
এই পোস্টে আমরা অষ্টম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ২য় শিখন অভিজ্ঞতা– সূর্যঘড়ি- সম্পর্কে জানবো।
প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ
*সূর্যকে কাজে লাগানোর উপায় কী?
- সৌর প্যানেল ব্যবহার করে সূর্যের আলোকে বিদ্যুতে রূপান্তর করা।
- সৌর চুলা ব্যবহার করে খাবার রান্না করা।
- সৌর-চালিত পাম্প ব্যবহার করে জল সেচ করা ইত্যাদি।
*খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্য সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটে কেন?
উত্তরঃ খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্য সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটে।বেলা বাড়ার সাথে সাথে ছায়ার দৈর্ঘ্য বেড়েছে, পরে আবার কমে গিয়েছে।এ পরিবর্তনের কারণ সূর্যের অবস্থান আকাশে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। সূর্যের গতি, পৃথিবীর অক্ষের কাত, দিনের বেলা, খুঁটির উচ্চতা এবং ভূখণ্ডের ঢাল – এই সকল কারণ ছায়ার দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের জন্য দায়ী।
৪ ফুট দৈর্ঘ্যের খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনঃ
পর্যবেক্ষনের | সময় | খুঁটির ছায়ার | খুঁটির ছায়ার |
১ | ১০:০০ am | খাড়া | ০ |
২ | ১১:০০ am | পশ্চিমদিকে | ২ |
৩ | ১২:০০ pm | পশ্চিমদিকে | ৪ |
৪ | ০১:০০ pm | পশ্চিমদিকে | ৬ |
৫ | ০২:০০ pm | পশ্চিমদিকে | ৮ |
৬ | ০৩:০০ pm | পশ্চিমদিকে | ১০ |
৭ | ০৪:০০ pm | পশ্চিমদিকে | ১২ |
খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য হওয়ার কারণ কী?
খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য হওয়ার কারণ:
সূর্যের উচ্চতা সারাদিন পরিবর্তিত হয়। সূর্যোদয়ের সময়, সূর্য দিগন্তের কাছাকাছি থাকে এবং ছায়া দীর্ঘ হয়। দুপুরের সময়, সূর্য আকাশে সবচেয়ে উঁচুতে থাকে এবং ছায়া সবচেয়ে ছোট হয়। সূর্যাস্তের সময়, সূর্য আবার দিগন্তের কাছাকাছি চলে আসে এবং ছায়া আবার দীর্ঘ হয়।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশনঃ
চাঁদের উৎপত্তি ঘটনা প্রবাহকে ৩টি ধাপে সাজিয়ে ফ্লো-চার্টঃ
সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদের একটি মডেল বানাতে প্রয়োজনীয় উপকরণ কি কি? এবং এসব উপকরণ বাছাই করার কারণ কি?
উত্তরঃ সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদের মডেল বানাতে প্রয়োজনীয় উপকরণ:
- কার্ডবোর্ড
- বিভিন্ন রঙের কাগজ
- রঙ
- ব্রাশ
- কাঁচি
- স্টিলের তার
- গ্লু
- টেপ ইত্যাদি
- কার্ডবোর্ড: মডেলের ভিত্তি তৈরি করতে।
- কাগজ: মডেলের বিভিন্ন অংশ তৈরি করতে।
- রঙ: মডেলের বিভিন্ন অংশ রঙ করতে।
- ব্রাশ: রঙ লাগানোর জন্য।
- কাঁচি: কাগজ ও কার্ডবোর্ড কাটার জন্য।
- তারঃ কক্ষপথ তৈরির জন্য।
- গ্লু: মডেলের বিভিন্ন অংশ একসাথে লাগানোর জন্য।
- টেপ: মডেলের বিভিন্ন অংশ একসাথে আটকে রাখার জন্য।
সপ্তম,অষ্টম ও নবম সেশনঃ
*তোমাদের বানানো (সূর্য, পৃথিবী,চাঁদ)মডেলে কোন কোন ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছেনা?
