Class 7

ফসলের ডাক ২০২৪।সপ্তম শ্রেণী। বিজ্ঞান অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম  শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ১ম শিখন অভিজ্ঞতা- ফসলের ডাক সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

বৈচিত্র‍্যময় ছয় ঋতুর বাংলাদেশের মাটিতে ফলে নানা রকম ফল ও সবজি। আমাদের দেশে খরিপ-১, খরিপ-২ ও রবি এ তিন মৌসুমে চাষাবাদ হয়ে থাকে। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়।

কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে ?

উত্তর: ফসলের মৌসুমকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়।
 ১। রবি মৌসুম: আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস (অক্টোবর’এর মাঝামাঝি থেকে মধ্য মার্চ)
 ২। খরিপ ১ মৌসুম: ফাল্গুন মাস থেকে আষাঢ় মাস (মার্চ‘এর মাঝামাঝি থেকে জুলাই পর্যন্ত)

৩। খরিপ ২ মৌসুম: আষাঢ় মাস থেকে ভাদ্র মাস (জুলাই ‘এর মাঝামাঝি থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর)। 

রবি মৌসুমে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা কম থাকে। বৃষ্টিপাতও কম হয়। এ সময় শীতকালীন শাকসবজি যেমন-ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, লাউ, সীম, টমেটো,বেগুন, আলু, তৈলবীজ, মটরশুঁটি, পেয়াজ ইত্যাদির চাষ করা হয়। এ ছাড়া বোরো ধান, গম, ডাল ও সরিষা রবি মৌসুমে উদপাদিত হয়।

খরিপ -১ এর সময়কালকে গ্রীষ্মকাল ও বলা হয়। এ সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে। মাঝে মাঝে ঝড় বৃষ্টি হয়। এ মৌসুমে আউশ ধান, পটল, কাঁকরোল,পাট, ঢেঁড়শ, করলা, বরবটি, চাল্কুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, সজনে, লাল শাক, মিষ্টিকুমড়া ইত্যাদি ফসলের চাষ হয়। এ মৌসুমে আম, জাম, কাঠাল, লিচু, পেঁপে ইত্যাদি  উদপাদিত হয়

খরিপ-২ এর মৌসুমে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে এ মৌসুমকে বর্ষাকাল বলে। আমন ধান, পানিকচু, ধুন্দল,চাল্কুমড়া,  ও বর্ষাকালীন শাকসবজি এ মৌসুমের প্রধান ফসল।  জাম্বুরা, তাল, আমলকি, কাঁঠাল, জলপাই এ মৌসুমের প্রধান ফল

কিভাবে ভালো চারা বাছাই করতে হয়?

উত্তর: বৈচিত্র‍্যময় ছয় ঋতুর বাংলাদেশের মাটিতে ফলে নানা রকম ফল ও সবজি। আমাদের দেশে খরিপ-১, খরিপ-২ ও রবি এ তিন মৌসুমে চাষাবাদ হয়ে থাকে। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়।

ভালো চারাগাছ চেনার বিভিন্ন উপায় বা কৌশল রয়েছে। যেমনঃ

  • নার্সারিতে একই জাতের বিভিন্ন চারাগাছ থাকে। কিন্তু সবগুলোর বৃদ্ধি সমান হয় না। তাই যে গাছটির বৃদ্ধি ভালো হয়েছে এমন গাছটি দেখে নিতে হবে।
  • চারাগাছ কেনার সময় ভালো করে দেখে নিতে হবে গাছটি রোগাক্রান্ত কি না। যেমন পাতা শুকনো কিনা, কুঁকড়ানো কি না, পাতার উপর নিচে কোনো পোকামাকড় আছে কি না!
  • চারাগাছটির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুটের মধ্যে হতে হবে। এ উচ্চতার চারাগাছ সহজে মানিয়ে নিতে পারে।
  • চারাগাছ কেনার সময় খেয়াল করতে হবে গাছের গোড়াটা একটু মোটা ও সবল কি না।
  • চারাগাছের শিকড় অক্ষত আর চারা যেন থাকে সবুজ ও তাজা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • চারাগাছে ফুল বা ফল ধরা থাকলে সেক্ষেত্রে তা লাগানোর জন্য যথোপযুক্ত নয়।
  • চারাগাছের  মূল শিকড়কে অবশ্যই খুব যত্ন করে রাখতে হবে,কোনভাবে যেনো কাটা না পড়ে।
  • গ্রাফটিং চারা চেনার সহজ উপায় হলো – গাছের গোড়ায় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে দুটো গাছকে কেটে জোরা দেওয়া হয়েছে এবং জোরা দেওয়া স্থানে পলিথিন বা কাপড় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আবার গ্রাফটিংয়ের কিছুটা উপর থেকে যেন গাছের ডালপালা শুরু হয় সেটিও খেয়াল করতে হবে।
  • গ্রাফটিং না হলে দেখতে হবে চারাটি গুটিকলমের কি না। গুটিকলম হলেও জাত ভালো হবে। এক্ষেত্রে করণীয় হলো ভালো করে দেখে নেওয়া কলমে শিকড় এসেছে কি না!
  • ফুল ফল গাছের চারা কেনার সময় গাছের পাতার উপরিভাগে ভালো করে দেখে নিতে অগ্রমুকুল ঠিক আছে কি না। না হলে নতুন ডাল গজাতে বা পাতা আসতে সময় বেশি নিতে পারে।

