• Skip to primary navigation
  • Skip to main content
  • Skip to primary sidebar
  • Skip to footer

Kitchen Academy

Unleash your culinary potential at Kitchen Academy. Learn essential skills, discover delicious vegetable recipes, and explore all things kitchen

  • Home
  • Recipes
  • Education
    • class 6
      • বিজ্ঞান class 6
    • Class 7
      • বিজ্ঞান class 7
    • Class 8
      • বিজ্ঞান class 8
    • class 9
      • বিজ্ঞান class 9

বিজ্ঞান class 6

গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin Leave a Comment

গতির খেলা-৬ষ্ট শ্রেণী

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয়ের ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা গতির খেলা  সম্পর্কে।

প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনঃ

তোমার দল থেকে কে কোন খেলায় অংশ নেবে তা নিচের ছকে নোট নিয়ে রাখো, যাতে পরে ভুলে না যাও।

                                                             ছক-১ 

                                                
              
দলঃ মেঘনা

সদস্যের নাম

খেলাম নাম (
দলের কোন সদস্য কোন ইভেন্টে যোগ দিবে সেই অনুযায়ী টিক দাও)

দৌড়

দড়িলাফ

ভার নিক্ষেপ

ক্যারম

রহিম

√

√

করিম

√

√

সীমা

√

√

√

রীমা

√

√

কোন কোন দল কোন খেলার দায়িত্ব নিচ্ছে তা নিচের ছক-২ এ লিখে নাও।

                                                               ছক-২ 

খেলার নাম

আয়োজনের দায়িত্বে কোন কোন দল থাকবে

দৌড়

পদ্মা

দড়িলাফ

মেঘনা

ভার নিক্ষেপ

যমুনা

ক্যারম

কর্ণফুলী

                                                             ছক-৩

খেলার নাম  – দৌড় প্রতিযোগীতা

প্রতিযোগীর নাম

দুরত্ব (m)

সময় (s)

অবস্থান (ক্রম)

রানা

১০০

১৬

১ম

রহিম

১০০

১৭.৫

২য়

করিম

১০০

১৯

৩য়

সীমা

১০০

২০.৫

৪র্থ

রীমা

১০০

২১

৫ম

মীনা

১০০

২১.৫

৬ষ্ঠ

সালমা

১০০

২২

৭ম

তোমার দলের প্রতিযোগী দড়িলাফে পায়ের সঙ্গে দড়ির প্যাঁচ না লাগিয়ে কতক্ষণ খেলতে পেরেছে তা নিচের ছক-৪ এ লিখে ফেলো তো।

 






ছক-৪

খেলার নাম  – দড়ি লাফ

প্রতিযোগীর নাম

মোট কতবার ঘুরিয়েছে/পাক সংখ্যা

কতক্ষণ খেলেছে (s)

প্রতি সেকেন্ডে কত পাক দিয়েছে

অবস্থান (ক্রম)

সাদ

৪৫

৩৫

.৭৮

১ম

রায়হান

৪২

৩৩

.৭৯

২য়

রুমা

৪১

৩২

.৭৮

৩য়

আয়েশা

৩৭

৩১

.৮৩

৪র্থ

ফারজানা

৩৫

৩০

.৮৬

৫ম

তোমার দলের প্রতিযোগীর ছোঁড়া বলটা কতদূরে গিয়ে থামল, তা নিচের ছক-৫ এ লিখে রাখবে।

                                                             ছক-৫

খেলার নাম – ভার নিক্ষেপ

প্রতিযোগীর নাম

দুরত্ব (m)

অবস্থান (ক্রম)

সোহান

১২

১ম

রায়হান

১০

২য়

রানা

৯

৩য়

রহিম

৮

৪র্থ

সালমা

৭

৫ম

ভার নিক্ষেপের সময় তোমার দলের প্রতিযোগীর ছুঁড়ে দেয়া ভার কীভাবে উপরে উঠেছিল আবার কীভাবে নিচে নেমে এসেছিল তার ছবি নিচের ফাঁকা জায়গায় এঁকে রাখো।

গতির খেলা
 

তোমার আঁকা ছবিতে বলটি সোজা সামনের দিকে না গিয়ে বারবার নিচের দিকে বাঁকা হয়ে পড়ল কেন? তোমার ধারণা নিচে টুকে রাখো।

 
আমরা জানি,কোনো বস্তুর ওপর মাধ্যাকর্ষণ বল বা অভিকর্ষজ বল সব সময় নিচের দিকে ক্রিয়া করে। উপরে বলটি ছোঁড়ার পর যতই সামনের দিকে যায় ততই অভিকর্ষজ বলের কারণে প্রতি মুহূর্তে নিচে নেমে যায় এবং সবশেষে মাটিতে পতিত হয়।
 
ছক-৬
 

খেলার নাম  – ক্যারম

সদস্য

সাদা গুটি (১০)

কালো গটি (৫)

লাল গুটি (২০)

 মোট পয়েন্ট

অবস্থান

রায়হান

২

২

০

৩০

৩য়

রুমা

২

৩

১

৫৫

১ম

আয়েশা

২

৩

০

৩৫

২য়

রহিম

১

১

০

১৫

৪র্থ

 

ক্যারমের গুটির সঙ্গে স্ট্রাইকের ধাক্কা লাগার পর স্ট্রাইকের গতিপথ কি পরিবর্তিত হচ্ছে? নিচে ছবি এঁকে দেখাও তো! আর ভেবে বলো- কেন গুটিগুলোর গতির দিক পরিবর্তন হচ্ছে?

উত্তর:ক্যারমের গুটির সঙ্গে স্ট্রাইকের ধাক্কা লাগার পর স্ট্রাইকের গতিপথ পরিবর্তিত হচ্ছে।নিচের ছবিতে একটি উদাহরণ দেওয়া হলো।
 
গতির খেলা
ক্যারমের স্ট্রাইকের সাথে ধাক্কা খেলে গুটির গতির দিক পরিবর্তন হয় কারণ স্ট্রাইকার গুটির উপর বল প্রয়োগ করে। এই বল গুটির ভরবেগ পরিবর্তন করে, যার ফলে গুটির গতির দিক পরিবর্তিত হয়।
 

প্রশ্ন: আচ্ছা ক্যারম বোর্ডে যে বোরিক পাউডার দেওয়া হয়েছিল মনে আছে? বোরিক পাউডার কেন দেয়া হয় বলো তো? না দিলেই বা কী হয়? তোমার উত্তর নিচের ফাঁকা জায়গায় লিখে রাখো।

উত্তর: বোরিক পাউডার দিয়ে গুটির সাথে বোর্ডের ঘর্ষণ বলকে কমানো হয়। এতে করে গুটি খুব সহজে বোর্ডের মধ্যে চলাচল করতে পারে। পাউডার না দিলে বোর্ডের মেঝে খসখসে থাকবে। যার ফলে গুটিগুলো বোর্ডের মধ্যে চলাচলে ঘর্ষণ বলের বাধা খুব বেশি অনুভব করবে এবং এদের গতি কমে যাবে। তাই গুটির উপর ঘর্ষণ বলের প্রভাব কমানোর জন্য বোরিক পাউডার ব্যবহার করা হয়।
 

বাড়ির কাজ

ছক-৭

খেলার নাম

সরল গতি

বক্র গতি

ঘূর্ণন গতি

পর্যাবৃত্ত গতি

দৌড়

√

দড়িলাফ

√

√

ভার নিক্ষেপ

√

ক্যারম

√

 
আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী
আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
অদৃশ্য প্রতিবেশী- সপ্তম শ্রেণী

চতুর্থ ও পঞ্চম সেশনঃ

 

প্রশ্ন-১: গতি কাকে বলে?

