• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar
  • Skip to footer

Kitchen Academy

Unleash your culinary potential at Kitchen Academy. Learn essential skills, discover delicious vegetable recipes, and explore all things kitchen

  • Home
  • Recipes
  • Education
    • class 6
      • বিজ্ঞান class 6
    • Class 7
      • বিজ্ঞান class 7
    • Class 8
      • বিজ্ঞান class 8
    • class 9
      • বিজ্ঞান class 9

Class 7

রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

রোধ, জল, বৃষ্টি

আমরা ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান-অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়ে আলোচিত “রোধ, জল, বৃষ্টি“-শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের গতি, বেগের পরিমাপ , ত্বরণ, বল, ঘর্ষণ বল ইত্যাদি সম্পর্কে জানবো

প্রথম সেশনঃ

কাজের ধারা-১
আমার প্রিয় দিন কোনটি তা ভাবি এবং ঐ দিনের একটি ছবি আঁকি।
বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে দেখি আমার প্রিয় দিনের সাথে তাদের প্রিয় দিন মিলে যায় কিনা।
 
কাজের ধারা-২
এক সপ্তাহ বাসায় কাজ করি
 
এক সপ্তাহ একটু খেয়াল করে দেখি আমাদের আবহাওয়া কীভাবে দিনের বিভিন্ন সময়ে পাল্টাতে থাকে! খোলা পরিবেশে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে ছক-১ এ পর্যবেক্ষণের সময়, তাপমাত্রার ধারণা, গরমের অনুভূতি কেমন, আকাশের অবস্থা, বৃষ্টির সম্ভাবনা ইত্যাদি সম্পর্কে মন্তব্য লিখে রাখি।
 
ছক-১

তারিখ ও বার

যেভাবে আবহাওয়া বুঝি, যেমন আকাশের রঙ,রোধ,বৃষ্টি,গরম,বাতাসের
গতি,ইত্যাদির নোট রাখো নিচের সময়গুলোতে

সকাল  ৭ টা

দুপুর ১ টা

বিকেল ৪ টা

সন্ধ্যা ৬ টা

রাত  ৯ টা

১/৫/২৩ সোমবার

রোদ্রজ্জ্বল,মৃদু
শীতল বাতাস

কিছুটা মেঘলা,
বেশ বাতাস বইছে

রোদ্রোজ্জ্বল,
বাতাসের গতি কিছুটা কম

পরিষ্কার
আকাশ,বেশ আর্দ্র,শীতল বাতাস

পরিষ্কার
আকাশ, আর্দ্রতা আরো বেড়েছে,বাতাসের গতি সামান্য কমেছে

২/৫/২৩ মঙ্গলবার

রোদ্রোজ্জ্বল,মৃদু
শীতল বাতাস,বেশ আর্দ্র

রোদ্রোজ্জ্বল,
কিছুটা ঠান্ডা বাতাস বইছে

রোদ্রোজ্জ্বল,
বাতাসের গতি কিছুটা কম,ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে

পরিষ্কার
আকাশ,বেশ আর্দ্র,শীতল বাতাস

পরিষ্কার
আকাশ, আর্দ্রতা আরো বেড়েছে,বাতাসের গতি সামান্য কমেছে

৩/৫/২৩ বুধবার

রোদ্রজ্জ্বল,মৃদু
শীতল বাতাস

আকাশ হালকা
মেহে ডাকা, গরম

মেঘে ঢাকা,
বাতাস নেই

মেঘে ঢাকা আকাশ,শীতল
বাতাস

আকাশ মেঘে ঢাকা,বাতাসের
গতি দৃঢ়

৪/৫/২৩ বৃহস্পতিবার

হালকা রোদ,
আর্দ্রতা বেশী

মেঘাচ্ছন্ন
আকাশ, হালকা বাতাস

বৃষ্টি,বাতাস
বইছে

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি,
শীতল বাতাস

আকাশে মেঘ
নেই,বাতাসের গতি কমেছে

৫/৫/২৩ শুক্রবার

মেঘে ঢাকা
আকাশ, হালকা বাতাস

বাতাস নেঈ, অন্ধকার
আকাশ

ভীষণ অন্ধকার,বাতাস
নেই,বৃষ্টি

বৃষ্টি, হালকা
বাতাস

আকাশে হালকা
মেঘ, বাতাস বইছে

৬/৫/২৩ শনিবার

রোদ উঠেছে,
বাতাস নেই

রোদ্রোজ্জ্বল,
বাতাস নেই

রোদ্রোজ্জ্বল,
হালকা মেঘ

পরিচ্ছন্ন
আকাশ,বাতাস নেই

আকাশে মেঘ
নেই,বাতাসের গতি কমেছে

৭/৫/২৩ রবিবার

রোদ উঠেছে,
বাতাস নেই

ঘনমেঘে ঢাকা,গরম

ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে
অবস্থা

বজ্রসহ বৃষ্টি

বৃষ্টি, ধীরগতির
বাতাস বইছে

রেডিও ও টেলিভিশনের খবর এবং পত্রিকা থেকেও এই এক সপ্তাহের আবহাওয়ার বিভিন্ন তথ্য নিচের ছক-২ এ নোট করি।

 
ছক-২

তারিখ ও বার

তথ্যের উৎস রেডিও/টেলিভিশিন/পত্রিকা ইত্যাদি

তাপমাত্রা

বায়ুর আর্দ্রতা

আকাশের অবস্থা

ঘূর্ণিঝড়/বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

মন্তব্য

১/৫/২৩ সোমবার

পত্রিকা

২৯° সে.

৭০%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

নেই

সুন্দর দিন

২/৫/২৩ মঙ্গলবার

পত্রিকা

২৮.৫° সে.

৯২%

মেঘাচ্ছন্ন

আছে

মেঘলা আকাশ,
স্যাঁতস্যাঁতে

৩/৫/২৩ বুধবার

পত্রিকা

২৯° সে.

৭২%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

নেই

সুন্দর দিন

৪/৫/২৩ বৃহস্পতিবার

পত্রিকা

৩০° সে.

৮৫%

মেঘে ঢাকা
সূর্য

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

ঠান্ডা আবহাওয়া

৫/৫/২৩ শুক্রবার

পত্রিকা

৩০° সে.

৯৩%

মেঘে ঢাকা
সূর্য

ভারি বর্ষন

সুন্দর দিন

৬/৫/২৩ শনিবার

পত্রিকা

৩০° সে.

৭৫%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

বৃষ্টির কোনো
সম্ভাবনা নেই

সুন্দর দিন

৭/৫/২৩ রবিবার

পত্রিকা

৩০.৫° সে.

৯৩%

ঘন মেঘে ঢাকা
আকাশ

বজ্রপাতসহ বৃষ্টি

বেশ শীতল আবহাওয়া

প্রাসঙ্গিক কিছু প্রশ্নঃ

দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে আবহাওয়া কী একই রকম থাকে? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কোনো এলাকার স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলের সার্বিক অবস্থাকে সে এলাকার আবহাওয়া বলে। সাধারণত দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে আবহাওয়া একই রকম থাকে না। কারণ আবহাওয়া মূলত বায়ুচাপ, তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আর্দ্রতার পার্থক্যের কারণে ঘটে। সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা ও রাতে সূর্যের তাপমাত্রা একই রকম থাকে না। এই কারণে আর্দ্রতা ও বায়ুমণ্ডলীয় চাপের পরিবর্তন ঘটে। তাই  আবহাওয়াও একই রকম থাকে না।
 
প্রশ্ন-২: দিনের কোন সময়ের আকাশ তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের?
উত্তর: সকাল বেলার আকাশ আমার কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের।  খুব সকালে সূর্যের তাপ কম থাকে এবং সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি পৃথিবীতে পৌছায় না। সকালের বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণা তেমন থাকে না। এই কারণে আমরা বায়ুমণ্ডলে থেকে পরিষ্কার অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারি।
সকালের বায়ুমণ্ডল দূষণমুক্ত থাকে। আর দূষণযুক্ত থাকলেও অতি অল্প পরিমাণে থাকে। দূষণমুক্ত থাকে বলেই আমরা সকালের আকাশ অনেক পরিষ্কার ও স্বচ্ছ দেখতে পাই। এসব কারণে সকালের আকাশ আমার কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের।
 
প্রশ্ন-৩: দিনের আকাশে তোমরা কী কী পরিবর্তন দেখতে পাও?
উত্তর: দিনের আকাশে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখতে পাই। তা নিম্নে দেওয়া হলো-
i. তাপমাত্রার পার্থক্য হয়।
ii. কখনো রোদ, কখনো মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ বা অন্ধকার আকাশ দেখতে পাই।
iii. কখনো কখনো বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত হতে দেখতে পাই।
iv. কোনো কোনো দিন  সূর্যগ্রহণের মতো ঘটনা লক্ষ করা যায়।
 
প্রশ্ন-৪: আবহাওয়া কী কী কারণে দিনের বিভিন্ন সময়ে পাল্টাতে থাকে?
উত্তর: আবহাওয়া যেসব কারণে দিনের বিভিন্ন সময়ে পাল্টাতে থাকে তা নিম্নে দেওয়া হলো-
i. সূর্যালোকের প্রভাবে।
ii. বৃষ্টিপাতের কারণে।
iii. বায়ুর চাপের তারতম্যের কারণে।
iv. বাতাসের আর্দ্রতার পার্থক্যের কারণে।
v. নির্দিষ্ট স্থানে বিভিন্ন সময়ে সূর্যরশ্মির আপতিত হবার কোণের ভিন্নতার কারণে।
vi. বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণের ভিন্নতার কারণে।
 
প্রশ্ন-৫. দিনের বিভিন্ন সময় তাপমাত্রার কীরূপ পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর: দিনের বিভিন্ন সময়ে তাপমাত্রা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধি শুরু হয়। সময় যত গড়াতে থাকে, রোদের প্রভাবে তাপমাত্রা তত বাড়তে থাকে, গরমের অনুভূতিও বৃদ্ধি পায়। সূর্যাস্ত হবার পরে তাপমাত্রা ধীরেধীরে   কমতে শুরু করে। এই সময়ে পৃথিবীপৃষ্ঠ সারাদিনের শোষিত তাপ বিকিরণ করা শুরু করে বলে তাপমাত্রার পরিবর্তন একটু ধীরগতির হয়, গরমের অনুভূতিও ধীরে ধীরে কমতে থাকে। দেখা যায় যে মধ্যরাতে বা ভোররাতে গরমের অনুভূতি কম, ঠান্ডার অনুভূতি বেশি হয়। এভাবে দিনের বিভিন্ন সময় তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে।
 
প্রশ্ন-৬. আবহাওয়ার খবর পরিবেশন করার সময় সাধারণত কোন তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়ে থাকে?
উত্তর: কোনো স্থানের আবহাওয়ার খবর পরিবেশন করতে হলে সাধারণত সাতটি তথ্য উপস্থাপন করা হয়। যথা: কোনো অঞ্চলের বায়ুচাপ তথা ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা, পরবর্তী দিনের তাপমাত্রার পূর্বাভাস, বাতাসের গতি ও দিক, আপেক্ষিক আর্দ্রতা, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
গতির খেলা- ষষ্ঠ শ্রেণী

দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনঃ

পরীক্ষার নাম: বায়ু প্রবাহের দিক নির্ণয়( উইন্ডভেন তৈরি)

প্রয়োজনীয় সামগ্রী: কাগজ, কলম, অনুশীলন বই, অনুসন্ধানী পাঠ, পরীক্ষণ সামগ্রী (পরীক্ষণ কার্যক্রমের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে)।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃরোধ,জল,বৃষ্টি

  • শক্ত বাঁশের কঞ্চি
  • পিন বা লৌহ শলাকা
  • প্লাস্টিকের শক্ত স্ট্র বা পাইপ
  • শক্ত কাগজ বা কাগজের পাতলা কার্ডবোর্ড
  •  ছুরি

কার্যপ্রণালিঃ

  • শক্ত বাঁশের কঞ্চিকে মসৃণ করে কেটে নিই। চিকন লম্বা কাঠির মতো করে এর শীর্ষে বা মাথায় একটি লম্বা, সৰ্ব পিন প্রবেশ করাই।
  • পিন কাঠির ভিতরে প্রবেশ করানোর পূর্বে শত্রু প্লাস্টিকের পাইপ আড়াআড়ি শলাকায় গেঁথে দিই।
  • প্লাস্টিকের পাইপের এক মাথায় শক্ত কাগজ বা কাগজের পাতলা কার্ডবোর্ড কেটে দিক নির্দেশক তীর যুক্ত করি।
  • এবার কোনো উঁচু বিল্ডিং এর খোলা ছাদে অথবা বিস্তৃত খোলা মাঠে তৈরি করা (উইন্ডভেন) বাঁশের কঞ্চিটি পুঁতে দিই। দেখা যাবে বাতাস যেদিকে বইছে তীর চিহ্ন সেদিকে মুখ করে আছে।

সতর্কতা: প্লাস্টিকের পাইপটি যাতে খুব সহজেই ঘুরতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখি।

 

 

পরীক্ষার নাম: বায়ুচাপের পরীক্ষা

 
তত্ত্ব: ভূপৃষ্ঠের উপরস্থ যেকোনো বস্তু বা স্থানের উপর বায়ুমণ্ডল একক ক্ষেত্রফলে যে চাপ প্রয়োগ করে সেটাই বায়ুচাপ।
 
উপকরণ: গ্লাস, পানি, শক্ত কাগজ বা কাগজের কার্ডবোর্ড।রোদ্র,জল,বৃষ্টি
 

কার্যপ্রণালিঃ

i. একটি গ্লাস কানায় কানায় পানি দিয়ে পূর্ণ করি।’
ii. গ্লাসের মুখের উপর একটি শক্ত কাগজ বা কাগজের কার্ডবোর্ড আটকাই বা হাত দিয়ে চেপে ধরি।
iii. এবার দ্রুততার সাথে গ্লাসটি উল্টাই।
 
পর্যবেক্ষণ: পানিসহ গ্লাসটি উল্টে থাকা সত্ত্বেও পানি পড়ছে না।
 
সিদ্ধান্ত: বায়ু সবদিক থেকে সমান চাপ দেয়। 
 
বায়ুর তাপমাত্রা কী?
উত্তর: বায়ুর উষ্ণতার পরিমাপকে বায়ুর তাপমাত্রা বলা হয়।
 
 বায়ুপ্রবাহ কী?
উত্তর: চাপের পার্থক্যের জন্য বায়ু সর্বদা উচ্চ চাপের স্থান থেকে নিম্নচাপের স্থানে প্রবাহিত হয়। ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে বায়ুর এ চলাচলকে বায়ুপ্রবাহ বলে।
 
প্রশ্ন-৩. বায়ুচাপ কী?
উত্তর: ভূপৃষ্ঠের উপরস্থ যেকোনো বস্তু বা স্থানের উপর বায়ুমণ্ডল একক ক্ষেত্রফলে যে চাপ প্রয়োগ করে তা-ই হলো বায়ুচাপ।
 
প্রশ্ন-৪. বায়ু প্রবাহের দিক কীসের সাহায্যে নির্ণয় করা যায়?
উত্তর: উইন্ড ভেন যন্ত্রের সাহায্যে।
 
বায়ুর আর্দ্রতা কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো স্থানের বায়ুর একক আয়তনে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণকে ঐ স্থানের বায়ুর আর্দ্রতা বলে।
 
প্রশ্ন-৬. বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: কোনো স্থানের একক ক্ষেত্রফলে নির্দিষ্ট  সময়ে (সাধারণত ২৪ ঘণ্টা) সংগৃহীত বৃষ্টির পানির উচ্চতাকে ঐ স্থানের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বলা হয়।
আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
অদৃশ্য প্রতিবেশী- সপ্তম শ্রেণী
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী

চতুর্থ ও পঞ্চম সেশনঃ

গত এক সপ্তাহের আবহাওয়ার তথ্যগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করি। এ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্যাটার্ন বোঝার চেষ্টা করি।

এই প্যাটার্ন অনুসারে পরবর্তী এক সপ্তাহের আবহাওয়ার পূর্বাভাস তৈরি করি।

তৈরি করা আবহাওয়ার পূর্বাভাসের সারসংক্ষেপ অনুশীলন বইয়ের নির্দিষ্ট ছকে টুকে রাখি।

তারিখ ও বার

তাপমাত্রা

বায়ুর আর্দ্রতা

আকাশের অবস্থা

ঘূর্ণিঝড়/বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

মন্তব্য

৮/৫/২৩ সোমবার

৩০.৫° সে.

৭০%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

নেই

গরম অনুভূত হতে পারে

৯/৫/২৩ মঙ্গলবার

৩১° সে.

৯২%

মেঘাচ্ছন্ন

আছে

মেঘলা আকাশ,
স্যাঁতস্যাঁতে,বৃষ্টি হতে পারে

১০/৫/২৩ বুধবার

৩১° সে.

৭২%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

নেই

সুন্দর দিন,গরম অনুভূত হতে পারে

১১/৫/২৩ বৃহস্পতিবার

৩১.৫° সে.

৮৫%

মেঘে ঢাকা
সূর্য

গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

ঠান্ডা আবহাওয়া,তাপমাত্রা কমে যেতে পারে

১২/৫/২৩ শুক্রবার

২৯° সে.

৯৩%

মেঘে ঢাকা
সূর্য

ভারি বর্ষন

সুন্দর দিন,তাপমাত্রা কমে যেতে পারে

১৩/৫/২৩ শনিবার

৩০° সে.

৭৫%

রোদ্রোজ্জ্বল,হালকা
মেঘ

বৃষ্টির কোনো
সম্ভাবনা নেই

সুন্দর দিন, ,গরম অনুভূত হতে পারে

১৪/৫/২৩ রবিবার

২৮.৫° সে.

৯৩%

ঘন মেঘে ঢাকা
আকাশ

বজ্রপাতসহ বৃষ্টি

বেশ শীতল আবহাওয়া,তাপমাত্রা কমে যেতে পারে

১. আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের একটি নির্দিষ্ট সময় পর আবহাওয়ার অবস্থা কীরূপ হতে পারে তা অনুমান করাকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলে।
 

প্রশ্ন-২. আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আবহাওয়ার পূর্বাভাস কীভাবে সাহায্য করে?

উত্তর: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আবহাওয়ার পূর্বাভাস নানাভাবে সাহায্য করে। যেমন-
i. কোন দিন কেমন ধরনের কাপড় পরা আরামদায়ক হবে তা জানতে পারি।
ii. বাইরে বের হতে হলে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি।
iii. আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী জেলেরা মাছ ধরার প্রস্তুতি নেয়।
iv. আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান ও আকাশ যান চলাচল করে।
এভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মকে প্রভাবিত করে।
আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
অদৃশ্য প্রতিবেশী- সপ্তম শ্রেণী

ষষ্ঠ,সপ্তম ও অষ্টম সেশনঃ

 
 

 

সেলসিয়াস স্কেলে পাঁচ বছরের গড় তাপমাত্রা

বিশ শতকের শুরুতে

বিশ শতকের মাঝামাঝি

একবিংশ শতকের
শুরুতে

বাংলাদেশ

২৫.০১ ডিগ্রি

২৫.১৭ ডিগ্রি

২৫.৭২ ডিগ্রি

মালদ্বীপ

২৭.৬৩ ডিগ্রি

২৭.৫৪ ডিগ্রি

২৭.৮৫ ডিগ্রি

আইসল্যান্ড

১.২২ ডিগ্রি

১.৭২ ডিগ্রি

২.২৮ ডিগ্রি

এই তিনটি দেশের আবহাওয়া সময়ের সাথে পরিবর্তন ঘটেছে কি না

হ্য, তিনটি দেশের আবহাওয়া সময়ের সাথে পরিবর্তন ঘটেছে।

পরিবর্তনের মধ্যে কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছ কি না

তিনটি দেশের গড় তাপমাত্রা সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে

জলবায়ু পরিবর্তনের বড় নির্দেশক হলো তাপমাত্রার পরিবর্তন। এখন তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণ এবং বায়ুমণ্ডলের তাপ ধরে রাখার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে একটি পরীক্ষা করি।

 

পরীক্ষার নাম: গ্রিনহাউস ইফেক্টের কারণ অনুসন্ধান।

 
উপকরণ: তিনটি ঢাকনাসহ কাচের জার/ কাচের বোতল, তিনটি থার্মোমিটার (থার্মোমিটারটি যেন কাচের জার বা কাচের বোতলে প্রবেশ করানো যায়।)
 
কার্যক্রম-১:
কার্যপ্রণালি: তিনটি কাচের জার পরিষ্কার করে খোলা স্থানে সূর্যালোকে (রোদে) রেখে সেলসিয়াস থার্মোমিটার দিয়ে জারের ভিতরের বায়ুর তাপমাত্রা মেপে নিই। এরপর তিনটি জারের ভিতরের বায়ুর তাপমাত্রার ছকে নোট করি।
 

 

তাপমাত্রা

প্রথম জার

৩১.৪ ডিগ্রি

দ্বিতীয় জার

৩২.৫ ডিগ্রি

তৃতীয় জার

৩২.৪ ডিগ্রি

তিনটি জারকেই আধাঘণ্টা রোদে রেখে দাও। আধাঘণ্টা পরে তিনটি জারেরই ভেতরে থাকা থার্মোমিটারের তাপমাত্রার মান রেকর্ড করো নিচের ছকে-

 

আধাঘন্টা পর তাপমাত্রা

প্রথম জার

৩১.৪ ডিগ্রি

দ্বিতীয় জার

৩৫.৬ ডিগ্রি

তৃতীয় জার

৩৭.৪ ডিগ্রি

 

আধাঘন্টা পর তাপমাত্রা

পরিবর্তন হয়ে থাকলে তার কারণ কী?