মাটি বা পরিবেশের কোন বৈশিষ্টের জন্য কোন ফসল/উদ্ভিদ ভালো জন্মে?

উত্তর: মাটি /পরিবেশ ফসল উৎপাদনের অন্যতম মাধ্যম।বাংলাদেশের মাটিতে অল্প বিস্তর সব ফসলই জন্মে। কিন্তু সব অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য একরূপ নয়।
  • এঁটেল ও এঁটেল দোআঁশ,নদ-নদীর  অববাহিকা ও হাওর-বাঁওড় এলাকা যেখানে | পলি জমে সেখানে ধান ভালাে জন্মে।
  • দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি গম চাষের জন্য ভালাে।যে মাটিতে PH (অম্লাত্মক-ক্ষারত্মক) ৬.০ থেকে ৭.০ সেসব মাটিতে গম ভালাে হয় ।
  • নদীবাহিত গভীর পলিমাটি পাট চাষের জন্য বিশেষ উপযােগী।
  • দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতেও পাট ভালাে হয়।
  • উঁচু ও মাঝারি জমিতে দোআঁশ, বেলে দোআঁশ, এঁটেল দোআঁশ এবং পলি দোআঁশ মাটিতে ডাল জন্মে।
  • ডাল নিরপেক্ষ বা ক্ষারীয় চুনযুক্ত মাটিতে ভালাে হয়।
  • শুষ্ক ও ঠাণ্ডা আবহওয়া এবং অল্প বৃষ্টিপাত ডাল ফসল চাষের জন্য উপযােগী।
  • আলু, টমেটো ইত্যাদির জন্যে বেলে দোআঁশ,দোআঁশ মাটি উপযোগী।
  • পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হলে গাজর চাষের ফলন ভালো হয়।
  • পোঁকামাকড় এর উপদ্রব কম হলে শিমগাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।
  • মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি থাকলে এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হলে শাকসবজি খুব সহজে বেড়ে উঠতে পারে।
  • পজলাবদ্ধতামুক্ত জমি হলে, পেঁপে গাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।
  • উষ্ণ আবহাওয়া এবং শিলাবৃষ্টি ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হলে আম গাছ খুব দ্রুত বেড়ে উঠে।
  • এছাড়াও জৈব পদার্থ এবং সঠিক পরিচর্যা করলে শীতিকালীন বিভিন্ন  ধরনের সবজী চাষ ভালো হয়।

বিবর্তন কাকে বলে?

উত্তর: কোন জীব বা উদ্ভিদের এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যাওয়ার সময় কিছু পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনকে বিবর্তন বলে।

অভিযোজন কাকে বলে?

উত্তর: একটি জীব বা উদ্ভিদ তার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য যেসব কৌশল পদ্ধতি অনুসরণ করে তাকে অভিযোজন বলে।

আমাদের চারপাশে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় জীবের বৈশিষ্ট্য আলাদা হয় কেন?

