• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar
  • Skip to footer

Kitchen Academy

Unleash your culinary potential at Kitchen Academy. Learn essential skills, discover delicious vegetable recipes, and explore all things kitchen

  • Home
  • Recipes
  • Education
    • class 6
      • বিজ্ঞান class 6
    • Class 7
      • বিজ্ঞান class 7
    • Class 8
      • বিজ্ঞান class 8
    • class 9
      • বিজ্ঞান class 9

বিজ্ঞান class 8

সবুজ বন্ধু ২০২৪ । বিজ্ঞান-অনুশীলন বই । ৮ম শ্রেনী

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

এই পোস্টে আমরা অষ্টম  শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা– সবুজ বন্ধু- সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

গাছ কী সত্যিই আমাদের বন্ধু হতে পারে?

গাছ কেবল বন্ধুই নয়, বরং আমাদের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য। গাছ আমাদের জীবনে অসংখ্য উপায়ে সাহায্য করে, যার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক:
 
অক্সিজেন সরবরাহ: গাছ আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেন উৎপাদন করে। বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে গাছ অক্সিজেন তৈরি করে, যা আমাদের জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয়।
 
খাদ্য সরবরাহ: আমরা যে ফল, শাকসবজি, এবং শস্য খাই, তার বেশিরভাগই গাছ থেকে আসে। গাছ আমাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং আমাদের সুস্থ রাখে।
 
পরিবেশ রক্ষা: গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাছ বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রণ করে, মাটির ক্ষয় রোধ করে, এবং বন্যার ঝুঁকি কমায়।
 
বাসস্থান প্রদান: গাছ অসংখ্য প্রাণী-পাখির বাসস্থান সরবরাহ করে। বন উজাড়ের ফলে প্রাণী-পাখির বাসস্থান হ্রাস পাচ্ছে, যা জীববৈচিত্র্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
 
ঔষধি গুণ: অনেক গাছের ঔষধি গুণ রয়েছে। গাছ থেকে প্রাপ্ত ঔষধ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
 
মানসিক প্রশান্তি: গাছের সান্নিধ্য আমাদের মানসিক প্রশান্তি দেয়। গাছের সবুজ রঙ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের মনকে প্রশান্ত করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
 
সৌন্দর্য বর্ধন: গাছ আমাদের পরিবেশকে সুন্দর করে তোলে। গাছের সবুজ পাতা, ফুল, এবং ফল আমাদের চারপাশের পরিবেশকে মনোরম করে তোলে।
 
অর্থনৈতিক উপকারিতা: গাছ থেকে আমরা কাঠ, কাগজ, এবং অন্যান্য জিনিসপত্র তৈরি করি। গাছ আমাদের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
 
পরিশেষে বলা যায়, গাছ আমাদের জীবনে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। গাছ আমাদের বন্ধু, সঙ্গী, এবং অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য। আমাদের সকলের উচিত গাছ লাগানো এবং গাছের যত্ন নেওয়া।
 

গাছ কী সত্যিই শব্দ উৎপন্ন করতে পারে?

সবুজ বন্ধুবৈজ্ঞানিক জার্নাল ‘সেল’ এ খুব সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষনায় দেখা গেছে গাছ সত্যি সত্যিই শব্দ উৎপন্ন করে। শুধু তাই নয়, সেই শব্দ রেকর্ড করে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গাছ যখন সুস্থ থাকে, ভালো থাকে-মানে হাসিখুশি’ অবস্থায় গাছ যে ধরনের শব্দ তৈরি করে তার চেয়ে কষ্টে থাকা, ক্ষুধার্থ বা তৃষ্ণার্ত গাছের শব্দ একেবারে আলাদা। পাশের ছবিতে খুব সরল করে বিষয়টা দেখানো হয়েছে খেয়াল করো। গাছকে যখন ঠিকমতো পানি দেয়া হচ্ছে না, তার ডাল কেটে ফেলা হচ্ছে, তখন সে বিভিন্ন রকম শব্দ তৈরি করছে। কিন্তু সুস্থ অবস্থায় একই গাছ যে শব্দ তৈরি করছে, বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে এই শব্দ থেকে সেগুলো একেবারে আলাদা! আরও অবাক করা বিষয় কি জানো? এই সূক্ষ্ম শব্দ আমাদের কান পর্যন্ত না পৌঁছুলেও অনেক ছোটো ছোটো প্রাণী যেমন ইঁদুর এই শব্দগুলো ঠিকই শুনতে পায়!
 
 

দলীয় কাজঃ ৫/৬ জন করে দলে ভাগ হয়ে একটি করে গাছ রোপন করতে হবে। শিক্ষক নিজেও একটি গাছ রোপন করবেন।

এক্ষেত্রে চারা কিভাবে জোগাড় করবে তা নিশ্চয় সপ্তম শ্রেণির ফসলের ডাক অভিজ্ঞতা’তে জানা হয়েছে।

আজ বাড়ি ফিরে গাছ রোপন করতে গিয়ে তোমার কী অভিজ্ঞতা হলো তা নিচে লিখে রাখো।

গাছ রোপন করতে গিয়ে কিভাবে একটি ভালো চারা বাছাই করতে হয়, কিভাবে টব এবং মাটি প্রস্তুত করতে হয়, কিভাবে গাছের চারা টবে রোপন করতে হয়, এবং পরিচর্যা করতে হয়—-ইত্যাদি জানলাম।
 
Read More: সুর্যঘড়ি- অষ্টম শ্রেণী
Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী

৩য় ও ৪র্থ সেশনঃ

কোষ কী?

কোষ হলো জীবদেহের গঠনগত একক। জীবদেহ ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা, প্লাজমিডিয়াম এগুলোর মতো এককোষী হতে পারে আবার মানুষ, বটগাছ, তিমি এগুলোর মতো বহুকোষী হতে পারে। এককোষী জীব ছাড়া অন্য সকল জীবদেহ অসংখ্য কোষ দিয়ে তৈরি হয়।

কোষ বিভাজন কী?

প্রতিটি জীব কোষ বিভাজনের মাধ্যমে তাদের বংশবৃদ্ধি ও কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি করে থাকে। যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় একটি থেকে একাধিক কোষ তৈরি হয় তাকে কোষ বিভাজন বলে। কোষ বিভাজন একটি স্বাভাবিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। কোষ বিভাজনের মাধ্যমে একটি কোষ বিভাজিত হয়ে অসংখ্য কোষ তৈরির মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবে পরিণত হয়। আদি এককোষী জীব সাধারণত যে প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয় তাকে আম্যাইটোসিস বলা হয়। বহুকোষী জীব যে দুটি প্রক্রিয়ায় বিভ্যাজত হয় সেগুলো হাচ্ছে মাইটোসিস এবং মিয়োসিস।

কোষের অভ্যন্তরে নিউক্লিয়াসের ভিতরে ক্রোমোজোমগুলো কিভাবে বিন্যস্ত থাকে?

কোষ ঝিল্লি দিয়ে আবৃত কোষের মূল দুটি উপাদান হচ্ছে সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস। কোষের কেন্দ্রে ঘন অস্বচ্ছ অঙ্গাণুটি হচ্ছে নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিয়াসের বাইরে অবস্থিত এবং কোষ ঝিল্লি দিয়ে আবৃত বাকি অংশটি সাইটোপ্লাজম। নিউক্লিয়াসটি নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দিয়ে আবৃত থাকে এবং তার ভেতরে রয়েছে জীবের বংশগতি পদার্থ DNA দিয়ে তৈরি ক্রোমোজোম। সাধারণ অবস্থায় দীর্ঘ ক্রোমোজোম হিস্টোন নামে প্রোটিন কণার উপর পেঁচিয়ে ক্রোমাটিন হিসেবে উন্মুক্ত জালিকার মতো থাকে বলে এটি আলাদাভাবে বোঝা যায় না। শুধু কোষ বিভাজনের সময় এটি কুণ্ডলী পাকিয়ে সংকুচিত হয় বলে তখন এটি দৃশ্যমান হয়।
 

তোমার সবুজ বন্ধুর দেহকোষে কি অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজন ঘটে? 

সবুজ বন্ধু অর্থাৎ  উদ্ভিদের দেহকোষে অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজন ঘটে না। অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়া প্রাণিকোষের জন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।
 
উদ্ভিদের দেহকোষে দুটি প্রধান ধরনের কোষ বিভাজন ঘটে:
 
১. মাইটোসিস:
এই প্রক্রিয়ায়, কোষের নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজম দুটি অপত্য কোষে সমানভাবে ভাগ হয়ে যায়। মাইটোসিস দেহকোষে ঘটে এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়।
 
২. মিয়োসিস:
এই প্রক্রিয়ায়, নিউক্লিয়াস দুবার বিভক্ত হয়, ফলে চারটি অপত্য কোষ তৈরি হয়। মিয়োসিস জনন কোষে ঘটে এবং উদ্ভিদের প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয়।
 

অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কিভাবে কোষ বিভাজন ঘটে?

অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজন অত্যন্ত সরল এবং দ্রুত। এটিতে কোন স্পষ্ট পর্যায় (প্রোফেজ, মেটাফেজ, এনাফেজ, টেলোফেজ) অনুসরণ করা হয় না।
সবুজ বন্ধু 
 

অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ার ধাপ:

 
১. নিউক্লিয়াসের দীর্ঘায়িতকরণ:
প্রথমে, কোষের নিউক্লিয়াস দীর্ঘায়িত হতে শুরু করে।
 
২. নিউক্লিয়াসের বিভাজন:
এরপর, নিউক্লিয়াস মাঝখানে বিভক্ত হয়।
 
৩. সাইটোপ্লাজমের বিভাজন:
অবশেষে, সাইটোপ্লাজম দুটি অংশে বিভক্ত হয়, একটি করে অপত্য কোষে।
 
অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়া প্রাণিকোষে ঘটে, বিশেষ করে নিম্ন শ্রেণীর জীবে, যেমন:
 
অ্যামিবা,প্যারামিশিয়াম,ইউগলেনা,হাইড্রা,প্ল্যানেরিয়া
 

মাইটোসিস কি ?মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কিভাবে কোষ বিভাজন ঘটে?

মাইটোসিস প্রক্রিয়া:

মাইটোসিস হলো একটি কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি মাতৃকোষ দুটি অপত্য কোষে বিভক্ত হয়। এই অপত্য কোষগুলি মাতৃকোষের জিনগতভাবে অনুরূপ। মাইটোসিস দেহকোষে ঘটে এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয়।সবুজ বন্ধু
 
মাইটোসিস প্রক্রিয়ার পাঁচটি প্রধান ধাপ রয়েছে:
 
প্রোফেজঃ
মাইটোসিসের প্রথম ধাপ হলো প্রোফেজ। এই ধাপে মাতৃকোষ প্রতিটি ক্রোমোজোমের একটি অবিকল প্রতিলিপি তৈরি করে বিভাজন প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। ক্রোমোজোম কুণ্ডলী পাকিয়ে খাটো ও মোটা হতে থাকে, প্রতিটি ক্রোমোজোম তার অনুলিপিসহ সেন্ট্রোমিয়ারে ক্রোমাটিড হিসেবে যুক্ত থাকে।
 
মেটাফেজঃ
ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে স্পিন্ডল যন্ত্রের তত্ত্ব সংযুক্ত হয়ে ক্রোমোজোমগুলো স্পিন্ডল যন্ত্রের বিষুবীয় অঞ্চলে বিন্যস্ত হয়। ক্রোমাটিড বাহুদুটি মেরুমুখী হয়ে অবস্থান করে।
 
এনাফেজঃ
ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার বিভক্ত হওয়ার ফলে ক্রোমাটিড’দুটি আলাদা হয়ে পড়ে। ক্রোমোজোমদুটি কোষের মধ্যবর্তী অঞ্চল থেকে বিপরীত মেরুর দিকে যেতে থাকে। তখন ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার অগ্রগামী থাকে এবং ক্রোমাটিড বাহুগুলো তাদের পেছন দিকে থাকে।
 
টেলোফেজঃ
ক্রোমোজোমগুলো বিপরীত মেরুতে পৌঁছে সরু ও লম্বা আকার ধারণ করে। দুই মেরুতে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াস গঠিত হয়।
 
সাইটোকাইনেসিসঃ কোষের মধ্যবর্তী অংশে উভয়পাশ থেকে দুটি খাঁজ সৃষ্টি হয়। এ খাঁজ ক্রমান্বয়ে গভীর হয়ে মিলিত হয়ে দুটি পরিপূর্ণ অপত্য কোষে বিভক্ত হয়।
 
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী

পঞ্চম ও ষষ্ঠ সেশনঃ

এবার তোমাদের দলে মাইটোসিস কোষ বিভাজনের বিভিন্ন ধাপের মডেল বানানোর পালা।

 
উপকরণ – কাগজ/পোস্টার পেপার,মাটি,আটার মন্ড,সুতা,রিবন,চিকন তার,রঙ ইত্যাদি।
তোমাদের জন্য নিচে একটি  ধাপের মডেল নমুনা হিসেবে দেয়া হল। এটির অনুকরনে বাকি ধাপ গুলোর মডেল নিজে বানাবে

 

মাইটোসিস বিভাজন প্রক্রিয়া যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যে কি ঘটবে?

মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াটি জীবের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রভাবক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। জীবের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় অবস্থায় বিভিন্ন প্রভাবকের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির কারণে কোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনের ফলে টিউমার সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীকালে ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিভিন্ন রোগজীবাণু, রাসায়নিক পদার্থ কিংবা তেজস্ক্রিয়তা ইত্যাদি অনিয়ন্ত্রিত মাইটোসিস কোষ বিভাজনে বাহ্যিক প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। যকৃত, ফুসফুস, মস্তিষ্ক, স্তন, ত্বক, কোলন এরকম প্রাণিদেহের প্রায় সকল অঙ্গে ক্যান্সার হতে পারে।
 

মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কি ?মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় কিভাবে কোষ বিভাজন ঘটে?

মিয়োসিস বিভাজনের এক চক্রে নিউক্লিয়াস দুবার বিভাজিত হয়। প্রথমবারে নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোম সংখ্যায় অর্ধেক হয়ে যায়। এই বিভাজনে মাতৃকোষের যে দুটি নিউক্লিয়াস পাওয়া যায়, দ্বিতীয়বারে তার প্রতিটিই আবার দুটি কোষে বিভাজিত হয়। এবার অবশ্য ক্রোমোজোমের সংখ্যা এবং পরিমাণ সমান থাকে। তাই সব মিলিয়ে চূড়ান্ত ফল হলো, মিয়োসিস বিভাজনে একটি মাতৃকোষ থেকে চারটি অপত্য কোষ পাওয়া যায়, যেগুলোর প্রতিটিই মাতৃকোষের অর্ধেকসংখ্যক ক্রোমোজোম ধারণ করে (কাজেই DNA-এর পরিমাণও হয় প্রায় অর্ধেক)। তাই মিয়োসিসের আরেক নাম হ্রাসমূলক বিভাজন।
মিয়োসিস বিভাজনের সময় একটি কোষ পর পর দুবার বিভাজিত হয়। প্রথম বিভাজনকে প্রথম মিয়োটিক বিভাজন বা মিয়োসিস-১ এবং দ্বিতীয় বিভাজনকে দ্বিতীয় মিয়োটিক বিভাজন বা মিয়োসিস-২ বলে। প্রথম বিভাজনের সময় অ কোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেকে পরিণত হয় তাই একে হ্রাসমূলক বিভাজন (Reduction Division) বলে। দ্বিতীয় মিয়োটিক বিভাজনটি মাইটোসিসের অনুরূপ।
প্রথম মিয়োটিক বিভাজন বা মিয়োসিস-১ (First Meiotic Division) প্রথম মিয়োটিক বিভাজনকে চারটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে, যেমন- প্রোফেজ-১, মেটাফেজ-১, অ্যানাফেজ-১ এবং টেলোফেজ-১।  

দ্বিতীয় মিয়োটিক বিভাজন বা মিয়োসিস-২ (Second Meiotic Division) একইভাবে দ্বিতীয় মিয়োটিক বিভাজনকে চারটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে, যেমন- প্রোফেজ-২, মেটাফেজ-২, অ্যানাফেজ-২ এবং টেলোফেজ-২।

 

মাইটোসিস এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মধ্যে মূল পার্থক্য কী বলতে পারো?

মাইটোসিস এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মধ্যে মূল পার্থক্য  নিম্নরুপঃ
১.মাইটোসিস শরীরের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং ক্ষয়প্রাপ্ত কোষ প্রতিস্থাপনের জন্য ঘটে।
 মিয়োসিস যৌন প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয় যৌন কোষ তৈরির জন্য ঘটে।
 
২.মাইটোসিস কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং জিনগতভাবে অভিন্ন কোষ তৈরি করে।
মিয়োসিস কোষের সংখ্যা হ্রাস করে এবং জিনগতভাবে ভিন্ন কোষ তৈরি করে।
 
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী
Read More: ফসলের ডাক- সপ্তম শ্রেণী

সপ্তম ও অষ্ট্ম সেশনঃ

তোমার নিজের রোপন করা গাছের দেহে কি কি অঙ্গ রয়েছে?

উদ্ভিদের নাম-লেবু গাছ
উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের নাম-মূল,কান্ড,পাতা,ফুল,ফল,কুঁড়ি,শাখা-প্রশাখা,বৃন্ত,মূলরোম ইত্যাদি।

নবম ও দশম সেশনঃ

ব্যাপন, অভিস্রবণ, এবং প্রস্বেদন প্রক্রিয়া কী?

ব্যাপন:

একই তাপমাত্রা ও চাপে কোন পদার্থের অধিক ঘন স্থান হতে কম ঘন স্থানে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়াকে ব্যাপন বলে।
উদাহরণ: ঘরে সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়া,পানিতে লবণ দ্রবীভূত হওয়া,ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়া ইত্যাদি। 
 

অভিস্রবণ:

অর্ধভেদ্য পর্দার মাধ্যমে দ্রাবক (পানি) কম ঘন দ্রবণ (পাতলা লবণের দ্রবণ) থেকে বেশি ঘন দ্রবণ (ঘন লবণের দ্রবণ) এ প্রবেশ করার প্রক্রিয়া।
উদাহরণ: শুকনো কিসমিস পানিতে ডুবিয়ে রাখলে কিসমিস ফুলে ওঠে।,গাছের মূল দিয়ে পানি শোষণ প্রক্রিয়া।
 

প্রস্বেদন:

উদ্ভিদের পাতা থেকে জলীয় বাষ্প বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে প্রস্বেদন বলে।
উদাহরণ: পাতার ছিদ্র (স্টোমাটা) দিয়ে জলীয় বাষ্প বেরিয়ে যাওয়া,ঘাসের পাতা ভেজা থাকা।
 

এই  প্রক্রিয়াগুলোর কোনটি উদ্ভিদের খাদ্য তৈরি ও গ্রহণ, শ্বাসপ্রশ্বাসে কীভাবে সাহায্য করে বলতে পারো?

সালোকসংশ্লেষণঃ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াতে উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি করে।
ব্যাপনঃ ব্যাপন প্রক্রিয়া অভিস্রবণ এবং প্রস্বেদন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।
অভিস্রবণঃ অভিস্রবণ প্রক্রিয়া উদ্ভিদের কোষে পানি এবং খনিজ পদার্থ পরিবহন করে,শ্বাস প্রশ্বাসের জন্যে প্রয়োজনীয় পানি শোষণে সাহায্য করে।
প্রস্বেদনঃ প্রস্বেদন প্রক্রিয়া উদ্ভিদের দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয় এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী

একাদশ ও দ্বাদশ সেশনঃ

অপুষ্পক উদ্ভিদ ও সপুস্পক উদ্ভিদ কী?

 
অপুষ্পক উদ্ভিদ- যে সকল উদ্ভিদে কখনো ফুল হয়না,তারাই অপুষ্পক উদ্ভিদ।
সপুষ্পক উদ্ভিদ- যে সকল উদ্ভিদের ফুল এবং বীজ হয় তারাই সপুষ্পক উদ্ভিদ।যেমন- আম,জাম,কাঁঠাল,পাইনগাছ ইত্যাদি। এরা ২টি উপজগৎ এ বিভক্ত:
১.নগ্নবীজী উদ্ভিদ – এদের ফুলের স্ত্রীস্তবকে গর্ভাশয় থাকেনা,তাই ফল তৈরি হয়না।
২.আবৃতবীজী উদ্ভিদ- এদের ফুলে গর্ভাশয় আছে,তাই ফল তৈরি হয়,বীজ ফলের ভেতরে আবৃত থাকে।এদেরকে ২ভাগে ভাগ করা হয়।যথা- একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী  উদ্ভিদ।উদ্ভিদের বীজে একটি বীজপত্র থাকলে একবীজপত্রী এবং ২টি বীজপত্র থাকলে দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে।
 
 

দলের সদস্যদের নাম

কি গাছ রোপন করেছে?

কোন শ্রেণিভুক্ত

আকাশ

গোলাপ

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > দ্বিবীজপত্রী

সিয়াম

পেঁপে

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > একবীজপত্রী

সাদ

মরিচ

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > দ্বিবীজপত্রী

সাদি

নিম

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > দ্বিবীজপত্রী

ইমন

তুলসী

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > দ্বিবীজপত্রী

সাইমন

গাঁদাফুল

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > দ্বিবীজপত্রী

রুবেল

মেহেদী গাছ

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > দ্বিবীজপত্রী

(উদাহরণ)

শিম গাছ

সপুষ্পক উদ্ভিদ>আবৃতবীজি উদ্ভিদ > দ্বিবীজপত্রী

তোমার বন্ধু গাছটির নিয়মিত পরিচর্যার জন্য তুমি কী কী করে থাকো?

 
আমি নিয়মিত গাছে পানি দিই,পর্যাপ্ত রোদ যেনো লাগে সেদিকে খেয়াল করি। কিছুদিন পরপর জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করি,পোকামাকড় দমনের জন্য বালাইনাশক ব্যবহার করি।
 

এই গাছ যত্ন করে বড় করতে গিয়ে তোমার নতুন কী উপলব্ধি হয়েছে?

উত্তর- গাছ আমাদের জন্য একটি উপকারী বন্ধু।পরিবেশ রক্ষায় গাছের ভূমিকা অপরিসীম। গাছকে পর্যাপ্ত পরিমাণে যত্ন নিলে বিনিময়ে গাছ ও আমাদেরকেই বিশুদ্ধ হাওয়া, ছায়া, ফুল ফল দিয়ে বিমোহিত করে।
 

পুরো শিখন অভিজ্ঞতা শেষে মানুষের সঙ্গে গাছের কী কী মিল খুঁজে পেলে?

উত্তর- মানুষ এবং গাছ উভয়েরই জন্ম এবং মৃত্যু আছে।এছাড়া এরা ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে এবং পরিণত হয়,বংশবিস্তার করতে পারে।বেঁচে থাকার জন্যে খাদ্যের প্রয়োজন হয় এরা উভয়ে একে অপরের উপকারী বন্ধু হয়ে পৃথিবীতে বসবাস করছে।

Filed Under: Class 8, বিজ্ঞান class 8 Tagged With: অপুষ্পক উদ্ভিদ ও সপুস্পক উদ্ভিদ কী?, অভিস্রবণ, অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কিভাবে কোষ বিভাজন ঘটে?, এবং প্রস্বেদন প্রক্রিয়া কী?, কোষ বিভাজন কী?, গাছ কী সত্যিই আমাদের বন্ধু হতে পারে?, গাছ কী সত্যিই শব্দ উৎপন্ন করতে পারে?, তোমার সবুজ বন্ধুর দেহকোষে কি অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোষ বিভাজন ঘটে?, ব্যাপন, মাইটোসিস এবং মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মধ্যে মূল পার্থক্য কী বলতে পারো?, মাইটোসিস কি ?মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কিভাবে কোষ বিভাজন ঘটে?, মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া কি ?মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় কিভাবে কোষ বিভাজন ঘটে?, সবুজ বন্ধু

সূর্যঘড়ি ২০২৪। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই । ৮ম শ্রেনী

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

সূর্যঘড়ি

এই পোস্টে আমরা অষ্টম  শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ২য় শিখন অভিজ্ঞতা– সূর্যঘড়ি- সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

*সূর্যকে কাজে লাগানোর উপায় কী?

উত্তরঃ সূর্যকে কাজে লাগানোর অনেক উপায় রয়েছে যেমন-
  • সৌর প্যানেল ব্যবহার করে সূর্যের আলোকে বিদ্যুতে রূপান্তর করা।
  • সৌর চুলা ব্যবহার করে খাবার রান্না করা।
  • সৌর-চালিত পাম্প ব্যবহার করে জল সেচ করা ইত্যাদি।

*খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্য সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটে কেন?সুর্যঘড়ি

উত্তরঃ খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্য সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটে।বেলা বাড়ার সাথে সাথে ছায়ার দৈর্ঘ্য বেড়েছে, পরে আবার কমে গিয়েছে।এ পরিবর্তনের কারণ সূর্যের অবস্থান আকাশে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। সূর্যের গতি, পৃথিবীর অক্ষের কাত, দিনের বেলা, খুঁটির উচ্চতা এবং ভূখণ্ডের ঢাল – এই সকল কারণ ছায়ার দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের জন্য দায়ী।

৪ ফুট দৈর্ঘ্যের খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনঃ 

পর্যবেক্ষনের
ক্রমিক

সময়
(পূর্নঘন্টা)

খুঁটির ছায়ার
অবস্থান

খুঁটির ছায়ার
দৈর্ঘ্য (ফুট)

১

১০:০০ am

খাড়া

০

২

১১:০০  am

পশ্চিমদিকে

২

৩

১২:০০  pm

পশ্চিমদিকে

৪

৪

০১:০০  pm

পশ্চিমদিকে

৬

৫

০২:০০  pm

পশ্চিমদিকে

৮

৬

০৩:০০  pm

পশ্চিমদিকে

১০

৭

০৪:০০  pm

পশ্চিমদিকে

১২

এই ছকের তথ্যের উপর ভিত্তি করে নিম্নের রেখাচিত্রটি পাওয়া যায়ঃ
 

খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য হওয়ার কারণ কী?

খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য হওয়ার কারণ:

সূর্যের উচ্চতা সারাদিন পরিবর্তিত হয়। সূর্যোদয়ের সময়, সূর্য দিগন্তের কাছাকাছি থাকে এবং ছায়া দীর্ঘ হয়। দুপুরের সময়, সূর্য আকাশে সবচেয়ে উঁচুতে থাকে এবং ছায়া সবচেয়ে ছোট হয়। সূর্যাস্তের সময়, সূর্য আবার দিগন্তের কাছাকাছি চলে আসে এবং ছায়া আবার দীর্ঘ হয়।

Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী
Read More: সবুজ বন্ধু- অষ্টম শ্রেণী
Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী

পঞ্চম  ও ষষ্ঠ সেশনঃ

চাঁদের উৎপত্তি ঘটনা  প্রবাহকে ৩টি ধাপে সাজিয়ে ফ্লো-চার্টঃ 

সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদের একটি মডেল বানাতে  প্রয়োজনীয় উপকরণ কি কি? এবং এসব উপকরণ বাছাই করার কারণ কি?

উত্তরঃ  সূর্য, পৃথিবী  ও চাঁদের মডেল বানাতে  প্রয়োজনীয় উপকরণ:

  • কার্ডবোর্ড
  • বিভিন্ন রঙের কাগজ
  • রঙ
  • ব্রাশ
  • কাঁচি
  • স্টিলের তার
  • গ্লু
  • টেপ ইত্যাদি 
উপকরণ ব্যবহার করার যুক্তি:
 
  • কার্ডবোর্ড: মডেলের ভিত্তি তৈরি করতে।
  • কাগজ: মডেলের বিভিন্ন অংশ তৈরি করতে।
  • রঙ: মডেলের বিভিন্ন অংশ রঙ করতে।
  • ব্রাশ: রঙ লাগানোর জন্য।
  • কাঁচি: কাগজ ও কার্ডবোর্ড কাটার জন্য।
  • তারঃ কক্ষপথ তৈরির জন্য।
  • গ্লু: মডেলের বিভিন্ন অংশ একসাথে লাগানোর জন্য।
  • টেপ: মডেলের বিভিন্ন অংশ একসাথে আটকে রাখার জন্য।
Read More: ফসলের ডাক- সপ্তম শ্রেণী
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

সপ্তম,অষ্টম  ও নবম সেশনঃ

*তোমাদের বানানো (সূর্য, পৃথিবী,চাঁদ)মডেলে কোন কোন ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছেনা?

হাতে বানানো চাঁদ সূর্য পৃথিবীর অবস্থানের মডেলে বেশ কিছু ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয় না। যেমন-দিন-রাতের দৈর্ঘ্য পরিবর্তন,জোয়ারভাটা,ঋতু পরিবর্তন,চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ ইত্যাদি।

উপরের ঘটনাগুলো কেন তোমাদের মডেলে পর্যবেক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না?

কারণ:

সরলীকরণ: হাতে বানানো মডেলটি বাস্তব জগতের পূর্ণাঙ্গ অনুকরণ নয়, বরং কিছু সরলীকরণের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই সরলীকরণগুলো কিছু ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা অসম্ভব করে তোলে।

আকারের অনুপাত: হাতে বানানো মডেলে, সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবীর আকার বাস্তব অনুপাতে নেই। এর ফলে, কিছু ঘটনা, যেমন চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ, দেখা যায় না।

অক্ষের কাত: হাতে বানানো মডেলে, পৃথিবীর অক্ষের কাত বাস্তব অনুপাতে নেই। এর ফলে, ঋতু পরিবর্তন এবং দিন-রাতের দৈর্ঘ্য পরিবর্তন দেখা যায় না।

মাধ্যাকর্ষণ শক্তি: হাতে বানানো মডেলে, চাঁদ এবং সূর্যের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বাস্তব অনুপাতে নেই। এর ফলে, জোয়ারভাটা দেখা যায় না।

তোমাদের মডেলে  প্রচ্ছায়া এবং উপচ্ছায়া কি পর্যবেক্ষণ করতে পারছ?কোনো সমস্যা হয়েছে কী?শ্রেনিকক্ষে দিনের বেলায় প্রচ্ছায়া পর্যবেক্ষণ করতে কেন অসুবিধা হয়?

সুর্যঘড়িহ্যাঁ, আমাদের মডেলে আমরা প্রচ্ছায়া এবং উপচ্ছায়া পর্যবেক্ষণ করতে পারি।
 
প্রচ্ছায়া:
সূর্যের আলো কোনো বস্তু দ্বারা আবদ্ধ হলে যে অন্ধকার অংশ তৈরি হয় তাকে প্রচ্ছায়া বলে।
প্রচ্ছায়া বস্তুর আকারের চেয়ে বড় হয়।
প্রচ্ছায়া বস্তু থেকে সূর্যের বিপরীত দিকে তৈরি হয়।
সূর্য যত উঁচুতে থাকে, প্রচ্ছায়া তত ছোট হয়।
সূর্য যত নিচুতে থাকে, প্রচ্ছায়া তত বড় হয়।
 
উপচ্ছায়া:
প্রচ্ছায়ার পার্শ্ববর্তী অল্প আলোকিত অংশকে উপচ্ছায়া বলে।
উপচ্ছায়া সবসময় স্পষ্ট হয় না।
সূর্যের অবস্থানের উপর উপচ্ছায়ার আকার নির্ভর করে।
 
সমস্যা:
আমাদের মডেলে, সূর্যের আলো কৃত্রিম। প্রকৃত সূর্যের আলোর তীব্রতা এবং দিক পরিবর্তন হয়। কৃত্রিম আলো সবসময় একই থাকে।আমাদের মডেলে, পৃথিবীর ঘূর্ণন দেখানো হয় না। প্রকৃতিতে, পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে সূর্যের অবস্থান পরিবর্তিত হয় এবং প্রচ্ছায়া ও উপচ্ছায়া পরিবর্তিত হয়।শ্রেণিকক্ষে দিনের বেলায় প্রচ্ছায়া পর্যবেক্ষণ করতে অসুবিধা হয় কারণ:
 
কৃত্রিম আলো: শ্রেণিকক্ষে ব্যবহৃত কৃত্রিম আলো প্রকৃত সূর্যের আলোর চেয়ে কম তীব্র হয়। এর কারণে প্রচ্ছায়া স্পষ্ট হয় না।
জানালার আলো: শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন দিক থেকে আলো আসে। এর কারণে প্রচ্ছায়া স্পষ্ট হয় না।
বস্তুর অবস্থান: শ্রেণিকক্ষে বস্তু বিভিন্ন দিকে রাখা থাকে। এর কারণে প্রচ্ছায়া স্পষ্ট হয় না।

দশম  ও একাদশ সেশনঃ

*পৃথিবীর কক্ষপথ যদি পুরোপুরি বৃত্তাকার হতো তাহলে অ্যানালেমার আকৃতি কেমন হতো? কেন?

যদি পৃথিবীর কক্ষপথ পুরোপুরি বৃত্তাকার হত, তাহলে অ্যানালেমার আকৃতি একটি সমবাহু ত্রিভুজ হত। কারণ:
 
অ্যানালেমা: এটি পৃথিবী থেকে দেখা সূর্যের আপাতিক গতিপথের একটি রেখাচিত্র যা এক বছর ধরে রেকর্ড করা হয়।
★পৃথিবীর কক্ষপথের উপবৃত্তাকার আকারের কারণে সূর্য বছরের বিভিন্ন সময়ে আকাশে বিভিন্ন অবস্থানে দেখা যায়।
★ যদি পৃথিবীর কক্ষপথ পুরোপুরি বৃত্তাকার হত, তাহলে সূর্য সবসময় আকাশে একই স্থানে থাকত।পৃথিবীর অক্ষের 23.5° কোণে হেলে থাকার কারণে, এনালেমা একটি সমবাহু ত্রিভুজের আকারে রেকর্ড করা হবে।
 
এক্ষেত্রে ত্রিভুজের শীর্ষবিন্দু হবে:
উত্তর গোলার্ধের জন্য: গ্রীষ্মকালীন অয়নকাল (উত্তর গোলার্ধে সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতা)
দক্ষিণ গোলার্ধের জন্য: শীতকালীন অয়নকাল (দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতা)
 
ত্রিভুজের ভূমি হবে:
উভয় গোলার্ধের জন্য: বিষুবরেখা।
 
উল্লেখ্য:
বাস্তবিকভাবে, পৃথিবীর কক্ষপথ পুরোপুরি বৃত্তাকার নয়, বরং কিছুটা উপবৃত্তাকার।
এর ফলে, অ্যানালেমার আকৃতি পুরোপুরি সমবাহু ত্রিভুজ না হয়ে কিছুটা বিকৃত হয়।
 

পৃথিবী যদি ২৩.৫ ডিগ্রী হেলে না থেকে একদম খাড়াভাবে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতো তাহলে অ্যানালেমার আকৃতি কেমন হতো যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা কর ।

যদি পৃথিবী ২৩.৫ ডিগ্রী হেলে না থেকে একদম খাড়াভাবে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতো, তাহলে অ্যানালেমার আকৃতি একটি সরলরেখা হত।
 
কারণ:
অ্যানালেমা: অ্যানালেমা হলো এক বছর ধরে সূর্যের অবস্থানের একটি রেকর্ড যা পৃথিবীর একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এটি একটি উপবৃত্তাকার আকৃতি ধারণ করে কারণ পৃথিবী সূর্যকে ঘিরে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘোরে এবং পৃথিবীর অক্ষ 23.5° হেলানো থাকে।
খাড়া অক্ষ: যদি পৃথিবীর অক্ষ খাড়া থাকে, তাহলে সূর্য সারাবছর ধরে আকাশে একই উচ্চতায় থাকবে। এর অর্থ হলো অ্যানালেমা তৈরি করার জন্য সূর্যের অবস্থানের বিন্দুগুলো একটি সরলরেখায় সারিবদ্ধ হবে।
 

পৃথিবীর সব দেশ থেকে বছর জুড়ে  পর্যবেক্ষণ করলে কি অ্যানালেমার আকৃতি একই রকম হবে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। 

না, পৃথিবীর সব দেশ থেকে বছর জুড়ে পর্যবেক্ষণ করলে অ্যানালেমার আকৃতি একই রকম হবে না।
 
কারণ:
অক্ষের ঢাল: পৃথিবীর অক্ষ 23.5° হেলানো। এই ঢালের কারণে, বিভিন্ন অক্ষাংশে সূর্যের অবস্থান ভিন্ন ভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়।
সূর্যের উচ্চতা: বিষুব রেখায়, সূর্য সারাবছর ধরে আকাশে একই উচ্চতায় থাকে। কিন্তু উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে, সূর্য ছয় মাস ধরে দিগন্তের উপরে এবং ছয় মাস ধরে দিগন্তের নিচে থাকে।
অ্যানালেমার আকৃতি: অ্যানালেমার আকৃতি নির্ভর করে সূর্যের অবস্থানের পরিবর্তনের উপর। যেহেতু সূর্যের অবস্থান বিভিন্ন অক্ষাংশে ভিন্ন ভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়, তাই অ্যানালেমার আকৃতিও ভিন্ন ভিন্ন হবে।
 

দ্বাদশ সেশনঃ

*তোমাদের হাতে বানানো  সূর্য চাঁদ ও পৃথিবী  মডেলে আরো কী ধরনের পরিবর্তন আনলে বিষয়গুলো আরো যৌক্তিক ভাবে ব্যাখ্যা করা যেতো?

আমাদের হাতে বানানো সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী মডেলে আরও যৌক্তিকভাবে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করার জন্য  কিছু পরিবর্তন আনা যেতে পারে।
  • সঠিক আকারের অনুপাত বজায় রাখতে পারলে মডেলটি আরও বাস্তবসম্মত হবে।
  • মডেলে ঘূর্ণনের ব্যবস্থা থাকলে, ঋতু পরিবর্তন, দিন ও রাত, চাঁদের দশা পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়গুলো আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে।
  • সঠিক কক্ষপথ দেখানো হলে, গ্রহণ, ঋতু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়গুলো আরও সহজে বোঝা যাবে।মডেলে আরও কিছু উপাদান যোগ করা যেতে পারে, যেমন: গ্রহ,নক্ষত্র,ছায়াপথ,গ্রহাণু,ধূমকেতু।এই উপাদানগুলো মহাবিশ্ব সম্পর্কে আরও ধারণা দেবে।
 

তোমাদের বানানো সূর্যঘড়ি কি সারা বছর একই ভাবে কাজ করবে? ব্যাখ্যা কর। 

আমাদের বানানো সূর্যঘড়ি সারা বছর একই ভাবে কাজ করবে না। কারণ, সূর্যের অবস্থান বছরের বিভিন্ন সময়ে আকাশে ভিন্ন ভিন্ন হয়।
 

ছায়ার অবস্থান ও দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন কাজে লাগিয়ে আর কি করা যেতে পারে?

ছায়ার অবস্থান ও দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে করা যেতে পারে।

কিছু উদাহরণ: 

  • বস্তুর উচ্চতা নির্ণয়।
  • গ্রহের অবস্থান নির্ণয়।
  • ছায়ানাটক, ছায়াছবি, ছায়াখেলা ইত্যাদি পরিবেশনা।

সোলার প্যানেল কোন দিকে হেলে রাখা হয় কখনো খেয়াল করেছো কেন সোলার প্যানেলকে সব সময় একই দিকে মুখ করে হেলিয়ে রাখা হয় বলতে পারো?

হ্যাঁ, খেয়াল করেছি। সোলার প্যানেলগুলো সাধারণত দক্ষিণ দিকে হেলানো থাকে। এর কারণ  সোলার প্যানেল থেকে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সূর্যের আলো সর্বোচ্চ পরিমাণে গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই সোলার প্যানেলগুলো সাধারণত দক্ষিণ দিকে হেলানো থাকে।
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী

Filed Under: Class 8, বিজ্ঞান class 8 Tagged With: খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্য সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটে কেন?, খুঁটির ছায়ার দৈর্ঘ্যের পার্থক্য হওয়ার কারণ কী?, চাঁদ)মডেলে কোন কোন ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছেনা?, ছায়ার অবস্থান ও দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন কাজে লাগিয়ে আর কি করা যেতে পারে?, তোমাদের বানানো (সূর্য, তোমাদের বানানো সূর্যঘড়ি কি সারা বছর একই ভাবে কাজ করবে? ব্যাখ্যা কর।, তোমাদের মডেলে প্রচ্ছায়া এবং উপচ্ছায়া কি পর্যবেক্ষণ করতে পারছ?কোনো সমস্যা হয়েছে কী?শ্রেনিকক্ষে দিনের বেলায় প্রচ্ছায়া পর্যবেক্ষণ করতে কেন অসুবিধা হয়?, তোমাদের হাতে বানানো সূর্য চাঁদ ও পৃথিবী মডেলে আরো কী ধরনের পরিবর্তন আনলে বিষয়গুলো আরো যৌক্তিক ভাবে ব্যাখ্যা করা যেতো?, পৃথিবী, পৃথিবী ও চাঁদের একটি মডেল বানাতে প্রয়োজনীয় উপকরণ কি কি? এবং এসব উপকরণ বাছাই করার কারণ কি?, পৃথিবী যদি ২৩.৫ ডিগ্রী হেলে না থেকে একদম খাড়াভাবে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতো তাহলে অ্যানালেমার আকৃতি কেমন হতো যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা কর ।, পৃথিবীর কক্ষপথ যদি পুরোপুরি বৃত্তাকার হতো তাহলে অ্যানালেমার আকৃতি কেমন হতো? কেন?, পৃথিবীর সব দেশ থেকে বছর জুড়ে পর্যবেক্ষণ করলে কি অ্যানালেমার আকৃতি একই রকম হবে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।, সূর্য, সূর্যকে কাজে লাগানোর উপায় কী?, সূর্যঘড়ি, সোলার প্যানেল কোন দিকে হেলে রাখা হয় কখনো খেয়াল করেছো কেন সোলার প্যানেলকে সব সময় একই দিকে মুখ করে হেলিয়ে রাখা হয় বলতে পারো?

যাযাবর পাখির সন্ধানে ২০২৪ । বিজ্ঞান-অনুশীলন বই । ৮ম শ্রেনী

2024/2/7 by veg_admin 2 Comments

যাযাবর পাখির সন্ধানে

এই পোস্টে আমরা অষ্টম  শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ১ম শিখন অভিজ্ঞতা– যাযাবর পাখির সন্ধানে- সম্পর্কে জানবো।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

*আমাদের এলাকায় যেসব পরিযায়ী পাখি এসে বাসা বাঁধে-

পরিযায়ী পাখির নাম

বছরের কোন সময়ে দেখা যায়

খয়রা, লালঝুটি ভুতিহাঁস, বন বাটান, গাংচিল ইত্যাদি

বর্ষাকালের শেষে, হেমন্তের শুরুতে, শীতকালে

*পরিযায়ী পাখিগুলো কোথা থেকে আসে?

উত্তরঃ পরিযায়ী পাখিগুলোর মূলত আসে উত্তর মঙ্গোলিয়া, তিব্বতের একটি অংশ, চীনের কিছু অঞ্চল, রাশিয়া ও সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চল থেকে। অর্থাৎ উত্তর মেরু, ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু এলাকা ও হিমালয় পর্বতমালার আশে পাশের এলাকা থেকেই পাখিগুলো দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে  বাংলাদেশে আসে যেখানে তুলনামূলক কম ঠাণ্ডা পড়ে ও খাবার পাওয়া যায়।
 

*গ্লোবের উপর থেকে নিচে লম্বালম্বি এবং দু’পাশে আড়াআড়ি বেশ কিছু রেখা টানা হয়েছে- এই রেখাগুলো কি কাজে লাগে ?

উত্তরঃ গ্লোবের উপর থেকে নিচে লম্বালম্বি’ভাবে দ্রাগিমা রেখা এবং দু’পাশে  আড়াআড়ি’ভাবে অক্ষরেখা টানা হয়েছে। এগুলা পৃথীবির উপর কল্পিত একাধিক রেখা। এই দুই ধরণের কাল্পনিক রেখা পৃথীবির পৃষ্টে কোন স্থানের প্রকৃত অবস্থান নির্ণয় করতে কাজে লাগে।

*অক্ষরেখা কী?

 উত্তরঃ অক্ষরেখা হলো পৃথিবীর কেন্দ্র দিকে উত্তর ও দক্ষিণে কল্পিত রেখা। অর্থাৎ পৃথিবীর উপর অনুভূমিক ভাবে উত্তর থেকে দক্ষিণ বরাবর যে রেখাগুলো বিদ্যমান তাদের অক্ষরেখা বলে। অক্ষরেখাকে ইংরেজিতে latitude বলা হয়।
 
অক্ষরেখাগুলো পরস্পরের সমান্তরাল হওয়ায় যে কোন দুটো অক্ষরেখার মধ্যবর্তী দূরত্ব সব সময় সমান হয়।পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অক্ষরেখা হলো নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা, কর্কটক্রান্তি, মকরক্রান্তি, সুমেরু বৃত্ত এবং কুমেরু বৃত্ত রেখা।
 

*দ্রাঘিমা রেখা কী?

উত্তরঃ অক্ষ রেখাগুলোকে ছেদ করে উত্তর মেরু বিন্দু হতে দক্ষিণ মেরু বিন্দু পর্যন্ত কতকগুলি অর্ধবৃত্তাকার রেখা কল্পনা করা হয়েছে এই অর্ধবৃত্তাকার রেখা গুলির নাম দ্রাঘিমা রেখা।যাযাবর পাখির সন্ধানে
 

*বিষুব রেখা কী?

উত্তরঃ এটি একটি কাল্পনিক রেখা যা পৃথিবীর মাঝ বরাবর এবং উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু থেকে সমান দুরত্বে কল্পনা করা হয় এবং যা পৃথিবীকে দক্ষিণ গোলার্ধ এবং উত্তর গোলার্ধে ভাগ করে। এই রেখাটির মান ০ ডিগ্রি। একে বিষুবীয় রেখাও বলা হয়।
 

*কর্কটক্রান্তি রেখা কী?

উত্তরঃ নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা হতে 23.5 ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ কে কর্কটক্রান্তি রেখা  বা ট্রপিক অব ক্যান্সার বলা হয়।
 

*মকরক্রান্তি রেখা কী?

উত্তরঃ নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা হতে 23.5 ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ কে মকরক্রান্তি রেখা  বলা হয়।
 

*অক্ষাংশ কী?

উত্তরঃ নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোন স্থান এবং পৃথিবীর নিরক্ষীয় তলের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলে।
 

*দ্রাঘিমাংশ রেখা কী?

দ্রাঘিমাংশ রেখা কী?
উত্তরঃ দ্রাঘিমা রেখার প্রতিটি বিন্দু বিষুব রেখার সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে, তার পরিমাপ হলো দ্রাঘিমাংশ। একথাও বলা যায়, দ্রাঘিমাংশগুলো নিয়ে যে মেরুস্পর্শী রেখা তৈরি হয়, তাকে দ্রাঘিমাংশ রেখা বলা যায়।
 
Read More: সবুজ বন্ধু- অষ্টম শ্রেণী
Read More: সূর্যঘড়ি- অষ্টম শ্রেণী

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ

*GPS কী?

উত্তরঃ  GPS এর পুরো নাম Global Positioning System (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম)। একসময় মানচিত্র, কম্পাস, স্কেল ইত্যাশে দিয়ে মেপে ও অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের সাহায্যে ভূপৃষ্টের কোনো স্থানের ভৌগোলিক অবস্থান নির্ণয় করা হত। এখন GPS প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব  সহজে ও নিখুতভাবে  পৃথিবীর কোনো স্থানের অবস্থান জানা যায়। গাড়ি, জাহাজ, প্লেন, ল্যাপটপ এমন কি সাধারণ মডেলের স্মার্টফনেও এখন GPS রিসিভার থাকে।
 

*স্মার্টফোনে GPS ব্যবহার করে কোনো স্থানের (আমাদের স্কুল) অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ কিভাবে নির্ণয় করা হয়?

উত্তরঃ এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে গুগল ম্যাপস অ্যাপ খুলতে হবে। ম্যাপে যেকোনো একটি এলাকা টাচ করে ধরে রাখলে সার্চ বক্সে স্থানাংক দেখা যায়।যেমন- এভাবে আমাদের স্কুলের স্থানাংক  হলো 22.315315, 91.798809 
 

মানচিত্রের সাহায্যে নিচের ছকে দেয়া দেশগুলোর অবস্থানঃ

দেশের নাম

মানচিত্রে অবস্থান (অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ)

কম্বোডিয়া

12.56570 N, 104.99100E 

উরুগুয়ে

32.52280 S, 55.76580 W

ডেনমার্ক

56.26390 N, 9.50180 E

মাদাগাস্কার

18.76690 S, 46.86910 E

জাপান

36.20480 N, 138.25290 E

সেনেগাল

14.49740 N, 14.45240 W

*পৃথিবীর কোন দিকে কখন দিন শুরু হবে,ক’টা বাজবে সেটা কীভাবে ঠিক হবে?(পৃষ্ঠা -৭)

 
উত্তরঃ প্রতিদিন পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে তার নিজ মেরুরেখার উপর আবর্তিত হচ্ছে। ফলে পূর্ব দিকে অবস্থিত স্থানগুলোতে আগে সূর্যোদয় ঘটে। পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোনো স্থানে যখন সূর্য ঠিক মাথার উপর আসে বা সর্বোচ্চে অবস্থান করে তখন এ স্থানে মধ্যাহ্ন এবং স্থানীয় ঘড়িতে তখন বেলা ১২টা ধরা হয়। এ মধ্যাহ্ন সময় থেকে দিনের অন্যান্য সময় স্থির করা হয়। একে কোনো স্থানের স্থানীয় সময় বলা হয়। সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যেও স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায়।
 
আলোচিত দেশগুলোর অবস্থান অনুসারে সময়ঃ
 

দেশের নাম

এই মূহুর্তে ঘড়িতে সময়

বাংলাদেশ

11:14 am

কম্বোডিয়া

12:14 pm

উরুগুয়ে

2:14 am

ডেনমার্ক

6:14 am

মাদাগাস্কার

8:14 am

জাপান

2:14 pm

সেনেগাল

5:14 am

*আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কী?

উত্তরঃ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা (International Date Line) পৃথিবীর পৃষ্ঠে অঙ্কিত একটি কাল্পনিক রেখা যা উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত। এই কাল্পনিক রেখাটি পৃথিবীতে একটি তারিখ শুরু ও শেষ নির্ধারণ করে। 180° মূলমধ্যরেখাটিকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল কারন মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরের বিচ্ছিন্ন জনবহুল অঞ্চলের উপর দিয়ে এই রেখাটি সম্প্রসারিত হয়েছে।

 

Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম সেশনঃEast Asian-Australian Flyway বাংলাদেশ সহ কোন কোন দেশের উপর দিয়ে গেছে?

*বাংলাদেশের উপর বা কাছ দিয়ে কোন যাত্রাপথ গুলো গেছে?

উত্তরঃ বাংলাদেশের উপর দিয়ে  Central Asian Flyway এবং বাংলাদেশের কাছ দিয়ে গেছে East Asian-Australian Flyway।  এই দুটি ফ্লাইওয়ে বা যাত্রাপথ গেছে যা পরিযায়ী পাখিরা ব্যবহার করে।
 

*পরিযায়ী পাখিরা কিভাবে এত লম্বা পথ পাড়ি দেয়?

উত্তরঃ পরিযায়ী পাখিরা তাদের দীর্ঘ অভিযানে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে। এই বিশেষ ‘ফ্লাইওয়ে’গুলো পাখিদের অভিবাসনের জন্য মহাসড়কের মতো কাজ করে। তারা দিকনির্দেশনা পেতে   নদী, উপকূলরেখা বা পর্বতমালা, সূর্য-তারা, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র, তাদের গন্ধের অনুভূতি ব্যবহার করে। এমনকি অন্য পাখিদের অনুসরণ করতে পারে।
এছাড়াও নিচের কৌশলগুলো ব্যবহার করেঃ
 
  • শক্তি সঞ্চয়: যাত্রা শুরুর আগে তারা প্রচুর খাবার খেয়ে শরীরে চর্বি জমা করে, যা উড়ার জ্বালানি দেয়।
  • ঝাঁক বেঁধে উড়ান: ঝাঁকে উড়লে সামনের পাখির সৃষ্ট বাতাস সাহায্যে কম শক্তি লাগে। নেতা পাখি ঝাঁকের পথ নির্দেশ করে।
  • রাতে বিশ্রাম: রাতে তারা নিরাপদ জায়গায় বিশ্রাম নেয় এবং খায়।
  • পথ চলা: কিছু পাখি সমুদ্রের উপর দিয়ে, আবার কিছু পাখি স্থলপথে যাত্রা করে।  তারা খাবার ও বিশ্রামের জন্য রাস্তায় বিশেষ জায়গায় থামে।
  • অভিযানের স্মৃতি: কিছু পাখি পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ও তারকা দেখে পথ চলে। অনেক প্রজন্ম ধরে শেখা পথ মনে রাখে।

এসব কৌশলের সাহায্যে পাখিরা হাজার হাজার মাইল পেরিয়ে যায় প্রতিবছর, আমাদের অবাক করে দিয়ে!

*East Asian-Australian Flyway বাংলাদেশ সহ কোন কোন দেশের উপর দিয়ে গেছে?

উত্তরঃ ইস্ট এশিয়া-অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইওয়ে বাংলাদেশ সহ মোট ৩৭ টি দেশের উপর দিয়ে গেছে। এই দেশগুলো হল:

আফগানিস্তান,অস্ট্রেলিয়া,বাংলাদেশ,ব্রুনাই,কম্বোডিয়া,চীন,ক্রিসমাস দ্বীপ,কোকোস (কিলিং) দ্বীপপুঞ্জ, ডেমোক্রেটিক পিপল’স রিপাবলিক অফ কোরিয়া,গাম্বিয়া,হংকং,ভারত,ইন্দোনেশিয়া,জাপান,কাজাখস্তান,কিরিবাতি,উত্তর কোরিয়া,লাওস,মালয়েশিয়া,মালদ্বীপ,মার্শালদ্বীপপুঞ্জ,মাইক্রোনেশিয়া, মঙ্গোলিয়া,   নাউরু,নিউজিল্যান্ড,পালাউ,ফিলিপাইন,রাশিয়া,সিঙ্গাপুর,দক্ষিণ কোরিয়া,শ্রীলঙ্কা,  তাইওয়ান,থাইল্যান্ড,তিমুর-লেস্তে,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,ভিয়েতনাম।

পাখিদের পরিযায়নের কারণ কী?

উত্তরঃ পাখিরা বিভিন্ন কারণে পরিযান করে। তবে এর মূল কারণ দুটি হল:

১. খাদ্যের সহজলভ্যতা: ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে খাদ্যের সরবরাহ পরিবর্তিত হয়। উত্তর গোলার্ধের অনেক পাখি বসন্তকালে উত্তরে উড়ে যায় প্রচুর পোকামাকড় এবং নতুন জন্ম নেওয়া উদ্ভিদ ও উদ্ভিদাংশ খাওয়ার জন্য। শীতকালে বরফ জমার কারণে খাদ্যের অভাব দেখা দিলে এরা দক্ষিণে রওয়ানা হয়।

২. প্রজনন: অনেক পাখি প্রজননের জন্য নিরাপদ ও উপযুক্ত আবাসস্থল খুঁজে পেতে পরিযান করে। উষ্ণ অঞ্চলে প্রচুর খাদ্য সরবরাহ থাকে বলে অনেক পাখি শীতকালে উষ্ণ অঞ্চলে গিয়ে প্রজনন করে।  

Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী

ষষ্ট সেশনঃ

*পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভূমিরূপ ও আবহাওয়ার পার্থক্যের কারণ কী?

উত্তরঃ  ভূমিরূপ বলতে পৃথিবীর পৃষ্ঠে বিদ্যমান বিভিন্ন ধরণের ভূমি ভাগের আকৃতি, উচ্চতা, বন্ধুরতা, ঢাল, প্রভৃতি অবয়বকে বোঝায়। আক্ষরিক অর্থে ভূমির গঠনগত আকৃতিকেও ভূমিরূপ বলা হয়।
আবহাওয়া হলো বায়ুমণ্ডলের অবস্থা, যা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে পরিবর্তিত হতে পারে। আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান দ্বারা নির্ধারিত হয়, যেমন: তাপমাত্রা,বৃষ্টিপাত, বায়ু,আর্দ্রতা,মেঘের পরিমাণ, বায়ুমণ্ডলীয় চাপ। ভূমিরূপ ও আবহাওয়ার পার্থক্যের কারণ:
ভৌগোলিক অবস্থান: পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের ভৌগোলিক অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন।
নিরক্ষীয় অঞ্চল, মেরু অঞ্চল, উপকূলীয় অঞ্চল, ভূমধ্যস্থলীয় অঞ্চল ইত্যাদি বিভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থানের ভূমিরূপ ও আবহাওয়া ভিন্ন হয়।
সৌর বিকিরণ: পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে সৌর বিকিরণের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন।
 

* বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে সূর্যের আলো  আপতিত হবার দিকঃ

 

বিভিন্ন
ভৌগোলিক অঞ্চল

বছরের
বিভিন্ন সময়ে সূর্যের আলো আপতিত হবার দিক

(খাড়া বা
তীর্যকভাবে)

দিনের
দৈর্ঘ্য

(শুধুই
দিন/দিনের দৈর্ঘ্য রাতের চেয়ে বেশী/রাতের দৈঘ্য দিনের চেয়ে বেশী/ দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য
কাছাকাছি/ শুধুই রাত)

 

২১শে মার্চ

২১শে জুন

২৩শে সেপ্টেম্বর

২২শে ডিসেম্বর

২১শে মার্চ

২১শে জুন

২৩শে সেপ্টেম্বর

২২শে ডিসেম্বর

উত্তর মেরু

তীর্যক

খাড়া

তীর্যক

আলো পড়েনা

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

শুধুই দিন

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

শুধুই রাত

তুন্দ্রা অঞ্চল

তীর্যক

তীর্যক

তীর্যক

তীর্যক

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

দিনের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশী

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

রাতের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশী

মরুভূমি

তীর্যক

খাড়া বা তীর্যক

তীর্যক

তীর্যক

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

দিনের দৈর্ঘ্য বেশি

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

রাতের দৈর্ঘ্য বেশি

চিরহরিৎ বন

তীর্যক

তীর্যক

তীর্যক

তীর্যক

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

দিনের দৈর্ঘ্য বেশি

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

রাতের দৈর্ঘ্য বেশি

দক্ষিন মেরু

খাড়া

আলো পড়েনা

তীর্যক

খাড়া

রাতের দৈর্ঘ্য ছোট

শুধুই রাত

দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য
সমান

শুধুই দিন

 
 

*সূর্যালোকের বিকিরনের প্যাটার্নের সঙ্গে বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চল সৃষ্টির কোনো সম্পর্ক কি খুঁজে পাও?

উত্তরঃ পৃথিবীর ঘুর্ণন অক্ষ তার কক্ষপথের সাথে ২৩.৫ ডিগ্রী কোনে হেলানো থাকে এবং এই অবস্থায় পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিন করে। ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অক্ষাংশে সুর্যালোকের বিকিরনের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। আবার অক্ষাংশের ভিত্তিতে পৃথিবীকে কয়েকটি ভৌগোলিক অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে, যথাঃ বিষুবীয় অঞ্চল, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল, মেরু অঞ্চল। কোনো স্থানের অক্ষাংশের উপর সেখানের সুর্যালোক কতটা আসবে তার পরিমাণ নির্ভর করে এবং ভৌগোলিক অঞ্চলগুলোকেও ভাগ করা হয়েছে। সুতরাং বলা যায় সুর্যালোকের বিকিরনের প্যাটার্নের সঙ্গে বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চল সৃষ্টির সম্পর্ক রয়েছে। বিষুব রেখার বা তার কাছাকাছি অঞ্চলে সুর্যালোক প্রায় লম্বভাবে পরে। ফলে সেখানে ভূপৃষ্ট বেশী উত্তপ্ত হয়।অপরদিকে মেরু এলাকার কাছাকাছি অঞ্চলে সুর্যালোক প্রায় তীর্যকভাবে পরে। ফলে সেখানে ভূপৃষ্ট শীতল থাকে।
 

তুমি কি কখনো কর্কটক্রান্তি অতিক্রম করেছ? কর্কটক্রান্তির উপরে থাকলে 21শে জুন দুপুর বারোটায় তোমার কোনো ছায়া পড়বে না, কথাটির অর্থ কী?

উত্তরঃ হ্যাঁ, করেছি। 
আমরা জানি কর্কটক্রান্তি রেখার উপর সকল স্থানে ২১শে জুন দুপুর ১২টায় সূর্যের আলো লম্বভাবে পড়ে, তাই সেদিন দুপুর ১২টায় আমার কোনো ছায়া পরবেনা।
 

তোমার স্কুলটি কি বিষুবীয় অঞ্চলে, নাকি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে?

উত্তরঃ বিষুবীয় অঞ্চলে।
 

পৃথিবীর ক্রমাগত ঘূর্ণনের পরেও এর বিভিন্ন অঞ্চলে ভৌগোলিক বৈচিত্র্য কিভাবে সংরক্ষিত হয়?

উত্তর -পৃথিবীর ক্রমাগত ঘূর্ণনের পরেও এর বিভিন্ন অঞ্চলে ভৌগোলিক বৈচিত্র্য সংরক্ষিত থাকে কারণ পৃথিবীর অক্ষীয় ঢাল, ভূত্বকের গঠন, প্লেট টেকটোনিক্স, জলবায়ু এবং জীববৈচিত্র্যের মতো বিভিন্ন প্রক্রিয়া একসাথে কাজ করে।
 
Read More: ফসলের ডাক-েসপ্তম শ্রেণী

সপ্তম ও অষ্টম সেশনঃ

পরিযায়ী পাখিরা ঠিক জায়গায় কীভাবে পৌঁছায়?

উত্তরঃ পরিযায়ী পাখিরা ঠিক জায়গায় পৌঁছাতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে।
অনেক পরিযায়ী পাখির চোখের পেছনে magnetite নামক এক ধরণের খনিজ পদার্থ থাকে যা তাদের পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র অনুভব করতে সাহায্য করে। এর ফলে তারা দিক নির্ণয় করতে পারে এবং তাদের গন্তব্যের দিকে উড়তে পারে। এছাড়া  সূর্য নক্ষত্র, পাহাড় নদীর মতো কিছু ল্যান্ডমার্ক ব্যবহার করে,তারা নিজেদের ঘ্রাণ অনুভূতিকেও কাজে লাগায়।
 

*চুম্বক ও চৌম্বক পদার্থ কী?

 
উত্তরঃ চুম্বক (Magnet): যে সমস্ত বস্তু লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি চৌম্বকীয় পদার্থকে আকর্ষণ করে এবং যার দিগ্‌দর্শী ধর্ম আছে, সেসমস্ত বস্তুকে চুম্বক বলে। বস্তুর এ ধর্মকে চুম্বকত্ব বলে।
 
চৌম্বক পদার্থ: যে সমস্ত পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং যাদেরকে কৃত্রিম উপায়ে চুম্বকে পরিণত করা যায়, তাদের চৌম্বক পদার্থ বলে। যেমন, কাঁচা লোহা, ইষ্পাত, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি হল চৌম্বক পদার্থ।
 

*চুম্বককে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?

 
উত্তরঃ চুম্বকত্বের স্থায়িত্বের উপর নির্ভর করে চুম্বককে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:
 (1) স্থায়ী চুম্বক (Permanent Magnet): যে সমস্ত কৃত্রিম চুম্বকের চুম্বকত্ব অনেকদিন বজায় থাকে, সহজে নষ্ট হয় না, তাদের স্থায়ী চুম্বক বলে। যেমন: দন্ড চুম্বক, চুম্বক শলাকা ইত্যাদি হল স্থায়ী চুম্বক।
 
(2) অস্থায়ী চুম্বক (Temporary Magnet): যে সমস্ত কৃত্রিম চুম্বকের চুম্বকত্ব বেশিদিন স্থায়ী হয় না, তাদের অস্থায়ী চুম্বক বলে। যেমন, কাঁচা লোহার দন্ডকে ঘর্ষণ প্রণালীতে চুম্বকে পরিণত করা হলে যদিও বেশ শক্তিশালী চুম্বকে পরিণত হয়, কিন্তু ওই চুম্বকের চুম্বকত্ব বেশি দিন স্থায়ী হয় না।
 

*কোন ধরণের পদার্থকে চুম্বক আকর্ষন করে/করে না- নোট নাও।

চুম্বক আকর্ষন করে

চুম্বক আকর্ষন করে

বস্তুর নাম

কী দিয়ে তৈরী

বস্তুর নাম

কী দিয়ে তৈরী

পেরেক

লৌহা

চেয়ার

কাঠ

চামচ

স্টীল

জগ

কাঁচ

ব্যাটারী

ইস্পাত

চিরুনি

প্লাস্টিক

খেলনা গাড়ী

লৌহা

বই

কাগজ

মুদ্রা

নিকেল

জামা

কাপড়/তন্তু

*তোমরা কি নিজেরা একটি চুম্বক তৈরী করতে পারবে?

উত্তরঃ 
পরীক্ষনঃ একটি ইস্পাতের টুকরা বা সূঁচকে একটি স্থায়ী চুম্বকে একমুখী ঘর্ষণ করলে এরপর তা কোনো লোহা বা নিকেল পদার্থের কাছে নিলে,আকর্ষণ করছে কী?(পৃষ্ঠা ১৪)
পর্যবেক্ষণ –  ঘর্ষণকৃত ইস্পাতের টুকরা বা সূঁচ লোহা বা নিকেলকে আকর্ষণ করছে।
নোট-একটি ইস্পাতের টুকরা বা সূঁচকে স্থায়ী চুম্বকে একমুখী ঘর্ষণ করা হয়, তখন ইস্পাতের টুকরা বা সূঁচ নিজেই  চুম্বকে পরিণত হয়।
 
***পরীক্ষণঃ একটি বাটিতে পানি নিয়ে তাতে সূচঁটি ভাসালে কী উত্তর দক্ষিণ মুখ করে আছে?বাটিটি ঘুরিয়ে দিলে কী সূঁচের দিক একই থাকছে? (পৃষ্ঠা ১৪)
পর্যবেক্ষণঃ বাটিতে পানি নিয়ে তাতে সূঁচ ভাসালে সূঁচের উত্তর মেরু দক্ষিণ দিকে এবং দক্ষিণ মেরু উত্তর দিকে মুখ করে থাকে।
 
বাটি ঘুরিয়ে দিলে: সূচটি একই দিকে থাকবে।কারণ পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র স্থির থাকে।
 

*চুম্বক কেন উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে থাকে?