প্রথম জার

৩১.৪ ডিগ্রি

প্রথম জারের মুখ খোলা থাকায় তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

দ্বিতীয় জার

৩৫.৬ ডিগ্রি

সূর্যালোক যখন জারের মধ্যে প্রবেশ করে তখন তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট  থাকে এবং তা প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় তরঙ্গদৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়, ফলে জারের দেওয়াল অতিক্রম করার সময় বাধার সম্মুখীন হয় এবং পুনরায় ফিরে এসে জারের ভিতরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে প্রথম জার অপেক্ষা দ্বিতীয় জারের তাপমাত্রা বেশি হয়।এক্ষেত্রে গ্রিনহাউজ প্রক্রিয়া ঘটে।

তৃতীয় জার

৩৭.৪ ডিগ্রি

তৃতীয় জারের মুখও বন্ধ থাকায় দ্বিতীয় জারের মতো গ্রিনহাউস প্রক্রিয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি ভেজা টিস্যু থেকে নির্গত জলীয় বাষ্প তাপ ধারণ করে গ্রিনহাউস গ্যাসের ন্যায় কাজ করায় এক্ষেত্রে তাপমাত্রা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

মানুষের যেসব কাজের জন্য গ্রিনহাউস গ্যাস বেড়ে যায় স্কুলে বা বাড়িতে আসা যাওয়ার পথে সেগুলো খেয়াল করি।গ্রিনহাউজ গ্যাস বৃদ্ধির সাথে এসব কাজের সম্পর্ক অনুশীলন বইয়ের নির্দিষ্ট ছকে লিখে ফেলি।

আমরা এমন কী কী করছি যাতে বাতাসে গ্রিনহাউজ গ্যাস বেড়ে যায়?

এই কাজের সাথে গ্রিন হাউস গ্যাস বাড়ার সম্পর্ক কী?

বৃক্ষনিধন ও বন উজাড়

এর ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে

অতিরিক্ত জ্বালানী (তেল/গ্যাস/কয়লা) পোড়ানো

এর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড ও নাইট্রাস অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে

কৃষি জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার

নাইট্রোজেন যুক্ত সার নাইট্রাস অক্সাইডে পরিণত হয়ে বাতাসে ছড়িয়ে পরে

রেফ্রিজারেটর/এসি/ফোমের ব্যবহার

এই যন্ত্রপাতিগুলো থেকে CFC গ্যাস নির্গত হয় যা গ্রিনহাউস ইফেক্ট তৈরী করে কার্বন ডাই অক্সাইডের তুলনায় ২৩০০০ গুণ বেশি

জৈব বস্তুর পচনে বায়ুমন্ডলে মিথেন গ্যাস নির্গত হওয়া

উদ্ভিদ ও প্রাণীর তথা জৈব বস্তুর পচনে নির্গত মিথেন গ্যাস গ্রিনহাউস ইফেক্ট তৈরী করে

 

বাড়ির কাজঃ

পানির ফোটা দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরের অবস্থা

অ্যাসিড/ভিনেগার/লেবুর রসের ফোঁটা দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরের অবস্থা

পাতার রঙ একই রকম আছে

পাতাটি বিবর্ণ হয়ে গেছে

কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্নঃ

জলবায়ু কী?
কোন এলাকার একটি লম্বা, নির্দিষ্ট সময়ের গড় আবহাওয়াকে ঐ এলাকার জলবায়ু বলে। তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত জলবায়ু বিষয়ে জানার প্রধান দুইটি উপাদান।

প্রশ্ন-২. পৃথিবীজুড়ে জলবায়ুর পরিবর্তনের পক্ষে প্রমাণ কী?
উত্তর: পৃথিবীজুড়ে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রধানত দুটি নির্দেশক রয়েছে।- যথা: গড় তাপমাত্রা ও গড় বৃষ্টিপাত। বিভিন্ন সময়ের পৃথিবীব্যাপী গড় তাপমাত্রা ও গড় বৃষ্টিপাত পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে পৃথিবীর সর্বত্র তাপমাত্রা বাড়ছে। ফলে বৃষ্টিপ্রবণ এলাকাগুলোতে অতিবৃষ্টি এবং খরাপ্রবণ এলাকাগুলোতে তীব্র খরা দেখা যাচ্ছে। এ সকল তথ্য উপাত্ত থেকে পৃথিবীজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের পক্ষে প্রমাণ উত্থাপন করা যায়।

প্রশ্ন-৩. গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর নাম লেখো।
উত্তর: জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) মিথেন (CH4) নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O), ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন ওজোন গ্যাস (O3) , ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC)। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে কার্বন ডাইঅক্সাইড এর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।

প্রশ্ন-৪. গ্রিনহাউস ইফেক্ট কী?
উত্তর : সূর্য থেকে আসা তাপশক্তিকে আটকে রেখে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার প্রতিক্রিয়াকে গ্রিনহাউস ইফেক্ট বা প্রতিক্রিয়া বলে। গ্রিনহাউস ইফেক্ট বলতে মূলত তাপ আটকে রেখে পৃথিবীর সার্বিক তাপমাত্রার বৃদ্ধিকে বোঝায়।

প্রশ্ন-৫. বিশ্ব উষ্ণায়ন কী?
বিশ্ব উষ্ণায়ন বলতে বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রার ক্রমান্বয় বৃদ্ধিকে বোঝানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাকেই বলা হয় বিশ্ব উষ্ণায়ন।

প্রশ্ন-৬. গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো কি আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়? কেন?
উত্তর: গ্রিনহাউস গ্যাস তাপমাত্রা ধরে রেখে বায়ু তথা পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। কিন্তু মনে রাখতে হবে বায়ুমণ্ডলের গ্যাসগুলো আমাদের জন্য প্রয়োজনীয়। স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে গ্যাসগুলোর পরিমাণ বেড়ে গেলেই কেবল তা ক্ষতিকর। জলীয়বাষ্প, মিথেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসগুলো বায়ুমণ্ডলে না থাকলে বা কমে গেলে বাতাস তাপ ধরে রাখতে পারত না। এতে প্রচন্ড শীতে কেবল আমরা নয় সমগ্র প্রাণিজগতই কাবু হয়ে যেত।
এছাড়া আমরা জানি কার্বন ডাইঅক্সাইডের সাহায্যে গাছ খাদ্য তৈরি করে এবং এ খাদ্যই সমগ্র প্রাণিজগতে খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে সরবরাহ হয়। জলীয়বাষ্প সৃষ্টি না হলে বৃষ্টিও হতো না। বৃষ্টির অভাবে সমগ্র পৃথিবী মরুময় হয়ে যেত, থাকত না কোনো গাছপালা। সুতরাং সঠিক মাত্রায় গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো ক্ষতিকর নয় বরং এগুলো বায়ুমণ্ডলে মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলেই তা জীব ও পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।

নবম সেশনঃ

আমাদের যে পাঁচটি কাজের জন্য বাতাসে গ্রিনহাউজ গ্যাস বেড়ে যায়?

কিভাবে এর সমধান করা সম্ভব?

বৃক্ষনিধন ও বন উজাড়

বৃক্ষরোপন কর্মসূচী জোরদার করতে হবে

অতিরিক্ত জ্বালানী (তেল/গ্যাস/কয়লা) পোড়ানো

জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং জ্বালানীর অপচয় রোধ করতে হবে

কৃষি জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার

বিজ্ঞানসম্মত ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে কৃষিজমিতে সার ব্যবহার করতে হবে

রেফ্রিজারেটর/এসি/ফোমের ব্যবহার

এই ধরণের যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমাতে হবে

জৈব বস্তুর পচনে বায়ুমন্ডলে মিথেন গ্যাস নির্গত হওয়া

মিথেন গ্যাস অবমুক্ত হওয়ার ব্যাপারে অধিক সচেতন হতে হবে

প্রশ্ন-১. অ্যাসিড বৃষ্টি কী?

উত্তর: বৃষ্টির পানির সাথে অ্যাসিড (সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড প্রভৃতি) বা অ্যাসিড জাতীয় উপাদান মিশ্রিত থাকলে তাকে অ্যাসিড বৃষ্টি বলে।

প্রশ্ন-২. অ্যাসিড বৃষ্টি কেন হয়?

উত্তর: মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে সালফার ও নাইট্রোজেনের অক্সাইড উৎপন্ন হয়। এগুলো অক্সিজেন, জলীয়বাষ্প/পানি কণার সাথে বিক্রিয়া করে সালফিউরিক অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে যা বৃষ্টির পানির সাথে মিশে অ্যাসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করে। অর্থাৎ, মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলেই মূলত অ্যাসিড বৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-৩. অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে উদ্ভিদসহ জীববৈচিত্র্যের উপর সংঘটিত প্রভাব বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: উদ্ভিদসহ জীববৈচিত্র্যের উপর অ্যাসিড বৃষ্টির প্রভাব হলো:

i. উদ্ভিদের পাতায় ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।

ii. অনেক ক্ষেত্রে বনভূমি ধ্বংসের সম্মুখীন হয়।

iii. জলজ পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হয়।

iv. মানুষের বিভিন্ন চর্মরোগ হতে পারে।

প্রশ্ন-৪. অ্যাসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব রোধে আমরা কী কী করতে পারি?

উত্তর: অ্যাসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব রোধে আমরা নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি-

  • সালফারযুক্ত জ্বালানির ব্যবহার যথাসম্ভব কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে পারি।
  • বিভিন্ন যানবাহন এবং ভারী যন্ত্রপাতি চালাতে নিম্ন সালফারযুক্ত জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করা।
  • ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার কমিয়ে গণপরিবহনের ব্যবহার বৃদ্ধি করা।
  • শিল্পকারখানা থেকে নির্গত গ্যাস থেকে সালফার অপসারণ করার পর বায়ুমণ্ডলে নির্গমন করা।

পরিকল্পনামাফিক কাজের বাস্তবায়নে সৃষ্ট অনুভূতি

কার্যক্রম-১

তোমাদের দলের পরিকল্পনা কী ছিল? পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তোমার অভিজ্ঞতা কেমন হলো?

উত্তরঃ

(i) দলের পরিকল্পনা ছিল জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পিছনের কারণ বের করা এবং পারলে তা সমাধানের উপায় খোজা।

(ii) বাতাসে বিভিন্ন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া বেড়ে যাচ্ছে। বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ভয়ঙ্কর ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কার্যক্রম-২

কোনো চ্যালেঞ্জে কি পড়েছো? চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তোমার দল কী উদ্যোগ নিয়েছে?

উত্তরঃ

এ রকম গুরুত্বপূর্ণ কোনো সমস্যা সমাধানে কিছু বাধা তৈরি হতে পারে। এজন্য প্রথমে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। যেমন-

  • সবাইকে শেখানোর মাধ্যমে সচেতন করা।
  • ছোট ছোট পরীক্ষণের মাধ্যমে গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার ভয়াবহতা বোঝানো।
  • অল্প করে কাজ ভাগ করে নিয়ে তা নিজেদের মধ্যে শেষ করা।

কার্যক্রম-৩

জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট হয় এমন আর কোনো বিষয় কি তোমার চোখে পড়েছে? এর সমাধানে কী করা যায় বলে তুমি মনে করো?

উত্তরঃ

মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে জলবায়ুর উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। বড় বড় কল-কারখানা নদীর তীরবর্তী স্থাপিত হওয়ায় নদী ও তার আশপাশের পরিবেশ নষ্ট করছে যা জলবায়ুর উপর প্রভাব ফেলে। এর সমাধানে সচেতন হতে হবে। আর যেসব কাজ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তার বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে হবে। সব কাজ কতটা পরিবেশবান্ধব কাজটি করার আগে সেটি খতিয়ে দেখতে হবে।

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7

ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৭ম অধ্যায়,ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম  সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

                                          দলের নামঃ মেঘনা

নির্বাচিত জীবের নাম (যে কোনো প্রাণি/গাছ)

এদের আবাসস্থল কেমন?

এরা কীভাবে বেড়ে ঊঠেছে?

এরা টিকে থাকতে কী কী মোকাবেলা করে?

এদের খাদ্য কী?

পাখি

গাছপালার উঁচু শাখা–প্রশাখা, বাসাবাড়ির কার্ণিশ, খাঁচা ইত্যাদি জায়গায় খড় কুটা দিয়ে বাসা তৈরি করে বাস করে।

জন্মের পর মায়ের মুখ থেকে খাবার খায়, বড় হলে নিজের খাবার নিজে সংগ্রহ করে এবং মুক্তভাবে বেড়ে উঠেছে।

বিভিন্ন ধরনেরপ্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন– ঘূর্ণিঝড়,বন্যা, বাসস্থান ধ্বংস, খাদ্য সংকট, শিকারি ইত্যাদিমোকাবেলা করে টিকে থাকে।

শস্যদানা, কীটপতঙ্গ,ছোটমাছ ইত্যাদি প্রধান খাদ্য।

আমগাছ

উঁচু, আলো– বাতাসপূর্ণ পমি,বাড়ির আঙিনা ইত্যাদি জায়গায় এদের আবাসস্থল

যৌন ও অযৌন প্রজননের মাধ্যমে বংশধর নতুন সৃষ্টি করে এবং নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করে বেড়ে উঠেছে।

প্রাকৃতি দুযোর্গ, কীটপতঙ্গ, নদী–ভাঙন,নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংসইত্যাদি মোকাবেলা করে টিকে থাকে।

খনিজ, পানি, পুষ্টি, শর্করা জাতীয় খাদ্য ইত্যাদি।

তেলাপোকা

এরা অন্ধকারাচ্ছন্ন,স্যতস্যতে
পরিবেশ যেমন-খাটের নিচে,টেবিলের নিছে,কাটের স্তুপের নিচে ইত্যাদি স্থানে বেশী দেখা
যায়

এরা যৌন প্রজননের মাধ্যমে বংশধর  সৃষ্টি করে।

প্রায় যে
কোনো পরিবেশে এরা টিকে থাকতে পারে।

হাতের
তালুর চামড়া,আঙ্গুলের অগ্রভাগ,মাংস,সব্জি,বিভিন্ন ধরণের ময়লা আবর্জনা।

গরু

শুষ্ক, উঁচু স্থানএবং আলো– বাতাস গোয়ালঘর

জন্মের পর মায়ের দুধ পান করে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে খড়, কুঁড়া, খৈল, ঘাস, লতাপাতাইত্যাদি খেয়েবেড়ে উঠেছে।

বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিকদুর্যোগ যেমন– বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তীব্র খরা ইত্যাদি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ মোকাবেলা করে টিকে থাকে।

ছোট গাভীর ক্ষেত্রে খড়, (দুধ), খৈল, ঘাস, কুঁড়া, লতাপাতা, পানি ইত্যাদি।

 

জীবদের বেঁচে থাকতে কী কী শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া চালু রাখতে হয় তুমি কী অনুমান করতে পারো?উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কী একই?

জীবের বেঁচে থাকার জন্য বেশ কিছু শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া চালু রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করতে পারি।যেমন খাদ্য গ্রহন,পরিপাক,চলন, রেচন,শ্বসন,বৃদ্ধি ও বিকাশ, জনন, ইত্যাদি। 
 
উদ্ভিদের ক্ষেত্রেও উপরে বর্ণিত শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলো জীবিত থাকার জন্য প্রয়োজনীয়। তবে, উদ্ভিদের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ প্রক্রিয়াও রয়েছে যা প্রাণীর ক্ষেত্রে নেই, যেমন: সালোকসংশ্লেষণ,অভিস্রবন,প্রস্বেদন ইত্যাদি।
 

মানুষের সাথে উদ্ভিদের খাদ্যগ্রহন ও শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়া তুলনা কর।

খাদ্য গ্রহনঃ

বৈশিষ্ট্য

মানুষ

উদ্ভিদ

খাদ্যের উৎস

অন্যান্য জীব

সালোকসংশ্লেষণ

খাদ্য
গ্রহনের প্রক্রিয়া

খাওয়া

পাতা দিয়ে শোষন

প্রধান খাদ্য
উপাদান

প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট,চর্বি

কার্বোহাইড্রেট
(গ্লুকোজ)

পরিপাক
ক্রিয়া

জটিল

সহজ

শ্বাস-প্রশ্বাসঃ

বৈশিষ্ট্য

মানুষ

উদ্ভিদ

শ্বাস-প্রশ্বাসের
অঙ্গ

ফুসফুস

রন্দ্র

গ্রহনকৃত
গ্যাস

অক্সিজেন

কার্বন ডাই অক্সাইড

ত্যাগকৃত
গ্যাস

কার্বন ডাই অক্সাইড

অক্সিজেন

শ্বাস-প্রশ্বাসের
প্রক্রিয়া

শ্বাস-প্রশ্বাস

বায়ু পরিবহন

শ্বসন প্রক্রিয়া

কোষীয় শ্বসন

কোষীয় শ্বসন

পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী
সূর্যালোকে রান্না- সপ্তম শ্রেণী
অদৃশ্য প্রতিবেশী- সপ্তম শ্রেণী

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ

বদ্ধ টেরারিয়াম (Terrarium) কিভাবে তৈরি করা হয়?

কাজের নাম : বদ্ধ টেরারিয়াম (Terrarium) তৈরি। 

ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়ামপ্রয়োজনীয় উপকরণ : কাচের জার/প্লাস্টিকের বোয়ম, পাথরকুচি, মাটি, মাটির হাঁড়ি ভাঙা, হাড়ের গুঁড়া, কয়লা, মশারির নেট, পানি, মস, আগাছা জাতীয় গুল্ম, শেওলা।

কাজের ধারা :

১. প্রথমে প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ সংগ্রহ করে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নাও। কাচের জার/প্লাস্টিকের বয়াম ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে যাতে ছত্রাক সংক্রমণ না থাকে।

২. কাচের জার/প্লাস্টিকের বয়াম এর নিচে অল্প মাটির হাঁড়ি ভাঙ্গা দাও। মাটির হাঁড়ি ভাঙা, ভালো পানি ধারণ করতে পারে যা টেরারিয়াম (Terrarium) এর আর্দ্রতা বজায় রাখবে।

৩. এবার মাটির হাঁড়ি ভাঙার উপর কিছু পরিমাণ পাথরকুচি দিয়ে দাও।

৪. এরপর তারের জালি/মশারির নেট পাথরকুচির উপর বিছিয়ে দাও। তারের জালি/মশারির নেটের সুবিধা হচ্ছে উপরের মাটি নিচে যেতে পারে না।

৫. তারের জালি/মশারির নেটের উপর আরো কিছু পাথরকুচি বিছিয়ে দিয়ে তার উপর কয়লা গুড়া দাও, যাতে পাতলা একটি স্তর তৈরি হয়।

৬. কয়লা গুঁড়ার পাতলা স্তরের উপর মাটি এমনভাবে দাও, যেন এ স্তরটি একটু পুরু হয়।

৭. টেরারিয়াম (Terrarium) এর সৌন্দর্যের জন্য একটি/দুটি ছোট পাথর, ছোট মরা কাঠের টুকরা সাজিয়ে দাও। এবার কয়েকটি ছোট থানকুনি গাছ মাটিসহ খুব সাবধানে লাগিয়ে দাও। তোমরা চাইলে তোমাদের পছন্দের গাছ লাগাতে পারো।

৮. পুরনো দেওয়াল বা মাটি থেকে সাবধানে মসের আস্তর সংগ্রহ করে টেরারিয়াম (Terrarium) এর উপরিভাগের বাকি ফাঁকা স্থানে বিছিয়ে দাও।

৯. সবশেষে পানি দেবার পালা, সাবধানে পানি এমনভাবে স্প্রে করতে হবে যেন টেরারিয়াম (Terrarium) এর উপরিভাগ ভিজে যায়। ২০ মিনিট পর আবার পানি স্প্রে করে নাও। এবার কাচের জার/প্লাস্টিকের বোয়মের ঢাকনা, ভালোভাবে আটকে দাও।

১০. বেশ! তৈরি হয়ে গেল বদ্ধ টেরারিয়াম (Terrarium)। এটিকে আলোযুক্ত ছায়ায় সংরক্ষণ করতে হবে তবে খেয়াল রাখতে হবে সূর্যের আলো যেন সরাসরি না লাগে।

কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী
ফসলের ডাক- সপ্তম শ্রেণী
হরেক রকম খেলনার মেলা-সপ্তম শ্রেণী

৫ম ও ৬ষ্ঠ সেশনঃ

                                                   ছক-২

টেরারিয়াম এর কোন পরিবর্তন দেখছ?

 উদ্ভিদগুলোকে
কেমন দেখলে ?

উদ্ভিদের পাতার রঙ কেমন দেখছ?

বদ্ধ টেরারিয়াম এর উদ্ভিদ টিকে থাকার কারণ কী কী?

টেরারিয়ামের সংরক্ষণের অবস্থা মোটামুটি সঠিক ছিল। টেরারিয়ামের গ্লাসটি ছিল স্বচ্ছ। সূর্যের আলোর ক্ষতি থেকে বাঁচতে এটিকে আলোযুক্ত ছায়ায় সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

টেরারিয়ামের উদ্ভিদগুলো আকারে ছোট ছিল এগুলো দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। যেমন– থানকুনি, মস, শেওলা, বনসাই, ক্যাকটাস ইত্যাদি

উদ্ভিদগুলো আকারে ছোট এবং এদের পাতাগুলোও ছোট ছোট। অধিকাংশ উদ্ভিদের পাতার রঙ সবুজ হলেও কিছু উদ্ভিদের পাতার রঙ রঙিন। যেমন– লাল, কমলা, হলুদ, বেগুনি ইত্যাদি।

বদ্ধ টেরারিয়াম আলোযুক্ত ছায়ায় সংরক্ষণ করতে হয়। অর্থাৎ সূর্যের আলো সরাসরি লাগানো যাবে না। খেয়াল রাখতে হবে যেমন উদ্ভিদ নিজদেহে পানি সংরক্ষণ করতে পারে সেসব উদ্ভিদ নির্বাচন করতে হবে। এ ধরনের টেরারিয়াম ঢাকনা দ্বারা আটকানো থাকে, ঢাকনা সপ্তাহে একবার খুললেই হয়। যখন বানানো হয় এর ভেতরেই নিজস্ব ইকোসিস্টেম তৈরি হওয়ার কারণে এটি বন্ধ অবস্থাতেও ভালোভাবে টিকে থাকে। যেমন: মস ফার্ন, ক্যকটাস ইত্যাদি।

                                             ছক-৩

প্রশ্ন

তোমাদের উত্তর

বদ্ধ টেরারিয়াম (Terrarium) এ উদ্ভিদ কিভাবে
খাদ্য তৈরী করে?

বদ্ধ টেরারিয়ামের পরিবেশ থাকে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও আর্দ্র। এটি বদ্ধ থাকার জন্য ভিতরেই পানি চক্র বিদ্যমান থাকে। এখানে আর্দ্রতা কমে গেলে পানি স্প্রে করতে হয়। টেরারিয়ামের মাটি থেকে উদ্ভিদ পানি শোষণ করে প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় পাতার তৈরি পানি ঘনীভূত হয়ে আবার মাটির আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেয়। আলোর সাহায্যে এখানের উদ্ভিদগুলো অক্সিজেন তৈরি করে শ্বসন প্রক্রিয়া চালু রাখে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপাদন করে। এ কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি ব্যবহার করে বদ্ধ টেরারিয়ামে থাকা উদ্ভিদগুলো সালোকসংশ্লেষণ করে।

বদ্ধ টেরারিয়াম (Terrarium) এ উদ্ভিদের শ্বাসকার্য সম্পন্ন হয়?

বদ্ধ টেরারিয়ামের উদ্ভিদগুলো আলোর সাহায্যে সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে অক্সিজেন তৈরি করে শ্বসনক্রিয়া চালু রাখে। আর শ্বসনে উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাইড আবার ঐ সালোকসংশ্লেষণেই ব্যবহৃত হয়। এভাবেই বদ্ধ টেরারিয়ামে অক্সিজেন চক্র চালু থাকে এবং শ্বাসকার্য সম্পন্ন হয়।

পরের সেশনে আবার বদ্ধ টেরারিয়াম (Terrarium) দলে পর্যবেক্ষণ করবে। নতুন কোনো পরিবর্তন আছে কি? থাকলে তা দলের সবাই ছক-৪ এ লিখে রাখো

দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণে নতুন কী কী পরিবর্তন দেখতে পেলে?

১। টেরারিয়ামের উদ্ভিদগুলোর দৈহিক বৃদ্ধি ঘটেছে।

২। উদ্ভিদের পাতাগুলো অনেক সবুজ ও সতেজ দেখাচ্ছে।

৩। এখানে বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করা হয়। যেমন– বোতল, জার ইত্যাদি।

৪। এ ধরনের টেরারিয়ামে প্রাণী না থাকলেও উদ্ভিদ শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করে সালোকসংশ্লেষণ সম্পন্ন করে।

৫। বাইরের বায়ুর প্রয়োজন হয় না। কারণ ভেতরেই সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে অক্সিজেন তৈরি করে, যা পরবর্তীতে শ্বসনের ব্যবহার করে।

৬। সরাসরি সূর্যলোকের প্রয়োজন পড়ে না। এটিকে আলোযুক্ত ছায়ায় সংরক্ষণ করতে হবে।

৭। বাইরে থেকে পানি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না এর ভেতরেই পানি চক্র সম্পন্ন হয়।

৮। এখানে আলাদা করে খনিজ উপাদান দেওয়ার দরকার হয় না। ভেতরে ব্যবহৃত উপকরণ ছাড়াই এরা পুষ্টি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে।

সালোকসংশ্লেষণের জন্য কোন কোন অজৈব উপাদান প্রয়োজন হয়?টেরারিয়ামের ভেতরে এই উপাদানসমূহ কীভাবে তৈরি হচ্ছে ব্যাখ্যা কর।

সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় অজৈব উপাদান: সূর্যালোক,কার্বনডাই অক্সাইড, পানি,খনিজ পদার্থ।

টেরারিয়াম একটি কৃত্রিম বাস্তুতন্ত্র যেখানে সালোকসংশ্লেষণ এবং জৈব-অজৈব চক্রের(যেমন- পানি চক্র,অক্সিজেন চক্র) মাধ্যমে জীবের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরি হয়।

 

                         ফিরে দেখাঃ

 
 

টেরারিয়ামের মতো কোন বদ্ধ সিস্টেমে কোনো উদ্ভিদ না থেকে মানুষ বা অন্য প্রাণি থাকলে কি বাঁচতে পারবে?ভেবে উত্তর দাও।

 
টেরারিয়ামের মতো বদ্ধ সিস্টেমে মানুষ বা অন্য প্রাণী দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকতে পারবে না। কারণ টেরারিয়ামের ভেতরে জৈব-অজৈব উপাদানের ভারসাম্য সীমিত এবং দীর্ঘ সময় ধরে টিকিয়ে রাখা কঠিন।
 
মানুষ বা অন্য প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য টেরারিয়ামে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে:
 
অক্সিজেনের ঘাটতি: টেরারিয়ামের ভেতরে অক্সিজেনের পরিমাণ সীমিত। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রাণী অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। টেরারিয়ামে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে প্রাণী শ্বাসকষ্টে ভুগতে পারে।
খাদ্যের ঘাটতি: টেরারিয়ামের ভেতরে খাদ্যের পরিমাণ সীমিত। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করে।মানুষ ও অন্য প্রানী খাদ্য এবং শ্বসনের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। তাই খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে।
বর্জ্য পদার্থের বৃদ্ধি: প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ টেরারিয়ামের ভেতরে জমা হতে থাকে। বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ বেড়ে গেলে টেরারিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
রোগের ঝুঁকি: টেরারিয়ামের ভেতরে রোগজীবাণু বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে।
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7

হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

হরেক রকম খেলনার মেলা

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়,হরেক রকম খেলনার মেলা  সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

 খেলনা নৌকা বানানো : 

এই সেশনের পূর্বেই ফেলে দেওয়া কিছু উপকরণ যেমন- ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের পানির বোতল, বেশ কিছু রাবার ব্যান্ড, কয়েকটা পাটকাঠি অথবা পেন্সিল, একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিকের খাবারের চামচ, সুপার গ্লু অথবা ভালোমানের আঠা জোগাড় করে নিতে হবে।পরবর্তীতে দলে ভাগ হয়ে খেলনা নৌকা বানাতে হবে,পুরো প্রক্রিয়াটি তোমাদের অনুশীলন বইয়ে দেওয়া আছে।
 

এই নৌকাটির ক্ষেত্রে কী ঘটছে আসলে? কেন পানিতে ছেড়ে দেয়া মাত্রই এটা চলতে শুরু করল বলতে পারো? এই শক্তি কোথা থেকে আসলো?

এই নৌকাটির ক্ষেত্রে স্থিতি শক্তি ও গতিশক্তি ক্রিয়াশীল।রাবার ব্যান্ডের মধ্যে থাকা চামচ বা ধাতব বস্তুটির মধ্যে স্থিতি শক্তি জমাছিল। এটি যখন পানিতে ছাড়া হলো তখন স্থিতি শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তর হওয়ার কারণে পানিতে নৌকাটি ছাড়া মাত্রাই চলতে শুরু করে।
স্থিতি শক্তি রাবার ব্যান্ডের মধ্যে জমা ছিল। রাবার ব্যান্ডের সাথে যুক্ত থাকা চামচটিকে ঘুরানের ফলে এর মধ্যে স্থিতি শক্তি বা বিভব শক্তি জমা হতে থাকে। এই স্থিতি শক্তির কারণে নৌকাটি চলতে শুরু করায় তখন নৌকাটি গতি শক্তির অধিকারী হয়।
 

একইরকম ঘটনা কি আর কোথাও ঘটতে দেখেছ?

উত্তর- পাথরকে উপর থেকে নিচে ফেলা, ধনুক হতে তীর ছোড়া, বেঞ্চ থেকে ব্যাগ বা বই নিচে পরা, স্থির গাড়ি গতিশীল হওয়া, স্থির ব্যাক্তি দৌড়ানো,স্প্রিংকে সংকুচিত করা ইত্যাদি।
 

অন্যান্য দলের সাথে মুক্ত আলোচনায় যোগ দাও। তাদের ভাবনা শুনে দেখো, কোন শক্তির ফলে নৌকায় গতির সঞ্চার হলো? 

উত্তর : অন্যান্য দলের সাথে মুক্ত আলোচনা করে তাদের ভাবনা শুনে বুঝলাম রাবার ব্যান্ডের বিভব শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে নৌকায় গতির সঞ্চার করেছে।
 

তোমাদের নৌকা যখন চলছিল, পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় এসময়ে কী কোনো কাজ সম্পন্ন হয়েছে? তোমার উত্তর লিখে রাখো। 

উত্তর : আমাদের অনুসন্ধানী বই এ কাজ, শক্তি,ক্ষমতা অধ্যায় হতে জানতে পারলাম যে, পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় কাজ হলো-
কোনো বস্তুর উপর বল প্রয়োগের ফলে যদি বলের দিকে বস্তুটি কিছু দূরত্ব অতিক্রম করে তবে বল এবং ঐ দূরত্বের গুণফলকে কাজ বলে।
 
অর্থাৎ কাজ = বল × দূরত্ব
∴ W = Fs
 
যখন নৌকা চলছিল তখন নৌকার উপর বল প্রয়োগ করা হয়েছিল এবং নৌকাতে গতির সঞ্চারের কারণে কিছুটা দূরত্ব অতিক্রম করেছিল। তাই এসময় কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
 
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী
Read More: সূর্যালোকে রান্না- সপ্তম শ্রেণী
Read More: অদৃশ্য প্রতিবেশী- সপ্তম শ্রেণী

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশন

নৌকাটিকে গতিশীল করতে শক্তির যোগান এলো কোথা থেকে? 

উত্তর : নৌকাটিকে গতিশীল করতে শক্তির যোগান এসেছে রাবারব্যান্ডের মধ্যকার স্থিতিশক্তি বা বিভব শক্তি থেকে।

ভেবে দেখো আর কোন কোন ক্ষেত্রে এরকম গতিশক্তি আর স্থিতিশক্তির পারস্পরিক রূপান্তর দেখা যায়? 

উত্তর : যেসব ক্ষেত্রে গতিশক্তি ও স্থিতিশক্তির পারস্পরিক রূপান্তর হয়-

ঘটনা :

১. গুলতি মারার ঘটনা-

এখানে গুলতি যখন টানা হয় তখন এর রাবারের মধ্যে স্থিতিশক্তি জমা হয় এবং ছেড়ে দেওয়ার সময় স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

২. কোনো বস্তুকে মাটি থেকে উপরে তুলে ছেড়ে দেওয়া-

কোনো বস্তুকে মাটি থেকে উপরে তোলা হলে তার মধ্যে স্থিতিশক্তি সঞ্চিত হয়। বস্তুটিকে ছেড়ে দিলে তখন স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

৩. স্প্রিংকে সংকুচিত করে ছেড়ে দেওয়া-

স্প্রিংকে যখন সংকুচিত করা হয় তখন স্প্রিংয়ের মধ্যে স্থিতিশক্তি জমা হয়। স্প্রিংকে ছেড়ে দিলে এ স্থিতিশক্তিই পরবর্তীতে গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

এবার নিজেদের খেলনা উদ্ভাবনের পালাঃ

কী ধরনের খেলনা বানাতে চাও সেটা আগে দলের সবাই মিলে ঠিক করো। এরপর খেলনা বানানোর পরিকল্পনা, খসড়া নকশা, উপকরণের তালিকা তৈরি করার পালা। পরিকল্পনা করার সময় দলের সদস্যদের সবাই এককভাবে বা জোড়ায় বসে খেলনার পরিকল্পনা ও নকশা দাঁড় করাও। তুমি একা বা তোমার বন্ধুর সাথে মিলে বসে একটা নকশার পরিকল্পনা করো, তোমাদের আইডিয়াটা নিচের ছকে এঁকে রাখো। কী ধরনের উপকরণ লাগতে পারে তাও আলোচনা করে দেখো এবং ছকের নির্দিষ্ট জায়গায় লিখে রাখো।

                                         ছক-১


 

পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়ে গেলে নিচের ছকে নকশা এঁকে ফেলো এবং পাশে কী কী উপকরণ লাগবে তার তালিকা করো যাতে পরের সেশনের আগে সব জোগাড় করে ফেলতে পারো 

                                 ছক-২


 

Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী
Read More: ফসলের ডাক-সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশন

দলের সকল সদস্য তাদের তৈরিকৃত খেলনাটি চালিয়ে কীভাবে বিভব শক্তি থেকে গতিশক্তির রূপান্তর হচ্ছে তা ব্যাখ্যা কর। কিভাবে খেলনাটিতে রিসাইক্লিং হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর-গুলতির রাবার যখন টানা হয় তখন রাবারে স্বাভাবিক অবস্থা পরিবর্তন হয়ে বিকৃত হয়ে যায়। রাবার বিকৃত হওয়ার কারণে তার মধ্যে বিভব শক্তি জমা থাকে। রাবার যখন টেনে ছেড়ে দেওয়া হয় তখন এই বিভব শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে মাটির গুলিটি গতি লাভ করে এবং অনেক দূরে গিয়ে পড়ে।

 অর্থাৎ শক্তি এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত হয়। এতে শক্তির সৃষ্টি বা ধ্বংস হয় না। এটিই শক্তির নিত্যতা সূত্র।

খেলনাটিতে ফেলনা জিনিস ব্যবহৃত হয়েছে বলে রিসাইক্লিং হয়েছে,অপচয় হয়নি।

বাড়ির কাজঃ

হরেক রকম খেলনার মেলা

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7 Tagged With: কেন পানিতে ছেড়ে দেয়া মাত্রই এটা চলতে শুরু করল বলতে পারো? এই শক্তি কোথা থেকে আসলো?, তোমাদের নৌকা যখন চলছিল, দলের সকল সদস্য তাদের তৈরিকৃত খেলনাটি চালিয়ে কীভাবে বিভব শক্তি থেকে গতিশক্তির রূপান্তর হচ্ছে তা ব্যাখ্যা কর। কিভাবে খেলনাটিতে রিসাইক্লিং হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।, নৌকাটিকে গতিশীল করতে শক্তির যোগান এলো কোথা থেকে?, পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় এসময়ে কী কোনো কাজ সম্পন্ন হয়েছে? তোমার উত্তর লিখে রাখো।, ভেবে দেখো আর কোন কোন ক্ষেত্রে এরকম গতিশক্তি আর স্থিতিশক্তির পারস্পরিক রূপান্তর দেখা যায়?, হরেক রকম খেলনার মেলা-সপ্তম শ্রেণী

অদৃশ্য প্রতিবেশী।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

অদৃশ্য প্রতিবেশী-সপ্তম শ্রেণী

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৫ম অধ্যায়, অদৃশ্য প্রতিবেশী  সম্পর্কে জানবো।

সেশন শুরুর আগে

অদৃশ্য প্রতিবেশী কী? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৯)

উত্তর : আমাদের চারপাশে এমনকি আমাদের দেহে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য অণুজীব, যাদেরকে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না। এরাই হচ্ছে অদৃশ্য অণুজীব। যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, এন্টামিবা, ছত্রাক, শৈবাল ইত্যাদি। আমাদের চারপাশের দৃশ্যমান অনেক প্রতিবেশীর পাশাপাশি এরাও আমাদের জীবনকে ঘিরে রেখেছে। অনেক অণুজীব যেমনি আমাদের ক্ষতি করছে, তেমনি কিছু কিছু অণুজীব আমাদের উপকারও করছে।

কাজ–প্রথম সেশন শুরুর আগেই তোমাদের একটা কাজ করতে হবে। আগের সেশন শেষেই তোমরা এলাকাভিত্তিক জোড়ায়/দলে বিভক্ত হবার জন্য তোমাদের বাড়ির ঠিকানা লিখে জমা দাও। শিক্ষকের সহায়তায় তোমরা এলাকাভিত্তিক কয়েকটি জোড়ায়/দলে বিভক্ত হবে। প্রত্যেকটি জোড়া/দলের একটি করে সুন্দর নাম দেবে। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৯)

এখন কাজ হলো তোমাদের এলাকায় কী কী সংক্রামক রোগ আছে সেগুলো খুঁজে বের করা। তোমাদের এলাকায় কী কী সংক্রামক রোগবালাই দেখা যায়? কী কী কারণে এসব রোগ ছড়ায়? কী কী করলে এসব রোগ থেকে দূরে থাকা যায়? আপাতত এই তথ্যগুলো জোগাড় করতে হবে তোমার চারপাশ থেকেই। তোমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে, বাবা-মা বা আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বা পাড়া- প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করতে পারো।

তোমাদের এলাকায় কী কী সংক্রামক রোগবালাই দেখা যায়?

উত্তর : আমাদের এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ দেখা যায়। যেমন- ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরা, টাইফয়েড, যক্ষ্মা, হাম, গুটিবসন্ত, সোয়াইনফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ইবোলা, জলাতঙ্ক, কোভিড-১৯ ইত্যাদি।

কী কী কারণে সংক্রামণ রোগ ছড়ায়?

উত্তর : যেসকল কারণে সংক্রামক রোগ ছড়ায়, যেমন- জীবাণুযুক্ত দূষিত পানি, বায়ু দূষণ, হাঁচি-কাশি সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত প্লেট, গ্লাস, চেয়ার-টেবিল, টয়লেট, জামাকাপড় ইত্যাদির মাধ্যমে, মশার কামড়, কুকুরের কামড়,  ইত্যাদি।

কী কী করলে সংক্রামক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়?

উত্তর : যেসব কাজ করলে সংক্রামক রোগ থেকে দূরে থাকা যায় তা হলো-

যেমন- সুষম খাদ্য গ্রহণ করা, নিরাপদ পানি ব্যবহার করা এবং হাত জীবাণুমুক্ত রাখা। এছাড়া ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা হাত দিয়ে মুখ ঢাকা, চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। বাড়ির আশপাশে পানি জমতে পারে এমন আবর্জনা যেমন- কৌটা, টায়ার, ফুলের টব ইত্যাদি পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ, এখানে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া রোগের বাহক মশা ডিম পাড়ে। প্রয়োজনীয় টিকা নিয়ে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করেও আমরা রোগমুক্ত থাকতে পারি।

 

অদৃশ্য প্রতিবেশী -সপ্তম শ্রেণী

 

জোড়া/দলের নামঃ মেঘনা

এলাকার ঠিকানাঃ

সংক্রামক
রোগের নাম

এই সংক্রামক
রোগে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা

কোন অণুজীব
এই রোগের জন্য দায়ী

এই সংক্রামক
রোগের লক্ষন কী?

কিভাবে এই সংক্রামক
রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা যায়।

কলেরা

১২

ব্যাকটেরিয়া

ডায়রিয়া, জলশূন্যতা,জ্বর,খিঁচুনি,কোমা।

১. জীবাণুমুক্ত অথবা ফোটানো জল পান করা

২. পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য বিধি
মেনে চলা।

৩.ঠান্ডা পানীতে বরফ খাওয়া বন্ধ করা।

৪. সবজী ভালোভাবে রান্না করা এবং গরম খাবার
খাওয়া।

৫. কাঁচা ফল, শাকসবজি, মাছ অথবা মাংস না খাওয়া।

৬. কলেরার টিকা গ্রহন করা।

৭. চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

কোভিড-১৯

৫৫০

ভাইরাস

১.জ্বর,সর্দি-কাশি,গলাব্যাথা।

২. শরীরে ব্যাথা ও যন্ত্রনা, ক্লান্তি।

৩. ডায়রিয়া

৪. স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারানো।

১. শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা।

২. কাশি, শ্বাসকষ্ট বা অবসাদের মতো কোনো উপসর্গ আছে
কিনা

চেক করা।

৩. অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করা।

৪. সর্বদা মাস্ক পরিধান করা।

৫. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।

৬. সরকার কর্তৃক বিনামূল্যের করোনা টিকা
গ্রহন করা।

৭. নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা।

হাম

২০

ভাইরাস

১. শরীরে ছোট ছোট, লালচে গুটি দেখা যায়।

২. জ্বর,চোখ লাল হওয়া।

৩. চোখ এবং নাক দিয়ে পানি পরা।

৪. হাঁচি ও কাশি হতে পারে।

৫. শিশুদের খাবারে অরুচি এবং দূর্বলতা।

হাম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
সাধারণত তিন দিনের চিকিৎসাতেই এই রোগের জ্বর ভালো হয় এবং সাত দিনের মধ্যেই হামে

আক্রান্ত রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে। হামে
আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে।

একটু পর পর ভেজা তোয়ালে/গামছা বা নরম কাপড়
দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিবে
, ক্ষতস্থান
খুটানো যাবেনা।

সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে, রোগীর বেশি জ্বর হলে বমি হতে পারে। তবে এতে
চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।  চিকিৎসকের
পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

গুটিবসন্ত

৪০

ভাইরাস

জ্বর, মাথাব্যাথা,গলাব্যাথা,
স্বাসযন্ত্রের উপরের অংশে প্রদাহ

পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, টিকা গ্রহণ করা, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা, পরিবারের সকলের মধ্যে এই রোগ সম্পর্কে
সচেতনতা গড়ে তোলা।

 

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

জলাতঙ্ক কী? 

জলাতঙ্ক একটি তীব্র ভাইরাল রোগ, যা সংক্রমিত কোনো প্রাণীর (বিশেষত কুকুর) লালা থেকে ছড়ায়। এ রোগটি হাইড্রোফোবিয়া নামেও পরিচিত।
 

জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণসমূহ উল্লেখ কর। 

উত্তর : জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণসমূহ নিম্নরূপ-
১. প্রথমে জ্বর শুরু হয়।
২. শরীরে অস্বাভাবিক এক বিষণ্ণতা আসে।
৩. আস্তে আস্তে ভয়ানক খিঁচুনি শুরু হয়।
৪. পানির তেষ্টায় বুক ফেটে যেতে চায়।
৫. পানি মুখে দিলেই ভয়ঙ্কর খিঁচুনি হয়।
 

জলাতঙ্কের প্রতিষেধক কিভাবে এলো? এই সম্পর্কে লুই পাস্তুর এবং জোসেফ মাইস্টার’এর ঘটনাটি শুনে তোমার কি মনে হলো?

অদৃশ্য প্রতিবেশীলুই পাস্তুর আর জোসেফ মাইস্টারের ঘটনাটি শুনে আমার মনে হলো লুই পাস্তুর যদি সেই সময় জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসায় গবেষণা না করতো এবং ঝুঁকি নিয়ে জোসেফ মাইস্টারের শরীরে জীবাণু প্রবেশ না করাতো তাহলে সে হয়তো মারা যেত। জোসেফ মাইস্টারকে সুস্থ করে তুলতে লুই পাস্তুর যে ঝুঁকি নিয়েছিলেন তা বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা হয়ে আছে। এ ঘটনার মাধ্যমেই জলাতঙ্ক নামক মূর্তিমান আতঙ্কের অবসান ঘটা শুরু হয়। একই সাথে অন্যান্য রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথ খুলে যায়।
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী
Read More: সূর্যালোকে রান্না- সপ্তম শ্রেণী

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ

 
এ সেশনে তোমরা অনুসন্ধানী বই এর অনুজীবজগৎ অধ্যায় থেকে বিভিন্ন অণুজীবের (ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, শৈবাল ও ভাইরাস) গঠন, বংশবৃদ্ধি ও পরিবেশগত গুরুত্ব সম্পর্কিত ধারণা স্পষ্ট করে নিবে। প্রয়োজনে শিক্ষকের সহায়তা নাও।
 

ভাইরাসের গঠন ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর : ক্ষমতাসম্পন্ন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া ভাইরাসকে দেখা যায় না। ভাইরাস গোলাকার, দন্ডাকার, ব্যাঙাচির মতো ইত্যাদি আকৃতির হতে পারে। ভাইরাসকে অণুজীব হিসেবে বিবেচনা করলেও এগুলোর আসলে স্বাধীন জীবন নেই। পরিবেশে এগুলো থাকে নির্জীব কণা হিসেবে। কিন্তু অন্য কোনো জীবের কোষে প্রবেশ করার পর ভাইরাস জীবের মতো আচরণ করতে পারে। ভাইরাসের দেহে কোষপ্রাচীর, সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস, সাইটোপ্লাজম ইত্যাদি কিছুই নেই। তাই ভাইরাস দেহকে অকোষীয়ও বলা হয়। এগুলো শুধু আমিষ (প্রোটিন) আবরণ ও নিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ বা আরএনএ) নিয়ে গঠিত এগুলোর আমিষ আবরণ থেকে নিউক্লিক অ্যাসিড বের হয়ে গেলে এগুলোর জীবনের সকল লক্ষণ হারিয়ে ফেলে। তবে অন্য জীবকোষে প্রবেশের পর যখনই সেগুলো প্রোটিন আবরণ ও নিউক্লিক অ্যাসিডকে একত্র করতে পারে, তখন এগুলো জীবনের সব লক্ষণ ফিরে পায়। অর্থাৎ জীবিত জীবদেহ ছাড়া বা জীবদেহের বাইরে এগুলো জীবনের কোনো লক্ষণ দেখায় না। এ কারণে ভাইরাস প্রকৃত পরজীবী।
 

ব্যাকটেরিয়ার গঠন বর্ণনা কর।

উত্তর : ব্যাকটেরিয়া হলো আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত, অসবুজ, এককোষী অণুবীক্ষণিক জীব (অর্থাৎ এগুলোর অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না)। বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক সর্বপ্রথম অণুবীক্ষণযন্ত্র ব্যবহার করে ব্যাকটেরিয়া দেখতে পান। ব্যাকটেরিয়া কোষ গোলাকার, দন্ডাকার, কমা আকার, প্যাচানো ইত্যাদি ধরনের হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া সরল আণুবীক্ষণিক জীব হলেও সেগুলোর কিন্তু একটি সুগঠিত কোষীয় গঠন রয়েছে। এসব কোষের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রকৃতকোষী বা অকোষীয় অন্য জীবে পাওয়া যাবে না।
 
ব্যাকটেরিয়া আদিকোষী জীব। এসব কোষের নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রিকা সুগঠিত নয়। একটি আদর্শ নিউক্লিয়াসের নিজস্ব পর্দা থাকে, যা নিউক্লিয়াসটিকে কোষের অন্য অংশ থেকে পৃথক করে রাখে। কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। সেগুলোর মূল নিউক্লিয়ার বস্তু তথা ডিএনএ  কোষের প্রোটোপ্লাজমে অবস্থান করে। এগুলোকে নিউক্লিয়েড বলা হয়। ব্যাকটেরিয়ার কোষে মূল নিউক্লিয়ার বস্তু ছাড়াও বৃত্তাকার এক বা একাধিক ডিএনএ দিয়ে তৈরি গঠন থাকে। এগুলোকে বলা হয় প্লাসমিড ।
 

৮. অণুজীব কী শুধুই আমাদের ক্ষতির কারণ, নাকি আমাদের বন্ধু হিসেবেও ভূমিকা রাখে? 

উত্তর : অণুজীব শুধুই আমাদের ক্ষতির কারণ নয়। এরা আমাদের বন্ধু হিসেবেও ভূমিকা রাখে। যেমন- কিছু কিছু অণুজীবের (যেমন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক) কিছু প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বা আচরণ আমাদের উপকারে আসে। যেমন- মাশরুম। অনুজীব ব্যবহার করে আমরা পরিবেশ দুষণ দূর করতে পারি, যা পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। খাদ্য তৈরি ও উৎপাদন বাড়ানো, বিভিন্ন রোগ শনাক্তকরণ রোগের প্রতিষেধক তৈরি, বিরূপ আবহাওয়ায় বীজ ও গাছ উৎপাদন (লবণ প্রতিরোধী গাছ) ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনুজীব ব্যবহৃত হয়।
Read More: ফসলের ডাক-সপ্তম শ্রেণী
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশনঃ

জোড়া/দলের নামঃ মেঘনা

এলাকার ঠিকানাঃ

সংক্রামক
রোগের নাম

এই সংক্রামক
রোগে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা

কোন অণুজীব
এই রোগের জন্য দায়ী

এই সংক্রামক
রোগের লক্ষন কী?

কিভাবে এই সংক্রামক
রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা যায়।

এই সংক্রামক
রোগ থেকে বাঁচতে কী কী স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত?

কলেরা

১২

ব্যাকটেরিয়া

ডায়রিয়া,জলশূন্যতা,জ্বর,খিঁচুনি,কোমা।

১. জীবাণুমুক্ত অথবা
ফোটানো জল পান করা

২. পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা
এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা।

৩.ঠান্ডা পানীতে বরফ
খাওয়া বন্ধ করা।

৪. সবজী ভালোভাবে
রান্না করা এবং গরম খাবার খাওয়া।

৫. কাঁচা ফল, শাকসবজি, মাছ অথবা মাংস না
খাওয়া।

৬. কলেরার টিকা গ্রহন
করা।

৭. চিকিৎসকের শরণাপন্ন
হওয়া।

সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য
গ্রহণ
, নিরাপদ পানি পান, কাঁচা ফল শাকসবজি মাছ মাংস না  খাওয়া,
সবজি ভালোভাবে
রান্না করা এবং ঠান্ডা ও বাসি খাবার না খাওয়া
, ব্যক্তিগত
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা।

কোভিড-১৯

৫৫০

ভাইরাস

১.জ্বর,সর্দি-কাশি,গলাব্যাথা।

২. শরীরে ব্যাথা ও যন্ত্রনা, ক্লান্তি।

৩. ডায়রিয়া

৪. স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি হারানো।

১. শরীরের তাপমাত্রা
পরীক্ষা করা।

২. কাশি, শ্বাসকষ্ট বা অবসাদের মতো কোনো উপসর্গ আছে কিনা

চেক করা।

৩. অক্সিজেনের মাত্রা
পরীক্ষা করা।

৪. সর্বদা মাস্ক পরিধান
করা।

৫. সামাজিক দূরত্ব বজায়
রাখা।

৬. সরকার কর্তৃক
বিনামূল্যের করোনা টিকা গ্রহন করা।

৭. নিয়মিত ডাক্তারের
পরামর্শ মেনে চলা।

সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য
গ্রহণ
, নিরাপদ পানি পান, কাঁচা ফল শাকসবজি মাছ মাংস না  খাওয়া,
সবজি ভালোভাবে
রান্না করা এবং ঠান্ডা ও বাসি খাবার না খাওয়া
, ব্যক্তিগত
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা।

হাঁচি কাশির সময়
টিস্যু বা রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা
,আক্রান্ত রোগী
থেকে  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।

হাম

২০

ভাইরাস

১. শরীরে ছোট ছোট, লালচে গুটি দেখা যায়।

২. জ্বর,চোখ লাল হওয়া।

৩. চোখ এবং নাক দিয়ে পানি পরা।

৪. হাঁচি ও কাশি হতে পারে।

৫. শিশুদের খাবারে অরুচি এবং দূর্বলতা।

হাম হলে অবশ্যই
চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সাধারণত তিন দিনের চিকিৎসাতেই এই রোগের জ্বর ভালো হয়
এবং সাত দিনের মধ্যেই হামে

আক্রান্ত রোগী পুরোপুরি
সুস্থ হয়ে ওঠে। হামে আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে।

একটু পর পর ভেজা
তোয়ালে/গামছা বা নরম কাপড় দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিবে
, ক্ষতস্থান
খুটানো যাবেনা।

সামাজিক দূরত্ব মেনে
চলতে হবে
, রোগীর বেশি জ্বর হলে
বমি হতে পারে। তবে এতে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। 
চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য
গ্রহণ
, নিরাপদ পানি পান, কাঁচা ফল শাকসবজি মাছ মাংস না  খাওয়া,
সবজি ভালোভাবে
রান্না করা এবং ঠান্ডা ও বাসি খাবার না খাওয়া
, ব্যক্তিগত
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা।

হাঁচি কাশির সময়
টিস্যু বা রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা
,আক্রান্ত রোগী
থেকে  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।

গুটিবসন্ত

৪০

ভাইরাস

জ্বর, মাথাব্যাথা,গলাব্যাথা, স্বাসযন্ত্রের উপরের অংশে প্রদাহ

পুষ্টিকর ও সুষম খাবার
খাওয়া
, সামাজিক দূরত্ব বজায়
রাখা
, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন
থাকা
, টিকা গ্রহণ করা, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা, পরিবারের সকলের মধ্যে এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা।

 

সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য
গ্রহণ
, নিরাপদ পানি পান, কাঁচা ফল শাকসবজি মাছ মাংস না  খাওয়া,
সবজি ভালোভাবে
রান্না করা এবং ঠান্ডা ও বাসি খাবার না খাওয়া
, ব্যক্তিগত
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা।

হাঁচি কাশির সময়
টিস্যু বা রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা
,আক্রান্ত রোগী
থেকে  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।

 

অনুজীব দ্বারা সৃষ্ট সংক্রামক রোগ সম্পর্কে কিভাবে অন্যদের সচেতন করে তোলা যায়?

স্কুল কলেজ কর্মক্ষেত্রে গ্রাম ও গ্রুপ সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো। 
পোস্টার লিফলেট ভিডিও ও নানা মাধ্যম ব্যবহার করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। 
জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা সহজ লভ্য করা। 
সংক্রামক রোগের লক্ষণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে নিজে জ্ঞান অর্জন করা এবং শেয়ার করা। 
প্রয়োজনীয় টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করা
 

তোমার এলাকায় টিকাদান কর্মসূচি পালিত হতে দেখেছো? এই কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার জন্য পরিকল্পনা নিচে লিখে রাখো।

হ্যাঁ দেখেছি। 
শিক্ষকের সহায়তায় পরিকল্পনা করেছি সরকারি টিকাদান  কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণ করব। এক্ষেত্রে প্রথমে নিজেকে সংক্রামক রোগমুক্ত থাকতে হবে। যথাযথভাবে আবেদন করে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু কিছু কর্মসূচির জন্য প্রশিক্ষণের  প্রয়োজন হয়।তাই আমরা নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে টিকাদানের প্রক্রিয়া, টিকা সম্পর্কে তথ্য,স্বেচ্ছাসেবক  হিসেবে ভূমিকা সম্পর্কে জেনে নিব।
 

ফিরে দেখাঃ

টিকাদান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলে? কেমন লাগলো এই অভিজ্ঞতা?

টিকাদান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলাম। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে আমি অন্যদের সাহায্য করার সুযোগ পেয়েছি। অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক এবং টিকা গ্রহীতাদের সাথে  পরিচিত হতে পেরেছি। টিকাদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছি।
 

এই কাজে তোমার কি নতুন কোন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হয়েছে? তার মোকাবেলা কিভাবে করলে?

এই কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা আমার জন্য নতুন একটি অভিজ্ঞতা। টিকাদান কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি থাকে, টিকাগ্রহীতাদের সাথে যোগাযোগ করা, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এক ধরনের মানসিক চাপ ছিল। এ ব্যাপারটি আমার কাছে চ্যালেঞ্জ মনে হয়েছে। মানসিক চাপ মোকাবেলা করার জন্য অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে  কথা বলেছি এবং তাদের মতো কৌশল ব্যবহার করেছি,ব্যক্তিগত সুরক্ষার সরঞ্জাম ব্যবহার করেছি, এভাবে চ্যালেঞ্জ  মোকাবেলা করেছি।

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7 Tagged With: অণুজীব কী শুধুই আমাদের ক্ষতির কারণ, অদৃশ্য প্রতিবেশী-সপ্তম শ্রেণী, কী কী করলে সংক্রামক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়?, কী কী কারণে সংক্রামণ রোগ ছড়ায়?, জলাতঙ্ক কী?, জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণসমূহ উল্লেখ কর।, জলাতঙ্কের প্রতিষেধক কিভাবে এলো? এই সম্পর্কে লুই পাস্তুর এবং জোসেফ মাইস্টার'এর ঘটনাটি শুনে তোমার কি মনে হলো?, নাকি আমাদের বন্ধু হিসেবেও ভূমিকা রাখে?, ব্যাকটেরিয়ার গঠন বর্ণনা কর।, ভাইরাসের গঠন ব্যাখ্যা কর।

সূর্যালোকে রান্না।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

সূর্যালকের রান্না

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর,বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়, সূর্যালোকে রান্না সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

গনগনে রোদে বস্তুকে রাখলে সব বস্তু কি একই রকম গরম হয়ে ওঠে?কোন কোন বস্তু রোদে রাখলে বেশি গরম হয়?

গনগনে রোদে বস্তু রেখে দিলে তা ধীরেধীরে গরম হয়ে উঠে।তবে সববস্তু একইরকমভাবে গরম হয়না।কিছুকিছু বস্তু তাপ দ্রুত  শোষন করে এবং তাপ দ্রুত ছেড়ে দেয়না সেসব বস্তু দ্রুত গরম হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে গরম থাকে।
যেমন – লোহার তৈরি বস্তু(পেরেক,রড়),রঙিন বস্তু, পানি, কাঠ,কাপড়,চামড়ার তৈরি বস্তু,কাঁচের তৈরি বস্তু, এলুমিনিয়াম এবং তামার তৈরি বস্তু,পীতলের হাড়িপাতিল,প্লাস্টিক  ইত্যাদি।
 

উপরের জিনিসগুলোর (লোহার বস্তু, কাচের বস্তু, পানি, সাদা কাপড় ও রঙিন কাপড়)মধ্যে কোন মিল খুঁজে পাচ্ছ? বস্তুগুলো কী দিয়ে তৈরি, কোন রঙের ইত্যাদি দিকগুলো খেয়াল করে দেখো। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৩৯)

উত্তর : উপরের বস্তুগুলোর মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছি। এগুলো বিভিন্ন ধাতব পদার্থ দ্বারা তৈরি। এদের মধ্যে কোনটি কালো, কোনটি সাদা আবার কোনটি তামাটে।
থার্মোমিটার দিয়ে পাঁচটি পৃথক বস্তুর (লোহার বস্তু, কাচের বস্তু, পানি, সাদা কাপড় ও রঙিন কাপড়) তাপমাত্রা পরিমাপ করো এবং নিচের ছকে লিখে রাখো। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৩৯)
 

বস্তু

তাপমাত্রা

লোহার বস্তু

২৬°C

কাচের বস্তু

২৪°C

পানি

২৭°C

সাদা কাপড়

২৫°C

রঙিন কাপড়

২৭°C

অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট রোদে রেখে দেওয়ার পর থার্মোমিটার দিয়ে বস্তু পাঁচটির তাপমাত্রা পুনরায় পরিমাপ করো এবং নিচের ছকে দুইবার নেয়া তাপমাত্রার তথ্যই লিখে রাখো।

বস্তুর নাম

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বের তাপমাত্রা

সূর্যের আলোতে রাখার পরের তাপমাত্রা 

মন্তব্য

লোহার বস্তু

২৬° C

৮০° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বে তাপমাত্রা ছিল ২৬°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা ৮০° C হয়েছে ।

কাচের বস্তু

২৪° C

৭৬° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বে তাপমাত্রা ছিল ২৪°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা হয়েছে ৭৬° C

পানি

২৭° C

৮২° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বেতাপমাত্রা ছিল ২৭°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা হয়েছে ৮২°C ।

সাদা কাপড়

২৫° C

৭২° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বেতাপমাত্রা ছিল ২৫°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা হয়েছে ৭২°C ।

রঙিন কাপড়

২৭° C

৭৫° C

সূর্যের আলোতে রাখার পূর্বেতাপমাত্রা ছিল ২৭°C এবং রাখার পর তাপমাত্রা হয়েছে ৭৫°C ।

আগের আর পরের তাপমাত্রার কোন পার্থক্য কি দেখতে পাচ্ছ?

উত্তর: হ্যা, আগের আর পরের তাপমাত্রার পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি।
 

পার্থক্য থেকে থাকলে কারণ কী হতে পারে?

সূর্য থেকে আসা তাপশক্তি শোষণ করে বস্তুগুলোর অর্থাৎ লোহা, কাচ, পানি এবং কাপড়ের তাপমাত্রা আগের তাপমাত্রা থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।
 

প্রতিটি বস্তুর তাপমাত্রার পরিবর্তন কি একইরকম ঘটছে?

লোহার বস্তুগুলো তাপ সুপরিবাহী হওয়ায় অধিক পরিমাণ তাপ গ্রহণ করে অন্যান্য বস্তু থেকে বেশি উত্তপ্ত হয় অন্যদিকে কাচ, পানি, এবং কাপড়ের বস্তুগুলোর তাপ পরিবাহিতা অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় কম পরিমাণ তাপ গ্রহণ করতে পারে ফলে তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কম বৃদ্ধি পায়। বস্তুর তাপমাত্রা রঙের উপরও নির্ভরশীল। সাদা কাপড়ের তাপ ধারণ বা শোষণ ক্ষমতা কম। রঙিন কাপড়ের তাপ বেশি শোষিত হয় এবং ধীরে তাপ ছাড়ে ফলে সাদা কাপড় অপেক্ষা রঙিন কাপড়ের তাপমাত্রা বেশি হয়।
 
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী

৩য় ও ৪র্থ সেশন

তাপ কী?

তাপ এক ধরনের শক্তি।এই শক্তিটা এসেছে পদার্থের অণু পরমাণুর সম্মিলিত গতিশক্তি বা কম্পন শক্তি থেকে।

তাপ কীভাবে সঞ্চালিত হয়?

তাপ এক ধরনের শক্তি। আমাদের নানা কাজে আমরা এই তাপ শক্তিকে ব্যবহার করি। কোনো কিছু সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হলে সেটাকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিতে হয়। কাজেই তাপ শক্তিকে আমাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিতে হয় কিংবা সঞ্চালন করতে হয়। তিনটি উপায়ে তাপ সঞ্চালিত হয় সেগুলো হচ্ছে- তাপের পরিবহন, পরিচলন এবং বিকিরণ।

তাপমাত্রা কী?

তাপমাত্রা হচ্ছে কোনোকিছু কতটুকু উত্তপ্ত কিংবা কতটুকু শীতল তার একটি পরিমাপ।

তাপের পরিবহন পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

আমরা জানি, কঠিন পদার্থের ক্ষেত্রে তাপ হচ্ছে অণুগুলোর কম্পন। তাই যখন কঠিন পদার্থের এক প্রান্ত উত্তপ্ত করা হয়, তখন সেই প্রান্তের অণুগুলো নিজের জায়গায় থেকেই কাঁপতে থাকে। কঠিন পদার্থের একটি অণুর সঙ্গে অন্য অণু যুক্ত । তাই একটা অণু কাঁপতে থাকলে সেটি তার পাশের অন্য অণুকেও কাঁপাতে শুরু করে। সেই অণুটি তখন তার পাশের অণুকে কাঁপায়। এভাবে কম্পনটি পদার্থের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পরিবাহিত হয়। এটাই তাপের পরিবহন পদ্ধতি।

তাপের পরিচলন বলতে কী বুঝ?

যে পদ্ধতিতে তাপ কোনো পদার্থের অনুগুলো চলাচলের দ্বারা উষ্ণতার অংশ থেকে শীতল অংশে সঞ্চালিত হয় তাকে পরিচলন বলে। এ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে তরল ও বায়বীয় পদার্থগুলোতে এ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়। তাপ গ্রহণ করে পদার্থের উষ্ণ অংশের অণুগুলো শীতল অংশের দিকে প্রবাহিত হয়। এভাবে অণুগুলো স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজ গতির সাহায্যে তাপ সঞ্চালিত করে।

তাপের বিকিরণ বলতে কী বুঝ?

আমরা যদি জ্বলন্ত আগুনের পাশে দাড়ায়, তখন এক ধরনের তাপ অনুভব করি। এই তাপটি পরিবহনের মাধ্যমে আসেনি, পরিচলনের মাধ্যমেও আসেনি। আমরা যখন রোদে দাঁড়াই, তখন যে তাপ অনুভব করি, সেই তাপও পরিবহন কিংবা পরিচলন পদ্ধতিতে সূর্য থেকে পৌঁছায়নি, এই তাপ সঞ্চালনের পদ্ধতির নাম বিকিরণ। এ পদ্ধতিতে তাপ কোনো প্রকার মাধ্যম ছাড়াই সঞ্চালিত হয়।

Read More: ফসলের ডাক-সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশন

সৌরচুল্লী বানানোর প্রক্রিয়া বর্ণনা কর । (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪১)

 
সৌরচুল্লী বানানোর প্রক্রিয়া-
 
  • তুমি যে বাক্সটি নিয়েছো সেটির উপরের ঢাকনাটা কেটে আলাদা করে নাও যাতে এর মোট ৫টি তল থাকে।
  • এবার বাক্সটির ভেতরের অংশে প্রতিটি তলের দৈর্ঘ্য ও প্রশ্ন মেপে সমান করে ককশীট বা শোলা কেটে নাও।
  • শোলার উপরে আঠা দিয়ে পেছন দিক থেকে পিন ফুটিয়ে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার অথবা র্যাপিং পেপারের উল্টা দিকের চকচকে তলটা এমনভাবে লাগাও যাতে সেটি যথেষ্ট মসৃণ হয়।
  • এবার নিচের তলটাকে বাক্সের ভেতরে আগে বসিয়ে দিয়ে চারপাশের তলের টুকরোগুলো স্কচটেপ অথবা আঠা দিয়ে লাগিয়ে ফেলো।
  • এখন উপরের প্রতিফলক বানানোর জন্য বাক্সের উপরের তলের কেটে রাখা টুকরোতে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল (অথবা তোমাদের বেছে নেয়া র‍্যাপিং পেপারের উল্টো দিকের চকচকে তল) সাঁটিয়ে নিয়ে এটাকে এমনভাবে বাক্সের উপরে স্থাপন করো যাতে এটা মোটামুটি ৬০° কোণে হেলে থেকে এর তলে প্রতিফলিত হওয়া আলোকরশ্মি বাক্সের মধ্যে গিয়ে পরে।
  • তোমার সৌর চুলা বানানো প্রায় শেষ। চুলাটা ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা পরীক্ষা করতে এটাকে সূর্যের নিচে নিয়ে ভেতরে একটা অ্যালুমিনিয়ামের বাটিতে ডিম ভেঙে নিয়ে বাটিটি ভেতরে রাখো।
  • বাক্সটির খোলা তলের উপর এবার একটা ঢাকনা বসাতে হবে, বাক্সের মাপের একটা ঢাকনা বানিয়ে নাও। ঢাকনার চারদিকে কার্ডবোর্ডের অংশ বাদ রেখে ভেতরে অংশ কেটে বের করে নাও। এই ফাঁকা স্থান কাঁচ অথবা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে আটকে দাও যাতে ঢাকনা বন্ধ করার পরেও এই স্বচ্ছ মাধ্যমের ভেতর দিয়ে সূর্যের আলো বাক্সের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। এই কাঁচ বা পলিথিনের ঢাকনা যাতে খুলতে বা আটকাতে সুবিধা হয় সেজন্য স্কচটেপ আর কাগজ দিয়ে একটা কব্জার মতো বানিয়ে নাও।
এবার তোমাদের নিজেদের সৌরচুল্লি বানানোর পালা। তোমার দলের সবাই মিলে আলোচনা করে ঠিক করো কোন কোন উপকরণ তোমাদের এলাকায় সহজলভ্য, বিনা খরচেই যেগুলো জোগাড় করা সম্ভব। এবার তোমরা কোন কোন উপকরণ ব্যবহার করবে তার তালিকা নিচে লিখে রাখো- (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৩)
 
সৌরচুল্লি বানানোর উপকরণের নাম :
১. কার্টুন বাক্স
২. অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার
৩. স্টিলের বাটি
৪. শোলা/ককশীট
৫. কাঁচ
৬. স্কচটেপ
৭. আঠা
৮. কাঠি
৯. থার্মোমিটার (সেলসিয়াস স্কেলের)
১০. পিন
১১. প্লাই বোর্ড
১২. পেরেক ইত্যাদি
 
 

তোমার দলের বানানো সৌরচুল্লীর একটি ছবি নিচের ফাঁকা জায়গায় এঁকে রাখো। আর পাশে কী কী উপকরণ ব্যবহার করলে তার তালিকে টুকে রাখো।

সূর্যালোকে রান্না 

সৌরচুল্লী তৈরির উপকরণগুলোর কোনটা কেন ব্যবহার করা হয়েছে বলতে পারো? সৌরচুল্লীকে কার্যকর করতে এই উপকরণগুলো কেন বেছে নেয়া হল? এই বিষয়ে তোমাদের মতামত কী? দলে বসে আলোচনা কর এবং নিচের ছকে লিখে রাখো।

 

উপকরণের নাম

উপকরণ নির্বাচনের কারণ

ফ্লাইবোর্ড/কাঠ বোর্ড

এটি টেকসই, সহজেই নষ্ট হয় না ফলে অনেক দিন ব্যবহার করা যায়।

ককসিট

ফ্লাইবোর্ডকে তাপ থেকে মুক্ত রাখে।

অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার

এটির ফলে ভেতরের তাপমাত্রা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি
পায়।

পেরেক

ফ্লাইবোর্ড গুলোকে একে অপরের সাথে আটকিয়ে রাখতে
সাহায্য করে।

কাচের পাত

কাচের পাত দেওয়ার কারণে তাপ বাহিরে যেতে পারে না।

আঠা

করুসেট এবং অ্যালুমিনিয়াম পেপার লাগানোর জন্য কাজে
লাগে।

আয়না

সূর্যের আলোর প্রতিফলেন সাহায্য করে।

হাতল

সৌরচুল্লী যেকোন জায়গায় বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

কব্জা

সৌরচুল্লীকে সহজেই উঠানো এবং নামানো যায়।

বাইসাইকেল স্পোক

সৌরচুল্লী খোলা রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়।

অন্য দলগুলোর ক্ষেত্রে চুল্লীর ভেতরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত ছিল?কোন দলের ডিম সেদ্ধ হতে সময় বেশি লেগেছে?তোমাদের চুল্লীর পরিকল্পনায় কোন পরিবর্তন আনলে কি আলো ভালোভাবে কাজ হতো?

অন্যদলগুলোর মধ্যে  শাপলা দলের চুল্লীর ভিতরে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ  ৯০° C ছিল।
গোলাপ দলের ডিম সেদ্ধ হতে বেশি সময় লেগেছে।
 
তুলনামুলক পর্যালোচনা করে দেখলাম আমাদের চুল্লী তৈরীর কাজে ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের পরিবর্তে অবতল দর্পন ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো হত। ইন্টারনেট এবং শিক্ষকের মাধ্যমে জেনেছি অবতল দর্পন আলোকরশ্মিকে একটি বিন্দুতে মিলিত করতে পারে।  এই এক বিন্দুতে আলোকরশ্মি মিলিত হলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। এই তাপের মাধ্যমে আগুনও ধরানো যায়। এছাড়া স্টীলের বাটির পরিবর্তে অ্যালুমিনিয়ামের বাটি ব্যবহার করলেও ভালো হত। এতে পাত্রটি দ্রুত গরম হয়ে উঠত।
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী

সপ্তম ও অষ্ট্ম সেশন

 

আধা ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করে দেখো চুলার মধ্যে তাপমাত্রা ও ডিমে কোনো পরিবর্তন হয় কি না।

 

সময়

০ মিনিট

৫ মিনিট

১০ মিনিট

১৫ মিনিট

২০ মিনিট

২৫ মিনিট

৩০ মিনিট

তাপমাত্রা (°সেলসিয়াস)

পরিবর্তন হয়নি।

৬°C

১৬°C

৩৭°C

৪৮°C

৬৪°C

৮০°C

 

শক্তির কোন কোন রুপ লক্ষ্য করেছ?

শক্তি কোথা থেকে কোথায় স্থানান্তরিত হয়েছ?

কোন কোন ক্ষেত্রে শক্তির কোন একটি রুপ থেকে অন্য রুপে রুপান্তরিত
হয়েছে?

তাপশক্তি

সূর্যের আলোকশক্তি তাপশক্তিতে স্থানান্তর

চুল্লীর ফয়েল পেপারে দীর্ঘক্ষণ সূর্যালোক পড়লে তা তাপশক্তিতে রুপান্তরিত হয়

রাসায়নিক শক্তি

তাপশক্তি  থেকে রাসায়নিক শক্তি

তাপশক্তির মাধ্যমে ডিমটি সিদ্ধ হয় এবং প্রোটিন অংশকে রাসায়নিকভাবে পরিবর্তন
করে

শব্দশক্তি

তাপশক্তি থেকে শব্দশক্তি

তাপশক্তির প্রয়োগে ডিম ভাজার শব্দ শোনা যায়, শব্দশক্তিতে রুপানরিত হয়



অভিজ্ঞতার কাজগুলো করতে তোমাদের কেমন লেগেছে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৭)

 
অভিজ্ঞতার কাজগুলো করতে আমাদের বেশ মজা লেগেছে। নিজেদেরকে ইঞ্জিনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার মনে হয়েছে। আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আরো চেষ্টা করলে বেশ ভালোমানের সৌরচুল্লি তৈরি করতে পারব। বাসাবাড়িতে এ সৌরচুল্লি ব্যবহার করে আমরা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের উপর চাপ কমাতে পারব।
 

সৌরচুলা পরিবেশ রক্ষায় কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৭)

 
সৌরচুলায় রান্না করতে গ্যাস বা তেলের প্রয়োজন হয়নি। এমনকি এতে বিদ্যুতের প্রয়োজনও হয়নি। তেল, গ্যাস বা বিদ্যুৎ ব্যবহার না করায় এতে কোনো কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়নি। ফলে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়নি। এছাড়া এতে কোনো ধোঁয়া সৃষ্টি না হওয়ায় বায়ুদূষণ রোধ হয়েছে। এভাবে সৌরচুলা পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে।
 

কোন কাজটি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে? চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবেলা করেছ? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৪৮)

 
নিজেরা একটি সৌরচুলা বানাবো প্রথমে একথাটি বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। এরপর যখন চুলা তৈরির উপকরণগুলো সবাই মিলে সংগ্রহ করে একটু একটু করে বানাতে লাগলাম তখন খুব ভালো লেগেছে। ‘দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করেছি। শিক্ষকসহ আমাদের দলের সবার সহযোগিতামূলক আচরণও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করেছে।
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7 Tagged With: অন্য দলগুলোর ক্ষেত্রে চুল্লীর ভেতরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কত ছিল?, কোন দলের ডিম সেদ্ধ হতে সময় বেশি লেগেছে?, গনগনে রোদে বস্তুকে রাখলে সব বস্তু কি একই রকম গরম হয়ে ওঠে?কোন কোন বস্তু রোদে রাখলে বেশি গরম হয়?, তাপ ও তাপমাত্রা, তাপ কীভাবে সঞ্চালিত হয়?, তাপ সঞ্চালন, তাপমাত্রার স্কেল, তাপের পরিচলন বলতে কী বুঝ?, তাপের পরিবহন পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।, তাপের বিকিরণ বলতে কী বুঝ?, তোমাদের চুল্লীর পরিকল্পনায় কোন পরিবর্তন আনলে কি আলো ভালোভাবে কাজ হতো?, পদার্থের অবস্থার পরিবর্তনে তাপের প্রবাহ, সূর্যালোকে রান্না, সৌরচুলা পরিবেশ রক্ষায় কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?, সৌরচুল্লী বানানোর প্রক্রিয়া বর্ণনা কর ।

কোষ পরিভ্রমণ ২০২৪।সপ্তম শ্রেণী | বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin 2 Comments

ঘুরতে যেতে কার না ভালোো লাগে! আমরা যেমন নতুন জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখি, আমাদের বা অন্য কোনো জীবের কোষের ভেতরে ছোট্ট হয়ে ঢুকে গিয়ে যদি কোষের ভেতরটাও এভাবে ঘুরে ঘুরে দেখা যেত তাহলে কেমন হতো? যেহেতু সত্যি সত্যি সেটা সম্ভব নয় তাই এই অভিজ্ঞতায় বিভিন্ন ধরনের কোষের মডেল বানিয়ে সেখানে ঘুরে আসব…

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

 

প্রশ্ন: উদ্ভিদ ও প্রাণীকোষে কী কী কোষ অঙ্গাণু আছে?

উত্তর: উদ্ভিদ কোষে আছে কোষ প্রাচীর, কোষ ঝিল্লি, প্রোটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস, কোষ গহ্বর, গলজি বডি, আন্তঃপাজমীয় জালিকা, মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড। প্রাণী কোষে আছে কোষ ঝিল্লি, প্রোটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস, কোষ গহ্বর, গলজি বডি, আন্তপ্রাজমীয় জালিকা, মাইটোকন্ড্রিয়া সেন্ট্রোসোম, লাইসোসোম ইত্যাদি।

প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া ও নিউক্লিয়াসে কী কী বিদ্যমান?

উত্তর: প্লাস্টিডে বহিঃস্তর ঝিল্লি, অন্তস্তর ঝিলি, লুমেন, গ্রানাম, স্ট্রোমা, থাইলাকয়েড ইত্যাদি বিদ্যমান। মাইটোকন্ড্রিয়াতে আছে ক্রিস্টি, ম্যাট্রিক্স, অভ্যন্তরীণ ঝিল্লি, বাহ্যিক ঝিল্লি ইত্যাদি। নিউক্লিয়াসে আছে নিউক্লিয়ার ঝিল্লি, ক্রোমাটিন জালিকা, নিউক্লিওলাস, নিউক্লিয়ার রন্দ্র, নিউক্লিওপ্লাজম ইত্যাদি।

নিউক্লিয়াস কী? 

উত্তর: নিউক্লিয়াস (ইংরেজি: Cell Nucleus) হল প্রোটোপ্লাজমের সবচেয়ে ঘন, পর্দাঘেরা এবং প্রায় গোলাকার অংশ যা কোষের সব জৈবনিক ক্রিয়া বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে ৷

নিউক্লিয়াসের গঠন ও কাজ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: কোষের প্রোটোপ্লাজমে অবস্থিত দ্বি-স্তরবিশিষ্ট ঝিল্লি দিয়ে ঘিরে রাখা অস্বচ্ছ অঙ্গাণুকে নিউক্লিয়াস বলে।

অবস্থান: কোষের কেন্দ্রস্থলে থাকে।

আকৃতি: কোষভেদে নিউক্লিয়াস সাধারণত গোলাকার, উপবৃত্তাকার বা নলাকার হয়ে থাকে।

গঠন : প্রতিটি নিউক্লিয়াস চারটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত। এগুলো হলো-

নিউক্লিয়ার পর্দা: সজীব ও দ্বিস্তরবিশিষ্ট যে পর্দা দিয়ে প্রতিটি নিউক্লিয়াস আবৃত থাকে, তাকে নিউক্লিয়ার পর্দা বলে। নিউক্লিয়ার পর্দা অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত। এসব ছিদ্রের নাম নিউক্লিয়ার রঙ।

নিউক্লিওপ্লাজম: নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরস্থ নিউক্লিয়ার মেমব্রেন দিয়ে আবৃত স্বচ্ছ, দানাদার ও জেলির মতো অর্ধতরল পদার্থটির নাম নিউক্লিওপ্লাজম বা ক্যারিওলিম্ফ।

নিউক্লিওলাস: নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে অবস্থিত ক্ষুদ্র, গোলাকার, উজ্জ্বল ও অপেক্ষাকৃত ঘন বস্তুটি নিউক্লিওলাস নামে পরিচিত। সাধারণত প্রতিটি নিউক্লিয়াসে একটি নিউক্লিওলাস থাকে।

নিউক্লিওজালিকা বা ক্রোমাটিন তন্তু: নিউক্লিওপ্লাজমে ভাসমান অবস্থায় প্যাচানো সুতার মতো গঠনটি নিউক্লিওজালিকা বা ক্রোমাটিন জালিকা নামে পরিচিত।

কাজ: নিউক্লিয়াস কোষের সকল কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।

Read More: সূর্যালোকের রান্না-সপ্তম শ্রেণী
Read More: ফসলের ডাক-সপ্তম শ্রেণী
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী

তৃতীয় সেশনঃ

কোন কোন উপাদান  উদ্ভিদ ও প্রাণী দুই ধরণের কোষেই থাকে? এদের কাজ কি?

উত্তরঃ কোষ ঝিল্লী, সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস, রাবোজোম, মাউটোকন্ড্রিয়া, গলজিবডি ইত্যাদি। এদের কাজ নিম্নরুপঃ
 
  •  কোষঝিল্লি কোষের আকৃতি বজায় রাখে, পানি ও পুষ্টি উপাদানের প্রবেশ ও বেরোনো নিয়ন্ত্রণ করে।
  • সাইটোপ্লাজম
  • কোষের অঙ্গাণুগুলিকে ধারণ করে এবং কোষের বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।
  • নিউক্লিয়াস কোষের জিনগত তথ্য ধারণ করে এবং কোষের বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • রাইবোজোম প্রোটিন সংশ্লেষণ করে।
  • মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের শক্তি কেন্দ্র, শ্বসন প্রক্রিয়া করে কোষের জন্য শক্তি উৎপাদন করে।
  • গলজিবস্তু প্রোটিন পরিপক্ক করে, কোষের বাইরে নিঃসরণের জন্য প্রস্তুত করে।
 

কোন কোন উপাদান শুধু উদ্ভিদ বা প্রাণিকোষে  থাকে? এদের কাজ কি?

শুধুমাত্র উদ্ভিদকোষে থাকে-

কোষপ্রাচীর-জীবানুর আক্রমন থেকে রক্ষা করে।
ক্লোরোপ্লাস্ট– উদ্ভিদের খাদ্য তৈরী করে।
ভ্যাকিউল- কোষকে স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
 

শুধুমাত্র প্রানীকোষে থাকে-

লাইসোজোম- কোষের পরিপাক ব্যবস্থা।
সেন্ট্রিওল– কোষ বিভাজনে সহায়তা করে।
 

উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের অঙ্গাণুর মধ্যে মিল-অমিল লেখ।

উত্তর: উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের সাদৃশ্যঃ
  • উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয় কোষেই নিউক্লিয়াস আছে।
  • উভয় কোষেই গলজি বডি আছে।
  • উভয় কোষেই আন্তঃপ্লাজমীয় জালিকা আছে।
  • উভয় কোষেই মাইটোকন্ড্রিয়া জালিকা আছে।
  • উভয় কোষেই সাইটোপ্লাজম আছে।
  • উভয় কোষেই কোষ ঝিল্লি আছে।

উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের অঙ্গাণুর মধ্যে মিল-অমিল

উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের বৈসাদৃশ্যঃ

উদ্ভিদকোষ

প্রাণিকোষ

উদ্ভিদকোষে কোষ প্রাচীর আছে

প্রাণীকোষে কোষ প্রাচীর নাই

উদ্ভিদকোষে প্লাস্টিড আছে

প্রাণীকোষে প্লাস্টিড নাই

সেন্ট্রিওল থাকেনা (নিম্নশ্রেণীর কিছু উদ্ভিদকোষ ছাড়া)

সেন্ট্রিওল থাকে

উদ্ভিদকোষের নিউক্লিয়াস একপাশে থাকে।

প্রাণীকোষের নিউক্লিয়াস কেন্দ্রে থাকে

সঞ্চিত খাদ্য-স্টার্চ

সঞ্চিত খাদ্য-গ্লাইকোজেন

উদ্ভিদ কোষে কোষগহ্বর আছে

প্রাণীকোষে নাই থাকলেও আকারে অনেক ছোট।

মাইক্রোভিলাই থাকেনা

কোষঝিল্লীতে মাইক্রোভিলাই থাকে

লাইসোসোমের উপস্থিতি বিরল

লাইসোসোম থাকে

একটা উদ্ভিদ কোষ এবং প্রাণী কোষের মাঝে কোন পার্থক্যটি তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি চমকপ্রদ মনে হয় কেন?

