
আমরা ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান-অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়ে আলোচিত “রোধ, জল, বৃষ্টি“-শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গতি, বেগের পরিমাপ , ত্বরণ, বল, ঘর্ষণ বল ইত্যাদি সম্পর্কে জানবো
প্রথম সেশনঃ
তারিখ ও বার | যেভাবে আবহাওয়া বুঝি, যেমন আকাশের রঙ,রোধ,বৃষ্টি,গরম,বাতাসের | ||||
সকাল ৭ টা | দুপুর ১ টা | বিকেল ৪ টা | সন্ধ্যা ৬ টা | রাত ৯ টা | |
১/৫/২৩ সোমবার | রোদ্রজ্জ্বল,মৃদু | কিছুটা মেঘলা, | রোদ্রোজ্জ্বল, | পরিষ্কার | পরিষ্কার |
২/৫/২৩ মঙ্গলবার | রোদ্রোজ্জ্বল,মৃদু | রোদ্রোজ্জ্বল, | রোদ্রোজ্জ্বল, | পরিষ্কার | পরিষ্কার |
৩/৫/২৩ বুধবার | রোদ্রজ্জ্বল,মৃদু | আকাশ হালকা | মেঘে ঢাকা, | মেঘে ঢাকা আকাশ,শীতল | আকাশ মেঘে ঢাকা,বাতাসের |
৪/৫/২৩ বৃহস্পতিবার | হালকা রোদ, | মেঘাচ্ছন্ন | বৃষ্টি,বাতাস | গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, | আকাশে মেঘ |
৫/৫/২৩ শুক্রবার | মেঘে ঢাকা | বাতাস নেঈ, অন্ধকার | ভীষণ অন্ধকার,বাতাস | বৃষ্টি, হালকা | আকাশে হালকা |
৬/৫/২৩ শনিবার | রোদ উঠেছে, | রোদ্রোজ্জ্বল, | রোদ্রোজ্জ্বল, | পরিচ্ছন্ন | আকাশে মেঘ |
৭/৫/২৩ রবিবার | রোদ উঠেছে, | ঘনমেঘে ঢাকা,গরম | ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে | বজ্রসহ বৃষ্টি | বৃষ্টি, ধীরগতির |
রেডিও ও টেলিভিশনের খবর এবং পত্রিকা থেকেও এই এক সপ্তাহের আবহাওয়ার বিভিন্ন তথ্য নিচের ছক-২ এ নোট করি।
তারিখ ও বার | তথ্যের উৎস রেডিও/টেলিভিশিন/পত্রিকা ইত্যাদি | তাপমাত্রা | বায়ুর আর্দ্রতা | আকাশের অবস্থা | ঘূর্ণিঝড়/বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা | মন্তব্য |
১/৫/২৩ সোমবার | পত্রিকা | ২৯° সে. | ৭০% | রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা | নেই | সুন্দর দিন |
২/৫/২৩ মঙ্গলবার | পত্রিকা | ২৮.৫° সে. | ৯২% | মেঘাচ্ছন্ন | আছে | মেঘলা আকাশ, |
৩/৫/২৩ বুধবার | পত্রিকা | ২৯° সে. | ৭২% | রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা | নেই | সুন্দর দিন |
৪/৫/২৩ বৃহস্পতিবার | পত্রিকা | ৩০° সে. | ৮৫% | মেঘে ঢাকা | গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি | ঠান্ডা আবহাওয়া |
৫/৫/২৩ শুক্রবার | পত্রিকা | ৩০° সে. | ৯৩% | মেঘে ঢাকা | ভারি বর্ষন | সুন্দর দিন |
৬/৫/২৩ শনিবার | পত্রিকা | ৩০° সে. | ৭৫% | রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা | বৃষ্টির কোনো | সুন্দর দিন |
৭/৫/২৩ রবিবার | পত্রিকা | ৩০.৫° সে. | ৯৩% | ঘন মেঘে ঢাকা | বজ্রপাতসহ বৃষ্টি | বেশ শীতল আবহাওয়া |
প্রাসঙ্গিক কিছু প্রশ্নঃ
দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে আবহাওয়া কী একই রকম থাকে? ব্যাখ্যা করো।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনঃ
পরীক্ষার নাম: বায়ু প্রবাহের দিক নির্ণয়( উইন্ডভেন তৈরি)
