুর গতি যদি একটি সরলরেখার উপর সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে তার গতিকে সরল গতি বলে।
যেমন: রাস্তায় গাড়ি চলা, হেটে যাওয়া কোনো লোক ইত্যাদি 
 

প্রশ্ন-৩: বক্রগতি কাকে বলে?

উত্তর: সরলরৈখিক গতিতে চলা কোনো বস্তুর ওপর কোনো সময়ে বল প্রয়োগ করে যদি তার গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়া হয় তাহলে ঐ নতুন গতিকে বক্রগতি বলা হয় ।
যেমন: ভার নিক্ষেপ, ঢিল ছুড়ে মারা, ক্রিকেট বল উপর থেকে নিচে পড়ার গতি ইত্যাদি
 

প্রশ্ন-৪: ঘূর্ণন গতি কাকে বলে?

উত্তর: কোনো বস্তু যদি একটি নির্দিষ্ট বিন্দু বা অক্ষকে কেন্দ্র করে সেই বিন্দু বা অক্ষের চারদিকে বৃত্তাকার পথে গতিশীল থাকে তবে সেই গতিকে ঘূর্ণন গতি বলে।
যেমন: বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাটার গতি, সাইকেলের চাকার গতি ইত্যাদি
 

প্রশ্ন-৫: পর্যাবৃত্ত গতি কাকে বলে?

উত্তর: কোনো গতিশীল বস্তুকণার গতি যদি এমন হয় যে, এটি এর গতি পথে কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর একই দিক থেকে অতিক্রম করে তবে সেই গতিকে পর্যাবৃত্ত গতি বলে। যেমন: বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাটার গতি, সাইকেলের চাকার গতি ইত্যাদি।
 

এবার নিচের এই বিভিন্ন ধরনের গতি আর কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় তা তোমার পাশের বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করে ছক-৮ লিখে ফেলো।

 
ছক-৮

বিভিন্ন প্রকার গতি

উদাহরণ

সরল গতি

রাস্তায় গাড়ি চলা, সোজা হেটে যাওয়া কোনো লোকের গতি ইত্যাদি

বক্র গতি

ভার নিক্ষেপ, ঢিল ছুড়ে মারা, ক্রিকেট 
খেলায় বল উপর থেকে নিচে পড়ার গতি ইত্যাদি

ঘূর্ণন গতি

চাঁদ ও পৃথিবীর ঘূর্ণন, বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাটার গতি, সাইকেলের চাকার গতি ইত্যাদি

পর্যাবৃত্ত
গতি

স্প্রিংয়ে কোনো বস্তুর দোল খাওয়া, বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাটার গতি, সাইকেলের চাকার গতি ইত্যাদি

ছক-৩ থেকে তোমার দলের সদস্য যে দৌড়ে অংশ নিয়েছিল তার বেগ কত তা পরের পৃষ্ঠার ফাঁকা জায়গায় হিসাব করে বলো তো।
 

খেলার নাম  – দৌড় প্রতিযোগীতা

প্রতিযোগীর নাম

দুরত্ব (m)

সময় (s)

অবস্থান (ক্রম)

রানা

১০০

১৬

১ম

রহিম

১০০

১৭.৫

২য়

করিম

১০০

১৯

৩য়

সীমা

১০০

২০.৫

৪র্থ

রীমা

১০০

২১

৫ম

মীনা

১০০

২১.৫

৬ষ্ঠ

সালমা

১০০

২২

৭ম

প্রতি এক সেকেন্ডে অতিক্রান্ত দূরত্বকে বেগ বলে।অর্থাৎ মোট দূরত্বকে সময় দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায় তাই বেগ।

আমরা জানি,
বেগ = (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে.
 
সুতরাং রানার বেগ= (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে. = ১০০÷১৬=৬.২৫ মি/সে.
 রহিমের বেগ= (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে. = ১০০÷১৭.৫=৫.৭১৪ মি/সে.
 করিমের বেগ= (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে. = ১০০÷১৯=.৫.২৬৩ মি/সে.
 সীমার বেগ= (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে. = ১০০÷২০.৫=৪.৮৭৮ মি/সে.
 রীমার বেগ= (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে. = ১০০÷২১=৪.৭৬২ মি/সে.
 মীনার বেগ= (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে. = ১০০÷২১.৫=৪.৬৫১ মি/সে.
 সালমার বেগ= (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে. = ১০০÷২২=৪.৫৪৫ মি/সে.
 

দৌড় শেষ  হবার সঙ্গে সঙ্গে কি থেমে যেতে পেরেছিলে ?

না, দৌড় শেষ হবার পরেও আরো কয়েক কদম এগিয়ে থামতে হয়েছিল, শরীরে গতির প্রবণতা ছিলো।একটি নির্দিষ্ট বেগ অর্জন করার পর হঠাৎ বেগ শূন্য করা সহজ নয়। তাই ধীরে ধীরে বেগ কমিয়ে শূন্য করতে হয়।
 

ক্যারম খেলার সময় আস্তে টোকা দিলে গুটি একটু এগিয়ে গিয়ে থমকে যাই কেন?

ক্যারম খেলার সময় গুটিতে টোকা দিলে অর্থাৎ বল প্রয়োগ করলে গুটিটি গতিশীল হয়। কিন্তু একটু এগিয়ে গিয়ে  গুটিটি থমকে যায়  কারণ ঘর্ষণ বল কাজ করেছে।
 

বোরিক পাউডার দিলে কি গুটির গতির কোন পরিবর্তন হয়? 

হ্যাঁ, বোরিক পাউডার ব্যবহার করলে ঘর্ষণ বল কমে যায় ফলে গুটির গতি বাড়ে।
 

ক্যারাম খেলার সময় একটি গুটি যত জোরে গিয়ে অন্য গুটিকে ধাক্কা দেয় সেটি তত বেশি গতিতে ছিটকে অন্যদিকে ছুটে যায়, এর কারণ কী?

উত্তর-যখন একটি গুটি অন্য গুটিকে ধাক্কা দেয়, তখন ধাক্কা দেওয়া গুটির ভরবেগ ধাক্কা খাওয়া গুটিতে স্থানান্তরিত হয়। ধাক্কা দেওয়া গুটির ভরবেগ যত বেশি হবে, ধাক্কা খাওয়া গুটি তত বেশি গতিতে ছিটকে যাবে।ক্যারাম খেলার সময় একটি গুটি যত জোরে গিয়ে অন্য গুটিকে ধাক্কা দেয় সেটি তত বেশি গতিতে ছিটকে অন্যদিকে ছুটে যায়, এর কারণ হল ভরবেগের সংরক্ষণের নীতি।
ভরবেগের সংরক্ষণের নীতি অনুসারে, বাইরের কোন বল প্রয়োগ না করলে একটি বদ্ধ ব্যবস্থার মোট ভরবেগের পরিমাণ একই থাকে।
 

ধরো, একটা বল উপর থেকে পড়ছে, বলটা বেশি উপর থেকে পড়লে কি বেশি জোরে পড়বে? নাকি যে উচ্চতা থেকেই পড়ুক একই রকম জোৱে নিচে এসে পড়বে?

উত্তর: একটি বলকে উপর থেকে নিচে ফেলার সময় গতি নির্ভর করবে তার উচ্চতার উপর। যত উপর থেকে বলটিকে ফেলবে তত জোরে সে মাটিতে পড়বে। কারণ বলটি যখন উপরে থাকে তার মধ্যে স্থিতিশক্তি জমা থাকে। নিচে পড়ার সময় তার স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তর হয়। বলটি যত উপরে থাকবে তাতে তত বেশি স্থিতিশক্তি সঞ্চিত থাকবে। তাই নিচে পড়ার সময় গতিশক্তিও বেশি হবে। আর যত বেশি গতিশক্তি তত বেশি তার গতি। তাই বলটি যত উপর হতে ফেলা হবে তত জোরে পড়বে।
পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী
সূর্যালোকে রান্না- সপ্তম শ্রেণী
অদৃশ্য প্রতিবেশী- সপ্তম শ্রেণী
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী

Filed Under: class 6, বিজ্ঞান class 6 Tagged With: আচ্ছা ক্যারম বোর্ডে যে বোরিক পাউডার দেওয়া হয়েছিল মনে আছে? বোরিক পাউডার কেন দেয়া হয় বলো তো? না দিলেই বা কী হয়?, একটা বল উপর থেকে পড়ছে, এর কারণ কী?, ক্যারম খেলার সময় আস্তে টোকা দিলে গুটি একটু এগিয়ে গিয়ে থমকে যাই কেন?, ক্যারমের গুটির সঙ্গে স্ট্রাইকের ধাক্কা লাগার পর স্ট্রাইকের গতিপথ কি পরিবর্তিত হচ্ছে?, ক্যারাম খেলার সময় একটি গুটি যত জোরে গিয়ে অন্য গুটিকে ধাক্কা দেয় সেটি তত বেশি গতিতে ছিটকে অন্যদিকে ছুটে যায়, গতি কাকে বলে?, গতির খেলা, গতির খেলা- ৬ষ্ঠ শ্রেনী, ঘূর্ণন গতি কাকে বলে?, তোমার আঁকা ছবিতে বলটি সোজা সামনের দিকে না গিয়ে বারবার নিচের দিকে বাঁকা হয়ে পড়ল কেন?, দৌড় শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে কি থেমে যেতে পেরেছিলে ?, পর্যাবৃত্ত গতি কাকে বলে?, বক্রগতি কাকে বলে?, বলটা বেশি উপর থেকে পড়লে কি বেশি জোরে পড়বে? নাকি যে উচ্চতা থেকেই পড়ুক একই রকম জোৱে নিচে এসে পড়বে?, বোরিক পাউডার দিলে কি গুটির গতির কোন পরিবর্তন হয়?, সরল গতি কাকে বলে?

ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৭ম অধ্যায়,ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম  সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

                                          দলের নামঃ মেঘনা

নির্বাচিত জীবের নাম (যে কোনো প্রাণি/গাছ)

এদের আবাসস্থল কেমন?

এরা কীভাবে বেড়ে ঊঠেছে?

এরা টিকে থাকতে কী কী মোকাবেলা করে?

এদের খাদ্য কী?

পাখি

গাছপালার উঁচু শাখা–প্রশাখা, বাসাবাড়ির কার্ণিশ, খাঁচা ইত্যাদি জায়গায় খড় কুটা দিয়ে বাসা তৈরি করে বাস করে।

জন্মের পর মায়ের মুখ থেকে খাবার খায়, বড় হলে নিজের খাবার নিজে সংগ্রহ করে এবং মুক্তভাবে বেড়ে উঠেছে।

বিভিন্ন ধরনেরপ্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন– ঘূর্ণিঝড়,বন্যা, বাসস্থান ধ্বংস, খাদ্য সংকট, শিকারি ইত্যাদিমোকাবেলা করে টিকে থাকে।

শস্যদানা, কীটপতঙ্গ,ছোটমাছ ইত্যাদি প্রধান খাদ্য।

আমগাছ

উঁচু, আলো– বাতাসপূর্ণ পমি,বাড়ির আঙিনা ইত্যাদি জায়গায় এদের আবাসস্থল

যৌন ও অযৌন প্রজননের মাধ্যমে বংশধর নতুন সৃষ্টি করে এবং নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করে বেড়ে উঠেছে।

প্রাকৃতি দুযোর্গ, কীটপতঙ্গ, নদী–ভাঙন,নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংসইত্যাদি মোকাবেলা করে টিকে থাকে।

খনিজ, পানি, পুষ্টি, শর্করা জাতীয় খাদ্য ইত্যাদি।

তেলাপোকা

এরা অন্ধকারাচ্ছন্ন,স্যতস্যতে
পরিবেশ যেমন-খাটের নিচে,টেবিলের নিছে,কাটের স্তুপের নিচে ইত্যাদি স্থানে বেশী দেখা
যায়

এরা যৌন প্রজননের মাধ্যমে বংশধর  সৃষ্টি করে।

প্রায় যে
কোনো পরিবেশে এরা টিকে থাকতে পারে।

হাতের
তালুর চামড়া,আঙ্গুলের অগ্রভাগ,মাংস,সব্জি,বিভিন্ন ধরণের ময়লা আবর্জনা।

গরু

শুষ্ক, উঁচু স্থানএবং আলো– বাতাস গোয়ালঘর

জন্মের পর মায়ের দুধ পান করে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে খড়, কুঁড়া, খৈল, ঘাস, লতাপাতাইত্যাদি খেয়েবেড়ে উঠেছে।

বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিকদুর্যোগ যেমন– বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তীব্র খরা ইত্যাদি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ মোকাবেলা করে টিকে থাকে।

ছোট গাভীর ক্ষেত্রে খড়, (দুধ), খৈল, ঘাস, কুঁড়া, লতাপাতা, পানি ইত্যাদি।

 

জীবদের বেঁচে থাকতে কী কী শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া চালু রাখতে হয় তুমি কী অনুমান করতে পারো?উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কী একই?

জীবের বেঁচে থাকার জন্য বেশ কিছু শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া চালু রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করতে পারি।যেমন খাদ্য গ্রহন,পরিপাক,চলন, রেচন,শ্বসন,বৃদ্ধি ও বিকাশ, জনন, ইত্যাদি। 
 
উদ্ভিদের ক্ষেত্রেও উপরে বর্ণিত শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলো জীবিত থাকার জন্য প্রয়োজনীয়। তবে, উদ্ভিদের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ প্রক্রিয়াও রয়েছে যা প্রাণীর ক্ষেত্রে নেই, যেমন: সালোকসংশ্লেষণ,অভিস্রবন,প্রস্বেদন ইত্যাদি।
 

মানুষের সাথে উদ্ভিদের খাদ্যগ্রহন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়া তুলনা কর।

খাদ্য গ্রহনঃ

বৈশিষ্ট্য

মানুষ

উদ্ভিদ

খাদ্যের উৎস

অন্যান্য জীব

সালোকসংশ্লেষণ

খাদ্য
গ্রহনের প্রক্রিয়া

খাওয়া

পাতা দিয়ে শোষন

প্রধান খাদ্য
উপাদান

প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট,চর্বি

কার্বোহাইড্রেট
(গ্লুকোজ)

পরিপাক
ক্রিয়া

জটিল

সহজ

শ্বাস-প্রশ্বাসঃ

বৈশিষ্ট্য

মানুষ

উদ্ভিদ

শ্বাস-প্রশ্বাসের
অঙ্গ

ফুসফুস

রন্দ্র

গ্রহনকৃত
গ্যাস

অক্সিজেন

কার্বন ডাই অক্সাইড

ত্যাগকৃত
গ্যাস

কার্বন ডাই অক্সাইড

অক্সিজেন

শ্বাস-প্রশ্বাসের
প্রক্রিয়া

শ্বাস-প্রশ্বাস

বায়ু পরিবহন

শ্বসন প্রক্রিয়া

কোষীয় শ্বসন

কোষীয় শ্বসন

পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী
সূর্যালোকে রান্না- সপ্তম শ্রেণী
অদৃশ্য প্রতিবেশী- সপ্তম শ্রেণী

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ

বদ্ধ টেরারিয়াম (Terrarium) কিভাবে তৈরি করা হয়?

কাজের নাম : বদ্ধ টেরারিয়াম (Terrarium) তৈরি। 

ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়ামপ্রয়োজনীয় উপকরণ : কাচের জার/প্লাস্টিকের বোয়ম, পাথরকুচি, মাটি, মাটির হাঁড়ি ভাঙা, হাড়ের গুঁড়া, কয়লা, মশারির নেট, পানি, মস, আগাছা জাতীয় গুল্ম, শেওলা।

কাজের ধারা :

১. প্রথমে প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ সংগ্রহ করে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নাও। কাচের জার/প্লাস্টিকের বয়াম ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে ছত্রাক সংক্রমণ না থাকে।

২. কাচের জার/প্লাস্টিকের বয়াম এর নিচে অল্প মাটির হাঁড়ি ভাঙ্গা দাও। মাটির হাঁড়ি ভাঙা, ভালো পানি ধারণ করতে পারে যা টেরারিয়াম (Terrarium) এর আর্দ্রতা বজায় রাখবে।

৩. এবার মাটির হাঁড়ি ভাঙার উপর কিছু পরিমাণ পাথরকুচি দিয়ে দাও।

৪. এরপর তারের জালি/মশারির নেট পাথরকুচির উপর বিছিয়ে দাও। তারের জালি/মশারির নেটের সুবিধা হচ্ছে উপরের মাটি নিচে যেতে পারে না।

৫. তারের জালি/মশারির নেটের উপর আরো কিছু পাথরকুচি বিছিয়ে দিয়ে তার উপর কয়লা গুড়া দাও, যাতে পাতলা একটি স্তর তৈরি হয়।

৬. কয়লা গুঁড়ার পাতলা স্তরের উপর মাটি এমনভাবে দাও, যেন এ স্তরটি একটু পুরু হয়।

৭. টেরারিয়াম (Terrarium) এর সৌন্দর্যের জন্য একটি/দুটি ছোট পাথর, ছোট মরা কাঠের টুকরা সাজিয়ে দাও। এবার কয়েকটি ছোট থানকুনি গাছ মাটিসহ খুব সাবধানে লাগিয়ে দাও। তোমরা চাইলে তোমাদের পছন্দের গাছ লাগাতে পারো।

৮. পুরনো দেওয়াল বা মাটি থেকে সাবধানে মসের আস্তর সংগ্রহ করে টেরারিয়াম (Terrarium) এর উপরিভাগের বাকি ফাঁকা স্থানে বিছিয়ে দাও।

৯. সবশেষে পানি দেবার পালা, সাবধানে পানি এমনভাবে স্প্রে করতে হবে যেন টেরারিয়াম (Terrarium) এর উপরিভাগ ভিজে যায়। ২০ মিনিট পর আবার পানি স্প্রে করে নাও। এবার কাচের জার/প্লাস্টিকের বোয়মের ঢাকনা, ভালোভাবে আটকে দাও।

১০. বেশ! তৈরি হয়ে গেল বদ্ধ টেরারিয়াম (Terrarium)। এটিকে আলোযুক্ত ছায়ায় সংরক্ষণ করতে হবে তবে খেয়াল রাখতে হবে সূর্যের আলো যেন সরাসরি না লাগে।

কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী
ফসলের ডাক- সপ্তম শ্রেণী
হরেক রকম খেলনার মেলা-সপ্তম শ্রেণী

৫ম ও ৬ষ্ঠ সেশনঃ

                                                   ছক-২

টেরারিয়াম এর কোন পরিবর্তন দেখছ?

 উদ্ভিদগুলোকে
কেমন দেখলে ?

উদ্ভিদের পাতার রঙ কেমন দেখছ?

বদ্ধ টেরারিয়াম এর উদ্ভিদ টিকে থাকার কারণ কী কী?

টেরারিয়ামের সংরক্ষণের অবস্থা মোটামুটি সঠিক ছিল। টেরারিয়ামের গ্লাসটি ছিল স্বচ্ছ। সূর্যের আলোর ক্ষতি থেকে বাঁচতে এটিকে আলোযুক্ত ছায়ায় সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

টেরারিয়ামের উদ্ভিদগুলো আকারে ছোট ছিল এগুলো দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। যেমন– থানকুনি, মস, শেওলা, বনসাই, ক্যাকটাস ইত্যাদি

উদ্ভিদগুলো আকারে ছোট এবং এদের পাতাগুলোও ছোট ছোট। অধিকাংশ উদ্ভিদের পাতার রঙ সবুজ হলেও কিছু উদ্ভিদের পাতার রঙ রঙিন। যেমন– লাল, কমলা, হলুদ, বেগুনি ইত্যাদি।

বদ্ধ টেরারিয়াম আলোযুক্ত ছায়ায় সংরক্ষণ করতে হয়। অর্থাৎ সূর্যের আলো সরাসরি লাগানো যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে যেমন উদ্ভিদ নিজদেহে পানি সংরক্ষণ করতে পারে সেসব উদ্ভিদ নির্বাচন করতে হবে। এ ধরনের টেরারিয়াম ঢাকনা দ্বারা আটকানো থাকে, ঢাকনা সপ্তাহে একবার খুললেই হয়। যখন বানানো হয় এর ভেতরেই নিজস্ব ইকোসিস্টেম তৈরি হওয়ার কারণে এটি বন্ধ অবস্থাতেও ভালোভাবে টিকে থাকে। যেমন: মস ফার্ন, ক্যকটাস ইত্যাদি।

                                             ছক-৩

প্রশ্ন

তোমাদের উত্তর

বদ্ধ টেরারিয়াম (Terrarium) এ উদ্ভিদ কিভাবে
খাদ্য তৈরী করে?

বদ্ধ টেরারিয়ামের পরিবেশ থাকে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও আর্দ্র। এটি বদ্ধ থাকার জন্য ভিতরেই পানি চক্র বিদ্যমান থাকে। এখানে আর্দ্রতা কমে গেলে পানি স্প্রে করতে হয়। টেরারিয়ামের মাটি থেকে উদ্ভিদ পানি শোষণ করে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় পাতার তৈরি পানি ঘনীভূত হয়ে আবার মাটির আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেয়। আলোর সাহায্যে এখানের উদ্ভিদগুলো অক্সিজেন তৈরি করে শ্বসন প্রক্রিয়া চালু রাখে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপাদন করে। এ কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি ব্যবহার করে বদ্ধ টেরারিয়ামে থাকা উদ্ভিদগুলো সালোকসংশ্লেষণ করে।

বদ্ধ টেরারিয়াম (Terrarium) এ উদ্ভিদের শ্বাসকার্য সম্পন্ন হয়?

বদ্ধ টেরারিয়ামের উদ্ভিদগুলো আলোর সাহায্যে সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে অক্সিজেন তৈরি করে শ্বসনক্রিয়া চালু রাখে। আর শ্বসনে উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাইড আবার ঐ সালোকসংশ্লেষণেই ব্যবহৃত হয়। এভাবেই বদ্ধ টেরারিয়ামে অক্সিজেন চক্র চালু থাকে এবং শ্বাসকার্য সম্পন্ন হয়।

পরের সেশনে আবার বদ্ধ টেরারিয়াম (Terrarium) দলে পর্যবেক্ষণ করবে। নতুন কোনো পরিবর্তন আছে কি? থাকলে তা দলের সবাই ছক-৪ এ লিখে রাখো

দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণে নতুন কী কী পরিবর্তন দেখতে পেলে?