উত্তর: উদ্ভিদ কোষ এবং প্রাণী কোষের মধ্যে পার্থক্য হল কোষ প্রাচীরের উপস্থিতি। কোষ প্রাচীর হল একটি শক্ত, বাইরের স্তর যা উদ্ভিদ কোষকে ঘিরে থাকে। এটি উদ্ভিদ কোষকে রক্ষা করে এবং তাদের আকৃতি দেয়। প্রাণী কোষে কোষ প্রাচীর থাকে না,কিন্তু কোষঝিল্লি থাকে।এ পার্থক্যটি আমার কাছে চমকপ্রদ মনে হয়েছে।

 

মাইটোকন্ড্রিয়া সম্পর্কে লিখ। (পৃষ্ঠা -৩০)

কোষ পরিভ্রমণউত্তর: মাইটোকন্ড্রিয়া হলো কোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গাণু। এখানে শ্বসন প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদনের কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন হয়। এটি উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষের সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করে। এটি বৃত্তাকার, দন্ডাকার, কুন্ডলী আকার হতে পারে।
গঠন : প্রতিটি মাইটোকন্ড্রিয়া দুই স্তরবিশিষ্ট আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে। এই ঝিল্লিটি প্রোটিন ও লিপিড দিয়ে তৈরি। মাইটোকন্ড্রিয়ার ঝিল্লির বাইরের আবরণটি মসৃণ, কিন্তু ভেতরের আবরণটি স্থানে স্থানে ভাঁজ হয়ে ভেতরের দিকে ঝুলে থাকে। এ ভাঁজগুলোকে ক্রিস্টি বলা হয়। মাইটোকন্ড্রিয়ার ভেতরের অর্ধতরল দানাদার পদার্থকে ম্যাট্রিক্স বলা হয়। মাইটোকন্ড্রিয়ার নিজস্ব ডিএনএ আছে, যা  ম্যাট্রিক্স-এ অবস্থান করে।
মাইটোকন্ড্রিয়ার কাজ : কোষের জৈবিক কাজ পরিচালনার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন তার একমাত্র উৎস মাইটোকন্ড্রিয়া। তাই একে কোষের শক্তিঘর বা পাওয়ার হাউস বলে। সমস্ত অক্সিজেন পরিবহন ও শ্বসন কাজ পরিচালনায় এটি প্রধান ভূমিকা পালন করে।
 

ক্লোরোপ্লাস্ট-এর গঠন ও কাজ বর্ণনা কর। (পৃষ্ঠা ৩৩)

উত্তর: সবুজ ক্লোরোফিলযুক্ত প্লাস্টিডকে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে।
কেবল উদ্ভিদ কোষেই ক্লোরোপ্লাস্ট পাওয়া যায়। উদ্ভিদের পাতা, ফুল, ফল ইত্যাদিতে এটা দেখা যায়।উচ্চ শ্রেণির উদ্ভিদ কোষে ক্লোরোপ্লাস্টের আকৃতি লেন্সের মতো হয়।
গঠন : ক্লোরোপ্লাস্টের প্রাচীর দুই স্তরবিশিষ্ট। বাইরের স্তরকে বহিঃস্তর এবং ভেতরের স্তরকে অন্তঃস্তর বলে। অন্তঃস্তরের ভিতরে কতকগুলো পিপা সদৃশ চাকতি আকৃতির মতো অংশ রয়েছে। এদেরকে গ্রানাম বলে। চাকতিগুলো একটির উপর একটি স্তূপের ন্যায় সজ্জিত থাকে। একে গ্রানাম চক্র বা থাইলাকয়েড বলে। পাশাপাশি দুটি থাইলাকয়েডের মধ্যকার সংযোগকারী অংশকে লুমেন বলে। ক্লোরোপ্লাস্টের অভ্যন্তরের তরল পানিগ্রাহী অংশকে ম্যাট্রিক্স বা স্ট্রোমা বলে।
কাজ :
  • সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করা।
  • ফুল, পাতা ও ফলকে রঙিন করে কীটপতঙ্গকে আকৃষ্ট করে যেন পরাগায়ন সহজ হয়।
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী

চতুর্থ সেশন ঃ

জীব বড় হয় কীভাবে? (পৃষ্ঠা ৩৫)

উত্তর: কোষ হলো জীবের গঠন।ও কাজের একক।কোষ ২ ধরনের- দেহকোষ এবং জননকোষ।প্রতিটি জীবের দেহ দেহকোষ দ্বারা গঠিত। এই দেহ কোষের সংখ্যা কোষ বিভাজনের মাধ্যমে বৃদ্ধি ঘটে,ফলে জীবদেহের সামগ্রিক বৃদ্ধি ঘটে এবং জীব বড় হয়।
 

আমাদের ত্বক কেটে গেলে আবার কিছুদিন পর সেরে গিয়ে নতুন ত্বকের সৃষ্টি হয় কীভাবে? (পৃষ্ঠা ৩৫)

উত্তর: আমরা জানি আমাদের দেহের কোষ সংখ্যায় বৃদ্ধি পায় এবং নতুন কোষ সৃষ্টি হয় বিভাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।আমাদের ত্বক কেটে গেলে সেখানে আবার কিছুদিন পর সেরে গিয়ে নতুন ত্বকের সৃষ্টি হয় মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে। মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় কেটে যাওয়া স্থানে নতুন কোষ সৃষ্টি হয় এবং ক্ষত পূরণ হয়ে নতুন ত্বকের সৃষ্টি হয়।
 

টিউমার কীভাবে ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে? ব্যাখ্যা কর। (পৃষ্ঠা ৩৫)      

                                       অথবা,

আমাদের শরীরে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে কোষের মৃত্যু হয়। সময় মতো মৃত্যু না হলে আমাদের কী সমস্যা হতে পারে? এই ছন্দপতন কেন হয় এবং তা ঠেকানোর জন্য আমাদের কী করণীয়?

উত্তর: কোষ বিভাজন অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত একটি প্রক্রিয়া।জীবদেহের সামগ্রিক বৃদ্ধিতে কোষ বিভাজনের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে যেকোনো জীবের কোষের সংখ্যা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়া বিপদজনক । যদি কোনো কোষ অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে সংখ্যায় বাড়তে থাকে, তবে তা জীবের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এরকম ক্ষতিকর পরিণতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হচ্ছে ক্যান্সার। মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় একটি থেকে দুটি, দুটি থেকে চারটি, এভাবে কোষ বিভাজিত হয়ে।নতুন কোষের সৃষ্টি হয়। সংখ্যাবৃদ্ধি করার প্রক্রিয়ায় একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে কোষগুলোর মৃত্যু হয়। এভাবে জীবের কোষের সংখ্যার একটি ভারসাম্য রক্ষা হয়। কিন্তু যদি কোনো কারণে কোষের মৃত্যু না হয়, অথচ নতুন নতুন কোষ তৈরি হতেই থাকে, তবে শরীরে টিউমার হতে পারে, যা এক পর্যায়ে ক্যান্সারের রূপ গ্রহণ করে।


কোষ বিভাজনে ছন্দপতনের কারণঃ 

  • জিনগত ত্রুটি,
  • পরিবেশগত কারণ,
  • রাসায়নিক পদার্থ,
  • ভাইরাস,
  • বিকিরণ।
প্রতিরোধের উপায়ঃ
১ জীবনধারাগত পরিবর্তন:
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
  • ধূমপান ও অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকা
  • সময়মতো পর্যাপ্ত ঘুম
  • মানসিক চাপ কমানো
২ চিকিৎসা:

  • অ্যান্টি-ক্যান্সার ওষুধ
  • রেডিওথেরাপি/কেমোথেরাপি
  • জিন থেরাপি

৩ প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ:

  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
  • ক্যান্সারের টিকা গ্রহণ
  • জিনগত পরীক্ষা (প্রয়োজনে)

৪ সচেতনতা বৃদ্ধি:

  • ক্যান্সার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন
  • সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা।


Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7 Tagged With: আমাদের ত্বক কেটে গেলে আবার কিছুদিন পর সেরে গিয়ে নতুন ত্বকের সৃষ্টি হয় কীভাবে?, উদ্ভিদ ও প্রাণীকোষে কী কী কোষ অঙ্গাণু আছে?, উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের অঙ্গাণুর মধ্যে মিল-অমিল লেখ।, কোষ পরিভ্রমন, ক্লোরোপ্লাস্ট-এর গঠন ও কাজ বর্ণনা কর, জীব বড় হয় কীভাবে?, টিউমার কীভাবে ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে? ব্যাখ্যা কর।, নিউক্লিয়াসের গঠন ও কাজ ব্যাখ্যা কর।, প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া ও নিউক্লিয়াসে কী কী বিদ্যমান?, মাইটোকন্ড্রিয়া সম্পর্কে লিখ

পদার্থের সুলুকসন্ধান ২০২৪।সপ্তম শ্রেণী|বিজ্ঞান অনুশীলন বই।

2024/2/7 by veg_admin 5 Comments

পদার্থের সুলুকসন্ধান

পদার্থের সুলুকসন্ধান! অর্থাৎ পদার্থের খোঁজখবর। এই যে আমাদের চারপাশে এত বস্তু আমরা দেখি তার ভেতরকার গঠন আসলে কেমন? পদার্থকে আমরা যদি ভাঙতে থাকি, তাহলে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর পর্যায়ে গিয়ে আমরা আসলে কী দেখব? ঠিক কী কারণে আমরা একেক পদার্থে একেক রকম বৈশিষ্ট্য দেখি? এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আমাদের এবারের শিখন অভিজ্ঞতা ‘পদার্থের সুলুকসন্ধান!’পদার্থের সুলুকসন্ধান

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশন ঃ

ধাতুঃ যে সকল পদার্থ চকচকে, আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ করে এবং তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী সেগুলোকে ধাতু বলে। যেমন: স্টিল, লোহা, তামা, আলুমিনিয়াম ইত্যাদি।

অধাতুঃ যে সকল পদার্থ চকচকে নয়, ভঙ্গুর, আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ করে না এবং তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী নয় সেগুলোকে অধাতু বলে। যেমন: কাঠের বস্তু, প্লাস্টিকের বস্তু, কাপড় ইত্যাদি।

বস্তুর নাম

বস্তুটি যে
পদার্থ দিয়ে তৈরি

বস্তুটির
বাহ্যিক অবস্থা (কঠিন / তরল / বায়বীয়
 

বস্তুটির
বৈশিষ্ট্য কী কী (ভঙ্গুর কিনা
, আঘাত করলে ঝনঝন
শব্দ হয় কিনা
, চকচকে কিনা
ইত্যাদি

বস্তুটি কি কাজে
লাগে
?

কড়াই

লোহা

কঠিন

ভঙ্গুর কিনা = না
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = হ্যা
চকচকে কিনা = হ্যা

খাবার রাখা বা রান্না করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 

ফ্যান

লোহা

কঠিন

ভঙ্গুর কিনা = না
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = হ্যা
চকচকে কিনা = হ্যা

ঘর ঠাণ্ডা বা
শীতল করতে ব্যবহৃত হয়।
 

হাড়ি

এলুমিনিয়াম/দস্তা/স্টীল

কঠিন

ভঙ্গুর কিনা = না
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = হ্যা
চকচকে কিনা = হ্যা

খাবার রাখা বা রান্না করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 

চেয়ার/টেবিল

কাঠ

কঠিন

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

বসার জন্য
ব্যবহৃত হয়।

টুল/বেঞ্চ

কাঠ

কঠিন

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

বসার জন্য
ব্যবহৃত হয়।

হোয়াইট  বোর্ড

প্লাস্টিক 

কঠিন

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

লেখার জন্য
ব্যবহৃত হয়।

ডাস্টার

প্লাস্টিক,কাঠ ও কাপড়

কঠিন 

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

লেখা মুছার জন্য ব্যবহৃত হয়।

কলম

প্লাস্টিক 

কঠিন 

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

লেখার জন্য
ব্যবহৃত হয়।

এল.ই.ডি লাইট

প্লাস্টিক 

কঠিন 

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

ঘর আলোকিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 

থালা-বাসন

প্লাস্টিক 

কঠিন 

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

খাবার রাখার
জন্য ব্যবহৃত হয়।

সুইচ বোর্ড

প্লাস্টিক 

কঠিন 

ভঙ্গুর কিনা = হ্যাঁ
আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় কিনা = না
চকচকে কিনা = না

বিদ্যুৎ সংযোগের
কাজে ব্যবহৃত হয়।

গরম হাঁড়ি-পাতিল ধরতে গেলে কাঠের হাতল বা কাপড়ের হাতা ব্যবহার করা হয়, কেন?

উত্তর : গরম হাঁড়ি-পাতিল ধরতে গেলে কাঠের হাতল বা কাপড়ের হাতা ব্যবহার করা হয়। কারণ কাঠ বা কাপড় তাপ পরিবহন করে না। তাই এটি সহজে গরম হয় না। ফলে এগুলো দিয়ে গরম হাঁড়ি-পাতিল ধরলে হাত পুড়ে যায় না।

বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য যে তার ব্যবহার করা হয় তার উপরের স্তর প্লাস্টিকের হলেও ভেতরে তামার তার ব্যবহৃত হয়, সেটাই বা কেন?

উত্তর: বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য যে তার ব্যবহৃত হয় তার ভিতরে থাকে তামার তার যা বিদ্যুৎ পরিবহন করে। সরাসরি তামার তার যদি বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহার করা হয়, তবে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে তামার তারের উপরে প্লাস্টিকের স্তর দেওয়া হয়, কারণ প্লাস্টিক বিদ্যুৎ অপরিবাহী। যার ফলে সহজে কোন দুর্ঘটনা ঘটে না।

কেন কাঠ, প্লাস্টিক বা কাপড় যে বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, তার থেকে অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল, লোহা, তামা এদের ধর্ম আলাদা হয়?

উত্তর: কাঠ, প্লাস্টিক বা কাপড় হলো অধাতু। এরা তাপ ও বিদ্যুৎ অপরিবাহী। এদের আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় না। অন্যদিকে অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল, তামা হলো ধাতু। এরা তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী। এরা দেখতে চকচকে এবং আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয়।

উপরের ছকের বস্তুগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে নিচের শর্ত অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করোঃ

বস্তুর
নাম

কী
দিয়ে তৈরি
? 

ধা্তু নাকি অধাতু

তাপ পরিবহন করে কিনা?

বিদ্যুৎ পরিবহন করে কিনা।

চেয়ার/টেবিল

কাঠ

অধাতু

না/তাপ অপরিবাহী

না/বিদ্যুৎ অপরিবাহী

কাপড় 

সুতা

অধাতু

না/তাপ অপরিবাহী

না/বিদ্যুৎ অপরিবাহী

তামার তার

তামা

ধাতু

হ্যাঁ/তাপ সুপরিবাহী

হ্যাঁ/বিদ্যুৎ সুপরিবাহী

হাড়ি

লোহা

ধাতু

হ্যাঁ/তাপ সুপরিবাহী

হ্যাঁ/বিদ্যুৎ সুপরিবাহী

স্টিল 

স্টিল 

ধাতু

হ্যাঁ/তাপ সুপরিবাহী

হ্যাঁ/বিদ্যুৎ সুপরিবাহী

লোহা

লোহা

ধাতু

হ্যাঁ/বিদ্যুৎ সুপরিবাহী

হ্যাঁ/বিদ্যুৎ সুপরিবাহী

প্লাস্টিকের
পদার্থ
 যেমন বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড

প্লাস্টিক 

অধাতু

না/বিদ্যুৎ অপরিবাহী

না/বিদ্যুৎ অপরিবাহী

 

যেসব পদার্থ বিদ্যুৎ ও তাপ পরিবহন করে, তাদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যগুলো কী? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১৯)

উত্তর: বিদ্যুৎ ও তাপ পরিবাহী পদার্থের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য-
১. সাধারণত উজ্জ্বল হয়।
২. এগুলো সাধারণত শক্ত ও ওজনে ভারী হয়।
৩. আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয়।
৪. এগুলো ঘাতসহ ও নমনীয় ।
৫. এগুলোকে পিটিয়ে পাতলা পাতে ও সরু তারে পরিণত করা যায়।
 

কেন কিছু কিছু পদার্থ দিয়ে তৈরি বস্তু তাপ পরিবহন করে আবার কিছু বস্তু করে না? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১৯)

উত্তর: ধাতু জাতীয় পদার্থের পরমাণুগুলোর শেষ কক্ষপথে যে ইলেকট্রন থাকে সেগুলো সাধারণত খুব দুর্বলভাবে আটকে থাকে বা মুক্ত অবস্থায় থাকে। ধাতব স্ফটিকে এরকম মুক্তভাবে থাকা ইলেক্ট্রনকে সঞ্ছারনশীল ইলেক্ট্রন বলে। ফলে খুব সহজেই সেটি এক পরমাণু থেকে অন্য পরমাণুতে যেতে পারে। এই মুক্ত ইলেকট্রন দিয়ে তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহন হয়ে থাকে। অধাতুর পরমাণুর শেষ কক্ষপথে সঞ্ছারনশীল  ইলেকট্রন নেই, তাই সেখানে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করার জন্য কোনো মুক্ত ইলেকট্রন নেই। তাই অধাতু তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহন করে না।
Read More: সূর্যালোকের রান্না-সপ্তম শ্রেণী
Read More: ফসলের ডাক-সপ্তম শ্রেণী

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশন ঃ

পরমাণু মডেলে ইলেক্ট্রনগুলো কয়টি কক্ষপথে সাজানো আছে, পারমানবিক ভর, সংখ্যা ইত্যাদিঃ

ধাতু ও অধাতুর পার্থক্যঃ (পৃষ্ঠা নং ২১)

ধাতু

অধাতু

১. সাধারণত উজ্জ্বল হয়

১. সাধারণত উজ্জ্বল নয়

২. সাধারণত শক্ত ও ওজনে ভারী হয়।

 

২. সাধারণত নরম ও ওজনে তুলনামূলক কম ভারী হয়।

৩. ধাতুকে আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয়।

৩. অধাতুকে আঘাত করলে ঝনঝন শব্দ হয় না।

৪. তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী।

 

৪. তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী নয়।

৫. ঘাতসহ ও নমনীয়। একে পিটিয়ে পাতলা পাতে ও সরু তারে পরিণত করা যায়।

৫. অধাতুকে পিটিয়ে পাতলা পাতে কিংবা সরু তারে পরিণত করা যায় না।

 

পরিবাহী পদার্থ বলতে কী বুঝ?

উত্তর: যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহন হয়, তাদেরকে পরিবাহী বলে। যেমন- লোহা(Fe), তামা(Cu), নিকেল(Ni), সোনা(Au) রূপা(Ag),আলুমিনিয়াম(Al) ইত্যাদি।

অপরিবাহী পদার্থ কাকে বলে?

উত্তর: উত্তর: যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহন হয় না, তাদেরকে অপরিবাহী বলে। যেমন- সালফার(S), ফসফরাস(P), নাইট্রোজেন(N) ইত্যাদি।

অর্ধপরিবাহী পদার্থ কাকে বলে?

উত্তর: যেসব পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা সাধারণ তাপমাত্রায় পরিবাহী ও অপরিবাহী পদার্থের মাঝামাঝি সেসব পদার্থকে অর্ধপরিবাহী বলে। যেমন- জার্মেনিয়াম, সিলিকন(Si)ইত্যাদি।

ইলেকট্রন বিন্যাসের কোন পার্থক্যের কারণে ধাতু বেশি তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী হয়?