প্রয়োজনীয় সামগ্রী: কাগজ, কলম, অনুশীলন বই, অনুসন্ধানী পাঠ, পরীক্ষণ সামগ্রী (পরীক্ষণ কার্যক্রমের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে)।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- শক্ত বাঁশের কঞ্চি
- পিন বা লৌহ শলাকা
- প্লাস্টিকের শক্ত স্ট্র বা পাইপ
- শক্ত কাগজ বা কাগজের পাতলা কার্ডবোর্ড
- ছুরি
কার্যপ্রণালিঃ
- শক্ত বাঁশের কঞ্চিকে মসৃণ করে কেটে নিই। চিকন লম্বা কাঠির মতো করে এর শীর্ষে বা মাথায় একটি লম্বা, সৰ্ব পিন প্রবেশ করাই।
- পিন কাঠির ভিতরে প্রবেশ করানোর পূর্বে শত্রু প্লাস্টিকের পাইপ আড়াআড়ি শলাকায় গেঁথে দিই।
- প্লাস্টিকের পাইপের এক মাথায় শক্ত কাগজ বা কাগজের পাতলা কার্ডবোর্ড কেটে দিক নির্দেশক তীর যুক্ত করি।
- এবার কোনো উঁচু বিল্ডিং এর খোলা ছাদে অথবা বিস্তৃত খোলা মাঠে তৈরি করা (উইন্ডভেন) বাঁশের কঞ্চিটি পুঁতে দিই। দেখা যাবে বাতাস যেদিকে বইছে তীর চিহ্ন সেদিকে মুখ করে আছে।
সতর্কতা: প্লাস্টিকের পাইপটি যাতে খুব সহজেই ঘুরতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখি।
পরীক্ষার নাম: বায়ুচাপের পরীক্ষা

কার্যপ্রণালিঃ
চতুর্থ ও পঞ্চম সেশনঃ
গত এক সপ্তাহের আবহাওয়ার তথ্যগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করি। এ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্যাটার্ন বোঝার চেষ্টা করি।
এই প্যাটার্ন অনুসারে পরবর্তী এক সপ্তাহের আবহাওয়ার পূর্বাভাস তৈরি করি।
তৈরি করা আবহাওয়ার পূর্বাভাসের সারসংক্ষেপ অনুশীলন বইয়ের নির্দিষ্ট ছকে টুকে রাখি।
তারিখ ও বার | তাপমাত্রা | বায়ুর আর্দ্রতা | আকাশের অবস্থা | ঘূর্ণিঝড়/বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা | মন্তব্য |
৮/৫/২৩ সোমবার | ৩০.৫° সে. | ৭০% | রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা | নেই | গরম অনুভূত হতে পারে |
৯/৫/২৩ মঙ্গলবার | ৩১° সে. | ৯২% | মেঘাচ্ছন্ন | আছে | মেঘলা আকাশ, |
১০/৫/২৩ বুধবার | ৩১° সে. | ৭২% | রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা | নেই | সুন্দর দিন,গরম অনুভূত হতে পারে |
১১/৫/২৩ বৃহস্পতিবার | ৩১.৫° সে. | ৮৫% | মেঘে ঢাকা | গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি | ঠান্ডা আবহাওয়া,তাপমাত্রা কমে যেতে পারে |
১২/৫/২৩ শুক্রবার | ২৯° সে. | ৯৩% | মেঘে ঢাকা | ভারি বর্ষন | সুন্দর দিন,তাপমাত্রা কমে যেতে পারে |
১৩/৫/২৩ শনিবার | ৩০° সে. | ৭৫% | রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা | বৃষ্টির কোনো | সুন্দর দিন, ,গরম অনুভূত হতে পারে |
১৪/৫/২৩ রবিবার | ২৮.৫° সে. | ৯৩% | ঘন মেঘে ঢাকা | বজ্রপাতসহ বৃষ্টি | বেশ শীতল আবহাওয়া,তাপমাত্রা কমে যেতে পারে |
১. আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলতে কী বোঝায়?
প্রশ্ন-২. আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আবহাওয়ার পূর্বাভাস কীভাবে সাহায্য করে?
ষষ্ঠ,সপ্তম ও অষ্টম সেশনঃ
|
সেলসিয়াস স্কেলে পাঁচ বছরের গড় তাপমাত্রা |
||
|
বিশ শতকের শুরুতে |
বিশ শতকের মাঝামাঝি |
একবিংশ শতকের |
বাংলাদেশ |
২৫.০১ ডিগ্রি |
২৫.১৭ ডিগ্রি |
২৫.৭২ ডিগ্রি |
মালদ্বীপ |
২৭.৬৩ ডিগ্রি |
২৭.৫৪ ডিগ্রি |
২৭.৮৫ ডিগ্রি |
আইসল্যান্ড |
১.২২ ডিগ্রি |
১.৭২ ডিগ্রি |
২.২৮ ডিগ্রি |
এই তিনটি দেশের আবহাওয়া সময়ের সাথে পরিবর্তন ঘটেছে কি না |
হ্য, তিনটি দেশের আবহাওয়া সময়ের সাথে পরিবর্তন ঘটেছে। |
পরিবর্তনের মধ্যে কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছ কি না |
তিনটি দেশের গড় তাপমাত্রা সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে |
জলবায়ু পরিবর্তনের বড় নির্দেশক হলো তাপমাত্রার পরিবর্তন। এখন তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণ এবং বায়ুমণ্ডলের তাপ ধরে রাখার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে একটি পরীক্ষা করি।
পরীক্ষার নাম: গ্রিনহাউস ইফেক্টের কারণ অনুসন্ধান।
|
তাপমাত্রা |
প্রথম জার |
৩১.৪ ডিগ্রি |
দ্বিতীয় জার |
৩২.৫ ডিগ্রি |
তৃতীয় জার |
৩২.৪ ডিগ্রি |
তিনটি জারকেই আধাঘণ্টা রোদে রেখে দাও। আধাঘণ্টা পরে তিনটি জারেরই ভেতরে থাকা থার্মোমিটারের তাপমাত্রার মান রেকর্ড করো নিচের ছকে-
|
আধাঘন্টা পর তাপমাত্রা |
প্রথম জার |
৩১.৪ ডিগ্রি |
দ্বিতীয় জার |
৩৫.৬ ডিগ্রি |
তৃতীয় জার |
৩৭.৪ ডিগ্রি |
|
আধাঘন্টা পর তাপমাত্রা |
পরিবর্তন হয়ে থাকলে তার কারণ কী? |
প্রথম জার |
৩১.৪ ডিগ্রি |
প্রথম জারের মুখ খোলা থাকায় তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। |
দ্বিতীয় জার |
৩৫.৬ ডিগ্রি |
সূর্যালোক যখন জারের মধ্যে প্রবেশ করে তখন তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট থাকে এবং তা প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় তরঙ্গদৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়, ফলে জারের দেওয়াল অতিক্রম করার সময় বাধার সম্মুখীন হয় এবং পুনরায় ফিরে এসে জারের ভিতরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে প্রথম জার অপেক্ষা দ্বিতীয় জারের তাপমাত্রা বেশি হয়।এক্ষেত্রে গ্রিনহাউজ প্রক্রিয়া ঘটে। |
তৃতীয় জার |
৩৭.৪ ডিগ্রি |
তৃতীয় জারের মুখও বন্ধ থাকায় দ্বিতীয় জারের মতো গ্রিনহাউস প্রক্রিয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি ভেজা টিস্যু থেকে নির্গত জলীয় বাষ্প তাপ ধারণ করে গ্রিনহাউস গ্যাসের ন্যায় কাজ করায় এক্ষেত্রে তাপমাত্রা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। |
মানুষের যেসব কাজের জন্য গ্রিনহাউস গ্যাস বেড়ে যায় স্কুলে বা বাড়িতে আসা যাওয়ার পথে সেগুলো খেয়াল করি।গ্রিনহাউজ গ্যাস বৃদ্ধির সাথে এসব কাজের সম্পর্ক অনুশীলন বইয়ের নির্দিষ্ট ছকে লিখে ফেলি।
আমরা এমন কী কী করছি যাতে বাতাসে গ্রিনহাউজ গ্যাস বেড়ে যায়? |
এই কাজের সাথে গ্রিন হাউস গ্যাস বাড়ার সম্পর্ক কী? |
বৃক্ষনিধন ও বন উজাড় |
এর ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে |
অতিরিক্ত জ্বালানী (তেল/গ্যাস/কয়লা) পোড়ানো |
এর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড ও নাইট্রাস অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে |
কৃষি জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার |
নাইট্রোজেন যুক্ত সার নাইট্রাস অক্সাইডে পরিণত হয়ে বাতাসে ছড়িয়ে পরে |
রেফ্রিজারেটর/এসি/ফোমের ব্যবহার |
এই যন্ত্রপাতিগুলো থেকে CFC গ্যাস নির্গত হয় যা গ্রিনহাউস ইফেক্ট তৈরী করে কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় ২৩০০০ গুণ বেশি |
জৈব বস্তুর পচনে বায়ুমন্ডলে মিথেন গ্যাস নির্গত হওয়া |
উদ্ভিদ ও প্রাণীর তথা জৈব বস্তুর পচনে নির্গত মিথেন গ্যাস গ্রিনহাউস ইফেক্ট তৈরী করে |
বাড়ির কাজঃ
পানির ফোটা দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরের অবস্থা |
অ্যাসিড/ভিনেগার/লেবুর রসের ফোঁটা দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরের অবস্থা |
পাতার রঙ একই রকম আছে |
পাতাটি বিবর্ণ হয়ে গেছে |
কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্নঃ
নবম সেশনঃ
আমাদের যে পাঁচটি কাজের জন্য বাতাসে গ্রিনহাউজ গ্যাস বেড়ে যায়? |
কিভাবে এর সমধান করা সম্ভব? |
বৃক্ষনিধন ও বন উজাড় |
বৃক্ষরোপন কর্মসূচী জোরদার করতে হবে |
অতিরিক্ত জ্বালানী (তেল/গ্যাস/কয়লা) পোড়ানো |
জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং জ্বালানীর অপচয় রোধ করতে হবে |
কৃষি জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার |
বিজ্ঞানসম্মত ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে কৃষিজমিতে সার ব্যবহার করতে হবে |
রেফ্রিজারেটর/এসি/ফোমের ব্যবহার |
এই ধরণের যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমাতে হবে |
জৈব বস্তুর পচনে বায়ুমন্ডলে মিথেন গ্যাস নির্গত হওয়া |
মিথেন গ্যাস অবমুক্ত হওয়ার ব্যাপারে অধিক সচেতন হতে হবে |
প্রশ্ন-১. অ্যাসিড বৃষ্টি কী?
