class 6

আকাশ কত বড় ২০২৪ । ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

উপরে তাকালেই যে বিশাল মহাকাশ  আমরা দেখি তার শেষ কোথায়? কত বড় এই আকাশ? এই পৃথিবী, আকাশ,মহাবিশ্ব—কোথা থেকে এলো এসব? এই সকল প্রশ্নের উত্তরই খুঁজব আমরা।

প্রথম সেশনঃ

* আকাশের দিকে তাকিয়ে তোমাদের মনে যা যা প্রশ্ন জাগতে পারে তা নিচে দেওয়া হল-

  • আকাশ এত বিশাল কেন?
  • আকাশের রং নীল কেন?
  • আকাশে কতগুলো গ্রহ নক্ষত্র আছে?
  • সব গ্রহের আকাশের রঙ কী নীল?

দিনের আকাশে কী কী
দেখি?

রাতের আকাশে কী কী
দেখি?

সূর্য দেখা যায়

চাঁদ দেখা যায়

মেঘ দেখা যায়

মেঘ দেখা যায়

নীল রঙের আকাশ দেখা যায়

গ্রহ দেখা যায়

রংধনু দেখা যায়।

তারা দেখা যায়

*সকাল, দুপুর, বিকেলে আকাশ এত রং পাল্টায় কেন? দিন বা রাতের কোন সময়টার আকাশ তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ? ( পৃষ্ঠা ৬)

উত্তর: মূলত আকাশ হল আমাদের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল। এই বায়ুমণ্ডল যে রং ছড়াবে, আকাশও সেই রং ধারণ করবে। সূর্যরশ্মি বায়ুমন্ডল ভেদ করে পৃথিবীতে আসে।এ সময়ে পৃথিবীতে বিভিন্ন রঙের আলো বিভিন্নভাবে বিক্ষেপিত হয়। আলোর এই বিভিন্নতার কারণেই আকাশ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রং ধারণ করে।
আমার পছন্দের আকাশ: আকাশ বিভিন্ন সময়ে বৈচিত্র‍্যময় রূপ ধারণ করে। এর মধ্যে আমার কাছে সকালবেলায় পরিস্কার নীল আকাশ সবচেয়ে ভালো লাগে।

*রাতের আকাশে দেখা যাওয়া তারা সবই কী একই রকম?সবার রঙ কী একই?

উত্তর: আকাশের তারা সব একই রকম নয়। তারা আকার, উজ্জ্বলতা, রঙ, তাপমাত্রা, ভর, বয়স এবং রাসায়নিক গঠনের দিক থেকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়।
তারার বিভিন্ন রকমের রঙ হতে পারে যেমন- নীল, সাদা, হলুদ, কমলা, লাল এবং বাদামী রঙের তারা রয়েছে। তারার রঙ তারার তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।

*আকাশের সব তারা কী একইরকম মিটিমিটি জ্বলে?

উত্তর: আকাশের সব তারা একই রকমভাবে মিটিমিটি করে জ্বলে না।  তাদের ঝিকিমিকির পরিমাণ নির্ভর করে বিভিন্ন কারণের উপর, যেমন: তারার দূরত্ব,উজ্জ্বলতা, বায়ুমন্ডলীয় অবস্থা,তারার ধরণ,পর্যবেক্ষকের অবস্থান ইত্যাদি।

দ্বিতীয় সেশনঃ

*গ্যালাক্সি কী?

উত্তর: গ্যালাক্সি হলো অসংখ্য তারা, নক্ষত্র,গ্রহ,গ্যাস,ধূলিকণা, অন্ধকার পদার্থ এবং অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তু দ্বারা গঠিত একটি বিশাল সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা। মহাকাশে বিভিন্ন আকার, আকৃতি ও গঠনের অসংখ্য গ্যালাক্সি বিদ্যমান। গ্যালাক্সি দেখতে উপবৃত্তাকার, কুন্ডলীকার,সর্পিলাকার হতে পারে।

*মহাবিশ্বে মোট গ্যালাক্সির সংখ্যা কত হতে পারে?

উত্তর: প্রায় এক ট্রিলিয়ন (লক্ষ কোটি)।

*মিল্কিওয়ে কী?

উত্তর: আমাদের আবাসস্থল পৃথিবী যে গ্যালাক্সিতে অবস্থিত, সেটিই হচ্ছে মিল্কিওয়ে।

*বিশ্বজগতের গঠন নিয়ে মানুষের ধারণা আগে কী ছিল?

উত্তর: বিশ্বজগতের গঠন নিয়ে মানুষের ধারণা সময়ের সাথে সাথে অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। প্রাচীন কালে, মানুষ মনে করত পৃথিবীই মহাবিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং সূর্য, চাঁদ, গ্রহ-নক্ষত্র সবই পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। মধ্যযুগে, গির্জার প্রভাবের কারণে ‘টলেমাইক’ মডেলটি জনপ্রিয় ছিল। এই মডেল অনুসারে, পৃথিবী স্থির এবং সূর্য, চাঁদ, গ্রহ-নক্ষত্র সবই স্ফটিকের গোলকের উপর স্থাপিত।

*সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের ধারণা কীভাবে এলো?

সূর্য কেন্দ্রিক মডেলটি প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন গ্রিসের  জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ আরিস্টারাকাস,তৃতীয় খ্রীস্টপূর্বাব্দে । তিনি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে, গ্রহগুলির কক্ষপথ সূর্যকে কেন্দ্র করে এবং পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে।
আরিস্টার্কসের মডেলটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছিলেন জ্যোতির্বিদ নিকোলাস কোপারনিকাস। ১৬ শতকে তিনি আরও গবেষণা করে দেখান যে, আরিস্টার্কসের মডেলটি সঠিক।
কোপারনিকাসের মডেলটিকে আরও উন্নত করে তুলেছিলেন জ্যোতির্বিদ কেপলার। কেপলার ১৭ শতকে পর্যবেক্ষণ করে দেখান যে, গ্রহগুলি সূর্যকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘোরে না, বরং উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘোরে। কেপলারের এই আবিষ্কারটি সূর্য কেন্দ্রিক মডেলের স্থায়িত্বকে আরও দৃঢ় করে।
সূর্য কেন্দ্রিক মডেলটি মহাবিশ্বের ধারণা সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। এই মডেলটি প্রমাণ করেছে যে, পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু নয়, বরং সূর্য। এটি মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করেছে।

*পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেল থেকে সূর্য কেন্দ্রিক মডেলের ধারণায় বিবর্তনের পক্ষে যুক্তি কী কী ছিল?

উত্তরঃ পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেল থেকে সূর্য কেন্দ্রিক মডেলের ধারণায় বিবর্তনের পক্ষে নিম্নোক্ত যুক্তি ছিলঃ
১. সূর্যকেন্দ্রিক মডেল সহজভাবে গ্রহের বৃত্তাকার এবং উপবৃত্তাকার গতি ব্যাখ্যা করতে সক্ষম ছিল।
২.সূর্যকেন্দ্রিক মডেল গ্রহের অবস্থানের আরও সঠিক পূর্বাভাস দিতে সক্ষম ছিল।সূর্যের বৃহৎ আকারের ব্যাখা করতে সক্ষম
৩.সূর্যকেন্দ্রিক মডেল নক্ষত্রের গতি,ধুমকেতু ও গ্রহাণুর গতি ব্যাখ্যা করতে সক্ষম ছিল।
৪.সূর্যকেন্দ্রিক মডেল জ্যোতির্বিদ্যার নতুন ধারণার বিকাশের পথ উন্মুক্ত করে।

*বিগ ব্যাং তত্ত্ব কি?

উত্তর: বিগ ব্যাং তত্ত্ব মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কে প্রদত্ত একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। এটি মহাবিষ্ফোরণ তত্ত্ব নামেও পরিচিত। এটি মানুষের কল্পনা নয় বরং বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত।

*বিগ ব্যাং তত্ত্বের সপক্ষে কি বিজ্ঞানীরা কোনো প্রমাণ পেয়েছেন?

উত্তর: হ্যাঁ, বিগ ব্যাং তত্ত্বের সপক্ষে বিজ্ঞানীরা যা প্রমাণ পেয়েছেন নিচে তা বর্ণনা করা হলো-
বিজ্ঞানীরা যখন দেখলেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে অসংখ্য গ্যালাক্সি তখন তারা সেগুলোকে নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন এবং অবাক হয়ে আবিস্কার করলেন একটি থেকে আরেকটি দূরে সরে যাচ্ছে। যার অর্থ একসময়ে সেগুলো আরো কাছাকাছি ছিল। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন যে, আজ থেকে ১৪ বিলিয়ন বছর আগে (১ হাজার ৪০০ কোটি) পুরো এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড একটি বিন্দুতে ছিল। প্রকাণ্ড এক বিষ্ফোরণের পর সেই বিন্দুটি প্রসারিত হয়ে বর্তমান বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে রূপ নিয়েছে। আর সেই বিষ্ফোরণটির নামই হচ্ছে বিগ ব্যাং (Big Bang) তত্ত্ব।

তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনঃ

সৌরজগত সম্পর্কে ফ্ল্যাশকার্ড তৈরির কিছু প্রশ্নের নমুনা নিচে  দেওয়া হলো-

★ আমি সৌরজগতের সবচাইতে গরম গ্রহ,বলতো আমি কে?

উত্তর: শুক্র গ্রহ।

★ আমি গ্যাসদানব,আমার ৪টি উপগ্রহ আছে,বলতো আমি কে?

উত্তর: বৃহস্পতি গ্রহ,আমার ৪টি উপগ্রহ আছে।

★ আমি লালচে গ্রহ,পৃথিবীর সাথে সবচেয়ে বেশী মিল রয়েছে আমার,বলতো আমি কে?

উত্তর: মঙ্গল গ্রহ।

★ আমার রয়েছে বলয়, পৃথিবীর ২৯ বছর  সমান আমার এক বছর,বলতো আমি কে?

উত্তর: শনি গ্রহ।

★ আমি সৌরজগতের কেন্দ্র,বলতো আমি কে?

উত্তর: সূর্য।

★ পোষ্টার তৈরী : সৌরজগতের গ্রহসমূহ

গ্রহের নাম

বুধ

শুক্র

মঙ্গল

বৃহস্পতি

শনি

ইউরেনাস

নেপচুন

পৃথিবীর তুলনায় কতগুন বড় বা ছোটো

প্রায় ২.৫ গুণ ছোটো

প্রায় পৃথিবীর সমান

পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক

৩০০ গুণ বড়

৯.৪৫ গুণ বড়

৪ গুণ বড়

 প্রায় ৪ গুণ বড়

গঠন কেমন

কঠিন

ভূত্বক কঠিন, অভ্যন্তরে উত্তপ্ত তরল 

কঠিন

বায়বীয়

বায়বীয়

বায়বীয়

বায়বীয়

গ্রহের তাপমাত্রা কেমন

-১৭৩ থেকে ৪২৭ ডিগ্রী সে.

৪৭৬ ডিগ্রী সে.

-৬৩ ডিগ্রী সে.

-১১০ ডিগ্রী সে.

-১৪০ ডিগ্রী সে.

-২২৪ ডিগ্রী সে.

-২০০ ডিগ্রী সে.

সুর্য থেকে কত দূরে অবস্থিত

৫৮ মিলিয়ন কিমি

১০৮.২ মিলিয়ন কিমি

২৩০ মিলিয়ন কিমি

৭৭৮ মিলিয়ন কিমি

১.৪৩৪ বিলিয়ন কিমি

২.৮৭ বিলিয়ন কিমি

৪.৫ বিলিয়ন কিমি

উপগ্রহ কয়টি

নেই

নেই

২টি

৯৫টি, ৪টি বৃহৎ

১৫০ টির বেশী

২৭ টি

১৪ টি

বায়ুমণ্ডল আছে কিনা

অত্যন্ত পাতলা বায়ুমণ্ডল

বায়ুমণ্ডল ঘন

পাতলা বায়ুমণ্ডল

বায়ুমণ্ডল ঘন

বায়ুমণ্ডল ঘন

বায়ুমণ্ডল ঘন

বায়ুমণ্ডল ঘন

দিনের দৈর্ঘ্য কত ঘন্টা

পৃথিবীর ৬ মাসের সমান

পৃথিবীর ২৪৩ দিনের সমান

পৃথিবীর ১দিনের চেয়ে একটু বেশী

৯ ঘন্টা ৫৫ মিনিট

১০.৭ ঘন্টা

১৭ ঘন্টা ৫৩ মিনিট

১৬ ঘন্টা

বছরের দৈর্ঘ্য কত

৮৮ দিনের সমান

২২৫ দিনের সমান

৬৮৭ দিনের সমান

১২ বছরের সমান

২৯.৪ বছর

৮৪ বছর

১৬৫ বছর

*অনুশীলনী প্রশ্নঃ শুক্র গ্রহের অন্য নাম কী? এটি শুধু ভোরে কিংবা সন্ধ্যায় কেন দেখা যায়?

উত্তর: সূর্যের চারদিকে ঘুরার সময়, শুক্র গ্রহ পৃথিবীর কাছাকাছি আসে এবং তারপর দূরে সরে যায়। যখন শুক্র গ্রহ পৃথিবীর কাছাকাছি থাকে তখন ভোরে ও সন্ধ্যায় স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

*অনুশীলনী প্রশ্নঃ পৃথিবীর বাইরে আর কোন গ্রহে মানুষ বসতি স্থাপন করতে পারে? কেন?

উত্তর: মঙ্গল ও শুক্র গ্রহে মানুষ বসতি স্থাপন করতে পারে । মঙ্গল গ্রহে বায়ুমণ্ডল, পানি, বরফ, আগ্নেয়গিরি, মরুভূমি, মেরুদেশীয় দেশের মত ভূ-প্রকৃতি বিদ্যমান। শুক্র গ্রহের আকার ও ঘনত্ব প্রায় পৃথিবীর সমান এবং প্রচুর পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড রয়েছে।

*অনুশীলনী প্রশ্নঃ প্রত্যেকটি গ্রহের একটি বৈশিষ্ট্যের কথা বলো যেটি অন্য গ্রহগুলোতে নেই

উত্তর: সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহের অনন্য বৈশিষ্ট্য:
বুধ: সৌরজগতের সবচেয়ে ছোট গ্রহ এবং সূর্যের সবচেয়ে নিকটে অবস্থিত। এটি গর্তে ভরা এবং কোনো উপগ্রহ নেই।
শুক্র: “পৃথিবীর ভগিনী” নামে পরিচিত, এটি সৌরজগতের উত্তপ্ততম গ্রহ। এর ঘন বায়ুমণ্ডল কার্বন ডাই অক্সাইড দ্বারা গঠিত।
পৃথিবী: জীবন ধারণের জন্য উপযোগী একমাত্র গ্রহ। এটিতে তরল জল, বায়ুমণ্ডল এবং চৌম্বক ক্ষেত্র রয়েছে।
মঙ্গল: “লাল গ্রহ” নামে পরিচিত, এটিতে বরফের মেরু বরফ, প্রাচীন আগ্নেয়গিরি এবং বিশাল গিরিখাত রয়েছে। এটিতে দুটি উপগ্রহ, ফোবস এবং ডিমোস রয়েছে।
বৃহস্পতি: সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ। এটি একটি গ্যাসীয় দানব, যার বায়ুমণ্ডল প্রধানত হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম দ্বারে গঠিত। এটিতে একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র এবং অনেক উপগ্রহ রয়েছে।
শনি: “আংটির গ্রহ” নামে পরিচিত, এটি বরফ এবং শিলা দ্বারা গঠিত একটি গ্যাসীয় দানব। এটি স্পষ্ট আংটির জন্য বিখ্যাত যা বরফের কণা দ্বারা গঠিত।
ইউরেনাস: এটি একটি বরফ দানব গ্রহ, যার অক্ষ ৭৪° পরিবর্তিত হয়। এটিতে বায়ুমণ্ডল রয়েছে যা প্রধানত হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং মিথেন দ্বারা গঠিত।
নেপচুন: এটি সৌরজগতের সবচেয়ে দূরবর্তী গ্রহ। এটি একটি বরফ দানব গ্রহ, যার বায়ুমণ্ডল প্রধানত হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং মিথেন দ্বারা গঠিত। এটিতে একটি “Great Dark Spot” রয়েছে, যা একটি বিশাল ঘূর্ণিঝড়।

পঞ্চম সেশনঃ

নমুনা গল্প:

বৃশ্চিকঃ

গ্রীক পুরাণ মতে, বৃশ্চিক ছিল সেই বিশালাকার বিষ্ণু যা দেবী গাইয়া শিকারী অরিয়নকে হত্যা করার জন্য পাঠিয়েছিলেন। অরিয়ন ছিলেন একজন গর্বিত এবং ভয়ানক শিকারী যিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকে হত্যা করতে সক্ষম। এটি পৃথিবীর দেবী গাইয়াকে ক্ষুদ্ধ করেছিল, যিনি তাকে থামাতে স্করপিয়াসকে পাঠিয়েছিলেন। দু’জনের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্করপিয়াস তার বিষাক্ত হুল দিয়ে এরিয়নকে হত্যা করতে সক্ষম হয়। যুদ্ধকে স্মরণ করার জন্য, দেবতারা বৃশ্চিক এবং ওরিয়ন উভয়কেই নক্ষত্রপুঞ্জ হিসাবে আকাশে স্থাপন করেছিলেন।

কালপুরুষ:

কালপুরুষ ছিল বিখ্যাত এক যোদ্ধা ও শিকারী। অহংকারে তার মাটিতে পা পড়ত না! সে দাবি করত যে, পৃথিবীর সকল প্রাণীই সে শিকার করতে সক্ষম। তার এত অহংকারে দেবতারা ক্ষুদ্ধ হলেন। তারা একটি বৃশ্চিক বা কাঁকড়াবিছাকে পাঠালেন কালপুরুষকে শায়েস্তা করার জন্য। আর সেই কাঁকড়ার কামড়েই কালপুরুষের মৃত্যু হলো। দেবতারা মানুষকে অহংকারের পরিণাম দেখানোর জন্য কালপুরুষ আর বৃশ্চিক দুজনকেই আকাশে স্থান দিলেন। যাতে আকাশে তাকালেই মানুষ এর থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে।

*নেবুলা কী?

উত্তর: নেবুলা হচ্ছে মহাজাগতিক ধূলিকণা ও গ্যাসের সমন্বয়ে সৃষ্ট এক সুবিশাল মহাজাগতিক মেঘ। নেবুলা থেকেই নতুন নতুন নক্ষত্রের জন্ম হয়।
আকাশের এই বারো ভাগের ধারণা বহু প্রচীন। সভ্যতার বিভিন্ন সময়ে মানুষ তার নানা কাজে এর ব্যবহার করেছে। তোমাদের বইয়ে এরকম দুই ধরনের ব্যবহারের কথা বলা আছে; বাংলা বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডার, এবং জ্যোতিষবিদ্যা বা ভাগ্য গণনা। তোমার বন্ধুদের সাথে দলে বসে এই দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করো, আলোচনার সময় নিচের প্রশ্নগুলো মাথায় রাখতে পারো। তোমরা একমত হবার পর উত্তরগুলো পরের পৃষ্ঠার ছকে লিখে রাখো। একমত না হতে পারলে সেটাও লিখে রেখো!

*নক্ষত্রের জন্ম হয়েছিল কীভাবে?

উত্তর: বিগ ব্যাংয়ের পর মহাকাশে থাকা হাইড্রোজেন কোথাও কোথাও একত্রিত হয়ে একটা গ্যাসপিণ্ডের আকার নেয়, এই গ্যাসপি-কে বলা হয় নেবুলা। সেই নেবুলাতে যদি যথেষ্ট পরিমাণে গ্যাস থাকে তাহলে মহাকর্ষ বলের কারণে যখন সংকুচিত হতে থাকে তখন তার তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে এতই বেড়ে যায় যে, তার প্রভাবে হাইড্রোজেন একটি অন্যটির সাথে নিউক্লিয়ার ফিউশন নামে একটি বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রচুর শক্তি জন্ম দিতে থাকে। সেই নক্ষত্র থেকে আলো বের হতে থাকে এবং আমরা বলি নক্ষত্রের জন্ম হয়েছে।



বাংলা বর্ষপঞ্জি

জ্যোতিষবিদ্যা বা ভাগ্য গণনা

কীভাবে এলো?

আকাশের নক্ষত্রমন্ডলী থেকে

আকাশের নক্ষত্রমন্ডলী থেকে

কী কাজে ব্যবহার করা হয়?

দিন সমূহকে হিসাব করার জন্য

ভাগ্য গণনার জন্য

বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কিনা?

আছে

নাই

ষষ্ঠ সেশনঃ

প্রচলিত অবৈজ্ঞানিক চর্চা বা কুসংস্কার

রাশি চক্র বা ভাগ্য গণনা

নির্দিষ্ট ঘটনা বা প্রমান যেখানে এই চর্চার নজির দেখেছ

কিছু লোক বিশ্বাস করে যে ভাগ্য তাদের জীবনের
ঘটনাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে
, এই
দাবির সমর্থনে কোন প্রমাণ নেই।
এছাড়াও নির্দিষ্ট রাশির অধীনে জন্মগ্রহণকারী লোকদের
নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য থাকে।

অবৈজ্ঞানিক বা কুসংস্কারপ্রসূত মনে করার পেছনে
যুক্তি কী?

জীবনের ঘটনাগুলি জিন, পরিবেশ
এবং ব্যক্তিগত পছন্দের মতো বিভিন্ন কারণের দ্বারা প্রভাবিত হয়।এছাড়াও গবেষণায়
জন্মতারিখ এবং ব্যক্তিত্বের মধ্যে কোন সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।

তোমার দায়িত্ব কী হওয়া উচিত?

আমি তাদেরকে বুঝাবো, এগুলোর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। তাছাড়া ধর্মীয়
ভাবেও এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নাই।

আকাশের দিকে তাকালে এখন নতুন  কী কী চোখে পড়ছে বা নতুন কী চিন্তা মাথায় আসছে?

উল্কা, ধ্রুবতারা, শুকতারা।দিনের বেলা আকাশে তারা দেখা যায় না কেন?
মাঝে মধ্যে আকাশ থেকে তারা খসে
পড়তে দেখা যায় কেনো
?

এই বিষয়ে আর কী কী প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে?

আকাশের শেষ সীমা কোথায়?

As an Amazon Associate I earn from qualifying purchases.

veg_admin

View Comments

Share
Published by
veg_admin

Recent Posts

রোধ, জল, বৃষ্টি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

আমরা ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান-অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়ে আলোচিত "রোধ, জল, বৃষ্টি"-শিখন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন…

2 months ago

গতির খেলা। ৬ষ্ঠ শ্রেনী। বিজ্ঞান-অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা জানবো ষষ্ঠ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিষয়ের ৩য় শিখন অভিজ্ঞতা গতির খেলা  সম্পর্কে। প্রথম, দ্বিতীয় ও…

2 months ago

ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৭ম অধ্যায়,ক্ষুদে বাগানঃটেরারিয়াম  সম্পর্কে জানবো। প্রথম ও…

2 months ago

হরেক রকম খেলনার মেলা।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায়,হরেক রকম খেলনার মেলা  সম্পর্কে জানবো।প্রথম…

2 months ago

অদৃশ্য প্রতিবেশী।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৫ম অধ্যায়, অদৃশ্য প্রতিবেশী  সম্পর্কে জানবো।সেশন শুরুর…

2 months ago

সূর্যালোকে রান্না।সপ্তম শ্রেণী| বিজ্ঞান- অনুশীলন বই

এই পোস্টে আমরা সপ্তম শ্রেনীর,বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ৪র্থ অধ্যায়, সূর্যালোকে রান্না সম্পর্কে জানবো।প্রথম ও দ্বিতীয়…

2 months ago