উত্তর: গতি হলো সময়ের সাথে বস্তুর অবস্থান পরিবর্তনের হার।
 

প্রশ্ন-২: সরল গতি কাকে বলে?

উত্তর: কোনো বস্তুর গতি যদি একটি সরলরেখার উপর সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে তার গতিকে সরল গতি বলে।
যেমন: রাস্তায় গাড়ি চলা, হেটে যাওয়া কোনো লোক ইত্যাদি 
 

প্রশ্ন-৩: বক্রগতি কাকে বলে?

উত্তর: সরলরৈখিক গতিতে চলা কোনো বস্তুর ওপর কোনো সময়ে বল প্রয়োগ করে যদি তার গতিপথ পরিবর্তন করে দেয়া হয় তাহলে ঐ নতুন গতিকে বক্রগতি বলা হয় ।
যেমন: ভার নিক্ষেপ, ঢিল ছুড়ে মারা, ক্রিকেট বল উপর থেকে নিচে পড়ার গতি ইত্যাদি
 

প্রশ্ন-৪: ঘূর্ণন গতি কাকে বলে?

উত্তর: কোনো বস্তু যদি একটি নির্দিষ্ট বিন্দু বা অক্ষকে কেন্দ্র করে সেই বিন্দু বা অক্ষের চারদিকে বৃত্তাকার পথে গতিশীল থাকে তবে সেই গতিকে ঘূর্ণন গতি বলে।
যেমন: বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাটার গতি, সাইকেলের চাকার গতি ইত্যাদি
 

প্রশ্ন-৫: পর্যাবৃত্ত গতি কাকে বলে?

উত্তর: কোনো গতিশীল বস্তুকণার গতি যদি এমন হয় যে, এটি এর গতি পথে কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর একই দিক থেকে অতিক্রম করে তবে সেই গতিকে পর্যাবৃত্ত গতি বলে। যেমন: বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাটার গতি, সাইকেলের চাকার গতি ইত্যাদি।
 

এবার নিচের এই বিভিন্ন ধরনের গতি আর কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় তা তোমার পাশের বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করে ছক-৮ লিখে ফেলো।

 
ছক-৮

বিভিন্ন প্রকার গতি

উদাহরণ

সরল গতি

রাস্তায় গাড়ি চলা, সোজা হেটে যাওয়া কোনো লোকের গতি ইত্যাদি

বক্র গতি

ভার নিক্ষেপ, ঢিল ছুড়ে মারা, ক্রিকেট 
খেলায় বল উপর থেকে নিচে পড়ার গতি ইত্যাদি

ঘূর্ণন গতি

চাঁদ ও পৃথিবীর ঘূর্ণন, বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাটার গতি, সাইকেলের চাকার গতি ইত্যাদি

পর্যাবৃত্ত
গতি

স্প্রিংয়ে কোনো বস্তুর দোল খাওয়া, বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাটার গতি, সাইকেলের চাকার গতি ইত্যাদি

ছক-৩ থেকে তোমার দলের সদস্য যে দৌড়ে অংশ নিয়েছিল তার বেগ কত তা পরের পৃষ্ঠার ফাঁকা জায়গায় হিসাব করে বলো তো।
 

খেলার নাম  – দৌড় প্রতিযোগীতা

প্রতিযোগীর নাম

দুরত্ব (m)

সময় (s)

অবস্থান (ক্রম)

রানা

১০০

১৬

১ম

রহিম

১০০

১৭.৫

২য়

করিম

১০০

১৯

৩য়

সীমা

১০০

২০.৫

৪র্থ

রীমা

১০০

২১

৫ম

মীনা

১০০

২১.৫

৬ষ্ঠ

সালমা

১০০

২২

৭ম

প্রতি এক সেকেন্ডে অতিক্রান্ত দূরত্বকে বেগ বলে।অর্থাৎ মোট দূরত্বকে সময় দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায় তাই বেগ।

আমরা জানি,
বেগ = (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে.
 
সুতরাং রানার বেগ= (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে. = ১০০÷১৬=৬.২৫ মি/সে.
 রহিমের বেগ= (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে. = ১০০÷১৭.৫=৫.৭১৪ মি/সে.
 করিমের বেগ= (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে. = ১০০÷১৯=.৫.২৬৩ মি/সে.
 সীমার বেগ= (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে. = ১০০÷২০.৫=৪.৮৭৮ মি/সে.
 রীমার বেগ= (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে. = ১০০÷২১=৪.৭৬২ মি/সে.
 মীনার বেগ= (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে. = ১০০÷২১.৫=৪.৬৫১ মি/সে.
 সালমার বেগ= (দূরত্ব ÷ সময়) মি/সে. = ১০০÷২২=৪.৫৪৫ মি/সে.
 

দৌড় শেষ  হবার সঙ্গে সঙ্গে কি থেমে যেতে পেরেছিলে ?

না, দৌড় শেষ হবার পরেও আরো কয়েক কদম এগিয়ে থামতে হয়েছিল, শরীরে গতির প্রবণতা ছিলো।একটি নির্দিষ্ট বেগ অর্জন করার পর হঠাৎ বেগ শূন্য করা সহজ নয়। তাই ধীরে ধীরে বেগ কমিয়ে শূন্য করতে হয়।
 

ক্যারম খেলার সময় আস্তে টোকা দিলে গুটি একটু এগিয়ে গিয়ে থমকে যাই কেন?

ক্যারম খেলার সময় গুটিতে টোকা দিলে অর্থাৎ বল প্রয়োগ করলে গুটিটি গতিশীল হয়। কিন্তু একটু এগিয়ে গিয়ে  গুটিটি থমকে যায়  কারণ ঘর্ষণ বল কাজ করেছে।
 

বোরিক পাউডার দিলে কি গুটির গতির কোন পরিবর্তন হয়? 

হ্যাঁ, বোরিক পাউডার ব্যবহার করলে ঘর্ষণ বল কমে যায় ফলে গুটির গতি বাড়ে।
 

ক্যারাম খেলার সময় একটি গুটি যত জোরে গিয়ে অন্য গুটিকে ধাক্কা দেয় সেটি তত বেশি গতিতে ছিটকে অন্যদিকে ছুটে যায়, এর কারণ কী?

উত্তর-যখন একটি গুটি অন্য গুটিকে ধাক্কা দেয়, তখন ধাক্কা দেওয়া গুটির ভরবেগ ধাক্কা খাওয়া গুটিতে স্থানান্তরিত হয়। ধাক্কা দেওয়া গুটির ভরবেগ যত বেশি হবে, ধাক্কা খাওয়া গুটি তত বেশি গতিতে ছিটকে যাবে।ক্যারাম খেলার সময় একটি গুটি যত জোরে গিয়ে অন্য গুটিকে ধাক্কা দেয় সেটি তত বেশি গতিতে ছিটকে অন্যদিকে ছুটে যায়, এর কারণ হল ভরবেগের সংরক্ষণের নীতি।
ভরবেগের সংরক্ষণের নীতি অনুসারে, বাইরের কোন বল প্রয়োগ না করলে একটি বদ্ধ ব্যবস্থার মোট ভরবেগের পরিমাণ একই থাকে।
 

ধরো, একটা বল উপর থেকে পড়ছে, বলটা বেশি উপর থেকে পড়লে কি বেশি জোরে পড়বে? নাকি যে উচ্চতা থেকেই পড়ুক একই রকম জোৱে নিচে এসে পড়বে?

উত্তর: একটি বলকে উপর থেকে নিচে ফেলার সময় গতি নির্ভর করবে তার উচ্চতার উপর। যত উপর থেকে বলটিকে ফেলবে তত জোরে সে মাটিতে পড়বে। কারণ বলটি যখন উপরে থাকে তার মধ্যে স্থিতিশক্তি জমা থাকে। নিচে পড়ার সময় তার স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তর হয়। বলটি যত উপরে থাকবে তাতে তত বেশি স্থিতিশক্তি সঞ্চিত থাকবে। তাই নিচে পড়ার সময় গতিশক্তিও বেশি হবে। আর যত বেশি গতিশক্তি তত বেশি তার গতি। তাই বলটি যত উপর হতে ফেলা হবে তত জোরে পড়বে।
পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী
সূর্যালোকে রান্না- সপ্তম শ্রেণী
অদৃশ্য প্রতিবেশী- সপ্তম শ্রেণী
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী

Filed Under: class 6, বিজ্ঞান class 6 Tagged With: আচ্ছা ক্যারম বোর্ডে যে বোরিক পাউডার দেওয়া হয়েছিল মনে আছে? বোরিক পাউডার কেন দেয়া হয় বলো তো? না দিলেই বা কী হয়?, একটা বল উপর থেকে পড়ছে, এর কারণ কী?, ক্যারম খেলার সময় আস্তে টোকা দিলে গুটি একটু এগিয়ে গিয়ে থমকে যাই কেন?, ক্যারমের গুটির সঙ্গে স্ট্রাইকের ধাক্কা লাগার পর স্ট্রাইকের গতিপথ কি পরিবর্তিত হচ্ছে?, ক্যারাম খেলার সময় একটি গুটি যত জোরে গিয়ে অন্য গুটিকে ধাক্কা দেয় সেটি তত বেশি গতিতে ছিটকে অন্যদিকে ছুটে যায়, গতি কাকে বলে?, গতির খেলা, গতির খেলা- ৬ষ্ঠ শ্রেনী, ঘূর্ণন গতি কাকে বলে?, তোমার আঁকা ছবিতে বলটি সোজা সামনের দিকে না গিয়ে বারবার নিচের দিকে বাঁকা হয়ে পড়ল কেন?, দৌড় শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে কি থেমে যেতে পেরেছিলে ?, পর্যাবৃত্ত গতি কাকে বলে?, বক্রগতি কাকে বলে?, বলটা বেশি উপর থেকে পড়লে কি বেশি জোরে পড়বে? নাকি যে উচ্চতা থেকেই পড়ুক একই রকম জোৱে নিচে এসে পড়বে?, বোরিক পাউডার দিলে কি গুটির গতির কোন পরিবর্তন হয়?, সরল গতি কাকে বলে?

আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ২০২৪। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin 5 Comments

আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয়ের ২য় অভিজ্ঞতা আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে।

বিজ্ঞান অর্থ বিশেষ জ্ঞান। ভৌত বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য, তার ধারাবাহিক, সুশৃঙ্খল,নিয়মতান্ত্রিক গবেষণালব্ধ জ্ঞানভাণ্ডারের নাম বিজ্ঞান।বিজ্ঞানের জ্ঞানকে যখন মানুষের জীবনের প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করা হয় সেটাকে প্রযুক্তি বলে।

প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনঃ

এঁকে ফেলি আমাদের যার যার কল্পনার বিজ্ঞানীকে ঃ

আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ধাপ-১ঃ প্রয়োজনীয় সামগ্রী: কাগজ, কলম, পেন্সিল, অনুসন্ধানী পাঠ বই, অনুশীলন বই।

কাজের ধারাঃ ক্লাসের সবাই নিজ নিজ কল্পনার বিজ্ঞানীর ছবি খাতায় আঁকি। 

ধাপ-২ঃ কাজের ধারাঃ ক্লাসের বন্ধুদের আঁকা ছবি দেখি এবং বিজ্ঞানীদের চেহারা ও পোশাক- আশাকে ফুটে ওঠা বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করি। অনুসন্ধানী পাঠ্য বইয়ে পড়া বিজ্ঞানীদের সাথে কল্পনার বিজ্ঞানীর মিল খুঁজে বের করি।

 

 নমুনা উত্তরঃ

সত্যিকার বিজ্ঞানীদের মধ্যে কোন কোন বৈশিষ্ট্য দেখা যায়?
চাইলেই কি যে কেউ বিজ্ঞানী হতে পারে?

বিজ্ঞানীরদের
অনুসন্ধানী মন থাকে
,তাঁরা পরিশ্রমী, উদ্যমি এবং নি:স্বার্থ প্রকৃতির হয়ে থাকেন।

চাইলেই যে কেউ বিজ্ঞানী হতে পারে যদি বৈজ্ঞানিক মন থাকে।

 

বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে কি সবসময়ই অনেক আধুনিক ল্যাবরেটরি
বা যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়?

বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে সবসময়ই অনেক আধুনিক ল্যাবরেটরি বা যন্ত্রপাতি প্রয়োজন
হয় না।
যেমন: মাদাম
কুরি পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়নে দুইবার নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন কিন্তু তার
ল্যাবরেটরিটা ছিল একেবারেই সাদামাটা
। অরেকজন বিজ্ঞানী ছিলেন
হরিপদ কাপালী। উন্নতমানের যন্ত্রপাতি না থাকা সত্ত্বেও ভালো জাতের ধান উদ্ভাবনে
অবদান রাখেন।

নমুনা উত্তরঃ

স্যার আইজ্যাক নিউটন ও হরিপদ কাপালীর বৈজ্ঞানিক গবেষনার প্রক্রিয়ার মধ্যে মিল কী কী?

আইজ্যাক নিউটন ও হরিপদ কাপালী দুইজনই তাদের আবিষ্কার প্রথমে প্রমাণ করে দেখেন,এরপর সবাইকে জানান। তাদের বৈজ্ঞানিক গবেষনাতে তারা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ধাপসমূহ মেনেছেন,এবং যুক্তিযুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণসহ নিজেদের আবিষ্কারকে যাচাই করে দেখান।

*উপর থেকে একটি হালকা ও ও ভারী বস্তু একসাথে ছেড়ে দিলে কোনটা আগে পরবে?

উত্তরঃ অব্যশই ভারী বস্তুটি আগে পড়বে কারন সেটার ওজন বেশি।।তবে যদি বায়ুশূন্য ঘরে একসাথে ছেড়ে দেওয়া যায় তাহলে একসাথে দুটি বস্তু মাটি স্পর্শ করবে।
 

*এক টুকরা কাগজ আর একটা কলম ছেড়ে দিয়ে নিজেই আগে পরীক্ষা করে দেখো তো?

উত্তরঃ কলম আগে পড়েছে।
 

*পড়ন্ত বস্তুর সূত্রটা কী? তোমার একটু আগের পরীক্ষার ফলাফল কি ছিল ভেবে দেখো তো। সূত্রের সাথে তোমার নিজের অভিজ্ঞতা কি মিলছে?

উত্তরঃ পড়ন্ত বস্তুর একটি সূত্র হলো-“সমান উচ্চতা থেকে বিনা বাধায় পড়ন্ত সকল বস্তু সমান সময়ে ভূমিতে পৌঁছায়।” এখানে বাতাসে বাঁধাকে উপেক্ষা করে হয়েছে।

আমার পরীক্ষার ক্ষেত্রে ভারী কলমটি আগে পড়েছে কারণ বাতাসের উপস্থিতি ছিলো।যদি বায়ুশূন্য স্থানে পরীক্ষা করতে পারতাম তবে সূত্রের সাথে অ্যাম্বার পরীক্ষণের ফলাফল মিলে যেতো।

 

*পড়ন্ত বস্তুর সূত্র কীভাবে এলো? তুমি কি এই সূত্রের সাথে একমত? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও।

 
উত্তরঃ পড়ন্ত বস্তুর সূত্র আবিষ্কারের জন্য ইতালীয় বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি (1564-1642) কে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। ১৬ শতকের শেষের দিকে, গ্যালিলিও পিসার টাওয়ার থেকে বিভিন্ন ভরের বস্তু ছেড়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে, বস্তুর ভর নির্বিশেষে, সকল বস্তু একই সময়ে ভূমিতে পৌঁছায়। তিনি আরও লক্ষ্য করেন যে, বস্তুর পতনের গতি সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে।
 
হ্যাঁ, আমি পড়ন্ত বস্তুর সূত্রের সাথে একমত। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে গ্যালিলিও যে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন এবং যে সূত্রগুলি প্রণয়ন করেছিলেন তা সঠিক। আমি বিশ্বাস করি যে এই সূত্রগুলি পদার্থবিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
 
পড়ন্ত বস্তুর সূত্রগুলি বিভিন্ন বাস্তব জীবনের প্রয়োগে ব্যবহৃত হয়,যেমন-
 
১.ভবন, সেতু এবং অন্যান্য কাঠামো নির্মাণে
২.ক্ষেপণাস্ত্র এবং উপগ্রহের গতিপথ নির্ণয়
৩. বস্তুর গতি এবং ত্বরণ পরিমাপ
৪.গ্রহ এবং অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুর গতি নির্ণয়
পড়ন্ত বস্তুর সূত্রগুলি গাণিতিকভাবে সঠিক এবং বিভিন্ন বাস্তব জীবনের পরিস্থিতিতে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
 

*পূর্বে ব্যবহূত হতো কিন্তু বর্তমানে আর প্রয়োজন পড়ে না এমন ৩টি প্রযুক্তি ও তার ব্যবহার লেখো।

উত্তর: পূর্বে ব্যবহূত হতো কিন্তু বর্তমানে প্রয়োজন পড়ে না এমন ৩টি প্রযুক্তির নাম-

  • হারিকেনঃ পূর্বে আলো জ্বালানোর জন্য হারিকেন ব্যবহূত হতো।
  • হাতপাখাঃ বাতাস খাওয়ার জন্য হাতপাখা ব্যবহৃত হতো।
  • ঢেঁকিঃ ধান ভাঙানোর জন্য ঢেঁকির প্রচলন ছিল।
 

বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ধাপসমূহ

বিজ্ঞানী হরিপদ কাপালী এই ধাপে যা করেছেন

১. একটি সমস্যা বা প্রশ্ন ঠিক করা যার সমাধান বা উত্তর বের করতে হবে।

ধান ক্ষেতের কিছু ধানগাছ তুলনামূলক ভাবে কেন বড় হয় এবং ফলন বেশি হয়?

২. এ সম্পর্কে যা কিছু গবেষণা হয়েছে তা জেনে নেয়া।

বিভিন্ন ধানের গবেষণা সম্পর্কে ধারণা রেখেছে।

৩. প্রশ্নটির একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দাঁড় করানো।

এই ধানটি বেশি বড় এবং ফলন বেশি দিতে পারে।

৪. সম্ভাব্য ব্যাখ্যাটি সত্যি কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখা।

যে ধান গুলো ভালো সেগুলো অন্য ধানের সাথে না মিশিয়ে আলাদা করে ফেললেন। বীজগুলো আলাদা করে সেগুলো আবার নতুন করে লাগালেন। এর ফলে সেগুলো বেশ বড় এবং উচ্চ ফলনশীল হলো। 

৫. পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া।

আসলেই এই ধানের জাতটি উচ্চ ফলনশীল।

৬. সবাইকে ধারণাটি জানিয়ে দেওয়া।

বিজ্ঞানী হরিপদ কাপালীর এই আবিষ্কারের কথা সবাইকে জানা্লেন। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধানগুলোকে নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করেছিল।

 
Read More: আকাশ কত বড়- ষষ্ঠ শ্রেণী

তৃতীয় সেশনঃ

বিজ্ঞানের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সরাসরি আমাদের প্রয়োজন মেটাই?আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

উত্তর: বিজ্ঞানের জ্ঞান আমরা আমাদের জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যবহার করি।১. কৃষি ক্ষেত্রে: যেমন— ট্রাক্টর, সেচ পাম্প, ফসল মাড়াই যন্ত্র, রাসায়নিক সার, জৈব প্রযুক্তি ইত্যাদি ব্যবহার করে অধিক্ ফসল ফলাই।
২. চিকিৎসা ক্ষেত্রে: যেমন- ঔষধ, এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি ইত্যাদি ব্যবহার করে উন্নত চিকিৎসা পাই।
৩. শিক্ষা ক্ষেত্রে: যেমন- কলম, কাগজ, কম্পিউটার, প্রজেক্টর, ইন্টারনেট ইত্যাদি ব্যবহার করে সহজে পড়াশুনা করি।
৪. যোগাযোগ ক্ষেত্রে: যেমন- গাড়ি, জাহাজ, উড়োজাহাজ, হেলিকপ্টার ইত্যাদি ব্যবহার করে দ্রুত একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাই।
৫. দৈনন্দিন জীবনে: যেমন- মোবাইল ফোন, টেলিভিশন, ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক বাতি, ফ্যান ইত্যাদি ব্যবহার করে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাই।
 

*আমাদের পছন্দের প্রযুক্তিঃ

আমাদের
পছন্দের প্রযুক্তি

জীবন
রক্ষাকারী ঔষধ তৈরি

বিজ্ঞানের
কোন ক্ষেত্রের জ্ঞান এখানে কাজে লাগানো হয়েছে
?

জৈব
রসায়নের জ্ঞান

*বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি কি কি কাজে ব্যবহৃত হয়?

 

প্রযুক্তির নাম

কি কাজে ব্যবহৃত হয়

টেলিভিশন

ভিডিও/ছবি দেখা, শব্দ শোনা, বিনোদন ইত্যাদি

ফ্যান

ঘর ঠান্ডা করার কাজে

লাইট

ঘর আলোকিত করার কাজে

মোবাইল ফোন

দূরের মানুষের সাথে কথা বলার কাজে

ঔষধ

চিকিৎসার কাজে

ছুরি

কাটার কাজে

পানির কল

পানির প্রবাহকে নিয়ন্ত্রন করার কাজে

প্রিন্টার

ছাপানোর কাজে

বই/খাতা

পড়া/লেখার কাজে

ঘড়ি

সময় দেখার কাজে

চেয়ার

বসার কাজে

Read More: ফসলের ডাক- সপ্তম শ্রেণী

চতুর্থ সেশনঃ

*দলের আলোচনায় নতুন যে প্রযুক্তি সম্পর্কে জানলামঃ

প্রযুক্তির নাম

কি কাজে ব্যবহৃত হয়

রেডিও থেরাপি, ক্যমোথেরাপি

ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়

আলট্রাসনোগ্রাফি

এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সহজ হয়

এক্সরে

রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়

স্যাটেলাইট

আবহাওয়া, যোগাযোগ, প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়

নিউক্লিয়ার চুল্লী

বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়

ই-শিক্ষা

ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা

ই-স্বাস্থ্য

ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ

ই-ব্যাংকিং

ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থা

*তোমাদের তালকার প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার,ভালো-খারাপ দিক শ্রেনীবদ্ধ কর। 

প্রযুক্তির নাম

প্রযুক্তিটির বিভিন্ন ব্যবহার

প্রযুক্তিটি ব্যবহারের ফলাফল ভালো
নাকি খারাপ হচ্ছে
?

কেন আমরা ভালো বা খারাপ বলছি?