১। টেরারিয়ামের উদ্ভিদগুলোর দৈহিক বৃদ্ধি ঘটেছে।

২। উদ্ভিদের পাতাগুলো অনেক সবুজ ও সতেজ দেখাচ্ছে।

৩। এখানে বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করা হয়। যেমন– বোতল, জার ইত্যাদি।

৪। এ ধরনের টেরারিয়ামে প্রাণী না থাকলেও উদ্ভিদ শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষণ সম্পন্ন করে।

৫। বাইরের বায়ুর প্রয়োজন হয় না। কারণ ভেতরেই সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে অক্সিজেন তৈরি করে, যা পরবর্তীতে শ্বসনের ব্যবহার করে।

৬। সরাসরি সূর্যলোকের প্রয়োজন পড়ে না। এটিকে আলোযুক্ত ছায়ায় সংরক্ষণ করতে হবে।

৭। বাইরে থেকে পানি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না এর ভেতরেই পানি চক্র সম্পন্ন হয়।

৮। এখানে আলাদা করে খনিজ উপাদান দেওয়ার দরকার হয় না। ভেতরে ব্যবহৃত উপকরণ ছাড়াই এরা পুষ্টি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে।

সালোকসংশ্লেষণের জন্য কোন কোন অজৈব উপাদান প্রয়োজন হয়?টেরারিয়ামের ভেতরে এই উপাদানসমূহ কীভাবে তৈরি হচ্ছে ব্যাখ্যা কর।

সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় অজৈব উপাদান: সূর্যালোক,কার্বনডাই অক্সাইড, পানি,খনিজ পদার্থ।

টেরারিয়াম একটি কৃত্রিম বাস্তুতন্ত্র যেখানে সালোকসংশ্লেষণ এবং জৈব-অজৈব চক্রের(যেমন- পানি চক্র,অক্সিজেন চক্র) মাধ্যমে জীবের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরি হয়।

 

                         ফিরে দেখাঃ

 
 

টেরারিয়ামের মতো কোন বদ্ধ সিস্টেমে কোনো উদ্ভিদ না থেকে মানুষ বা অন্য প্রাণি থাকলে কি বাঁচতে পারবে?ভেবে উত্তর দাও।

 
টেরারিয়ামের মতো বদ্ধ সিস্টেমে মানুষ বা অন্য প্রাণী দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারবে না। কারণ টেরারিয়ামের ভেতরে জৈব-অজৈব উপাদানের ভারসাম্য সীমিত এবং দীর্ঘ সময় ধরে টিকিয়ে রাখা কঠিন।
 
মানুষ বা অন্য প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য টেরারিয়ামে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে:
 
অক্সিজেনের ঘাটতি: টেরারিয়ামের ভেতরে অক্সিজেনের পরিমাণ সীমিত। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রাণী অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। টেরারিয়ামে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে প্রাণী শ্বাসকষ্টে ভুগতে পারে।
খাদ্যের ঘাটতি: টেরারিয়ামের ভেতরে খাদ্যের পরিমাণ সীমিত। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করে।মানুষ ও অন্য প্রানী খাদ্য এবং শ্বসনের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। তাই খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে।
বর্জ্য পদার্থের বৃদ্ধি: প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ টেরারিয়ামের ভেতরে জমা হতে থাকে। বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ বেড়ে গেলে টেরারিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
রোগের ঝুঁকি: টেরারিয়ামের ভেতরে রোগজীবাণু বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে।
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7

হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

হরেক রকম খেলনার মেলা

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়,হরেক রকম খেলনার মেলা  সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

 খেলনা নৌকা বানানো : 

এই সেশনের পূর্বেই ফেলে দেওয়া কিছু উপকরণ যেমন- ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের পানির বোতল, বেশ কিছু রাবার ব্যান্ড, কয়েকটা পাটকাঠি অথবা পেন্সিল, একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিকের খাবারের চামচ, সুপার গ্লু অথবা ভালোমানের আঠা জোগাড় করে নিতে হবে।পরবর্তীতে দলে ভাগ হয়ে খেলনা নৌকা বানাতে হবে,পুরো প্রক্রিয়াটি তোমাদের অনুশীলন বইয়ে দেওয়া আছে।
 

এই নৌকাটির ক্ষেত্রে কী ঘটছে আসলে? কেন পানিতে ছেড়ে দেয়া মাত্রই এটা চলতে শুরু করল বলতে পারো? এই শক্তি কোথা থেকে আসলো?

এই নৌকাটির ক্ষেত্রে স্থিতি শক্তি ও গতিশক্তি ক্রিয়াশীল।রাবার ব্যান্ডের মধ্যে থাকা চামচ বা ধাতব বস্তুটির মধ্যে স্থিতি শক্তি জমাছিল। এটি যখন পানিতে ছাড়া হলো তখন স্থিতি শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তর হওয়ার কারণে পানিতে নৌকাটি ছাড়া মাত্রাই চলতে শুরু করে।
স্থিতি শক্তি রাবার ব্যান্ডের মধ্যে জমা ছিল। রাবার ব্যান্ডের সাথে যুক্ত থাকা চামচটিকে ঘুরানের ফলে এর মধ্যে স্থিতি শক্তি বা বিভব শক্তি জমা হতে থাকে। এই স্থিতি শক্তির কারণে নৌকাটি চলতে শুরু করায় তখন নৌকাটি গতি শক্তির অধিকারী হয়।
 

একইরকম ঘটনা কি আর কোথাও ঘটতে দেখেছ?

উত্তর- পাথরকে উপর থেকে নিচে ফেলা, ধনুক হতে তীর ছোড়া, বেঞ্চ থেকে ব্যাগ বা বই নিচে পরা, স্থির গাড়ি গতিশীল হওয়া, স্থির ব্যাক্তি দৌড়ানো,স্প্রিংকে সংকুচিত করা ইত্যাদি।
 

অন্যান্য দলের সাথে মুক্ত আলোচনায় যোগ দাও। তাদের ভাবনা শুনে দেখো, কোন শক্তির ফলে নৌকায় গতির সঞ্চার হলো? 

উত্তর : অন্যান্য দলের সাথে মুক্ত আলোচনা করে তাদের ভাবনা শুনে বুঝলাম রাবার ব্যান্ডের বিভব শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে নৌকায় গতির সঞ্চার করেছে।
 

তোমাদের নৌকা যখন চলছিল, পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় এসময়ে কী কোনো কাজ সম্পন্ন হয়েছে? তোমার উত্তর লিখে রাখো। 

উত্তর : আমাদের অনুসন্ধানী বই এ কাজ, শক্তি,ক্ষমতা অধ্যায় হতে জানতে পারলাম যে, পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় কাজ হলো-
কোনো বস্তুর উপর বল প্রয়োগের ফলে যদি বলের দিকে বস্তুটি কিছু দূরত্ব অতিক্রম করে তবে বল এবং ঐ দূরত্বের গুণফলকে কাজ বলে।
 
অর্থাৎ কাজ = বল × দূরত্ব
∴ W = Fs
 
যখন নৌকা চলছিল তখন নৌকার উপর বল প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং নৌকাতে গতির সঞ্চারের কারণে কিছুটা দূরত্ব অতিক্রম করেছিল। তাই এসময় কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
 
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী
Read More: সূর্যালোকে রান্না- সপ্তম শ্রেণী
Read More: অদৃশ্য প্রতিবেশী- সপ্তম শ্রেণী

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশন

নৌকাটিকে গতিশীল করতে শক্তির যোগান এলো কোথা থেকে? 

উত্তর : নৌকাটিকে গতিশীল করতে শক্তির যোগান এসেছে রাবারব্যান্ডের মধ্যকার স্থিতিশক্তি বা বিভব শক্তি থেকে।

ভেবে দেখো আর কোন কোন ক্ষেত্রে এরকম গতিশক্তি আর স্থিতিশক্তির পারস্পরিক রূপান্তর দেখা যায়? 

উত্তর : যেসব ক্ষেত্রে গতিশক্তি ও স্থিতিশক্তির পারস্পরিক রূপান্তর হয়-

ঘটনা :

১. গুলতি মারার ঘটনা-

এখানে গুলতি যখন টানা হয় তখন এর রাবারের মধ্যে স্থিতিশক্তি জমা হয় এবং ছেড়ে দেওয়ার সময় স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

২. কোনো বস্তুকে মাটি থেকে উপরে তুলে ছেড়ে দেওয়া-

কোনো বস্তুকে মাটি থেকে উপরে তোলা হলে তার মধ্যে স্থিতিশক্তি সঞ্চিত হয়। বস্তুটিকে ছেড়ে দিলে তখন স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

৩. স্প্রিংকে সংকুচিত করে ছেড়ে দেওয়া-

স্প্রিংকে যখন সংকুচিত করা হয় তখন স্প্রিংয়ের মধ্যে স্থিতিশক্তি জমা হয়। স্প্রিংকে ছেড়ে দিলে এ স্থিতিশক্তিই পরবর্তীতে গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

এবার নিজেদের খেলনা উদ্ভাবনের পালাঃ

কী ধরনের খেলনা বানাতে চাও সেটা আগে দলের সবাই মিলে ঠিক করো। এরপর খেলনা বানানোর পরিকল্পনা, খসড়া নকশা, উপকরণের তালিকা তৈরি করার পালা। পরিকল্পনা করার সময় দলের সদস্যদের সবাই এককভাবে বা জোড়ায় বসে খেলনার পরিকল্পনা ও নকশা দাঁড় করাও। তুমি একা বা তোমার বন্ধুর সাথে মিলে বসে একটা নকশার পরিকল্পনা করো, তোমাদের আইডিয়াটা নিচের ছকে এঁকে রাখো। কী ধরনের উপকরণ লাগতে পারে তাও আলোচনা করে দেখো এবং ছকের নির্দিষ্ট জায়গায় লিখে রাখো।

                                         ছক-১


 

পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়ে গেলে নিচের ছকে নকশা এঁকে ফেলো এবং পাশে কী কী উপকরণ লাগবে তার তালিকা করো যাতে পরের সেশনের আগে সব জোগাড় করে ফেলতে পারো 

                                 ছক-২


 

Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী
Read More: ফসলের ডাক-সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশন

দলের সকল সদস্য তাদের তৈরিকৃত খেলনাটি চালিয়ে কীভাবে বিভব শক্তি থেকে গতিশক্তির রূপান্তর হচ্ছে তা ব্যাখ্যা কর। কিভাবে খেলনাটিতে রিসাইক্লিং হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর-গুলতির রাবার যখন টানা হয় তখন রাবারে স্বাভাবিক অবস্থা পরিবর্তন হয়ে বিকৃত হয়ে যায়। রাবার বিকৃত হওয়ার কারণে তার মধ্যে বিভব শক্তি জমা থাকে। রাবার যখন টেনে ছেড়ে দেওয়া হয় তখন এই বিভব শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে মাটির গুলিটি গতি লাভ করে এবং অনেক দূরে গিয়ে পড়ে।

 অর্থাৎ শক্তি এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত হয়। এতে শক্তির সৃষ্টি বা ধ্বংস হয় না। এটিই শক্তির নিত্যতা সূত্র।

খেলনাটিতে ফেলনা জিনিস ব্যবহৃত হয়েছে বলে রিসাইক্লিং হয়েছে,অপচয় হয়নি।

বাড়ির কাজঃ

হরেক রকম খেলনার মেলা

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7 Tagged With: কেন পানিতে ছেড়ে দেয়া মাত্রই এটা চলতে শুরু করল বলতে পারো? এই শক্তি কোথা থেকে আসলো?, তোমাদের নৌকা যখন চলছিল, দলের সকল সদস্য তাদের তৈরিকৃত খেলনাটি চালিয়ে কীভাবে বিভব শক্তি থেকে গতিশক্তির রূপান্তর হচ্ছে তা ব্যাখ্যা কর। কিভাবে খেলনাটিতে রিসাইক্লিং হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।, নৌকাটিকে গতিশীল করতে শক্তির যোগান এলো কোথা থেকে?, পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় এসময়ে কী কোনো কাজ সম্পন্ন হয়েছে? তোমার উত্তর লিখে রাখো।, ভেবে দেখো আর কোন কোন ক্ষেত্রে এরকম গতিশক্তি আর স্থিতিশক্তির পারস্পরিক রূপান্তর দেখা যায়?, হরেক রকম খেলনার মেলা-সপ্তম শ্রেণী

অদৃশ্য প্রতিবেশী।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

অদৃশ্য প্রতিবেশী-সপ্তম শ্রেণী

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৫ম অধ্যায়, অদৃশ্য প্রতিবেশী  সম্পর্কে জানবো।

সেশন শুরুর আগে

অদৃশ্য প্রতিবেশী কী? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৯)

উত্তর : আমাদের চারপাশে এমনকি আমাদের দেহে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য অণুজীব, যাদেরকে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না। এরাই হচ্ছে অদৃশ্য অণুজীব। যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, এন্টামিবা, ছত্রাক, শৈবাল ইত্যাদি। আমাদের চারপাশের দৃশ্যমান অনেক প্রতিবেশীর পাশাপাশি এরাও আমাদের জীবনকে ঘিরে রেখেছে। অনেক অণুজীব যেমনি আমাদের ক্ষতি করছে, তেমনি কিছু কিছু অণুজীব আমাদের উপকারও করছে।

কাজ–প্রথম সেশন শুরুর আগেই তোমাদের একটা কাজ করতে হবে। আগের সেশন শেষেই তোমরা এলাকাভিত্তিক জোড়ায়/দলে বিভক্ত হবার জন্য তোমাদের বাড়ির ঠিকানা লিখে জমা দাও। শিক্ষকের সহায়তায় তোমরা এলাকাভিত্তিক কয়েকটি জোড়ায়/দলে বিভক্ত হবে। প্রত্যেকটি জোড়া/দলের একটি করে সুন্দর নাম দেবে। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৯)

এখন কাজ হলো তোমাদের এলাকায় কী কী সংক্রামক রোগ আছে সেগুলো খুঁজে বের করা। তোমাদের এলাকায় কী কী সংক্রামক রোগবালাই দেখা যায়? কী কী কারণে এসব রোগ ছড়ায়? কী কী করলে এসব রোগ থেকে দূরে থাকা যায়? আপাতত এই তথ্যগুলো জোগাড় করতে হবে তোমার চারপাশ থেকেই। তোমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে, বাবা-মা বা আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বা পাড়া- প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করতে পারো।

তোমাদের এলাকায় কী কী সংক্রামক রোগবালাই দেখা যায়?

উত্তর : আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ দেখা যায়। যেমন- ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, টাইফয়েড, যক্ষ্মা, হাম, গুটিবসন্ত, সোয়াইনফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ইবোলা, জলাতঙ্ক, কোভিড-১৯ ইত্যাদি।

কী কী কারণে সংক্রামণ রোগ ছড়ায়?

উত্তর : যেসকল কারণে সংক্রামক রোগ ছড়ায়, যেমন- জীবাণুযুক্ত দূষিত পানি, বায়ু দূষণ, হাঁচি-কাশি সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত প্লেট, গ্লাস, চেয়ার-টেবিল, টয়লেট, জামাকাপড় ইত্যাদির মাধ্যমে, মশার কামড়, কুকুরের কামড়,  ইত্যাদি।

কী কী করলে সংক্রামক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়?

উত্তর : যেসব কাজ করলে সংক্রামক রোগ থেকে দূরে থাকা যায় তা হলো-

যেমন- সুষম খাদ্য গ্রহণ করা, নিরাপদ পানি ব্যবহার করা এবং হাত জীবাণুমুক্ত রাখা। এছাড়া ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকা, চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। বাড়ির আশপাশে পানি জমতে পারে এমন আবর্জনা যেমন- কৌটা, টায়ার, ফুলের টব ইত্যাদি পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ, এখানে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া রোগের বাহক মশা ডিম পাড়ে। প্রয়োজনীয় টিকা নিয়ে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করেও আমরা রোগমুক্ত থাকতে পারি।

 

অদৃশ্য প্রতিবেশী -সপ্তম শ্রেণী

 

জোড়া/দলের নামঃ মেঘনা

এলাকার ঠিকানাঃ

সংক্রামক
রোগের নাম

এই সংক্রামক
রোগে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা

কোন অণুজীব
এই রোগের জন্য দায়ী

এই সংক্রামক
রোগের লক্ষন কী?

কিভাবে এই সংক্রামক
রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা যায়।

কলেরা

১২

ব্যাকটেরিয়া

ডায়রিয়া, জলশূন্যতা,জ্বর,খিঁচুনি,কোমা।

১. জীবাণুমুক্ত অথবা ফোটানো জল পান করা

২. পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য বিধি
মেনে চলা।

৩.ঠান্ডা পানীতে বরফ খাওয়া বন্ধ করা।

৪. সবজী ভালোভাবে রান্না করা এবং গরম খাবার
খাওয়া।

৫. কাঁচা ফল, শাকসবজি, মাছ অথবা মাংস না খাওয়া।

৬. কলেরার টিকা গ্রহন করা।

৭. চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

কোভিড-১৯

৫৫০

ভাইরাস

১.জ্বর,সর্দি-কাশি,গলাব্যাথা।

২. শরীরে ব্যাথা ও যন্ত্রনা, ক্লান্তি।

৩. ডায়রিয়া

৪. স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারানো।

১. শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা।

২. কাশি, শ্বাসকষ্ট বা অবসাদের মতো কোনো উপসর্গ আছে
কিনা

চেক করা।

৩. অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করা।

৪. সর্বদা মাস্ক পরিধান করা।

৫. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।

৬. সরকার কর্তৃক বিনামূল্যের করোনা টিকা
গ্রহন করা।

৭. নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা।

হাম

২০

ভাইরাস

১. শরীরে ছোট ছোট, লালচে গুটি দেখা যায়।

২. জ্বর,চোখ লাল হওয়া।

৩. চোখ এবং নাক দিয়ে পানি পরা।

৪. হাঁচি ও কাশি হতে পারে।

৫. শিশুদের খাবারে অরুচি এবং দূর্বলতা।

হাম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
সাধারণত তিন দিনের চিকিৎসাতেই এই রোগের জ্বর ভালো হয় এবং সাত দিনের মধ্যেই হামে

আক্রান্ত রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে। হামে
আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে।

একটু পর পর ভেজা তোয়ালে/গামছা বা নরম কাপড়
দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিবে
, ক্ষতস্থান
খুটানো যাবেনা।

সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে, রোগীর বেশি জ্বর হলে বমি হতে পারে। তবে এতে
চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।  চিকিৎসকের
পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

গুটিবসন্ত

৪০

ভাইরাস

জ্বর, মাথাব্যাথা,গলাব্যাথা,
স্বাসযন্ত্রের উপরের অংশে প্রদাহ

পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, টিকা গ্রহণ করা, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা, পরিবারের সকলের মধ্যে এই রোগ সম্পর্কে
সচেতনতা গড়ে তোলা।

 

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

জলাতঙ্ক কী? 

জলাতঙ্ক একটি তীব্র ভাইরাল রোগ, যা সংক্রমিত কোনো প্রাণীর (বিশেষত কুকুর) লালা থেকে ছড়ায়। এ রোগটি হাইড্রোফোবিয়া নামেও পরিচিত।
 

জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণসমূহ উল্লেখ কর। 

উত্তর : জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণসমূহ নিম্নরূপ-
১. প্রথমে জ্বর শুরু হয়।
২. শরীরে অস্বাভাবিক এক বিষণ্ণতা আসে।
৩. আস্তে আস্তে ভয়ানক খিঁচুনি শুরু হয়।
৪. পানির তেষ্টায় বুক ফেটে যেতে চায়।
৫. পানি মুখে দিলেই ভয়ঙ্কর খিঁচুনি হয়।
 

জলাতঙ্কের প্রতিষেধক কিভাবে এলো? এই সম্পর্কে লুই পাস্তুর এবং জোসেফ মাইস্টার’এর ঘটনাটি শুনে তোমার কি মনে হলো?

অদৃশ্য প্রতিবেশীলুই পাস্তুর আর জোসেফ মাইস্টারের ঘটনাটি শুনে আমার মনে হলো লুই পাস্তুর যদি সেই সময় জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসায় গবেষণা না করতো এবং ঝুঁকি নিয়ে জোসেফ মাইস্টারের শরীরে জীবাণু প্রবেশ না করাতো তাহলে সে হয়তো মারা যেত। জোসেফ মাইস্টারকে সুস্থ করে তুলতে লুই পাস্তুর যে ঝুঁকি নিয়েছিলেন তা বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা হয়ে আছে। এ ঘটনার মাধ্যমেই জলাতঙ্ক নামক মূর্তিমান আতঙ্কের অবসান ঘটা শুরু হয়। একই সাথে অন্যান্য রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথ খুলে যায়।
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী
Read More: সূর্যালোকে রান্না- সপ্তম শ্রেণী

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ

 
এ সেশনে তোমরা অনুসন্ধানী বই এর অনুজীবজগৎ অধ্যায় থেকে বিভিন্ন অণুজীবের (ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, শৈবাল ও ভাইরাস) গঠন, বংশবৃদ্ধি ও পরিবেশগত গুরুত্ব সম্পর্কিত ধারণা স্পষ্ট করে নিবে। প্রয়োজনে শিক্ষকের সহায়তা নাও।
 

ভাইরাসের গঠন ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর : ক্ষমতাসম্পন্ন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া ভাইরাসকে দেখা যায় না। ভাইরাস গোলাকার, দন্ডাকার, ব্যাঙাচির মতো ইত্যাদি আকৃতির হতে পারে। ভাইরাসকে অণুজীব হিসেবে বিবেচনা করলেও এগুলোর আসলে স্বাধীন জীবন নেই। পরিবেশে এগুলো থাকে নির্জীব কণা হিসেবে। কিন্তু অন্য কোনো জীবের কোষে প্রবেশ করার পর ভাইরাস জীবের মতো আচরণ করতে পারে। ভাইরাসের দেহে কোষপ্রাচীর, সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস, সাইটোপ্লাজম ইত্যাদি কিছুই নেই। তাই ভাইরাস দেহকে অকোষীয়ও বলা হয়। এগুলো শুধু আমিষ (প্রোটিন) আবরণ ও নিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ বা আরএনএ) নিয়ে গঠিত এগুলোর আমিষ আবরণ থেকে নিউক্লিক অ্যাসিড বের হয়ে গেলে এগুলোর জীবনের সকল লক্ষণ হারিয়ে ফেলে। তবে অন্য জীবকোষে প্রবেশের পর যখনই সেগুলো প্রোটিন আবরণ ও নিউক্লিক অ্যাসিডকে একত্র করতে পারে, তখন এগুলো জীবনের সব লক্ষণ ফিরে পায়। অর্থাৎ জীবিত জীবদেহ ছাড়া বা জীবদেহের বাইরে এগুলো জীবনের কোনো লক্ষণ দেখায় না। এ কারণে ভাইরাস প্রকৃত পরজীবী।
 

ব্যাকটেরিয়ার গঠন বর্ণনা কর।

উত্তর : ব্যাকটেরিয়া হলো আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত, অসবুজ, এককোষী অণুবীক্ষণিক জীব (অর্থাৎ এগুলোর অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না)। বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক সর্বপ্রথম অণুবীক্ষণযন্ত্র ব্যবহার করে ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান। ব্যাকটেরিয়া কোষ গোলাকার, দন্ডাকার, কমা আকার, প্যাচানো ইত্যাদি ধরনের হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া সরল আণুবীক্ষণিক জীব হলেও সেগুলোর কিন্তু একটি সুগঠিত কোষীয় গঠন রয়েছে। এসব কোষের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রকৃতকোষী বা অকোষীয় অন্য জীবে পাওয়া যাবে না।
 
ব্যাকটেরিয়া আদিকোষী জীব। এসব কোষের নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রিকা সুগঠিত নয়। একটি আদর্শ নিউক্লিয়াসের নিজস্ব পর্দা থাকে, যা নিউক্লিয়াসটিকে কোষের অন্য অংশ থেকে পৃথক করে রাখে। কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। সেগুলোর মূল নিউক্লিয়ার বস্তু তথা ডিএনএ  কোষের প্রোটোপ্লাজমে অবস্থান করে। এগুলোকে নিউক্লিয়েড বলা হয়। ব্যাকটেরিয়ার কোষে মূল নিউক্লিয়ার বস্তু ছাড়াও বৃত্তাকার এক বা একাধিক ডিএনএ দিয়ে তৈরি গঠন থাকে। এগুলোকে বলা হয় প্লাসমিড ।
 

৮. অণুজীব কী শুধুই আমাদের ক্ষতির কারণ, নাকি আমাদের বন্ধু হিসেবেও ভূমিকা রাখে? 

উত্তর : অণুজীব শুধুই আমাদের ক্ষতির কারণ নয়। এরা আমাদের বন্ধু হিসেবেও ভূমিকা রাখে। যেমন- কিছু কিছু অণুজীবের (যেমন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক) কিছু প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বা আচরণ আমাদের উপকারে আসে। যেমন- মাশরুম। অনুজীব ব্যবহার করে আমরা পরিবেশ দুষণ দূর করতে পারি, যা পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। খাদ্য তৈরি ও উৎপাদন বাড়ানো, বিভিন্ন রোগ শনাক্তকরণ রোগের প্রতিষেধক তৈরি, বিরূপ আবহাওয়ায় বীজ ও গাছ উৎপাদন (লবণ প্রতিরোধী গাছ) ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনুজীব ব্যবহৃত হয়।
Read More: ফসলের ডাক-সপ্তম শ্রেণী
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশনঃ

জোড়া/দলের নামঃ মেঘনা

এলাকার ঠিকানাঃ

সংক্রামক
রোগের নাম

এই সংক্রামক
রোগে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা

কোন অণুজীব
এই রোগের জন্য দায়ী

এই সংক্রামক
রোগের লক্ষন কী?

কিভাবে এই সংক্রামক
রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা যায়।

এই সংক্রামক
রোগ থেকে বাঁচতে কী কী স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত?

কলেরা

১২

ব্যাকটেরিয়া

ডায়রিয়া,জলশূন্যতা,জ্বর,খিঁচুনি,কোমা।

১. জীবাণুমুক্ত অথবা
ফোটানো জল পান করা

২. পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা
এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা।

৩.ঠান্ডা পানীতে বরফ
খাওয়া বন্ধ করা।

৪. সবজী ভালোভাবে
রান্না করা এবং গরম খাবার খাওয়া।

৫. কাঁচা ফল, শাকসবজি, মাছ অথবা মাংস না
খাওয়া।

৬. কলেরার টিকা গ্রহন
করা।

৭. চিকিৎসকের শরণাপন্ন
হওয়া।

সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য
গ্রহণ
, নিরাপদ পানি পান, কাঁচা ফল শাকসবজি মাছ মাংস না  খাওয়া,
সবজি ভালোভাবে
রান্না করা এবং ঠান্ডা ও বাসি খাবার না খাওয়া
, ব্যক্তিগত
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা।

কোভিড-১৯

৫৫০

ভাইরাস

১.জ্বর,সর্দি-কাশি,গলাব্যাথা।

২. শরীরে ব্যাথা ও যন্ত্রনা, ক্লান্তি।

৩. ডায়রিয়া

৪. স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারানো।

১. শরীরের তাপমাত্রা
পরীক্ষা করা।

২. কাশি, শ্বাসকষ্ট বা অবসাদের মতো কোনো উপসর্গ আছে কিনা

চেক করা।

৩. অক্সিজেনের মাত্রা
পরীক্ষা করা।

৪. সর্বদা মাস্ক পরিধান
করা।

৫. সামাজিক দূরত্ব বজায়
রাখা।

৬. সরকার কর্তৃক
বিনামূল্যের করোনা টিকা গ্রহন করা।

৭. নিয়মিত ডাক্তারের
পরামর্শ মেনে চলা।

সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য
গ্রহণ
, নিরাপদ পানি পান, কাঁচা ফল শাকসবজি মাছ মাংস না  খাওয়া,
সবজি ভালোভাবে
রান্না করা এবং ঠান্ডা ও বাসি খাবার না খাওয়া
, ব্যক্তিগত
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা।

হাঁচি কাশির সময়
টিস্যু বা রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা
,আক্রান্ত রোগী
থেকে  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।

হাম

২০

ভাইরাস

১. শরীরে ছোট ছোট, লালচে গুটি দেখা যায়।

২. জ্বর,চোখ লাল হওয়া।

৩. চোখ এবং নাক দিয়ে পানি পরা।

৪. হাঁচি ও কাশি হতে পারে।

৫. শিশুদের খাবারে অরুচি এবং দূর্বলতা।

হাম হলে অবশ্যই
চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সাধারণত তিন দিনের চিকিৎসাতেই এই রোগের জ্বর ভালো হয়
এবং সাত দিনের মধ্যেই হামে

আক্রান্ত রোগী পুরোপুরি
সুস্থ হয়ে ওঠে। হামে আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে।

একটু পর পর ভেজা
তোয়ালে/গামছা বা নরম কাপড় দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিবে
, ক্ষতস্থান
খুটানো যাবেনা।

সামাজিক দূরত্ব মেনে
চলতে হবে
, রোগীর বেশি জ্বর হলে
বমি হতে পারে। তবে এতে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। 
চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য
গ্রহণ
, নিরাপদ পানি পান, কাঁচা ফল শাকসবজি মাছ মাংস না  খাওয়া,
সবজি ভালোভাবে
রান্না করা এবং ঠান্ডা ও বাসি খাবার না খাওয়া
, ব্যক্তিগত
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা।

হাঁচি কাশির সময়
টিস্যু বা রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা
,আক্রান্ত রোগী
থেকে  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।

গুটিবসন্ত

৪০

ভাইরাস

জ্বর, মাথাব্যাথা,গলাব্যাথা, স্বাসযন্ত্রের উপরের অংশে প্রদাহ

পুষ্টিকর ও সুষম খাবার
খাওয়া
, সামাজিক দূরত্ব বজায়
রাখা
, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন
থাকা
, টিকা গ্রহণ করা, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা, পরিবারের সকলের মধ্যে এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা।

 

সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য
গ্রহণ
, নিরাপদ পানি পান, কাঁচা ফল শাকসবজি মাছ মাংস না  খাওয়া,
সবজি ভালোভাবে
রান্না করা এবং ঠান্ডা ও বাসি খাবার না খাওয়া
, ব্যক্তিগত
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা।

হাঁচি কাশির সময়
টিস্যু বা রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা
,আক্রান্ত রোগী
থেকে  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।

 

অনুজীব দ্বারা সৃষ্ট সংক্রামক রোগ সম্পর্কে কিভাবে অন্যদের সচেতন করে তোলা যায়?

স্কুল কলেজ কর্মক্ষেত্রে গ্রাম ও গ্রুপ সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো। 
পোস্টার লিফলেট ভিডিও ও নানা মাধ্যম ব্যবহার করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। 
জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা সহজ লভ্য করা। 
সংক্রামক রোগের লক্ষণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে নিজে জ্ঞান অর্জন করা এবং শেয়ার করা। 
প্রয়োজনীয় টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করা
 

তোমার এলাকায় টিকাদান কর্মসূচি পালিত হতে দেখেছো? এই কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার জন্য পরিকল্পনা নিচে লিখে রাখো।

হ্যাঁ দেখেছি। 
শিক্ষকের সহায়তায় পরিকল্পনা করেছি সরকারি টিকাদান  কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণ করব। এক্ষেত্রে প্রথমে নিজেকে সংক্রামক রোগমুক্ত থাকতে হবে। যথাযথভাবে আবেদন করে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু কিছু কর্মসূচির জন্য প্রশিক্ষণের  প্রয়োজন হয়।তাই আমরা নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে টিকাদানের প্রক্রিয়া, টিকা সম্পর্কে তথ্য,স্বেচ্ছাসেবক  হিসেবে ভূমিকা সম্পর্কে জেনে নিব।
 

ফিরে দেখাঃ

টিকাদান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলে? কেমন লাগলো এই অভিজ্ঞতা?

টিকাদান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলাম। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে আমি অন্যদের সাহায্য করার সুযোগ পেয়েছি। অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক এবং টিকা গ্রহীতাদের সাথে  পরিচিত হতে পেরেছি। টিকাদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছি।
 

এই কাজে তোমার কি নতুন কোন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হয়েছে? তার মোকাবেলা কিভাবে করলে?

এই কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা আমার জন্য নতুন একটি অভিজ্ঞতা। টিকাদান কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি থাকে, টিকাগ্রহীতাদের সাথে যোগাযোগ করা, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এক ধরনের মানসিক চাপ ছিল। এ ব্যাপারটি আমার কাছে চ্যালেঞ্জ মনে হয়েছে। মানসিক চাপ মোকাবেলা করার জন্য অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে  কথা বলেছি এবং তাদের মতো কৌশল ব্যবহার করেছি,ব্যক্তিগত সুরক্ষার সরঞ্জাম ব্যবহার করেছি, এভাবে চ্যালেঞ্জ  মোকাবেলা করেছি।

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7 Tagged With: অণুজীব কী শুধুই আমাদের ক্ষতির কারণ, অদৃশ্য প্রতিবেশী-সপ্তম শ্রেণী, কী কী করলে সংক্রামক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়?, কী কী কারণে সংক্রামণ রোগ ছড়ায়?, জলাতঙ্ক কী?, জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণসমূহ উল্লেখ কর।, জলাতঙ্কের প্রতিষেধক কিভাবে এলো? এই সম্পর্কে লুই পাস্তুর এবং জোসেফ মাইস্টার'এর ঘটনাটি শুনে তোমার কি মনে হলো?, নাকি আমাদের বন্ধু হিসেবেও ভূমিকা রাখে?, ব্যাকটেরিয়ার গঠন বর্ণনা কর।, ভাইরাসের গঠন ব্যাখ্যা কর।

সূর্যালোকে রান্না।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

সূর্যালকের রান্না

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর,বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়, সূর্যালোকে রান্না সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

গনগনে রোদে বস্তুকে রাখলে সব বস্তু কি একই রকম গরম হয়ে ওঠে?কোন কোন বস্তু রোদে রাখলে বেশি গরম হয়?

গনগনে রোদে বস্তু রেখে দিলে তা ধীরেধীরে গরম হয়ে উঠে।তবে সববস্তু একইরকমভাবে গরম হয়না।কিছুকিছু বস্তু তাপ দ্রুত  শোষন করে এবং তাপ দ্রুত ছেড়ে দেয়না সেসব বস্তু দ্রুত গরম হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে গরম থাকে।
যেমন – লোহার তৈরি বস্তু(পেরেক,রড়),রঙিন বস্তু, পানি, কাঠ,কাপড়,চামড়ার তৈরি বস্তু,কাঁচের তৈরি বস্তু, এলুমিনিয়াম এবং তামার তৈরি বস্তু,পীতলের হাড়িপাতিল,প্লাস্টিক  ইত্যাদি।
 

উপরের জিনিসগুলোর (লোহার বস্তু, কাচের বস্তু, পানি, সাদা কাপড় ও রঙিন কাপড়)মধ্যে কোন মিল খুঁজে পাচ্ছ? বস্তুগুলো কী দিয়ে তৈরি, কোন রঙের ইত্যাদি দিকগুলো খেয়াল করে দেখো। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৩৯)

উত্তর : উপরের বস্তুগুলোর মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছি। এগুলো বিভিন্ন ধাতব পদার্থ দ্বারা তৈরি। এদের মধ্যে কোনটি কালো, কোনটি সাদা আবার কোনটি তামাটে।
থার্মোমিটার দিয়ে পাঁচটি পৃথক বস্তুর (লোহার বস্তু, কাচের বস্তু, পানি, সাদা কাপড় ও রঙিন কাপড়) তাপমাত্রা পরিমাপ করো এবং নিচের ছকে লিখে রাখো। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৩৯)
 

বস্তু

তাপমাত্রা

লোহার বস্তু

২৬°C

কাচের বস্তু

২৪°C

পানি

২৭°C

সাদা কাপড়

২৫°C

রঙিন কাপড়

২৭°C

অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট রোদে রেখে দেওয়ার পর থার্মোমিটার দিয়ে বস্তু পাঁচটির তাপমাত্রা পুনরায় পরিমাপ করো এবং নিচের ছকে দুইবার নেয়া তাপমাত্রার তথ্যই লিখে রাখো।

বস্তুর নাম

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বের তাপমাত্রা

সূর্যের আলোতে রাখার পরের তাপমাত্রা 

মন্তব্য

লোহার বস্তু

২৬° C

৮০° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বে তাপমাত্রা ছিল ২৬°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা ৮০° C হয়েছে ।

কাচের বস্তু

২৪° C

৭৬° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বে তাপমাত্রা ছিল ২৪°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা হয়েছে ৭৬° C

পানি

২৭° C

৮২° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বেতাপমাত্রা ছিল ২৭°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা হয়েছে ৮২°C ।

সাদা কাপড়

২৫° C

৭২° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বেতাপমাত্রা ছিল ২৫°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা হয়েছে ৭২°C ।

রঙিন কাপড়

২৭° C

৭৫° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বেতাপমাত্রা ছিল ২৭°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা হয়েছে ৭৫°C ।

আগের আর পরের তাপমাত্রার কোন পার্থক্য কি দেখতে পাচ্ছ?

উত্তর: হ্যা, আগের আর পরের তাপমাত্রার পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি।
 

পার্থক্য থেকে থাকলে কারণ কী হতে পারে?

সূর্য থেকে আসা তাপশক্তি শোষণ করে বস্তুগুলোর অর্থাৎ লোহা, কাচ, পানি এবং কাপড়ের তাপমাত্রা আগের তাপমাত্রা থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।
 

প্রতিটি বস্তুর তাপমাত্রার পরিবর্তন কি একইরকম ঘটছে?

লোহার বস্তুগুলো তাপ সুপরিবাহী হওয়ায় অধিক পরিমাণ তাপ গ্রহণ করে অন্যান্য বস্তু থেকে বেশি উত্তপ্ত হয় অন্যদিকে কাচ, পানি, এবং কাপড়ের বস্তুগুলোর তাপ পরিবাহিতা অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় কম পরিমাণ তাপ গ্রহণ করতে পারে ফলে তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কম বৃদ্ধি পায়। বস্তুর তাপমাত্রা রঙের উপরও নির্ভরশীল। সাদা কাপড়ের তাপ ধারণ বা শোষণ ক্ষমতা কম। রঙিন কাপড়ের তাপ বেশি শোষিত হয় এবং ধীরে তাপ ছাড়ে ফলে সাদা কাপড় অপেক্ষা রঙিন কাপড়ের তাপমাত্রা বেশি হয়।
 
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী

৩য় ও ৪র্থ সেশন

তাপ কী?

তাপ এক ধরনের শক্তি।এই শক্তিটা এসেছে পদার্থের অণু পরমাণুর সম্মিলিত গতিশক্তি বা কম্পন শক্তি থেকে।

তাপ কীভাবে সঞ্চালিত হয়?

তাপ এক ধরনের শক্তি। আমাদের নানা কাজে আমরা এই তাপ শক্তিকে ব্যবহার করি। কোনো কিছু সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হলে সেটাকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিতে হয়। কাজেই তাপ শক্তিকে আমাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিতে হয় কিংবা সঞ্চালন করতে হয়। তিনটি উপায়ে তাপ সঞ্চালিত হয় সেগুলো হচ্ছে- তাপের পরিবহন, পরিচলন এবং বিকিরণ।

তাপমাত্রা কী?

তাপমাত্রা হচ্ছে কোনোকিছু কতটুকু উত্তপ্ত কিংবা কতটুকু শীতল তার একটি পরিমাপ।

তাপের পরিবহন পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

আমরা জানি, কঠিন পদার্থের ক্ষেত্রে তাপ হচ্ছে অণুগুলোর কম্পন। তাই যখন কঠিন পদার্থের এক প্রান্ত উত্তপ্ত করা হয়, তখন সেই প্রান্তের অণুগুলো নিজের জায়গায় থেকেই কাঁপতে থাকে। কঠিন পদার্থের একটি অণুর সঙ্গে অন্য অণু যুক্ত । তাই একটা অণু কাঁপতে থাকলে সেটি তার পাশের অন্য অণুকেও কাঁপাতে শুরু করে। সেই অণুটি তখন তার পাশের অণুকে কাঁপায়। এভাবে কম্পনটি পদার্থের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পরিবাহিত হয়। এটাই তাপের পরিবহন পদ্ধতি।

তাপের পরিচলন বলতে কী বুঝ?

যে পদ্ধতিতে তাপ কোনো পদার্থের অনুগুলো চলাচলের দ্বারা উষ্ণতার অংশ থেকে শীতল অংশে সঞ্চালিত হয় তাকে পরিচলন বলে। এ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে তরল ও বায়বীয় পদার্থগুলোতে এ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়। তাপ গ্রহণ করে পদার্থের উষ্ণ অংশের অণুগুলো শীতল অংশের দিকে প্রবাহিত হয়। এভাবে অণুগুলো স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজ গতির সাহায্যে তাপ সঞ্চালিত করে।

তাপের বিকিরণ বলতে কী বুঝ?

আমরা যদি জ্বলন্ত আগুনের পাশে দাড়ায়, তখন এক ধরনের তাপ অনুভব করি। এই তাপটি পরিবহনের মাধ্যমে আসেনি, পরিচলনের মাধ্যমেও আসেনি। আমরা যখন রোদে দাঁড়াই, তখন যে তাপ অনুভব করি, সেই তাপও পরিবহন কিংবা পরিচলন পদ্ধতিতে সূর্য থেকে পৌঁছায়নি, এই তাপ সঞ্চালনের পদ্ধতির নাম বিকিরণ। এ পদ্ধতিতে তাপ কোনো প্রকার মাধ্যম ছাড়াই সঞ্চালিত হয়।

Read More: ফসলের ডাক-সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশন

সৌরচুল্লী বানানোর প্রক্রিয়া বর্ণনা কর । (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪১)

 
সৌরচুল্লী বানানোর প্রক্রিয়া-
 
  • তুমি যে বাক্সটি নিয়েছো সেটির উপরের ঢাকনাটা কেটে আলাদা করে নাও যাতে এর মোট ৫টি তল থাকে।
  • এবার বাক্সটির ভেতরের অংশে প্রতিটি তলের দৈর্ঘ্য ও প্রশ্ন মেপে সমান করে ককশীট বা শোলা কেটে নাও।
  • শোলার উপরে আঠা দিয়ে পেছন দিক থেকে পিন ফুটিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার অথবা র্যাপিং পেপারের উল্টা দিকের চকচকে তলটা এমনভাবে লাগাও যাতে সেটি যথেষ্ট মসৃণ হয়।
  • এবার নিচের তলটাকে বাক্সের ভেতরে আগে বসিয়ে দিয়ে চারপাশের তলের টুকরোগুলো স্কচটেপ অথবা আঠা দিয়ে লাগিয়ে ফেলো।
  • এখন উপরের প্রতিফলক বানানোর জন্য বাক্সের উপরের তলের কেটে রাখা টুকরোতে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল (অথবা তোমাদের বেছে নেয়া র‍্যাপিং পেপারের উল্টো দিকের চকচকে তল) সাঁটিয়ে নিয়ে এটাকে এমনভাবে বাক্সের উপরে স্থাপন করো যাতে এটা মোটামুটি ৬০° কোণে হেলে থেকে এর তলে প্রতিফলিত হওয়া আলোকরশ্মি বাক্সের মধ্যে গিয়ে পরে।
  • তোমার সৌর চুলা বানানো প্রায় শেষ। চুলাটা ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা পরীক্ষা করতে এটাকে সূর্যের নিচে নিয়ে ভেতরে একটা অ্যালুমিনিয়ামের বাটিতে ডিম ভেঙে নিয়ে বাটিটি ভেতরে রাখো।
  • বাক্সটির খোলা তলের উপর এবার একটা ঢাকনা বসাতে হবে, বাক্সের মাপের একটা ঢাকনা বানিয়ে নাও। ঢাকনার চারদিকে কার্ডবোর্ডের অংশ বাদ রেখে ভেতরে অংশ কেটে বের করে নাও। এই ফাঁকা স্থান কাঁচ অথবা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে আটকে দাও যাতে ঢাকনা বন্ধ করার পরেও এই স্বচ্ছ মাধ্যমের ভেতর দিয়ে সূর্যের আলো বাক্সের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। এই কাঁচ বা পলিথিনের ঢাকনা যাতে খুলতে বা আটকাতে সুবিধা হয় সেজন্য স্কচটেপ আর কাগজ দিয়ে একটা কব্জার মতো বানিয়ে নাও।
এবার তোমাদের নিজেদের সৌরচুল্লি বানানোর পালা। তোমার দলের সবাই মিলে আলোচনা করে ঠিক করো কোন কোন উপকরণ তোমাদের এলাকায় সহজলভ্য, বিনা খরচেই যেগুলো জোগাড় করা সম্ভব। এবার তোমরা কোন কোন উপকরণ ব্যবহার করবে তার তালিকা নিচে লিখে রাখো- (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৩)
 
সৌরচুল্লি বানানোর উপকরণের নাম :
১. কার্টুন বাক্স
২. অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার
৩. স্টিলের বাটি
৪. শোলা/ককশীট
৫. কাঁচ
৬. স্কচটেপ
৭. আঠা
৮. কাঠি
৯. থার্মোমিটার (সেলসিয়াস স্কেলের)
১০. পিন
১১. প্লাই বোর্ড
১২. পেরেক ইত্যাদি
 
 

তোমার দলের বানানো সৌরচুল্লীর একটি ছবি নিচের ফাঁকা জায়গায় এঁকে রাখো। আর পাশে কী কী উপকরণ ব্যবহার করলে তার তালিকে টুকে রাখো।

সূর্যালোকে রান্না 

সৌরচুল্লী তৈরির উপকরণগুলোর কোনটা কেন ব্যবহার করা হয়েছে বলতে পারো? সৌরচুল্লীকে কার্যকর করতে এই উপকরণগুলো কেন বেছে নেয়া হল? এই বিষয়ে তোমাদের মতামত কী? দলে বসে আলোচনা কর এবং নিচের ছকে লিখে রাখো।

 

উপকরণের নাম

উপকরণ নির্বাচনের কারণ

ফ্লাইবোর্ড/কাঠ বোর্ড

এটি টেকসই, সহজেই নষ্ট হয় না ফলে অনেক দিন ব্যবহার করা যায়।

ককসিট

ফ্লাইবোর্ডকে তাপ থেকে মুক্ত রাখে।

অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার

এটির ফলে ভেতরের তাপমাত্রা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি
পায়।

পেরেক

ফ্লাইবোর্ড গুলোকে একে অপরের সাথে আটকিয়ে রাখতে
সাহায্য করে।

কাচের পাত

কাচের পাত দেওয়ার কারণে তাপ বাহিরে যেতে পারে না।

আঠা

করুসেট এবং অ্যালুমিনিয়াম পেপার লাগানোর জন্য কাজে
লাগে।

আয়না

সূর্যের আলোর প্রতিফলেন সাহায্য করে।

হাতল

সৌরচুল্লী যেকোন জায়গায় বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

কব্জা

সৌরচুল্লীকে সহজেই উঠানো এবং নামানো যায়।

বাইসাইকেল স্পোক

সৌরচুল্লী খোলা রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়।

অন্য দলগুলোর ক্ষেত্রে চুল্লীর ভেতরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত ছিল?কোন দলের ডিম সেদ্ধ হতে সময় বেশি লেগেছে?তোমাদের চুল্লীর পরিকল্পনায় কোন পরিবর্তন আনলে কি আলো ভালোভাবে কাজ হতো?

অন্যদলগুলোর মধ্যে  শাপলা দলের চুল্লীর ভিতরে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ  ৯০° C ছিল।
গোলাপ দলের ডিম সেদ্ধ হতে বেশি সময় লেগেছে।
 
তুলনামুলক পর্যালোচনা করে দেখলাম আমাদের চুল্লী তৈরীর কাজে ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের পরিবর্তে অবতল দর্পন ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো হত। ইন্টারনেট এবং শিক্ষকের মাধ্যমে জেনেছি অবতল দর্পন আলোকরশ্মিকে একটি বিন্দুতে মিলিত করতে পারে।  এই এক বিন্দুতে আলোকরশ্মি মিলিত হলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। এই তাপের মাধ্যমে আগুনও ধরানো যায়। এছাড়া স্টীলের বাটির পরিবর্তে অ্যালুমিনিয়ামের বাটি ব্যবহার করলেও ভালো হত। এতে পাত্রটি দ্রুত গরম হয়ে উঠত।
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী

সপ্তম ও অষ্ট্ম সেশন

 

আধা ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করে দেখো চুলার মধ্যে তাপমাত্রা ও ডিমে কোনো পরিবর্তন হয় কি না।

 

সময়

০ মিনিট

৫ মিনিট

১০ মিনিট

১৫ মিনিট

২০ মিনিট

২৫ মিনিট

৩০ মিনিট

তাপমাত্রা (°সেলসিয়াস)

পরিবর্তন হয়নি।

৬°C

১৬°C

৩৭°C

৪৮°C

৬৪°C

৮০°C

 

শক্তির কোন কোন রুপ লক্ষ্য করেছ?

শক্তি কোথা থেকে কোথায় স্থানান্তরিত হয়েছ?

কোন কোন ক্ষেত্রে শক্তির কোন একটি রুপ থেকে অন্য রুপে রুপান্তরিত
হয়েছে?

