Page Contents
Toggleএই পোস্টে আমরা অষ্টম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বই এর ১ম শিখন অভিজ্ঞতা– যাযাবর পাখির সন্ধানে- সম্পর্কে জানবো।
প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ
*আমাদের এলাকায় যেসব পরিযায়ী পাখি এসে বাসা বাঁধে-
পরিযায়ী পাখির নাম | বছরের কোন সময়ে দেখা যায় |
খয়রা, লালঝুটি ভুতিহাঁস, বন বাটান, গাংচিল ইত্যাদি | বর্ষাকালের শেষে, হেমন্তের শুরুতে, শীতকালে |
*পরিযায়ী পাখিগুলো কোথা থেকে আসে?
*গ্লোবের উপর থেকে নিচে লম্বালম্বি এবং দু’পাশে আড়াআড়ি বেশ কিছু রেখা টানা হয়েছে- এই রেখাগুলো কি কাজে লাগে ?
উত্তরঃ গ্লোবের উপর থেকে নিচে লম্বালম্বি’ভাবে দ্রাগিমা রেখা এবং দু’পাশে আড়াআড়ি’ভাবে অক্ষরেখা টানা হয়েছে। এগুলা পৃথীবির উপর কল্পিত একাধিক রেখা। এই দুই ধরণের কাল্পনিক রেখা পৃথীবির পৃষ্টে কোন স্থানের প্রকৃত অবস্থান নির্ণয় করতে কাজে লাগে।
*অক্ষরেখা কী?
*দ্রাঘিমা রেখা কী?

*বিষুব রেখা কী?
*কর্কটক্রান্তি রেখা কী?
*মকরক্রান্তি রেখা কী?
*অক্ষাংশ কী?
*দ্রাঘিমাংশ রেখা কী?

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ
*GPS কী?
*স্মার্টফোনে GPS ব্যবহার করে কোনো স্থানের (আমাদের স্কুল) অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ কিভাবে নির্ণয় করা হয়?
মানচিত্রের সাহায্যে নিচের ছকে দেয়া দেশগুলোর অবস্থানঃ
দেশের নাম | মানচিত্রে অবস্থান (অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ) |
কম্বোডিয়া | 12.56570 N, 104.99100E |
উরুগুয়ে | 32.52280 S, 55.76580 W |
ডেনমার্ক | 56.26390 N, 9.50180 E |
মাদাগাস্কার | 18.76690 S, 46.86910 E |
জাপান | 36.20480 N, 138.25290 E |
সেনেগাল | 14.49740 N, 14.45240 W |
*পৃথিবীর কোন দিকে কখন দিন শুরু হবে,ক’টা বাজবে সেটা কীভাবে ঠিক হবে?(পৃষ্ঠা -৭)
দেশের নাম | এই মূহুর্তে ঘড়িতে সময় |
বাংলাদেশ | 11:14 am |
কম্বোডিয়া | 12:14 pm |
উরুগুয়ে | 2:14 am |
ডেনমার্ক | 6:14 am |
মাদাগাস্কার | 8:14 am |
জাপান | 2:14 pm |
সেনেগাল | 5:14 am |
*আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কী?
উত্তরঃ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা (International Date Line) পৃথিবীর পৃষ্ঠে অঙ্কিত একটি কাল্পনিক রেখা যা উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত। এই কাল্পনিক রেখাটি পৃথিবীতে একটি তারিখ শুরু ও শেষ নির্ধারণ করে। 180° মূলমধ্যরেখাটিকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল কারন মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরের বিচ্ছিন্ন জনবহুল অঞ্চলের উপর দিয়ে এই রেখাটি সম্প্রসারিত হয়েছে।
পঞ্চম সেশনঃ
*বাংলাদেশের উপর বা কাছ দিয়ে কোন যাত্রাপথ গুলো গেছে?
*পরিযায়ী পাখিরা কিভাবে এত লম্বা পথ পাড়ি দেয়?