উত্তরঃ চুম্বক উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে থাকে কারণ পৃথিবী একটি বিরাট চুম্বক। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র চুম্বকের উপর ক্রিয়া করে এবং এটিকে উত্তর-দক্ষিণ দিকে সারিবদ্ধ করে।পৃথিবীর ভেতরকার চুম্বকটির দক্ষিণ মেরু হচ্ছে উত্তর দিকে এবং উত্তর মেরুটি হচ্ছে দক্ষিণ দিকে।
 

*বৈদ্যুতিক প্রবাহের সাহায্যে কি চুম্বক তৈরি করা সম্ভব? (পৃষ্ঠা ১৫)

উত্তরঃ হ্যাঁ, বৈদ্যুতিক প্রবাহের সাহায্যে চুম্বক তৈরি করা সম্ভব। তড়িৎচুম্বক নামক এক ধরণের চুম্বক তৈরি করা হয় যা বিদ্যুৎ প্রবাহের উপর নির্ভর করে।
 
তড়িৎচুম্বক তৈরি করার পদ্ধতি:
 
একটি তারকে কুণ্ডলী বা সলিনয়েড আকারে পেঁচিয়ে নিতে হয়।এ কুণ্ডলীর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করতে হয়।বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে কুণ্ডলীর ভেতরে ও বাইরে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয়।বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ করে দিলে চৌম্বক ক্ষেত্রও বিনষ্ট হয়ে যায়।
 
কি কি ব্যবহার করেছ?
ড্রিঙ্কিং স্ট্র, বৈদ্যুতিক তার, ব্যাটারী, কম্পাস।
 
পর্যবেক্ষণ – 
১.কম্পাস কাছে নেয়ার পর কী ঘটল?
কম্পাসের কাঁটাটি শুরতে উত্তর দিকে মুখ করে থাকে। কুন্ডলীর তারের সাথে ব্যাটারীর সংযোগ দিলে কম্পাসটি কুন্ডলীর দিকে ঘুরে যায়। কারণ, ব্যাটারী থেকে বিদ্যুৎ প্রবাহের কারণে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে এবং সেই চৌম্বক ক্ষেত্রটি কম্পাসের কাঁটাটিকে নিজের দিকে টেনে নিয়েছে।
 
২.ব্যাটারীর দিক বদলে দেয়ার পর কী ঘটেছে?
যদি ব্যাটারী ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহের দিক পালটে দেয়া যায় তাহলে দেখা যায় কম্পাসটিও সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে যাচ্ছে। 

ভাবনার খোরাকঃ

একটি দন্ড চুম্বক বৈদ্যুতিক তারের কুন্ডলীর ভেতরে দ্রুত কিংবা ধীরে আনা নেওয়া করা হলে এমিটারে কী পরিবর্তন দেখা যাবে?

 যখন একটি দন্ড চুম্বক বৈদ্যুতিক তারের কুণ্ডলীর ভেতরে দ্রুত কিংবা ধীরে আনা নেওয়া করা হয়, তখন এমিটারে বিদ্যুৎ প্রবাহের পরিবর্তন দেখা যাবে।

কারণ: দন্ড চুম্বক কুণ্ডলীর ভেতরে আনা নেওয়ার সময় কুণ্ডলীর ভেতরে চুম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন ঘটে। দ্রুত চুম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন বেশি বিদ্যুৎ প্রবাহ সৃষ্টি করে, যার ফলে এমিটারে বেশি ভোল্টেজ দেখা যাবে।
ধীরে চুম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন কম বিদ্যুৎ প্রবাহ সৃষ্টি করে, যার ফলে এমিটারে কম ভোল্টেজ দেখা যাবে।
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী

নবম ও দশম সেশনঃ

কম্পাস বা যেকোন চুম্বকের দুই মেরু সবসময় উত্তর দক্ষিণ মুখ করে থাকে কেন?

উত্তরঃ কম্পাস বা যেকোনো চুম্বকের দুই মেরু সবসময় উত্তর দক্ষিণ মুখ করে থাকে কারণ পৃথিবী নিজেই একটি বিরাট চুম্বক। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের দক্ষিণ মেরু পৃথিবীর ভৌগোলিক উত্তর মেরুর কাছাকাছি অবস্থিত।
 
চুম্বকের দুই মেরু থাকে: উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু। বিপরীত মেরু পরস্পরকে আকর্ষণ করে এবং একই মেরু পরস্পরকে বিকর্ষণ করে। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের দক্ষিণ মেরু কম্পাসের উত্তর মেরুকে আকর্ষণ করে এবং কম্পাসের দক্ষিণ মেরুকে বিকর্ষণ করে।
 
এই কারণে, কম্পাসের উত্তর মেরু সবসময় পৃথিবীর ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরুর দিকে নির্দেশ করে এবং কম্পাসের দক্ষিণ মেরু সবসময় পৃথিবীর ভৌগোলিক উত্তর মেরুর দিকে নির্দেশ করে।
 

পরিযায়ী পাখিদের অস্তিত্বের হুমকি সম্পর্কে তোমরা কোনো ঘটনা শুনেছ?

উত্তরঃ পরিযায়ী পাখিদের অস্তিত্বের হুমকি সম্পর্কে আমার শোনা ঘটনাঃ
পরিযায়ী পাখিদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পতনের ঘটনা  অত্যন্ত দুঃখজনক এবং উদ্বেগজনক।এ বছর শীতকালে আমাদের প্রতিবেশীদের মধ্যে অনেকের মুখে শুনেছি যে পরিযায়ী পাখিদের মাংস অনেক সুস্বাদু। তারা চড়া দামে পরিযায়ী পাখি কিনেছে এবং খেয়েছে। এভাবে শিকার করার ফলে তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে।
 

তোমাদের একালায় পরিযায়ী পাখিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলতে তোমারা কী করতে পারো? 

উত্তরঃ এ সম্পর্কে আমাদের পরিকল্পনা নিম্নরূপঃ
পরিযায়ী পাখিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলতে আমরা ব্যক্তিগতভাবে  এবং  সামাজিকভাবে  অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি।
 
ব্যক্তিগতভাবে:
১। গাছপালা পাখিদের বাসা তৈরি এবং খাদ্য সংগ্রহের জন্য নিরাপদ স্থান প্রদান করে।
২। পাখির খাবার রাখা এবং পানির ব্যবস্থা করা তাদের বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৩। পোষা বিড়াল এবং কুকুর পাখির জন্য হুমকি হতে পারে। তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা পাখিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
৪। কীটনাশক পাখির জন্য ক্ষতিকর। পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি ব্যবহার করে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
 
সামাজিকভাবে:
১। স্থানীয় পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে পাখিদের আবাসস্থল রক্ষার জন্য কাজ করা।
২।পাখিদের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তাদের সমর্থন আদায় করা।
৩।পাখি শিকার এবং ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আইন প্রয়োগ করা।
 

পরিযায়ী পাখিদের সম্পর্কে নতুন কী কী জানলে এই কাজ করতে গিয়ে?

উত্তরঃ 
  • পরিযায়ী পাখিদের ভ্রমণপথ সম্পর্কে জেনেছি।
  • পরিযায়নের কারণ জেনেছি।
  • কিভাবে তারা এতো লম্বা পথ পাড়ি দেয় তা জেনেছি।
  • প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে এদের ভূমিকা সম্পর্কে জেনেছি।

এই কাজ করার পর পরিযায়ী পাখিদের বিষয়ে তোমার নিজের চিন্তায় কি কোনো পরিব্ররতন এসেছে?

উত্তরঃ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পরিযায়ী পাখিদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ব্যাক্তিগত এবং সামাজিক ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী

Filed Under: Class 8, বিজ্ঞান class 8 Tagged With: East Asian-Australian Flyway বাংলাদেশ সহ কোন কোন দেশের উপর দিয়ে গেছে?, অক্ষরেখা কী?, ক'টা বাজবে সেটা কীভাবে ঠিক হবে?, কর্কটক্রান্তি রেখা কী?, দ্রাঘিমা রেখা কী?, দ্রাঘিমাংশ কিভাবে নির্ণয় করা হয়?, পরিযায়ী পাখিগুলো কোথা থেকে আসে?, পরিযায়ী পাখিরা কিভাবে এত লম্বা পথ পাড়ি দেয়?, পৃথিবীর কোন দিকে কখন দিন শুরু হবে, পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভূমিরূপ ও আবহাওয়ার পার্থক্যের কারণ কী?, বাংলাদেশের উপর বা কাছ দিয়ে কোন যাত্রাপথ গুলো গেছে?, যাযাবর পাখির সন্ধানে, সূর্যালোকের বিকিরনের প্যাটার্নের সঙ্গে বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চল সৃষ্টির কোনো সম্পর্ক কি খুঁজে পাও?, স্মার্টফোনে GPS ব্যবহার করে কোনো স্থানের (আমাদের স্কুল) অক্ষাংশ

Primary Sidebar

zippy's macaroni salad recipe hawaii

Hawaiian chopped steak recipe

Craving a taste of the Hawaiian islands? Look no further than Zippy's Macaroni Salad Recipe, a culinary delight that … [Read More...] about Hawaiian chopped steak recipe

1950s recipe for tamale pie

1950s Tamale Pie: A Taste of Vintage Comfort Food

Is your kitchen lacking a touch of comfort and nostalgia? You've found it! This blog post will take you on a lovely … [Read More...] about 1950s Tamale Pie: A Taste of Vintage Comfort Food

রোধ, জল, বৃষ্টি

রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

আমরা ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান-অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়ে আলোচিত "রোধ, জল, বৃষ্টি"-শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের … [Read More...] about রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

গতির খেলা-৬ষ্ট শ্রেণী

গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয়ের ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা গতির খেলা  সম্পর্কে। প্রথম, দ্বিতীয় ও … [Read More...] about গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৭ম অধ্যায়,ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম  সম্পর্কে জানবো। প্রথম ও … [Read More...] about ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

হরেক রকম খেলনার মেলা

হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়,হরেক রকম খেলনার মেলা  সম্পর্কে জানবো।প্রথম ও দ্বিতীয় … [Read More...] about হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

Footer

  • About Us
  • Affiliate Disclosure
  • Privacy Policy
  • Terms of Use
  • Contact Us

Copyright © 2025 · News Pro on Genesis Framework · WordPress · Log in