তাপশক্তি

সূর্যের আলোকশক্তি তাপশক্তিতে স্থানান্তর

চুল্লীর ফয়েল পেপারে দীর্ঘক্ষণ সূর্যালোক পড়লে তা তাপশক্তিতে রুপান্তরিত হয়

রাসায়নিক শক্তি

তাপশক্তি  থেকে রাসায়নিক শক্তি

তাপশক্তির মাধ্যমে ডিমটি সিদ্ধ হয় এবং প্রোটিন অংশকে রাসায়নিকভাবে পরিবর্তন
করে

শব্দশক্তি

তাপশক্তি থেকে শব্দশক্তি

তাপশক্তির প্রয়োগে ডিম ভাজার শব্দ শোনা যায়, শব্দশক্তিতে রুপানরিত হয়



অভিজ্ঞতার কাজগুলো করতে তোমাদের কেমন লেগেছে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৭)

 
অভিজ্ঞতার কাজগুলো করতে আমাদের বেশ মজা লেগেছে। নিজেদেরকে ইঞ্জিনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার মনে হয়েছে। আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আরো চেষ্টা করলে বেশ ভালোমানের সৌরচুল্লি তৈরি করতে পারব। বাসাবাড়িতে এ সৌরচুল্লি ব্যবহার করে আমরা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের উপর চাপ কমাতে পারব।
 

সৌরচুলা পরিবেশ রক্ষায় কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৭)

 
সৌরচুলায় রান্না করতে গ্যাস বা তেলের প্রয়োজন হয়নি। এমনকি এতে বিদ্যুতের প্রয়োজনও হয়নি। তেল, গ্যাস বা বিদ্যুৎ ব্যবহার না করায় এতে কোনো কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়নি। ফলে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়নি। এছাড়া এতে কোনো ধোঁয়া সৃষ্টি না হওয়ায় বায়ুদূষণ রোধ হয়েছে। এভাবে সৌরচুলা পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে।
 

কোন কাজটি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে? চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবেলা করেছ? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৮)

 
নিজেরা একটি সৌরচুলা বানাবো প্রথমে একথাটি বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। এরপর যখন চুলা তৈরির উপকরণগুলো সবাই মিলে সংগ্রহ করে একটু একটু করে বানাতে লাগলাম তখন খুব ভালো লেগেছে। ‘দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করেছি। শিক্ষকসহ আমাদের দলের সবার সহযোগিতামূলক আচরণও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করেছে।
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7 Tagged With: অন্য দলগুলোর ক্ষেত্রে চুল্লীর ভেতরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত ছিল?, কোন দলের ডিম সেদ্ধ হতে সময় বেশি লেগেছে?, গনগনে রোদে বস্তুকে রাখলে সব বস্তু কি একই রকম গরম হয়ে ওঠে?কোন কোন বস্তু রোদে রাখলে বেশি গরম হয়?, তাপ ও তাপমাত্রা, তাপ কীভাবে সঞ্চালিত হয়?, তাপ সঞ্চালন, তাপমাত্রার স্কেল, তাপের পরিচলন বলতে কী বুঝ?, তাপের পরিবহন পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।, তাপের বিকিরণ বলতে কী বুঝ?, তোমাদের চুল্লীর পরিকল্পনায় কোন পরিবর্তন আনলে কি আলো ভালোভাবে কাজ হতো?, পদার্থের অবস্থার পরিবর্তনে তাপের প্রবাহ, সূর্যালোকে রান্না, সৌরচুলা পরিবেশ রক্ষায় কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?, সৌরচুল্লী বানানোর প্রক্রিয়া বর্ণনা কর ।

সবুজ বন্ধু ২০২৪ । বিজ্ঞান-অনুশীলন বই । ৮ম শ্রেনী

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

এই পোস্টে আমরা অষ্টম  শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা– সবুজ বন্ধু- সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

গাছ কী সত্যিই আমাদের বন্ধু হতে পারে?

গাছ কেবল বন্ধুই নয়, বরং আমাদের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য। গাছ আমাদের জীবনে অসংখ্য উপায়ে সাহায্য করে, যার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক:
 
অক্সিজেন সরবরাহ: গাছ আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেন উৎপাদন করে। বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে গাছ অক্সিজেন তৈরি করে, যা আমাদের জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয়।
 
খাদ্য সরবরাহ: আমরা যে ফল, শাকসবজি, এবং শস্য খাই, তার বেশিরভাগই গাছ থেকে আসে। গাছ আমাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং আমাদের সুস্থ রাখে।
 
পরিবেশ রক্ষা: গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাছ বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রণ করে, মাটির ক্ষয় রোধ করে, এবং বন্যার ঝুঁকি কমায়।
 
বাসস্থান প্রদান: গাছ অসংখ্য প্রাণী-পাখির বাসস্থান সরবরাহ করে। বন উজাড়ের ফলে প্রাণী-পাখির বাসস্থান হ্রাস পাচ্ছে, যা জীববৈচিত্র্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
 
ঔষধি গুণ: অনেক গাছের ঔষধি গুণ রয়েছে। গাছ থেকে প্রাপ্ত ঔষধ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
 
মানসিক প্রশান্তি: গাছের সান্নিধ্য আমাদের মানসিক প্রশান্তি দেয়। গাছের সবুজ রঙ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের মনকে প্রশান্ত করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
 
সৌন্দর্য বর্ধন: গাছ আমাদের পরিবেশকে সুন্দর করে তোলে। গাছের সবুজ পাতা, ফুল, এবং ফল আমাদের চারপাশের পরিবেশকে মনোরম করে তোলে।
 
অর্থনৈতিক উপকারিতা: গাছ থেকে আমরা কাঠ, কাগজ, এবং অন্যান্য জিনিসপত্র তৈরি করি। গাছ আমাদের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
 
পরিশেষে বলা যায়, গাছ আমাদের জীবনে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। গাছ আমাদের বন্ধু, সঙ্গী, এবং অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য। আমাদের সকলের উচিত গাছ লাগানো এবং গাছের যত্ন নেওয়া।
 

গাছ কী সত্যিই শব্দ উৎপন্ন করতে পারে?

সবুজ বন্ধুবৈজ্ঞানিক জার্নাল ‘সেল’ এ খুব সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষনায় দেখা গেছে গাছ সত্যি সত্যিই শব্দ উৎপন্ন করে। শুধু তাই নয়, সেই শব্দ রেকর্ড করে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গাছ যখন সুস্থ থাকে, ভালো থাকে-মানে হাসিখুশি’ অবস্থায় গাছ যে ধরনের শব্দ তৈরি করে তার চেয়ে কষ্টে থাকা, ক্ষুধার্থ বা তৃষ্ণার্ত গাছের শব্দ একেবারে আলাদা। পাশের ছবিতে খুব সরল করে বিষয়টা দেখানো হয়েছে খেয়াল করো। গাছকে যখন ঠিকমতো পানি দেয়া হচ্ছে না, তার ডাল কেটে ফেলা হচ্ছে, তখন সে বিভিন্ন রকম শব্দ তৈরি করছে। কিন্তু সুস্থ অবস্থায় একই গাছ যে শব্দ তৈরি করছে, বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে এই শব্দ থেকে সেগুলো একেবারে আলাদা! আরও অবাক করা বিষয় কি জানো? এই সূক্ষ্ম শব্দ আমাদের কান পর্যন্ত না পৌঁছুলেও অনেক ছোটো ছোটো প্রাণী যেমন ইঁদুর এই শব্দগুলো ঠিকই শুনতে পায়!
 
 

দলীয় কাজঃ ৫/৬ জন করে দলে ভাগ হয়ে একটি করে গাছ রোপন করতে হবে। শিক্ষক নিজেও একটি গাছ রোপন করবেন।

এক্ষেত্রে চারা কিভাবে জোগাড় করবে তা নিশ্চয় সপ্তম শ্রেণির ফসলের ডাক অভিজ্ঞতা’তে জানা হয়েছে।

আজ বাড়ি ফিরে গাছ রোপন করতে গিয়ে তোমার কী অভিজ্ঞতা হলো তা নিচে লিখে রাখো।

গাছ রোপন করতে গিয়ে কিভাবে একটি ভালো চারা বাছাই করতে হয়, কিভাবে টব এবং মাটি প্রস্তুত করতে হয়, কিভাবে গাছের চারা টবে রোপন করতে হয়, এবং পরিচর্যা করতে হয়—-ইত্যাদি জানলাম।
 
Read More: সুর্যঘড়ি- অষ্টম শ্রেণী
Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী

৩য় ও ৪র্থ সেশনঃ

কোষ কী?

কোষ হলো জীবদেহের গঠনগত একক। জীবদেহ ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা, প্লাজমিডিয়াম এগুলোর মতো এককোষী হতে পারে আবার মানুষ, বটগাছ, তিমি এগুলোর মতো বহুকোষী হতে পারে। এককোষী জীব ছাড়া অন্য সকল জীবদেহ অসংখ্য কোষ দিয়ে তৈরি হয়।

কোষ বিভাজন কী?

প্রতিটি জীব কোষ বিভাজনের মাধ্যমে তাদের বংশবৃদ্ধি ও কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি করে থাকে। যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় একটি থেকে একাধিক কোষ তৈরি হয় তাকে কোষ বিভাজন বলে। কোষ বিভাজন একটি স্বাভাবিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। কোষ বিভাজনের মাধ্যমে একটি কোষ বিভাজিত হয়ে অসংখ্য কোষ তৈরির মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবে পরিণত হয়। আদি এককোষী জীব সাধারণত যে প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয় তাকে আম্যাইটোসিস বলা হয়। বহুকোষী জীব যে দুটি প্রক্রিয়ায় বিভ্যাজত হয় সেগুলো হাচ্ছে মাইটোসিস এবং মিয়োসিস।

কোষের অভ্যন্তরে নিউক্লিয়াসের ভিতরে ক্রোমোজোমগুলো কিভাবে বিন্যস্ত থাকে?

কোষ ঝিল্লি দিয়ে আবৃত কোষের মূল দুটি উপাদান হচ্ছে সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস। কোষের কেন্দ্রে ঘন অস্বচ্ছ অঙ্গাণুটি হচ্ছে নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিয়াসের বাইরে অবস্থিত এবং কোষ ঝিল্লি দিয়ে আবৃত বাকি অংশটি সাইটোপ্লাজম। নিউক্লিয়াসটি নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দিয়ে আবৃত থাকে এবং তার ভেতরে রয়েছে জীবের বংশগতি পদার্থ DNA দিয়ে তৈরি ক্রোমোজোম। সাধারণ অবস্থায় দীর্ঘ ক্রোমোজোম হিস্টোন নামে প্রোটিন কণার উপর পেঁচিয়ে ক্রোমাটিন হিসেবে উন্মুক্ত জালিকার মতো থাকে বলে এটি আলাদাভাবে বোঝা যায় না। শুধু কোষ বিভাজনের সময় এটি কুণ্ডলী পাকিয়ে সংকুচিত হয় বলে তখন এটি দৃশ্যমান হয়।
 

তোমার সবুজ বন্ধুর দেহকোষে কি অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজন ঘটে? 

সবুজ বন্ধু অর্থাৎ  উদ্ভিদের দেহকোষে অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজন ঘটে না। অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়া প্রাণিকোষের জন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।
 
উদ্ভিদের দেহকোষে দুটি প্রধান ধরনের কোষ বিভাজন ঘটে:
 
১. মাইটোসিস:
এই প্রক্রিয়ায়, কোষের নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজম দুটি অপত্য কোষে সমানভাবে ভাগ হয়ে যায়। মাইটোসিস দেহকোষে ঘটে এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়।
 
২. মিয়োসিস:
এই প্রক্রিয়ায়, নিউক্লিয়াস দুবার বিভক্ত হয়, ফলে চারটি অপত্য কোষ তৈরি হয়। মিয়োসিস জনন কোষে ঘটে এবং উদ্ভিদের প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয়।
 

অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কিভাবে কোষ বিভাজন ঘটে?

অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজন অত্যন্ত সরল এবং দ্রুত। এটিতে কোন স্পষ্ট পর্যায় (প্রোফেজ, মেটাফেজ, এনাফেজ, টেলোফেজ) অনুসরণ করা হয় না।
সবুজ বন্ধু 
 

অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ার ধাপ:

 
১. নিউক্লিয়াসের দীর্ঘায়িতকরণ:
প্রথমে, কোষের নিউক্লিয়াস দীর্ঘায়িত হতে শুরু করে।
 
২. নিউক্লিয়াসের বিভাজন:
এরপর, নিউক্লিয়াস মাঝখানে বিভক্ত হয়।
 
৩. সাইটোপ্লাজমের বিভাজন:
অবশেষে, সাইটোপ্লাজম দুটি অংশে বিভক্ত হয়, একটি করে অপত্য কোষে।
 
অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়া প্রাণিকোষে ঘটে, বিশেষ করে নিম্ন শ্রেণীর জীবে, যেমন:
 
অ্যামিবা,প্যারামিশিয়াম,ইউগলেনা,হাইড্রা,প্ল্যানেরিয়া
 

মাইটোসিস কি ?মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কিভাবে কোষ বিভাজন ঘটে?

মাইটোসিস প্রক্রিয়া:

মাইটোসিস হলো একটি কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি মাতৃকোষ দুটি অপত্য কোষে বিভক্ত হয়। এই অপত্য কোষগুলি মাতৃকোষের জিনগতভাবে অনুরূপ। মাইটোসিস দেহকোষে ঘটে এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়।সবুজ বন্ধু
 
মাইটোসিস প্রক্রিয়ার পাঁচটি প্রধান ধাপ রয়েছে:
 
প্রোফেজঃ
মাইটোসিসের প্রথম ধাপ হলো প্রোফেজ। এই ধাপে মাতৃকোষ প্রতিটি ক্রোমোজোমের একটি অবিকল প্রতিলিপি তৈরি করে বিভাজন প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। ক্রোমোজোম কুণ্ডলী পাকিয়ে খাটো ও মোটা হতে থাকে, প্রতিটি ক্রোমোজোম তার অনুলিপিসহ সেন্ট্রোমিয়ারে ক্রোমাটিড হিসেবে যুক্ত থাকে।
 
মেটাফেজঃ
ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে স্পিন্ডল যন্ত্রের তত্ত্ব সংযুক্ত হয়ে ক্রোমোজোমগুলো স্পিন্ডল যন্ত্রের বিষুবীয় অঞ্চলে বিন্যস্ত হয়। ক্রোমাটিড বাহুদুটি মেরুমুখী হয়ে অবস্থান করে।
 
এনাফেজঃ
ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার বিভক্ত হওয়ার ফলে ক্রোমাটিড’দুটি আলাদা হয়ে পড়ে। ক্রোমোজোমদুটি কোষের মধ্যবর্তী অঞ্চল থেকে বিপরীত মেরুর দিকে যেতে থাকে। তখন ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার অগ্রগামী থাকে এবং ক্রোমাটিড বাহুগুলো তাদের পেছন দিকে থাকে।
 
টেলোফেজঃ
ক্রোমোজোমগুলো বিপরীত মেরুতে পৌঁছে সরু ও লম্বা আকার ধারণ করে। দুই মেরুতে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াস গঠিত হয়।
 
সাইটোকাইনেসিসঃ কোষের মধ্যবর্তী অংশে উভয়পাশ থেকে দুটি খাঁজ সৃষ্টি হয়। এ খাঁজ ক্রমান্বয়ে গভীর হয়ে মিলিত হয়ে দুটি পরিপূর্ণ অপত্য কোষে বিভক্ত হয়।
 
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশনঃ

এবার তোমাদের দলে মাইটোসিস কোষ বিভাজনের বিভিন্ন ধাপের মডেল বানানোর পালা।

 
উপকরণ – কাগজ/পোস্টার পেপার,মাটি,আটার মন্ড,সুতা,রিবন,চিকন তার,রঙ ইত্যাদি।
তোমাদের জন্য নিচে একটি  ধাপের মডেল নমুনা হিসেবে দেয়া হল। এটির অনুকরনে বাকি ধাপ গুলোর মডেল নিজে বানাবে

 

মাইটোসিস বিভাজন প্রক্রিয়া যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যে কি ঘটবে?

মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াটি জীবের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রভাবক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। জীবের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় অবস্থায় বিভিন্ন প্রভাবকের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির কারণে কোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনের ফলে টিউমার সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীকালে ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিভিন্ন রোগজীবাণু, রাসায়নিক পদার্থ কিংবা তেজস্ক্রিয়তা ইত্যাদি অনিয়ন্ত্রিত মাইটোসিস কোষ বিভাজনে বাহ্যিক প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। যকৃত, ফুসফুস, মস্তিষ্ক, স্তন, ত্বক, কোলন এরকম প্রাণিদেহের প্রায় সকল অঙ্গে ক্যান্সার হতে পারে।
 

মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কি ?মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় কিভাবে কোষ বিভাজন ঘটে?

মিয়োসিস বিভাজনের এক চক্রে নিউক্লিয়াস দুবার বিভাজিত হয়। প্রথমবারে নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোম সংখ্যায় অর্ধেক হয়ে যায়। এই বিভাজনে মাতৃকোষের যে দুটি নিউক্লিয়াস পাওয়া যায়, দ্বিতীয়বারে তার প্রতিটিই আবার দুটি কোষে বিভাজিত হয়। এবার অবশ্য ক্রোমোজোমের সংখ্যা এবং পরিমাণ সমান থাকে। তাই সব মিলিয়ে চূড়ান্ত ফল হলো, মিয়োসিস বিভাজনে একটি মাতৃকোষ থেকে চারটি অপত্য কোষ পাওয়া যায়, যেগুলোর প্রতিটিই মাতৃকোষের অর্ধেকসংখ্যক ক্রোমোজোম ধারণ করে (কাজেই DNA-এর পরিমাণও হয় প্রায় অর্ধেক)। তাই মিয়োসিসের আরেক নাম হ্রাসমূলক বিভাজন।
মিয়োসিস বিভাজনের সময় একটি কোষ পর পর দুবার বিভাজিত হয়। প্রথম বিভাজনকে প্রথম মিয়োটিক বিভাজন বা মিয়োসিস-১ এবং দ্বিতীয় বিভাজনকে দ্বিতীয় মিয়োটিক বিভাজন বা মিয়োসিস-২ বলে। প্রথম বিভাজনের সময় অ কোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেকে পরিণত হয় তাই একে হ্রাসমূলক বিভাজন (Reduction Division) বলে। দ্বিতীয় মিয়োটিক বিভাজনটি মাইটোসিসের অনুরূপ।
প্রথম মিয়োটিক বিভাজন বা মিয়োসিস-১ (First Meiotic Division) প্রথম মিয়োটিক বিভাজনকে চারটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে, যেমন- প্রোফেজ-১, মেটাফেজ-১, অ্যানাফেজ-১ এবং টেলোফেজ-১।  

দ্বিতীয় মিয়োটিক বিভাজন বা মিয়োসিস-২ (Second Meiotic Division) একইভাবে দ্বিতীয় মিয়োটিক বিভাজনকে চারটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে, যেমন- প্রোফেজ-২, মেটাফেজ-২, অ্যানাফেজ-২ এবং টেলোফেজ-২।

 

মাইটোসিস এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মধ্যে মূল পার্থক্য কী বলতে পারো?

মাইটোসিস এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মধ্যে মূল পার্থক্য  নিম্নরুপঃ
১.মাইটোসিস শরীরের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং ক্ষয়প্রাপ্ত কোষ প্রতিস্থাপনের জন্য ঘটে।
 মিয়োসিস যৌন প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয় যৌন কোষ তৈরির জন্য ঘটে।
 
২.মাইটোসিস কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং জিনগতভাবে অভিন্ন কোষ তৈরি করে।
মিয়োসিস কোষের সংখ্যা হ্রাস করে এবং জিনগতভাবে ভিন্ন কোষ তৈরি করে।
 
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী
Read More: ফসলের ডাক- সপ্তম শ্রেণী

সপ্তম ও অষ্ট্ম সেশনঃ

তোমার নিজের রোপন করা গাছের দেহে কি কি অঙ্গ রয়েছে?

উদ্ভিদের নাম-লেবু গাছ
উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের নাম-মূল,কান্ড,পাতা,ফুল,ফল,কুঁড়ি,শাখা-প্রশাখা,বৃন্ত,মূলরোম ইত্যাদি।

নবম ও দশম সেশনঃ

ব্যাপন, অভিস্রবণ, এবং প্রস্বেদন প্রক্রিয়া কী?

ব্যাপন:

একই তাপমাত্রা ও চাপে কোন পদার্থের অধিক ঘন স্থান হতে কম ঘন স্থানে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়াকে ব্যাপন বলে।
উদাহরণ: ঘরে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়া,পানিতে লবণ দ্রবীভূত হওয়া,ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়া ইত্যাদি। 
 

অভিস্রবণ:

অর্ধভেদ্য পর্দার মাধ্যমে দ্রাবক (পানি) কম ঘন দ্রবণ (পাতলা লবণের দ্রবণ) থেকে বেশি ঘন দ্রবণ (ঘন লবণের দ্রবণ) এ প্রবেশ করার প্রক্রিয়া।
উদাহরণ: শুকনো কিসমিস পানিতে ডুবিয়ে রাখলে কিসমিস ফুলে ওঠে।,গাছের মূল দিয়ে পানি শোষণ প্রক্রিয়া।
 

প্রস্বেদন:

উদ্ভিদের পাতা থেকে জলীয় বাষ্প বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে প্রস্বেদন বলে।
উদাহরণ: পাতার ছিদ্র (স্টোমাটা) দিয়ে জলীয় বাষ্প বেরিয়ে যাওয়া,ঘাসের পাতা ভেজা থাকা।
 

এই  প্রক্রিয়াগুলোর কোনটি উদ্ভিদের খাদ্য তৈরি ও গ্রহণ, শ্বাসপ্রশ্বাসে কীভাবে সাহায্য করে বলতে পারো?

সালোকসংশ্লেষণঃ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াতে উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি করে।
ব্যাপনঃ ব্যাপন প্রক্রিয়া অভিস্রবণ এবং প্রস্বেদন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।
অভিস্রবণঃ অভিস্রবণ প্রক্রিয়া উদ্ভিদের কোষে পানি এবং খনিজ পদার্থ পরিবহন করে,শ্বাস প্রশ্বাসের জন্যে প্রয়োজনীয় পানি শোষণে সাহায্য করে।
প্রস্বেদনঃ প্রস্বেদন প্রক্রিয়া উদ্ভিদের দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয় এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী

একাদশ ও দ্বাদশ সেশনঃ

অপুষ্পক উদ্ভিদ ও সপুস্পক উদ্ভিদ কী?

 
অপুষ্পক উদ্ভিদ- যে সকল উদ্ভিদে কখনো ফুল হয়না,তারাই অপুষ্পক উদ্ভিদ।
সপুষ্পক উদ্ভিদ- যে সকল উদ্ভিদের ফুল এবং বীজ হয় তারাই সপুষ্পক উদ্ভিদ।যেমন- আম,জাম,কাঁঠাল,পাইনগাছ ইত্যাদি। এরা ২টি উপজগৎ এ বিভক্ত:
১.নগ্নবীজী উদ্ভিদ – এদের ফুলের স্ত্রীস্তবকে গর্ভাশয় থাকেনা,তাই ফল তৈরি হয়না।
২.আবৃতবীজী উদ্ভিদ- এদের ফুলে গর্ভাশয় আছে,তাই ফল তৈরি হয়,বীজ ফলের ভেতরে আবৃত থাকে।এদেরকে ২ভাগে ভাগ করা হয়।যথা- একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী  উদ্ভিদ।উদ্ভিদের বীজে একটি বীজপত্র থাকলে একবীজপত্রী এবং ২টি বীজপত্র থাকলে দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে।
 
 

দলের সদস্যদের নাম

কি গাছ রোপন করেছে?

কোন শ্রেণিভুক্ত

আকাশ

গোলাপ

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > দ্বিবীজপত্রী

সিয়াম

পেঁপে

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > একবীজপত্রী

সাদ

মরিচ

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > দ্বিবীজপত্রী

সাদি

নিম

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > দ্বিবীজপত্রী

ইমন

তুলসী

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > দ্বিবীজপত্রী

সাইমন

গাঁদাফুল

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > দ্বিবীজপত্রী

রুবেল

মেহেদী গাছ

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > দ্বিবীজপত্রী

(উদাহরণ)

শিম গাছ

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > দ্বিবীজপত্রী

তোমার বন্ধু গাছটির নিয়মিত পরিচর্যার জন্য তুমি কী কী করে থাকো?