স্মার্ট ফোন

যোগাযোগ(অডিও/ভিডিও কল), ছবি তোলা, ভিডিও
দেখা
,
গেইম খেলা ইত্যাদি।

ভালো ও খারাপ উভয়ই

স্মার্টফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট
ব্যবহার করে যোগাযোগ সহজতর হয়েছে। অন্যদিকে,একজন মানুষ বিনা কারণে সেটি ব্যবহার
করে নিজের সময় নষ্ট করছে। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীরা অতিরিক্ত মাত্রায় আসক্ত হয়ে
পড়ালেখার মনোযোগ নষ্ট করছে।

নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি

বিদ্যুৎ তৈরি এবং ধ্বংসাত্মক কাজে
ব্যবহৃত হয়।

ভালো ও খারাপ উভয়ই

বিদ্যুৎ উৎপাদন, জাহাজ  সাবমেরিন চালানোর কাজে  ব্যবহৃত হয়।নিউক্লিয়ার বোমায় লক্ষ লক্ষ
মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

পলিথিন ব্যাগ

ব্যাগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়

খারাপ

পলিথিন ব্যাগ অপচনশীল ফলে এগুলো
পরিবেশ দূষণ ঘটায়।

 ই-শিক্ষা

পড়ালেখার কাজে ব্যবহার হয়

ভালো

ঘরে বসেই পড়ালেখা করা যায়।

ই-ব্যাংকিং

লেনদেন করা যায়

ভালো

ঘরে বসেই ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণ
করা যায়।

ই-স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ

ভালো

ঘরে বসেই বিশ্বের ভালো ভালো
ডাক্তারের স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবা গ্রহণ করা যায়।

 

 

 

 

Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম সেশনঃ

 

ভালো উদ্দেশ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে আমরা কী করতে পারি?

অপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তির ব্যবহার, কিংবা প্রযুক্তির অপব্যবহার কমাতে আমাদের কী করার আছে?

সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।

প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা।

সকলের জন্য প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম এবং রিসোর্সে সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা।

অপ্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক ডিভাইসের উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা।

প্রযুক্তির নৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা।

পরিবেশগতভাবে টেকসই প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করা।

প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা।

জনসাধারণকে প্রযুক্তির অপব্যবহারের সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে অবগত করা।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও ডেটা সুরক্ষা রক্ষা করা।

সরকার, বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা।

প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করা।

প্রযুক্তির ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে অবগত করা।

শিশুদের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করা। অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা এড়ানো।

তরুণদের মধ্যে প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও নীতিশাস্ত্র সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

পিতা-মাতা, স্কুল এবং সম্প্রদায়ের উচিত শিশু এবং যুবকদের নৈতিকভাবে এবং দায়িত্বের সাথে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা।

সরকার, বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

সরকারের উচিত অপ্রয়োজনী প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কঠিন আইন তৈরি করা যা প্রযুক্তির অপব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

*তোমাদের দলের পরিকল্পনা কী ছিল?

উত্তরঃ ব্যানার, পোস্টার, সেমিনার বা আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অন্যক্লাসের ছাত্রছাত্রী সহ এলাকার মানুষকে প্রযুক্তির ভালো ব্যবহার এবং অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করানো । 

*কাজটা করতে গিয়ে তোমার অভিজ্ঞতা কেমন হলো? নতুন কী শিখলে বা জানলে?

উত্তরঃ সহপাঠী এবং শিক্ষকদের সাথে কাজ করায় বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে। চিকিৎসা, কৃষি, ইলেক্ট্রনিক্স ইত্যাদি প্রযুক্তির বিভিন্ন উপাদান সম্পর্কে ধারনা পেয়েছি।

*বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে এমন কোনো প্রশ্ন মাথায় আছে যার উত্তর এখনো মেলে নি? 

উত্তরঃ নিচে লিখে ফেলো তোমার প্রশ্ন, যাতে হারিয়ে না যায়! পরে নিশ্চয়ই কখনো না কখনো এই প্রশ্নগুলোর উত্তর তুমি নিজেই খুঁজে বের করতে পারবে।

 ১. নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি  কীভাবে কাজ করে;যার মাধ্যমে   বিদ্যুৎ তৈরি হয় আবার এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বোমা বানিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ মুহুতেই চলে যায়। 

Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী

Filed Under: class 6, বিজ্ঞান class 6 Tagged With: আমাদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উপর থেকে একটি হালকা ও ও ভারী বস্তু একসাথে ছেড়ে দিলে কোনটা আগে পরবে?, তোমাদের তালকার প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার, পড়ন্ত বস্তুর সূত্র কীভাবে এলো?, পড়ন্ত বস্তুর সূত্রটা কী?, বিজ্ঞানের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সরাসরি আমাদের প্রয়োজন মেটাই?, বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি কি কি কাজে ব্যবহৃত হয়?, ভালো-খারাপ দিক শ্রেনীবদ্ধ কর।

আকাশ কত বড় ২০২৪ । ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

2024/2/7 by veg_admin 1 Comment

আকাশ কত বড়?

উপরে তাকালেই যে বিশাল মহাকাশ  আমরা দেখি তার শেষ কোথায়? কত বড় এই আকাশ? এই পৃথিবী, আকাশ,মহাবিশ্ব—কোথা থেকে এলো এসব? এই সকল প্রশ্নের উত্তরই খুঁজব আমরা।

প্রথম সেশনঃ

* আকাশের দিকে তাকিয়ে তোমাদের মনে যা যা প্রশ্ন জাগতে পারে তা নিচে দেওয়া হল-

  • আকাশ এত বিশাল কেন?
  • আকাশের রং নীল কেন?
  • আকাশে কতগুলো গ্রহ নক্ষত্র আছে?
  • সব গ্রহের আকাশের রঙ কী নীল?

দিনের আকাশে কী কী
দেখি?

রাতের আকাশে কী কী
দেখি?

সূর্য দেখা যায়

চাঁদ দেখা যায়

মেঘ দেখা যায়

মেঘ দেখা যায়

নীল রঙের আকাশ দেখা যায়

গ্রহ দেখা যায়

রংধনু দেখা যায়।

তারা দেখা যায়

*সকাল, দুপুর, বিকেলে আকাশ এত রং পাল্টায় কেন? দিন বা রাতের কোন সময়টার আকাশ তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ? ( পৃষ্ঠা ৬)

উত্তর: মূলত আকাশ হল আমাদের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল। এই বায়ুমণ্ডল যে রং ছড়াবে, আকাশও সেই রং ধারণ করবে। সূর্যরশ্মি বায়ুমন্ডল ভেদ করে পৃথিবীতে আসে।এ সময়ে পৃথিবীতে বিভিন্ন রঙের আলো বিভিন্নভাবে বিক্ষেপিত হয়। আলোর এই বিভিন্নতার কারণেই আকাশ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রং ধারণ করে।
আমার পছন্দের আকাশ: আকাশ বিভিন্ন সময়ে বৈচিত্র‍্যময় রূপ ধারণ করে। এর মধ্যে আমার কাছে সকালবেলায় পরিস্কার নীল আকাশ সবচেয়ে ভালো লাগে।
 

*রাতের আকাশে দেখা যাওয়া তারা সবই কী একই রকম?সবার রঙ কী একই?

উত্তর: আকাশের তারা সব একই রকম নয়। তারা আকার, উজ্জ্বলতা, রঙ, তাপমাত্রা, ভর, বয়স এবং রাসায়নিক গঠনের দিক থেকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়।
তারার বিভিন্ন রকমের রঙ হতে পারে যেমন- নীল, সাদা, হলুদ, কমলা, লাল এবং বাদামী রঙের তারা রয়েছে। তারার রঙ তারার তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।
 

*আকাশের সব তারা কী একইরকম মিটিমিটি জ্বলে?