উত্তর: আমাদের চারপাশে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় জীব বিদ্যমান। এ সকল জীবের বৈশিষ্ট্য ও গঠন ভিন্ন ধরনের হয়। জীবসমূহ এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যাবার সময় কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ছোট পরিবর্তন ঘটতে ঘটতে একপর্যায়ে আলাদা বৈশিষ্ট্যের নতুন জীব দেখা যায় যা আদিপুরুষ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। অর্থাৎ বিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন জীবের মধ্যে বৈচিত্র্য দেখা যায়। এই বৈচিত্র্য পরিবেশগত, প্রজাতিগত এবং জিনগত কারণে হয়ে থাকে।

আমাদের এলকায় যে উদ্ভিদের ফলন ভালো হয়, কেন অন্য পরিবেশে তা ততো ভালো ফলন দেয় না?

উত্তর: আমাদের এলাকার যেসব উদ্ভিদের ফলন ভালো হয় তা অন্য পরিবেশে অত ভালো ফলন দেয় না। কারণ আমাদের এলাকার আবহাওয়া, জলবায়ু, মাটির গঠন প্রকৃতি, পানির প্রাপ্যতা, মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা, মাটির উর্বরতা প্রভৃতি বৈশিষ্টসমূহের কারণে যে সকল উদ্ভিদ ভালোভাবে অভিযোজিত হয় সেগুলো অধিক ফলন দেয়। কিন্তু এ সকল উদ্ভিদকে অন্য অঞ্চলে রোপন করলে আশানুরূপ ফলন দেয় না। কারণ নতুন পরিবেশে সঠিকভাবে অভিযোজন করতে সক্ষম না হওয়ায় উদ্ভিদটি টিকে থাকতে পারে না। আর যদি টিকেও থাকে তাহলে বৃদ্ধি ও ফলন কম হয়।

অতিথি শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া গুরুত্বপুর্ণ তথ্যঃ

১.ভালো, উচ্চ ফলনশীল এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত বাছাই করতে হবে।
২. প্রয়োজনে বীজ/কলম এবং মাটি শোধন করে নিতে হবে।
৩. চারা লাগানোর পূর্বে জৈব এবং রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে মাদা তৈরি করতে হবে। কিছুদিন পর পর ইউরিয়া, ড্যাপ সার,পটাশ সার ইত্যাদি দিতে হবে।
৪. ফল গাছ লাগানোর পর খুঁটির ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. পরিচর্যামূলক কাজ করতে হবে।
৭. সঠিক সময়ে ফল আহরণের পর গাছের ডালপালা ছাটাই করতে হবে।

তোমার
এলাকায় দেখা যায় এমন পাঁচটি প্রাণীর নাম

এদের
খাদ্যাভ্যাস কেমন
?

এদের
বাসস্থান কেমন
?

অন্যান্য
বৈশিষ্ট্য যদি উল্লেখ করতে চাও

তোমার
পরিবেশের কী কী বৈশিষ্ট্য তাকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে


বিড়াল

মাংসাশী
প্রাণী। বিভিন্ন ধরণের মাছ, মাংস, ইঁদুর ইত্যদি।

জলাভূমি,
বেলাভূমি, তীরবর্তি অঞ্চলের ঘন গাছপালা, গৃহস্থ বাড়ি সবখানে এরা অভিযোজিত হতে
পারে।

খুব
তীক্ষ্ণ ও উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পায়।

খাদ্যের
প্রাপ্যতা, অনুকূল পরিবেশ।


দোয়েল

ছোট
কীট পতঙ্গ, শুঁয়ো পোকা, কেঁচো, টিকটিকি, গিরগিটি ইত্যাদি

নাতিশীতোষ্ণ
অঞ্চলে এদের বিস্তার।গাছের কোটরে কিংবা ফাটলে এরা খড় কুটো জমা করে বাসা তৈরি
করে।

১।
নানা রকম সুরে ডাকাডাকি করতে পারে।

২।
সাহসী, স্বাধীন ও অস্থির প্রকৃতির।

পর্যাপ্ত
আলো
,
বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের
প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ।


মৌমাছি

ফল,মিষ্টি
জাতীয় পদার্থ
 ,ফুলের মধু এবং তরল ফলসমুহ। ফুলের নেক্টার
এবং পোলেন।

মৌচাক
হলো মৌমাছির আবাসস্থল। এরা গাছ
, গাছের পাতা, ফুলের গুচ্ছ, বাশের
ঝাড় ইত্যাদিতে
 
বসবাস করে।

১।
কান না থাকা সত্ত্বেও মৌমাছিরা যে পৃষ্ঠে অবতরণ করে তার কম্পন অনুভব করতে সক্ষম।এরা
প্রচন্ড পরিশ্রমী।

পর্যাপ্ত
আলো
,
বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের
প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ।


কুনোব্যাঙ

ছোট
ছোট পেকামাকড়,ছোট মাছ, ঘাসফড়িং,লাভা

ঘরের
কোণে
,
গাছের কোটরে এবং মাটিতে গর্ত করে বসবাস করে।

১।
এরা লার্ভা দশায় পানিতে বাস করে এসময় ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালাই এবং
পরিনত বয়সে ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।

পর্যাপ্ত
আলো
,
বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের
প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ।


রুই মাছ


অতিক্ষুদ্র প্ল্যাংকটন,
 শৈবাল ও নিমজ্জিত উদ্ভিদ।

স্বাদু
পানির জলাশয় বিশেষ করে পুকুর
, হ্রদ, নদী, খাল, বিল
এবং হাওর।

১।
দাঁত বিহীন চোয়াল

২। চোখের পাতা নেই।

পর্যাপ্ত
আলো
,
বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের
প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ।

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ

হরিপদ কাপালী নতুন ধানের জাত কিভাবে খুজে পেলেন? যে প্রক্রিয়ায় তিনি নতুন ধানের জাত আবিস্কার করলেন তার ধাপ গুলো কি কি?

উত্তর: হরিপদ কাপালী ছিলেন বাংলাদেশের যশোর এলাকার একজন সাধারণ কৃষক।কৃষক হলেও তিনি আসলে একজন বিজ্ঞানী। প্রায় দেড় দশক আগে নিজের বিআর-১১(ইরি) ধানের জমিতে একটি ধানের ছড়া হরিপদ কাপালীর নজর কাড়ে। ধানের গোছা বেশ পুষ্ট এবং গাছের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। এই ছড়াটি তিনি নজরদারিতে রাখেন। ধানের ছড়া বের হলে তিনি দেখতে পান ছড়াগুলো তুলনামূলকভাবে অন্য ধানের চেয়ে দীর্ঘ এবং প্রতিটি ছড়ায় ধানের সংখ্যাও বেশি। ধান পাকলে তিনি আলাদা করে বীজ ধান হিসেবে রেখে দেন। পরের মৌসুমে এগুলো আলাদা করে আবাদ করলেন এবং আশাতীত ফলন লাভ করেন। এভাবে তিনি ধানের আবাদ বাড়িয়ে চলেন। আর নিজের অজান্তেই উদ্ভাবন করেন এক নতুন প্রজাতির ধান। কৃষক এ ধানের  নাম দেন ‘হরিধান।এভাবে তিনি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে নতুন জাতের ধান আবিষ্কার করেন। বর্তমানে এটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।কৃষিবিজ্ঞানীরা একমত হয়েছেন যে,হরিধানে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি এবং অতিবৃষ্টিতে সহনীয়। তার অনুসরণীয় ধাপগুলো হলোঃ

  • সমস্যা নির্বাচন/চিহ্নিতকরণ
  • প্রশ্নকরন
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত
  • পরীক্ষণ
  • সিদ্ধান্ত গ্রহণ
  • ফলাফল প্রকাশ

জীববৈচিত্র্য কাকে বলে?

উত্তর: জল, স্থল সকল জায়গায় সকল পরিবেশে থাকা সকল ধরনের জীব এবং উদ্ভিদের বিচিত্রতাকে জীববৈচিত্র্য বলে।

পৃথিবীতে কত প্রজাতির জীব রয়েছে?

উত্তর: প্রায় ৮-১৪ মিলিয়ন (৮০ থেকে ১৪০ লক্ষ) বিভিন্ন প্রজাতির জীব এই পৃথিবীতে রয়েছে।

বাস্তুতন্ত্র বা বায়োম কাকে বলে?

উত্তর: অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন জীবগোষ্ঠী এবং তার পরিবেশের জড় উপাদান মিলে যে সিস্টেম তৈরি হয়, তাকে বলা হয় ইকোসিস্টেম (Ecosystem) বা বাস্তুতন্ত্র বা বায়োম বলে।

জীববৈচিত্র্যের হটস্পট কী?