 
আমি নিয়মিত গাছে পানি দিই,পর্যাপ্ত রোদ যেনো লাগে সেদিকে খেয়াল করি। কিছুদিন পরপর জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করি,পোকামাকড় দমনের জন্য বালাইনাশক ব্যবহার করি।
 

এই গাছ যত্ন করে বড় করতে গিয়ে তোমার নতুন কী উপলব্ধি হয়েছে?

উত্তর- গাছ আমাদের জন্য একটি উপকারী বন্ধু।পরিবেশ রক্ষায় গাছের ভূমিকা অপরিসীম। গাছকে পর্যাপ্ত পরিমাণে যত্ন নিলে বিনিময়ে গাছ ও আমাদেরকেই বিশুদ্ধ হাওয়া, ছায়া, ফুল ফল দিয়ে বিমোহিত করে।
 

পুরো শিখন অভিজ্ঞতা শেষে মানুষের সঙ্গে গাছের কী কী মিল খুঁজে পেলে?

উত্তর- মানুষ এবং গাছ উভয়েরই জন্ম এবং মৃত্যু আছে।এছাড়া এরা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে এবং পরিণত হয়,বংশবিস্তার করতে পারে।বেঁচে থাকার জন্যে খাদ্যের প্রয়োজন হয় এরা উভয়ে একে অপরের উপকারী বন্ধু হয়ে পৃথিবীতে বসবাস করছে।

Filed Under: Class 8, বিজ্ঞান class 8 Tagged With: অপুষ্পক উদ্ভিদ ও সপুস্পক উদ্ভিদ কী?, অভিস্রবণ, অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কিভাবে কোষ বিভাজন ঘটে?, এবং প্রস্বেদন প্রক্রিয়া কী?, কোষ বিভাজন কী?, গাছ কী সত্যিই আমাদের বন্ধু হতে পারে?, গাছ কী সত্যিই শব্দ উৎপন্ন করতে পারে?, তোমার সবুজ বন্ধুর দেহকোষে কি অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজন ঘটে?, ব্যাপন, মাইটোসিস এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মধ্যে মূল পার্থক্য কী বলতে পারো?, মাইটোসিস কি ?মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কিভাবে কোষ বিভাজন ঘটে?, মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কি ?মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় কিভাবে কোষ বিভাজন ঘটে?, সবুজ বন্ধু

বায়ু দূষণ ২০২৪| ৯ম শ্রেণী | বিজ্ঞান অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

বায়ু দূষণ

পানি যেমন আমাদের জীবন ধারণের অপরিহার্য একটি উপাদান, বাতাস ও কিন্তু তাই। আমরা বাতাসের মধ্যেই বসবাস করি, ক্রমাগত নিঃশ্বাস নেই।.দেখতে না পেলেও, বাতাসের প্রবাহ কিন্তু আমরা ঠিকই অনুভব করি। ঝড়ের সময় আমরা টের পাই অদৃশ্য বাতাসের দানবীয় শক্তি। আচ্ছা, বাতাসেরও কি দূষণ হতে পারে???

নবম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের শিখন অভিজ্ঞতা– বায়ু দূষণ’- এর মধ্য দিয়ে আমরা পদার্থের অবস্থা,কণার গতিতত্ব,ব্যাপন,নিঃসরণ,পরমাণুর মডেল, ইলেক্ট্রন বিন্যাস, আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর,পর্যায় সারণি,মৌলের পর্যায়ভিত্তিক ধর্ম, রাসায়নিক বন্ধন,ধাতু নিষ্কাশন ইত্যাদি  সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

 

ক্রমিক নং

দলের সদস্যের নাম

এলাকার কোথায় নিঃশ্বাস নিতে ভালো লাগে

এলাকার কোথায় নিঃশ্বাস নিতে খারাপ লাগে

কোনো বিশেষ সাদৃশ্য বা বৈসাদৃশ্য

১

হামিম

নার্সারী
এলাকা

বন্দর এলাকা

নার্সারী
এলাকা শান্ত; বন্দর এলাকা কোলাহলপূর্ণ

২

সোহান

উন্মুক্ত স্থান
যেমন খেলার মাঠ

শিল্প এলাকা

উন্মুক্ত স্থাণের
বায়ু শিল্প এলাকার চেয়ে পরিষ্কার

৩

আলভী

গাছপালা সমৃদ্ধ
এলাকা

মহাসড়ক

মহাসড়কে মানসিক
চাপ বেশী

৪

আকাশ

জলাশয় যেমন
পুকুর

ডাস্টবিনের
স্তুপ

ডাস্টবিনের আশেপাশের
পরিবেশের বায়ু অপরিচ্ছন্ন

৫

সাদী

স্কুল
ক্যাম্পাস

খাল বা নদীর তীরে

দু’টো যায়গায়ই   শান্ত পরিবেশ থাকতে পারে

যেসব স্থানে শ্বাস নিতে আরাম লেগেছে সেখানে বিশেষ কি আছে?

পরিষ্কার বায়ু,পরিষ্কার জল, উর্বর মাটি, শান্ত পরিবেশ, পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ইত্যাদি। 

যেসব স্থানে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় সেখানের বিশেষ কি বৈশিষ্ট্য আছে?

বায়ু দূষন, পানি দূষন, মাটি দূষন, শব্দ দূষন, মানব স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ইত্যাদি।

Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান - নবম শ্রেণী
Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী
Read More: সূর্যঘড়ি- অষ্টম শ্রেণী

তৃতীয়,চতুর্থ ও পঞ্চম সেশনঃ

যে অঞ্চলে বাতাস দূষিত সেখানে মানুষের কী কী অসুবিধা হচ্ছে?

  • শ্বাসকষ্ট, হাপানি,কাশি,ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়ার মত রোগ সৃষ্টি করে।
  • এজমা আক্রমণের শংকা বাড়ায়।ফুসফুসের ক্যান্সার,হৃদরোগ, রক্তজমাট বাঁধা ইত্যাদি রোগের ঝুকি বাড়ায়।
  • ত্বকের সমস্যা,চোখের সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি করে।
  • গর্ভকালিন জটিলতা এবং শিশুদের বিকাশে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে।
  • এছাড়াও মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষন্নতার মত মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা তৈরী করতে পারে।

উদ্ভিদ ও প্রাণি,মানবস্বাস্থ্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর বায়ু দূষণের প্রভাবঃ

 

বায়ু দূষনের ফলাফল

মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব

শ্বাসকষ্ট, হাপানি,কাশি,ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়ার মত রোগ সৃষ্টি করে।এজমা আক্রমণের শংকা বাড়ায়। ফুসফুসের ক্যান্সার,হৃদরোগ, রক্তজমাট বাঁধা ইত্যাদি রোগের ঝুকি বাড়ায়।ত্বকের সমস্যা,চোখের সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি করে।গর্ভকালিন জটিলতা এবং শিশুদের বিকাশে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষন্নতার মত মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা তৈরী করতে পারে।

অন্যান্য উদ্ভিদ ও প্রাণির উপর প্রভাব

উদ্ভিদের উপর প্রভাবঃ উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যহত হয়।ফুল ও ফলের বিকাশে বাঁধা সৃষ্টি করে, ফলে ফলন কমে যায়। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যহত হয় এবং পাতা ঝরতে পারে।

প্রাণীর উপর প্রভাবঃ প্রাণীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। প্রাণীর বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর প্রভাব

গ্রিন হাউস গ্যাস বৃদ্ধি পায়, ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। এসিড বৃষ্টি তৈরি হয়। এটি বন,জলাশয় এবং মাটির ক্ষতি হয়।ওজোন স্তর ক্ষয় করে।জীববৈচিত্র্য হ্রাস পায়।

পরীক্ষনঃ পানিতে চা’পাতার রং ছড়িয়ে পরা।বায়ু দূষণ

 

টি ব্যাগ ডোবানোর সাথে সাথে

১ মিনিট পর

২ মিনিট পর

৫ মিনিট পর

পানির রং

পানির কিছু অংশ হালকা বাদামী

হালকা বাদামী

গাঢ় বাদামী

গাঢ় বাদামী বা কালচে

 

বেলুনের বাতাস বের হয়ে যাওয়ার গতি

        কারণ ব্যাখ্যা

সাধারণ অবস্থায় বেলুন ফুটো করলে

দ্রুত

বেলুনের ভেতরে বাতাসের চাপ বাইরের বাতাসের চাপের চেয়ে বেশি থাকে। ফলে, যখন বেলুনে ফুটো হয়, তখন বেলুনের ভেতরের উচ্চচাপের বাতাস দ্রুত বাইরের নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়।

বেলুনের ভেতরের বাতাসের অণুগুলো গতিশীল থাকে। ফলে, ফুটো দিয়ে বের হওয়ার সময় তাদের গতি আরও বৃদ্ধি পায়।

স্কচটেপ লাগিয়ে তার ওপরে বেলুন ফুটো করলে

ধীরে

বেলুনে স্কচটেপ লাগিয়ে তার উপরে বেলুনে ফুটো করলে বাতাস বের হয়ে যাওয়ার গতি ধীর হওয়ার কারণ হলো স্কচটেপের প্রতিরোধ ক্ষমতা। স্কচটেপ বেলুনের ছিদ্রটিকে পুরোপুরি বন্ধ করে না, বরং ছিদ্রের চারপাশে একটি পাতলা আবরণ তৈরি করে। এই আবরণ বাতাসের প্রবাহকে বাধা দেয়, ফলে বাতাস ধীরে ধীরে বের হয়।এক্ষেত্রে বেলুনটি ফেটে যায়না,চুপসে যায়।

বাতাসে সুগন্ধ বা দুর্গন্ধ ছড়ানোর সাথে এই দুইটি ঘটনার কোনটির মিল পাওয়া যায়?

বাতাসে সুগন্ধ বা দুর্গন্ধ ছড়ানোর সাথে পানিতে চাপাতার রং ছড়িয়ে পড়ার ঘটনার সাথে মিল রয়েছে।দুটো ঘটনাতেই ব্যাপন ঘটে।

বাতাস দূষিত হয় কোন প্রক্রিয়ায়?দূষণকারী পদার্থ কীভাবে ছড়ায়?তরল ও কঠিন পদার্থেও কি একইভাবে দূষণ ঘটে?

উত্তর: ১।যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কলকারখানা, এবং ঘরে জ্বালানী (যেমন কাঠ, কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস) পোড়ানোর ফলে বায়ুদূষণ ঘটে।
২।কলকারখানা থেকে নির্গত বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, ধোঁয়া, এবং ধুলোবালি বাতাস দূষণের অন্যতম কারণ।
৩।রাসায়নিক সার, কীটনাশক, এবং জৈব সার ব্যবহারের ফলে বাতাসে বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে।
৪।আগ্নেয়গিরি, বন্যা, এবং ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাতাস দূষণের কারণ হতে পারে।
৫।বন উজাড়ের ফলে বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
 
দূষণকারী পদার্থের ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া:
বাতাসে ছড়িয়ে পড়া দূষণকারী পদার্থ বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
বায়ুপ্রবাহ: বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে দূষণকারী পদার্থ দীর্ঘ দূরত্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বৃষ্টিপাত: বৃষ্টির মাধ্যমে দূষণকারী পদার্থ মাটিতে জমা হতে পারে।
অবক্ষেপণ: ধুলোবালি এবং অন্যান্য কণা মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে মাটিতে জমা হতে পারে।
 
তরল ও কঠিন পদার্থে দূষণ:
তরল ও কঠিন পদার্থেও দূষণ ঘটতে পারে। তরল পদার্থে দূষণ ঘটে যখন তরল পদার্থে বিষাক্ত পদার্থ মিশে যায়। কঠিন পদার্থে দূষণ ঘটে যখন কঠিন পদার্থের উপরে বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়।
 
তরল পদার্থে দূষণের উদাহরণ:
  • কলকারখানার বর্জ্য পানি নদীতে ফেলা,
  • কৃষি ক্ষেত থেকে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ধুয়ে নদীতে চলে যাওয়া,
  • পয়ঃনিষ্কাশনের অব্যবস্থা ইত্যাদি। 
কঠিন পদার্থে দূষণের উদাহরণ:
  • প্লাস্টিকের স্তর
  • ইলেকট্রনিক বর্জ্য
  • বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি।

পদার্থের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তন কীভাবে ঘটে?

উত্তর: পদার্থের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তন তাপমাত্রা এবং চাপের পরিবর্তনের মাধ্যমে ঘটে। তাপমাত্রা এবং চাপের পরিবর্তন কণার গতিশক্তি এবং আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তিকে প্রভাবিত করে, যার ফলে পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন ঘটে।পদার্থের অবস্থা পরিবর্তনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া আছে।যেমন: গলন,স্ফুটন,ঘনীভবন,হিমায়ন,উর্ধ্বপাতন ইত্যাদি।
 

গলন,স্ফুটন, পাতন,ঊর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়া বলতে কী বুঝ?

গলন, স্ফুটন, পাতন, এবং ঊর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়া:
গলন: তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া। উদাহরণস্বরূপ, বরফ গলে জলে পরিণত হয়।
 
স্ফুটন: তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে তরল পদার্থ গ্যাসে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া। উদাহরণস্বরূপ, জল ফুটে বাষ্পে পরিণত হয়।
 
পাতন: তরল পদার্থের মিশ্রণ থেকে উপাদানগুলোকে বাষ্পীভবন এবং ঘনীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আলাদা করার প্রক্রিয়া। উদাহরণস্বরূপ, লবণাক্ত জল থেকে পানি পাতন করে লবণ আলাদা করা।
 
ঊর্ধ্বপাতন: তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে কঠিন পদার্থ সরাসরি গ্যাসে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া।এক্ষেত্রে কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তা তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়। উদাহরণস্বরূপ, শুকনো বরফ,কঠিন ন্যাপথালিন ইত্যাদি পদার্থকে তাপ দিলে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়।
 
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী

ষষ্ঠ সেশনঃ

কোন কোন পদার্থ বায়ুতে থাকলে বায়ু দূষিত হয়? এসব পদার্থের ধরন কেমন?

বায়ু দূষনকারী পদার্থ

পদার্থের ধরন

ক্ষুদ্র বস্তুকণা (PM)

বায়ু দূষণের অন্যতম উপাদান, যার সাথে অনেক স্বাস্থ্যঝুঁকি জড়িত। এসব বস্তুকণায় বিভিন্ন উপাদান পাওয়া যায়; যেমন সালফেট ও নাইট্রেট যৌগ, অ্যামোনিয়া, সোডিয়াম ক্লোরাইড, কার্বন, ধূলিকণা এবং জলীয় বাষ্প।

কার্বন মনোক্সাইড (CO)

বর্ণহীন, স্বাদহীন, গন্ধহীন বিষাক্ত গ্যাস; মূলত কার্বনভিত্তিক ফুয়েল (যেমন: কাঠ, পেট্রোল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, কেরোসিন ইত্যাদি) পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন হয়।

নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2)

মূলত যানবাহনের ধোঁয়া এবং শিল্প কারখানা থেকে উৎপন্ন হয় এই ক্ষতিকর গ্যাস।

সালফার ডাই অক্সাইড (SO2)

বর্ণহীন কিন্তু কড়া ঘ্রাণযুক্ত গ্যাস।সাধারণত ফসিল ফুয়েল পোড়ানোর ফলে বাতাসে মেশে।

 

পরমাণুর বিন্যাস সম্পর্কে রাদারফোর্ডের মডেলের মুল ধারণা কী?

১.পরমাণুর কেন্দ্রে একটি ধনাত্মক চার্জযুক্ত ক্ষুদ্র কেন্দ্র থাকে,রাদারফোর্ড যার নাম দেন নিউক্লিয়াস। এই নিউক্লিয়াসে প্রোটন এবং নিউট্রন থাকে।পরমাণুর অধিকাংশ জায়গাই ফাঁকা।

২. ইলেকট্রন, যা ঋণাত্মক চার্জযুক্ত কণা, নিউক্লিয়াসের চারদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে।

৩.  সৌরজগতে যেমন সূর্যকে কেন্দ্র করে গ্রহগুলো ঘুরে তেমনি নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কক্ষপথে ইলেকট্রনগুলো ঘুরতে থাকে। নিউক্লিয়াস এবং ইলেকট্রনের মধ্যে আকর্ষণ বল কাজ করে, যা পরমাণুকে স্থিতিশীল রাখে।

 

পরমাণুর বিন্যাস সম্পর্কে বোরের মডেলের মুল ধারণা কী?

১.পরমাণুতে থাকা ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ইচ্ছেমতো যে কোনো কক্ষপথে ঘুরতে পারে না, শুধু নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের কতগুলো অনুমোদিত বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরে থাকে। এদেরকে প্রধান শক্তিস্তর বলে,যা n দ্বারা প্রকাশ করা হয়।এই স্থিতিশীল কক্ষপথে ঘোরার সময় ইলেকট্রনগুলো কোনো শক্তি শোষণ বা বিকিরণ করে না।

২. শক্তিস্তরে ইলেকট্রনের স্থানান্তরের ফলে  শক্তি শোষিত বা বিকিরিত হয়। এই শোষিত বা বিকিরিত শক্তির পরিমাণ, দুটি শক্তিস্তরের (E1, E₂) শক্তির

মধ্যে পার্থক্যের সমান এবং এটি প্লাঙ্কের সমীকরণ দ্বারা নির্ধারিত হয়। সমীকরণটি এরকম :

ΔΕ = E₂ – E1 = hυ

এই দুই মডেলের মূল পার্থক্য কোথায়?

রাদারফোর্ডের মডেল পরমাণুর কেন্দ্রীয় কাঠামো সম্পর্কে ধারণা দান করে, যেখানে বোরের মডেল ইলেকট্রনের কক্ষপথ এবং শক্তিস্তর এবং বর্ণালী সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে।

Read More: ফসলের ডাক- সপ্তম শ্রেণী
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

সপ্তম ও অষ্টম সেশনঃ

পরমাণুতে ইলেক্ট্রন কিভাবে বিন্যাস্ত থাকে?

পরমাণুতে ইলেকট্রন বিন্যাস :

পরমাণুতে নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে যে শক্তিস্তরে ইলেকট্রন ঘুরে তাকে প্রধান শক্তিস্তর বলে, একে n দ্বারা প্রকাশ করা হয়। n = 1,2,3,4 ইত্যাদি।

প্রত্যেকটি প্রধান শক্তি স্তরের সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা হলো 2n2

n= 1, হলে ১ম কক্ষপথে সর্বোচ্চ( 2*12=2) ২টি ইলেকট্রন থাকতে পারে।অনুরূপভাবে ২য়,৩য়, ৪র্থ শক্তিস্তরে ইলেকট্রন ধারণ ক্ষমতা হবে ৮,১৮,৩২টি।

দলীয় কাজঃ পরমাণুর ইলেক্ট্রন বিন্যাস বের কর।

তোমাদের কাজের সুবিধার্থে নিচে ১-৩০ পারমাণবিক সংখ্যা বিশিষ্ট মৌলের ইলেক্ট্রন বিন্যাস দেয়া হলোঃ

পারমাণবিক সংখ্যা

মৌল

    n= 1

      K

সর্বোচ্চ 2 টি ইলেক্ট্রন

    n= 1

      L

সর্বোচ্চ 8 টি ইলেক্ট্রন

    n= 1

      M

সর্বোচ্চ 18 টি ইলেক্ট্রন

    n= 1

      N

সর্বোচ্চ 32 টি ইলেক্ট্রন

1

H

1

 

 

 

2

He

2

 

 

 

3

Li

2

1

 

 

4

Be

2

2

 

 

5

B

2

3

 

 

6

C

2

4

 

 

7

N

2

5

 

 

8

O

2

6

 

 

9

F

2

7

 

 

10

Ne

2

8

 

 

11

Na

2

8

1

 

12

Mg

2

8

2

 

13

Al

2

8

3

 

14

Si

2

8

4

 

15

P

2

8

5

 

16

S

2

8

6

 

17

Cl

2

8

7

 

18

Ar

2

8

8

 

19

K

2

8

8

1

20

Ca

2

8

8

2

21

Sc

2

8

9

2

22

Ti

2

8

10

2

23

V

2

8

11

2

24

Cr

2

8

13

1

25

Mn

2

8

13

2

26

Fe

2

8

14

2

27

Co

2

8

15

2

28

Ni

2

8

16

2

29

Cu

2

8

18

1

30

Zn

2

8

18

2


উপশক্তিস্তরের ধারণা ঃ

প্রধান শক্তিস্তরগুলো (n) কিছু উপশক্তিস্তরে বিভক্ত থাকে এবং এই উপশক্তিস্তরকে ইংরেজি l বর্ণ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। l এর মান  0 থেকে n – 1 পর্যন্ত হয়ে থাকে। উপশক্তিস্তরকে অরবিটাল (orbital) বলে। এই উপশক্তিস্তর বা অরবিটালগুলোর 0, 1, 2, 3… মান এই সংখ্যাগুলো ছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন নাম রয়েছে এবং এরা s, p, d, এবং f নামে পরিচিত।

এখানে n = 1 হলে l এর একটি মাত্র মান হওয়া সম্ভব, সেটি হচ্ছে n-1 =(1-1) = 0; এক্ষেত্রে অরবিটাল হবে ১টি এবং সেটি হবে 1s.

n = 2 হলে l এর সর্বোচ্চ মান হচ্ছে n-1 = (2-1) = 1; কাজেই এবারে l এর দুটি মান হতে পারে, l = 0, এবং l = 1 অর্থাৎ অরবিটাল হবে ২টি, এবং সেই অরবিটাল দুটি হচ্ছে 2s 2p

n = 3 হলে। এর সর্বোচ্চ মান হচ্ছে n-1 = (3-1) = 2; কাজেই এবারে l এর তিনটি মান হতে পারে, l = 0, 1 এবং 2 অর্থাৎ অরবিটাল হবে তিনটি, এবং সেই অরবিটাল তিনটি হচ্ছে 3s, 3p 3d । এভাবে আমরা দেখাতে পারি, n = 4 হলে l = 0, 1, 2, 3 হবে; এক্ষেত্রে অরবিটাল হবে ৪টি এবং সেগুলো হচ্ছে 4s, 4p, 4d, 4f.

প্রতিটি অরবিটালে সর্বোচ্চ ২টি করে ইলেকট্রন থাকতে পারে,
s অরবিটে ২টি,p অরবিটে ৬টি,d অরবিটে ১০টি, f অরবিটে ১৪টি ইলেকট্রন থাকতে পারে।

ইলেকট্রন বিন্যাসের নীতি (আউফবাউ নীতি) কী?

ইলেকট্রন বিন্যাসের নীতিঃ ইলেকট্রন প্রথমে সর্বনিম্ন শক্তির অরবিটাল পূর্ণ করবে, পরবর্তী কালে ক্রমান্বয়ে উচ্চশক্তির অরবিটাল পূর্ণ করতে শুরু করবে। আরও সহজভাবে বললে বলা যায়, যে অরবিটালের শক্তি কম (lower energy), সেই অরবিটালে ইলেকট্রন আগে প্রবেশ করবে এবং যে অরবিটালের শক্তি অপেক্ষাকৃত বেশি, সে অরবিটালে পরে প্রবেশ করবে।
অরবিটালের শক্তি বের করার সূত্র হলো- (n+l)
যে অরবিটালের (n+l) এর মান কম সে অরবিটালের শক্তি কম,যে অরবিটালের  ( n+l) এর মান বেশি সে অরবিটালের শক্তি বেশি।
দুটি অরবিটালের শক্তির মান একই হলে যে অরবিটালের n এর মান কম সেই অইবিটালে ইলেক্ট্রন আগে প্রবেশ করবে।

ইলেকট্রন বিন্যাসের ব্যাতিক্রম ঃ ভাবনার খোরাক

ব্যাতিক্রমধর্মী ইলেক্ট্রন বিন্যাসঃ

Cu (29) →    1s2      2s2    2p6     3s2     3p6     4s1     3d10

Cr (24) →    1s2      2s2    2p6     3s2     3p6     4s1     3d5

একই উপশক্তিস্তর যেমন- p কিংবা d অরবিটালগুলো অর্ধেক পূর্ণ (উদাহরণ: p3, d5) না হয়ে যদি সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ (উদাহরণ: p6, d10) হয়, তাহলে সেই ইলেকট্রন বিন্যাস বেশি স্থিতিশীল (stable) হয়ে থাকে।

নবম ও দশম সেশনঃ

পারমাণবিক ভর ও আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরের পার্থক্য কি?