উত্তর: আকাশের সব তারা একই রকমভাবে মিটিমিটি করে জ্বলে না।  তাদের ঝিকিমিকির পরিমাণ নির্ভর করে বিভিন্ন কারণের উপর, যেমন: তারার দূরত্ব,উজ্জ্বলতা, বায়ুমন্ডলীয় অবস্থা,তারার ধরণ,পর্যবেক্ষকের অবস্থান ইত্যাদি।
 
 
Read More: ফসলের ডাক- সপ্তম শ্রেণী

দ্বিতীয় সেশনঃ

গ্যালাক্সী কী

*গ্যালাক্সি কী?

উত্তর: গ্যালাক্সি হলো অসংখ্য তারা, নক্ষত্র,গ্রহ,গ্যাস,ধূলিকণা, অন্ধকার পদার্থ এবং অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তু দ্বারা গঠিত একটি বিশাল সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা। মহাকাশে বিভিন্ন আকার, আকৃতি ও গঠনের অসংখ্য গ্যালাক্সি বিদ্যমান। গ্যালাক্সি দেখতে উপবৃত্তাকার, কুন্ডলীকার,সর্পিলাকার হতে পারে।
 

*মহাবিশ্বে মোট গ্যালাক্সির সংখ্যা কত হতে পারে?

উত্তর: প্রায় এক ট্রিলিয়ন (লক্ষ কোটি)।
 

*মিল্কিওয়ে কী?

উত্তর: আমাদের আবাসস্থল পৃথিবী যে গ্যালাক্সিতে অবস্থিত, সেটিই হচ্ছে মিল্কিওয়ে।
 

*বিশ্বজগতের গঠন নিয়ে মানুষের ধারণা আগে কী ছিল?

উত্তর: বিশ্বজগতের গঠন নিয়ে মানুষের ধারণা সময়ের সাথে সাথে অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। প্রাচীন কালে, মানুষ মনে করত পৃথিবীই মহাবিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং সূর্য, চাঁদ, গ্রহ-নক্ষত্র সবই পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। মধ্যযুগে, গির্জার প্রভাবের কারণে ‘টলেমাইক’ মডেলটি জনপ্রিয় ছিল। এই মডেল অনুসারে, পৃথিবী স্থির এবং সূর্য, চাঁদ, গ্রহ-নক্ষত্র সবই স্ফটিকের গোলকের উপর স্থাপিত।
 

*সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের ধারণা কীভাবে এলো?

 
সূর্য কেন্দ্রিক মডেলটি প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন গ্রিসের  জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ আরিস্টারাকাস,তৃতীয় খ্রীস্টপূর্বাব্দে । তিনি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে, গ্রহগুলির কক্ষপথ সূর্যকে কেন্দ্র করে এবং পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে। 
আরিস্টার্কসের মডেলটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিলেন জ্যোতির্বিদ নিকোলাস কোপারনিকাস। ১৬ শতকে তিনি আরও গবেষণা করে দেখান যে, আরিস্টার্কসের মডেলটি সঠিক।
কোপারনিকাসের মডেলটিকে আরও উন্নত করে তুলেছিলেন জ্যোতির্বিদ কেপলার। কেপলার ১৭ শতকে পর্যবেক্ষণ করে দেখান যে, গ্রহগুলি সূর্যকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘোরে না, বরং উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘোরে। কেপলারের এই আবিষ্কারটি সূর্য কেন্দ্রিক মডেলের স্থায়িত্বকে আরও দৃঢ় করে।
সূর্য কেন্দ্রিক মডেলটি মহাবিশ্বের ধারণা সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। এই মডেলটি প্রমাণ করেছে যে, পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু নয়, বরং সূর্য। এটি মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করেছে।
 

*পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেল থেকে সূর্য কেন্দ্রিক মডেলের ধারণায় বিবর্তনের পক্ষে যুক্তি কী কী ছিল?

 
উত্তরঃ পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেল থেকে সূর্য কেন্দ্রিক মডেলের ধারণায় বিবর্তনের পক্ষে নিম্নোক্ত যুক্তি ছিলঃ
১. সূর্যকেন্দ্রিক মডেল সহজভাবে গ্রহের বৃত্তাকার এবং উপবৃত্তাকার গতি ব্যাখ্যা করতে সক্ষম ছিল।
২.সূর্যকেন্দ্রিক মডেল গ্রহের অবস্থানের আরও সঠিক পূর্বাভাস দিতে সক্ষম ছিল।সূর্যের বৃহৎ আকারের ব্যাখা করতে সক্ষম 
৩.সূর্যকেন্দ্রিক মডেল নক্ষত্রের গতি,ধুমকেতু ও গ্রহাণুর গতি ব্যাখ্যা করতে সক্ষম ছিল।
৪.সূর্যকেন্দ্রিক মডেল জ্যোতির্বিদ্যার নতুন ধারণার বিকাশের পথ উন্মুক্ত করে।
 

*বিগ ব্যাং তত্ত্ব কি?

উত্তর: বিগ ব্যাং তত্ত্ব মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কে প্রদত্ত একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। এটি মহাবিষ্ফোরণ তত্ত্ব নামেও পরিচিত। এটি মানুষের কল্পনা নয় বরং বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত।
 

*বিগ ব্যাং তত্ত্বের সপক্ষে কি বিজ্ঞানীরা কোনো প্রমাণ পেয়েছেন?

উত্তর: হ্যাঁ, বিগ ব্যাং তত্ত্বের সপক্ষে বিজ্ঞানীরা যা প্রমাণ পেয়েছেন নিচে তা বর্ণনা করা হলো-
বিজ্ঞানীরা যখন দেখলেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে অসংখ্য গ্যালাক্সি তখন তারা সেগুলোকে নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন এবং অবাক হয়ে আবিস্কার করলেন একটি থেকে আরেকটি দূরে সরে যাচ্ছে। যার অর্থ একসময়ে সেগুলো আরো কাছাকাছি ছিল। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন যে, আজ থেকে ১৪ বিলিয়ন বছর আগে (১ হাজার ৪০০ কোটি) পুরো এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড একটি বিন্দুতে ছিল। প্রকাণ্ড এক বিষ্ফোরণের পর সেই বিন্দুটি প্রসারিত হয়ে বর্তমান বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে রূপ নিয়েছে। আর সেই বিষ্ফোরণটির নামই হচ্ছে বিগ ব্যাং (Big Bang) তত্ত্ব।
 
Read More: কোষ পরিভ্রমণ- সপ্তম শ্রেণী

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ

সৌরজগত সম্পর্কে ফ্ল্যাশকার্ড তৈরির কিছু প্রশ্নের নমুনা নিচে  দেওয়া হলো- 

★ আমি সৌরজগতের সবচাইতে গরম গ্রহ,বলতো আমি কে? 

উত্তর: শুক্র গ্রহ।

★ আমি গ্যাসদানব,আমার ৪টি উপগ্রহ আছে,বলতো আমি কে? 

 উত্তর: বৃহস্পতি গ্রহ,আমার ৪টি উপগ্রহ আছে।
 

★ আমি লালচে গ্রহ,পৃথিবীর সাথে সবচেয়ে বেশী মিল রয়েছে আমার,বলতো আমি কে?

উত্তর: মঙ্গল গ্রহ।

★ আমার রয়েছে বলয়, পৃথিবীর ২৯ বছর  সমান আমার এক বছর,বলতো আমি কে? 

উত্তর: শনি গ্রহ।
 

★ আমি সৌরজগতের কেন্দ্র,বলতো আমি কে? 