উত্তর: জীব বৈচিত্রের হটস্পট বলতে সেই অঞ্চল গুলিকে বোঝানো হয় যেখানে এমন কিছু জীব প্রজাতি পাওয়া যায় যেগুলো পৃথিবীর অন্য কোন অঞ্চলে আর দেখা যায় না এবং সেই জন্যই এই সমস্ত অঞ্চলের জীব প্রজাতি গুলির বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশনঃ


 

 

এক সপ্তাহ পর

দুই সপ্তাহ পর

তিন সপ্তাহ পর

চার সপ্তাহ পর

কি কি কাজ করেছ

দো-আঁশ মাটির
সাথে জৈব সার এবং রাসায়নিক সার মিশিয়ে মাটি চাষ উপযোগী করেছি।এই মাটিদিয়ে
টবভর্তি করেছি এবং পানি দিয়েছি।

মাটিভর্তি টবে বেগুণের
চারা রোপন করেছি।

আগাছা পরিষ্কার
করেছি।

মাটিতে ইউরিয়া
সার প্রয়োগ করেছি।

নতুন কি কি
জানলে
?

চারাগাছের জন্য
মাটি তৈরি পদ্ধতি।
 

চারা রোপন
পদ্ধতি
 

জমিতে আগাছা
পরিষ্কারের উপায়গুলো
  জেনেছি।

জমিতে সারের
ব্যবহার
 

ফসল/ উদ্ভিদের
বৃদ্ধি/পরিবর্তন
 

×

চারাগাছের
গোড়াগুলো ধীরে ধীরে শক্ত হচ্ছে

চারাগাছগুলো
শক্ত হয়ে নতুন পাতা গজিয়েছে এবং ১ ইঞ্চি পরিমান উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে

বেগুন গাছের
কান্ড শক্ত ও মোটা হচ্ছে এবং ২-৪ ইঞ্চি পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে।

সহায়তা দানকারী
কৃষকের স্বাক্ষর
 

ইমরান

ইমরান

ইমরান

ইমরান

.

পাচঁ সপ্তাহ পর

ছয় সপ্তাহ পর

সাত সপ্তাহ পর

আট সপ্তাহ পর

কি কি কাজ করেছ

টবে পানি
দিয়েছি। মাটিতে চটা হলে চটা ভেঙে দিয়েছি

পোকামাকড় দমনের
জন্য কীটনাশক ব্যবহার করেছি

পুনরায় আগাছা
পরিষ্কার করেছি এবং বিভিন্ন ধরণের সার প্রয়োগ করেছি
 

বেগুন  গাছ থেকে কিছু বেগুন  তুলেছি

নতুন কি কি
জানলে
?

কখন এবং কতটুকু
টবে পানি দিতে হবে তা জেনেছি

টবে কীটনাশক
কীভাবে প্রয়োগ করে।

সার প্রয়োগের
২য় ধাপ এবং আগাছা পরিষ্কারের শেষ ধাপ

কখন বেগুন  ফুল ফোটে এবং কত বড় হলে বেগুন  তোলা যাবে।

ফসল/ উদ্ভিদের
বৃদ্ধি/পরিবর্তন
 

বেগুন গাছের
অনেক শাখা-প্রশাখা বের হয়েছে

বেগুন গাছ
প্রায় ৮-১০ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে
 

বেগুন গাছে ফুল
আসতে শুরু হয়েছে এবং এর উচ্চতা ১০-১২ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে
 

বেগুন গাছের ফুল
ঝরা শুরু করেছে এবং তার উচ্চতা ১৫-২০ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে
 

সহায়তা দানকারী
কৃষকের স্বাক্ষর
 

ইমরান

ইমরান

ইমরান

বিষুবরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য বেশি কেন?

উত্তর: ভিন্ন ভিন্ন কারণে বিষুবরেখার কাছাকাছি জীববৈচিত্র্য, বা প্রজাতি এবং বাস্তুতন্ত্রের বৈচিত্র্য সাধারণত বেশি হয়। নিচে কয়েকটি কারণ দেয়া হলো:

১. বিষুবরেখায় অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উচ্চ তাপমাত্রা এবং অধিক বৃষ্টিপাত থাকে যা বিস্তৃত প্রজাতির উন্নতির জন্য আদর্শ পরিস্থিতি প্রদান করে।

২. বিষুবরেখার একটি দীর্ঘ ক্রমবর্ধমান ঋতু রয়েছে, যা বছরের বেশিরভাগ সময় গাছপালা বৃদ্ধি এবং প্রজনন করতে দেয়। এটি উদ্ভিদ প্রজাতির বৃহত্তর বৈচিত্র্যের দিকে পরিচালিত করে এবং তারা ইকোসিস্টেমগুলিকে সমর্থন করে।