একটি পরমাণুর ভর বা পারমাণবিক ভর বলতে ঐ পরমাণুতে অবস্থিত  ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রনের ভরের সমষ্টি বুঝায়।
 
অপরদিকে, কার্বন-১২ পরমাণুর ভরের ১/১২ অংশের সাথে যেকোনো মৌলের এক পরমাণুর গড় ভরের অনুপাতকে আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বলে।
 

পার্থক্য –

★পারমাণবিক ভর ব্যবহার করে আমরা কোনো মৌলের পরমাণুর ভর নির্ণয় করতে পারি।এটি নির্দিষ্ট। 
★আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর ব্যবহার করে আমরা কোনো মৌলের পরমাণুর ভরকে কার্বন-১২ আইসোটোপের ভরের সাথে তুলনা করতে পারি।
★রাসায়নিক বিক্রিয়ার স্টোইকিওমেট্রি নির্ণয়ের জন্য আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর ব্যবহার করা হয়।এটি আপেক্ষিক।
সর্বোপরি, পারমাণবিক ভর হলো কোনো পরমাণুর প্রকৃত ভর, যেখানে আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর হলো কার্বন-১২ আইসোটোপের ভরের সাথে তুলনামূলক ভর।
 

প্রকৃতিতে কপারের দুটি আইসোটোপ হচ্ছে  63Cu এবং 65Cu এবং তার গড় আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর হচ্ছে 63.5। তুমি কি 63Cu এবং 65Cu –এর প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শতকরা পরিমাণ বের করতে পারবে?

হ্যাঁ, আমি 63Cu  এবং 65Cu –এর প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শতকরা পরিমাণ বের করতে পারবো।

প্রথমে, আমরা নিম্নলিখিত সমীকরণটি ব্যবহার করবো:

গড় পারমাণবিক ভর = (আইসোটোপ 1 এর ভর * আইসোটোপ 1 এর শতকরা পরিমাণ) + (আইসোটোপ 2 এর ভর * আইসোটোপ 2 এর শতকরা পরিমাণ) / 100

 

গড় পারমাণবিক ভর = (pm+qn)/100

এখানে,

  • গড় পারমাণবিক ভর = 63.5
  • আইসোটোপ 1 = 63Cu
  • আইসোটোপ 2 = 65Cu
  • আইসোটোপ 1 এর ভর m = 62.9295 u
  • আইসোটোপ 2 এর ভর n = 64.9277 u
  • আইসোটোপ 1 এর শতকরা পরিমাণ p = x
  • আইসোটোপ 2 এর শতকরা পরিমাণ q= 100 – x

এখন, আমরা সমীকরণটিতে মানগুলি প্রতিস্থাপন করবো:

63.5 = (62.9295 * x) + (64.9277 * (100 – x)) / 100

এই সমীকরণটি সমাধান করলে আমরা পাই:   x = 71.44%

অতএব,

63Cu –এর শতকরা পরিমাণ = 71.44%

65Cu –এর শতকরা পরিমাণ = 100 – 71.44 = 28.56%

সুতরাং, 63Cu –এর প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শতকরা পরিমাণ 71.44% এবং 65Cu –এর প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শতকরা পরিমাণ 28.56%।

৩টি আইসোটোপ রয়েছে এরকম একটি মৌলের গড় আপেক্ষিক  পারমাণবিক ভর যদি তুমি জানো তাহলে কি তুমি তাদের প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শতকরা পরিমাণ বের করতে পারবে?

গড় পারমাণবিক ভর = (pm+qn+ro)/100 

এখানে p,q,r হলো যথাক্রমে ৩টি আইসোটোপের শতকরা পরিমাণ এবং m,n,o হলো আইসোটোপ ৩টির ভর।

এই সূত্রে মান বসিয়ে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত আইসোটোপের শতকরা পরিমাণ বের করতে পারব।

১১শ ও ১২শ সেশনঃ

আপেক্ষিক আণবিক ভর কিভাবে বের করা হয়?

আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর ব্যবহার করে অণুর ভর বের করা হলে তাকে আপেক্ষিক আণবিক ভর বলা হয়। অর্থাৎ অণুর ভেতর যে পরমাণুগুলো রয়েছে সেই পরমাণুগুলোর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরকে পরমাণু সংখ্যা দিয়ে গুণ করে প্রাপ্ত গুণফলগুলোকে যোগ করে অণুর আপেক্ষিক আণবিক ভর বের করা হয়।
 
উদাহরণ: CO₂-এর আপেক্ষিক আণবিক ভর কত?
 
সমাধান : CO₂, অণুতে রয়েছে 1টি কার্বন (C) ও 2টি অক্সিজেন (০) পরমাণু। কার্বন পরমাণুর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 12 এবং অক্সিজেন পরমাণুর আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর 16। কাজেই CO₂ -এর আপেক্ষিক আণবিক ভর হচ্ছে 12 + 2 x 16 = 44

১৩শ,১৪শ,১৫শ ও ১৬শ সেশনঃ

পর্যায় সারণি কী?

পর্যায় সারণি হলো রাসায়নিক মৌলগুলোকে তাদের পারমাণবিক সংখ্যা, ইলেকট্রন বিন্যাস এবং রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সাজানো একটি ছক। এটি রসায়নের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ এটি আমাদের মৌলগুলোর বৈশিষ্ট্য বুঝতে এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ার পূর্বাভাস পেতে   সাহায্য করে।
 

পর্যায় সারণিতে মৌলের অবস্থান নির্ণয় কিভাবে করবে? 

উত্তর-  পর্যায় নির্ণয়:
 
পর্যায় সারণিতে কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের সবচেয়ে বাইরের শক্তিস্তরের নম্বরই  হচ্ছে ঐ মৌলটির পর্যায় নম্বর। যেমন-  লিথিয়াম(Li) এর ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায় এর বাইরের শক্তিস্তর হলো ২।তাই এটি ২য় পর্যায়ের মৌল।
Li (3) →    1s2      2s1 
 
গ্রুপ নির্ণয় :
নিয়ম ১: কোন মৌলের ইলেকট্রন  বিন্যাসের বাইরের প্রধান শক্তি স্তরে শুধু s অরবিটাল থাকে তাহলে s অরবিটালের মোট ইলেকট্রন সংখ্যায় হচ্ছে মৌলটির গ্রুপ নম্বর।  যেমন – লিথিয়াম গ্রুপ ১ এর মৌল।
Li (3) → 1s2      2s1 
 
নিয়ম ২ : কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের বাইরের প্রধান শক্তিস্তরে s ও p অরবিটাল থাকলে ঐ অরবিটালদ্বয়ে  থাকা মোট ইলেকট্রনের সাথে ১০ যোগ করলে  যে সংখ্যা পাওয়া যাবে সেই সংখ্যাটিই হবে ওই মৌলের গ্রুপ নাম্বার।    

B (5) → 1s2      2s2    2p1     

সুতরাং, বোরনের গ্রুপ নম্বর হবে (2+1+10)=13

নিয়ম ৩: কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের বাইরের প্রধান শক্তিস্তরে s অরবিটাল থাকলে এবং এর আগে d অরবিটাল থাকলে সেক্ষেত্রে s এবং d অরবিটালের ইলেকট্রন সংখ্যা যোগ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যাবে সেটি হবে মৌলের গ্রুপ নাম্বার।Fe (26) →  1s2      2s2    2p6    3s2     3p6     4s2     3d6

 

এক্ষেত্রে, আয়রন (Fe) -এর বাইরের প্রধান শক্তিস্তরে ও অরবিটাল আছে এবং তার আগের প্রধান শক্তিস্তরে d অরবিটাল আছে। এখানে d অরবিটালে, এটি এবং ও অরবিটালে 2টি ইলেকট্রন রয়েছে। সুতরাং, আয়রন (Fe) -এর গ্রুপ নম্বর হবে 6+2=8

নিচের মৌলগুলোর পর্যায়সারণিতে অবস্থান নির্ণয় কর।

K (19) →  1s2  2s2    2p6    3s2   3p6    4s1           ;পর্যায় ৪, গ্রুপ ১

Zn(30) → 1s2  2s2  2p6  3s2   3p6  4s2  3d10  ;পর্যায় ৪, গ্রুপ ১২

Rb(37) →1s2  2s2  2p6  3s2  3p6  4s2  3d10  4p6  5s1  ;পর্যায় ৫, গ্রুপ ১

Sb(51) →1s2  2s2  2p6  3s2   3p6  4s2  3d10  4p6  5s2 4d10  5p3 ;পর্যায় ৫, গ্রুপ ১৫

Ba(56) → 1s2   2s2  2p6  3s2  3p6 4s2  3d10  4p6  5s2 4d10 5p6  6s2 ;পর্যায় ৬, গ্রুপ ২

 

Au (79) →1s2  2s2  2p6  3s2  3p6  4s2  3d10  4p6  5s2 4d10  5p6  6s2  4f14  5d9 ;পর্যায় ৬, গ্রুপ ১২

পারমাণবিক আকার অনুযায়ী Ca,Br,Ds,O,Xe,Mg,Cr,Au,Ni,Si,Fr,F মৌলগুলোকে সাজাও

বৃহত্তর থেকে ক্ষুদ্রতম আকারে সাজানো হলোঃ
Fr>Ca>Br>Mg>Cr>Ni>Si>O>Ds>Xe>Au>F
 

যোজনী ও যোজ্যতা কি?

যোজনী: রাসায়নিক যৌগ গঠনের সময় কোন মৌলের একটি পরমাণু কতগুলো হাইড্রোজেন (H) অথবা তার সমতুল্য (যেমন: ক্লোরিন (Cl), সোডিয়াম (Na) ইত্যাদি) অন্য মৌলের পরমাণুর সাথে যুক্ত হতে পারে তাকে যোজনী বলে।
 
যোজ্যতা: রাসায়নিক যৌগ গঠনের সময় কোন মৌলের একটি পরমাণু কতগুলো ইলেকট্রন গ্রহণ করে বা প্রদান করে তাকে যোজ্যতা বলে।

১৯শ ও ২০শ সেশনঃ

একটি পদার্থ আরেকটি পদার্থের সাথে কেন যুক্ত হয়? কোন মৌল কোন মৌলের সাথে মিলে যৌগ গঠন করবে তা কিসের উপর নির্ভর করে?

একটি পদার্থ আরেকটি পদার্থের সাথে যুক্ত থাকে রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে।প্রত্যেক মৌল তার সর্বশেষ শক্তিস্তরে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মতো ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে স্থিতিশীল হতে চায়।তাই যখন একই মৌল বা ভিন্ন মৌলের পরমাণু কাছাকাছি আসে তারা তাদের সর্বশেষ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন গ্রহণ বা ত্যাগ বা ভাগাভাগি করে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের মতো স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে।ফলে পরমাণুগুলোর মধ্যে এক ধরনের আকর্ষণ তৈরি হয়,এভাবে রাসায়নিক বন্ধন গঠিত হয়।কোন মৌল কোন মৌলের সাথে যুক্ত হবে তা নির্ভর করে ইলেকট্রন বিন্যাস, পারমানবিক আকার,আয়নিকরণ শক্তি ইত্যাদির উপর।
 

আয়নিক বন্ধন, সমযোজী বন্ধন, ধাতব বন্ধন: কোন ক্ষেত্রে কোনটি ঘটে? কীভাবে ঘটে?

আয়নিক বন্ধন কীভাবে ঘটে:

বিপরীত চার্জযুক্ত আয়নের মধ্যে: যখন একটি পরমাণু ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়নে (ক্যাটায়ন) পরিণত হয় এবং অন্য পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আয়নে (অ্যানায়ন) পরিণত হয় তখন তাদের মধ্যে আয়নিক বন্ধন তৈরি হয়।
 

সমযোজী বন্ধন কীভাবে ঘটে:

ইলেকট্রনের ভাগাভাগি: দুটি অধাতু পরমাণু তাদের ইলেকট্রন শেয়ার করে একটি স্থিতিশীল ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে এবং সমযোজী বন্ধন তৈরি করে।
 

ধাতব বন্ধন কীভাবে ঘটে:

ধাতু পরমাণুগুলো তাদের যোজ্যতা ইলেকট্রন ত্যাগ করে ইলেকট্রনের “সমুদ্র” তৈরি করে।ধনাত্মক ধাতু আয়নগুলো ইলেকট্রনের সমুদ্রের দ্বারা আকৃষ্ট হয়। ফলে ধাতব বন্ধন তৈরি হয়।
 

বায়ু দূষণকারী পদার্থগুলোর মধ্যে কোন ধরণের বন্ধন কাজ করে?

বায়ু দূষণকারী পদার্থের নাম

কোন কোন মৌলের সমন্বয়ে সৃষ্ট

কোন ধরনের রাসায়নিক বন্ধন

উত্তরের পক্ষে যুক্তি কী?

কার্বন মনোক্সাইড (CO)

C ও O

সমযোজী

C ও O পরমাণু ইলেক্ট্রন ভাগাভাগি করে অষ্টক পূরণ করে

ওজোন (O3)

O

সমযোজী

O পরমাণু পরস্পর ইলেক্ট্রন ভাগাভাগি করে অষ্টক পূরণ করে

নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড(NO2)

N ও O

সমযোজী

N ও O পরমাণু ইলেক্ট্রন ভাগাভাগি করে অষ্টক পূরণ করে

সালফার ডাই অক্সাইড(SO2)

S ও O

সমযোজী

S ও O পরমাণু ইলেক্ট্রন ভাগাভাগি করে অষ্টক পূরণ করে

২১শ ও ২২শ সেশনঃ

CO, O3, NO2, SO2 ইত্যাদি বায়ু দূষণকারী যৌগ কোথায় তৈরি হয়,কী ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপাদ হিসেবে তৈরি হয়? কী ধরনের কৌশল বা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এই ক্ষতিকর  পদার্থ নি:সরণ বন্ধ করা সম্ভব?

তৈরীর স্থানঃ শিল্প কারখানার চুল্লী, জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ার ফলে, যানবাহনের উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বালানী দহন, বন উজাড়, খনিজ পদার্থ প্রক্রিয়াজাতকরন ইত্যাদি।

ক্ষতিকর পদার্থ নির্গমন নিয়ন্ত্রণ:

প্রযুক্তি: ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা: ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক প্রিসিপিটেটর, স্ক্রাবার, ফিল্টার ব্যবহার

জ্বালানী দক্ষতা বৃদ্ধি: উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার, জ্বালানীর পূর্ণ দহন নিশ্চিত করা

পরিবেশবান্ধব জ্বালানী ব্যবহার: : নবায়নযোগ্য জ্বালানী, CNG, LPG ব্যবহার

নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা: কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, নিয়মিত পরিদর্শন

কৌশল:

সচেতনতা বৃদ্ধি: জনসাধারণকে বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে শিক্ষিত করা।

পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন: গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, যানবাহনের নির্গমন নিয়ন্ত্রণ।

বৃক্ষরোপণ: বৃক্ষরোপণ বৃদ্ধি, বনায়ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি।

ভাবনার খোরাকঃClean energy বা “পরিচ্ছন্ন শক্তি” কি?

Clean energy” বা “পরিচ্ছন্ন শক্তি” হল এমন শক্তি যা উৎপাদনের সময় ক্ষতিকারক বায়ু দূষণকারী পদার্থ নিঃসরণ করে না। এটি সাধারণতঃ পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি উৎস থেকে উৎপাদিত হয়, যা প্রাকৃতিকভাবে পুনঃনির্মিত হয় এবং ক্ষীণ হয়ে যায় না। তবে, শুধু পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তিই নয়, বরং যেকোনো এমন প্রযুক্তি বা পদ্ধতি যা কম বা কোনো দূষণ ছাড়াই শক্তি উৎপাদন করে তাকেই “clean energy” বলা যায়।

২৩শ সেশনঃ

বায়ু দূষণভাবনার খোরাকঃ বাতাস থেকে উইন্ডমিলের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করা হলে বায়ূদূষণ বাড়বে নাকি কমবে?

 
বাতাস থেকে উইন্ডমিলের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করলে বায়ূদূষণ কমবে। কারণ, উইন্ডমিল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কোন জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ায় না। জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানোর ফলেই বায়ুতে ক্ষতিকর দূষণকারী পদার্থ নির্গত হয়।
উইন্ডমিল পরিবেশবান্ধব এবং পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। এটি বাতাসের গতিশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যা কখনোই শেষ হবে না।

Filed Under: class 9, বিজ্ঞান class 9 Tagged With: Au, Br, Clean energy বা "পরিচ্ছন্ন শক্তি" কি?, Cr, Ds, F মৌলগুলোকে সাজাও, Fr, Mg, Ni, O, Si, Xe, আপেক্ষিক আণবিক ভর কিভাবে বের করা হয়?, আয়নিক বন্ধন, ইলেকট্রন বিন্যাসের নীতি (আউফবাউ নীতি) কী?, ইলেকট্রন বিন্যাসের ব্যাতিক্রম, উদ্ভিদ ও প্রাণি, ঊর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়া বলতে কী বুঝ?, একটি পদার্থ আরেকটি পদার্থের সাথে কেন যুক্ত হয়? কোন মৌল কোন মৌলের সাথে মিলে যৌগ গঠন করবে তা কিসের উপর নির্ভর করে?, কোন কোন পদার্থ বায়ুতে থাকলে বায়ু দূষিত হয়? এসব পদার্থের ধরন কেমন?, গলন, ধাতব বন্ধন: কোন ক্ষেত্রে কোনটি ঘটে? কীভাবে ঘটে?, পদার্থের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তন কীভাবে ঘটে?, পরমাণুতে ইলেক্ট্রন কিভাবে বিন্যাস্ত থাকে?, পর্যায় সারণি কী?, পর্যায় সারণিতে মৌলের অবস্থান নির্ণয় কিভাবে করবে?, পাতন, পারমাণবিক আকার অনুযায়ী Ca, পারমাণবিক ভর ও আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরের পার্থক্য কি?, বাতাস থেকে উইন্ডমিলের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করা হলে বায়ূদূষণ বাড়বে নাকি কমবে?, বাতাস দূষিত হয় কোন প্রক্রিয়ায়?দূষণকারী পদার্থ কীভাবে ছড়ায়?তরল ও কঠিন পদার্থেও কি একইভাবে দূষণ ঘটে?, বায়ু দূষণ, বায়ু দূষণ class 9, বায়ু দূষণকারী পদার্থগুলোর মধ্যে কোন ধরণের বন্ধন কাজ করে?, মানবস্বাস্থ্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর বায়ু দূষণের প্রভাব কি, যে অঞ্চলে বাতাস দূষিত সেখানে মানুষের কী কী অসুবিধা হচ্ছে?, যেসব স্থানে শ্বাস নিতে কষ্ট হয় সেখানের বিশেষ কি বৈশিষ্ট্য আছে?, সমযোজী বন্ধন, স্ফুটন

সূর্যঘড়ি ২০২৪। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই । ৮ম শ্রেনী

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

সূর্যঘড়ি

এই পোস্টে আমরা অষ্টম  শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ২য় শিখন অভিজ্ঞতা– সূর্যঘড়ি- সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

*সূর্যকে কাজে লাগানোর উপায় কী?

উত্তরঃ সূর্যকে কাজে লাগানোর অনেক উপায় রয়েছে যেমন-
  • সৌর প্যানেল ব্যবহার করে সূর্যের আলোকে বিদ্যুতে রূপান্তর করা।
  • সৌর চুলা ব্যবহার করে খাবার রান্না করা।
  • সৌর-চালিত পাম্প ব্যবহার করে জল সেচ করা ইত্যাদি।

*খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্য সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটে কেন?সুর্যঘড়ি

উত্তরঃ খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্য সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটে।বেলা বাড়ার সাথে সাথে ছায়ার দৈর্ঘ্য বেড়েছে, পরে আবার কমে গিয়েছে।এ পরিবর্তনের কারণ সূর্যের অবস্থান আকাশে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। সূর্যের গতি, পৃথিবীর অক্ষের কাত, দিনের বেলা, খুঁটির উচ্চতা এবং ভূখণ্ডের ঢাল – এই সকল কারণ ছায়ার দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের জন্য দায়ী।

৪ ফুট দৈর্ঘ্যের খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনঃ 

পর্যবেক্ষনের
ক্রমিক

সময়
(পূর্নঘন্টা)

খুঁটির ছায়ার
অবস্থান

খুঁটির ছায়ার
দৈর্ঘ্য (ফুট)

১

১০:০০ am

খাড়া

০

২

১১:০০  am

পশ্চিমদিকে

২

৩

১২:০০  pm

পশ্চিমদিকে

৪

৪

০১:০০  pm

পশ্চিমদিকে

৬

৫

০২:০০  pm

পশ্চিমদিকে

৮

৬

০৩:০০  pm

পশ্চিমদিকে

১০

৭

০৪:০০  pm

পশ্চিমদিকে

১২

এই ছকের তথ্যের উপর ভিত্তি করে নিম্নের রেখাচিত্রটি পাওয়া যায়ঃ
 

খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য হওয়ার কারণ কী?

খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য হওয়ার কারণ:

সূর্যের উচ্চতা সারাদিন পরিবর্তিত হয়। সূর্যোদয়ের সময়, সূর্য দিগন্তের কাছাকাছি থাকে এবং ছায়া দীর্ঘ হয়। দুপুরের সময়, সূর্য আকাশে সবচেয়ে উঁচুতে থাকে এবং ছায়া সবচেয়ে ছোট হয়। সূর্যাস্তের সময়, সূর্য আবার দিগন্তের কাছাকাছি চলে আসে এবং ছায়া আবার দীর্ঘ হয়।

Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী
Read More: সবুজ বন্ধু- অষ্টম শ্রেণী
Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী

পঞ্চম  ও ষষ্ঠ সেশনঃ

চাঁদের উৎপত্তি ঘটনা  প্রবাহকে ৩টি ধাপে সাজিয়ে ফ্লো-চার্টঃ 

সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদের একটি মডেল বানাতে  প্রয়োজনীয় উপকরণ কি কি? এবং এসব উপকরণ বাছাই করার কারণ কি?

উত্তরঃ  সূর্য, পৃথিবী  ও চাঁদের মডেল বানাতে  প্রয়োজনীয় উপকরণ:

  • কার্ডবোর্ড
  • বিভিন্ন রঙের কাগজ
  • রঙ
  • ব্রাশ
  • কাঁচি
  • স্টিলের তার
  • গ্লু
  • টেপ ইত্যাদি 
উপকরণ ব্যবহার করার যুক্তি:
 
  • কার্ডবোর্ড: মডেলের ভিত্তি তৈরি করতে।
  • কাগজ: মডেলের বিভিন্ন অংশ তৈরি করতে।
  • রঙ: মডেলের বিভিন্ন অংশ রঙ করতে।
  • ব্রাশ: রঙ লাগানোর জন্য।
  • কাঁচি: কাগজ ও কার্ডবোর্ড কাটার জন্য।
  • তারঃ কক্ষপথ তৈরির জন্য।
  • গ্লু: মডেলের বিভিন্ন অংশ একসাথে লাগানোর জন্য।
  • টেপ: মডেলের বিভিন্ন অংশ একসাথে আটকে রাখার জন্য।
Read More: ফসলের ডাক- সপ্তম শ্রেণী
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

সপ্তম,অষ্টম  ও নবম সেশনঃ

*তোমাদের বানানো (সূর্য, পৃথিবী,চাঁদ)মডেলে কোন কোন ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছেনা?

