Page Contents
Toggleঘুরতে যেতে কার না ভালোো লাগে! আমরা যেমন নতুন জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখি, আমাদের বা অন্য কোনো জীবের কোষের ভেতরে ছোট্ট হয়ে ঢুকে গিয়ে যদি কোষের ভেতরটাও এভাবে ঘুরে ঘুরে দেখা যেত তাহলে কেমন হতো? যেহেতু সত্যি সত্যি সেটা সম্ভব নয় তাই এই অভিজ্ঞতায় বিভিন্ন ধরনের কোষের মডেল বানিয়ে সেখানে ঘুরে আসব…
প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ
প্রশ্ন: উদ্ভিদ ও প্রাণীকোষে কী কী কোষ অঙ্গাণু আছে?
উত্তর: উদ্ভিদ কোষে আছে কোষ প্রাচীর, কোষ ঝিল্লি, প্রোটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস, কোষ গহ্বর, গলজি বডি, আন্তঃপাজমীয় জালিকা, মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড। প্রাণী কোষে আছে কোষ ঝিল্লি, প্রোটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস, কোষ গহ্বর, গলজি বডি, আন্তপ্রাজমীয় জালিকা, মাইটোকন্ড্রিয়া সেন্ট্রোসোম, লাইসোসোম ইত্যাদি।
প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া ও নিউক্লিয়াসে কী কী বিদ্যমান?
উত্তর: প্লাস্টিডে বহিঃস্তর ঝিল্লি, অন্তস্তর ঝিলি, লুমেন, গ্রানাম, স্ট্রোমা, থাইলাকয়েড ইত্যাদি বিদ্যমান। মাইটোকন্ড্রিয়াতে আছে ক্রিস্টি, ম্যাট্রিক্স, অভ্যন্তরীণ ঝিল্লি, বাহ্যিক ঝিল্লি ইত্যাদি। নিউক্লিয়াসে আছে নিউক্লিয়ার ঝিল্লি, ক্রোমাটিন জালিকা, নিউক্লিওলাস, নিউক্লিয়ার রন্দ্র, নিউক্লিওপ্লাজম ইত্যাদি।
নিউক্লিয়াস কী?
উত্তর: নিউক্লিয়াস (ইংরেজি: Cell Nucleus) হল প্রোটোপ্লাজমের সবচেয়ে ঘন, পর্দাঘেরা এবং প্রায় গোলাকার অংশ যা কোষের সব জৈবনিক ক্রিয়া বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে ৷
নিউক্লিয়াসের গঠন ও কাজ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কোষের প্রোটোপ্লাজমে অবস্থিত দ্বি-স্তরবিশিষ্ট ঝিল্লি দিয়ে ঘিরে রাখা অস্বচ্ছ অঙ্গাণুকে নিউক্লিয়াস বলে।
অবস্থান: কোষের কেন্দ্রস্থলে থাকে।
আকৃতি: কোষভেদে নিউক্লিয়াস সাধারণত গোলাকার, উপবৃত্তাকার বা নলাকার হয়ে থাকে।
গঠন : প্রতিটি নিউক্লিয়াস চারটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত। এগুলো হলো-
নিউক্লিয়ার পর্দা: সজীব ও দ্বিস্তরবিশিষ্ট যে পর্দা দিয়ে প্রতিটি নিউক্লিয়াস আবৃত থাকে, তাকে নিউক্লিয়ার পর্দা বলে। নিউক্লিয়ার পর্দা অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত। এসব ছিদ্রের নাম নিউক্লিয়ার রঙ।
নিউক্লিওপ্লাজম: নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরস্থ নিউক্লিয়ার মেমব্রেন দিয়ে আবৃত স্বচ্ছ, দানাদার ও জেলির মতো অর্ধতরল পদার্থটির নাম নিউক্লিওপ্লাজম বা ক্যারিওলিম্ফ।
নিউক্লিওলাস: নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে অবস্থিত ক্ষুদ্র, গোলাকার, উজ্জ্বল ও অপেক্ষাকৃত ঘন বস্তুটি নিউক্লিওলাস নামে পরিচিত। সাধারণত প্রতিটি নিউক্লিয়াসে একটি নিউক্লিওলাস থাকে।
নিউক্লিওজালিকা বা ক্রোমাটিন তন্তু: নিউক্লিওপ্লাজমে ভাসমান অবস্থায় প্যাচানো সুতার মতো গঠনটি নিউক্লিওজালিকা বা ক্রোমাটিন জালিকা নামে পরিচিত।
কাজ: নিউক্লিয়াস কোষের সকল কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
তৃতীয় সেশনঃ
কোন কোন উপাদান উদ্ভিদ ও প্রাণী দুই ধরণের কোষেই থাকে? এদের কাজ কি?
- কোষঝিল্লি কোষের আকৃতি বজায় রাখে, পানি ও পুষ্টি উপাদানের প্রবেশ ও বেরোনো নিয়ন্ত্রণ করে।
- সাইটোপ্লাজম
- কোষের অঙ্গাণুগুলিকে ধারণ করে এবং কোষের বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।
- নিউক্লিয়াস কোষের জিনগত তথ্য ধারণ করে এবং কোষের বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
- রাইবোজোম প্রোটিন সংশ্লেষণ করে।
- মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের শক্তি কেন্দ্র, শ্বসন প্রক্রিয়া করে কোষের জন্য শক্তি উৎপাদন করে।
- গলজিবস্তু প্রোটিন পরিপক্ক করে, কোষের বাইরে নিঃসরণের জন্য প্রস্তুত করে।
কোন কোন উপাদান শুধু উদ্ভিদ বা প্রাণিকোষে থাকে? এদের কাজ কি?