উত্তর: সূর্য।
 

★ পোষ্টার তৈরী : সৌরজগতের গ্রহসমূহ 

গ্রহের নাম

বুধ

শুক্র

মঙ্গল

বৃহস্পতি

শনি

ইউরেনাস

নেপচুন

পৃথিবীর তুলনায় কতগুন বড় বা ছোটো

প্রায় ২.৫ গুণ ছোটো

প্রায় পৃথিবীর সমান

পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক

৩০০ গুণ বড়

৯.৪৫ গুণ বড়

৪ গুণ বড়

 প্রায় ৪ গুণ বড়

গঠন কেমন

কঠিন

ভূত্বক কঠিন, অভ্যন্তরে উত্তপ্ত তরল 

কঠিন

বায়বীয়

বায়বীয়

বায়বীয়

বায়বীয়

গ্রহের তাপমাত্রা কেমন

-১৭৩ থেকে ৪২৭ ডিগ্রী সে.

৪৭৬ ডিগ্রী সে.

-৬৩ ডিগ্রী সে.

-১১০ ডিগ্রী সে.

-১৪০ ডিগ্রী সে.

-২২৪ ডিগ্রী সে.

-২০০ ডিগ্রী সে.

সুর্য থেকে কত দূরে অবস্থিত

৫৮ মিলিয়ন কিমি

১০৮.২ মিলিয়ন কিমি

২৩০ মিলিয়ন কিমি

৭৭৮ মিলিয়ন কিমি

১.৪৩৪ বিলিয়ন কিমি

২.৮৭ বিলিয়ন কিমি

৪.৫ বিলিয়ন কিমি

উপগ্রহ কয়টি

নেই

নেই

২টি

৯৫টি, ৪টি বৃহৎ

১৫০ টির বেশী

২৭ টি

১৪ টি

বায়ুমণ্ডল আছে কিনা

অত্যন্ত পাতলা বায়ুমণ্ডল

বায়ুমণ্ডল ঘন

পাতলা বায়ুমণ্ডল

বায়ুমণ্ডল ঘন

বায়ুমণ্ডল ঘন

বায়ুমণ্ডল ঘন

বায়ুমণ্ডল ঘন

দিনের দৈর্ঘ্য কত ঘন্টা

পৃথিবীর ৬ মাসের সমান

পৃথিবীর ২৪৩ দিনের সমান

পৃথিবীর ১দিনের চেয়ে একটু বেশী

৯ ঘন্টা ৫৫ মিনিট

১০.৭ ঘন্টা

১৭ ঘন্টা ৫৩ মিনিট

১৬ ঘন্টা

বছরের দৈর্ঘ্য কত

৮৮ দিনের সমান

২২৫ দিনের সমান

৬৮৭ দিনের সমান

১২ বছরের সমান

২৯.৪ বছর

৮৪ বছর

১৬৫ বছর

 

*অনুশীলনী প্রশ্নঃ শুক্র গ্রহের অন্য নাম কী? এটি শুধু ভোরে কিংবা সন্ধ্যায় কেন দেখা যায়?

উত্তর: সূর্যের চারদিকে ঘুরার সময়, শুক্র গ্রহ পৃথিবীর কাছাকাছি আসে এবং তারপর দূরে সরে যায়। যখন শুক্র গ্রহ পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে তখন ভোরে ও সন্ধ্যায় স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
 

*অনুশীলনী প্রশ্নঃ পৃথিবীর বাইরে আর কোন গ্রহে মানুষ বসতি স্থাপন করতে পারে? কেন?

উত্তর: মঙ্গল ও শুক্র গ্রহে মানুষ বসতি স্থাপন করতে পারে । মঙ্গল গ্রহে বায়ুমণ্ডল, পানি, বরফ, আগ্নেয়গিরি, মরুভূমি, মেরুদেশীয় দেশের মত ভূ-প্রকৃতি বিদ্যমান। শুক্র গ্রহের আকার ও ঘনত্ব প্রায় পৃথিবীর সমান এবং প্রচুর পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড রয়েছে।
 

*অনুশীলনী প্রশ্নঃ প্রত্যেকটি গ্রহের একটি বৈশিষ্ট্যের কথা বলো যেটি অন্য গ্রহগুলোতে নেই

উত্তর: সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহের অনন্য বৈশিষ্ট্য:
 
বুধ: সৌরজগতের সবচেয়ে ছোট গ্রহ এবং সূর্যের সবচেয়ে নিকটে অবস্থিত। এটি গর্তে ভরা এবং কোনো উপগ্রহ নেই।
 
শুক্র: “পৃথিবীর ভগিনী” নামে পরিচিত, এটি সৌরজগতের উত্তপ্ততম গ্রহ। এর ঘন বায়ুমণ্ডল কার্বন ডাই অক্সাইড দ্বারা গঠিত।
 
পৃথিবী: জীবন ধারণের জন্য উপযোগী একমাত্র গ্রহ। এটিতে তরল জল, বায়ুমণ্ডল এবং চৌম্বক ক্ষেত্র রয়েছে।
 
মঙ্গল: “লাল গ্রহ” নামে পরিচিত, এটিতে বরফের মেরু বরফ, প্রাচীন আগ্নেয়গিরি এবং বিশাল গিরিখাত রয়েছে। এটিতে দুটি উপগ্রহ, ফোবস এবং ডিমোস রয়েছে।
 
বৃহস্পতি: সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ। এটি একটি গ্যাসীয় দানব, যার বায়ুমণ্ডল প্রধানত হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম দ্বারে গঠিত। এটিতে একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র এবং অনেক উপগ্রহ রয়েছে।
 
শনি: “আংটির গ্রহ” নামে পরিচিত, এটি বরফ এবং শিলা দ্বারা গঠিত একটি গ্যাসীয় দানব। এটি স্পষ্ট আংটির জন্য বিখ্যাত যা বরফের কণা দ্বারা গঠিত।
 
ইউরেনাস: এটি একটি বরফ দানব গ্রহ, যার অক্ষ ৭৪° পরিবর্তিত হয়। এটিতে বায়ুমণ্ডল রয়েছে যা প্রধানত হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং মিথেন দ্বারা গঠিত।
 
নেপচুন: এটি সৌরজগতের সবচেয়ে দূরবর্তী গ্রহ। এটি একটি বরফ দানব গ্রহ, যার বায়ুমণ্ডল প্রধানত হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং মিথেন দ্বারা গঠিত। এটিতে একটি “Great Dark Spot” রয়েছে, যা একটি বিশাল ঘূর্ণিঝড়।
 
Read More: পদার্থের সূলুকসন্ধান- সপ্তম শ্রেণী

পঞ্চম সেশনঃ

আকাশ কত বড়?

 

নমুনা গল্প:

 

বৃশ্চিকঃ

আকাশ কত বড়গ্রীক পুরাণ মতে, বৃশ্চিক ছিল সেই বিশালাকার বিষ্ণু যা দেবী গাইয়া শিকারী অরিয়নকে হত্যা করার জন্য পাঠিয়েছিলেন। অরিয়ন ছিলেন একজন গর্বিত এবং ভয়ানক শিকারী যিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকে হত্যা করতে সক্ষম। এটি পৃথিবীর দেবী গাইয়াকে ক্ষুদ্ধ করেছিল, যিনি তাকে থামাতে স্করপিয়াসকে পাঠিয়েছিলেন। দু’জনের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্করপিয়াস তার বিষাক্ত হুল দিয়ে এরিয়নকে হত্যা করতে সক্ষম হয়। যুদ্ধকে স্মরণ করার জন্য, দেবতারা বৃশ্চিক এবং ওরিয়ন উভয়কেই নক্ষত্রপুঞ্জ হিসাবে আকাশে স্থাপন করেছিলেন।
 
 

কালপুরুষ:

আকাশ কত বড়কালপুরুষ ছিল বিখ্যাত এক যোদ্ধা ও শিকারী। অহংকারে তার মাটিতে পা পড়ত না! সে দাবি করত যে, পৃথিবীর সকল প্রাণীই সে শিকার করতে সক্ষম। তার এত অহংকারে দেবতারা ক্ষুদ্ধ হলেন। তারা একটি বৃশ্চিক বা কাঁকড়াবিছাকে পাঠালেন কালপুরুষকে শায়েস্তা করার জন্য। আর সেই কাঁকড়ার কামড়েই কালপুরুষের মৃত্যু হলো। দেবতারা মানুষকে অহংকারের পরিণাম দেখানোর জন্য কালপুরুষ আর বৃশ্চিক দুজনকেই আকাশে স্থান দিলেন। যাতে আকাশে তাকালেই মানুষ এর থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে।
 

*নেবুলা কী?