হাতে বানানো চাঁদ সূর্য পৃথিবীর অবস্থানের মডেলে বেশ কিছু ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয় না। যেমন-দিন-রাতের দৈর্ঘ্য পরিবর্তন,জোয়ারভাটা,ঋতু পরিবর্তন,চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ ইত্যাদি।

উপরের ঘটনাগুলো কেন তোমাদের মডেলে পর্যবেক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না?

কারণ:

সরলীকরণ: হাতে বানানো মডেলটি বাস্তব জগতের পূর্ণাঙ্গ অনুকরণ নয়, বরং কিছু সরলীকরণের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই সরলীকরণগুলো কিছু ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা অসম্ভব করে তোলে।

আকারের অনুপাত: হাতে বানানো মডেলে, সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবীর আকার বাস্তব অনুপাতে নেই। এর ফলে, কিছু ঘটনা, যেমন চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ, দেখা যায় না।

অক্ষের কাত: হাতে বানানো মডেলে, পৃথিবীর অক্ষের কাত বাস্তব অনুপাতে নেই। এর ফলে, ঋতু পরিবর্তন এবং দিন-রাতের দৈর্ঘ্য পরিবর্তন দেখা যায় না।

মাধ্যাকর্ষণ শক্তি: হাতে বানানো মডেলে, চাঁদ এবং সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বাস্তব অনুপাতে নেই। এর ফলে, জোয়ারভাটা দেখা যায় না।

তোমাদের মডেলে  প্রচ্ছায়া এবং উপচ্ছায়া কি পর্যবেক্ষণ করতে পারছ?কোনো সমস্যা হয়েছে কী?শ্রেনিকক্ষে দিনের বেলায় প্রচ্ছায়া পর্যবেক্ষণ করতে কেন অসুবিধা হয়?

সুর্যঘড়িহ্যাঁ, আমাদের মডেলে আমরা প্রচ্ছায়া এবং উপচ্ছায়া পর্যবেক্ষণ করতে পারি।
 
প্রচ্ছায়া:
সূর্যের আলো কোনো বস্তু দ্বারা আবদ্ধ হলে যে অন্ধকার অংশ তৈরি হয় তাকে প্রচ্ছায়া বলে।
প্রচ্ছায়া বস্তুর আকারের চেয়ে বড় হয়।
প্রচ্ছায়া বস্তু থেকে সূর্যের বিপরীত দিকে তৈরি হয়।
সূর্য যত উঁচুতে থাকে, প্রচ্ছায়া তত ছোট হয়।
সূর্য যত নিচুতে থাকে, প্রচ্ছায়া তত বড় হয়।
 
উপচ্ছায়া:
প্রচ্ছায়ার পার্শ্ববর্তী অল্প আলোকিত অংশকে উপচ্ছায়া বলে।
উপচ্ছায়া সবসময় স্পষ্ট হয় না।
সূর্যের অবস্থানের উপর উপচ্ছায়ার আকার নির্ভর করে।
 
সমস্যা:
আমাদের মডেলে, সূর্যের আলো কৃত্রিম। প্রকৃত সূর্যের আলোর তীব্রতা এবং দিক পরিবর্তন হয়। কৃত্রিম আলো সবসময় একই থাকে।আমাদের মডেলে, পৃথিবীর ঘূর্ণন দেখানো হয় না। প্রকৃতিতে, পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে সূর্যের অবস্থান পরিবর্তিত হয় এবং প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া পরিবর্তিত হয়।শ্রেণিকক্ষে দিনের বেলায় প্রচ্ছায়া পর্যবেক্ষণ করতে অসুবিধা হয় কারণ:
 
কৃত্রিম আলো: শ্রেণিকক্ষে ব্যবহৃত কৃত্রিম আলো প্রকৃত সূর্যের আলোর চেয়ে কম তীব্র হয়। এর কারণে প্রচ্ছায়া স্পষ্ট হয় না।
জানালার আলো: শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন দিক থেকে আলো আসে। এর কারণে প্রচ্ছায়া স্পষ্ট হয় না।
বস্তুর অবস্থান: শ্রেণিকক্ষে বস্তু বিভিন্ন দিকে রাখা থাকে। এর কারণে প্রচ্ছায়া স্পষ্ট হয় না।

দশম  ও একাদশ সেশনঃ

*পৃথিবীর কক্ষপথ যদি পুরোপুরি বৃত্তাকার হতো তাহলে অ্যানালেমার আকৃতি কেমন হতো? কেন?

যদি পৃথিবীর কক্ষপথ পুরোপুরি বৃত্তাকার হত, তাহলে অ্যানালেমার আকৃতি একটি সমবাহু ত্রিভুজ হত। কারণ:
 
অ্যানালেমা: এটি পৃথিবী থেকে দেখা সূর্যের আপাতিক গতিপথের একটি রেখাচিত্র যা এক বছর ধরে রেকর্ড করা হয়।
★পৃথিবীর কক্ষপথের উপবৃত্তাকার আকারের কারণে সূর্য বছরের বিভিন্ন সময়ে আকাশে বিভিন্ন অবস্থানে দেখা যায়।
★ যদি পৃথিবীর কক্ষপথ পুরোপুরি বৃত্তাকার হত, তাহলে সূর্য সবসময় আকাশে একই স্থানে থাকত।পৃথিবীর অক্ষের 23.5° কোণে হেলে থাকার কারণে, এনালেমা একটি সমবাহু ত্রিভুজের আকারে রেকর্ড করা হবে।
 
এক্ষেত্রে ত্রিভুজের শীর্ষবিন্দু হবে:
উত্তর গোলার্ধের জন্য: গ্রীষ্মকালীন অয়নকাল (উত্তর গোলার্ধে সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতা)
দক্ষিণ গোলার্ধের জন্য: শীতকালীন অয়নকাল (দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতা)
 
ত্রিভুজের ভূমি হবে:
উভয় গোলার্ধের জন্য: বিষুবরেখা।
 
উল্লেখ্য:
বাস্তবিকভাবে, পৃথিবীর কক্ষপথ পুরোপুরি বৃত্তাকার নয়, বরং কিছুটা উপবৃত্তাকার।
এর ফলে, অ্যানালেমার আকৃতি পুরোপুরি সমবাহু ত্রিভুজ না হয়ে কিছুটা বিকৃত হয়।
 

পৃথিবী যদি ২৩.৫ ডিগ্রী হেলে না থেকে একদম খাড়াভাবে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতো তাহলে অ্যানালেমার আকৃতি কেমন হতো যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা কর ।

যদি পৃথিবী ২৩.৫ ডিগ্রী হেলে না থেকে একদম খাড়াভাবে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতো, তাহলে অ্যানালেমার আকৃতি একটি সরলরেখা হত।
 
কারণ:
অ্যানালেমা: অ্যানালেমা হলো এক বছর ধরে সূর্যের অবস্থানের একটি রেকর্ড যা পৃথিবীর একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এটি একটি উপবৃত্তাকার আকৃতি ধারণ করে কারণ পৃথিবী সূর্যকে ঘিরে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘোরে এবং পৃথিবীর অক্ষ 23.5° হেলানো থাকে।
খাড়া অক্ষ: যদি পৃথিবীর অক্ষ খাড়া থাকে, তাহলে সূর্য সারাবছর ধরে আকাশে একই উচ্চতায় থাকবে। এর অর্থ হলো অ্যানালেমা তৈরি করার জন্য সূর্যের অবস্থানের বিন্দুগুলো একটি সরলরেখায় সারিবদ্ধ হবে।
 

পৃথিবীর সব দেশ থেকে বছর জুড়ে  পর্যবেক্ষণ করলে কি অ্যানালেমার আকৃতি একই রকম হবে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। 

না, পৃথিবীর সব দেশ থেকে বছর জুড়ে পর্যবেক্ষণ করলে অ্যানালেমার আকৃতি একই রকম হবে না।
 
কারণ:
অক্ষের ঢাল: পৃথিবীর অক্ষ 23.5° হেলানো। এই ঢালের কারণে, বিভিন্ন অক্ষাংশে সূর্যের অবস্থান ভিন্ন ভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়।
সূর্যের উচ্চতা: বিষুব রেখায়, সূর্য সারাবছর ধরে আকাশে একই উচ্চতায় থাকে। কিন্তু উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে, সূর্য ছয় মাস ধরে দিগন্তের উপরে এবং ছয় মাস ধরে দিগন্তের নিচে থাকে।
অ্যানালেমার আকৃতি: অ্যানালেমার আকৃতি নির্ভর করে সূর্যের অবস্থানের পরিবর্তনের উপর। যেহেতু সূর্যের অবস্থান বিভিন্ন অক্ষাংশে ভিন্ন ভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়, তাই অ্যানালেমার আকৃতিও ভিন্ন ভিন্ন হবে।
 

দ্বাদশ সেশনঃ

*তোমাদের হাতে বানানো  সূর্য চাঁদ ও পৃথিবী  মডেলে আরো কী ধরনের পরিবর্তন আনলে বিষয়গুলো আরো যৌক্তিক ভাবে ব্যাখ্যা করা যেতো?

আমাদের হাতে বানানো সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী মডেলে আরও যৌক্তিকভাবে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করার জন্য  কিছু পরিবর্তন আনা যেতে পারে।
  • সঠিক আকারের অনুপাত বজায় রাখতে পারলে মডেলটি আরও বাস্তবসম্মত হবে।
  • মডেলে ঘূর্ণনের ব্যবস্থা থাকলে, ঋতু পরিবর্তন, দিন ও রাত, চাঁদের দশা পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়গুলো আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।
  • সঠিক কক্ষপথ দেখানো হলে, গ্রহণ, ঋতু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়গুলো আরও সহজে বোঝা যাবে।মডেলে আরও কিছু উপাদান যোগ করা যেতে পারে, যেমন: গ্রহ,নক্ষত্র,ছায়াপথ,গ্রহাণু,ধূমকেতু।এই উপাদানগুলো মহাবিশ্ব সম্পর্কে আরও ধারণা দেবে।
 

তোমাদের বানানো সূর্যঘড়ি কি সারা বছর একই ভাবে কাজ করবে? ব্যাখ্যা কর। 

আমাদের বানানো সূর্যঘড়ি সারা বছর একই ভাবে কাজ করবে না। কারণ, সূর্যের অবস্থান বছরের বিভিন্ন সময়ে আকাশে ভিন্ন ভিন্ন হয়।
 

ছায়ার অবস্থান ও দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন কাজে লাগিয়ে আর কি করা যেতে পারে?

ছায়ার অবস্থান ও দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে করা যেতে পারে।

কিছু উদাহরণ: 

  • বস্তুর উচ্চতা নির্ণয়।
  • গ্রহের অবস্থান নির্ণয়।
  • ছায়ানাটক, ছায়াছবি, ছায়াখেলা ইত্যাদি পরিবেশনা।

সোলার প্যানেল কোন দিকে হেলে রাখা হয় কখনো খেয়াল করেছো কেন সোলার প্যানেলকে সব সময় একই দিকে মুখ করে হেলিয়ে রাখা হয় বলতে পারো?

হ্যাঁ, খেয়াল করেছি। সোলার প্যানেলগুলো সাধারণত দক্ষিণ দিকে হেলানো থাকে। এর কারণ  সোলার প্যানেল থেকে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সূর্যের আলো সর্বোচ্চ পরিমাণে গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই সোলার প্যানেলগুলো সাধারণত দক্ষিণ দিকে হেলানো থাকে।
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী

Filed Under: Class 8, বিজ্ঞান class 8 Tagged With: খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্য সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটে কেন?, খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য হওয়ার কারণ কী?, চাঁদ)মডেলে কোন কোন ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছেনা?, ছায়ার অবস্থান ও দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন কাজে লাগিয়ে আর কি করা যেতে পারে?, তোমাদের বানানো (সূর্য, তোমাদের বানানো সূর্যঘড়ি কি সারা বছর একই ভাবে কাজ করবে? ব্যাখ্যা কর।, তোমাদের মডেলে প্রচ্ছায়া এবং উপচ্ছায়া কি পর্যবেক্ষণ করতে পারছ?কোনো সমস্যা হয়েছে কী?শ্রেনিকক্ষে দিনের বেলায় প্রচ্ছায়া পর্যবেক্ষণ করতে কেন অসুবিধা হয়?, তোমাদের হাতে বানানো সূর্য চাঁদ ও পৃথিবী মডেলে আরো কী ধরনের পরিবর্তন আনলে বিষয়গুলো আরো যৌক্তিক ভাবে ব্যাখ্যা করা যেতো?, পৃথিবী, পৃথিবী ও চাঁদের একটি মডেল বানাতে প্রয়োজনীয় উপকরণ কি কি? এবং এসব উপকরণ বাছাই করার কারণ কি?, পৃথিবী যদি ২৩.৫ ডিগ্রী হেলে না থেকে একদম খাড়াভাবে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতো তাহলে অ্যানালেমার আকৃতি কেমন হতো যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা কর ।, পৃথিবীর কক্ষপথ যদি পুরোপুরি বৃত্তাকার হতো তাহলে অ্যানালেমার আকৃতি কেমন হতো? কেন?, পৃথিবীর সব দেশ থেকে বছর জুড়ে পর্যবেক্ষণ করলে কি অ্যানালেমার আকৃতি একই রকম হবে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।, সূর্য, সূর্যকে কাজে লাগানোর উপায় কী?, সূর্যঘড়ি, সোলার প্যানেল কোন দিকে হেলে রাখা হয় কখনো খেয়াল করেছো কেন সোলার প্যানেলকে সব সময় একই দিকে মুখ করে হেলিয়ে রাখা হয় বলতে পারো?

খেলার মাঠে বিজ্ঞান ২০২৪| ৯ম শ্রেণী | বিজ্ঞান অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

খেলার মাঠে বিজ্ঞান

খেলাধুলা করতে তোমাদের কেমন লাগে? বছরের শুরুতে তোমাদের স্কুলে নিশ্চয়ই অনেক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। তার ফাঁকে যদি একটা খেলাধুলার ইভেন্টের আয়োজন করা যায় তাহলে নিশ্চয়ই মন্দ হয়না! আর এই খেলার ফাঁকে ফাঁকে যদি বিজ্ঞানের অনেকগুলো বিষয় শেখা হয়ে গেলে তো এক ঢিলে দুই পাখি। নবম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের শিখন অভিজ্ঞতা– খেলার মাঠে বিজ্ঞান’- এর মধ্য দিয়ে  আমরা  নিউটনের সূত্র,বিভিন্ন ধরনের বল,মহাকর্ষ সূত্র,চাপ এবং শক্তি সম্পর্কে জানবো।

১ম ও ২য় সেশন:

*গাড়ি হঠাৎ ব্রেক করলে/ থেমে গেলে  আমরা ঝুঁকে যাই কেন? 

উত্তর: জড়তার কারণে এরূম অবস্থা সৃষ্টি হয়। গাড়ি ব্রেক করলে শরীরের নিচের অংশ গাড়ির সাথে থেমে যায় কিন্তু শরীরের উপরের অংশ তখনো গতিশীল রয়ে যায়,তাই সে অংশ সামনে ঝুঁকে পড়ে।

*আমরা দৌড়ের সময় হঠাৎ করে থেমে যেতে পারিনা কেন?

উত্তর: দৌড়ের সময় হঠাৎ করে থেমে যেতে না পারার কারণ হলো জড়তা। জড়তা হলো একটি বস্তুর অবস্থান পরিবর্তন করতে না চাওয়ার প্রবণতা। কোনো বস্তু স্থির অবস্থায় থাকলে তাকে গতিশীল করতে এবং গতিশীল বস্তুকে স্থির করতে বল প্রয়োগ করতে হয়।

দৌড়ানোর সময় আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ, যেমন পা, হাত, মাথা ইত্যাদি গতিশীল থাকে। যখন আমরা হঠাৎ করে থেমে যেতে চাই তখন আমাদের পেশীগুলোকে এই গতিশীল অংশগুলোকে দ্রুত স্থির করতে হয়। এই কাজের জন্য পেশীগুলোকে অনেক বল প্রয়োগ করতে হয়।জড়তার কারণে আমাদের শরীরের গতিশীল অংশগুলো হঠাৎ করে থেমে যেতে চায় না। ফলে, আমরা হঠাৎ করে থেমে যেতে পারিনা।

*একটা গ্লাসের উপর কার্ডবোর্ড রেখে তার উপর মুদ্রা রেখে টান দিলে মুদ্রাটি গ্লাসের ভেতরে পড়েছে কেন?

উত্তর: জড়তার ফলে মুদ্রাটি গ্লাসের ভিতরে পড়ে যায়।আমরা জানি  বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু আজীবন স্থির থাকতে চায়,একে স্থিতি জড়তা বলে।শক্ত কাগজ বা কার্ডবোর্ড টিকে ঝট করে টান দিলে কাগজটি সরে গেলেও মুদ্রাটি আগের অবস্থানে থাকার চেষ্টা করে।তাই কাগজের সাথে মুদ্রাটি গতিশীল হতে পারেনা এবং নিচে পড়ে যায়।

*জড়তা কী এবং কত প্রকার?

উত্তর: স্থির বস্তুর স্থির থাকার এবং গতিশীল বস্তুর গতিশীল থাকার যে প্রবণতা,সেটিই হচ্ছে জড়তা।জড়তা ২ ধরনের যথা- স্থিতি জড়তা এবং গতি জড়তা।

স্থির থাকা একটি বস্তু আজীবন স্থির থাকতে চায়,এই ঘটনাকে স্থিতি জড়তা বলে।

গতিশীল একটি বস্তু আগের মতো গতি বজায় রাখতে চায়, এই ঘটনাকে গতি জড়তা বলে।

*দৈনন্দিন জীবনে জড়তার উদাহরণ দাও।

  • স্থির গাড়ি হঠাৎ চলতে শুরু করলে আমাদের শরীরের উপরের অংশ পিছনের দিকে ঝুঁকে পড়ে।
  • সাইকেল চালানো অবস্থায় ব্রেক করে থামতে চাইলে সাইকেলটি কিছুদূর গিয়ে থামে।
  • ঘুম থেকে জেগে উঠার সময় আমাদের কিছুটা সময় লাগে।

*নিউটনের সূত্রগুলো কী কী?

নিউটনের ১ম সূত্র- বাহ্যিক কোনো বল প্রয়োগ করা না হলে,স্থির বস্তু স্থিরই থাকবে এবং সরল রেখায় সমবেগে চলমান বস্তু সরল রেখায় সমবেগে চলতে থাকবে।

*কম্বলকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ধুলা বের করা যায় কেন? এর সাথে জড়তার সম্পর্ক কী?

উত্তর –কম্বলকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ধুলা বের করার সাথে জড়তার সম্পর্ক  রয়েছে।জড়তা বলতে বোঝায় কোন বস্তুর অবস্থায় পরিবর্তন না করতে চাওয়ার প্রবণতা। কম্বলের ক্ষেত্রে, ধুলার কণাগুলো কম্বলের তন্তুগুলোর সাথে আটকে থাকে। যখন আমরা কম্বলকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে থাকি তখন আমরা বল প্রয়োগ করি। ফলে কম্বলের তন্তুগুলোকে দ্রুত স্পন্দিত/কম্পিত হয়। লাঠি দিয়ে পেটালে কম্বলটি নিজের অবস্থান থেকে সরে যায় কিন্তু ধুলাতে স্থির জড়তা কাজ করে ফলে ধুলাগুলো নিচে পড়ে যায়।

*স্পিন বোলিং এবং পেস বোলিং এর পার্থক্য কী?

উত্তর-স্পিন বোলাররা এবং পেস বোলারদের মধ্যে মূল পার্থক্য হল তাদের বল করার পদ্ধতি। স্পিন বোলাররা বলকে ঘোরানোর জন্য তাদের কনুই এবং আঙ্গুলের অবস্থান ব্যবহার করেন। পেস বোলাররা বলকে দ্রুত গতিতে নিক্ষেপ করার জন্য তাদের শরীরের ওজন এবং গতি ব্যবহার করেন।

*স্পিন বোলাররা মোটামুটি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে বল করেন কিন্তু পেস বোলাররা দূর থেকে ছুটে এসে বল করেন কেন?

উত্তরঃ স্পিন বোলাররা মোটামুটি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে বল করেন এবং পেস বোলাররা দূর থেকে ছুটে এসে বল করেন কারণ তাদের বল করার পদ্ধতি এবং লক্ষ্য ভিন্ন।

স্পিন বোলারদের জন্য, বলকে ঘোরানোর জন্য তাদের বলকে যতটা সম্ভব সঠিকভাবে ধরা এবং নিক্ষেপ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি করার জন্য, তাদের বল করার সময় তাদের শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এক জায়গায় দাঁড়ানো প্রয়োজন। যদি তারা দৌড়াতে শুরু করে, তাহলে তারা তাদের শরীরের ভারসাম্য হারাতে পারে এবং বলকে সঠিকভাবে ধরতে বা নিক্ষেপ করতে পারে না।

পেস বোলারদের জন্য, বলকে দ্রুত গতিতে নিক্ষেপ করার জন্য তাদের শরীরের ওজন এবং গতি ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি করার জন্য, তাদের বল করার সময় তাদের শরীরের ওজনকে পিছনের দিকে স্থানান্তর করতে এবং তারপর সামনের দিকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য দৌড়াতে প্রয়োজন। এটি তাদের বলকে আরও শক্তি দেয় এবং এটিকে দ্রুত গতিতে নিক্ষেপ করতে দেয়।

Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী
Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী

৩য় ও ৪র্থ সেশন:

*ভার নিক্ষেপ খেলায় ভর যদি বিভিন্ন হয় তাহলে কী দূরত্ব কম বেশি হবে? হলে কেন?

উত্তর: হ্যাঁ, হবে।বস্তুর ভর বেশি হলে জড়তা বেশি হবে,বেশী বল প্রয়োগ করতে হবে তাই অতিক্রান্ত দূরত্ব কম হবে।বস্তুর ভর কম হলে জড়তা কম হবে, বল কম প্রয়োগ করা লাগবে এবং বেশী দূরত্ব অতিক্রম করবে।
 

*বিভিন্ন ভরের বস্তু একই রকম জোরে ছুড়লে সেগুলো কী একই দূরত্বে গিয়ে পড়বে? কেন নয়?

উত্তর: না,বিভিন্ন ভরের বস্তু একই রকম জোরে ছুড়লে সেগুলো একই দূরত্বে পড়বে না। বস্তুর ভরের সাথে তার অভিকর্ষ বলের প্রভাব  বিভিন্ন হয়, ভারী বস্তুতে অভিকর্ষ বলের প্রভাব বেশি থাকে এবং হালকা বস্তুতে কম থাকে।
 
যখন বিভিন্ন ভরের বস্তু একই রকম জোরে ছুড়ে দেওয়া হয়, তখন তাদের প্রাথমিক বেগ একই থাকে। কিন্তু অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভারী বস্তু দ্রুততর হারে ত্বরান্বিত হতে থাকে এবং হালকা বস্তু ধীরে ধীরে ত্বরান্বিত হয়।
ত্বরণের এই পার্থক্যের কারণে, ভারী বস্তু হালকা বস্তুর চেয়ে দ্রুত মাটিতে পৌঁছাবে।
 
অর্থাৎ, ভারী বস্তু হালকা বস্তুর চেয়ে কম দূরত্বে পড়বে।
 

*ভর ও বেগের গুনফল দিয়েই সব সময় কী হিসাব করা সম্ভব হয়? ( পৃষ্ঠা- ৫)

উত্তর: ভর ও বেগের গুণফল দিয়ে সবসময় হিসাব করা সম্ভব নয়।
কেবলমাত্র স্থির বেগের বস্তু, সরলরেখায় চলমান বস্তু এবং ঘর্ষণবিহীন পরিবেশে সংঘর্ষের ক্ষেত্রে ভর ও বেগের গুণফল দিয়ে হিসাব করা সম্ভব।
অভিকর্ষের প্রভাবে চলমান বস্তু, বৃত্তাকারে চলমান বস্তু এবং ঘর্ষণসহ পরিবেশে সংঘর্ষের ক্ষেত্রে ভর ও বেগের গুণফল দিয়ে হিসাব করা সম্ভব নয়।
 

*ভরবেগ নামক আলাদা রাশির কি প্রয়োজন? 