উত্তর: বৃষ্টির পানির সাথে অ্যাসিড (সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড প্রভৃতি) বা অ্যাসিড জাতীয় উপাদান মিশ্রিত থাকলে তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে।
প্রশ্ন-২. অ্যাসিড বৃষ্টি কেন হয়?
উত্তর: মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে সালফার ও নাইট্রোজেনের অক্সাইড উৎপন্ন হয়। এগুলো অক্সিজেন, জলীয়বাষ্প/পানি কণার সাথে বিক্রিয়া করে সালফিউরিক অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে যা বৃষ্টির পানির সাথে মিশে অ্যাসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করে। অর্থাৎ, মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলেই মূলত অ্যাসিড বৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন-৩. অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে উদ্ভিদসহ জীববৈচিত্র্যের উপর সংঘটিত প্রভাব বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: উদ্ভিদসহ জীববৈচিত্র্যের উপর অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাব হলো:
i. উদ্ভিদের পাতায় ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।
ii. অনেক ক্ষেত্রে বনভূমি ধ্বংসের সম্মুখীন হয়।
iii. জলজ পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হয়।
iv. মানুষের বিভিন্ন চর্মরোগ হতে পারে।
প্রশ্ন-৪. অ্যাসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব রোধে আমরা কী কী করতে পারি?
উত্তর: অ্যাসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব রোধে আমরা নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি-
- সালফারযুক্ত জ্বালানির ব্যবহার যথাসম্ভব কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে পারি।
- বিভিন্ন যানবাহন এবং ভারী যন্ত্রপাতি চালাতে নিম্ন সালফারযুক্ত জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করা।
- ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে গণপরিবহনের ব্যবহার বৃদ্ধি করা।
- শিল্পকারখানা থেকে নির্গত গ্যাস থেকে সালফার অপসারণ করার পর বায়ুমণ্ডলে নির্গমন করা।
পরিকল্পনামাফিক কাজের বাস্তবায়নে সৃষ্ট অনুভূতি
কার্যক্রম-১
তোমাদের দলের পরিকল্পনা কী ছিল? পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তোমার অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
উত্তরঃ
(i) দলের পরিকল্পনা ছিল জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পিছনের কারণ বের করা এবং পারলে তা সমাধানের উপায় খোজা।
(ii) বাতাসে বিভিন্ন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া বেড়ে যাচ্ছে। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ভয়ঙ্কর ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কার্যক্রম-২
কোনো চ্যালেঞ্জে কি পড়েছো? চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তোমার দল কী উদ্যোগ নিয়েছে?
উত্তরঃ
এ রকম গুরুত্বপূর্ণ কোনো সমস্যা সমাধানে কিছু বাধা তৈরি হতে পারে। এজন্য প্রথমে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন-
- সবাইকে শেখানোর মাধ্যমে সচেতন করা।
- ছোট ছোট পরীক্ষণের মাধ্যমে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার ভয়াবহতা বোঝানো।
- অল্প করে কাজ ভাগ করে নিয়ে তা নিজেদের মধ্যে শেষ করা।
কার্যক্রম-৩
জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট হয় এমন আর কোনো বিষয় কি তোমার চোখে পড়েছে? এর সমাধানে কী করা যায় বলে তুমি মনে করো?
উত্তরঃ
মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে জলবায়ুর উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। বড় বড় কল-কারখানা নদীর তীরবর্তী স্থাপিত হওয়ায় নদী ও তার আশপাশের পরিবেশ নষ্ট করছে যা জলবায়ুর উপর প্রভাব ফেলে। এর সমাধানে সচেতন হতে হবে। আর যেসব কাজ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তার বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে হবে। সব কাজ কতটা পরিবেশবান্ধব কাজটি করার আগে সেটি খতিয়ে দেখতে হবে।