উত্তর: নেবুলা হচ্ছে মহাজাগতিক ধূলিকণা ও গ্যাসের সমন্বয়ে সৃষ্ট এক সুবিশাল মহাজাগতিক মেঘ। নেবুলা থেকেই নতুন নতুন নক্ষত্রের জন্ম হয়।
আকাশের এই বারো ভাগের ধারণা বহু প্রচীন। সভ্যতার বিভিন্ন সময়ে মানুষ তার নানা কাজে এর ব্যবহার করেছে। তোমাদের বইয়ে এরকম দুই ধরনের ব্যবহারের কথা বলা আছে; বাংলা বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডার, এবং জ্যোতিষবিদ্যা বা ভাগ্য গণনা। তোমার বন্ধুদের সাথে দলে বসে এই দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করো, আলোচনার সময় নিচের প্রশ্নগুলো মাথায় রাখতে পারো। তোমরা একমত হবার পর উত্তরগুলো পরের পৃষ্ঠার ছকে লিখে রাখো। একমত না হতে পারলে সেটাও লিখে রেখো!
 

*নক্ষত্রের জন্ম হয়েছিল কীভাবে?

উত্তর: বিগ ব্যাংয়ের পর মহাকাশে থাকা হাইড্রোজেন কোথাও কোথাও একত্রিত হয়ে একটা গ্যাসপিণ্ডের আকার নেয়, এই গ্যাসপি-কে বলা হয় নেবুলা। সেই নেবুলাতে যদি যথেষ্ট পরিমাণে গ্যাস থাকে তাহলে মহাকর্ষ বলের কারণে যখন সংকুচিত হতে থাকে তখন তার তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে এতই বেড়ে যায় যে, তার প্রভাবে হাইড্রোজেন একটি অন্যটির সাথে নিউক্লিয়ার ফিউশন নামে একটি বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রচুর শক্তি জন্ম দিতে থাকে। সেই নক্ষত্র থেকে আলো বের হতে থাকে এবং আমরা বলি নক্ষত্রের জন্ম হয়েছে।
 



বাংলা বর্ষপঞ্জি

জ্যোতিষবিদ্যা বা ভাগ্য গণনা

কীভাবে এলো?

আকাশের নক্ষত্রমন্ডলী থেকে

আকাশের নক্ষত্রমন্ডলী থেকে

কী কাজে ব্যবহার করা হয়?

দিন সমূহকে হিসাব করার জন্য

ভাগ্য গণনার জন্য

বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কিনা?

আছে

নাই

Read More: যাযাবর পাখির সন্ধানে - অষ্টম শ্রেণী

ষষ্ঠ সেশনঃ

প্রচলিত অবৈজ্ঞানিক চর্চা বা কুসংস্কার

রাশি চক্র বা ভাগ্য গণনা

নির্দিষ্ট ঘটনা বা প্রমান যেখানে এই চর্চার নজির দেখেছ

কিছু লোক বিশ্বাস করে যে ভাগ্য তাদের জীবনের
ঘটনাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে
, এই
দাবির সমর্থনে কোন প্রমাণ নেই।
এছাড়াও নির্দিষ্ট রাশির অধীনে জন্মগ্রহণকারী লোকদের
নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য থাকে।

অবৈজ্ঞানিক বা কুসংস্কারপ্রসূত মনে করার পেছনে
যুক্তি কী?

জীবনের ঘটনাগুলি জিন, পরিবেশ
এবং ব্যক্তিগত পছন্দের মতো বিভিন্ন কারণের দ্বারা প্রভাবিত হয়।এছাড়াও গবেষণায়
জন্মতারিখ এবং ব্যক্তিত্বের মধ্যে কোন সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।

তোমার দায়িত্ব কী হওয়া উচিত?

আমি তাদেরকে বুঝাবো, এগুলোর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। তাছাড়া ধর্মীয়
ভাবেও এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নাই।

আকাশের দিকে তাকালে এখন নতুন  কী কী চোখে পড়ছে বা নতুন কী চিন্তা মাথায় আসছে?

উল্কা, ধ্রুবতারা, শুকতারা।দিনের বেলা আকাশে তারা দেখা যায় না কেন?
মাঝে মধ্যে আকাশ থেকে তারা খসে
পড়তে দেখা যায় কেনো
?

এই বিষয়ে আর কী কী প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে?

আকাশের শেষ সীমা কোথায়?

Read More: আমদের জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - ষষ্ঠ শ্রেণী
Read More: খেলার মাঠে বিজ্ঞান- নবম শ্রেণী
Read More: বায়ু দূষণ- নবম শ্রেণী

Filed Under: class 6, বিজ্ঞান class 6 Tagged With: আকাশ কত বড়, আকাশের সব তারা কী একইরকম মিটিমিটি জ্বলে?, গ্যালাক্সি কী?, দুপুর, পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেল থেকে সূর্য কেন্দ্রিক মডেলের ধারণায় বিবর্তনের পক্ষে যুক্তি কী কী ছিল?, বিকেলে আকাশ এত রং পাল্টায় কেন? দিন বা রাতের কোন সময়টার আকাশ তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ?, বিগ ব্যাং তত্ত্ব কি?, বিগ ব্যাং তত্ত্বের সপক্ষে কি বিজ্ঞানীরা কোনো প্রমাণ পেয়েছেন?, বিশ্বজগতের গঠন নিয়ে মানুষের ধারণা আগে কী ছিল?, মহাবিশ্বে মোট গ্যালাক্সির সংখ্যা কত হতে পারে?, মিল্কিওয়ে কী?, রাতের আকাশে দেখা যাওয়া তারা সবই কী একই রকম?সবার রঙ কী একই?, সকাল, সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের ধারণা কীভাবে এলো?

Primary Sidebar

zippy's macaroni salad recipe hawaii

Hawaiian chopped steak recipe

Craving a taste of the Hawaiian islands? Look no further than Zippy's Macaroni Salad Recipe, a culinary delight that … [Read More...] about Hawaiian chopped steak recipe

1950s recipe for tamale pie

1950s Tamale Pie: A Taste of Vintage Comfort Food

Is your kitchen lacking a touch of comfort and nostalgia? You've found it! This blog post will take you on a lovely … [Read More...] about 1950s Tamale Pie: A Taste of Vintage Comfort Food

রোধ, জল, বৃষ্টি

রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

আমরা ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান-অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়ে আলোচিত "রোধ, জল, বৃষ্টি"-শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের … [Read More...] about রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

গতির খেলা-৬ষ্ট শ্রেণী

গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয়ের ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা গতির খেলা  সম্পর্কে। প্রথম, দ্বিতীয় ও … [Read More...] about গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৭ম অধ্যায়,ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম  সম্পর্কে জানবো। প্রথম ও … [Read More...] about ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

হরেক রকম খেলনার মেলা

হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়,হরেক রকম খেলনার মেলা  সম্পর্কে জানবো।প্রথম ও দ্বিতীয় … [Read More...] about হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

Footer

  • About Us
  • Affiliate Disclosure
  • Privacy Policy
  • Terms of Use
  • Contact Us

Copyright © 2025 · News Pro on Genesis Framework · WordPress · Log in