উত্তর: ধাতব স্ফটিকে ধাতব বন্ধন থাকে। ধাতব পরমাণুগুলো এদের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তর থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন ত্যাগ করে।ধাতুর পরমাণুসমূহ যে ইলেকট্রন ত্যাগ করে  সেই ইলেকট্রনগুলো ধাতব স্ফটিকের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানে মুক্তভাবে চলাচল করে।এদেরকে সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন বলে।

সঞ্চারণশীল ইলেকট্রনগুলো কোন ধাতব পরমাণুর সাথে নির্দিষ্টভাবে যুক্ত থাকে না। এই সঞ্চারণশীল ইলেকট্রন যেহেতু সমস্ত ধাতব স্ফটিকের উপর মুক্তভাবে চলাচল করার কারনে এরা তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহনে সহায়তা করে।এজন্য ধাতুসমূহ তাপ এবং বিদ্যুৎ সুপরিবাহী হয়।

দৈনন্দিন জীবনে তাপ ও বিদ্যুৎ সম্পর্কিত কাজের উদাহরণঃ

যে কাজে প্রয়োজন (উদাহরণ) চুলায় রান্না

ধাতু/অধাতু
কোনটি বেশি উপযোগী
? উদাহরণ: ধাতু, যেমন-অ্যালুমিনিয়াম,স্টিল, লোহা ইত্যাদি

বৈদ্যুতিক তার

ধাতু যেমন- তামা, নাইক্রোম, টাংস্টেন

বৈদ্যুতিক বাল্ব

ধাতু যেমন- টাংস্টেন, অধাতু-প্লাস্টিক

পাখা চালানো

ধাতু

তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র

ধাতু যেমন- পারদ

ব্যাটারী তৈরী

ধাতু যেমন- পিতল, দস্তা, তামা। অধাতু-কয়লা, কার্বন

জেনারেটর চালানো

ধাতু

কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের পরমাণুগুলো কীভাবে বিন্যাস্ত থাকে?

উত্তর : কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থের পরমাণুগুলো কীভাবে বিন্যাস্ত থাকে তা নিচে আলোচনা করা হলোঃ
কঠিন: কঠিন পদার্থের কণাগুলো খুব কাছাকাছি এবং নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকে, একটির সাপেক্ষে অন্যটি নড়তে পারে না,কিন্তু কম্পন থাকে। তাই কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার হয়। কাছাকাছি থাকার কারণে কঠিন পদার্থের উপর চাপ প্রয়োগ করলে এগুলো সংকুচিত হয় না এবং গ্যাস কিংবা তরলের মতো প্রবাহিত করা যায় না।
 
তরল: পদার্থ যখন তরল অবস্থায় থাকে তখন কণাগুলো তুলনামূলকভাবে কাছে হলেও একটা কণা অন্য কণার সাপেক্ষে নড়তে পারে, তাই সেগুলোর নির্দিষ্ট আয়তন থাকলেও কোনো নিয়মিত আকার নেই এবং তরল সহজেই প্রবাহিত হয়। তরল পদার্থকে যে পাত্রে রাখা হয় তরল পদার্থ সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। তরল পদার্থের কণাগুলো কাছাকাছি থাকায় সেগুলোর মধ্যে ফাঁকা জায়গা নেই বলে চাপ দিয়ে সংকুচিত করা যায় না।
 
গ্যাসীয়: যখন কোনো পদার্থ গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে, তখন তার কণাগুলো মুক্ত অবস্থায় থাকে এবং একটি থেকে অন্যটির দূরত্ব হয় বেশি। সেজন্য সেগুলোর কোনো নিয়মিত আকার বা আয়তন নেই, গ্যাসকে যে পাত্রে রাখা হয়, সেই পাত্রের পুরো আয়তন দখল করে।
 
গ্যাসের কণাগুলো একে অপর থেকে অনেক দূরে দূরে অবস্থান করে তাই চাপ প্রয়োগ করে এগুলোকে সহজেই সংকুচিত করা যায়। গ্যাসের কণাগুলো অন্য কণার সাপেক্ষে ছুটতে পারে বলে গ্যাস সহজেই প্রবাহিত হয়।
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম ও ষষ্ট সেশন ঃ

পানি কিভাবে আগুন নেভাতে সাহায্য করে?

 উত্তর: আগুনের সংস্পর্শে পানি গেলে আগুনের তাপে পানি বাষ্পে পরিণত হয়। এই বাষ্প অক্সিজেনকে আগুনের সংস্পর্শে যেতে বাঁধা দেয়। আর আমরা সকলেই জানি অক্সিজেন ছাড়া আগুন জ্বলতে পারেনা। এভাবেই পানি আগুন নেভায়।
 

কার্বন ডাই অক্সাইড কীভাবে আগুন নেভাতে সাহায্য করে? 

উত্তর: কার্বন ডাই অক্সাইড নিজে দাহ্য নয় এবং দহনে সাহাহ্য ও করেনা। বাতাসে যদি অক্সিজেনের ঘনত্ব বেশি থাকে তাহলে আগুন বেড়ে যায় আর যদি কার্বন – ডাইঅক্সাইডের ঘনত্ব বেশি থাকে তবে আগুন নিভে যায়।
 

পদার্থ কী?

পদার্থ: যে সকল বস্তুর ভর ও নির্দিষ্ট আয়তন আছে ,বল প্রয়োগে বাঁধা প্রদান করে,তাদেরকে পদার্থ বলে।
 

মৌলিক পদার্থ কী?

উত্তর: যেসকল পদার্থকে ভাঙ্গলে ঐ পদার্থ ছাড়া অন্যকোন পদার্থ পাওয়া যায় না তাকে মৌলিক পদার্থ বলে। যেমন: কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O)
 

যৌগিক পদার্থ কাকে বলে?

 উত্তর:যে সকল পদার্থকে ভাঙ্গলে দুই বা দুইয়ের অধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায় তাকে যৌগিক পদার্থ বলে। যেমন: পানি (H2O), কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) 
যৌগিক পদার্থের ধর্ম হচ্ছে সেটি যে মৌলিক পদার্থ দিয়ে তৈরি তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়।
 

পদার্থ

স্বাভাবিক তাপমাত্রায় অবস্থা (কঠিন/তরল/ বায়বীয়)

আগুনে দাহ্য কিনা

অন্যান্য বৈশিষ্ট্য (স্বাদ/গন্ধ/বর্ণ) যদি জানা থাকে

অক্সিজেন(O2)

বায়বীয়

হ্যা

স্বাদহীন, গন্ধহীন, বর্ণহীন

হাইড্রোজেন(H2)

বায়বীয়

হ্যা

স্বাদহীন, গন্ধহীন, বর্ণহীন

পানি(H2O)

তরল

না

স্বাদহীন, গন্ধহীন, বর্ণহীন

কার্বন ডাই অক্সাইড (C02)

বায়বীয়

না

স্বাদহীন, গন্ধহীন, বর্ণহীন

কার্বন (C)

কঠিন 

হ্যা

স্বাদহীন, গন্ধহীন।

মিশ্রণ কি?

মিশ্রণ: দুই বা ততোধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ একত্রে অবস্থান করাকে মিশ্রণ বলে।
যেমন: বায়ু (নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড বা বাষ্প ইত্যাদি থাকে), লবণ এবং পানির মিশ্রণ , চিনি-লবণ মিশ্রণ।
 
নোটঃ মিশ্রনের উপাদানগুলোর নিজ নিজ ধর্ম বজায় থাকে। একাধিক মৌল বা যৌগ রাসায়নিকভাবে যুক্ত হয় না।
যেমন: ঝালমুড়িতে বিভিন্ন উপাদানের(মুড়ি,চানাচুর,পেয়াজ,মরিচ,ইত্যাদি)  মিশ্রণ থাকে যারা একে অপরের সাথে মিশ্রিত অবস্থায় থাকলেও নতুন কোন যৌগের সৃষ্টি হয়না।দ্রবনও এক প্রকারের মিশ্রণ। তবে দ্রবনএবং মিশ্রনের পার্থক্য হলো দ্রবনের উপাদান গুলো আলাদা করা যায় না,মিশ্রনের উপাদানগুলোকে আলাদা করা যায়।
 

বিশুদ্ধ পদার্থ কি?

বিশুদ্ধ পদার্থ: যে পদার্থগুলোর মধ্যে একাধিক পদার্থ মিশে থাকে না তাদেরকে বিশুদ্ধ পদার্থ বলে।
যেমন: পানি, চিনি, লবণ, কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজন, হাইড্রোজেন ইত্যাদি ।
 

পদার্থ

স্বাভাবিক তাপমাত্রায় অবস্থা (কঠিন/তরল/বায়বীয়)

আগুনে দাহ্য কিনা?

অন্যান্য বৈশিষ্ট্য (স্বাদ, বর্ণ, গন্ধ)

পানি

তরল

না

স্বাদহীন,বর্ণহীন, গন্ধহীন

লবন/চিনি

কঠিন (লবণ)

না

নোনতা,গন্ধহীন, বর্ণঃ সাদা,লাল,নীল, সবুজ ইত্যাদি।

লবন/চিনি

কঠিন ( চিনি)

না

মিষ্টি,গন্ধহীন, বর্ণঃ সাদা, লাল, বাদামী

পানি ও লবন/চিনি মিশ্রনে তৈরী সরবত

তরল

না

চিনি ও লবনের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে

 

মৌল বা যৌগের সংকেত

কোণ মৌলের কয়টি পরমাণু রয়েছে?

CO

কার্বন ১টি, অক্সিজেন ১টি

H2SO4

হাইড্রোজেন ২টি, সালফার ১টি, অক্সিজেন ৪টি

O3

অক্সিজেন ৩টি

N2O

নাইট্রোজেন ২টি,অক্সিজেন ১টি

Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী

সপ্তম ও অষ্টম  সেশনঃ

খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য হওয়ার কারণ কী?

★খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য হওয়ার কারণ:

সূর্যের উচ্চতা সারাদিন পরিবর্তিত হয়। সূর্যোদয়ের সময়, সূর্য দিগন্তের কাছাকাছি থাকে এবং ছায়া দীর্ঘ হয়। দুপুরের সময়, সূর্য আকাশে সবচেয়ে উঁচুতে থাকে এবং ছায়া সবচেয়ে ছোট হয়। সূর্যাস্তের সময়, সূর্য আবার দিগন্তের কাছাকাছি চলে আসে এবং ছায়া আবার দীর্ঘ হয়।

*মৌলিক পদার্থ, যৌগিক পদার্থ এবং মিশ্রনের অনু,পরমাণুগুলো কিভাবে বিন্যস্ত থাকে? এবং এদের পার্থক্য কী?

অনু পরমাণু গুলোর বিন্যাস:

মৌলিক পদার্থ: একই রকম পরমাণুগুলি নিয়মিতভাবে সাজানো থাকে।কেলাস, ঘনক্ষেত্র, ষড়ভুজাকার ইত্যাদি কাঠামো তৈরি করে।
যৌগিক পদার্থ: ভিন্ন ধরনের পরমাণুগুলি নির্দিষ্ট অনুপাতে সাজানো থাকে।নির্দিষ্ট আকার এবং আকৃতির অণু তৈরি করে।
মিশ্রণ: উপাদানগুলির অনু পরমাণু গুলোর কোন নির্দিষ্ট বিন্যাস থাকে না।উপাদানগুলি এলোমেলোভাবে মিশ্রিত থাকে।


মৌলিক পদার্থ, যৌগিক পদার্থ এবং মিশ্রনের মধ্যে পার্থক্যঃ

বৈশিষ্ট্য

মৌলিক পদার্থ

যৌগিক পদার্থ

মিশ্রণ

উপাদান

একই রকম পরমাণু

ভিন্ন ধরণের
পরমাণু

ভিন্ন ধরণের
পদার্থ

অনুপাত

নির্দিষ্ট

নির্দিষ্ট

নির্দিষ্ট নয়

বন্ধন

রাসায়নিক বন্ধন

রাসায়নিক বন্ধন

শারীরিক বন্ধন

বিভাজন

ভাঙ্গা যায়না

ভাঙ্গা যায়

আলাদা করা
যায়

উদাহরণ

অক্সিজেন,
হাইড্রোজেন

পানি, কার্বন
ডাই অক্সাইড

বাতাস, ব্রোঞ্জ,
লবণাক্ত জল

তোমার দল একই পানি এবং পানি লবনের মিশ্রণের স্ফুটনাংক একাধিকবার পরিমাপ করলে ফলাফল কী হুবহু একই এসেছে? 

একই পানি এবং পানি লবনের মিশ্রণের স্ফুটনাংক একাধিকবার পরিমাপ করলে ফলাফল প্রতিবার একই হবে।
কারণ, স্ফুটনাংক হলো একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা যেখানে কোন পদার্থের বাষ্পচাপ তরলের চাপের সমান হয়। পানি এবং পানি লবনের মিশ্রণের ক্ষেত্রে, স্ফুটনাংক নির্ভর করে মিশ্রণে লবণের পরিমাণের উপর।


*সকল দল একই পানি এবং পানি লবনের মিশ্রণের স্ফুটনাংক  পরিমাপ কি একই হয়েছে নাকি আলাদা?

বিভিন্ন দল একই পানি এবং পানি-লবনের মিশ্রণের স্ফুটনাংক একাধিকবার পরিমাপ করলে ফলাফল একেবারে একই না এলেও খুব কাছাকাছি এসেছে।

*কেন একই পদার্থ হওয়ার পরেও স্ফুটনাংক হুবহু একই হলোনা ?

ফলাফলের ভিন্নতা আসার কারণ হতে পারে-
  • পরিমাপের ত্রুটি,
  • যন্ত্রপাতির ত্রুটি,
  • মানুষের ত্রুটি,
  • পরিবেশগত প্রভাব।

কি প্রক্রিয়ায় এই পরমাপ করা হয়েছে? কোন দলের ফলাফল সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য?

তাপীয় উৎস যেমন হিটার ব্যবহার করে পানি উত্তপ্ত করা হয়। পানি ফুটতে শুরু করলে রাসায়নিক থার্মোমিটার ব্যবহার করে রিডিং নেয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটি লবনপানি মিশ্রনের জন্য পুনরাবৃত্তি করা হয়।

যে দলটি সাবধানতার সাথে পরিমাপ করে এবং নির্ভরযোগ্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তাদের ফলাফল বেশি নির্ভরযোগ্য।ফলাফলের নির্ভুলতা নিশ্চিত করার জন্য একাধিকবার পরীক্ষা করা উচিত।
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান - নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী
Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7 Tagged With: কার্বন ডাই অক্সাইড কীভাবে আগুন নেভাতে সাহায্য করে?, কেন কাঠ, কেন কিছু কিছু পদার্থ দিয়ে তৈরি বস্তু তাপ পরিবহন করে আবার কিছু বস্তু করে না?, কেন?, গরম হাঁড়ি-পাতিল ধরতে গেলে কাঠের হাতল বা কাপড়ের হাতা ব্যবহার করা হয়, তাদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যগুলো কী?, তামা এদের ধর্ম আলাদা হয়?, তার থেকে অ্যালুমিনিয়াম, ধাতু ও অধাতুর পার্থক্যঃ, পদার্থ কী?, পদার্থের বৈশিষ্ট্য, পদার্থের সুলুকসন্ধান, পরমাণু মডেল, পরিবাহী পদার্থ বলতে কী বুঝ?, পানি কিভাবে আগুন নেভাতে সাহায্য করে?, প্লাস্টিক বা কাপড় যে বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য যে তার ব্যবহার করা হয় তার উপরের স্তর প্লাস্টিকের হলেও ভেতরে তামার তার ব্যবহৃত হয়, বিশুদ্ধ পদার্থ কি?, মিশ্রণ কি?, মৌলিক পদার্থ কী?, যেসব পদার্থ বিদ্যুৎ ও তাপ পরিবহন করে, যৌগিক পদার্থ কাকে বলে?, লোহা, সেটাই বা কেন?, স্টিল

ফসলের ডাক ২০২৪।সপ্তম শ্রেণী। বিজ্ঞান অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin 6 Comments

কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে?

এই পোস্টে আমরা সপ্তম  শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ১ম শিখন অভিজ্ঞতা- ফসলের ডাক সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে ?

বৈচিত্র‍্যময় ছয় ঋতুর বাংলাদেশের মাটিতে ফলে নানা রকম ফল ও সবজি। আমাদের দেশে খরিপ-১, খরিপ-২ ও রবি এ তিন মৌসুমে চাষাবাদ হয়ে থাকে। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়।

 
কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে ?

কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে ?

উত্তর: ফসলের মৌসুমকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়।
 ১। রবি মৌসুম: আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস (অক্টোবর’এর মাঝামাঝি থেকে মধ্য মার্চ)
 ২। খরিপ ১ মৌসুম: ফাল্গুন মাস থেকে আষাঢ় মাস (মার্চ‘এর মাঝামাঝি থেকে জুলাই পর্যন্ত)

৩। খরিপ ২ মৌসুম: আষাঢ় মাস থেকে ভাদ্র মাস (জুলাই ‘এর মাঝামাঝি থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর)। 

রবি মৌসুমে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা কম থাকে। বৃষ্টিপাতও কম হয়। এ সময় শীতকালীন শাকসবজি যেমন-ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, লাউ, সীম, টমেটো,বেগুন, আলু, তৈলবীজ, মটরশুঁটি, পেয়াজ ইত্যাদির চাষ করা হয়। এ ছাড়া বোরো ধান, গম, ডাল ও সরিষা রবি মৌসুমে উদপাদিত হয়।

খরিপ -১ এর সময়কালকে গ্রীষ্মকাল ও বলা হয়। এ সময় তাপমাত্রা বেশি থাকে। মাঝে মাঝে ঝড় বৃষ্টি হয়। এ মৌসুমে আউশ ধান, পটল, কাঁকরোল,পাট, ঢেঁড়শ, করলা, বরবটি, চাল্কুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, সজনে, লাল শাক, মিষ্টিকুমড়া ইত্যাদি ফসলের চাষ হয়। এ মৌসুমে আম, জাম, কাঠাল, লিচু, পেঁপে ইত্যাদি  উদপাদিত হয়।

খরিপ-২ এর মৌসুমে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে এ মৌসুমকে বর্ষাকাল বলে। আমন ধান, পানিকচু, ধুন্দল,চাল্কুমড়া,  ও বর্ষাকালীন শাকসবজি এ মৌসুমের প্রধান ফসল।  জাম্বুরা, তাল, আমলকি, কাঁঠাল, জলপাই এ মৌসুমের প্রধান ফল।

কিভাবে ভালো চারা বাছাই করতে হয়?

উত্তর: বৈচিত্র‍্যময় ছয় ঋতুর বাংলাদেশের মাটিতে ফলে নানা রকম ফল ও সবজি। আমাদের দেশে খরিপ-১, খরিপ-২ ও রবি এ তিন মৌসুমে চাষাবাদ হয়ে থাকে। উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে যদিও কৃষি মৌসুমকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে, কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসের প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষি কাজ করতে হয়।
 

ভালো চারাগাছ চেনার বিভিন্ন উপায় বা কৌশল রয়েছে। যেমনঃ

  • নার্সারিতে একই জাতের বিভিন্ন চারাগাছ থাকে। কিন্তু সবগুলোর বৃদ্ধি সমান হয় না। তাই যে গাছটির বৃদ্ধি ভালো হয়েছে এমন গাছটি দেখে নিতে হবে।
  • চারাগাছ কেনার সময় ভালো করে দেখে নিতে হবে গাছটি রোগাক্রান্ত কি না। যেমন পাতা শুকনো কিনা, কুঁকড়ানো কি না, পাতার উপর নিচে কোনো পোকামাকড় আছে কি না!
  • চারাগাছটির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুটের মধ্যে হতে হবে। এ উচ্চতার চারাগাছ সহজে মানিয়ে নিতে পারে।
  • চারাগাছ কেনার সময় খেয়াল করতে হবে গাছের গোড়াটা একটু মোটা ও সবল কি না।
  • চারাগাছের শিকড় অক্ষত আর চারা যেন থাকে সবুজ ও তাজা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • চারাগাছে ফুল বা ফল ধরা থাকলে সেক্ষেত্রে তা লাগানোর জন্য যথোপযুক্ত নয়।
  • চারাগাছের  মূল শিকড়কে অবশ্যই খুব যত্ন করে রাখতে হবে,কোনভাবে যেনো কাটা না পড়ে।
  • গ্রাফটিং চারা চেনার সহজ উপায় হলো – গাছের গোড়ায় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে দুটো গাছকে কেটে জোরা দেওয়া হয়েছে এবং জোরা দেওয়া স্থানে পলিথিন বা কাপড় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আবার গ্রাফটিংয়ের কিছুটা উপর থেকে যেন গাছের ডালপালা শুরু হয় সেটিও খেয়াল করতে হবে।
  • গ্রাফটিং না হলে দেখতে হবে চারাটি গুটিকলমের কি না। গুটিকলম হলেও জাত ভালো হবে। এক্ষেত্রে করণীয় হলো ভালো করে দেখে নেওয়া কলমে শিকড় এসেছে কি না!
  • ফুল ফল গাছের চারা কেনার সময় গাছের পাতার উপরিভাগে ভালো করে দেখে নিতে অগ্রমুকুল ঠিক আছে কি না। না হলে নতুন ডাল গজাতে বা পাতা আসতে সময় বেশি নিতে পারে।
 

মাটি বা পরিবেশের কোন বৈশিষ্টের জন্য কোন ফসল/উদ্ভিদ ভালো জন্মে?

