
এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ১ম শিখন অভিজ্ঞতা- ফসলের ডাক সম্পর্কে জানবো।
প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ
বৈচিত্র্যময় ছয় ঋতুর বাংলাদেশের মাটিতে ফলে নানা রকম ফল ও সবজি। আমাদের দেশে খরিপ-১, খরিপ-২ ও রবি এ তিন মৌসুমে চাষাবাদ হয়ে থাকে। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়।

কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে ?
উত্তর: ফসলের মৌসুমকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়।
১। রবি মৌসুম: আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস (অক্টোবর’এর মাঝামাঝি থেকে মধ্য মার্চ)
২। খরিপ ১ মৌসুম: ফাল্গুন মাস থেকে আষাঢ় মাস (মার্চ‘এর মাঝামাঝি থেকে জুলাই পর্যন্ত)
৩। খরিপ ২ মৌসুম: আষাঢ় মাস থেকে ভাদ্র মাস (জুলাই ‘এর মাঝামাঝি থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর)।
রবি মৌসুমে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা কম থাকে। বৃষ্টিপাতও কম হয়। এ সময় শীতকালীন শাকসবজি যেমন-ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, লাউ, সীম, টমেটো,বেগুন, আলু, তৈলবীজ, মটরশুঁটি, পেয়াজ ইত্যাদির চাষ করা হয়। এ ছাড়া বোরো ধান, গম, ডাল ও সরিষা রবি মৌসুমে উদপাদিত হয়।
খরিপ -১ এর সময়কালকে গ্রীষ্মকাল ও বলা হয়। এ সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে। মাঝে মাঝে ঝড় বৃষ্টি হয়। এ মৌসুমে আউশ ধান, পটল, কাঁকরোল,পাট, ঢেঁড়শ, করলা, বরবটি, চাল্কুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, সজনে, লাল শাক, মিষ্টিকুমড়া ইত্যাদি ফসলের চাষ হয়। এ মৌসুমে আম, জাম, কাঠাল, লিচু, পেঁপে ইত্যাদি উদপাদিত হয়।
খরিপ-২ এর মৌসুমে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে এ মৌসুমকে বর্ষাকাল বলে। আমন ধান, পানিকচু, ধুন্দল,চাল্কুমড়া, ও বর্ষাকালীন শাকসবজি এ মৌসুমের প্রধান ফসল। জাম্বুরা, তাল, আমলকি, কাঁঠাল, জলপাই এ মৌসুমের প্রধান ফল।
কিভাবে ভালো চারা বাছাই করতে হয়?
ভালো চারাগাছ চেনার বিভিন্ন উপায় বা কৌশল রয়েছে। যেমনঃ
- নার্সারিতে একই জাতের বিভিন্ন চারাগাছ থাকে। কিন্তু সবগুলোর বৃদ্ধি সমান হয় না। তাই যে গাছটির বৃদ্ধি ভালো হয়েছে এমন গাছটি দেখে নিতে হবে।
- চারাগাছ কেনার সময় ভালো করে দেখে নিতে হবে গাছটি রোগাক্রান্ত কি না। যেমন পাতা শুকনো কিনা, কুঁকড়ানো কি না, পাতার উপর নিচে কোনো পোকামাকড় আছে কি না!
- চারাগাছটির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুটের মধ্যে হতে হবে। এ উচ্চতার চারাগাছ সহজে মানিয়ে নিতে পারে।
- চারাগাছ কেনার সময় খেয়াল করতে হবে গাছের গোড়াটা একটু মোটা ও সবল কি না।
- চারাগাছের শিকড় অক্ষত আর চারা যেন থাকে সবুজ ও তাজা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- চারাগাছে ফুল বা ফল ধরা থাকলে সেক্ষেত্রে তা লাগানোর জন্য যথোপযুক্ত নয়।
- চারাগাছের মূল শিকড়কে অবশ্যই খুব যত্ন করে রাখতে হবে,কোনভাবে যেনো কাটা না পড়ে।
- গ্রাফটিং চারা চেনার সহজ উপায় হলো – গাছের গোড়ায় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে দুটো গাছকে কেটে জোরা দেওয়া হয়েছে এবং জোরা দেওয়া স্থানে পলিথিন বা কাপড় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আবার গ্রাফটিংয়ের কিছুটা উপর থেকে যেন গাছের ডালপালা শুরু হয় সেটিও খেয়াল করতে হবে।
- গ্রাফটিং না হলে দেখতে হবে চারাটি গুটিকলমের কি না। গুটিকলম হলেও জাত ভালো হবে। এক্ষেত্রে করণীয় হলো ভালো করে দেখে নেওয়া কলমে শিকড় এসেছে কি না!
- ফুল ফল গাছের চারা কেনার সময় গাছের পাতার উপরিভাগে ভালো করে দেখে নিতে অগ্রমুকুল ঠিক আছে কি না। না হলে নতুন ডাল গজাতে বা পাতা আসতে সময় বেশি নিতে পারে।
মাটি বা পরিবেশের কোন বৈশিষ্টের জন্য কোন ফসল/উদ্ভিদ ভালো জন্মে?
- এঁটেল ও এঁটেল দোআঁশ,নদ-নদীর অববাহিকা ও হাওর-বাঁওড় এলাকা যেখানে | পলি জমে সেখানে ধান ভালাে জন্মে।
- দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি গম চাষের জন্য ভালাে।যে মাটিতে PH (অম্লাত্মক-ক্ষারত্মক) ৬.০ থেকে ৭.০ সেসব মাটিতে গম ভালাে হয় ।
- নদীবাহিত গভীর পলিমাটি পাট চাষের জন্য বিশেষ উপযােগী।
- দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতেও পাট ভালাে হয়।
- উঁচু ও মাঝারি জমিতে দোআঁশ, বেলে দোআঁশ, এঁটেল দোআঁশ এবং পলি দোআঁশ মাটিতে ডাল জন্মে।
- ডাল নিরপেক্ষ বা ক্ষারীয় চুনযুক্ত মাটিতে ভালাে হয়।
- শুষ্ক ও ঠাণ্ডা আবহওয়া এবং অল্প বৃষ্টিপাত ডাল ফসল চাষের জন্য উপযােগী।
- আলু, টমেটো ইত্যাদির জন্যে বেলে দোআঁশ,দোআঁশ মাটি উপযোগী।
-
পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হলে গাজর চাষের ফলন ভালো হয়।
- পোঁকামাকড় এর উপদ্রব কম হলে শিমগাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।
- মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি থাকলে এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হলে শাকসবজি খুব সহজে বেড়ে উঠতে পারে।
- পজলাবদ্ধতামুক্ত জমি হলে, পেঁপে গাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।
- উষ্ণ আবহাওয়া এবং শিলাবৃষ্টি ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হলে আম গাছ খুব দ্রুত বেড়ে উঠে।
- এছাড়াও জৈব পদার্থ এবং সঠিক পরিচর্যা করলে শীতিকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজী চাষ ভালো হয়।
বিবর্তন কাকে বলে?
অভিযোজন কাকে বলে?
আমাদের চারপাশে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় জীবের বৈশিষ্ট্য আলাদা হয় কেন?
আমাদের এলকায় যে উদ্ভিদের ফলন ভালো হয়, কেন অন্য পরিবেশে তা ততো ভালো ফলন দেয় না?
অতিথি শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া গুরুত্বপুর্ণ তথ্যঃ
তোমার |
এদের |
এদের |
অন্যান্য |
তোমার |
|
মাংসাশী |
জলাভূমি, |
খুব |
খাদ্যের |
|
ছোট |
নাতিশীতোষ্ণ |
১। ২। |
পর্যাপ্ত |
|
ফল,মিষ্টি |
মৌচাক |
১। |
পর্যাপ্ত |
|
ছোট |
ঘরের |
১। |
পর্যাপ্ত |
|
|
স্বাদু |
১। |
পর্যাপ্ত |
তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ
হরিপদ কাপালী নতুন ধানের জাত কিভাবে খুজে পেলেন? যে প্রক্রিয়ায় তিনি নতুন ধানের জাত আবিস্কার করলেন তার ধাপ গুলো কি কি?
- সমস্যা নির্বাচন/চিহ্নিতকরণ
- প্রশ্নকরন
- অনুমিত সিদ্ধান্ত
- পরীক্ষণ
- সিদ্ধান্ত গ্রহণ
- ফলাফল প্রকাশ
জীববৈচিত্র্য কাকে বলে?
পৃথিবীতে কত প্রজাতির জীব রয়েছে?
বাস্তুতন্ত্র বা বায়োম কাকে বলে?
জীববৈচিত্র্যের হটস্পট কী?
পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশনঃ

| এক সপ্তাহ পর | দুই সপ্তাহ পর | তিন সপ্তাহ পর | চার সপ্তাহ পর |
কি কি কাজ করেছ | দো-আঁশ মাটির | মাটিভর্তি টবে বেগুণের | আগাছা পরিষ্কার | মাটিতে ইউরিয়া |
নতুন কি কি | চারাগাছের জন্য | চারা রোপন | জমিতে আগাছা | জমিতে সারের |
ফসল/ উদ্ভিদের | × | চারাগাছের | চারাগাছগুলো | বেগুন গাছের |
সহায়তা দানকারী | ইমরান | ইমরান | ইমরান | ইমরান |
. | পাচঁ সপ্তাহ পর | ছয় সপ্তাহ পর | সাত সপ্তাহ পর | আট সপ্তাহ পর |
কি কি কাজ করেছ | টবে পানি | পোকামাকড় দমনের | পুনরায় আগাছা | বেগুন গাছ থেকে কিছু বেগুন তুলেছি |
নতুন কি কি | কখন এবং কতটুকু | টবে কীটনাশক | সার প্রয়োগের | কখন বেগুন ফুল ফোটে এবং কত বড় হলে বেগুন তোলা যাবে। |
ফসল/ উদ্ভিদের | বেগুন গাছের | বেগুন গাছ | বেগুন গাছে ফুল | বেগুন গাছের ফুল |
সহায়তা দানকারী | ইমরান | ইমরান | ইমরান |
বিষুবরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য বেশি কেন?
উত্তর: ভিন্ন ভিন্ন কারণে বিষুবরেখার কাছাকাছি জীববৈচিত্র্য, বা প্রজাতি এবং বাস্তুতন্ত্রের বৈচিত্র্য সাধারণত বেশি হয়। নিচে কয়েকটি কারণ দেয়া হলো:
১. বিষুবরেখায় অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উচ্চ তাপমাত্রা এবং অধিক বৃষ্টিপাত থাকে যা বিস্তৃত প্রজাতির উন্নতির জন্য আদর্শ পরিস্থিতি প্রদান করে।
২. বিষুবরেখার একটি দীর্ঘ ক্রমবর্ধমান ঋতু রয়েছে, যা বছরের বেশিরভাগ সময় গাছপালা বৃদ্ধি এবং প্রজনন করতে দেয়। এটি উদ্ভিদ প্রজাতির বৃহত্তর বৈচিত্র্যের দিকে পরিচালিত করে এবং তারা ইকোসিস্টেমগুলিকে সমর্থন করে।
৩. নিরক্ষীয় অঞ্চলগুলি অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দীর্ঘকাল ধরে রয়েছে এবং তাই প্রজাতির বিকাশ এবং বৈচিত্র্যের জন্য আরও বেশি সময় পেয়েছে।
৪. বিষুবরেখার কাছাকাছি তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের উল্লেখযোগ্য ঋতু পরিবর্তনের অভাব প্রজাতিগুলিকে সারা বছর সক্রিয় থাকতে এবং প্রজনন করতে দেয়, যা বৃহত্তর সামগ্রিক জীববৈচিত্র্যের দিকে পরিচালিত করে।
৫. নিরক্ষীয় অঞ্চলগুলি পাহাড়, রেইনফরেস্ট এবং নদী সহ জটিল টপোগ্রাফি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যা বিভিন্ন প্রজাতির বসবাসের জন্য বিভিন্ন ধরনের আবাসস্থল প্রদান করে।
৬.সারাবছরই এখানে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পাওয়া যায়। তাই এখানে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া খুব ভালো হয় এবং অঙ্কুরোদগমও সহজ হয়। সেই কারণে এখানে বহুপ্রজাতি এবং বহুসংখ্যার উদ্ভিদ সমাবেশ দেখা যায়।
৭. এখানে বহু প্রজাতির জীবের একত্র সহবস্থান লক্ষ করা যায়। তা ছাড়া এক একটি প্রজাতির জীবের সংখ্যাও অনেক বেশি। সেই সমস্ত প্রজাতির মধ্যে মিলনের মাত্রাও বেশি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জীববৈচিত্র্য অনেক বেশি।
বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষনের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আলোকপাত কর।
উত্তর: বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষনের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে হা হলো:
- ১। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সরকার দেশের বনাঞ্চলের কিছু অংশ সংরক্ষিত এলাকা হিসেব ঘোষণা করেছে।
- ২। প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ আহরণ বন্ধ করা হয়েছে।
- ৩। মানুষ সৃষ্ট বনায়নের পুরাতন গাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
- ৪। বন্যপ্রাণী নিধন ও পাচার রোধে নতুন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৈরি করা হয়েছে।