হাতে বানানো চাঁদ সূর্য পৃথিবীর অবস্থানের মডেলে বেশ কিছু ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয় না। যেমন-দিন-রাতের দৈর্ঘ্য পরিবর্তন,জোয়ারভাটা,ঋতু পরিবর্তন,চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ ইত্যাদি।
উপরের ঘটনাগুলো কেন তোমাদের মডেলে পর্যবেক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না?
কারণ:
সরলীকরণ: হাতে বানানো মডেলটি বাস্তব জগতের পূর্ণাঙ্গ অনুকরণ নয়, বরং কিছু সরলীকরণের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই সরলীকরণগুলো কিছু ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা অসম্ভব করে তোলে।
আকারের অনুপাত: হাতে বানানো মডেলে, সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবীর আকার বাস্তব অনুপাতে নেই। এর ফলে, কিছু ঘটনা, যেমন চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ, দেখা যায় না।
অক্ষের কাত: হাতে বানানো মডেলে, পৃথিবীর অক্ষের কাত বাস্তব অনুপাতে নেই। এর ফলে, ঋতু পরিবর্তন এবং দিন-রাতের দৈর্ঘ্য পরিবর্তন দেখা যায় না।
মাধ্যাকর্ষণ শক্তি: হাতে বানানো মডেলে, চাঁদ এবং সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বাস্তব অনুপাতে নেই। এর ফলে, জোয়ারভাটা দেখা যায় না।
তোমাদের মডেলে প্রচ্ছায়া এবং উপচ্ছায়া কি পর্যবেক্ষণ করতে পারছ?কোনো সমস্যা হয়েছে কী?শ্রেনিকক্ষে দিনের বেলায় প্রচ্ছায়া পর্যবেক্ষণ করতে কেন অসুবিধা হয়?

প্রচ্ছায়া:
উপচ্ছায়া:
সমস্যা:
দশম ও একাদশ সেশনঃ
*পৃথিবীর কক্ষপথ যদি পুরোপুরি বৃত্তাকার হতো তাহলে অ্যানালেমার আকৃতি কেমন হতো? কেন?
পৃথিবী যদি ২৩.৫ ডিগ্রী হেলে না থেকে একদম খাড়াভাবে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতো তাহলে অ্যানালেমার আকৃতি কেমন হতো যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা কর ।
পৃথিবীর সব দেশ থেকে বছর জুড়ে পর্যবেক্ষণ করলে কি অ্যানালেমার আকৃতি একই রকম হবে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
দ্বাদশ সেশনঃ
*তোমাদের হাতে বানানো সূর্য চাঁদ ও পৃথিবী মডেলে আরো কী ধরনের পরিবর্তন আনলে বিষয়গুলো আরো যৌক্তিক ভাবে ব্যাখ্যা করা যেতো?
- সঠিক আকারের অনুপাত বজায় রাখতে পারলে মডেলটি আরও বাস্তবসম্মত হবে।
- মডেলে ঘূর্ণনের ব্যবস্থা থাকলে, ঋতু পরিবর্তন, দিন ও রাত, চাঁদের দশা পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়গুলো আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।
- সঠিক কক্ষপথ দেখানো হলে, গ্রহণ, ঋতু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়গুলো আরও সহজে বোঝা যাবে।মডেলে আরও কিছু উপাদান যোগ করা যেতে পারে, যেমন: গ্রহ,নক্ষত্র,ছায়াপথ,গ্রহাণু,ধূমকেতু।এই উপাদানগুলো মহাবিশ্ব সম্পর্কে আরও ধারণা দেবে।
তোমাদের বানানো সূর্যঘড়ি কি সারা বছর একই ভাবে কাজ করবে? ব্যাখ্যা কর।
ছায়ার অবস্থান ও দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন কাজে লাগিয়ে আর কি করা যেতে পারে?
কিছু উদাহরণ:
- বস্তুর উচ্চতা নির্ণয়।
- গ্রহের অবস্থান নির্ণয়।
- ছায়ানাটক, ছায়াছবি, ছায়াখেলা ইত্যাদি পরিবেশনা।