উত্তর: মাটি /পরিবেশ ফসল উৎপাদনের অন্যতম মাধ্যম।বাংলাদেশের মাটিতে অল্প বিস্তর সব ফসলই জন্মে। কিন্তু সব অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য একরূপ নয়।
  • এঁটেল ও এঁটেল দোআঁশ,নদ-নদীর  অববাহিকা ও হাওর-বাঁওড় এলাকা যেখানে | পলি জমে সেখানে ধান ভালাে জন্মে।
  • দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি গম চাষের জন্য ভালাে।যে মাটিতে PH (অম্লাত্মক-ক্ষারত্মক) ৬.০ থেকে ৭.০ সেসব মাটিতে গম ভালাে হয় ।
  • নদীবাহিত গভীর পলিমাটি পাট চাষের জন্য বিশেষ উপযােগী।
  • দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতেও পাট ভালাে হয়।
  • উঁচু ও মাঝারি জমিতে দোআঁশ, বেলে দোআঁশ, এঁটেল দোআঁশ এবং পলি দোআঁশ মাটিতে ডাল জন্মে।
  • ডাল নিরপেক্ষ বা ক্ষারীয় চুনযুক্ত মাটিতে ভালাে হয়।
  • শুষ্ক ও ঠাণ্ডা আবহওয়া এবং অল্প বৃষ্টিপাত ডাল ফসল চাষের জন্য উপযােগী।
  • আলু, টমেটো ইত্যাদির জন্যে বেলে দোআঁশ,দোআঁশ মাটি উপযোগী।
  • পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হলে গাজর চাষের ফলন ভালো হয়।
  • পোঁকামাকড় এর উপদ্রব কম হলে শিমগাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।
  •  মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি থাকলে এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো হলে শাকসবজি খুব সহজে বেড়ে উঠতে পারে।
  • পজলাবদ্ধতামুক্ত জমি হলে, পেঁপে গাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।
  •  উষ্ণ আবহাওয়া এবং শিলাবৃষ্টি ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হলে আম গাছ খুব দ্রুত বেড়ে উঠে।
  •  এছাড়াও জৈব পদার্থ এবং সঠিক পরিচর্যা করলে শীতিকালীন বিভিন্ন  ধরনের সবজী চাষ ভালো হয়।

বিবর্তন কাকে বলে?

উত্তর: কোন জীব বা উদ্ভিদের এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যাওয়ার সময় কিছু পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনকে বিবর্তন বলে।
 

অভিযোজন কাকে বলে?

উত্তর: একটি জীব বা উদ্ভিদ তার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য যেসব কৌশল পদ্ধতি অনুসরণ করে তাকে অভিযোজন বলে।
 

আমাদের চারপাশে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় জীবের বৈশিষ্ট্য আলাদা হয় কেন?

 উত্তর: আমাদের চারপাশে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় জীব বিদ্যমান। এ সকল জীবের বৈশিষ্ট্য ও গঠন ভিন্ন ধরনের হয়। জীবসমূহ এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যাবার সময় কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ছোট পরিবর্তন ঘটতে ঘটতে একপর্যায়ে আলাদা বৈশিষ্ট্যের নতুন জীব দেখা যায় যা আদিপুরুষ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। অর্থাৎ বিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন জীবের মধ্যে বৈচিত্র্য দেখা যায়। এই বৈচিত্র্য পরিবেশগত, প্রজাতিগত এবং জিনগত কারণে হয়ে থাকে।
 
 

আমাদের এলকায় যে উদ্ভিদের ফলন ভালো হয়, কেন অন্য পরিবেশে তা ততো ভালো ফলন দেয় না?

উত্তর: আমাদের এলাকার যেসব উদ্ভিদের ফলন ভালো হয় তা অন্য পরিবেশে অত ভালো ফলন দেয় না। কারণ আমাদের এলাকার আবহাওয়া, জলবায়ু, মাটির গঠন প্রকৃতি, পানির প্রাপ্যতা, মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা, মাটির উর্বরতা প্রভৃতি বৈশিষ্টসমূহের কারণে যে সকল উদ্ভিদ ভালোভাবে অভিযোজিত হয় সেগুলো অধিক ফলন দেয়। কিন্তু এ সকল উদ্ভিদকে অন্য অঞ্চলে রোপন করলে আশানুরূপ ফলন দেয় না। কারণ নতুন পরিবেশে সঠিকভাবে অভিযোজন করতে সক্ষম না হওয়ায় উদ্ভিদটি টিকে থাকতে পারে না। আর যদি টিকেও থাকে তাহলে বৃদ্ধি ও ফলন কম হয়।
 
 

অতিথি শিক্ষকের কাছ থেকে পাওয়া গুরুত্বপুর্ণ তথ্যঃ

 
১.ভালো, উচ্চ ফলনশীল এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত বাছাই করতে হবে।
২. প্রয়োজনে বীজ/কলম এবং মাটি শোধন করে নিতে হবে।
৩. চারা লাগানোর পূর্বে জৈব এবং রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে মাদা তৈরি করতে হবে। কিছুদিন পর পর ইউরিয়া, ড্যাপ সার,পটাশ সার ইত্যাদি দিতে হবে।
৪. ফল গাছ লাগানোর পর খুঁটির ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. পরিচর্যামূলক কাজ করতে হবে।
৭. সঠিক সময়ে ফল আহরণের পর গাছের ডালপালা ছাটাই করতে হবে।

তোমার
এলাকায় দেখা যায় এমন পাঁচটি প্রাণীর নাম

এদের
খাদ্যাভ্যাস কেমন
?

এদের
বাসস্থান কেমন
?

অন্যান্য
বৈশিষ্ট্য যদি উল্লেখ করতে চাও

তোমার
পরিবেশের কী কী বৈশিষ্ট্য তাকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে


বিড়াল

মাংসাশী
প্রাণী। বিভিন্ন ধরণের মাছ, মাংস, ইঁদুর ইত্যদি।

জলাভূমি,
বেলাভূমি, তীরবর্তি অঞ্চলের ঘন গাছপালা, গৃহস্থ বাড়ি সবখানে এরা অভিযোজিত হতে
পারে।

খুব
তীক্ষ্ণ ও উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পায়।

খাদ্যের
প্রাপ্যতা, অনুকূল পরিবেশ।


দোয়েল

ছোট
কীট পতঙ্গ, শুঁয়ো পোকা, কেঁচো, টিকটিকি, গিরগিটি ইত্যাদি

নাতিশীতোষ্ণ
অঞ্চলে এদের বিস্তার।গাছের কোটরে কিংবা ফাটলে এরা খড় কুটো জমা করে বাসা তৈরি
করে।

১।
নানা রকম সুরে ডাকাডাকি করতে পারে।

২।
সাহসী, স্বাধীন ও অস্থির প্রকৃতির।

পর্যাপ্ত
আলো
,
বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের
প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ।


মৌমাছি

ফল,মিষ্টি
জাতীয় পদার্থ
 ,ফুলের মধু এবং তরল ফলসমুহ। ফুলের নেক্টার
এবং পোলেন।

মৌচাক
হলো মৌমাছির আবাসস্থল। এরা গাছ
, গাছের পাতা, ফুলের গুচ্ছ, বাশের
ঝাড় ইত্যাদিতে
 
বসবাস করে।

১।
কান না থাকা সত্ত্বেও মৌমাছিরা যে পৃষ্ঠে অবতরণ করে তার কম্পন অনুভব করতে সক্ষম।এরা
প্রচন্ড পরিশ্রমী।

পর্যাপ্ত
আলো
,
বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের
প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ।


কুনোব্যাঙ

ছোট
ছোট পেকামাকড়,ছোট মাছ, ঘাসফড়িং,লাভা

ঘরের
কোণে
,
গাছের কোটরে এবং মাটিতে গর্ত করে বসবাস করে।

১।
এরা লার্ভা দশায় পানিতে বাস করে এসময় ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালাই এবং
পরিনত বয়সে ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।

পর্যাপ্ত
আলো
,
বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের
প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ।


রুই মাছ


অতিক্ষুদ্র প্ল্যাংকটন,
 শৈবাল ও নিমজ্জিত উদ্ভিদ।

স্বাদু
পানির জলাশয় বিশেষ করে পুকুর
, হ্রদ, নদী, খাল, বিল
এবং হাওর।

১।
দাঁত বিহীন চোয়াল

২। চোখের পাতা নেই।

পর্যাপ্ত
আলো
,
বাতাস, তাপমাত্রা,খাদ্যের
প্রাপ্যতা এবং অনুকূল পরিবেশ।

Read More: সূর্যালোকের রান্না-সপ্তম শ্রেণী
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ

 

হরিপদ কাপালী নতুন ধানের জাত কিভাবে খুজে পেলেন? যে প্রক্রিয়ায় তিনি নতুন ধানের জাত আবিস্কার করলেন তার ধাপ গুলো কি কি?

উত্তর: হরিপদ কাপালী ছিলেন বাংলাদেশের যশোর এলাকার একজন সাধারণ কৃষক।কৃষক হলেও তিনি আসলে একজন বিজ্ঞানী। প্রায় দেড় দশক আগে নিজের বিআর-১১(ইরি) ধানের জমিতে একটি ধানের ছড়া হরিপদ কাপালীর নজর কাড়ে। ধানের গোছা বেশ পুষ্ট এবং গাছের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। এই ছড়াটি তিনি নজরদারিতে রাখেন। ধানের ছড়া বের হলে তিনি দেখতে পান ছড়াগুলো তুলনামূলকভাবে অন্য ধানের চেয়ে দীর্ঘ এবং প্রতিটি ছড়ায় ধানের সংখ্যাও বেশি। ধান পাকলে তিনি আলাদা করে বীজ ধান হিসেবে রেখে দেন। পরের মৌসুমে এগুলো আলাদা করে আবাদ করলেন এবং আশাতীত ফলন লাভ করেন। এভাবে তিনি ধানের আবাদ বাড়িয়ে চলেন। আর নিজের অজান্তেই উদ্ভাবন করেন এক নতুন প্রজাতির ধান। কৃষক এ ধানের  নাম দেন ‘হরিধান।এভাবে তিনি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে নতুন জাতের ধান আবিষ্কার করেন। বর্তমানে এটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।কৃষিবিজ্ঞানীরা একমত হয়েছেন যে,হরিধানে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেশি এবং অতিবৃষ্টিতে সহনীয়। তার অনুসরণীয় ধাপগুলো হলোঃ

  • সমস্যা নির্বাচন/চিহ্নিতকরণ
  • প্রশ্নকরন
  • অনুমিত সিদ্ধান্ত
  • পরীক্ষণ
  • সিদ্ধান্ত গ্রহণ
  • ফলাফল প্রকাশ

জীববৈচিত্র্য কাকে বলে?

উত্তর: জল, স্থল সকল জায়গায় সকল পরিবেশে থাকা সকল ধরনের জীব এবং উদ্ভিদের বিচিত্রতাকে জীববৈচিত্র্য বলে।

পৃথিবীতে কত প্রজাতির জীব রয়েছে? 

উত্তর: প্রায় ৮-১৪ মিলিয়ন (৮০ থেকে ১৪০ লক্ষ) বিভিন্ন প্রজাতির জীব এই পৃথিবীতে রয়েছে।

বাস্তুতন্ত্র বা বায়োম কাকে বলে?

উত্তর: অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন জীবগোষ্ঠী এবং তার পরিবেশের জড় উপাদান মিলে যে সিস্টেম তৈরি হয়, তাকে বলা হয় ইকোসিস্টেম (Ecosystem) বা বাস্তুতন্ত্র বা বায়োম বলে।

জীববৈচিত্র্যের হটস্পট কী?

উত্তর: জীব বৈচিত্রের হটস্পট বলতে সেই অঞ্চল গুলিকে বোঝানো হয় যেখানে এমন কিছু জীব প্রজাতি পাওয়া যায় যেগুলো পৃথিবীর অন্য কোন অঞ্চলে আর দেখা যায় না এবং সেই জন্যই এই সমস্ত অঞ্চলের জীব প্রজাতি গুলির বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশনঃ

 

কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে ?

 

 

এক সপ্তাহ পর

দুই সপ্তাহ পর

তিন সপ্তাহ পর

চার সপ্তাহ পর

কি কি কাজ করেছ

দো-আঁশ মাটির
সাথে জৈব সার এবং রাসায়নিক সার মিশিয়ে মাটি চাষ উপযোগী করেছি।এই মাটিদিয়ে
টবভর্তি করেছি এবং পানি দিয়েছি।

মাটিভর্তি টবে বেগুণের
চারা রোপন করেছি।

আগাছা পরিষ্কার
করেছি।

মাটিতে ইউরিয়া
সার প্রয়োগ করেছি।

নতুন কি কি
জানলে
?

চারাগাছের জন্য
মাটি তৈরি পদ্ধতি।
 

চারা রোপন
পদ্ধতি
 

জমিতে আগাছা
পরিষ্কারের উপায়গুলো
  জেনেছি।

জমিতে সারের
ব্যবহার
 

ফসল/ উদ্ভিদের
বৃদ্ধি/পরিবর্তন
 

×

চারাগাছের
গোড়াগুলো ধীরে ধীরে শক্ত হচ্ছে

চারাগাছগুলো
শক্ত হয়ে নতুন পাতা গজিয়েছে এবং ১ ইঞ্চি পরিমান উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে

বেগুন গাছের
কান্ড শক্ত ও মোটা হচ্ছে এবং ২-৪ ইঞ্চি পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে।

সহায়তা দানকারী
কৃষকের স্বাক্ষর
 

ইমরান

ইমরান

ইমরান

ইমরান

.

পাচঁ সপ্তাহ পর

ছয় সপ্তাহ পর

সাত সপ্তাহ পর

আট সপ্তাহ পর

কি কি কাজ করেছ

টবে পানি
দিয়েছি। মাটিতে চটা হলে চটা ভেঙে দিয়েছি

পোকামাকড় দমনের
জন্য কীটনাশক ব্যবহার করেছি

পুনরায় আগাছা
পরিষ্কার করেছি এবং বিভিন্ন ধরণের সার প্রয়োগ করেছি
 

বেগুন  গাছ থেকে কিছু বেগুন  তুলেছি

নতুন কি কি
জানলে
?

কখন এবং কতটুকু
টবে পানি দিতে হবে তা জেনেছি

টবে কীটনাশক
কীভাবে প্রয়োগ করে।

সার প্রয়োগের
২য় ধাপ এবং আগাছা পরিষ্কারের শেষ ধাপ

কখন বেগুন  ফুল ফোটে এবং কত বড় হলে বেগুন  তোলা যাবে।

ফসল/ উদ্ভিদের
বৃদ্ধি/পরিবর্তন
 

বেগুন গাছের
অনেক শাখা-প্রশাখা বের হয়েছে

বেগুন গাছ
প্রায় ৮-১০ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে
 

বেগুন গাছে ফুল
আসতে শুরু হয়েছে এবং এর উচ্চতা ১০-১২ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে
 

বেগুন গাছের ফুল
ঝরা শুরু করেছে এবং তার উচ্চতা ১৫-২০ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে
 

সহায়তা দানকারী
কৃষকের স্বাক্ষর
 

ইমরান

ইমরান

ইমরান

 

বিষুবরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য বেশি কেন? 

উত্তর: ভিন্ন ভিন্ন কারণে বিষুবরেখার কাছাকাছি জীববৈচিত্র্য, বা প্রজাতি এবং বাস্তুতন্ত্রের বৈচিত্র্য সাধারণত বেশি হয়। নিচে কয়েকটি কারণ দেয়া হলো:

১. বিষুবরেখায় অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উচ্চ তাপমাত্রা এবং অধিক বৃষ্টিপাত থাকে যা বিস্তৃত প্রজাতির উন্নতির জন্য আদর্শ পরিস্থিতি প্রদান করে।

২. বিষুবরেখার একটি দীর্ঘ ক্রমবর্ধমান ঋতু রয়েছে, যা বছরের বেশিরভাগ সময় গাছপালা বৃদ্ধি এবং প্রজনন করতে দেয়। এটি উদ্ভিদ প্রজাতির বৃহত্তর বৈচিত্র্যের দিকে পরিচালিত করে এবং তারা ইকোসিস্টেমগুলিকে সমর্থন করে।

৩. নিরক্ষীয় অঞ্চলগুলি অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দীর্ঘকাল ধরে রয়েছে এবং তাই প্রজাতির বিকাশ এবং বৈচিত্র্যের জন্য আরও বেশি সময় পেয়েছে।

৪. বিষুবরেখার কাছাকাছি তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের উল্লেখযোগ্য ঋতু পরিবর্তনের অভাব প্রজাতিগুলিকে সারা বছর সক্রিয় থাকতে এবং প্রজনন করতে দেয়, যা বৃহত্তর সামগ্রিক জীববৈচিত্র্যের দিকে পরিচালিত করে।

৫. নিরক্ষীয় অঞ্চলগুলি পাহাড়, রেইনফরেস্ট এবং নদী সহ জটিল টপোগ্রাফি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যা বিভিন্ন প্রজাতির বসবাসের জন্য বিভিন্ন ধরনের আবাসস্থল প্রদান করে।

৬.সারাবছরই এখানে পর্যাপ্ত সূর্যালোক পাওয়া যায়। তাই এখানে উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া খুব ভালো হয় এবং অঙ্কুরোদগমও সহজ হয়। সেই কারণে এখানে বহুপ্রজাতি এবং বহুসংখ্যার উদ্ভিদ সমাবেশ দেখা যায়।

৭. এখানে বহু প্রজাতির জীবের একত্র সহবস্থান লক্ষ করা যায়। তা ছাড়া এক একটি প্রজাতির জীবের সংখ্যাও অনেক বেশি। সেই সমস্ত প্রজাতির মধ্যে মিলনের মাত্রাও বেশি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জীববৈচিত্র্য অনেক বেশি।

বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষনের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আলোকপাত কর।

উত্তর: বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষনের জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে হা হলো:

  • ১। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য সরকার দেশের বনাঞ্চলের কিছু অংশ সংরক্ষিত এলাকা হিসেব ঘোষণা করেছে।
  • ২। প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ আহরণ বন্ধ করা হয়েছে।
  • ৩। মানুষ সৃষ্ট বনায়নের পুরাতন গাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
  • ৪। বন্যপ্রাণী নিধন ও পাচার রোধে নতুন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৈরি করা হয়েছে।

ফসলের মাঠ/নার্সারি/স্থান বাগানে কাজ করতে তোমাদের কেমন লেগেেছে?

উত্তর: ফসলের মাঠ/ছাদবাগান/ নার্সারিতে কাজ করতে আমার অনেক নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি কাজ করতে আনন্দ পেয়েছি, সময়টা ভালো কেটেছে। অবসর সময়ে এটা আমার এখন অন্যতম প্রিয় কাজ।
 

এ কাজে তোমরা নতুন কি কি শিখেছ?

উত্তর: আমি এ কাজ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমি শিখতে পেরেছি কিভাবে মাটি তৈরি করতে হয়, আমি চারাগাছ কিভাবে রোপন করতে হয় তা শিখেছি আগাছা পরিষ্কারের উপায় গুলো সম্পর্কে জেনেছি। জৈব সার এবং রাসায়নিক সার সম্পর্কে জেনেছি। কীটনাশক কখন ও কীভাবে দিতে হয় তা শিখেছি। কোন মৌসুমে কোন ফসলের ফলন ভালো হয় তা জেনেছি।
 
 
 
 
 
 
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী

Filed Under: Class 7, বিজ্ঞান class 7 Tagged With: অভিযোজন কাকে বলে?, আমাদের এলকায় যে উদ্ভিদের ফলন ভালো হয়, আমাদের চারপাশে অসংখ্য বৈচিত্র্যময় জীবের বৈশিষ্ট্য আলাদা হয় কেন?, কীভাবে ভালো চারা বাছাই করতে হয়?, কেন অন্য পরিবেশে তা ততো ভালো ফলন দেয় না?, কোন ফসলের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়?, কোন মৌসুমে কোন ফসল ভালো জন্মে?, জীববৈচিত্র্য কাকে বলে?, জীববৈচিত্র্যের হটস্পট কী?, ফসলের ডাক, ফসলের মাঠ/নার্সারি/স্থান বাগানে কাজ করতে তোমাদের কেমন লেগেেছে?, বাস্তুতন্ত্র বা বায়োম কাকে বলে?, বিবর্তন কাকে বলে?, বিষুবরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য বেশি কেন?, হরিপদ কাপালি নতুন ধানের জাত কিভাবে খুজে পেলেন?

Primary Sidebar

zippy's macaroni salad recipe hawaii

Hawaiian chopped steak recipe

Craving a taste of the Hawaiian islands? Look no further than Zippy's Macaroni Salad Recipe, a culinary delight that … [Read More...] about Hawaiian chopped steak recipe

1950s recipe for tamale pie

1950s Tamale Pie: A Taste of Vintage Comfort Food

Is your kitchen lacking a touch of comfort and nostalgia? You've found it! This blog post will take you on a lovely … [Read More...] about 1950s Tamale Pie: A Taste of Vintage Comfort Food

রোধ, জল, বৃষ্টি

রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

আমরা ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান-অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়ে আলোচিত "রোধ, জল, বৃষ্টি"-শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের … [Read More...] about রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

গতির খেলা-৬ষ্ট শ্রেণী

গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয়ের ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা গতির খেলা  সম্পর্কে। প্রথম, দ্বিতীয় ও … [Read More...] about গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৭ম অধ্যায়,ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম  সম্পর্কে জানবো। প্রথম ও … [Read More...] about ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

হরেক রকম খেলনার মেলা

হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়,হরেক রকম খেলনার মেলা  সম্পর্কে জানবো।প্রথম ও দ্বিতীয় … [Read More...] about হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

Footer

  • About Us
  • Affiliate Disclosure
  • Privacy Policy
  • Terms of Use
  • Contact Us

Copyright © 2025 · News Pro on Genesis Framework · WordPress · Log in