- শক্তি সঞ্চয়: যাত্রা শুরুর আগে তারা প্রচুর খাবার খেয়ে শরীরে চর্বি জমা করে, যা উড়ার জ্বালানি দেয়।
- ঝাঁক বেঁধে উড়ান: ঝাঁকে উড়লে সামনের পাখির সৃষ্ট বাতাস সাহায্যে কম শক্তি লাগে। নেতা পাখি ঝাঁকের পথ নির্দেশ করে।
- রাতে বিশ্রাম: রাতে তারা নিরাপদ জায়গায় বিশ্রাম নেয় এবং খায়।
- পথ চলা: কিছু পাখি সমুদ্রের উপর দিয়ে, আবার কিছু পাখি স্থলপথে যাত্রা করে। তারা খাবার ও বিশ্রামের জন্য রাস্তায় বিশেষ জায়গায় থামে।
- অভিযানের স্মৃতি: কিছু পাখি পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ও তারকা দেখে পথ চলে। অনেক প্রজন্ম ধরে শেখা পথ মনে রাখে।
এসব কৌশলের সাহায্যে পাখিরা হাজার হাজার মাইল পেরিয়ে যায় প্রতিবছর, আমাদের অবাক করে দিয়ে!
*East Asian-Australian Flyway বাংলাদেশ সহ কোন কোন দেশের উপর দিয়ে গেছে?
উত্তরঃ ইস্ট এশিয়া-অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইওয়ে বাংলাদেশ সহ মোট ৩৭ টি দেশের উপর দিয়ে গেছে। এই দেশগুলো হল:
আফগানিস্তান,অস্ট্রেলিয়া,বাংলাদেশ,ব্রুনাই,কম্বোডিয়া,চীন,ক্রিসমাস দ্বীপ,কোকোস (কিলিং) দ্বীপপুঞ্জ, ডেমোক্রেটিক পিপল’স রিপাবলিক অফ কোরিয়া,গাম্বিয়া,হংকং,ভারত,ইন্দোনেশিয়া,জাপান,কাজাখস্তান,কিরিবাতি,উত্তর কোরিয়া,লাওস,মালয়েশিয়া,মালদ্বীপ,মার্শালদ্বীপপুঞ্জ,মাইক্রোনেশিয়া, মঙ্গোলিয়া, নাউরু,নিউজিল্যান্ড,পালাউ,ফিলিপাইন,রাশিয়া,সিঙ্গাপুর,দক্ষিণ কোরিয়া,শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান,থাইল্যান্ড,তিমুর-লেস্তে,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,ভিয়েতনাম।
পাখিদের পরিযায়নের কারণ কী?
উত্তরঃ পাখিরা বিভিন্ন কারণে পরিযান করে। তবে এর মূল কারণ দুটি হল:
১. খাদ্যের সহজলভ্যতা: ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে খাদ্যের সরবরাহ পরিবর্তিত হয়। উত্তর গোলার্ধের অনেক পাখি বসন্তকালে উত্তরে উড়ে যায় প্রচুর পোকামাকড় এবং নতুন জন্ম নেওয়া উদ্ভিদ ও উদ্ভিদাংশ খাওয়ার জন্য। শীতকালে বরফ জমার কারণে খাদ্যের অভাব দেখা দিলে এরা দক্ষিণে রওয়ানা হয়।
২. প্রজনন: অনেক পাখি প্রজননের জন্য নিরাপদ ও উপযুক্ত আবাসস্থল খুঁজে পেতে পরিযান করে। উষ্ণ অঞ্চলে প্রচুর খাদ্য সরবরাহ থাকে বলে অনেক পাখি শীতকালে উষ্ণ অঞ্চলে গিয়ে প্রজনন করে।
ষষ্ট সেশনঃ
*পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভূমিরূপ ও আবহাওয়ার পার্থক্যের কারণ কী?
* বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে সূর্যের আলো আপতিত হবার দিকঃ
বিভিন্ন | বছরের (খাড়া বা | দিনের (শুধুই | ||||||
| ২১শে মার্চ | ২১শে জুন | ২৩শে সেপ্টেম্বর | ২২শে ডিসেম্বর | ২১শে মার্চ | ২১শে জুন | ২৩শে সেপ্টেম্বর | ২২শে ডিসেম্বর |
উত্তর মেরু | তীর্যক | খাড়া | তীর্যক | আলো পড়েনা | দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য | শুধুই দিন | দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য | শুধুই রাত |
তুন্দ্রা অঞ্চল | তীর্যক | তীর্যক | তীর্যক | তীর্যক | দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য | দিনের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশী | দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য | রাতের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশী |
মরুভূমি | তীর্যক | খাড়া বা তীর্যক | তীর্যক | তীর্যক | দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য | দিনের দৈর্ঘ্য বেশি | দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য | রাতের দৈর্ঘ্য বেশি |
চিরহরিৎ বন | তীর্যক | তীর্যক | তীর্যক | তীর্যক | দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য | দিনের দৈর্ঘ্য বেশি | দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য | রাতের দৈর্ঘ্য বেশি |
দক্ষিন মেরু | খাড়া | আলো পড়েনা | তীর্যক | খাড়া | রাতের দৈর্ঘ্য ছোট | শুধুই রাত | দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য | শুধুই দিন |
*সূর্যালোকের বিকিরনের প্যাটার্নের সঙ্গে বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চল সৃষ্টির কোনো সম্পর্ক কি খুঁজে পাও?
তুমি কি কখনো কর্কটক্রান্তি অতিক্রম করেছ? কর্কটক্রান্তির উপরে থাকলে 21শে জুন দুপুর বারোটায় তোমার কোনো ছায়া পড়বে না, কথাটির অর্থ কী?
তোমার স্কুলটি কি বিষুবীয় অঞ্চলে, নাকি নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে?
পৃথিবীর ক্রমাগত ঘূর্ণনের পরেও এর বিভিন্ন অঞ্চলে ভৌগোলিক বৈচিত্র্য কিভাবে সংরক্ষিত হয়?
সপ্তম ও অষ্টম সেশনঃ
পরিযায়ী পাখিরা ঠিক জায়গায় কীভাবে পৌঁছায়?
*চুম্বক ও চৌম্বক পদার্থ কী?
*চুম্বককে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
*কোন ধরণের পদার্থকে চুম্বক আকর্ষন করে/করে না- নোট নাও।
চুম্বক আকর্ষন করে |
চুম্বক আকর্ষন করে |
||
বস্তুর নাম |
কী দিয়ে তৈরী |
বস্তুর নাম |
কী দিয়ে তৈরী |
পেরেক |
লৌহা |
চেয়ার |
কাঠ |
চামচ |
স্টীল |
জগ |
কাঁচ |
ব্যাটারী |
ইস্পাত |
চিরুনি |
প্লাস্টিক |
খেলনা গাড়ী |
লৌহা |
বই |
কাগজ |
মুদ্রা |
নিকেল |
জামা |
কাপড়/তন্তু |
*তোমরা কি নিজেরা একটি চুম্বক তৈরী করতে পারবে?
*চুম্বক কেন উত্তর-দক্ষিণ মুখ করে থাকে?
*বৈদ্যুতিক প্রবাহের সাহায্যে কি চুম্বক তৈরি করা সম্ভব? (পৃষ্ঠা ১৫)
ভাবনার খোরাকঃ
একটি দন্ড চুম্বক বৈদ্যুতিক তারের কুন্ডলীর ভেতরে দ্রুত কিংবা ধীরে আনা নেওয়া করা হলে এমিটারে কী পরিবর্তন দেখা যাবে?
নবম ও দশম সেশনঃ
কম্পাস বা যেকোন চুম্বকের দুই মেরু সবসময় উত্তর দক্ষিণ মুখ করে থাকে কেন?
পরিযায়ী পাখিদের অস্তিত্বের হুমকি সম্পর্কে তোমরা কোনো ঘটনা শুনেছ?
তোমাদের একালায় পরিযায়ী পাখিদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলতে তোমারা কী করতে পারো?
পরিযায়ী পাখিদের সম্পর্কে নতুন কী কী জানলে এই কাজ করতে গিয়ে?
- পরিযায়ী পাখিদের ভ্রমণপথ সম্পর্কে জেনেছি।
- পরিযায়নের কারণ জেনেছি।
- কিভাবে তারা এতো লম্বা পথ পাড়ি দেয় তা জেনেছি।
- প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে এদের ভূমিকা সম্পর্কে জেনেছি।
এই কাজ করার পর পরিযায়ী পাখিদের বিষয়ে তোমার নিজের চিন্তায় কি কোনো পরিব্ররতন এসেছে?
As an Amazon Associate I earn from qualifying purchases.
[…] Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে – অষ্টম শ্রে… […]