৩. নিরক্ষীয় অঞ্চলগুলি অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দীর্ঘকাল ধরে রয়েছে এবং তাই প্রজাতির বিকাশ এবং বৈচিত্র্যের জন্য আরও বেশি সময় পেয়েছে।

৪. বিষুবরেখার কাছাকাছি তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের উল্লেখযোগ্য ঋতু পরিবর্তনের অভাব প্রজাতিগুলিকে সারা বছর সক্রিয় থাকতে এবং প্রজনন করতে দেয়, যা বৃহত্তর সামগ্রিক জীববৈচিত্র্যের দিকে পরিচালিত করে।

৫. নিরক্ষীয় অঞ্চলগুলি পাহাড়, রেইনফরেস্ট এবং নদী সহ জটিল টপোগ্রাফি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যা বিভিন্ন প্রজাতির বসবাসের জন্য বিভিন্ন ধরনের আবাসস্থল প্রদান করে।

৬.সারাবছরই এখানে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পাওয়া যায়। তাই এখানে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া খুব ভালো হয় এবং অঙ্কুরোদগমও সহজ হয়। সেই কারণে এখানে বহুপ্রজাতি এবং বহুসংখ্যার উদ্ভিদ সমাবেশ দেখা যায়।

৭. এখানে বহু প্রজাতির জীবের একত্র সহবস্থান লক্ষ করা যায়। তা ছাড়া এক একটি প্রজাতির জীবের সংখ্যাও অনেক বেশি। সেই সমস্ত প্রজাতির মধ্যে মিলনের মাত্রাও বেশি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জীববৈচিত্র্য অনেক বেশি।

বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষনের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আলোকপাত কর।

উত্তর: বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষনের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে হা হলো:

  • ১। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সরকার দেশের বনাঞ্চলের কিছু অংশ সংরক্ষিত এলাকা হিসেব ঘোষণা করেছে।
  • ২। প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ আহরণ বন্ধ করা হয়েছে।
  • ৩। মানুষ সৃষ্ট বনায়নের পুরাতন গাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
  • ৪। বন্যপ্রাণী নিধন ও পাচার রোধে নতুন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৈরি করা হয়েছে।

ফসলের মাঠ/নার্সারি/স্থান বাগানে কাজ করতে তোমাদের কেমন লেগেেছে?

উত্তর: ফসলের মাঠ/ছাদবাগান/ নার্সারিতে কাজ করতে আমার অনেক নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি কাজ করতে আনন্দ পেয়েছি, সময়টা ভালো কেটেছে। অবসর সময়ে এটা আমার এখন অন্যতম প্রিয় কাজ।

এ কাজে তোমরা নতুন কি কি শিখেছ?

উত্তর: আমি এ কাজ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমি শিখতে পেরেছি কিভাবে মাটি তৈরি করতে হয়, আমি চারাগাছ কিভাবে রোপন করতে হয় তা শিখেছি আগাছা পরিষ্কারের উপায় গুলো সম্পর্কে জেনেছি। জৈব সার এবং রাসায়নিক সার সম্পর্কে জেনেছি। কীটনাশক কখন ও কীভাবে দিতে হয় তা শিখেছি। কোন মৌসুমে কোন ফসলের ফলন ভালো হয় তা জেনেছি।

As an Amazon Associate I earn from qualifying purchases.

veg_admin

View Comments

Share
Published by
veg_admin

Recent Posts

রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

আমরা ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান-অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়ে আলোচিত "রোধ, জল, বৃষ্টি"-শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন…

2 months ago

গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয়ের ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা গতির খেলা  সম্পর্কে। প্রথম, দ্বিতীয় ও…

2 months ago

ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৭ম অধ্যায়,ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম  সম্পর্কে জানবো। প্রথম ও…

2 months ago

হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়,হরেক রকম খেলনার মেলা  সম্পর্কে জানবো।প্রথম…

2 months ago

অদৃশ্য প্রতিবেশী।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৫ম অধ্যায়, অদৃশ্য প্রতিবেশী  সম্পর্কে জানবো।সেশন শুরুর…

2 months ago

সূর্যালোকে রান্না।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর,বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়, সূর্যালোকে রান্না সম্পর্কে জানবো।প্রথম ও দ্বিতীয়…

2 months ago