উত্তর: ভরবেগ নামক আলাদা রাশির প্রয়োজন কারণ এটি আমাদের বস্তুর গতি সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা দেয়। 
ভর এবং বেগের গুনফল দিয়ে সবসময় হিসাব করা যায়না।বস্তুর গতিশক্তি নির্ণয়, সংঘর্ষের সময় বস্তুর আচরণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে ভরবেগ একটি প্রয়োজনীয় রাশি।
 

*৫০কেজি ভরের ব্যাক্তি ২৫০কেজি ভরের মোটরসাইকেল ২০মি/সে বেগে চালাচ্ছে।ভরবেগ নির্ণয় কর।

উত্তর: ভরবেগ নির্ণয়: মোট ভরবেগ = (ব্যক্তির ভর + মোটরসাইকেলের ভর) * গতিবেগ
 
= (50 kg + 250 kg) * 20 m/s
= 300 kg * 20 m/s
= 6000 kg m/s
 
উত্তর: মোট ভরবেগ 6000 kg m/s
 

*ভরবেগের ধারণা:

ভরবেগ হলো কোনো বস্তুর ভর ও তার বেগের গুণফল। এটি একটি ভেক্টর রাশি, যার অর্থ এর মান এবং দিক উভয়ই থাকে।
 
গাণিতিকভাবে ভরবেগকে প্রকাশ করা যায়-
p = mv
যেখানে,
  • p হলো ভরবেগ (kg m/s)
  • m হলো বস্তুর ভর (kg)
  • v হলো বস্তুর বেগ (m/s)
 

*ভরবেগের পরিবর্তনের হার সম্পর্কিত নিউটনের ২য় সূত্র:

উত্তর: কোনো বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার এর উপরে প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক, এবং বল যেদিকে কাজ করে ভরবেগের পরিবর্তনও সেদিকে হয়ে থাকে।
 

*ভরবেগের পরিবর্তনের হার কীভাবে হিসাব করবে?

উত্তর: ভরবেগের পরিবর্তনের হার হিসাব করার একটি প্রধান পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো-
 
এই পদ্ধতিতে, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ভরবেগের পরিবর্তনের হার পরিমাপ করা হয়।
 
সূত্র: ভরবেগের পরিবর্তনের হার = (শেষ ভরবেগ – প্রাথমিক ভরবেগ) / সময় ব্যবধান
উদাহরণ: ধরো, একটি বস্তুর ভরবেগ 5 সেকেন্ডে 10 kg m/s থেকে 20 kg m/s তে বৃদ্ধি পায়। ভরবেগের পরিবর্তনের হার হবে:
(20 kg m/s – 10 kg m/s) / 5 s = 2 kg m/s2
 

*তড়িৎ চৌম্বকীয় বল মহাকর্ষ বল থেকে ১০^৩৬ গুন বেশি শক্তিশালী হওয়ার পরেও মহাজাগতিক দূরত্বে মহাকর্ষ বলকে সবচেয়ে বেশি কার্যকর  হতে দেখি কেন?

উত্তরঃ  তড়িৎ চৌম্বকীয় বল দূরত্বের সাথে দ্রুত হ্রাস পায় এবং মহাজাগতিক বস্তুতে আধানের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম।
মহাকর্ষ বল দূরত্বের সাথে তুলনামূলকভাবে ধীর গতিতে হ্রাস পায় এবং মহাজাগতিক বস্তু বিশাল ভরের অধিকারী।
মহাকর্ষ বলের দীর্ঘ-পরিসরের প্রভাব রয়েছে, যা মহাজাগতিক স্কেলে কাজ করে।
এই কারণগুলোর জন্য মহাজাগতিক দূরত্বে মহাকর্ষ বলকেই বেশি কার্যকর দেখা যায়।
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী

৫ম ও ৬ষ্ঠ সেশন:

নিউটনের ৩য় সূত্র কী?

যখন একটি বস্তু অন্য বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করে তখন সেই বস্তুটিও প্রথম বস্তুর উপর বিপরীত দিকে সমান বল প্রয়োগ করে।

*একটি কাঠের পাটাতন সর্বোচ্চ 500N প্রতিক্রিয়া বল দিতে পারে।একটি  সাইকেলের ভর 15kg এবং স্কুটারের ভর 110kg হলে,কোনটিকে এই পাটাতনে রেখে মেরামত করা যাবে?

উত্তরঃ দেওয়া আছে,

সাইকেলের ভর 15kg,স্কুটারের ভর 110kg,কাঠের পাটাতনের প্রতিক্রিয়া বল 500 N

আমরা জানি ,

  • সাইকেলের ওজন 15×9.8 =147 N
  • স্কুটার এর ওজন 110×9.8 = 1078 N

এখানে সাইকেল এবং স্কুটারের ওজনই ক্রিয়া হিসেবে কাজ করে।

দেখা যায়, কাঠের পাটাতনের প্রতিক্রিয়া বল সাইকেলের ওজনের চেয়ে বেশি। 

147< 500 N ।

আবার  কাঠের পাটাতনের প্রতিক্রিয়া বল স্কুটারের ওজনের চেয়ে কম।

1078 > 500 N 

সুতরাং বলা যায়, সাইকেল পাটাতনে লেকে মেরামত করা যাবে।কিন্তু স্কুটার মেরামত করা যাবে না।

*নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র কী?

উত্তরঃ মহাবিশ্বের প্রতিটি ভরযুক্ত বস্তু একে অপরের কেন্দ্রের সংযোজক রেখা বরাবর আকর্ষণ করে।এই আকর্ষণ বলের মান বস্তুর ভরের সমানুপাতিক ও দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।
 

*একটি দড়ি 200N বলে টানলে ছিঁড়ে যাবে।দড়িটি দিয়ে তুমি কী যেকোনো ভরের বাক্স ঝোলাতে পারবে?

উত্তরঃ না, 200N টানে ছিঁড়ে যাওয়া দড়ি দিয়ে যেকোনো ভরের বাক্স ঝোলাতে পারব না। কারণ বাক্সের ওজন(mg) পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের কারণে বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল।
 
ধরি, বাক্সের ভর m কেজি।
তাহলে বাক্সের ওজন হবে mg, যেখানে g = 9.8 m/s2 (মাধ্যাকর্ষণের ত্বরণ)।
যদি বাক্সের ওজন 200N বা তার বেশি হয়, তাহলে দড়ির উপর প্রযুক্ত বল 200N বা তার বেশি হবে। ফলে দড়ি ছিঁড়ে যাবে।
 
অর্থাৎ, দড়ি দিয়ে ঝোলানো বাক্সের সর্বোচ্চ ভর হতে হবে:
mg= 200N
m = 200N / g
= 20.4 kg
 
সুতরাং, 200N টানে ছিঁড়ে যাওয়া দড়ি দিয়ে সর্বোচ্চ 20.4 kg ভরের বাক্স ঝোলানো সম্ভব।
 
তবে, নিরাপত্তার জন্য বাক্সের ভর 20.4 kg এর চেয়ে কম রাখা উচিত। কারণ দড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
 

চাঁদে ভারনিক্ষেপের  খেলা পৃথিবীতে না হয়ে চাঁদে হলে বলটি বেশি দূরে যাবে নাকি কম দূরে যাবে?

উত্তরঃ চাঁদে ভারনিক্ষেপের খেলা পৃথিবীতে না হয়ে চাঁদে হলে বলটি পৃথিবীর তুলনায় বেশি দূরে যাবে। কারণ চাঁদে পৃথিবীর তুলনায় অভিকর্ষ বল কম। টানে, যার ফলে বলটি চাঁদে বেশি দূরে যেতে পারে।
এছাড়াও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল বলটিকে ঘর্ষণের মাধ্যমে ধীর করে দেয়। চাঁদে কোন বায়ুমণ্ডল নেই, তাই বলটি ঘর্ষণের শিকার হয় না এবং পৃথিবীর তুলনায় চাঁদে বেশি দূরে যেতে পারে।
 

মঙ্গল গ্রহের ভর 6.4*1023 kgএবং ব্যাসার্ধ  3390km হলে ঐ গ্রহের অভিকর্ষজ ত্বরণ কত?মঙ্গল গ্রহে তোমার ওজন কত হবে? 

উত্তরঃ মঙ্গল গ্রহের অভিকর্ষজ ত্বরণ বের করার জন্য নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র:     g = G * (M /R2)
যেখানে:
  • g = অভিকর্ষজ ত্বরণ (m/s2)
  • G = মহাকর্ষীয় ধ্রুবক (6.67430 × 10-11 m3 Kg-1 s-2)
  • M = গ্রহের ভর (kg)
  • R = গ্রহের ব্যাসার্ধ (m)
দেওয়া আছে,
M = 6.4 * 1023 kg
R = 3390 km = 3390000 m
 
সমাধান:
g = 6.67430 × 10-11 m3 Kg-1 s-2 * (6.4 * 1023 kg / (3390000 m)2)
g = 3.711 m/s2
সুতরাং মঙ্গল গ্রহের অভিকর্ষজ ত্বরণ 3.711 m/s2।
 
ধরি, আমার ভর 45kg,
তাহলে মঙ্গল গ্রহে ওজন হবে =45kg* 3.71m/s2=167N
 

ব্যাগের হাতল বা  স্কুলব্যাগের  স্ট্র‍্যাপ যদি চিকন হয় তবে বহন করতে কষ্ট বেশি নাকি কম হবে?

উত্তরঃ ব্যাগের হাতল বা স্কুলব্যাগের স্ট্র‍্যাপ যদি চিকন হয় তবে বহন করতে কষ্ট বেশি হবে।
 
কারণ: চিকন হাতলের কারণে ব্যাগের ওজন একটি ছোটো এলাকায় প্রয়োগ করা হয়। ফলে, ব্যাগের ওজন প্রতি একক এলাকায় চাপ বৃদ্ধি পায়। এই বর্ধিত চাপের কারণে হাতে ব্যথা এবং অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।
 

ছুরি ভোতা হলে আমাদের কাটতে কষ্ট হয় কেন?

উত্তরঃ ছুরি ভোতা হলে কাটতে কষ্ট হয় কারণ ভোঁতা ধারের কারণে ছুরি খাবার বা অন্য কোনও বস্তুকে সঠিকভাবে ভেদ করতে পারে না।ভোঁতা ছুরিতে ধার না থাকায়, খাবার বা বস্তুর উপরে প্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগ করা যায় না।ভোঁতা ধারের কারণে খাবার বা বস্তুর সাথে ছুরির ঘর্ষণ বেড়ে যায়, যা কাটার কাজকে আরও কঠিন করে তোলে।
 
Read More: ফসলের ডাক- সপ্তম শ্রেণী
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

৭ম, ৮ম ও ৯ম সেশন:

ব্যাগের হাতল বা  স্কুলব্যাগের  স্ট্র‍্যাপ যদি চিকন হয় তবে বহন করতে কষ্ট বেশি নাকি কম হবে?

উত্তরঃ ব্যাগের হাতল বা স্কুলব্যাগের স্ট্র‍্যাপ যদি চিকন হয় তবে বহন করতে কষ্ট বেশি হবে।

কারণ: চিকন হাতলের কারণে ব্যাগের ওজন একটি ছোটো এলাকায় প্রয়োগ করা হয়। ফলে, ব্যাগের ওজন প্রতি একক এলাকায় চাপ বৃদ্ধি পায়। এই বর্ধিত চাপের কারণে হাতে ব্যথা এবং অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।

ছুরি ভোতা হলে আমাদের কাটতে কষ্ট হয় কেন?

উত্তরঃ ছুরি ভোতা হলে কাটতে কষ্ট হয় কারণ ভোঁতা ধারের কারণে ছুরি খাবার বা অন্য কোনও বস্তুকে সঠিকভাবে ভেদ করতে পারে না।ভোঁতা ছুরিতে ধার না থাকায়, খাবার বা বস্তুর উপরে প্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগ করা যায় না।ভোঁতা ধারের কারণে খাবার বা বস্তুর সাথে ছুরির ঘর্ষণ বেড়ে যায়, যা কাটার কাজকে আরও কঠিন করে তোলে।

*110kg স্কুটারের প্রতিটি চাকার মাটি স্পর্শ করে থাকা অংশের ক্ষেত্রফল 10cm2  হলে  তা প্রতি চাকায় স্কুটারটি কত চাপ দিচ্ছে?স্কুটারটিকে এক চাকায় ভর দিয়ে রাখলে চাপ কী একই থাকবে?

উত্তরঃ আমরা জানি, চাপ(p)= বল(F) / ক্ষেত্রফল(A)

বল = স্কুটারের ওজন 

=>110 kg * 9.8 m/s2 = 1079 N

এবং ক্ষেত্রফল = প্রতিটি চাকার মাটি স্পর্শ করে থাকা অংশের ক্ষেত্রফল=10cm2= 0.001 m2

সুতরাং, প্রতি চাকায় চাপ হবে- চাপ = 1079 N / 0.001 m2 = 1079000 Pa 

 

★এক চাকায় ভর দিয়ে রাখলে চাপের পরিবর্তন:

 

স্কুটারটিকে এক চাকায় ভর দিয়ে রাখলে, চাপ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। কারণ, স্কুটারের মোট ভর তখন একই চাকার ক্ষুদ্রতম ক্ষেত্রফলের উপর প্রয়োগ করা হবে।

 

*বাতাসের গড় ঘনত্ব 1.3kg/m3এবং স্বাভাবিক পরিবেশে বাতাসের চাপ 101325N/m2 হয়ে থাকে।এ তথ্য থেকে বায়ুমন্ডলের উচ্চতা কত নির্ণয় করতে পারবে?

 

বায়ুমন্ডলের উচ্চতা নির্ণয়ের জন্য, আমরা নিম্নলিখিত সূত্র ব্যবহার করতে পারি:

 

P = hρg

 

যেখানে,

 

  • P = বায়ুমণ্ডলীয় চাপ (N/m2)
  • ρ = বাতাসের ঘনত্ব (kg/m3)
  • g = অভিকর্ষজ ত্বরণ (9.81 m/s2)
  • h = বায়ুমন্ডলের উচ্চতা (m)

সমাধান: প্রথমে, আমরা h এর জন্য সমীকরণটি পুনর্বিন্যাস করব: h = P / (ρg)

 

এখন, আমরা প্রদত্ত মানগুলি সূত্রে প্রতিস্থাপন করতে পারি:

 

h = 101325 N/m2 / (1.3 kg/m3 × 9.81 m/s2)

 

h = 7,945.18937 m

সুতরাং বায়ুমন্ডলের উচ্চতা 7945.18937m

 

*সাঁতারের সময় আমাদের ওজন বেশি মনে হয় নাকি কম?কেন?

উত্তরঃ  সাঁতারের সময় আমাদের ওজন কম মনে হয়। এর কারণ হল পানিতে থাকাকালীন আমাদের দেহের উপর পানির উপরের চাপ কাজ করে।

 

★আর্কিমিডিসের নীতি অনুসারে, কোন বস্তু যখন তরলে ডোবানো হয়, তখন তরলের দ্বারা বস্তুর উপরে প্রযুক্ত উর্ধ্বমুখী বল বস্তুর নিমজ্জিত অংশের দ্বারা স্থানচ্যুত তরলের ওজনের সমান।

সাঁতার কাটার সময়, আমাদের দেহের একটা অংশ পানিতে ডোবানো থাকে। এই ডোবানো অংশ দ্বারা কিছু পানি স্থানচ্যুত হয়।স্থানচ্যুত পানির ওজন আমাদের দেহের ওজনের কিছু অংশকে ভারসাম্য করে।এর ফলে, আমাদের দেহের উপর কম বল প্রয়োগ হয় এবং আমাদের ওজন কম মনে হয়।

 

*মানবদেহে গড়ঘনত্ব 985kg/m3, বিশুদ্ধ পানির 1000kg/m3,এবং ডেড সী এর পানির ঘনত্ব 1240kg/m3.বিশুদ্ধ পানির সুইমিং পুলে নামলে তোমার শরীরের কয় শতাংশ ডুবে থাকবে? তুমি ডেড সীতে সাঁতার কাটলে তোমার শরীরের কয় শতাংশ ভেসে থাকবে?

 

উত্তরঃ আমরা জানি,

ডুবে থাকা অংশের শতাংশ = (দেহের ঘনত্ব / পানির ঘনত্ব) × 100%

বিশুদ্ধ পানির সুইমিং পুলে নামলে ডুবে থাকবে= 985kg m3/1000kg/m3 * 100%

=98.5%

 

ডেড সীতে ডুবে থাকবে= 985/ 1240 * 100% =79.43%

সুতরাং ভেসে থাকার অংশ= (100-79.43)% =20.56%

Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী

১০ম ও ১১শ সেশন:

*গুলতি বা catapult এর চামচের হাতল যদি একটু লম্বা হতো বা চামচাটা আরেকটু উঁচুতে আটকানো হতো,তাহলে কী তোমাদের ছুড়ে দেওয়া কাগজের বল আরও দূরে গিয়ে পড়তো?কেনো?

খেলার মাঠে বিজ্ঞানউত্তরঃ হ্যাঁ, গুলতি বা catapult এর চামচের হাতল যদি একটু লম্বা হতো বা চামচটা আরেকটু উঁচুতে আটকানো হতো, তাহলে ছুড়ে দেওয়া কাগজের বল আরও দূরে গিয়ে পড়তো। এর কারণ হল:
 
১.লম্বা হাতল ব্যবহারকারীকে আরও বেশি টান প্রয়োগ করার সুযোগ করে দেয়।
বেশি টান প্রয়োগ করলে কাগজের বলকে আরও বেশি শক্তি প্রদান করা সম্ভব।
বেশি শক্তির কারণে কাগজের বল আরও দূরে গিয়ে পড়বে।
২.উঁচুতে আটকানো চামচ কাগজের বলকে আরও বেশি উচ্চতায় যেতে সাহায্য করে।
বেশি উচ্চতায় গেলে কাগজের বল বেশি সময় ধরে বায়ুতে থাকবে।
বায়ুতে বেশি সময় ধরে থাকার কারণে কাগজের বল আরও দূরে গিয়ে পড়বে।
 

*গুলতি ব্যবহার করতে নিউটনের ৩য় সূত্র কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তরঃ নিউটনের তৃতীয় সূত্র, “ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া” সম্পর্কিত যা গুলতি ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সূত্র অনুসারে, “প্রতিটি ক্রিয়ার সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া থাকে।”
যখন ব্যবহারকারী গুলতির হাতল টানেন, তখন তিনি চামচের উপর একটি বল প্রয়োগ করেন।এই বলকে ক্রিয়া বলা হয়।
চামচ, ব্যবহারকারীর হাতের উপর সমান ও বিপরীতমুখী বল প্রয়োগ করে।
এই বলকে প্রতিক্রিয়া বলা হয়।চামচের ক্রিয়া কাগজের বলকে সামনের দিকে ধাক্কা দেয়।এই ধাক্কা কাগজের বলকে গতিতে প্রদান করে।
চামচের ধাক্কা এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োগ করা বলের সমন্বিত প্রভাবে কাগজের বলের গতি বৃদ্ধি পায়।গতি বৃদ্ধির ফলে কাগজের বল আরও দূরে ছুঁড়ে যায়।
 

*গুলতি দ্বারা কাগজের বল ছোড়ার ক্ষেত্রে শক্তির স্থানান্তর ও রূপান্তর কীভাবে ঘটেছে?

উত্তরঃ ব্যবহারকারীর শক্তি চামচে স্থানান্তরিত হয় এবং স্থিতিস্থাপক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।ছেড়ে দেওয়ার পর স্থিতিস্থাপক শক্তি কাগজের বলের গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয় এবং কাগজের বলকে দূরে ছুঁড়ে দেয়।
 

Filed Under: class 9, বিজ্ঞান class 9 Tagged With: ৫০কেজি ভরের ব্যাক্তি ২৫০কেজি ভরের মোটরসাইকেল ২০মি/সে বেগে চালাচ্ছে।ভরবেগ নির্ণয় কর।, আমরা দৌড়ের সময় হঠাৎ করে থেমে যেতে পারিনা কেন?, একটা গ্লাসের উপর কার্ডবোর্ড রেখে তার উপর মুদ্রা রেখে টান দিলে মুদ্রাটি গ্লাসের ভেতরে পড়েছে কেন?, একটি দড়ি 200N বলে টানলে ছিঁড়ে যাবে।দড়িটি দিয়ে তুমি কী যেকোনো ভরের বাক্স ঝোলাতে পারবে?, এবং ডেড সী এর পানির ঘনত্ব 1240kg/m3.বিশুদ্ধ পানির সুইমিং পুলে নামলে তোমার শরীরের কয় শতাংশ ডুবে থাকবে? তুমি ডেড সীতে সাঁতার কাটলে তোমার শরীরের কয় শতাংশ ভেসে থাকবে?, কম্বলকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ধুলা বের করা যায় কেন? এর সাথে জড়তার সম্পর্ক কী, খেলার মাঠে বিজ্ঞান, গাড়ি হঠাৎ ব্রেক করলে/ থেমে গেলে আমরা ঝুঁকে যাই কেন?, গুলতি বা catapult এর চামচের হাতল যদি একটু লম্বা হতো বা চামচাটা আরেকটু উঁচুতে আটকানো হতো, গুলতি ব্যবহার করতে নিউটনের ৩য় সূত্র কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে?, জড়তা কী এবং কত প্রকার?, তাহলে কী তোমাদের ছুড়ে দেওয়া কাগজের বল আরও দূরে গিয়ে পড়তো?কেনো?, নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র কী?, নিউটনের সূত্রগুলো কী কী?, বিভিন্ন ভরের বস্তু একই রকম জোরে ছুড়লে সেগুলো কী একই দূরত্বে গিয়ে পড়বে? কেন নয়?, বিশুদ্ধ পানির 1000kg/m3, ভর ও বেগের গুনফল দিয়েই সব সময় কী হিসাব করা সম্ভব হয়?, ভরবেগের পরিবর্তনের হার কীভাবে হিসাব করবে?, ভরবেগের পরিবর্তনের হার সম্পর্কিত নিউটনের ২য় সূত্র:, ভার নিক্ষেপ খেলায় ভর যদি বিভিন্ন হয় তাহলে কী দূরত্ব কম বেশি হবে? হলে কেন?, মানবদেহে গড়ঘনত্ব 985kg/m3, সাঁতারের সময় আমাদের ওজন বেশি মনে হয় নাকি কম?কেন?, স্পিন বোলাররা মোটামুটি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে বল করেন কিন্তু পেস বোলাররা দূর থেকে ছুটে এসে বল করেন কেন?, স্পিন বোলিং এবং পেস বোলিং এর পার্থক্য কী?

  • Go to page 1
  • Go to page 2
  • Go to Next Page »

Primary Sidebar

zippy's macaroni salad recipe hawaii

Hawaiian chopped steak recipe

Craving a taste of the Hawaiian islands? Look no further than Zippy's Macaroni Salad Recipe, a culinary delight that … [Read More...] about Hawaiian chopped steak recipe

1950s recipe for tamale pie

1950s Tamale Pie: A Taste of Vintage Comfort Food

Is your kitchen lacking a touch of comfort and nostalgia? You've found it! This blog post will take you on a lovely … [Read More...] about 1950s Tamale Pie: A Taste of Vintage Comfort Food

রোধ, জল, বৃষ্টি

রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

আমরা ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান-অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়ে আলোচিত "রোধ, জল, বৃষ্টি"-শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের … [Read More...] about রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

গতির খেলা-৬ষ্ট শ্রেণী

গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয়ের ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা গতির খেলা  সম্পর্কে। প্রথম, দ্বিতীয় ও … [Read More...] about গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৭ম অধ্যায়,ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম  সম্পর্কে জানবো। প্রথম ও … [Read More...] about ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

হরেক রকম খেলনার মেলা

হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়,হরেক রকম খেলনার মেলা  সম্পর্কে জানবো।প্রথম ও দ্বিতীয় … [Read More...] about হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

Footer

  • About Us
  • Affiliate Disclosure
  • Privacy Policy
  • Terms of Use
  • Contact Us

Copyright © 2025 · News Pro on Genesis Framework · WordPress · Log in