শুধুমাত্র উদ্ভিদকোষে থাকে-
শুধুমাত্র প্রানীকোষে থাকে-
উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের অঙ্গাণুর মধ্যে মিল-অমিল লেখ।
- উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয় কোষেই নিউক্লিয়াস আছে।
- উভয় কোষেই গলজি বডি আছে।
- উভয় কোষেই আন্তঃপ্লাজমীয় জালিকা আছে।
- উভয় কোষেই মাইটোকন্ড্রিয়া জালিকা আছে।
- উভয় কোষেই সাইটোপ্লাজম আছে।
- উভয় কোষেই কোষ ঝিল্লি আছে।
উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের বৈসাদৃশ্যঃ
উদ্ভিদকোষ | প্রাণিকোষ |
উদ্ভিদকোষে কোষ প্রাচীর আছে | প্রাণীকোষে কোষ প্রাচীর নাই |
উদ্ভিদকোষে প্লাস্টিড আছে | প্রাণীকোষে প্লাস্টিড নাই |
সেন্ট্রিওল থাকেনা (নিম্নশ্রেণীর কিছু উদ্ভিদকোষ ছাড়া) | সেন্ট্রিওল থাকে |
উদ্ভিদকোষের নিউক্লিয়াস একপাশে থাকে। | প্রাণীকোষের নিউক্লিয়াস কেন্দ্রে থাকে |
সঞ্চিত খাদ্য-স্টার্চ | সঞ্চিত খাদ্য-গ্লাইকোজেন |
উদ্ভিদ কোষে কোষগহ্বর আছে | প্রাণীকোষে নাই থাকলেও আকারে অনেক ছোট। |
মাইক্রোভিলাই থাকেনা | কোষঝিল্লীতে মাইক্রোভিলাই থাকে |
লাইসোসোমের উপস্থিতি বিরল | লাইসোসোম থাকে |
একটা উদ্ভিদ কোষ এবং প্রাণী কোষের মাঝে কোন পার্থক্যটি তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি চমকপ্রদ মনে হয় কেন?
উত্তর: উদ্ভিদ কোষ এবং প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য হল কোষ প্রাচীরের উপস্থিতি। কোষ প্রাচীর হল একটি শক্ত, বাইরের স্তর যা উদ্ভিদ কোষকে ঘিরে থাকে। এটি উদ্ভিদ কোষকে রক্ষা করে এবং তাদের আকৃতি দেয়। প্রাণী কোষে কোষ প্রাচীর থাকে না,কিন্তু কোষঝিল্লি থাকে।এ পার্থক্যটি আমার কাছে চমকপ্রদ মনে হয়েছে।
মাইটোকন্ড্রিয়া সম্পর্কে লিখ। (পৃষ্ঠা -৩০)

ক্লোরোপ্লাস্ট-এর গঠন ও কাজ বর্ণনা কর। (পৃষ্ঠা ৩৩)
- সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করা।
- ফুল, পাতা ও ফলকে রঙিন করে কীটপতঙ্গকে আকৃষ্ট করে যেন পরাগায়ন সহজ হয়।
চতুর্থ সেশন ঃ
জীব বড় হয় কীভাবে? (পৃষ্ঠা ৩৫)
আমাদের ত্বক কেটে গেলে আবার কিছুদিন পর সেরে গিয়ে নতুন ত্বকের সৃষ্টি হয় কীভাবে? (পৃষ্ঠা ৩৫)
টিউমার কীভাবে ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে? ব্যাখ্যা কর। (পৃষ্ঠা ৩৫)
অথবা,
আমাদের শরীরে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে কোষের মৃত্যু হয়। সময় মতো মৃত্যু না হলে আমাদের কী সমস্যা হতে পারে? এই ছন্দপতন কেন হয় এবং তা ঠেকানোর জন্য আমাদের কী করণীয়?
কোষ বিভাজনে ছন্দপতনের কারণঃ
- জিনগত ত্রুটি,
- পরিবেশগত কারণ,
- রাসায়নিক পদার্থ,
- ভাইরাস,
- বিকিরণ।
প্রতিরোধের উপায়ঃ
১ জীবনধারাগত পরিবর্তন:
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- ধূমপান ও অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকা
- সময়মতো পর্যাপ্ত ঘুম
- মানসিক চাপ কমানো
২ চিকিৎসা:
- অ্যান্টি-ক্যান্সার ওষুধ
- রেডিওথেরাপি/কেমোথেরাপি
- জিন থেরাপি
৩ প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ:
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
- ক্যান্সারের টিকা গ্রহণ
- জিনগত পরীক্ষা (প্রয়োজনে)
৪ সচেতনতা বৃদ্ধি:
- ক্যান্সার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন
- সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা।
As an Amazon Associate I earn from qualifying purchases.
[…] Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী […]