এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৫ম অধ্যায়, অদৃশ্য প্রতিবেশী সম্পর্কে জানবো।
অদৃশ্য প্রতিবেশী কী? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৯)
উত্তর : আমাদের চারপাশে এমনকি আমাদের দেহে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য অণুজীব, যাদেরকে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না। এরাই হচ্ছে অদৃশ্য অণুজীব। যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, এন্টামিবা, ছত্রাক, শৈবাল ইত্যাদি। আমাদের চারপাশের দৃশ্যমান অনেক প্রতিবেশীর পাশাপাশি এরাও আমাদের জীবনকে ঘিরে রেখেছে। অনেক অণুজীব যেমনি আমাদের ক্ষতি করছে, তেমনি কিছু কিছু অণুজীব আমাদের উপকারও করছে।
কাজ–প্রথম সেশন শুরুর আগেই তোমাদের একটা কাজ করতে হবে। আগের সেশন শেষেই তোমরা এলাকাভিত্তিক জোড়ায়/দলে বিভক্ত হবার জন্য তোমাদের বাড়ির ঠিকানা লিখে জমা দাও। শিক্ষকের সহায়তায় তোমরা এলাকাভিত্তিক কয়েকটি জোড়ায়/দলে বিভক্ত হবে। প্রত্যেকটি জোড়া/দলের একটি করে সুন্দর নাম দেবে। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৯)
এখন কাজ হলো তোমাদের এলাকায় কী কী সংক্রামক রোগ আছে সেগুলো খুঁজে বের করা। তোমাদের এলাকায় কী কী সংক্রামক রোগবালাই দেখা যায়? কী কী কারণে এসব রোগ ছড়ায়? কী কী করলে এসব রোগ থেকে দূরে থাকা যায়? আপাতত এই তথ্যগুলো জোগাড় করতে হবে তোমার চারপাশ থেকেই। তোমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে, বাবা-মা বা আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বা পাড়া- প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করতে পারো।
উত্তর : আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ দেখা যায়। যেমন- ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, টাইফয়েড, যক্ষ্মা, হাম, গুটিবসন্ত, সোয়াইনফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ইবোলা, জলাতঙ্ক, কোভিড-১৯ ইত্যাদি।
উত্তর : যেসকল কারণে সংক্রামক রোগ ছড়ায়, যেমন- জীবাণুযুক্ত দূষিত পানি, বায়ু দূষণ, হাঁচি-কাশি সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত প্লেট, গ্লাস, চেয়ার-টেবিল, টয়লেট, জামাকাপড় ইত্যাদির মাধ্যমে, মশার কামড়, কুকুরের কামড়, ইত্যাদি।
উত্তর : যেসব কাজ করলে সংক্রামক রোগ থেকে দূরে থাকা যায় তা হলো-
যেমন- সুষম খাদ্য গ্রহণ করা, নিরাপদ পানি ব্যবহার করা এবং হাত জীবাণুমুক্ত রাখা। এছাড়া ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকা, চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। বাড়ির আশপাশে পানি জমতে পারে এমন আবর্জনা যেমন- কৌটা, টায়ার, ফুলের টব ইত্যাদি পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ, এখানে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া রোগের বাহক মশা ডিম পাড়ে। প্রয়োজনীয় টিকা নিয়ে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করেও আমরা রোগমুক্ত থাকতে পারি।
জোড়া/দলের নামঃ মেঘনা | ||||
এলাকার ঠিকানাঃ | ||||
সংক্রামক | এই সংক্রামক | কোন অণুজীব | এই সংক্রামক | কিভাবে এই সংক্রামক |
কলেরা | ১২ | ব্যাকটেরিয়া | ডায়রিয়া, জলশূন্যতা,জ্বর,খিঁচুনি,কোমা। | ১. জীবাণুমুক্ত অথবা ফোটানো জল পান করা ২. পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য বিধি ৩.ঠান্ডা পানীতে বরফ খাওয়া বন্ধ করা। ৪. সবজী ভালোভাবে রান্না করা এবং গরম খাবার ৫. কাঁচা ফল, শাকসবজি, মাছ অথবা মাংস না খাওয়া। ৬. কলেরার টিকা গ্রহন করা। ৭. চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। |
কোভিড-১৯ | ৫৫০ | ভাইরাস | ১.জ্বর,সর্দি-কাশি,গলাব্যাথা। ২. শরীরে ব্যাথা ও যন্ত্রনা, ক্লান্তি। ৩. ডায়রিয়া ৪. স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারানো। | ১. শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা। ২. কাশি, শ্বাসকষ্ট বা অবসাদের মতো কোনো উপসর্গ আছে চেক করা। ৩. অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করা। ৪. সর্বদা মাস্ক পরিধান করা। ৫. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। ৬. সরকার কর্তৃক বিনামূল্যের করোনা টিকা ৭. নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা। |
হাম | ২০ | ভাইরাস | ১. শরীরে ছোট ছোট, লালচে গুটি দেখা যায়। ২. জ্বর,চোখ লাল হওয়া। ৩. চোখ এবং নাক দিয়ে পানি পরা। ৪. হাঁচি ও কাশি হতে পারে। ৫. শিশুদের খাবারে অরুচি এবং দূর্বলতা। | হাম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আক্রান্ত রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে। হামে একটু পর পর ভেজা তোয়ালে/গামছা বা নরম কাপড় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে, রোগীর বেশি জ্বর হলে বমি হতে পারে। তবে এতে |
গুটিবসন্ত | ৪০ | ভাইরাস | জ্বর, মাথাব্যাথা,গলাব্যাথা, | পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, টিকা গ্রহণ করা, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা, পরিবারের সকলের মধ্যে এই রোগ সম্পর্কে |
জোড়া/দলের নামঃ মেঘনা | |||||
এলাকার ঠিকানাঃ | |||||
সংক্রামক | এই সংক্রামক | কোন অণুজীব | এই সংক্রামক | কিভাবে এই সংক্রামক | এই সংক্রামক |
কলেরা | ১২ | ব্যাকটেরিয়া | ডায়রিয়া,জলশূন্যতা,জ্বর,খিঁচুনি,কোমা। | ১. জীবাণুমুক্ত অথবা ২. পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা ৩.ঠান্ডা পানীতে বরফ ৪. সবজী ভালোভাবে ৫. কাঁচা ফল, শাকসবজি, মাছ অথবা মাংস না ৬. কলেরার টিকা গ্রহন ৭. চিকিৎসকের শরণাপন্ন | সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য |
কোভিড-১৯ | ৫৫০ | ভাইরাস | ১.জ্বর,সর্দি-কাশি,গলাব্যাথা। ২. শরীরে ব্যাথা ও যন্ত্রনা, ক্লান্তি। ৩. ডায়রিয়া ৪. স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারানো। | ১. শরীরের তাপমাত্রা ২. কাশি, শ্বাসকষ্ট বা অবসাদের মতো কোনো উপসর্গ আছে কিনা চেক করা। ৩. অক্সিজেনের মাত্রা ৪. সর্বদা মাস্ক পরিধান ৫. সামাজিক দূরত্ব বজায় ৬. সরকার কর্তৃক ৭. নিয়মিত ডাক্তারের | সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য হাঁচি কাশির সময় |
হাম | ২০ | ভাইরাস | ১. শরীরে ছোট ছোট, লালচে গুটি দেখা যায়। ২. জ্বর,চোখ লাল হওয়া। ৩. চোখ এবং নাক দিয়ে পানি পরা। ৪. হাঁচি ও কাশি হতে পারে। ৫. শিশুদের খাবারে অরুচি এবং দূর্বলতা। | হাম হলে অবশ্যই আক্রান্ত রোগী পুরোপুরি একটু পর পর ভেজা সামাজিক দূরত্ব মেনে | সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য হাঁচি কাশির সময় |
গুটিবসন্ত | ৪০ | ভাইরাস | জ্বর, মাথাব্যাথা,গলাব্যাথা, স্বাসযন্ত্রের উপরের অংশে প্রদাহ | পুষ্টিকর ও সুষম খাবার
| সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য হাঁচি কাশির সময় |
As an Amazon Associate I earn from qualifying purchases.
Craving a taste of the Hawaiian islands? Look no further than Zippy's Macaroni Salad Recipe,…
Is your kitchen lacking a touch of comfort and nostalgia? You've found it! This blog…
আমরা ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান-অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়ে আলোচিত "রোধ, জল, বৃষ্টি"-শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন…
এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয়ের ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা গতির খেলা সম্পর্কে। প্রথম, দ্বিতীয় ও…
এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৭ম অধ্যায়,ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম সম্পর্কে জানবো। প্রথম ও…
এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়,হরেক রকম খেলনার মেলা সম্পর্কে জানবো।প্রথম…